কে হবে আগামীর কান্ডারী
লিখেছেন লিখেছেন এম এ আলীম ২৪ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৫২:৫০ রাত
সুপ্রিয় পাঠক,লেখাটা কয়েক মাস আগে সম্ভবত লিখেছিলাম।আজকে ডায়েরি ঘাটতে গিয়ে পেলাম।ভাবলাম পাঠকদের জন্য শেয়ার করি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশাল মেরুকরন তৈরী হয়েছে।যা আর জোড়াতালি দেয়া সম্ভব নয়।এখন পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য জাতিকে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে।বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন নায়ক হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে জামায়াত ও শিবির।যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নিয়ে যে রাজনীতির সুত্রপাত আওয়ামী লীগ করেছে তা ইতিমধ্যে সর্বমহলে বিতর্কিত হয়ে গেছে।আর স্কাইপি কেলেংকারীর মাধ্যমে পুরা ট্রাইবুনালের মৃত্যু ঘটে গেছে।জামায়াতের হারাবার কিছু নেই।কারন তারা রাজনীতির বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসেছে।ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্ব প্রমান এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা সফলতার সাথে নিরলস ভাবে করে যাচ্ছে জামায়াত এবং শিবির নামক সংগঠনটি।এক সময় যেসব আলেমরা রাজনীতিকে হারাম বলতেন আজকে তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।এবং তারা এটাও উপলদ্ধি করতে শুরু করেছেন ইসলামকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করার বিকল্প নেই।বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ ধর্মকে তারা ভালবাসে।কিন্তু যুগ যুগ ধরে কিছু সুবিধাবাদী সমাজ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করার সকল চেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনও চালাচ্ছে।এতে তারা আংশিক সফল ও হয়েছে।
কিন্তু এতে বাধ সাধে এদেশের নতুন প্রজন্মের তরুন সমাজ।যার বিশাল অংশ ছাত্রশিবিরের পতাকাতলে জমায়েত হয়েছে। এসব তরুনরা তাদের চারিত্রিক গুণাবলীর মাধ্যমে সাধারন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয়েছে।যার প্রভাব খুব দ্রুত সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে।
এর মধ্যে সাপেবর হয়ে আসে সাইবার জগত।যাকে পুর্নাঙ্গভাবে এবং সফলভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে ইসলামী আন্দোলনরত তরুন সমাজ।ফেসবুককে বেছে নিয়েছে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে।এতে করে এতদিন যেসব মিডিয়া ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল তারা প্রচন্ড বাধার সম্মুখ্খীন হয়।তরুনরা টিভি চ্যনেলের কথা সহজে বিশ্বাস করেনা। তারা যক্তি প্রমাণ চায়।আর সেখানেই বাতিল শক্তি পরাজিত হচ্ছে।এত এত মিডিয়ার ভিড়ে আমার দেশ,নয়া দিগন্ত,দিগন্ত টিভি কিংবা বাঁশের কেল্লা কে তারা বেছে নিচ্ছে।এটা অন্যান্য মিডিয়া বা সংবাদকর্মীদের জন্য চরম ব্যর্থতার এবং লজ্জাজনক।তাদের বুঝতে হবে নিরপেক্ষতার বিকল্প নেই।
জামায়াতের নেতাদের হয়তো ফাঁসি বা জেল হবে।কিন্তু যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন সরকার তৈরী করে রেখে যাচ্ছে তা আগামী দিনগুলিতে আওয়ামী লীগকে অনেক ভোগাবে।কারন যাদের ফাঁসি দিতে চাচ্ছে তারা এক একজন জনপ্রতিনিধি।আর তাদের পেছনে আছে লক্ষ লক্ষ কর্মী বাহিনী।
হেফাজত নাস্কিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।তার সাথে ১৩ দফা দাবি ও আছে।১৩ দফা একদিনে একবারে বাস্তবায়ন করা কোনভাবে সম্ভব নয়। হেফাজত নেতাদের ও এটা বুঝতে হবে। নইলে জনমনে বিরুপ পতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।আর দাবী গুলির বেশিরভাগই জামায়াতেরও দাবী।দেখার বিষয় হলো হেফাজত কতদিন এই কলুষিত রাজনীতির পাশাপাশি নিজেদের শুদ্ধ রাখতে পারে।শাফলা চত্বরের সব লোক যদি হেফাজতের ছিল বলে মনে করা হয় তা হবে চরম ভুল।সেটা মাথায় রেখেই হেফাজতকে এগুতে হবে।হেফাজত যাতে জামায়াতের সাথে মিলতে না পারে সেজন্য সরকার বার বার বলছে হেফজত জামায়াতের সৃষ্টি।আর হেফাজত নেতারাও জামায়াতের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন।কিন্তু তাদের এই বোধবুদ্ধি এখনও হয়নি তাদের দিয়ে জামায়াত বিরোধিতা করানো হচ্ছে।বাংলাদেশের বর্তমানে সবচাইতে সংগঠিত দল জামায়াত এবং শিবির আর এটাই আওয়ামী লীগ এর জন্য সবচাইতে বড় হুমকি।মাঝে মাঝে বিএনপিকে বলছে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার জন্য।কিন্তু জামায়াতকে একা করলে কার লাভ কার ক্ষতি সেটা সাধারন মানুষ ইতিমধ্যে বুঝতে শুরু করেছে।
সব কথার শেষ কথা হলো রাজনীতি হলো একটা খেলার মতো।কেউ হারে কেউ জিতে পার্থক্য শুধু সময়ের এবং অবস্থার।আগামী দিনের বাংলাদেশে কারা নেতৃত্ব দেবে সে সময়ের প্রতিক্ষায় আমরা।একদিকে দিন দিন আদর্শের মহিমায় এবং সাহসিকতার পরীক্ষায় উন্নিত হওয়া জামায়াত এবং শিবির অন্য দিকে পাপের ভারে নুয্য আওয়ামী লীগ। সমাঝোতায় আসতেই হবে।যদি সেটা গোপনে হয় তাতেই হয়তো রাজী হয়ে যাবে আওয়ামীলীগ।
বিষয়: বিবিধ
১৬৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন