আমার আলসেমি ও কীবোর্ডীয় বিড়ম্বনা

লিখেছেন লিখেছেন অকপটশুভ্র ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:২২:৫৩ রাত

বেশ কিছুদিন ধরে, প্রায় আধ-বছর তো হবেই, পোষ্ট লিখতে যে কত কষ্ট হচ্ছিলো তা বলে বুঝাতে পারবো না। আমার ল্যাপ্পির কীবোর্ডে “B” অক্ষরটা কাজ করতো না। এর আগেও একটা কিবোর্ড পাল্টেছি, ছমাসের মাথায় এটারও প্যাটে ব্যথা দেখা দিলো। এবার আর পাল্টাইলাম না। অন স্ক্রিন কোবোর্ড দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলাম। ল্যাপ্পি অন করেই আগে “বি” অক্ষরটা কপি করে নিতাম। আর পরেই চলতো কপি-পেষ্ট। কিন্তু সমস্যা বাধতো বাংলা লিখতে গিয়ে। চরম ঝামেলা। কিন্তু এতো আলসের আলসে আমি, একটূ বাইরে গিয়ে একটা কীবোর্ড কিনে আনবো তা আর হয়ে ওঠে না। শেষ পর্যন্ত “অভ্র মাউস ক্লিক অ্যান্ড টাইপ” কীবোর্ডটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া। প্রতিটা পোষ্ট লেখার পরে শপথ করতাম কালই “ল ইয়াট প্লাজা থেকে” একটা পিচ্চি কীবোর্ড কিনে আনবো। কিন্তু কিসের কী! রাত পোহাতেই মাইন্ড চেইঞ্জ। আলসেমি করে আর যাওয়া হয় না। এ করেই কেটে গেলো আধ-বছর। এত্তগুলা এসাইনমেন্ট, এত্তগুলা পোষ্ট সহ আরও কতো আনুসাঙ্গিক কাজ এই অকর্মা কীবোর্ড দিয়ে আমি লিখে গেছি ভাবতেই অবাক হই।

কিসব কান্ড যে ঘটিয়েছি আমি এ কয়দিন, ফাসবুকে ষ্টাটাস লিখতে গিয়ে “ব” অক্ষরটা আছে এমন শব্দ এড়াতে সেকি ভাবনা চিন্তা। সবসময় এমন শব্দ পাওয়াও যায় না, সে সময় ষ্টাটাস লেখাই বাদ দিয়েছি। অনেকের সাথে চ্যাট করতে গিয়ে হতো ঝামেলা। “ব” অক্ষরটা এড়াতে গিয়ে কতকথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলতে হয়েছে! শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ফেসবুকের চ্যাটরুমটাই অফলাইনে রেখে দিতাম। কিন্তু তার পরেও কোন একটা আইডিয়া মাথায় এলে থেমে থাকা যেতো না। লিখতে হতো। সেসময় কি যে কষ্ট হতো, মেজাজটাই বিগড়ে যেতো মাঝে মাঝে। তার পরেও লিখতাম। কিন্তু আজ একটা সুযোগ পেয়ে চলে গেলাম শপিং মলে, কিনে আনলাম ছোট একটা কীবোর্ড।

কীবোর্ডটার দাম লইয়াছে ৩৫ রিঙ্গিত। বঙ্গটাকায় ৩৫×২৭= ৯৪৫ টাকা। মাথার চুল আমার পড়া শুরু হইসে। সবাই দোয়া কইরেন বাই!



নয়া কীবোর্ড



কীবোর্ড টা ল্যাপ্পির আসল কীবোর্ডের উপর উঠিয়ে রাখলে এক্কেবারে খাপের খাপ মন্তাজের বাপের মতো মিলে যাচ্ছে Happy

বিষয়: বিবিধ

১২৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File