বেয়াড়া ছাত্রের শিক্ষার ভার – ঢেঁড়স চৌধুরী জিন্দাবাদ (শেষ পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:৪৮:৫৪ দুপুর



নাহ্! পুকুর পাড় থেকে নির্বিঘ্নে কেটে পড়লেও কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারি বিপদ এখনো কাটে নাই। আজ ছাত্রের বাংলা পরীক্ষা, সে ঘর থেকে সবার নিকট থেকে দোয়া নিয়ে আমার নিকট এসেছে দোয়া নিতে। যেই মাত্র বের হতে যাবে ঠিক তখনও গজ গজ করতে করতে ঢেঁড়স চৌধুরী আমার কক্ষে হাজির! তিনি উত্তেজিত হয়ে বলতে রইলেন,

মাষ্টার সাব, আপনি বলছিলেন এই বেয়াদপের বিচার করবেন, এখন আপনি তার বিচার করুন। আপনি যথাযথ বিচার না করা পর্যন্ত আপনার ঘর থেকে বের হবনা, ছাত্রকেও কোথাও যেতে দিবে না।

প্রশ্ন করলাম, সে কি দোষ করেছে?

উত্তরে বলল, সে কোন দোষটা না করে আছে?

আপনি পরিষ্কার প্রমাণ সহ উল্লেখ করে বলুন তার কি অপরাধ!

তিনি জানালেন গত রাত্রে চৌধুরী বাড়ির দেওয়ালে ও গন শৌচাগারে আপনার এই গুনি ছাত্র আমার বিরুদ্ধে বাজে কথা লিখে এসেছে। আপনি এটার বিচার করুন আর এই নেন বেত, একশ ঘা দিলেও এই বেত ভাঙ্গবে না!

মাথায় কাজ করছে না কি ভয়ঙ্কর মুসিবতে পড়তে যাচ্ছি। পরীক্ষার হলে যাবার আগে ছাত্র মারলে পরীক্ষার ক্ষতি হবে, তাছাড়া গতরাত ১১টা পর্যন্ত সে আমার সামনে বসে পড়েছিল। দেওয়ালে যদি সে লিখেও থাকে, অত দূরের টয়লেটে গিয়ে লিখে আসাটা সম্ভব নয়।

চৌধুরীকে বললাম, আচ্ছা নানা, আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে, এই কাজটি সে করেছে?

তিনি খুব ক্ষিপ্রতার সহিত এমরানের হাতে থাকা বাংলা নোট বইটি কেড়ে নিয়ে খুলে দেখালেন এই দেখুন, দেওয়ালে লিখা ‘ঢ’ আর তার হাতের লিখা খাতার ‘ঢ’ একই। সুতরাং এই কাজ সেই করেছে।

মোক্ষম যুক্তি বটে! কঠিন স্বরে প্রশ্ন করলাম, এমরান তুমি কি এই কাজ করেছ?

সে সাথে সাথে উত্তর দিল, সে এই কাজটি কখন করবে, তার তো সময়ই নাই। সে এটা করেনি।

ঢেঁড়স চৌধুরী ছাত্রের প্রতি আমার প্রশ্ন করার পদ্ধতির বিরুদ্ধে ক্ষেপে গেলেন, তিনি বললেন, চোর বুঝি সহজে কোন কথা স্বীকার করে, আগে বেত দিয়ে কয়েকটা লাগিয়ে দিন, তারপর দেখবেন হর হর করে বলে দিয়েছে।

এই ধরনে কঠিন পরিস্থিতিতে কি করব চিন্তা করছিলাম। হঠাৎ বুদ্ধি আসল, আমি ছাত্রকে বললাম, তুমি না করলেও ধরলাম তুমি একাজ করেছ। বিকালে এসে আমাকে জানাবে কে করেছে একাজ। আর এই মুহূর্তে তুমি তোমার দাদা চৌধুরীর পা ধরে মাপ চাও, আর বল আর কোনদিন এই কাজ করবে না।

কাল বিলম্ব না করে, এমরান ঢেঁড়স চৌধুরীর পা ধরার জন্য বসে গেল এবং বলতে রইল দাদা এই কাজ আর করব না, আমাকে মাপ করে দিন।

আমিই বললাম, এখন পরীক্ষার হলে যাও, লেখাপড়ায় মন দাও।

এমরান মুহূর্তেই ঘর থেকে বের হয়, চলে গেল।

নানা ঢেঁড়স চৌধুরীর চেহারা লক্ষ্য করলাম, তাঁর চেহারায় প্রচণ্ড ক্ষোভ ও বিরক্তির আভাস দেখতে পেলাম। বুঝলাম বিচার পছন্দ হয়নি! তুবও বললাম, আজকে তো আপনি তাকে মাফ করে দিয়েছেন, পরের বারে এমন ঘটলে আমি তার দেহে চামড়াই রাখব না।

চৌধুরী ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, ‘আপনি বিচারের বাল ছিঁড়ে তাল তলায় রাখবেন, এটাই করতে পারবেন মাত্র’

কেন কি হয়েছে? তাকে দিয়ে তো আপনার পা ধরাতে পারলাম আগেও তো সেটাও হয়নি!

ঢেঁড়স চৌধুরী তার পা খানা আমাকে দেখিয়ে বললেন, দেখেন তো আপনার ছাত্র আমার পা ধরে মাফ চেয়েছে, নাকি তার ধারাল নখ দিয়ে আমার পায়ের চামড়াকে আঁচড়ে দিয়েছে!

আমার সামনে টেবিল, টেবিলের ওপাশে দাড়িয়ে দুজন। বসে পা ধরতে দেখেছিলাম কিন্তু কি ঘটেছে দেখিনি! তাকিয়ে দেখলাম, এমরান পা ধরে মাপ চাওয়ার সাথে সাথে চৌধুরীর পা দুটোকে তার ধারাল নখ দিয়ে আঁচড়িয়ে ডিজিটাল মানচিত্র বানিয়ে ছেড়েছে!

আমি আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলাম, তিনি প্রচণ্ড আক্রোশ নিয়ে গড়গড় করতে করতে আমার ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেন। ভাবলাম ভাগ্যিস ঢেঁড়স চৌধুরীকে কৌশলে নানা বানিয়ে ফেলেছিলাম নতুবা আজকে আমার উপর দিয়ে ছাত্রের কল্যাণে অনেক ঝড় তুফান বয়ে যেত।

আমার বুঝা আমি বুঝে গিয়েছি ‘যেমনি বুনো ওল, তেমনি বাধা তেঁতুল’ কেউ কাউকে ছাড়ার পাত্র নয়। মনিন্দ্র লাল স্যারের তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছিলাম এই ছেলেকে মারের মাধ্যমে কাজ হবেনা।

চতুর্থ শ্রেণীর সিনিয়র ছাত্র ‘পলাশ’ কে মনিন্দ্র লাল স্যার পড়া না পাড়ার জন্য বেদম মার দিতেন। পলাশ, স্যারের দু’পা জড়িয়ে ধরত, তারপরও স্যারের তেজ কমত না। পাশের ক্লাসের ছাত্ররাও ভয়ে কদাচিৎ কান্না জুড়ে দিত। পলাশ দের গ্রামের সামনের বিলের মাঝখান দিয়ে যে রাস্তা সোজা চলে গেছে, সে রাস্তায় মনিন্দ্র লাল স্যারের বাড়ী। তিনি বাড়ীতে যাওয়ার পথে পলাশ তাদের পালা কুকুর টিকে স্যারের পিছনে লাগিয়ে দিতেন। স্যার দৌড়াতে দৌড়াতে নদী পার হতেন। পরদিন যথারীতি পলাশের উপর মনিন্দ্রলালের শাস্তি চলত, আর বাড়ী যাবার পথে পলাশ ঠিকই কুকুর ছুটিয়ে দিতেন। অতঃপর দুই জন একই বছর স্কুল ছাড়ে! একজন ছাত্রত্ব ছাড়ে অন্যজন শিক্ষকতা ছাড়ে।

ভাবলাম এই পাজি ছাত্রকে শাসন করতে গিয়ে উল্টো না জানি আমিই কিনা বিপদে পড়ে যাই। কেননা শিক্ষক মনিন্দ্রলাল স্যার আর ছাত্র পলাশের মাঝখানে আর কোন ব্যক্তি ছিলনা কিন্তু এই কেই সে নানা আর ছাত্রের মাঝে আমি আছি। বুঝলাম লক্ষণ আলবৎ ভাল নয়।

যাক, রাত্রে ছাত্রের মায়ের অনুরোধেই বেত্রাঘাত করতে বাধ্য হলাম। তিনিই অনেক গুলো বেত এনে দিয়েছিলেন। ততদিনে যথেষ্ট উপন্যাস-সাহিত্য পড়েছি এবং বহু তেড়া মানুষের ঘটনাও হজম করেছি, তাই জানতাম একে এভাবে গরু পিটুনি দিয়ে কাজ হবেনা। অন্যভাবে সোজা করতে হবে। এমরানকে সঙ্গ দিয়ে, গল্প বলে, আদর করে কিছুটা বুঝাতে পেরেছি বলে সক্ষম হলাম। সে আমাকে শিক্ষক হিসেবে পেয়ে এবং বন্ধুর মত আচরণ দেখে আমার দেওয়া গল্পের বই পড়েই সময় কাটাতে লাগল। পরবর্তীতে খাটুনী কাজ দিয়েছে, এর ফলে তার বাবা আমার এত ভক্ত হয়ে যায় যে, যা বলতাম তিনি তাই শুনতেন।

গ্রামের অন্য ছেলেরা তো আর ঢেঁড়স চৌধুরীর পিছু ছাড়ে নাই। তাদের পিছনেও কাজ করতে থাকলাম, এতে ফল হল বলে হল। সন্তানহীন ঢেঁড়স চৌধুরীও এসব বাচ্চাদের সাথে ভাব করতে চাইত, তিনি চাইতেন তাদের হাতে রাখতে কিন্তু এমন বেয়াড়া শিশুর দলে যে পড়বে তার নির্ঘাত ইজ্জত পাংচার না হয়ে পারেনা।

একদা কিছু শিশু গাছের ফাঁক দিয়ে আসমানের দিকে তাকিয়ে বলতে রইল, ঐ, ঐ-তো ঔই খানেই তো দেখা যাচ্ছে। এখনিই তো ছিঁড়ে পড়তে পারে, বিপদ হতে পারে! আরেক দল প্রশ্ন করে কোথায়? ঐ, ঐ-তো!

চলার পথে ঢেঁড়স চৌধুরীর আগ্রহ হল, শিশুরা কোন জিনিষটি নিয়ে এত ব্যতিব্যস্ত ও ভয়ে আক্রান্ত! তিনি প্রশ্ন করলেন, কি জিনিষ সেখানে? কয়েক জন বালক ইলেক্ট্রিক্যালের ঝুলানো তারের প্রতি তাঁকে নজর দিতে বলল। সাথে সাথেই ঢেঁড়স চৌধুরী ক্ষিপ্ত হলে বাচ্চাদের পিতা-মাতার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারে লেগে গেল। এই ফাঁকে বাচ্চারা পগার পাড়!

সাইকেলের চাকার স্পোক কে হুকের মত বাঁকা করে, ঢেঁড়স কে সুতার সাহায্যে বেঁধে, বিদ্যুতের কভার করা তারে লটকানো হয়েছে! একটি-দুটি নয়, বহু ঢেঁড়স বিদ্যুতের তারে লটকে আছে! কেউ আগে থেকে খেয়াল করেনি, তাই যথাযথ ভাবে নজর পড়ার জন্য বাচ্চারা এই নাটক মঞ্চস্থ করল। এসব ঢেঁড়স উদ্ধার করে ফেলে দিতে ঢেঁড়স চৌধুরী দু-দুটি দিন নষ্ট হল। যথারীতি দোষ আমার ছাত্রের উপর এসে গেল! মানে আমার উপরই বর্তাল। ছাত্র নিজে না করলেও, বুদ্ধি পরামর্শ সেই দিয়েছে বলে ঢেঁড়স চৌধুরী বিচার ডাকল। কেননা বাজারে তাদের রয়েছে বিরাটকায় সাইকেল-রিক্সার গ্যারেজ!

বিকাল বেলা সকল বাচ্চারা, মসজিদের পুকুরে ছিপার মাথায় ছোট বরশী বেঁধে মাছ ধরায় লেগে গেল। প্রত্যেকের হাতে একটি করে বরশী। তাদের হৈ হাঙ্গামার শোরগোল শুনে মনে হচ্ছিল প্রতি মিনিটেই মাছে বরশী গিলে নিচ্ছে। বাচ্চারা বরশীকে এমন কায়দায় পানি থেকে তুলে আনে, তাতে করে সপাং করে আওয়াজ হয় এবং বুঝা যায় মাছে বরশীর খাদ্য কামড়িয়ে ধরেছিল, বরশীকে টান মারতে না জানার কারণেই, মাছটি ছুটে গেল।

ঢেঁড়স চৌধুরী যথারীতি উপস্থিত। বরশীতে মাছ ধরার পদ্ধতি তিনি ছেলেদের চেয়ে বেশী জানেন। তাতে হবে কি? তার কাছে তো এমুহূর্তে কোন বাঁশের ছিপা নাই।

তিনিই প্রশ্ন করলেন, তোমাদের কারো কাছে কি অতিরিক্ত বরশী আছে?

একজন উত্তর দিল ‘হ’ আছে তো! ঐ যে ঐখানে রাখা হয়েছে। খাদ্য লাগিয়ে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে অনেক আগে থেকেই। মানুষের চেয়ে বরশীর সংখ্যা একটি বেশী। চৌধুরী সাহেব তো এই ধরনের একটি সুযোগ-সৌভাগ্যের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন! তিনি ভাবে গদগদ হয়ে বড়শিটিকে স্বযন্তে পানি থেকে তুলতে গেলেন।

ছেলেদের পাল আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। চৌধুরী সাহেব যথারীতি মুহূর্তে সিংহ মূর্তি ধারণ করে ছেলেদের পিছনে লাটি নিয়ে দৌড়ালেন। সকল ছেলেরা মুহূর্তেই উদাও! ছেলেরা চৌধুরী সাহেবের জন্য কায়দা করে যে, বরশীটি পানিতে চুবিয়ে রেখেছিলেন, সেটি পানি থেকে তুলতে গিয়ে দেখেন, মাছের বদলে বরশীর মাথায় বিরাট আকৃতির একটি ঢেঁড়স লটকে আছে!

চৌধুরীরা আদিকালের জমিদার, বিরাট বাড়ী, অনেক পুকুর, শান বাধানো ঘাট, অনতিদূরে মসজিদ। অতি সুন্দর পরিপাটি এলাকা, আমার দেখা গ্রাম গুলোর মাঝে আমার দৃষ্টিতে এই গ্রামটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। একদা চৌধুরীদের ক্ষমতা থাকতে, স্থানীয় মানুষকে হয়রানী করত। তাই একই গ্রামের বাসিন্দা হলেও মানুষের মাঝে কোথাও যেন একটি বিরাট পর্দা ঝুলে আছে। ওরা দাম্ভিকতা ছাড়তে পারেনি, এরাও তেঁদড়ামি ছাড়তে পারেনি। বড়দের কাছে এসব কথা শুনতে শুনতে বাচ্চারাও তাদের জন্য বিরক্তিকর প্রাণিতে পরিণত হয়েছে।

মানুষের কাজ দিয়ে যদি কারো অন্তরে স্নেহ-মমতার বাসা বাঁধতে না পারে তাহলে মানুষের জীবন অর্থহীন। এখানকার সব মানুষ শিক্ষিত হবার পরও অতীত আচরণের কারণে মানুষ গুলো বন্ধনহীন।

চৌধুরীদের আরেক ভাইকে বলা হত ‘ঢিলা চৌধুরী’। সময়ের বিবর্তনে বাংলা ‘ঢিলা’ শব্দটি ইংরেজি ‘স্ল্যাক’ হয়ে ‘ছলক’ এসে থামে। ছলক শব্দের জমানায় আমি সেই গ্রামে তশরিফ নেই। বাচ্চাদের দুষ্টুমি পরিবর্তনে কাজ করতে থাকি এবং এক পর্যায়ে বেশীর ভাগ বাচ্চাদের মসজিদ মুখি করতে সক্ষম হই!

ফজরের নামাজে সবাইকে ‘ছলাত’ বলে বলে মসজিদে আসতে তাগিদ দেই। কাজ হয়! মুসল্লি বাড়ে! বুড়োদের খবর নাই তবে শিশু মুসল্লির সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে রইল! একদা ‘ছলক’ চৌধুরী ফজরের নামাজের ওয়াক্তে বাচ্চা মুসল্লিদের উপর হামলে পড়ল। ছলক চৌধুরী আইন করলেন তাদের মসজিদে যেন আর বাচ্চা মুসল্লিরা নামাজ পড়তে না আসে।

ঘটনা কি? বিচারে জানা গেল, বাচ্চারা সকালে নামাজ পড়তে এসে ‘ছলক’ বলে বলে চিল্লায়। বাচ্চারা দাবী করল আমরা বলি ‘ছলাত’! মুহূর্তে ‘ছলক’ চৌধুরী উত্তেজিত হয়ে সবার সামনে বলল, শুনছ! তোমাদের সামনেই আমাকে বেইজ্জত করছে।

নামাজ শব্দের বিশুদ্ধ আরবি ‘ছলাত’ এটা চৌধুরী সাহেব জানতেন না, তাই তিনি শুনতেন বাচ্চারা হয়ত ‘ছলক’ বলছে!

ছাত্রজীবনের একটি পর্যায়ে যখন সে এলাকা ত্যাগ করি, ততদিনে বাচ্চারা সবাই নামাজী হয়ে গেছে কিন্তু মুরুব্বীরা অহর্নিশি আমাকে বদদোয়া করতে থাকে এই বলে যে, ‘সুন্নি মনে করে তাকে এলাকায় জায়গা দিয়েছিলাম! ছেলেদের নামাজী বানিয়েছে ভাল কথা কিন্তু সব ছেলেদের আকিদা বরবাদ করে দিয়ে, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বিরুদ্ধে ছেলেদের বিষিয়ে দিয়ে গেছে। এখন ছেলেরা পীর মানেনা! অলী মানেনা! এটাই হল সবচেয়ে বড় সর্বনাশ, যা কোনদিন শোধ করা যাবেনা।

বিষয়: বিবিধ

২৩৪২ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

345029
০৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

"কিশারদের দুষ্টুমিকে ইবলিশেও ডরায়"

আপনি যে 'সর্বনাশ' করেছেন তার 'শাস্তি' তো দুনিয়াতে শেষ হবেনা, পরকালের জন্যও অনেক বড় শাস্তি জমা রয়ে গেছে!!

এমন 'সর্বনাশ' করার সুযোগ সবার নসীবে জোটেনা!!

জাযাকাল্লাহু খাইরান...

০৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:২১
286266
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার তীর্যক মন্তব্য ভাল লাগল, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
345032
০৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:৫৪
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:২১
286267
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
345034
০৮ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:২২
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : "ঢেঁড়স চৌধুরী তার পা খানা আমাকে দেখিয়ে বললেন, দেখেন তো আপনার ছাত্র আমার পা ধরে মাফ চেয়েছে, নাকি তার ধারাল নখ দিয়ে আমার পায়ের চামড়াকে আঁচড়ে দিয়েছে!"
"ছেলেরা চৌধুরী সাহেবের জন্য কায়দা করে যে, বরশীটি পানিতে চুবিয়ে রেখেছিলেন, সেটি পানি থেকে তুলতে গিয়ে দেখেন, মাছের বদলে বরশীর মাথায় বিরাট আকৃতির একটি ঢেঁড়স লটকে আছে!"
মুখ চেপে হাসি আটকে রাখলাম, কারন অফিসে বচ আছে; তবে আমি সিউর এই ছেলেরা অবশ্যই মেধাবী, কারন এই ধরনের কাজ করতে হলে উপস্থিত বুদ্ধি লাগবেই।
কথা গুলো সবার মাঝে শেয়ার করে আনন্দ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
০৮ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৭
286283
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হাজারো কষ্টের মাঝে একটু হাঁসতে পারাটা অনেক কিছু। আপনার সুন্দর ও দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
345047
০৮ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
নাবিক লিখেছেন : ভালো লাগলো....
০৮ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
286288
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
345048
০৮ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যে বেশি চেতে তাকে বেশি চেতায়!!! এই হচ্ছে নিতি।
ইলেকট্রিক তারে ঢেঁরশ ঝুলানর মত ঝুঁকি নিতেও পারে বাচ্চারা। বাচ্চা নামাজি হয়েছে এতে কষ্ট! কেন পির পন্থি হয়নি। এমনই অবস্থা আমাদের।
০৮ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
286290
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সেই জায়গাটি এমন হুজুরদের ওয়াজ করা এবং হাত তুলে দোয়া করার সময় অনর্থক অপ্রয়োজনে হলেও বিভিন্ন ওলী-কুতুবের নাম নিতে হয়। সে যতই নামাজ পড়ুক, কোরআন পড়ুক না কেন, তাকে প্রকৃত মুসলিম তথা সুন্নী নয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যাবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
345066
০৮ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:১৫
শেখের পোলা লিখেছেন : চৌধুরীই বটে৷ জমিদারী গেছে কিন্তু মনের মধ্যে পুষে রাখা বৈষম্য সহজে যায়না৷ আমার এক কলিগ বলতেন, চৌধুরীদের আদী নিবাস সিলেট৷ অন্য জেলায় কোন চৌধুরী থাকলে তাদের পূর্ব পুরুষেরা সিলেট থেকেই এসেছে৷
বেশ মজার অভিঙ্গতা হল। ধন্যবাদঁ৷
345093
০৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০২:০০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ছাত্র এবং এলাকার ছেলে -পেলেরা দেখছি ভয়াবহ রকমের দুষ্ট ছিলো দেখছি! যথেস্ট হাস্যরসাত্নক ঘটনা যদিও এখন জানতে ইচ্ছে করছে সেই ছেলেদের বর্তমান কি অবস্থা! ভদ্র সুবোধ ছেলেতে পরিণত হয়েছে তো?

নামাযী হয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো! আমলনামায় অনেকগুলো সদাকায়ে জারিয়ার যোগফল বসিয়ে নিলেন আপনি!

শুকরিয়া!
345149
০৯ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১১:৫০
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
"কিশোরদের দুষ্টুমিকে ইবলিশেও ডরায়"
আপনি যে 'সর্বনাশ' করেছেন তার 'শাস্তি' তো দুনিয়াতে শেষ হবেনা, পরকালের জন্যও অনেক বড় শাস্তি জমা রয়ে গেছে!!
এমন 'সর্বনাশ' করার সুযোগ সবার নসীবে জোটেনা!! জাযাকাল্লাহু খাইরান...
345183
০৯ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:২৪
আফরা লিখেছেন : এত দুষ্ট বাচ্চা !! অনেক মজা পেয়েছি ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১০
345230
১০ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৩:১৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। বিশ্বাস করেন..... একই শিরোনামের দুটি লেখাই মনযোগ সহকারে পড়লাম, শিশুদের দুষ্টামির ঘটনা থেকে একটি জিনিস শিখলাম... তেড়ামীর হাজার প্রকারভেদ আছে যা প্রতিটি মানুষের মাঝে বিদ্যমান।

তেড়ামীর ঔষুধ খোজবো নিজের মাঝে....!!
১১
345293
১১ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৭:৩৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : "ছলাত আর ছলক " মজা পাইলাম ।
১২
345670
১৪ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৪
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : রসে ভরা লিখাগুলো ভাল লাগে। ধন্যবাদ টিপু ভাইয়া...............
১৩
345705
১৪ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৪৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : এধরনের ডিজিটাল ম্যাপ প্রথম শুনলাম। বাচ্চাদের দুষ্টামির বয়ানে আপনার ভাষা চয়নের দুষ্টামীও কিন্তু কম নয়। অনেক অনেক ভালো লাগলো, বাচ্চাদের নামায মুখি ও মাযার বিমুখ করলেন। জাযাকাল্লাহ খাইর
১৪
352647
০৪ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File