ফেলুদার ডায়রি-১৫
লিখেছেন লিখেছেন ফেলুদা ১৮ মে, ২০১৩, ১২:৪১:২২ দুপুর
সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠার তাড়া নেই। নেই অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি। নেই কাজের তাগিদ। সারাক্ষণ বসে বসে ভাবনা ছাড়া এই মুহূর্তে কোন কাজ নেই।
এহেন অবস্থায় প্রতিদিন ফেলুদা পার করছে সময়। প্রতিদিনই আকাশে হালকা মেঘ থাকছে। সেই সাথে হচ্ছে বৃষ্টিও। তবুও গরম কমছে না। প্রতিনিয়তই দিনের সময়গুলো খেয়ালীপনায় কাটছে।
পরশু সকালে ফেলুদার চোখে পড়ল একটা খবর। খবরটা এরকম-মানুষকে পোকামাকড় খেতে বলেছে জাতিসংঘ-। ক্ষুধা নিবারণে মানুষকে পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। সারা দুনিয়ায় দুইশ’ কোটি মানুষ কোন না কোনভাবে পোকামাকড়কে খাদ্য হিসেবে বিবেচনায় নিচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় খাদ্যভ্যাসে পোকামাকড় জোরালো ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে ঝিঁঝিঁ পোকার কথা বলা হয়। একটি গবাদি পশুর চেয়ে ১২ গুণ কম খাওয়ানোর পরও গবাদি পশুর সমান আমিষ পাওয়া যায় ঝিঁঝি পোকায়। শুধু তাই নয়, অন্য সব গবাদি পশুর থেকে অধিকাংশ পোকামাকড়ই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন করে না। শূকর যেমন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদন করে পোকামাকড় সে তুলনায় খুবই নগণ্য পরিমাণে বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে। বিশ্বের অনেক মানুষই নিয়মিত পোকামাকড় খায়। কিন্তু এটি পশ্চিমাদের কাছে অত্যন্ত বাজে মনে হয়। এফএও’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ তাদের খাদ্য তালিকায় পোকামাকড়কে স্থান দিয়েছে। তবে অনেক পশ্চিমা দেশগুলোতে পোকামাকড় খাওয়ায় লোকদের অনীহা আছে। আর এ অনীহাই খাদ্য তালিকায় পোকামাকড়কে স্থান দেওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয় রান্নার নতুন রেসিপিতে পোকামাকড় অন্তর্ভূক্ত করে খাদ্য শিল্প ‘পোকামাকড়ের মর্যাদা’ বাড়াতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু পোকামাকড় সুস্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়।--
আমরাও হয়তো সামনে পোকামাকড়ই খেয়ে বাঁচবো।
দুই.
সময়, মানুষ, দেশ
অবিরাম ছুটে চলছে আপন আপন নীড়ে
নেই কারো চারপাশ দেখার
নেই কারো মানুষ তৈরির নেশা
সবাই সবার পথে ছুটছে অবিরাম........।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন