''আজকের রক্তিম সূর্যদ্বয় (৬ই মে ২০১৩)''
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৬ মে, ২০১৩, ০৭:৪৬:৩৫ সকাল
হাজারও মাজলুমের রক্তে আজকের ঢাকা যেন রক্ত স্নাতো ঢাকায় পরিণত হয়েছে। বাংলার সহজ সরল মনা; এবং নিরস্ত্র আলেম সমাজের উরপ নির্বিচারে হত্যা কান্ড চালায়। এপর্যন্ত কতজন হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছেন তা কেউ বলতে না পারলেও সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তার হিসাব ঠিকই রেখেছন। রাতের নিরবতাকে কাজে লাগিয়ে নৃশংস এই হত্যা পরিচালনা করেছে নির্বোধ, বেকুফ, এবং জালেম সরকারের জালেম বাহিনী। মহান আল্লাহ সব দেখছেন; তিনিই এসবের পূর্ণ শাস্তি দিবেন তার কাছেই সব নালিশ রাখা।
হে আল্লাহ! নিরোপরাধি সাধারন নির্রস্ত্র মানুষগুলোকে শুধু তোমার দ্বীন প্রতিষ্ঠার অপরাধে শাপলা চত্বরে নির্মম ভাবে প্রান দিতে হল। যারা প্রান দিল তারা তো শাহাদাতের মৃত্যুতে শান্তি লাভ করলো কিন্তু যারা এই তুল কালাম কান্ড ঘটতে সহযোগীতা করল তাদের বিচার তুমি করো।
হে আল্লাহ! যারা তোমার দ্বীন ইসলামের প্রতিষ্ঠার কাজে জীবন কোরবানি করল তুমিই তাদের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যারা কোন অপরাধ ছাড়াই ওদেরকে শাপলা চত্বর থেকে বহিষ্কার করার জন্য নিরস্ত্র ব্যক্তিবর্গের উরপ গুলি, টিয়ারশেল ও বোমা হামলা চালিয়েছে; কেউ দেখেনি; কেউ জানেনা; কোন মিডিয়া তা প্রকাশ করেনি তারপরও মুসলমানদের বিশ্বাস তোমার মিডিয়া তো পৃথিবীর সমস্ত মানুষের জন্য; তোমার মিডিয়া তো সব সময়ই কাজ করে; তুমি তো দেখেছ কতজন লোক শহীদ হয়েছে, কতজন লোক গুম হয়েছে, আর কতজন লোকের লাশ পড়ে আছে তুমি তোমার হক্ব প্রতিষ্ঠার কাজে যারা বাঁধা সৃষ্টি করছে তাদের উপর তোমার লানত দাও, এই রক্তিম সময়ে এই প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই বলার নেই।
হে আল্লাহ! নতুন সূর্যদ্বয়ের প্রত্যাশা বুকে ধরে বসে আছে লাখো লাখো মা বোনেরা। বাংলার আল্লাহ ভীরু ও নবী প্রেমীক মুসলমানদেরকে যারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে তারা হয়তো এই দুনিয়ার আদালত থেকে পাড় পেয়ে যাবে কিন্তু মহান আল্লাহর শেষ বিচারের আদালতে তাদের কোনই নিস্তার নাই।
হে আল্লাহ! তুমি মুসলমান জাতির ভাগ্যনির্ধারক, তুমিই আমাদের আগামির জন্য নতুন সূর্যদ্বয়ের ব্যবস্থা করে দাও। দেড় হাজার বছর পরে আজকের রক্তিম সূর্য যেন নতুন করে স্নাত হয়েছে মুসলমানের তাজা রক্তে। তোমার দ্বীন যেন এবার আবার ও প্রতিষ্ঠিত হয়। জেগে উঠেছে হাজারও শহীদের তাজা রক্ত দেখে, মুসলমানের ঈমানি জজবা, বেড়েছে শাহাদাতের তামান্না। হে পরাক্রম শালি হে প্রজ্ঞাময় মালিক আর চুপ থেকোনা। তুমিই আমাদের মুসলমান ভাইদেরকে সাহায্য করো। তুমি বদরের মত মদদ আরেকবার করো।
হে আল্লাহ! তোমার সাহায্যের জন্য আমাদের প্রার্থনা কবুল করো। তুমিই তোমার দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে তোমার খাস অনুগ্রহ দান করো।
হে আল্লাহ! হাজারো জনতার শাহাদাতের বিনিময়ে তুমি তোমার দ্বীনকে বাংলার জমিনে প্রতিষ্ঠা করে দাও। তুমি তো মাজলুমের সাথেই আছো, থাকো।
হে আল্লাহ! যেমনই ভাবে বদরের প্রান্তরে বিজয়ের সূর্য উদিত করেছো আগামি বাংলার আকাশেও সেই বিজয়ের সূর্যকে উদিত করো। কবুল করো ফরিয়াদ; কবুল করো আর্ত্মাদ;
হে আল্লাহ! আজকে সকালের এই প্রার্থনা তুমি হাজারও শহীদানের কোরবানিকে বৃথা যেতে দিওনা। যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরকে গাজিদের জন্য প্রেরনার উপকরন করে দেন।
হে আল্লাহ! শহীদি চত্বরে এবং ঢাকা শহরে যতজন হেফাজতের কর্মীগণ আছেন তাদের জিম্মি আপনি নেন। তাদেরকে পূর্ণ আস্থা দান করেন। এবং তাদের সকল কাজ কর্মের সহযোগীতা আপনি করেন। মু’মিন তো আল্লাহর কাছেই সাহায্য চায়। আর মু’মিনের আশ্রয়স্থলও মহান আল্লাহই।
হে আল্লাহ! সকল আন্তরিকতা, সকল কোরবানি, সকল শাহাদাত এবং ধর্মের পতাকা উড্ডীন করার সকল কাজই আপনার খুশির জন্য, আপনার খুশির জন্য জীবন দান তো সহজ বিষয়। আমাদের নবী (সঃ) যেভাবে বলেছেন, দ্বীনের জন্য যদি একবার শহীদ আবার জীবন, আবার শহীদ আবার জীবন পেলেও শহীদিকেই পছন্দ করেছেন তেমনি আমরাও যেন তাই করি। মৃত্যু তো আছেই; তবে সে মৃত্যু যেন হয় শাহাদাতে, তোমার দ্বীন প্রতিষ্ঠাতে। কবুল করো আজকের এই কোরবানিকে, কবুল করো আজকের রক্তিম সূর্যদ্বয়কে, আর বাঙালির জন্য দাও বিজয়ে পূর্ণ আগামি। যেখানে থাকবেনা মসনদে বসার লড়াই, থাকবেন চুরি, থাকবেনা জুলুম, থাকবেনা অন্যকে হত্যা, গুম, নির্মম ভাবে হত্যা ইতিহাস। থাকবেনা কোন কূটিলতা জটিলতা। থাকবে শুধুই শান্তি প্রিয় মানুষের পূর্ণভাবে তোমার প্রতি আস্থা, তোমার রেজামন্দি। একটি সুন্দর ও শান্তির সূর্যদ্বয়ের প্রত্যাশায় শহীদানের মা বোনেরা.................................... মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনারত
বিষয়: বিবিধ
১২৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন