অবশেষে আনিসুলও কি ক্ষমা পাবে? তাহলে প্রথম আলোর অফিসে স্থাপিত কেবলা মুখী টয়লেটের কি হবে!
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০১:১২:৫৬ দুপুর
প্রথম আলো সম্পাদক মতি মিয়া ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছিলেন। তিনি তার ক্যারিয়ার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঠিকিয়ে রাখতে এমন একজন আলেমের হাতে পায়ে ধরে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে ক্ষমা ভিক্ষা চান, যে আলেমের বিরুদ্ধে তাহারা নিত্যদিন ঘৃণা বাষ্প ছড়াতেন। মতি মিয়া ক্ষমা চাইতে যদি ২৪ ঘণ্টাও দেরী করতেন তাহলে, তার পরিণতি ভিন্ন ও বেদনাদায়ক হত। ক্ষমা করার প্রতিবাদে ইসলাম প্রিয় সকল মানুষ প্রতিবাদ করেছিল। জনগণ বুঝতে পেরেছিল মতি মিয়ার এই ক্ষমা চাওয়া ছিল এক প্রকার ভণ্ডামি। কেননা ভণ্ডদের ওয়াদার যেমন মূল্য নাই, ক্ষমার চাওয়ার কোন গুরুত্ব নাই। শুধুমাত্র পত্রিকার কাটতি ধরে রাখতেই সেই ক্ষমা চাওয়া, নিশ্চয়ই তা আল্লাহকে ভালবেসে নয়। মতি মিয়াদের আচরণ আমরা দেখে চলেছি, তারা আগের অভ্যাস ঠিকই ধরে রেখেছে, শুধু বুদ্ধিটা একটু শানিত করেছে, যাতে করে কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে না পারে। মতি মিয়ার নেতৃত্বে প্রথম আলো এখনও ইসলাম বিদ্বেষীদের একটি আস্তানা ছাড়া আর কিছু নয়।
মতি মিয়ার জুনিয়র আনিসুল হক এবার ধরা খেয়েছেন। পুরানো পাপের নবায়ন করতে গিয়ে গর্তে পা তো নয় পুরো শরীর সহ নিজেই ঢুকে পড়েছেন। আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিকের প্রশ্নে, বেচারা কেঁচোর মত কাতুকুতু হয়ে উল্টো জিজ্ঞাসা করেছেন ব্যাপারটি না লিখলে হয়না? মুসিবতে পড়ে বাঘিনী যেভাবে ভেজা বিড়াল সাজে ঠিক সে ধরনের আচরণ করল চির তরুণ এই কুলাঙ্গার। অন্যায় এবং পাপ কোনদিন লুকায়িত থাকেনা। আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিয়েছেন ফলে আনিসুল হক ভেজা বিড়াল সেজেও বিপদ মুক্ত থাকতে চেয়েছেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনী ম্যানিফেষ্ট্রো নিয়ে টিভিতে প্রতিটি দল থেকে সাক্ষাতের ব্যবস্থা ছিল। তাকে সঞ্চালক হিসেবে দেখেছিলাম। তার পছন্দনীয় দলের নেতাদের স্যার বলে সম্বোধন করতেন। অ-পছন্দনীয় দলের ব্যক্তিদের নাম ধরে ডাকতেন। ৭০ এর অধিক বয়সী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিকে তুই তুকারী ভাষায় ব্যবহার করলেন। লেখা পড়া করে, সাহিত্যিক নাম চাউড়িয়ে কোন ব্যক্তি, কত চরম অভদ্র আর শিষ্টাচার বিবর্জিত ইতর জানোয়ার হতে পারে, তার অনুষ্ঠান না দেখলে বুঝতে পারতাম না।
আনিসুল হক দের ক্ষমা নয়, দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। ভদ্র মানুষকে একবার শাসালে সে শাস্তি প্রাপ্ত হয়, বেয়াদবকে শাস্তির সাথে অপমানও করতে হয়। এই ব্যক্তি তার চেয়েও অধম এবং জঘন্য। এই ব্যক্তি বুড়ো হলে হুমায়ুন আজাদের মত আরেকটি প্রেতাত্মা হবে।
প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে উত্তর দক্ষিণ মুখো টয়লেট ব্লক ছিল। কেবলা মুখী না হতে বাংলাদেশের মুসলমানেরা বাসা-বাড়ি-ভবনে এভাবেই টয়লেট বানিয়ে থাকেন। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই নির্মিত সেই টয়লেট ভেঙ্গে নতুন কর পূর্ব-পশ্চিম মুখে করে টয়লেট বানিয়েছে। যুক্তি দেখিয়েছেন সব কিছু বদলাতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সব কিছু বদলানোর নামে তারা ইসলামকে অপমান করতে বদ্ধপরিকর ছিল। এই হল প্রথম আলোর চরিত্র। সুতরাং তাদেরকে শুধুমাত্র ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে আলেম ও যুব সমাজকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
জনকণ্ঠ পত্রিকা ইসলাম অবমাননা করে, দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ভয়াল রূপ দেখে ক্ষমা চেয়ে মাপ পেয়েছিল কিন্তু সে অভ্যাস তারা আজো পরিত্যাগ করেনি, কিছুটা পরিবর্তন এনেছে মাত্র।
আনিসুল হকেরা ইসলাম ও কোরআন নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। এবারও সহজে ক্ষমা পেয়ে গেলে, আবারো ল্যাঙ মারবেই। তাই বিচ্ছুকে শুরুতেই বিষমুক্ত করতে হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোরআনকে ইজ্জত করে বহু কবি-সাহিত্যিক অমর হয়েছেন। কোরআনকে অপমান করে অন্যরা নর্দমার কিট তুল্য হয়েছেন। আনিসুল হকেরা মরে গেলে দেশের কোন ক্ষতি নাই, বেচে থাকলেও কোন উপকার নাই। তবে এদের কটূক্তির সমুচিত জবাব দেবার সময় এসেছে। এদেরকে এখনই শক্তভাবে মোকাবেলা করা উচিত "কেননা ছাগল কে তখনই পাকড়াও করতে হয়, যখন সে মূত্রত্যাগ করে'।
আল্লাহ ওয়াদা করেছেন, "কোন ব্যক্তি বিনা দোষে কাউকে অপবাদ কিংবা দোষী সাব্যস্থ করলে, সেই অপবাদ এবং দোষ তার মাধ্যমে না ঘটা পর্যন্ত তার মৃত্যু হবেনা"। বহু বছর আগে লিখিত গদ্য এমন সময় তার জন্য মরণ যন্ত্রণা হয়েছে, যখন তিনি এক ধরনের মানুষের খ্যাতিতে ভাসমান। তখনই তার ইজ্জতে টান পড়েছে, খ্যাতিতে হ্যাঁচকা পড়েছে, তাই গোপনে মাপ চেয়ে পরিত্রাণ পেতে চেষ্টা করেছিল। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক একজন বলিষ্ট ইমানদার মানুষ। একজন মুমীন হিসেবে বুকে ইমানী সাহস নিয়ে তিনি ঘটনাটি প্রকাশ করেছেন। আল্লাহ তার মাধ্যমে একজন সচেতন মুসলমানের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছে।
আনিসুল হক এখন ঠ্যালা সামলানোতে ব্যস্ত। এটা হল আল্লাহর প্রছন্ন শাস্তি, যা শুধুমাত্র চিন্তাশীল এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিই বুঝতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন