বিশ্ব রবী কবিন্দ্রনাথ স্মরণে জ্বালাময়ী বক্তৃতা (একটি রম্য ঘটনা)
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৬ মে, ২০১৬, ০৬:০০:১৩ সন্ধ্যা
বাংলায় একটা কথা আছে, ‘হয় ধারে জিততে হবে, নয় ভারে জিততে হবে’। কথা হল যার ধারও নাই, ভারও নাই তাকে জিততে হলে কি করতে হবে! সে ব্যাপারে বাংলা সাহিত্যের কোথাও বিন্দু পরিমাণ উপদেশ বর্তমান নাই। তবে বাংলাদেশের হাল আমলের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বেলায় দেখা যায়; উপরে উল্লেখিত ‘ধার এবং ভার’ গুনের কোনটাই না থাকার পরও অনেকেই জিতে যেতে পারেন! যদি তিনি কাঁচা পয়সার মালিক হন এবং দক্ষহাতে তা কাকের উদ্দেশ্যে ছিটাতে পারেন।
শুধু একটা কথা থেকে যায়, তিনি না হয় পয়সা ছিটিয়ে সাময়িক জিতে যেতে পারেন কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা যে অধিক কষ্টসাধ্য, সে ধরনের ঘটনাটি লিখাই আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়।
স্থানীয় কলেজ মিলনায়তনে কলেজের উদ্যোগে, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক বোদ্ধা, শিক্ষিত, প্রাজ্ঞ ব্যক্তিরা এখানে বক্তব্য রাখবেন। বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরাবরে দাওয়াত পৌঁছানো হয়েছে। থানা পর্যায়ের সকল অফিসার ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিদেরও দাওয়াত করা শেষ। শুধু একজনের কাছে এখনও দাওয়াত পৌঁছেনি, তিনি হলেন নবনির্বাচিত সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান!
না কোথাও ভুল ছিলনা! প্রিন্সিপ্যাল মহোদয় স্ব-জ্ঞানে ইচ্ছা করেই চেয়ারম্যান সাহেবকে দাওয়াত করেন নি! প্রিন্সিপ্যাল মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান বাল্যকালে অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। জ্ঞান পাগল, ক্লাসের সেরা ছাত্রটি একদা কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে যান অথচ অর্থশালী বাবার মেধাহীন ছেলেটির লেখাপড়া উচ্ছন্নে গিয়েছিল। হাইস্কুলের গণ্ডি পেরুতে পেরেছিল কিনা কেউ মনে করতে পারে না।
সে উচ্ছন্নে পড়া ছেলেটি, সামাজিক কর্মকাণ্ডে সর্বদা সর্বাগ্রে, মানুষের দুঃখে-সুখে ঝাঁপিয়ে পড়ায় অগ্রগামী, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার প্রতি আন্তরিক মানুষটি একদা পিতার চাইতেও বিত্তশালী হয়ে পড়েন।
তিনি কাউকে কথা বলতে ভয় পান না, টাকা ছিটাতে কসুর করেন না! সকল বিরোধিতায় পরোয়া না করা ব্যক্তিটি,বাংলাদেশের প্রথম উপজেলা নির্বাচনে অনেকের সাথে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে, বিজয় মালা ছিনিয়ে এনেছিলেন। বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হতে শিক্ষার মাপকাঠি এখনও চালু নাই, তখনও ছিলনা।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিজয়ে নিন্দুকেরা তার বন্ধু হল, তামাসা কারীরা সহযোগী হল। চারিদিকে শুধু প্রশংসা আর স্তুতি চলতেই রইল। চেয়ারম্যান উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তার উপর নির্ভরশীল হলেন। কর্ম-কর্তারাও হেলায় সুবর্ণ সুযোগ হারাতে রাজি ছিলেন না। ইউনিয়ন পরিষদের কিছু চেয়ারম্যান তার লেঙ্গুড় ধরল। এমতাবস্থায় স্থানীয় কলেজের অধ্যক্ষের পদটিও খালি হল।
সম্পদে ভরপুর কলেজের অধ্যক্ষ হতে অনেক প্রার্থী ইচ্ছুক ছিল। চেয়ারম্যান প্রভাব খাটালেন, তিনি তার ছোটকালের বন্ধু, এলাকার সবচাইতে মেধাবী ছাত্র, যিনি অন্য আরেকটি কলেজে দীর্ঘদিন চাকুরী করছেন, তাকেই অধ্যক্ষ নিয়োগ দিলেন।
অধ্যক্ষ আর চেয়ারম্যান বন্ধু-দ্বয়ের মাঝে একমাত্র লেখাপড়া ছাড়া দৃশ্যত আর কোন ব্যবধান দেখা গেলনা! অধ্যক্ষ নিয়োগ পদ্ধতিতে উপজেলায় কোন কানাঘুষা নাই, বিরোধিতা করলেও ধোপে টিকবে না। মোটামুটি উপজেলা পরিষদে অশিক্ষিত এই চেয়ারম্যানের উপর সব কর্মকর্তাই খুশি ছিলেন। তাছাড়া তদানীন্তন কালে স্কুল-কলেজে নিয়োগের বেলায় বর্তমানের মত অত কড়াকড়ি, নজরদারী ছিলনা। কমিটির সিদ্ধান্তই বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর হত, এখানেও তাই হয়েছিল। তাছাড়া উপজেলার সকল কর্মকর্তাদের এক প্রকার চোখ বন্ধ করা সমর্থন চেয়ারম্যানের পক্ষে তো ছিলই!
সেই চেয়ারম্যান কলেজের অনুষ্ঠানে এখনও দাওয়াত পান নি! কিছুটা আশ্চর্য বৈকি! যাক, অবশেষে অধ্যক্ষ মহোদয় অনুষ্ঠানের একদিন আগেই চেয়ারম্যানকে দাওয়াত করলেন। চেয়ারম্যান সাহেব অধ্যক্ষ মহোদয়ের দেরীতে দাওয়াতের দেবার কোন ভুল-ভ্রান্তি না ধরে, বরং সৌজন্য সহকারেই তা গ্রহণ করলেন। চেয়ারম্যান সাহেবের দাওয়াত গ্রহণে অধ্যক্ষকে খুশী হওয়ার পরিবর্তে, তাঁর মুখে ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষের ছাপ দেখা গেল, এজন্য তাঁকে অধিকতর পেরেশান ও চিন্তা ভাবাপন্ন মনে হল!
কলেজে রবি ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। অতিথিরাও প্রায় হাজির। অনেক তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। তখনি কলেজের পিয়ন কে দৌড়ে এসে অধ্যক্ষের কানে কানে কিছু বলতে দেখা গেল। অধ্যক্ষ উদ্বিগ্ন চেহারায় বাহিরে গেলেন।
ষ্টেজে ঘোষণা হল, এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, কলেজের গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য, সম্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান আজকের মহতী অনুষ্ঠানে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়েছেন। অধ্যক্ষ ষ্টেজে চেয়ারম্যানকে বরণ করলেন। উপস্থিত বিজ্ঞ আলোচক বৃন্দ রবি ঠাকুরের বিভিন্ন দিক ও বিভাগ নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনায় অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখলেন।
সর্বশেষে অনুষ্ঠানের মুল বক্তা উপজেলা চেয়ারম্যানের পালা। প্রিন্সিপ্যাল মহোদয়ের বন্ধুর ঘাম ঝরানো, দম ফাটানো, সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতা চিরদিন স্মরণে রাখবেন, যারা সেদিন তার বক্তৃতা সরাসরি উপভোগ করতে পেরেছিলেন। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আলোচনা সভায়, উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবের বক্তৃতার ভাষা ও সৃজন শৈলীর গাঁথুনি সরাসরি চেয়ারম্যানের মুখেই শুনুন:
আজকের সভার সভাপতি,
বিশেষ অতিথি, অধ্যক্ষ........।
‘আপনারা আমার সালাম গ্রহণ করুন। আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি যে, এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানে আপনাদের মাঝে থাকতে পেরে। আমার আগে বহু বক্তা বক্তব্য দিয়ে গেছেন, আমি সবার কথা শুনেছি, তাই আমার বলার মত কিছু বাকি নাই। তবে বিশ্ব ‘রবি কবিন্দ্রনাথ ঠাকুর’ যে একজন সেরা মানুষ ছিলেন, তা আমি অস্বীকার করতে পারি না। তার মত মানুষ দুনিয়ায় আরেকটি হয়না’।
ছোট কালে স্কুলে বিশ্ব রবি কবিন্দ্রনাথের কবিতা পড়েছিলাম, আ-হা-হা কি সুন্দর কবিতা, এখনও সেই কবিতার কিছু কিছু মনে আছে। ‘ঐ দেখা যায় তাল গাছ, ঐ আমাদের গাঁ, ঐ খানেতে বাস করে কানা বগির.....’।
দর্শক-শ্রোতা সারিতে ফিস-ফাঁস গুঞ্জন শোনা গেল। মনে হল অধ্যক্ষ মহোদয় কিছু একটার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তড়িৎ গতিতে চেয়ারম্যানের মাইকের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললেন।
উপস্থিত বন্ধুগন! চেয়ারম্যান সাহেব আমার খুবই আপনজন, কবিতাটি বহু বছর আগে পড়েছেন তো, তাই যথাযথ চেয়ারম্যান সাহেবের স্মরণে আসতে আসছে না। স্মরণ সমস্যা কদাচিৎ আমাদেরও হয়। আসলে চেয়ারম্যান সাহেব রবি ঠাকুরের সেই কবিতার কথাই বলতে চাচ্ছেন, ‘তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে, সব গাছ ছাড়িয়ে......’। চেয়ারম্যান মুচকি হাসলেন, তবে বক্তব্যে তিনি ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন!
চেয়ারম্যান নতুন করে শুরু করেন। আপনারা সকলেই জানেন, অধ্যক্ষ আমার কাছের বন্ধু ও আপনজন। তিনি আমার কথা ঠিক করবেন নাতো কে করবেন? আসরে বিশ্ব রবি কবিন্দ্রনাথের কথা বলে শেষ করা যাবেনা.........।
একথা শুনে অধ্যক্ষ আবার উঠতে যাচ্ছিলেন, অধ্যক্ষের পাশের চেয়ারে বসা মেহমান তাঁকে নিবৃত করলেন। চেয়ারম্যানের বক্তব্য চলছেই,
‘বিশ্ব রবি কবিন্দ্রনাথের মত মানুষ হয়না। তিনি যদি আজ এখানে থাকতেন আমাদের সবাইকে তার পায়ে ধরে সালাম করতে হত। এখানে যারা এসেছেন কেউ বিশ্ব রবি কবিন্দ্রনাথের জোতা বহন করারও যোগ্য নয়! বিশ্ব রবির চেহারা দেখলেই বুঝা যায়, তিনি কত বড় মানুষ ছিলেন! (সামনে টাঙ্গানো প্রতিকৃতির দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বললেন) আপনারাই দেখুন বিশ্ব রবি কবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেহারা খানি! সেরা মানুষের ছবিও এ ধরনের হয়। কত লম্বা চুল, কত লম্বা দাঁড়ি! আ, হা, হা, কি সুন্দর তাঁর মুখ। এ ধরনের মানুষ কোনদিনই খারাপ হতে পারে না। বিশ্ব রবি কবিন্দ্রনাথ আমাদের মাঝে নেই, থাকলে প্রমাণ করতে পারতাম তিনি কত বড় মানুষ। আসলেই তিনি বড় মানুষ, অনেক বড় মানুষ, বহু বড় মানুষ, সেরা ব্যক্তি! তাছাড়া ওনি যদি সেরা ব্যক্তিই না হতেন তাহলে আমরা এতজন মানুষ এখানে কি ‘বাল’ ফেলার জন্য এসেছি’!?
চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যে, অধ্যক্ষের চোখ দুটি যেন কোঠর থেকে ফেটে বের হয়ে যারার দশা। দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে খিচুড়ি মার্কা প্রতিক্রিয়া দেখা গেল, সবার মুখে হাত, সবাই মুখের দাঁত লুকাতে ব্যস্ত। উপস্থিতির মাঝে বেশীর ভাগই ছাত্র-ছাত্রী। কিভাবে চেয়ারম্যানের বক্তব্য শেষ হল, কেউ জানেনা? এই মৃদু গুঞ্জরনের পরিবেশে অধ্যক্ষ তার সভাপতির বক্তব্যের ইতি টানেন এবং সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অবশেষে সবাই বুঝতে পারলেন, কেন অধ্যক্ষ সাহেব চেয়ারম্যানের বক্তব্যের শুরুতে এত পেরেশানির মধ্যে ছিলেন?
মূলত: অধ্যক্ষ প্রথম থেকেই বিব্রতকর অবস্থার জন্য কিছুটা প্রস্তুত ছিলেন বটে, সেজন্য প্রথমবার অন্যজনের কবিতা রবি ঠাকুরের নামে পড়ায় তিনি তা ঠিক করেন। দ্বিতীয়বার রবির জায়গায় কবি, আর কবির জায়গায় রবি কথাটি ঠিক করার চেষ্টা করেন; মঞ্চের এবং অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য হানির ভয়ে হস্তক্ষেপ করেননি। তৃতীয়বারের কথার জন্য অধ্যক্ষ তো দূরের কথা, সম্ভবত স্বয়ং রবি ঠাকুর মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও রোধ করতে কিনা সন্দেহ! তাই অধ্যক্ষ মহোদয়ের পক্ষেও করার কিছু ছিলনা। তিনি শুরু থেকেই যথেষ্ট পেরেশানিতে ছিলেন, কারণ অধ্যক্ষ মহোদয় জানতেন অর্থের জোড়ে তিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন কিন্তু রবি ঠাকুর সম্পর্কে একটি লাইনও বলতে পারবেন না। ফলে চেয়ারম্যানকে দাওয়াত দিলেও সমস্যা হবে, না দিলেও চেয়ারম্যানকে অবজ্ঞার অপরাধে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হবেন! সেজন্য অধ্যক্ষ শেষ দিন পর্যন্ত ধৈর্য ধরেছেন, দোয়া করেছেন, যাতে চেয়ারম্যান সাহেবের শহরে যাওয়ার একটি কাজ তৈরি হয়! বিধি বাম তার কোনটাই হলনা, যা হল তা কোনক্রমেই কাম্য ছিলনা, অন্তত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে।
পুনশ্চ: ‘বাল’ শব্দটি ভারত-পাকিস্তানে মাথার চুলের অর্থ হিসেবে বিবেচিত, বাংলাদেশে বাল শব্দটি বিদ্রূপাত্মক অর্থেই ব্যবহৃত হয়। পাঠক বৃন্দ চেয়ারম্যান আরো দুটো এমন শব্দ বলেছেন, সরাসরি লিখতে পারলে, লিখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ঘটত; বুঝতে আরো সহজ হত। সেক্ষেত্রে আমাকে অনেকেই ভদ্রতার তীর মারতে থাকবেন, ফলে আমার উহ! আহ! করার সুযোগ পর্যন্ত থাকবে না। যদিও এই কথাগুলো বাংলাদেশের জন মানুষের সম্মানিত প্রতিনিধি, উপজেলা চেয়ারম্যান ষ্টেজে উঠে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে খুব সহজেই বলতে পেরেছেন! তারপরও সাহস করে অন্তত একটি শব্দ, যা না লিখলেই নয়, তাই লিখেছি।
চেয়ারম্যানের বক্তব্যের হুবহু শব্দ উচ্চারণ করে লিখতে পারলে প্রতিটি বেকুব মানুষেরও হুশ আসত, তারা এক কথায় বুঝতে পারত কেন প্রতিটি মানুষের জন্য শিক্ষা দরকার? এখানে আমি তা পারছিনা, কারণ আমার কাছে ড. মুহাম্মদ শহীদূল্লাহর মত আকাশ ছোঁয়া খ্যাতি নাই, পাহাড় সম সম্মান নাই, নদীর মত প্রবাহিত বিদ্যা নাই। এ ধরনের বেকায়দাপূর্ন ভুল-বিচ্যুতি গুলো সরাসরি তিনি, শুধু তিনিই বাংলা সাহিত্যে সাহস করে লিখতে পারবেন, আমি নই!
বিষয়: বিবিধ
২৬৫৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"তাছাড়া ওনি যদি সেরা ব্যক্তিই না হতেন তাহলে আমরা এতজন মানুষ এখানে কি ‘বাল’ ফেলার জন্য এসেছি’"
হা হা হা হা
এরশাদ সাহেব প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন একবার নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করতে গিয়েছিলেন। তো তার বক্তৃতার আগে ঘোষকের ঘোষণা, “এখন বক্তৃতা করবেন রাষ্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু মরহুম হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।”
মন্তব্য করতে লগইন করুন