সমকামিতার বিনাশ কেন হতেই হবে?
লিখেছেন লিখেছেন অকপটশুভ্র ১৩ জুন, ২০১৩, ১১:১৬:০৮ রাত
সমকামিতা নিয়ে আমাদের চিন্তা চেতনার বৈপরীত্যের একটা প্রধান কারণ হতে পারে সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা না করা। Perspective (দৃষ্টিকোণ বা দৃষ্টিভঙ্গি) হল যার যার হাতে তালগাছটা ধরে রাখার সবচেয়ে Convincing উপায়। কাউকে যদি আপনি কোন অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিশ্বাস করাতে চান তা হলে আপনাকে Perspective এর দ্বারস্থ হতে হবে। কিন্তু তাই বলে আমরা কি Perspective ছাড়া চিন্তা করতে পারি? উত্তর হল "না"। Perspective কে বাদ দিলে সেটাও হয়ে যাবে Perspective ছাড়া আরেকটা Perspective অর্থাৎ এটা আরও চরম অবাস্তব ও জটিল ধারণার জন্ম দিবে। সেজন্য আমাদের উচিৎ সঠিক দৃষ্টিকোণ বা সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কে বেছে নিয়ে তার পর সমস্যা সমাধানের চিন্তা গবেষণা শুরু করা। এক্ষেত্রে আমাদের তুলনা করা উচিৎ যে আসলে কোন জীবন ব্যবস্থাটি আপনাকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কে উপজীব্য করে আদেশ এবং নিষেধ করে থাকে। আপনি একটু চিন্তা করলেই বুঝবেন যে দৃষ্টিভঙ্গির মার প্যাচে ফেলে দুনিয়ার সকল ভালো কাজকে আপনি Invalid প্রমাণ করতে পারবেন, আবার এই দৃষ্টিভঙ্গির মার প্যাচে ফেলে দুনিয়ার সকল খারাপ কাজকে আপনি valid প্রমাণ করতে পারবেন। সেজন্য আপনি যখন দেখবেন কোন ব্যক্তি একটি বিশ্বজনীনভাবে অপ্রকৃতিস্থ কাজকে দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয় নিয়ে জায়েজ করতে চাচ্ছেন তখন আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে হয় তিনি জেনে বুঝেই সমাজ ব্যবস্থায় ফাটল ধরাতে চাচ্ছেন, নতুবা তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক দীনতায় ভুগছেন।
আপনি নিশ্চই ঘাস খেয়ে কিংবা মাটি খেয়ে জীবন যাপন করতে চাইবেন না। কিন্তু আমি যদি প্রশ্ন করি "আপনি কেন ঘাস বা মাটি খেয়ে জীবন যাপন করতে চাইবেন না?" তখন সবচেয়ে সহজতম উত্তরটি হয়তো এমন হবে যে ন্যাচারালি মানুষ ঘাস খায় না এবং মাটি খেয়ে বাঁচতে পারে না। এইটুকু পর্যন্ত পক্ষ ও বিপক্ষ অবস্থানটা খুব একটা স্থায়ী হয় না, বিতর্কটি অল্প দুর এগিয়েই দুই পক্ষই সার্বজনীন সত্যটাকে মেনে নেন। এর কারণ হল মাটি খেয়ে বা ঘাস খেয়ে জীবন ধারণের ফলাফলটা আমাদের কাছে এতটাই দৃশ্যমান যে এখানে গো ধরে থাকা যায় না। কিন্তু এবার যদি আপনি ড্রাগ এডিক্টদের কথা বলেন, কিংবা স্মোকারদের কথা বলেন, এরা তাদের জন্য অবধারিত বিপর্যয়ের জন্য মোটেই চিন্তিত নয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে তাদের এই বদ অভ্যাসের জন্য ক্ষতিকর প্রভাবটা তারা তৎক্ষণাৎ পাচ্ছে না, শুধু তাই নয় তারা বরং তাদের বদ অভ্যাসের জন্য তৎক্ষণাৎ সেটিসফেকশনটা হাতে নাতেই পেয়েই যাচ্ছে। যার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের কাছে জীবন বিধ্বংসী ফ্যাক্টর গুলো গায়েই লাগছে না। এমন খুব কমই স্মোকার বা ড্রাগ এডিক্ট খুঁজে পাবেন যারা মাদক দ্রব্য সেবন বা ধূমপানের জীবন বিধ্বংসী ক্ষতিকর দিককে অস্বীকার করে। তার পরেও তারা কিন্তু থেমে নেই, ড্রাগ নিয়েই যাচ্ছে। এখন আসুন মাটি খেয়ে বা ঘাস খেয়ে বাঁচতে চাওয়ার ব্যক্তিগত অধিকারের বিতর্কে আসি। এটি একটি সর্বজন বিদিত সত্য যে মাটি খেয়ে বা ঘাস খেয়ে মানুষের জীবন চালানো শুধু অস্বাভাবিকই নয় বরং অসম্ভবও বটে। তার পরেও কেউ যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় যে সে মাটি খেয়ে বা ঘাস খেয়ে জীবনাতিপাত করবে তাহলে সেটা কে নিরুৎসাহিত করাই সমাজের উচিৎ। কারণ সমাজ একজন মানুষকে এভাবে অস্বাভাবিক জীবন যাপন করতে দিতে পারে না। এটা সমাজের দায়িত্ব, একারণেই আমরা একে "সমাজ" বলি যেখানে যেমন খুশি তেমন সাজো টাইপের জীবনধারার কোন স্থান নেই। একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে চাইলে এবং সেটা কোন ভাবে সমাজের দৃষ্টিগোচর হলে সমাজ এটাতে অবশ্যই নাক গলাবে, যেভাবেই হোক ব্যক্তিটিকে বাঁচাবে, আত্মহত্যা করতে নিরুৎসাহিত করবে। অথচ একদিন না একদিন এ লোকটা মরবেই, তাই সে যদি এখন এই মুহূর্তে মরতে চায় তাহলে আলটিমেটলি সমাজ কিংবা অন্য কারও কিছু যাচ্ছে আসছে না। সে কদিন পরে মরতো, এখন আগেই মরে গেছে। এভাবে হাজারটা কাজ আছে যেগুলো আপনি আপনার সমাজের কাউকেই করতে দিতে চাইবেন না। অথচ আদতে সেগুলোর দৃশ্যত কোন আহামরি প্রভাব সমাজে নেই। কিন্তু এসব সামাজিক বিধি-নিষেধের বিপক্ষে আপনি যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ধুয়া তুলেন তাহলে আপনি মূলত সামাজিক শৃঙ্খলাকেই ভঙ্গ করছেন যা অন্যদেরকে ক্ষতি করছে। শৃঙ্খলার আবির্ভাব আপনার মন তোষণের জন্যে আসেনা বরং আপনার লাগামহীন মনোবাসনা পূর্ণ করার প্রবণতার ফলে যেন অন্যের স্বাভাবিক জীবনাচরণ সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেজন্যে শৃঙ্খলা আসে। সুতরাং ব্যক্তি স্বাধীনতার অজুহাতে যা ইচ্ছা তা করার অধিকার কারোই থাকতে নেই।
উপরে সঠিক Perspective এর কথা বললাম, এবং তার নীচেই কয়েকটা উদাহরণ দিলাম এজন্য যে যেন আমরা ভালো ভাবে পুরো ব্যপারটা বুঝে সিদ্ধান্তে আসতে পারি। বর্তমান সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী দিপু মনি সমকামিতার পক্ষে সম্প্রতি তাদের সমর্থন জানালে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিন্তু যারা বাম পন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শবাদীদের ভালো করে চিনেন তারা মোটেও এতে বিচলিত হননি, আর সেকারণেই তারা বাম পন্থীদের বিরোধিতা করেন জীবন দিয়ে হলেও। এখন দেখুন, সমকামিতা কেন কোন ভাবেই একটি সুস্থ সমাজে লালিত হতে পারে না তা ব্যাখ্যা করা যাক।
প্রথমেই আসুন সঠিক দৃষ্টিকোণটি বেছে নেয়া যাক। কেউ হয়তো বলবেন যে যিনি সমকামী হতে চান তাকে সমকামী হতে দেয়া হোক, আবার কেউ হয়তো সমকামীদেরকে কিছুতেই সমাজে টিকে থাকতে দিতে চাইবেন না। এখানে প্রথম পক্ষটিকে অনেকেরই বেশ পছন্দ হবে, কারণ এখানে "নিরপেক্ষ" টাইপ একটা ভাব আছে, ওপেন মাইন্ডেড বা মুক্তমনা একটা ভাব-চক্কর আছে। আর দ্বিতীয় পক্ষটিকে অনেকেরই মনে হতে পারে কট্টর ও কনজারভেটিভ। কিন্তু এইভাবে তো আপনার চিন্তাটা স্বাধীন থাকছে না! একজন অন্ধ বাধা পাওয়া বা ওয়ার্নিং পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো ডাইরেকশনে এগুতে চাইবেন, এখন সেদিকে আগুনের কুণ্ডলী থাকুক আর জলাভূমি থাকুক তাতে ততোক্ষণ পর্যন্ত তার কিচ্ছু যায় আসে না যতক্ষণ না সে ক্ষতির ব্যপারটা আগাম টের পাচ্ছে অথবা যিনি সতর্ক করছেন তাকে সে নিজের দৃষ্টিহীনতাকে স্বীকার করে নিয়ে বিশ্বাস করছেন। কিন্তু এই লোকের সকল দিকেই যেতে থাকার প্রবণতাকে তো তাই বলে মুক্তমনা বলা যায় না। আর যিনি চোখে দেখেন তাকে যদি কেউ শত জোরাজুরিও করেও পাকা রাস্তা ছেড়ে বন্ধুর রাস্তায় হাঁটাতে চান তাহলে তিনি তা কিছুতেই মানবেন না। আর এজন্য এই চক্ষুষ্মান লোকটিকে তার যৌক্তিক অবস্থানে অটুট থাকার কারণে আপনি তাঁকে গোঁড়া বা কট্টর বলতে পারেন না। আর এই অন্ধ ও চক্ষুষ্মান ব্যক্তির মাঝে আপনি নিজেও নিরপেক্ষ থাকতে পারেন না। আপনাকে সত্য এবং যুক্তিপূর্ণ দিকটাই বেছে নিতে হবে। তাহলে সমকামিতার ক্ষেত্রে সঠিক দৃষ্টিকোণটি কি হবে? আপনি যদি মনে করেন এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার তাহলে আপনার কাছে সমকামিতাকে অপরাধ নয় বরং অধিকারই মনে হবে। কিন্তু তাতে কি মানব জীবনের যথার্থতাটি খর্ব হচ্ছে না? মানুষ জন্ম নিয়েছে অর্থাৎ পৃথিবীতে তার অস্তিত্বই হয়েছে নারী-পুরুষের সম্মিলনের কারণে এবং এটাই মানব জীবনের একটা ন্যাচারাল ও যথার্থ ধারা। যখন কেউ সমকামী হতে চাইবে তখন সে মানব সভ্যতার মৌলিক প্রসেসটাকেই প্রত্যাখ্যান করলো। শুধু তাই নয় উপর্যুপরি সে অনাগত প্রজন্মের সুন্দর এই দুনিয়ায় আগমনের অধিকারটাকে গলা টিপে হত্যা করলো। যেখানে একজন সুস্থ মানুষ হিসেবে আপনার আমার দায়িত্ব হচ্ছে অনাগত ভবিষ্যতের অধিকারগুলোকে সংরক্ষিত করা সেখানে যারা এটার ভায়োলেট করছে তাদের ব্যপারে আপনি কি করে আপোষ করছেন? সুতরাং এখানে আমাদের সঠিক Perspective টা হচ্ছে মানব সভ্যতার স্বাভাবিক সমাজ ব্যবস্থাকে সংরক্ষণ করা, স্বাভাবিক প্রজনন প্রক্রিয়াকে সংরক্ষণ করা, অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পৃথিবীর বুকে আগমনের অধিকারকে সংরক্ষণ করা। সমকামিতা হল এই মৌলিক দিক গুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন। সেজন্য সমকামিতাকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করতে আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না তাকালেও চলে। অর্থাৎ যারা নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ না ভাবলে চলেই না তারাও এখানে সমকামীদের পক্ষ নেয়ার নৈতিক কোন ভিত পাবেন না।
আমরা যারা মনে প্রাণে মুসলিম তাদের জন্য ইসলামিক দৃষ্টিকোণটা আলাদা করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনই ছিল না, কিন্তু ইসলাম সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানগত দীনতার কারণে ইসলামিক দৃষ্টিকোণটা আলাদা করে ব্যক্ষা করতেই হচ্ছে। অথচ বাস্তবতা হল "ইসলামিক দৃষ্টিকোণ" বলতে আলাদা কোন টার্ম নেই, আমরা যারা সচরাচর "ইসলামিক দৃষ্টিকোণ" বলি তারা মূলত এই টার্মটার সাথে পরিচিত হয়েছি খুব কাছাকাছি কোন অতীতে। এটা মূলত ইসলামকে একটা প্রান্তিক পর্যায়ে লেবেল করে দেয়ার জন্য পশ্চিমাদের তৈরি একটি টার্ম। বাস্তবতা হল, উপরে আমি যে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির কথা ব্যাখ্যা করেছি ইসলাম সবসময় এই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সমুন্নত রেখেই তার সমস্ত আদেশ ও নিষেধকে মানুষের কাছে উপস্থাপন করে। সুতরাং সঠিক ও সত্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে তিল পরিমাণ ফারাক নেই। আমরা যদি শরিয়তের উদ্দেশ্যের দিকে তাকাই (যাকে আরবিতে "মাকাসিদ আশ শারিয়া" বলা হয়) তাহলে আমরা সহজেই বিষয়টা আরও বেশি পরিষ্কার ভাবে অবলোকন করতে পারবো। শারিয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে "মাসলাহা" বা মানুষের কল্যাণ সাধিত করা। এই মাসলাহার আওতায় শারিয়া পাঁচটি মৌলিক বিষয় কে অন্য সকল কিছুর উপর অগ্রাধিকার প্রদান করে এবং এই পাঁচটি মৌলিক বিষয়কে রক্ষণাবেক্ষণ করাই শারিয়ার উদ্দেশ্য। এই পাঁচটি বিষয় হচ্ছে ১) দ্বীন ও ধর্ম ২) জীবন ৩) আক্বল ৪) ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং ৫) সম্পদ । সমকামিতা এই পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্য থেকে যথাক্রমে ১, ২, এবং ৪ নম্বর মৌলিক বিষয়কে সরাসরি লঙ্ঘন করে। এটি একইসাথে ভবিষ্যতের আগত মানব প্রজন্মের জীবনকে অপ্রকৃতিস্থ পদ্ধতিতে অপাত্রে বিনিয়োগ করে বিনষ্ট করে যার কারণে জীবন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উভয়ই একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পাশাপাশি সমাজের সকল ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস ও চেতনাকে সরাসরি আঘাত করে। যার কারণে ইসলামে সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোরতা অনেক বেশী।
আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন আমাদের, আমাদের ভাগ্যে একের জন্যে অপরের জীবন সঙ্গীও আল্লাহ ঠিক করে রেখেছেন। এখন দুইজন পুরুষ যদি সমকামী হন অথবা দুইজন মেয়ে যদি সমকামী হন তাহলে অন্য দুইজন যাদের জন্য আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তারা নিজেদের জীবন সঙ্গী কে হারাবেন। তাছাড়া মানুষ ব্যতিক্রম কিছু করতে পছন্দ করে, যখন সমাজে এই অস্বাভাবিক ব্যতিক্রম যৌন সম্পর্ক চালু হবে তখন এটা অনেককেই প্ররোচিত করবে। এভাবে সমাজের বড় একটা অংশ এই অপ্রকৃতিস্থ পদ্ধতিতে জড়িয়ে পড়বে। এতে সমাজ মারাত্মক ভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাছাড়া কালের বিবর্তনে নতুন প্রজন্ম এই সমকামিতাকে স্বাভাবিক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক, বর-কনের বিয়ের মতোই সামাজিক ভাবে গ্রহণ যোগ্য একটি সংস্কৃতি মনে করবে তখন এই অসুস্থ যৌন পদ্ধতিটির আকার সমাজে আরও বেড়ে যাবে। এভাবেই সমকামিতা একটি সমাজ শুধু নয় বরং একটি সভ্যতাকে ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিবে। সুতরাং সমকামিতা স্বাভাবিক সমাজ জীবনের জন্য শুধু হুমকিই নয় বরং এটি একটি মানবতা বিধ্বংসী অসুস্থতা। যারা এর প্রমোট করেন, সমর্থন করেন তাদেরকেও কঠোর আইনের আওতায় আনা মানব জাতির অধিকার রক্ষার জন্য অবশ্য করণীয়।
গত মে ৩০, ২০১৩ তারিখে উগ্র বাম-ধর্মনিরপেক্ষতাবাদিদের দ্বারা পরিচালিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ এ একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। যেখানে বিভিন্ন আঙ্গিক তুলে ধরে সমকামিতার প্রমোট করা হয় এবং দাবী করা হয় বিভিন্ন উলামারাও নাকি সমকামিতাকে অনুমোদন করতে শুরু করেছেন। এর কয়েকদিন পরেই মন্ত্রী নিজ মুখে সমকামিতার পক্ষে সাফাই গেয়ে চরম বিতর্কিত হলেন। কথা হচ্ছে কোন আলেম সমকামিতাকে অনুমোদন দিয়েছেন সেটাও জানা জরুরী নয়, কারণ কোন আলেমই শারিয়াত প্রনেতা নন, সর্বোচ্চ তিনি একজন শারিয়াত বোদ্ধা হতে পারেন এবং সেটা তাকে আল্লাহ প্রদত্ত শারিয়া পরিবর্তন করার অধিকার দেয় না, কারণ ইসলাম তার নিজস্ব গতীতে চলে। সমকামিতার জন্য হযরত লুত (আ) এর গোটা ক্বওমকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিলো। তাছাড়া উপরে বলেছি সমকামিতা কিভাবে শারিয়ার একাধিক উদ্দেশ্যকে ভঙ্গ করে, তাছাড়া ফতোয়া শপিং এর রেওয়াজ যতদিন চালু আছে ততদিন কোন আলেম সুদ কে জায়েজ বললেন আর কোন আলেম সমকামিতাকে জায়েজ বললেন তা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামিয়ে কাজ নেই। ইসলাম ও ইসলামী শারিয়া আমাদের কাছে বিদ্যমান আর সত্য পন্থী উলামাগন নির্যাতিত হলেও ফুরিয়ে যাননি এখনও। বিডিনিউজ২৪ এবং সমমনা সংবাদ মাধ্যমগুলোর মিশন ও ভিশন ও এজেন্ডা আমাদের কাছে পরিষ্কার সেই সাথে তাদের লেখকদের ব্যপারেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন