বাংলাদেশের আগামীর রাজনীতি যা হতে পারে.

লিখেছেন লিখেছেন এম এ আলীম ০৭ মে, ২০১৪, ১০:১১:৫৪ সকাল

কি হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত সেটা সম্পুর্ন বলা না গেলে ও কিছুটা আঁচ করা যায়।প্রথমত ঠিক এই মুহুর্তে যদি বলি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে কোন দলটি ইমেজ সংকট এবং অজনপ্রিয়তায় ভুগছে তাহলে সবার আগে আসবে আওয়ামী লীগের নাম।এর জন্য আওয়ামী লীগ নিজেই দায়ী।তবে বিএনপি ও অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে এটা সত্যি।কারন দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির জামায়াত নির্ভরতার কারনে বিএনপির উর্ধতন নেতৃবৃন্দ নিশ্চিন্তে ছিলেন। কিন্তু এখন জামায়াত যখন গা ছাড়া ভাব করছে তখন বেগম জিয়া টের পেলেন কতটা অকর্মন্য তারা।এছাড়াও তরুন নেতৃত্বের অভাব দলটিকে ভোগাবে।দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি ধীরে ধীরে দুর্বল থেকে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।কারন বিএনপিতে বেশির ভাগ নেতাকর্মীর আগমন ঘটেছিল কিছু পাওয়ার লোভে।কেন্দ্রের সাথে মাঠ পর‌যায়ের দুরুত্ব অনেকটা প্রকট। আবার সরকারের অত্যাচারের মুখে অনেকে রাজনীতির মাঠ থেকে দুরে।এই মুহুর্তে খালেদা জামায়াতকে সরিয়ে যাদের নিয়ে বৃহত্তর জোট গড়ার কথা ভাবছেন তাদের জনপ্রিয়তা শুধূ এলাকা ভিত্তিক। সুতরাং জামায়াতের কোন বিকল্প নেই।আর যদি জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপি নতুন কিছু ভাবে তাহলে একদিন বিএনপিও জাতীয় পার্টির মতো অবস্থায় পড়বে।অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে বিএনপি জামায়াতকে প্রতিপক্ষ ভাবছে। বিএনপির বুঝা উচিত জামায়াত আজকে তার যে অবস্থান তৈরী করেছে তা একদিনে আসেনি। আর এমনিতেই আসেনি। অনেক ত্যগ তিতিক্ষার পর জামায়াত আজো রাজনীতির মাঠে টিকে আছে।তাই আমি বলবো এই মুহুর্তে রাজনীতির মাঠের হিরো জামায়াতে ইসলামী ।হ্যঁ কথা সত্য জামায়াত নেতারা ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন অনেকে হবেন। এবং প্রতিদিন কোথায়ও না কোথায়ও কেউ না কেউ পুলিশের গুলিতে মারা যাচ্ছেন।জেল জুলুম তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার।এই মুহুর্তে মাঠ পরযায়ে নেতা কর্মীদের মতামত জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রিয় জামায়াত।আওয়ামী লীগের সাথে কি সমাঝোতায় আসা যায় কিনা।কিন্তু যে মতামত এল তাতে বিস্মিত কেন্দ্রিয় জামায়াত।বিস্মিত এই কারনে এত কিছূর পর সাধারন কর্মীদের মনোবল দেখে। তাদের বেশির ভাগের মতামত ছিল আওয়ামী লীগের সাথে কোন আপোষ নয়।তাদের কথা হলো যেভাবে চলছে চলুক নেতাদের যদি জালিমের আদালত ফাঁসি দেয় দিক তবুও কোন আপোষ নয়। এত দৃঢ় মনোবলের কি কারন থাকতে পারে। এর একটাই কারন প্রশিক্ষিত একদল নেতা কর্মী তৈরী করতে পেরেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যা অন্য দলে নেই।জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেই অস্বস্তিতে আছে।কারন এর জবাব তাদের একদিন দিতেই হবে।তবে মাঝখান থেকে উথ্থান হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের । কিন্তু সঠিক কর্মপন্থা না থাকলে যা হয়ে থাকে তাই হলো।হাওয়ায় মিলিয়ে গেল হেফাজত।আওয়ামী বিরোধী ভোটগুলো এখন থেকে জামায়াতের বাক্সেই পড়বে। কারন বিগত দিনে রাজপথে জামায়াতের আপোষহীন ভুমিকা।বিএনপি এতদিন যে ভাসমান ভোটগুলো পেত তা এখন জামায়াতই পাবে।যার প্রমাণ বিগত উপজেলা নির্বাচনে দেখা গেছে।সর্বশেষ আমরা দেখতে পাই আগামীদিনের রাজনীতিতে জামায়াত শক্ত অবস্থানে থাকবে।প্রতিপক্ষ হয়তো আওয়ামীলীগই থাকবে।কারন রাজনীতি এখন দ্বি ধারায় বিভক্ত।তবে জামায়াতকে আরো নিগ্রহের স্বীকার হতে হবে। এবং এই সব প্রতিকুলতা মোকাবেলার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৯১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

218407
০৭ মে ২০১৪ সকাল ১১:৩০
লোকমান লিখেছেন : তরুন নেতৃত্বের অভাব দলটিকে ভোগাবে।দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি ধীরে ধীরে দুর্বল থেকে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।কারন বিএনপিতে বেশির ভাগ নেতাকর্মীর আগমন ঘটেছিল কিছু পাওয়ার লোভে। সম্পূর্ন একমত
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
166538
এম এ আলীম লিখেছেন : ধন্যবাদ
218423
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ১২:১১
পরবাসী লিখেছেন : জামাত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরগাছা,

আজ আওয়ামীলিগ কাল বিএনপি এই করেই এদের চলছে,

বলতে গেলে এরা লীগ বিএনপির কনডম।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
166523
হতভাগা লিখেছেন : সহমত
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২১
166540
এম এ আলীম লিখেছেন : জামায়াত রাজনীতি করছে অনেক বছর হয়ে গেল।ধীরে ধীরে তার শেকড়কে মজবুত করেছে।যারা জামায়াত করে তারা পড়াশুনা করে জেনে বুঝে করে।হ্যাঁ এটা সত্য অন্য দলের মতো রাজনীতির মাঠে ঝড় তুলতে পারেনি।কারন এই দল যারা করে তারা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাজনীতি করে। সুতরাং এমন মানসিকতার লোক তৈরী করা অনেক কঠিন ব্যপার।আরো অনেক দল আছে জোট করছে ভাঙছে তাতে সমস্যাটা কি
218442
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩
মহি১১মাসুম লিখেছেন : আপনার পর্যালোচনাটি বা্স্তবসম্মত । আপনার মতে জামাতের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা আওয়ামীলীগের সাথে সম্পর্ক তৈরীতে দ্বিমত পোষন করে। প্রশ্নটি অন্য জায়গায় জামাতের উপর মহল এবং ফাঁসীর অপেক্ষাধীন নেতাদের পরিবার ওনাদের বাঁচাতে চাইবে,আপনি আমি ঐসব নেতার পরিবার হলে হয়তঃ চাইতাম। এটাও ঠিক বিএনপিকে নিয়ে আগামীদিনগুলোতে সরকারের পতন ও ফাঁসী ঠেকানো যাবেনা।
সার্বিক বিবেচনায় নেতাদের বাঁচাতে এবং বিএনপির অস্তিত্বের সংকটকে ত্বরান্বিত করতে জামাতের মাঠ কর্মীদের সেন্টিমেন্টের বাহিরে গিয়ে আওয়ামীলীগের সাথে গোপন আঁতাতের বাস্তবতা আছে কী?
ধন্যবাদ।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
166542
এম এ আলীম লিখেছেন : আসলে কিছু করার নেই।অন্য যে কোন দল তাই করবে।তবে আমি মনে করি আঁতাত হবেনা।কারন জামায়াত এবং আওয়ামী লীগ সবাই সবাইকে খুব ভাল করে চেনে
218455
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০১:০৭
egypt12 লিখেছেন : জামায়াতেও জননেতার প্রচুর অভাব রয়েছে...সাংগঠনিক নেতারা সব সময় জন নেতা হয়ে উঠে না...জননেতার অভাবে জামায়াত ভবিষ্যতে হয়ত নিজেদের এই উত্থান ধরে রাখতে পারবে না বলে আমার মনে হয়...কারণ নতুন মানুষদের ধরে রাখার জন্য জামায়াতে তেমন যোগ্য নেতা নেই দেখছি...কারণ এদের বেশীরভাগই দূরদর্শী নয়।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
166544
এম এ আলীম লিখেছেন : আপনার কথা সত্য।এর জন্য অনেকে পরামর্শ দিয়েছিল মিশর কিংবা তুরস্ককে ফলো করার জন্য।তবে আমার মনে হয় সংগঠন বুঝতে পেরেছে।আমি আগে একটা লেখায় লিখেছিলাম জামায়াতের বিরুদ্ধে সবচাইতে বড় অভিযোগ তারা সামাজিক নয়।
218488
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪২
পুস্পিতা লিখেছেন : বিশ্লেষনটি পছন্দ হয়েছে তবে জামায়াত কিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ বুঝতে পারেনি বলে মনে হয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে হয়েছে তা পরে কোন এক সময় বলব।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
166545
এম এ আলীম লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।আমি মনে করি সবার মুল্যবান পরামর্শ এবং বিশ্লেষন সংগঠন গ্রহণ করবে।
218495
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০১:৪৯
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : বাংলাদেশের রাজনীতির এত সুন্দর বিশ্লেষণ করলেন, আমার মনের মতই হল। সো আপনাকে ধন্যবাদ!
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
166546
এম এ আলীম লিখেছেন : কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
218554
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
হতভাগা লিখেছেন : যতবার জামায়াত বিএনপির সাথে ছিল তত বারই গেইন করেছে । আর বিএনপি ছেড়ে ক্ষতিগ্রস্তই হয়েছে ।

তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু জামায়াতই এনেছিল এবং তার জন্য বিএনপির সঙ্গ ছেড়ে আওয়ামী লীগের সাথে আন্দোলন করেছিল । ফলশ্রুতিতে বিএনপির তো ক্ষতি হয়েছিলই , জামায়াতই সে সময়ে ২-৩ টার বেশী সিট পায় নাই ।

যে গোলাম আজমের বিরুদ্ধে জাহানারা ইমামদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ছিল , জাহানারা ইমামের মারা যাবার পর তাদের সাথেই বিএনপির বিরুদ্ধে সরকারের কোয়ালিশনের অংশ হয়েও জামায়াত আন্দোলন করেছিল । জেতার পর ক্ষমতার ভাগও দেয় নাই ।

বিএনপি এই বেইমানী করে নাই ২০০১ এ । কিন্তু এর জন্য কড়া মূল্য বিএনপিকে এখনও দিয়ে যেতে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও যে এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তাদের অনেক অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হবে তা বলাই বাহুল্য ।

এখন জামায়াত পড়েছে আওয়ামী লীগের খপ্পড়ে । অন্যদিকে জামায়াতকে মন্ত্রীত্ব দেওয়ায় বিএনপির ভাবমূর্তি এখন তলানীতে ।

জামায়াতও কখনও ৭১ এ তাদের অবস্থান নিয়ে শক্ত কোন যুক্তি দেখাতে পারে নি যেমনটা শাহরিয়ার কবিররা মুফতে তাদের ফাঁসাতে পারছে । ঘর থেকে বের না হয়েও মুনতাসীর মামুন হয়ে যান বিশাল জামায়াত গবেষক ।

বাংলাদেশে জামায়াতের সাফল্যের সম্ভাবনা খুব ক্ষীন কারণ ,বাংলাদেশ is more nearer to India than Pakistan .

আর বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব এরকম




শুধু জামায়াত কেন , কোন ইসলামী দল বাংলাদেশে ২০ টার বেশী সিট পাবে না ।




দলের নেতারা যদি সিদ্ধান্ত নেয় তা পোলাপানদের না মেনে উপায় নেই ।





সাঈদীর আপিলের রায় তো আজ দেয় , কাল দেয় বলে প্রায় মাস খানেক হয়ে গেল । এখন শুনি অন্যেরটা না কি সাঈদীর রায়ের আগে এগিয়ে আনা হয়েছে ।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
166551
এম এ আলীম লিখেছেন : আপনার কথায় অনেক সত্য আছে।তবে আসল সত্য হলো ভোটের রাজনীতিতে বর্তমানে জামায়াতের বিকল্প নেই। কারন জামায়াতের নিজস্ব প্রচুর ভোট এই মুহুর্তে প্রায় সব আসনেই আছে।নেতাদের ফাঁসি জামায়াত ঠেকাতে পারবেনা।শাহরিয়ার কবির বা মুনতাসির মামুন কিংবা স্বয়ং আওয়ামী লীগকে রসদ দিচ্ছে সরাসরি ভারত। জামায়াতের মতো একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষে একটা বৃহৎ পরাশক্তির সাথে কতদিন মোকাবিলা করা সম্ভব।সম্ভব হতো যদি আরো বেশি জনসমর্থন থাকতো। কিন্তু জনসমর্থন তো আর রাতারাতি এসে যাবেনা।বিএনপির সব মন্ত্রী কম বেশি দুর্নিতি করেছে যেটা প্রমানিত সত্য কিন্তু জামায়াতের দুজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোন দুর্নিতী প্রমান করতে পারেনি কেউ।
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
166554
হতভাগা লিখেছেন : জামায়াতের নেতারা যদি মন্ত্রী হিসেবে সাক্ষাত ফেরেশতাও হয় তবুও তো ৭১ এর জন্য যে তকমা লেগে আছে তা তো উঠানো যাচ্ছে না ।
218576
০৭ মে ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৬
এম এ আলীম লিখেছেন : হতভাগা ভাই, আপনি যদি একটা জরিপ করেন তাহলে দেখবেন বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের কিন্তু যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ব্যপারে আগ্রহ নেই।কারন সবাই বুঝে গেছে এটা রাজনৈতিক হয়রানী ছাড়া আর কিছু নয়।বিএনপি যদি মনে করে এটা বিএনপির রাজনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।বিএনপি নিজেদের রাজনীতির মাঠে অকর্মন্য হিসেবে প্রকাশ করেছে।জামায়াতের জোট আওয়ামী লীগের সাথেও হযেছে।তাই এইসব ৭১ মুক্তিযুদ্ধ এসব জনগনকে এখন প্রভাবিত করেনা। আর শাহবাগী যারা হৈ হুল্লোড় করে তারা সমগ্র বাংলাদেশের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেনা।এক শ্রেণীর মিডিয়া তাদের কভারেজ দেয় বলেই তাদের এত আস্পালন।মানুষ এখন মিডিয়াকে বিশ্বাস করেনা। যদি করতো তাহলে বিগত বছরগুলোতে জামায়াত নিয়ে এত অপপ্রচার সত্বেও জামায়াত উপজেলা নির্বাচনে ব্যপক সাফল্য লাভ করে কিভাবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File