বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র আল মাহমুদ
লিখেছেন লিখেছেন মেরাজ ১১ জুলাই, ২০১৫, ০৯:০৯:৪২ রাত
নারকেলের ঐ লম্বা মাথায়
হঠাৎ দেখি কাল
ডাবের মতো চাদঁ উঠেছে
ঠান্ডা ও গোলগাল ।
ছিটকিনিটা আস্তে খুলে
পেরিয়ে এলেম ঘর
ঘুমন্ত এই মস্ত শহর
করছিলো থরথর।
উপরের লাইন গুলো যিনি লিখেছেন তিনি চলমান অশ্লীল বাংলা সাহিত্যকে কেবল নিজ ধারায় ফিরিয়ে আনেননি করেছেন সমাদৃতও। আজ কবির জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা আর দোয়া করি মহান রব যেন তাঁকে হায়াৎ তৈয়বা দান করুন।
উপরের কবিতার লাইন গুলো আমার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে। সারাদিন ঘরে থাকা আমাকে টইটই করে বেড়ানো মেরাজে পরিনিত করে। চঞ্চলতা উৎফুল্লতা বাউন্ডুলে জীবন যে কৈশোরে এক অনাবিল সুখ তা আমি এই কবির কাছ থেকে শিখেছি।
কবির সাথে আমার প্রথম দেখা ১৯৯৩ সালে "আল মানারাত ইউনিভার্সিটিতে" ৭ দিনের ক্যাম্পে, প্রতিদিন তিনি আসতেন আর সুন্দর সুন্দর কথা বলে যেতেন অবিরত আর আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনতাম।
আবার দেখা হয় "লাল মাটিয়া গার্লস কলেজের" আরেক ক্যাম্পে, আমার বাড়ি উনার এলাকায় শুনে উনি আমাকে সব সময় কাছে কাছে রাখতেন আদর করতেন আর শুনাতেন জীবন মুখি অনেক গল্প। সেই ক্যাম্পে প্রিয় মতিউর রহমান মল্লিক স্যারও ছিলেন আরো কত স্মৃতি যে বার বার মানস পটে এসে হাজির হয় মনে হয় সেই যেন সব স্বপ্ন দেখেছি।
কবি আল মাহমুদ একজন নিভে না যাওয়া উজ্জ্বল নক্ষত্র তাঁর অবদান অনস্বীকার্য, তিনি যখন "পালাবদল" ধারাবাহিক ভাবে লিখতেন পাক্ষিক পত্রিকায় তখন পরবর্তি পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম। চরম আরেকটা সত্য কথা হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সত্য ঘটনা যদি কে জানতে চান পড়ে নিন "উপমহাদেশ" হাজারো মিথ্যা ইতিহাসের ভীরে তার এই লিখাটা আজো মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে আছে।
হাজার সালাম হাজারো শুভকামনা আপনার জন্মদিনে
বিষয়: বিবিধ
১৪৪২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ্ কাকে কখন হেদায়েত করেন আল্লাহ্ই জানেন
আল মাহমুদ বিশ্বাস এর কবি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন