মোসাদ যেটা পারেনি ‘র’ কি সেটা পারবে?

লিখেছেন লিখেছেন এম এ আলীম ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৮:৪১ রাত

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করলে একটা বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠে তা হলো সব কিছুই পরিকল্পনা মাফিক চলছে।ইসলামী আন্দোলনের উপর জুলুম নির্যাতন পৃথিবীর সব দেশেই চলছে চলবে। এটা মেনে নিয়ে অনেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আবার কেউ ভোগ বিলাসে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছেন। মুলত শাসক শ্রেণীর সাথে যে বৈপরিত্য দেখা যায় তা হলো নিজেদের স্বার্থে আঘাত। একদল নির্লোভ মানুষের সাথে লোভী মানুষের সংঘাত অনিবার্য।এটা একটা চলমান পক্রিয়া । মানুষ যেটাকে বেশি গ্রহণ করবে সেটা শক্ত অবস্থানে থাকবে। এখন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের । মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমীন কে চেনেনা এমন লোক খঁজে পাওয়া দুস্কর। অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে তারা বর্তমান অবস্থানে এসেছে।



মোসাদ নামক ঈসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা হেন কোন অপকর্ম নেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেনি।কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তাদের সব অপকর্ম বিফলে গেছে। ষড়যন্ত্র যে এখনও হচ্ছেনা সেটা বলছিনা। আমি আগেই বলেছি এটা একটা চলমান পক্রিয়া। পৃথিবীর শেষ অবধি এটা চলতেই থাকবে।এতে কখনও সফলতা কখন ব্যর্থতা এভাবেই চলতে থাকবে।



এবার আসি ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা র এর কথায়। ঠিক মোসাদের অনুকরনে এদের কার্যক্রম চলে।বিশেষ করে দক্ষিন এশিয়ায় নিজের প্রভাব বিস্তার করতে এদের সমস্ত শক্তি কাজ করে। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের মাথাব্যথা ছিলনা। কিন্তু ইসলামী শক্তিগুলো যখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তখনই তাদের মাথাব্যথা শুরু হলো।বিশেষ করে তীব্র ভারত বিরোধিতা তাদের জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।



বাংলাদেশের সবচাইতে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে তারা সমস্ত প্রটোকল ভেঙে বিবৃতি ও দিয়ে দিলেন। আর সেই সাথে ভারত তোষনকারী আওয়ামী লীগ পুর্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছে।ক্ষতি যে শুধু একপক্ষের হচ্ছে বা হবে তা নয় এই ধরনের গেমে উভয় পক্ষেরই সমুহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।কারন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোন এক পক্ষ যদি পুর্ন সুবিধা না পায় তাহলে সে যে কোন সময় বিক্ষুব্দ হয়ে উঠতে পারে।সেটা যত ছোট দলই হোকনা কেন। সকল দল মত যদি এক সুতায় গাঁথা না যায় তাহলে সে রাষ্ট্র পরিচালনা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।



জুলুম নিপিড়ন করে হয়তো কাউকে সাময়িক দমিয়ে রাখা যায় কিন্তু ভিতরে ভিতরে তা তুষের আগুনের মতো জ্বলতেই থাকবে আর একদিন তা ভয়ংকর রুপে প্রকাশ পাবেই।কেউ কেউ ক্ষুব্দ হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে দ্বিধা করবেনা। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগাবে বিরুধী পক্ষ।



তখন দমন নিপিড়ন করতে আরো সুবিধা হবে। মানুষের সহানুভুতি পাওয়াও কঠিন হয়ে যাবে।সুতরাং সময়ের দাবী হলো ধৈর্যর সাথে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে ইসলামী আন্দোলন একটা চলমান পক্রিয়া। কেউ আসবে কেউ যাবে প্রতিবাদ হবে প্রতিরোধ হবে কিন্তু সেটা যেন হয় জনসাধারনের সহানুভুতি নিয়ে। দাওয়াতী কাজ বাড়াতে হবে এবং নিজেদের তাকওয়া বৃদ্ধি করাটা অত্যাবশ্যক।কারন সমাজের মানুষ গুলো অনেক কিছু ফলো করে। শক্তি দিয়ে বিপ্লব করা যায় কিন্তু যদি জনমানুষের সমর্থন না থাকে সেটা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য বিপ্লব করতে হলে জনগনকে সাথে নিয়ে করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী দশ বছর আমরা অপেক্ষা করতে রাজি আছি। এই দশ বছরে প্রতিটি অলিতেগলিতে ইসলামের সুমহান বানী পৌঁছে দিতে হবে। নিরবে নিভৃতে বিরামহীন এই কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে হবে।আমি বারবার অনেক ভাইকে বলেছি সামাজিক কর্মকান্ড যত বাড়াতে পারবেন তত দ্রুত লোকজনের কাছে পৌঁছুতে পারবেন।যাক এখানে যা লিখেছি তা সম্পুর্নই আমার ব্যক্তিগত মতামত। যদি কারো পরামর্শ থাকে মন্তব্য করবেন আশা করি।



বিষয়: বিবিধ

১৬৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File