আর যদি একটা গুলি চলে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষা কি ভুলে গেছে বঙ্গ কন্যা ?

লিখেছেন লিখেছেন সোনালী দিন ০৯ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:০৬:২৭ দুপুর



যদিও স্বাধীনতা সংগ্রাম দেখিনি কিন্তু সেই সংগ্রামের উপর নির্মিত বিভিন্ন নাটক ছায়াছবি দেখেছি। সেগুলো দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে আমি কেন সেই সংগ্রামের আগে জন্মগ্রহণ করলাম না ? তাহলে নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের জন্য সংগ্রাম করতে পারতাম। আর নিজের মন কে সান্তনা দিতে পারতাম এই বলে আমি জীবন বাজি রেখে বাংলার মানুষ কে মুক্ত করেছি। যদিও আজ প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধারা অবহেলিত লাঞ্ছিত। প্রকৃত মুক্তি যুদ্ধারা কিছুই পায়নি এ দেশ থেকে। আমার মনে হয় এ দেশ থেকে তারা কিছু পাবার আশা ও করেনা। তারা চায় হাজারো শহীদের রক্ত দিয়ে গড়া, লক্ষ্য মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে। কিন্তু যখনি শুনে স্বাধীন দেশের সেই স্বাধীনতার প্রতীকগুলো পার্শ্ববর্তী হায়েনাদের কারনে কাটা তারে ঝুলে থাকে, যখনি শুনে প্রতিদিন বুলেটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয় আমার দেশের পতাকা, যখনি শুনে গুরু ব্যবসায়ীকে উলঙ্গ করে পেটানো হয় তখন অবশ্যই তাদের হৃদয়ের কঠোরে চিন চিন করে ব্যাথা অনুভূত হয়, এই কি স্বাধীনতা ? আমরা কি এ জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম? শত্রুর অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার প্রেরনা তো আমরা সেদিন পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ অরক্ষিত ভাবে স্বাধীনতা থাকবে হায়েনারা বুলেটের আঘাতে আমাদের প্রান কেড়ে নিবেন এমন স্বাধীনতা তো আমরা চাইনি । কেন স্বাধীন দেশ কে অরক্ষিত করা হলো ? যুদ্ধের সময় আমাদের কে সাময়িক সহযোগিতা করার জন্য কি তাদেরকে সব কিছু বিকিয়ে দিতে হবে। উপকারের অর্থ এই কি বিনিময়ে স্বাধীনতাকেও বিকিয়ে দিতে হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কোন অধিকারে আপনি আজ আমার দেশের স্বাধীনতাকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন ? যুদ্ধে তো আপনার পরিবারের কেউ শহীদ হয়নি তাহলে কি করে বুঝবেন অর্জিত এই স্বাধীনতা কত কষ্টের। চেতনার মুক্তিযুদ্ধের খেলা বন্ধ করুন। প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধাদের মনে কষ্ট দিবেন না। আমার দেশের বর্ডার গার্ডের হাতে অস্ত্র তুলে দিন। শত্রুরা এসে আমার স্বাধীনতার প্রান কেড়ে নিয়ে যাবেন আমরা বসে বসে দেখবো এ হতে পারেনা। ভঙ্গুর পররাষ্ট্র নীতির ব্যাপারে সোচ্চার হোন। আমাদের কাছে পরাজিত পাকিস্তানী এক সন্যের হত্যার বিনময়ে ওরা দুজন মেরে জবাব দিয়েছে। আমরা ও পারি ৩জন মারার জবাব ১৭ কে হত্যা করার মাধ্যমে দিতে। সুতরাং আমার দেশের সৈনিকদের মনোবল নষ্ট করবেন না। ভীতু ভারতীয়দের কাছে আমাদের কে পরাজিত করবেন না। ওরা শুধু আমাদের বর্ডার এলাকাতে নিরিহ মানুষ হত্য করেই ক্ষান্ত হচ্ছেনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের কে আমার দেশের স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত ওরাই করছে। ওরা যে ভীতু তার প্রমান গতকালের একটা ঘঠনা দিয়ে শেষ করতে চাই। ওদের সাথে কিছু টাকা পয়সার লেনদেনের হিসাব ছিল এক মাস ঘুরানোর পরেও কথা মত টাকা দিচ্ছিলনা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম আজ টাকা আদায় না করে বাসায় ফিরবোনা। আমরা চারজন চললাম ওদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাতে অনেকক্ষণ কথা কাটাকাটি হলো ওরা ছিল ২৩জন । যখন কিছু উত্তম মাধ্যম দেয়া শুরু হলো ওরা সকলে ভয়ে প্রসাব করে দেয়ার অবস্থা। পূর্ণ টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করলো একদিন পর।তখন বললাম এই অবস্থায় টাকা ফালাও কিভাবে দিবে তোমরা জানো। পরে সকলের থেকে টাকা নিয়ে আমাদের কে দিতে বাধ্য হলো। তখনি বললাম ছোট একটি দেশ বাংলাদেশীদের দেখেছো কিন্তু তাদের রক্তের গর্জন দেখোনি। আজ দেখলে ? ভবিষ্যতে বাংলাদেশীদের নিয়ে চিন্তা করবে। সুতরাং আমাদের গর্জনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতাকে আমরা পরাধীন থাকতে দিবোনা। আমরাই এই অর্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধাদের স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে বাচতে সহযোগিতা করবো। হে দেশের বীরেরা আপনারা চিন্তা করবেন না। আপনারা যেমনি জীবন কে বাজি রেখে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন আমরাও আমাদের জীবনের বিনিময়ে এ স্বাধীনতাকে রক্ষা করবো ইনশাল্লাহ। আপনারা রনাঙ্গনের যুদ্ধারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

278617
২৭ অক্টোবর ২০১৪ দুপুর ০২:২৭
কাহাফ লিখেছেন :
'অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা' মেজর জলিলের এই কথার বাস্তবতা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জনগন আজ।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে তা রক্ষা করার গুরুত্ব অপরিসীম।
সুন্দর উপস্হাপনার জন্যে অনেক ধন্যবাদ..... Loser Loser

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File