“যদি বুজুর্গদের ব্যপার হয় তবে সাধারনের মাঝে আলোচনা কেন?”
লিখেছেন লিখেছেন মেরাজ ২৮ মার্চ, ২০১৪, ১২:৪০:৫১ রাত
তাবলীগ ওয়ালাদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় –“নবী মোহাম্মদ(সাঃ) এর কবরের কাছে কিছু চাওয়া যাবে কিনা? তাতে কি শিরক হবে ?”
তখন তাদের জবাব স্পষ্ট যে অবশ্যই শিরক হবে।
ফাজায়েলে হজ এর কিতাব- যা রমজান মাসের পর থেকে ঈদ উল-আযহা প্রর্যন্ত পড়া হয়, কিতাবের নবী প্রেম এর কাহিনী এর ২৩ নাম্বার এ ঘটনা:- ছুফি আবু আব্দুল্লাহ বলেন-আমি একবার আমার পিতার সাথে মক্কা শরিফে যাই। আমরা ভীষণ অভাবগ্রস্ত ছিলাম। এই অবস্তায়ই মদিনা শরিফে যাই। রাত্রি বেলায় খুদায় ছটফট করছিলাম। আমার পিতা কবর শরিফের নিকট গিয়া বলিলেন- হুজুর( ছঃ) , আমারা আজ আপনার মেহমান। এই বলিয়া তিনি মোরাকাবায় বসিয়া গেলেন। অনেকক্ষণ পর তিনি মাথা উঠাইয়া কখনো কাঁদিতে এবং কখনো হাসিতে লাগিলেন। লোকেরা ইহার কারন জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন, আমার হুজুর( ছঃ) এর জেয়ারত নসীব হইয়াছে। হুযুর (ছঃ) আমাকে কিছু দেরহাম দান করিয়াছেন। দেখা গেল তাহার হাতে অনেকগুলো দেরহাম রহিয়াছে।
এই ঘটনা তাবলীগদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বললে যে, নবীর কবরের কাছে চাওয়া শিরক তবে এই টা শিরক না!!! তখন তারা বলবে যে এইগুলো বুজুর্গ দের ব্যপার , আমরা বুঝবো না।
“যদি বুজুর্গদের ব্যপার হয় তবে সাধারনের মাঝে আলোচনা কেন?”
বিষয়: বিবিধ
১৩৯১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেগুলোর ব্যাপারে তবলীগের নেতাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন এবং সংশোধন দরকার হলে সেটা তাদের করা উচিৎ।
আসলে ফাজায়েলের কিতাবগুলোতে নিঃসন্দেহে জয়ীফ হাদিস আছে তো তাদের কিতাবগুলো পুনঃমূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন