বর্তমান সঙ্কটের প্রেক্ষিত ও দলগত অবস্থান বিবেচনা -

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ০৪ মার্চ, ২০১৩, ১২:১৮:৪৪ দুপুর

প্রেক্ষিত বিবেচনাঃ

চলমান যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়ায় জামায়াতের অন্যতম শীর্ষতম নেতা আবদুল কাদের মোল্লাহ’র যাবজ্জীবন কারাদন্ডের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠা শাহবাগ আন্দোলন, শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ক্বওমী ধারার ইসলামী দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর নাস্তিক্যবাদ বিরোধী আন্দোলন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত পরিচালিত গণ-বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপটে এ পর্যন্ত শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক কর্মসূচী ইতোমধ্যেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে বৃহত্তম সহিংসতায় রূপলাভ করেছে। চলমান প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রেক্ষিত ও পরিণতি আওয়ামী লীগ ও সহযোগিদের তরফ হতে এক রকমের, বিএনপি’র তরফ হতে এক রকমের, জামায়াতের তরফ হতে এক রকমের, ক্বওমী ধারার ইসলামী দল ও প্রতিষ্ঠানগুলোর তরফ হতে এক রকমের।

ক্বওমী ধারার ইসলামী দল ও প্রতিষ্ঠানসমূহের তরফে এই আন্দোলনঃ

শাহবাগ আন্দোলনকে ইসলামবিরোধী হিসাবে এরাই চিহ্নিত করে একে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে ঠেলে দ্যায়। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদীর আক্বীদা প্রশ্নে জামায়াতের সাথে ক্বওমীদের ঐতিহাসিক যে বিরোধ তা নিরসনে জামায়াতের তরফ হতে কখনো সহনশীল মনোভাব ছিলনা। বলা যায়, জামায়াত বরাবরই এদের প্রভাব ও সামাজিক শক্তিকে উপেক্ষা করে এসেছে। ফলশ্রুতিতে জামায়াত সাঈদী সাহেবের ফাঁসীর রায় পরবর্তীতে মাঠের নেতৃত্বে চলে আসার পর পরই ক্বওমী শক্তি ব্যাক-ফুটে চলে আসে। ক্বওমী ধারার ইসলামী দল ও প্রতিষ্ঠানসমূহের তরফে এই আন্দোলন ইসলামী রাজনীতির অধিকার রক্ষা ও রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের অস্তিত্ব ও অবস্থান টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি ব্যতিরেকে এরা জামায়াতের পক্ষে যাবে - এমন কোন কর্মসূচী পারতপক্ষে গ্রহন করবে না।

আওয়ামী ও বামদের তরফ হতে এই আন্দোলনঃ

আওয়ামী লীগ অত্যন্ত সফলভাবে স্বীয় মেয়াদের শেষ সময়ের কঠিন পরিস্থিতিকে যুদ্ধাপরাধ দিয়ে ঢেকে দিতে পেরেছে। ইসলামী ভাবধারা বিযুক্ত বিকল্প জাতিসত্ত্বা গঠনের বাম এজেন্ডাকে তাঁরা সানন্দে গ্রহন করেছে এই কারনে। ক্ষমতায় টিকে থাকা ও ফিরে আসা তাঁদের লক্ষ্য।

ইসলামপ্রিয় জনগোষ্ঠীর কাছে ধর্মবিরোধী ইমেজের কারনে সমাজের মূল ধারা হতে বিচ্ছিন্ন বামধারা দশকের পর দশক ধরে নারী অধিকার, বিনোদন সংস্কৃতি, বুদ্ধিবৃত্তি, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের মতো ইসলামী শক্তিকেন্দ্রসমূহ কর্তৃক উপেক্ষিত ও অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপ্রাপ্ত সেক্টরগুলোতে কাজ করেছে। শাহবাগ আন্দোলনে তাঁদের বিষ্ময়কর সফলতার এটিই হচ্ছে উন্মুক্ত-রহস্য। জামায়াত পরিচালিত বর্তমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে শাহবাগ আন্দোলন ক্রমান্বয়ে দলীয় পরিচিতি লাভ করা সত্বেও বামধারার অর্জিত সফলতা তাঁদের আকাঙ্খাকেও ছাড়িয়ে গেছে। বৈপ্লবিক কিছু না হলেও বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের উপর শাহবাগ আন্দোলন একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হবে।

বিএনপি’র তরফে চলমান পরিস্থিতিঃ

যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হঠাত করে নাই হয়ে গিয়েছিল। প্রগতিশীলতার ইমেজ ধরে রাখার জন্য সে পারছিলনা জামায়াতের পক্ষে কোমর বেধে নামতে। আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনীতে নাই হয়ে থাকার পরিণতিও স্বাভাবিকভাবে তাঁদের কাছে কাংখিত বিবেচিত হয়নি। বিএনপি’র ফ্রন্ট লাইন হিসাবে ভূমিকা পালনকারী জামায়াত যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পরে আওয়ামী লীগের মোকাবিলায় সাংগঠনিকভাবে অপেক্ষাকৃত দূর্বল বিএনপি অস্তিত্বের সংকটে পড়তে পারে। আওয়ামী লীগের পক্ষে ভারতের শক্ত অবস্থানকে বিএনপি নেতৃত্ব সিরিয়াসলি নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মাঠের আন্দোলনে বিএনপি জামায়াতের সাথে না থাকলে বিএনপি স্বীয় সমর্থক গোষ্ঠীর চাপের সম্মুখীন হবে। বিএনপির কর্মীবাহিনী ইসলাম রক্ষা ও লীগ ঠেকাও ইস্যুতে জামায়াতের সাথে নেমে পড়াটা বিএনপি নেতৃত্বের জন্য একধরনের লেজিটিম্যসি ক্রাইসিস তৈরী করবে। পল্টন মিছিল পরবর্তী সহিংতায় সভানেত্রী ব্যতিরেকে সবাইকে মামলায় জড়ানোতে স্পষ্টতঃই বুঝা যায়, টুকটাক কর্মসূচী দিয়ে মাঠে মুখ রক্ষার কর্মসূচী দিয়েও বিএনপির পলায়নপর নেতৃবৃন্দ গা বাঁচাতে পারবে না।

জামায়াতের তরফে চলমান পরিস্থিতিঃ

জামায়াত দেশে ইসলামের একটা মধ্যপন্থী ও টেকসই ধারা সৃষ্টির পরিবর্তে ডমিন্যন্ট ধর্মবাদী ইসলামী ধারার সাথে নিজেকে আইডেন্টিফাই করেছে। বাস্তবে, বিশেষ করে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সীমিত মাত্রায় হলেও আধুনিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তি চর্চা করলেও সমাজে বিরাজমান পপুলার ফরমেটের বাহিরে উদারনৈতিকতা ও প্রগতিশীলতা ধারন করে ইসলামকে যুগের অগ্রগামী মতাদর্শ হিসাবে চর্চা ও প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। কম্যুনিষ্ট ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ বামধারা এদেশে দশকের পর দশক ধরে নারী অধিকার, বিনোদন সংস্কৃতি, বুদ্ধিবৃত্তি, প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের মতো সোশ্যাল পেরিফেরীতে কাজ করেছে। রাজনৈতিক ইসলামের ভারসাম্যহীন ও একতরফা চর্চা করে জামায়াত নিজেকে ইসলামী আন্দোলনের পরিবর্তে আক্ষরিকভাবেই ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে।

নারী অধিকারঃ বামধারার নারী কর্মীরা যেখানে মূল ভূমিকায় নেমে পড়েছে জামায়াতের শিক্ষিত নারী কর্মীরা এখনো মুখ ঢাকা যাবে কি যাবে না - এটি নিয়ে আছে। বগুড়াসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মিছিল করা নারীরা জামায়াত হিসাবে নামেনি, ইসলামপ্রিয়, বিশেষ করে সাঈদী ভক্ত হিসাবে নেমেছে। আমার ধারনায়, তাবলীগ জামায়াতের মতো শহরাঞ্চলভিত্তিক জামায়াতের উচ্চশিক্ষিত নারী কর্মীরা আলটিমেটলি মাঠে নামবে না। আগামী ৮ তারিখে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে শাহবাগীরা নারী সমাবেশেরে ডাক দিয়েছে। প্রতি বছরই তাঁরা বিশেষ আয়োজনে এটি উদযাপন করে। আমার জানা মতে, বিশ্ব নারী দিবসতো দূরের কথা, জামায়াতের মহিলা শাখা কখনো বেগম রোকেয়া ধরনের কিছুও কখনো পালন করেনি। নারীরা যেভাবে সমাজের জেগেছে, ইসলামপন্থীরা এই জাগরণে নেতৃত্ব দেয়াতো পরের কথা এই জাগরণকে কখনো ইতিবাচক হিসাবেও দেখেনি। পুরুষদের পাশাপাশি সমাবেশ ও মারামারি করাতো দূরের কথা জামায়াত-শিবিরের নারী কর্মীরা কখনো আল্লাহর ঘরে যেতেও আগ্রহী হয়নি!

বিনোদন সংস্কৃতিঃ বর্তমানে এমন অবস্থা হয়েছে, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনের মোবাইলও হঠাত করে বেজে উঠাটা অসম্ভব নয়। সমাজে একটা কিছু চালু হওয়ার পরে এরা বলে ‘এটি (অগত্যা) গ্রহন করা যেতে পারে’। পহেলা বৈশাখ আসলে এরা ঘরে বসে থাকে। জাতীয় উৎসসাদিতে এরা দুআ অনুষ্ঠান করে। মুসলমানের নাকি দু ঈদের বাহিরে কোন জাতীয় অনুষ্ঠান নাই। এক সময়ে রেডিওকে না জায়েয বললেও জামায়াতের প্রধান ও একমাত্র তাত্ত্বিক মাওলানা মওদূদী পাকিস্তান রেডিওতে নিয়মিত ভাষণ দিতেন। এভাবে ক্রমান্বয়ে টেলিভিশন কিনা, ডিশ এন্টিনার সংযোগ নেয়া ইত্যাদিকে জায়েযকরণ করা হয়। বিনোদন সংস্কৃতির প্রতিযোগিতায় মার খেয়ে জামায়াত বাস্তবেই নিজেকে প্রতিক্রিয়াশীল হিসাবে প্রমাণ করেছে।

বুদ্ধিবৃত্তিঃ ইসলামের মতো কালজয়ী আদর্শের ধ্বজাধারী জামায়াতে ইসলামীতে কোন থিংকট্যাংক সিস্টেম নাই। বিষয়টি অতিব বিষ্ময়কর নয়কি? মাওলানা মওদূদী যখন স্বীয় মাসিক পত্রিকা তারজুমানুল কোরআনের পাঠকদের ডেকে একটা ইসলামী দলগঠনের প্রস্তাব করেন তখন সবাই তাঁকেই এর প্রধান হওয়ার জন্য মনোনীত করে। লেখক হিসাবে তাঁর স্বাধীনতা বজায় থাককে - এ শর্তে তিনি জামায়াতের আমীর হিসাবে দায়িত্বগ্রহন করেন। অথচ, জামায়াতের গঠনতন্ত্র মোতাবেক কোন সদস্য(রুকন) দলীয় ফোরামের বাহিরে দলীয় কোন বিষয়ে সমর্থন ব্যতিরেকে কোন মত প্রকাশ করার অধিকার রাখেন না। এটি স্পষ্টতঃই সর্বাত্মকবাদী কম্যুনিষ্ট বৈশিষ্ট্য। হাদীসে বলা হয়েছে, অপ্রিয় সত্য বলাটা সর্বোত্তম জিহাদ। ফোরামের কম্পোজিশনের কোন খবর নাই, ফোরামের(শুরা) সিদ্ধান্ত শরীয়াহ’র চেয়েও অলংঘনীয়! ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার মতো গণবিরোধী সিদ্ধান্তকেও শুরা’র নামে চালিয়ে দেয়া হয়। জামায়াতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নিয়মিত। নির্বাচনে কে কত ভোট পেয়েছে তা জানার অধিকার ভোটদাতাদের নাই। জামায়াতে যারা বুদ্ধিবৃত্তিশীল মননের অধিকারী তাঁরা সবসময়েই উপেক্ষিত থেকেছে। জামায়াতের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শাখাগুলো কোন ইসলামী বিষয়ে কোন গবেষণা করেছে, প্রকাশণা বের করেছে, কোন আয়োজন করেছে, এমন কোন ঘটনা নাই!

প্রযুক্তির ব্যবহারঃ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে জামায়াত তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে পারতো। জামায়াতের দলগতভাবে এবং জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট ন্যূনতম মানের। এখন ধাক্কা খেয়ে তাঁরা ই-মেইল আইডি ও ফেসবুকে একাউন্ট খোলা শুরু করেছে। মসজিদসমূহে সত্যিকারভাবেই কম্যুনিটি সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ধরে রাখার কোন আয়োজনই তাঁরা করেনি, এখনো ভাবছেনা। রাস্তায় মারামারি করেই উতরে যাবেন - এখনো ইনারা তাই ভাবেন!

গণ মাধ্যমঃ জামায়াতের লোকেরা এখনো বলেন, অমুক পত্রিকা এই বিষয়ে এইভাবে মিথ্যা লিখেছে, অমুক চ্যানেল এইভাবে ঘটনাকে ঘুরিয়ে উল্টিয়ে বলছেন, ইত্যাদি। এরা এখনো বোকার স্বর্গে বাস করছে। প্রত্যেক গণমাধ্যমের যে নিজস্ব (সম্পাদকীয়) নীতি থাকে, সেটি তাঁদের অনেকেই জানেনা, বুঝেনা, মানতে চান না। শিবিরের জিহাদী ছেলেরা পাশ করার আগেই ডেভেলপার কোম্পানীর সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে টাকার বান্ডিল গুণার দিকে মনযোগ দ্যায়। অপরদিকে, দেখেছি, অনার্স মাস্টার্সে প্রথম স্তরের ফলাফল নিয়ে একজন বামধারার ছাত্র কোন পত্রিকায় রিপোর্টার হিসাবে কাজ করে। মীর কাশেম আলী আওয়ামী লীগকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে বাঁচতে চাচ্ছে, ইত্যাদি তাঁদের কাছ হতে কতো শুনেছি। শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হয়েও টিভিতে কাজ করার জন্য মজিবুর রহমান মঞ্জুকে কত কথাই না শুনতে হয়েছে। এখন মীর কাশেম আলীর সেই দিগন্ত টিভি না হলে এরা টিভি মিডিয়া হতে সম্পূর্ণ ব্ল্যাক-আউট হয়ে যেত। মইন-ফকরুদ্দিনের অধীনে নির্বাচন না করার জন্য বলার কারনে যে মাহমুদুর রহমানকে ঘরোয়া সমাবেশে জামায়াত নেতারা কখেনো র’র এজেন্ট কখনো হিজবুত তাহরীরের লোক বলেছে, সেই মাহমুদুর রহমান এখন জামায়াতের কাছে খলিফা-তুল্য!

জামায়াত বর্তমানে তা-ই ফেস করছে যা সে নানাভাবে এ পর্যন্ত অর্জন করছে। এই সংকট উত্তর পরিস্থিতিতে জামায়াত আর কখনো আগের কাঠামো ও অবস্থানে ফেরত যেতে পারবে না। দু বছর আগেই জামায়াতের কারা অন্তরীন বুদ্ধিজীবি নেতা কামারুজ্জামান বলেছিলেন, জামায়াতকে জামায়াতের জায়গায় রেখেই একটা স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংগঠন কায়েমের জন্য। তখন যদি সেটি করা হতো, জামায়াতের দিক হতে বর্তমান দুঃসময়ে সেটি অপরাপর ইসলামী শক্তি ও বিএনপিসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির মাঝে যোগাযোগ ও প্রভাবকের ভূমিকা পালন করতে পারতো।

কৈফিয়তঃ কেন এই লেখা - জামায়াতের তরফ হতে এই অভিযোগ হতে পারে যে, এই দুঃসময়ে এই সব কেন? জামায়াতের অবস্থা হয়েছে ঘাড় জমাট হয়ে যাওয়া রোগীর মত। নিজে নিজে সে মুভ করতে পারছে না। বড় কোন ধাক্কা বা শক্ দিলে হঠাৎ করেই সে ভাল হয়ে যাবে - এমন। অতীতে প্রমাণিত হয়েছে জামায়াত কখনো কোন মৌলিক পরিবর্তনকে আগেভাগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় গ্রহন(এডাপ্ট) করেনি। তদুপরি, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আমি লিখেছি, কোন দলীয় পরিচয়ে নয়। বিশ্বাস করি সবার স্বাধীন মত প্রকাশে।

বিষয়: বিবিধ

২৮৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File