May I come in Sir? আমি কি ভিতরে আসতে পারি? একটি আন্তর্জাতিক শিষ্টাচারের নাম
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ০১:১৫:৪৭ রাত
কারো বাড়িতে, অফিসে, চাকুরীতে, ক্লাসে ঢুকতে অনুমতি প্রার্থনা করতে হয়। এটি একটি আন্তর্জাতিক মানের সর্বজন স্বীকৃত আদব। দুনিয়ার প্রতিটি দেশে প্রতিটি জাতি এই আদব মেনে চলে। মানুষ মনে করে থাকে উচ্চ শিক্ষিত স্মার্ট মানুষের আচরণ এটি।
মূলত এই আচরণটি প্রথম শিখিয়েছেন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। আরবের মূর্খতার যুগে আরবদের নিয়ম ছিল তারা সুপ্রভাত, শুভ সন্ধ্যা বলতে বলতে নিঃসঙ্কোচ সরাসরি একজন অন্যজনের গৃহে প্রবেশ করে যেতো। অনেক সময় বহিরাগত ব্যক্তি গৃহ মালিক ও তার বাড়ির মহিলাদেরকে বেসামাল অবস্থায় দেখে ফেলতো। এতে তাদের লজ্জিত তো হতেই হত। উল্টো কাউকে এভাবে ঘরে না ঢুকতে বললে তাকেই অসামাজিক মানুষ বলে হেয় ঘৃণা করত।
এরই প্রেক্ষিতে কোরআনে আয়াত নাজিল হল, “হে ঈমানদারগণ! নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না যতক্ষণ না গৃহবাসীদের সম্মতি লাভ করো এবং তাদেরকে সালাম করো৷ এটিই তোমাদের জন্য ভালো পদ্ধতি, আশা করা যায় তোমরা এদিকে নজর রাখবে। সুরা নূর-২৭
সালাম দিয়ে কারো ঘরে কিভাবে প্রবেশ করতে হবে সেটার রীতিনীতি তখনও অনেকে জানত না। এক ব্যক্তি নবী (সাঃ) এর কাছে আসে এবং দরজায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘আমি কি ভেতরে ঢুকে যাবো’!
নবী (সাঃ) তাঁর বাঁদি রওযাহকে বলেন, এ ব্যক্তি অনুমতি চাওয়ার নিয়ম জানে না। একটু উঠে গিয়ে তাকে জানিয়ে এস যাতে এভাবে বলে, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি কি ভিতরে আসতে পারি?’ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার সাথে দেখা করেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কারো বাড়িতে গেলে, সোজা দরজার সামনে না দাঁড়িয়ে একটু ডানে বা বামে দাঁড়াতেন এবং সালাম দিয়ে অনুমতি চাইতেন। তিন বার অনুমতি চাওয়ার পর ঘর থেকে সাড়া না আসলে চলে যেতেন।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন