মসজিদে রাত্রি যাপন এবং তাবলীগ জামাতের যুক্তি ও কিছু প্রশ্ন-
লিখেছেন লিখেছেন মেরাজ ০৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ১০:১৯:৪৫ রাত
তাবলীগ জামাতের লোকেরা বলে থাকে আমরা যখন মসজিদে প্রবেশ করি তখন সুন্নত ইতিকাফের নিয়ত করি। প্রকৃত পক্ষে তাদের নিয়ত কি সুন্নত ইতিকাফের জন্য? নাকি ৬ উসুলী তাবলীগ প্রচারের জন্য?
(আল্লাহ সর্বশক্তিমান, তিনি সব কিছুই জানেন। আল্লাহকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না।)
ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করলে আসর নামাজের পরে বা জোহর নামাজের পরে দাওয়াত দেওয়ার জন্য বের হন কেন, বাজার করতে যান কেন, বাড়ীতে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য মোবাইললে কথা বলেন কেন?
ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে ঢুকেন, কিন্তু ইতিকাফ বহির্ভূত কাজও করেন, তাহলে এটা কি ইতিকাফ, না আল্লাহকে ধোঁকা দেয়া?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে সাল্লাম সহ সকল সাহাবা কেরাম রা: উনারা ইতিকাফ করার জন্য নিজ নিজ এলাকার মসজিদ গুলোতে যেতেন, তাবলীগের মেহনতি ভায়েরা কেন দূর দূরান্তে চলে যান? নিজের এলাকার সব মানুষ কি মসজিদ মুখি-নামাজি হয়ে গেছেন?
আর একটা ছুট্ট প্রশ্ন "ইজতেমার মাঠে কি জুম্মার নামজ আদায় করা জায়েজ? ঐ মাঠ কি জুম্মার নামাজ আদায় করার মতো শর্ত গুলো পূরণ করে???"
বিষয়: বিবিধ
৩৫৭৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুধুই বিরোধীতার জন্যে হলে উপস্হাপনার ব্যাপারে কথা নেই!(আল্লাহ ভাল জানেন এ বিষয়ে!আমি ভালোর ধারণাই করলাম!)
দ্বীনের কাজে প্রতিযোগীতা চির কল্যাণ ও সাফল্যের উৎস! পথ ও পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে কিন্তু এ নিয়ে পরস্পরে বিবাদে জড়িয়ে পড়া কখনই সঠিক নয়!
প্রাত্যহিক জীবনে ইসলামের পুর্ণ অনুসরণ আমরা কয় জনে করছি?
তাবলীগ জামাত সমাজের যে অংশে কাজ করছে সাধারণত সেখানে স্বীয় ভূমিকা কতটুকু আমরা পালন করছি তা ভাবা দরকার সবার!
লেখনীতে উথ্থাপিত বিষয়েকে নিয়ে বিতর্ক যথার্থ মনে হয় নি!
'গ্রামে জুমআ নেই'এমনই পড়েছিলাম ফিকহী বইয়ে! বর্তমান বাস্তবতায় তা প্রয়োগ হবে?
টংগি ময়দানে জুমআ আদায় এমনই!!
আন্তরিক ধন্যবাদ ও জাযাকুমুল্লাহু খাইরান শ্রদ্ধেয় মেরাজ ও আবু জান্নাত ভাই!
পরিবেশ-অবস্হান ও কালের বিবেচনায় শরিয়তের অনেক হুকুম পরিবর্তন হয়!
বর্তমান অবস্হার আলোকেই মসজিদে রাত্রিযাপন ও টংগির ময়দানে জুমআ আদায় যায়েজ বলেই ফতোয়া!!
আমি ঠিক মনে করতে পারছিনা
আপনার কাছে কি দলিল আছে
আর যাদুল মা'আদ গ্রন্থে ( ১৬৬ পৃষ্ঠা, প্রকাশকঃ শাইখ আবুল কাশেম মুহাম্মাদ জিল্লুর রহমান জিলানী) পড়েছি,হিজরতের আগে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুয়ালায়হি ওয়া আসসাল্লাম নাকীর বিরান ভূ-খন্ডে জুমার নামাজ পড়ার সূচনা করেছিলেন। এ জায়গাটিকে বলা হত নাকীউল খাছামাত।
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
আর যাদুল মা'আদ গ্রন্থে ( ১৬৬ পৃষ্ঠা, প্রকাশকঃ শাইখ আবুল কাশেম মুহাম্মাদ জিল্লুর রহমান জিলানী) পড়েছি,হিজরতের আগে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুয়ালায়হি ওয়া আসসাল্লাম নাকীর বিরান ভূ-খন্ডে জুমার নামাজ পড়ার সূচনা করেছিলেন। এ জায়গাটিকে বলা হত নাকীউল খাছামাত।
আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
কাছাকাছি এই ফতোয়া টা পড়তে পারেনঃ
Is it permissible for airport employees to hold Friday prayers there if the distance between the airport and the city is approximately twenty kilometers, and the airport is located in the desert and is separated from other built up areas?
Praise be to Allaah.
There is no reason why you should not hold Friday prayers in the airport, so long as the employees are permanently based there and do not leave it in the summer or winter.
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/2203/ahkhansohel/46413#.VLFmU9KUdA0
বাকিগুলো কখনো সুযোগ পেলে দেয়ার চেষ্টা করব। অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন