আদুরি
লিখেছেন লিখেছেন এম এ আলীম ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:০৯:৪৮ রাত
আদুরি আজ কয়েকদিন ধরে মিডিয়াতে পরিচিত একটি নাম। সভ্যতার উন্নতি যখন চরম শিখরে ঠিক তখনি আমরা আমাদের মানবিকতা হারাতে বসেছি। এগার বছরের একটি মেয়েকে যে ভাবে নির্মম অত্যাচার করেছে তার গৃহকত্রী তা ভাষায় বর্ননা করতে পারছেননা অনেকে।অনেকে শুনে শিউরে উঠছেন।কিন্তু আদৌ কি বিচার হবে সেই গৃহকত্রীর? জানি হয়তো হবেনা।কারন আমাদের সংবিধানে আদুরিদের জন্য কোন অধিকার নেই।এমন হাজারো আদুরি প্রতিদিন এমন নিগৃহিত হচ্ছে। সাংবাদিক সংবাদ প্রচার করে বাহবা নিচ্ছে টিভি কিংবা নিউজ পেপারের কাটতি বাড়ছে কিন্তু আদুরি তার অবস্থানে থেকে যাবে। যেমনটি রয়ে গেছে ফেলানি। সুশিল সমাজের কিছু মালপানির ব্যবস্থা হবে। বেশ কিছু সেমিনার হবে মানববন্ধন ও হবে হয়তো। সারাদিন টক শোতে প্রতিবাদের ঝড় তুলবেন আর রাতে বাসায় ফিরে আরেক আদুরিকে অত্যাচার করবেন।কিন্তু আদুরিদের কোন পরিবর্তন হবেনা। আমরা সাধারন জনগন একটাকা দুইটাকা করে লাখ টাকা সরকারের ফান্ডে জমা দিব। আর সরকারের চামচারা সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া করবে।যেমনটা করেছিল রানা প্লাজার টাকা নিয়ে। মাননিয় আদালত মানুষের জন্য মানুষ আর সকল আইন তৈরী করা হয় মানুষের মঙ্গলের জন্য।আজকাল আপনাদের দিকে জনগন আঙ্গুল তুলছে।আমি একজন মানুষ হিসেবে আশা করবো আদুরীকে যে গৃহকত্রী এমন নির্মম অত্যাচার করেছে তাকে এমন কঠোর শাস্তি দিবেন যা বাংলাদেশের আদালতের ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে।
আর আজ বার জসিম উদ্দিনের সেই আসমানি কবিতা বার বার ঘুরে ফিরে মনে পড়ছে..
পেটটি ভরে পায় নি খেতে, বুকের ক-খান হাড়,
সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে দেছে দারুণ অভাব আসি।
পরনে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালি তার গা বরণের করছে উপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশির মতো সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয় নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন