"ভাষার জন্য জীবন দিল যারা আমরা সেই সেই জাতি"
লিখেছেন লিখেছেন মেরাজ ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:১৫:১৩ রাত
মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষ যা বলে বা লিখে তাকে ভাষা বলে।পৃথিবীর একটি জাতির সাথে অন্য আরেকটি জাতির যেমন গঠনগত, চেহারাগত মিল নেই, তেমনি ভাষাগত মিলও নেই। ধর্ম বাদ দিয়েও ভাষার মধ্যে সব জাতিকে আলাদা আলাদা করা যায়।
আমাদের পরিচিত কয়েকটি ভাষার নাম:- বাংলা, العربية, English ,أردو, हिन्दी, नेपाली, Frisian, Français, Polski, Kurdî, Italiano,日本語(Japanese),汉语(Chinese), Türkçe, Pусский(Russian),Deutsche(German), ภาษาไทย(Thai), Ελληνικά(Greek), Tagalog(Filipino), Dansk(Danish), తెలుగు(Telugu), Nederlands(Dutch), আরো রয়েছে নাম না জানা হাজারো ভাষা।
আমরা যেভাবে আমাদের ভাষা নিয়ে গর্ব করতে পারি; অন্য কোন জাতি সে ভাবে তাদের ভাষা নিয়ে গর্ব করতে পারেনা।
কবি নজরুল যেমন লিখেছিলেন "ধর্মের পথে শহীদ যারা আমরা সেই সেই জাতি" আমরাও ঠিক ঐ ভাবে বলতে পারি "ভাষার জন্য জীবন দিল যারা আমরা সেই সেই জাতি"
বাংলা আমাদের মাতৃ ভাষা, প্রাণের ভাষা। মোদের ভাষায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি বর্ণমালা,আরো রয়েছে বিচিত্র সব উচ্চারণ, যার ফলে পৃথিবীর এমন কোন ভাষা নেই যে ভাষাই আমরা কথা বলতে পারিনা। পৃথিবীর মিষ্টি ভাষা গুলোর মধ্যে বাংলার স্থান এক নম্বর, আপনাদের কি বিশ্বাস হয়না! অবিশ্বাস হলেও এটাই সত্য। কঠিনতম ভাষার দিক দিকেও বাংলার স্থান প্রথম সারিতে।
এই বলে আমরা অন্য ভাষাকে অবহেলা করতে পারিনা। যেমন কোরাআনের ভাষা আরবি, আল্লার পাক, রাসুল সা:, আখেরাতের ভাষাও আরবি।
জীবনের তাকিদে যারা বিভিন্ন দেশে থাকেন তাদের ঐ দেশের ভাষা জানতেই হবে সামান্য পরিমান হলেও।
ইংরেজী হলো সারা দুনিয়ার ভাষা, এর প্রয়োজনতা আমাদের সবারই জানা। 日本語(Japanese),汉语(Chinese),हिन्दी,أردو, Deutsche(German), কোন ভাষাকেই অবহেলা করা যায়না। শত্রুদের আক্রমন ঠেকানোর জন্যও আমাদের বিদেশি ভাষা জানা দরকার।
একটা ছোট্ট প্রশ্ন আমরা কি আমাদের মায়ের মুখ থেকে শিখা বাংলা ভাষার যথাযত সম্মান টুকো দিতে পরেছি? যদি না দিয়ে থাকি তাদের কাছে আমরা কি জবাব দিব যাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা আজ বলতে পারছি পৃথিবীর মিষ্টি ভাষা গুলোর মধ্যে বাংলার স্থান এক নম্বরে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশী মেইনস্ট্রীম মুসলিমরা যে ঘটা ও ভাবগম্ভির্য নিয়ে একুশে পালন করে, যে পরিমান রাষ্ট্র এর পেছনে ব্যায় করে - অন্য কোন ইস্যুতে সে ব্যয়, ভাবগম্ভীর্য কিংবা আবেগ নেই।
যা প্রমান করে বাংলাদেশী মেইনস্ট্রীম মুসলিমরা আল্লাহ ও তার রাসুল অপেক্ষা শহীদ দিবস কিংবা শহীদ মিনার কিংবা ইত্যাকার দিন দিয়ে আবৃত করে ফেলেছে। দ্বীন এখন এই সব দিবসের অধীন ঠিক যেমন ইসলাম এখন রাষ্ট্রের অধীন।
আল্লাহ সালাম রফিক জাব্বারদের ক্ষমা করুন। আর আমাদেরকে এ সব শিরক ও বিদায়াত নিয়ে চিন্তা করার ও বোঝার ক্ষমতা দিক এবং এ থেকে রক্ষা করুন।
নিজের ভাষা কে ভালবাসা,যথার্থ মর্যাদা প্রদান সে তো ঈমানী দায়িত্ব! যারা এর ব্যঘাত ঘটায় তারা পুর্ণ মুমিন বলে কখনই দাবী করতে পারে না! দ্বীনের-জীবনের প্রয়োজনে হয়তো অন্য ভাষা আয়ত্বে আনতে হয় কিন্তু নিজ ভাষার গুরুত্ব অন্য মাত্রায় বৈকি!
উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহু খাইরান!!
তথ্যসূত্র দেন বড় ভাই।
হাছা নিকি ভাই ?
যদি সত্যিই হয় তাইলে আপনারে চুম্মা আর আমার বাড়ি একবেলা খাওয়ার দাওয়াত ।
কলকাতার মত আমার স্মরনীয় উক্তি :
মন্তব্য করতে লগইন করুন