পিকনিক ট্যূর! চৈতন্য শাহের আস্তানায় (চেতনা ঠান্ডাকারী পিকনিকের শেষ পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:২৫:৫৮ দুপুর



জীপের কল্যাণে উঁচু, নিচু, খাড়া পথ বেয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ে পিকনিক ট্যুর চৈতন্য শাহের আস্তানায় পৌঁছে গেল। পাখির কোলাহল, গেছো ব্যাঙের ডাক, ভিঙ্গরাজের সুমধুর সূর, দূরে কোথাও আতঙ্কিত বানরের কর্কশ স্বর এবং ভূ-পৃষ্টের বহু উপরে দক্ষিণা বাতাসের মৃদু দোলায় যে কোন মানুষের মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। স্বচ্ছ ঝর্ণার মসৃণ পানির স্পর্শ ও মৃদু তরঙ্গ ধ্বনি, পাহাড়ি ফুলের অচেনা ঘ্রাণ, নৈসর্গিক নীরবতার শান্ত পরিবেশে চিন্তাশীল যে কোন মানুষকে কবি বানিয়ে ছাড়বে। শহুরে জীবনের দুষিত বাতাসে, যে জীবনে মনের মত করে শ্বাস নিতে পারেনি, সে এখানের ধূলি-দুষণমুক্ত পরিছন্ন একটি নিঃশ্বাস নিতে পারলেই বুঝতে পারবে দুর্বল দেহে প্রাণের শক্তি কত!

আস্তানায় পৌঁছে সামান্য চা পানের মাধ্যমে, যে যার মত করে কাজে লেগে গেল। ছাগল-মুরগী জবাই হল, তরি-তরকারী কাটা হল, চুলা বানানো হল, শুকনো লাকড়ি সংগ্রহ করা হল অতঃপর চুলায় আগুন জ্বালানো হল। কেউ জটিল পাহাড়ের পাদদেশে ছবি তোলায় মত্ত হল, অনেকেই উচ্চস্বরে মাইকে গান বাজিয়ে দিল। এই পাহাড়ের চিরাচরিত নীরব-নিস্তব্ধতাকে খান খান করে মাইকের কর্কশ ধ্বনিতে সারা বন প্রতিধ্বনিত হল। দূর দূরান্তের পাহাড়ের গায়ে লেগে প্রতিটি শব্দ পুনরায় উৎসের দিকে ফিরে আসছিল! এই অচেনা অজানা কর্কশ আওয়াজের সাথে পাহাড়ে বসবাসকারী অবুঝ প্রাণীদের পরিচয় ছিলনা। প্রাণীদের চিৎকার ও অস্বস্তিকর আচরণে বুঝতে বাকি রইল না যে, মানব সন্তানেরা এই হট্টগোলে আনন্দিত হলেও, পাহাড়ি জীবদের মাঝে বিরাট ছন্দপতন ঘটেছে। এটাতে তারা মোটেও খুশী নয়। বস্তুত মানবজাতি যে যায়গায় পা দিয়েছে, সেখানকার পরিবেশকে এভাবে, দুমরে-মুচড়ে একাকার করে নিজের অভিলাষকে চরিতার্থ করেছে।

যাই হোক, সবাই আনন্দের সহিত উদর পূর্তি করে খেতে পারল। কেউ দাঁত খিলালে মত্ত, কেউ শরীর এলিয়ে গলায় সূর তুলল, কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত, ঠিক সেই সময়ই মাথায় আসমান ভাঙ্গা খবরটি আসল! ড্রাইভার জানাল, যে পরিমাণ পেট্রোল আনা হয়েছিল, তা আসার পথেই শেষ হয়ে গেছে। তার অভিজ্ঞতা ছিলনা, পাহাড়ি উঁচু, নিচু, কাঁচা রাস্তায় আসতে যেতে কি পরিমাণ পেট্রোলের দরকার হবে।

সবাই উত্তেজিত, এই ভরা পেটে কিভাবে ১০ কিলোমিটার পথ হাঁটা হবে? গাড়ী অনেক জিনিষপত্রে বোঝাই, এসব গাড়ী ছাড়া কোনভাবেই টানা যাবেনা। এখানে কোন বসতি নাই যে, রাত্রি যাপন কিংবা জিনিষ পত্র কারো কাছে আমানত রেখে পায়ে হেঁটে যাওয়া যাবে! সবাইকে এক অজানা আশঙ্কায় ঘিরে ধরল।

বিজ্ঞ একজন সিদ্ধান্ত দিল, পাহাড়-তো উঁচু-নিচু পথে ভরপুর। সবাই মিলে গাড়িকে ঠেলে পাহাড়ের উপরে তুলবে, নামার সময় সবাই গাড়ীতে চড়ে বসবে, গাড়ী স্টার্ট ছাড়াই নিচে নামতে থাকবে, তাহলে আর তেলের চিন্তা কম হবে! আবার পাহাড়ের উপরে তোলা হবে, গাড়িতে চড়ে আবার পাহাড়ের নীচে নামা হবে। ৬ কিলোমিটার পরই সেই মাছ ধরার পাইন্যা ডেবা। সেখানে কয়েক পরিবারের একটি পাহাড়ি গাঁও আছে। কোনমতে সে গাঁও পর্যন্ত পৌঁছলে সিদ্ধান্ত হবে কি করা যায়।

গহীন অরণ্যে আতঙ্কে রাত কাটার চেয়ে, গাড়ী ঠেলে কাছাকাছি গ্রামে পৌঁছাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে সবাই সায় দেয়। পাহাড়ে গাড়ী ঠেলাটাকেও তরুণদের মনে একটা এডভেঞ্চারের মত হল। যথারীতি ড্রাইভার গাড়িতে বসল এবং অন্যরা ঠেলা শুরু করল। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে, সবাই গাড়িতে বসে গেল; ড্রাইভার গাড়িতে ব্রেক ছেড়ে দিয়ে সহসা নীচে নেমে গেল। গাড়ী নিজে নিজে এক হাত জায়গা বেশী গেলেও নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে লাগল। আবার ঠেলা হল, আবার চড়া হল, পুনরায় ঠেলা হল। দু-কিলোমিটার ঠেলা-ঠেলির এক পর্যায়ে কারো পেটে খিদে লাগল, কারো পিপাসা পেল!

ফিরে আসার সময় সকল জিনিষ পত্র নেওয়া হলেও, পানি আনা হয়নি! আসার সময়ও পানি আনা হয়নি কিন্তু কোন ঝামেলাও হয়নি কিন্তু প্রচণ্ড পরিশ্রমের এই খাটুনিতে সবাই পিপাসার্ত। গাড়ীর জ্বালানী তেলের দুশ্চিন্তায় শরীরের জ্বালানী তেলের কথা বেমালুম সবাই ভুলে গিয়েছিল! নিজেদের বোকামির জন্য নিজেদের ধিক্কার দেওয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর নাই। ধনী ঘরের দুলাল যারা খিদেয় অভ্যস্ত নয়, তারা গাড়ীতে রক্ষিত চাউল চিবিয়ে খেয়ে নিল। পুনরায় ঠেলা পর্ব শুরু হল। মার ঠেলা, হেঁইও! বাবারে বাবা, হেঁইও! ওদিকে এডভেঞ্চারে শক্তি যোগাতে, মাইকে গানের বিকট সূর যথারীতি চলতে রইল।

গাড়ী আরেক পাহাড়ের চূড়ায় উঠার মাঝপথেই, ঠেলারত তরুণদের গায়ে কেউ যেন গরম পানি ছিটিয়ে দিল! পানিটা কেমন জানি একটু দুর্গন্ধযুক্ত ও আঠাল মনে হল। উপরের দিকে তাকাতেই সবাই বুঝে ফেলল কি ঘটেছে এবং কপালে আর কি বাকি আছে। গানের বিকট শব্দে, একদল আতঙ্কিত উল্লুক ও হনুমান, একত্রে মিলে পিকনিক দলের উপর পুলিশের জল-কামানের মত প্রস্রাব স্প্রে করে দিল। গাড়ী ঠেলায় ব্যস্ত তরুণদের গায়ে। ভয় ও ঘৃণায় সবার মাঝে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল, ভাগ্যিস তারা কোনমতে গাড়ির চাকার নীচে জ্যাক দিতে সক্ষম হয়েছে।

খিদে, পিপাসা, উল্লুকের উপদ্রব ও কটু দুর্গন্ধযুক্ত অপবিত্র শরীর নিয়ে, আতঙ্কিত পিকনিক দল দিশাহারা হয়ে উঠল! হনুমান-উল্লুক এক নাগাড়ে চিল্লাতে রইল। নীরব ও জনশূন্য বনে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, কেউ বুঝে উঠতে পারছে না কি করা যায়।

এমনি চরম দুঃসময়ে কাঁধে পানির কলস নিয়ে এক উপজাতি চাকমার আগমন ঘটল! তিনি ড্রাইভারকে বললেন, মাইক বন্ধ করুন, তাহলে উল্লুক-হনুমান শান্ত হবে। মাইক বন্ধের কিছুক্ষণ পরেই প্রাণীদের আচরণে তফাৎ পরিলক্ষিত হল। ইত্যবসরে পানি পান করার জন্য সবাই পাহাড়িকে ঘিরে ধরল। পাহাড়ি জানালেন তার কলসে পানি নাই, আছে শরবত! পিপাসার্ত অনেকে বলল তাহলে তো আরো বেশী ভাল হয়, তা ভাই তোমার শরবতই দাও। পাহাড়ি এতদূর রাস্তা বয়ে আনা শরবত দিতে বেঁকে বসে। বলে এই শরবতে তোমাদের পিপাসা নিবারণ হবেনা।

যত টাকা চাও তোমাকে দেওয়া হবে, পাহাড়িকে অনুনয় করে জানাল। পাহাড়ি কথা এড়িয়ে যেতে চায়, এদিকে পিকনিক দলের পিপাসার্ত সদস্যদের কলিজা ফেটে যাবার দশা, ওদিকে পাহাড়ি শরবত প্রদানে অনীহাতে, পিকনিকের অনেকেই শক্ত করে বলল কোন অবস্থাতেই তোমাকে এখানে থেকে শরবত নিয়ে যেতে দেওয়া হবেনা।

আমতা আমতা করে অবশেষে পাহাড়ি বলল: ভাই এটা পিপাসা নিবারণের শরবত নয়, এটা হল ছোলাই মদ। আগের অর্ডার ছিল তাই সাপ্লাই দিতে যাচ্ছি। পাহাড়ির কথা শুনে, কি করা যায়, এই ভাবনায় সকলে একে অপরের চোখের দিকে তাকাতে রইল।

গাড়ীর ড্রাইভার সিটেই বসা ছিল। এতক্ষণ সে গাড়ী ঠেলাতেও ছিলনা, টানাতেও ছিলনা, তাই তার পিপাসা লাগার কথাও ছিলনা! ছোলাই মদের নাম শুনে তার পিপাসা যেন সবার চেয়ে বেশী বেড়ে গেল! সে পিকনিকে আগত দুজনকে রাজী করাল এই বলে যে, বিপদে সবই জায়েজ। সামান্য একটু পান করলে পিপাসা কেটে যাবে। তারা তিন জন মিলে একটু মদ দেবার জন্য, পাহাড়িকে পীড়াপীড়ি করতে রইল।

তারা বলতে রইল আধা গ্লাসে সমস্যা হবেনা, এটুকু মদ পান করতে পারলেই শরীরে বল ফিরে পাবে। পিপাসার জ্বালায় অনুরোধের মিছিলে আরো দুজন যোগ হল। জোড়া-জুড়িতে চাকমা অবশেষে কিছু মদ বিক্রি করতে রাজি হল। এতে দেখা গেল পানকারীর সংখ্যা আরো দুজন বেড়েছে, অর্থাৎ ড্রাইভারের সমর্থকের পাল্লা ভারী হতে রইল।

মদ পানের পরে, নিজেদের পিপাসা মিটার আগেই পানকারীদের মাঝে আলস্যতা ও তন্দ্রাভাব দেখা দিল। তারা বলল একটু জিরিয়ে নেই তাহলে গাড়ী ঠেলায় গতি আসবে। অন্য দল বলল এখুনিই চলতে হবে, জিরিয়ে নিতে গেলে এই লম্বা পথ চলার মত বল থাকবে না। এই ঘটনায় পুরো দল দুভাবে বিভক্ত হয়ে গেল। কেউ গাড়ী এখুনি ঠেলতে রাজি, কেউ রাজি নয়, কেউ কেউ বলতে রইল এখানেই রাত কাটাবে কপালে যা ঘটার ঘটুক!

যারা মদ পান করেনি, তারা গাড়ীতে রক্ষিত মালামালের মায়া ত্যাগ করে বাকী পথ পায়ে হেঁটে যাবার সিদ্ধান্ত নিল। বিকাল বেলা তারা পাইন্যা ডেবার পাশের সেই গ্রামে পৌঁছল, যেখানে সকালে মাছ-কচ্ছপ ও কুঁইচ্ছা ধরা হয়েছিল। তারা পানি পান করে আপাতত জীবন বাঁচালেন বটে কিন্তু খিদের যন্ত্রণায় পেট পিটের সাথে লেগে রইল।

পাশের পেঁপে ক্ষেতে কাজ করছিল এক বুড়ি, গাছে ঝুলছিল পাকা পেঁপে। তারা বুড়িকে প্রশ্ন করল, তার গাছের পাকা পেঁপে তাদের কাছে বিক্রি করবে কিনা? বুড়ি তার নিজের পেঁপে ক্ষেতের প্রতি কু-নজর দেবার জন্য চরম ভাবে ক্ষেপে গেলেন। বদ নজরের কারণে, তিনি গত বছর ভাল ফলন পাননি, এ বছরও সে একই কাহিনী!

তিনি চিল্লায়ে বলে উঠলেন:

‘এই তোরা কারা? তোদের বাড়ী কোথায়? এখুনি এখান থেকে চলে না গেলে, কুকুর লাগিয়ে মারব’ বলে উল্টো হুমকি দিলেন। প্রবাদে আছে, ‘যার জন্য নাই, তার জন্য নাকি রাজবাড়ীও খালি থাকে’। তাদেরও হয়েছে তাই। পকেটে টাকা, পেটে খিদে, গাছে বিক্রয়যোগ্য পেঁপে! কোনটিই উপকারে আসছেনা।

পথিমধ্যে এক বুড়োর সাথে দেখা। তাকে তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের কথা বলায়, তিনি তার ঘরে রক্ষিত পাকা কলা ও পেঁপে বিক্রি করতে রাজি হলেন। ঘরে গরুর খাঁটি দুধের দই আছে বলেও জানালেন। পিকনিক গ্রুপের এই বিদ্রোহী অংশের সদস্যের মনে দইয়ের কথা মনে পড়ে, আসমান পেয়েছে মনে হল।

তারা কৃষকের বাড়ীর সামনে জটলা করে দাঁড়ালেন, কৃষক কলার কাঁদি ও পেঁপে নিয়ে ঘরের বাহির হলেন। ইতিমধ্যে ছোলা মদ পান কারীদের একজন তথা সেই গাড়ীর এসিস্ট্যান্টও সেখানে উপস্থিত হল! তার শরীর দেখে মনে হল, মারামারি করে এসেছে। সে উল্টোপাল্টা কথা বলে, মাতলামির আচরণ করছিল! কৃষক বিলক্ষণ বুঝে ফেলল, আগে আসা ভদ্র ব্যক্তিরা এবং এই মাতাল সবাই একই দলের সদস্য! তিনি সরাসরি বলে দিলেন, ‘আমার ক্ষেত-খামারের পবিত্র জিনিষ আপনাদের মত মাতাল ও অসভ্য মানুষের কাছে বিক্রি করব না’। আরো বললেন, সকলে এখুনি যেন এ গাঁ ত্যাগ করে, নতুবা কি ঘটে যায়, তার নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারছেন না; বলে কড়া ধমক লাগালেন!

দু-একজন সঙ্গী সৎ না হবার কারণে, একজন সাধারণ কৃষকও তাদের কাছে, নিজের উৎপাদিত জিনিষ বিক্রি করতে রাজি হলনা। তাদের করারও কিছু ছিলনা, সবাই ছিল দুর্বল, অসহায়, খিদেয় কাতর। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে, গাড়ী পাহাড়ের ঢালুতে পড়ে আছে, সকলকে এখানেই রাত কাটাতে হবে। আগামী কালের সুন্দর সকাল নিয়ে তাদের মনে কোন নতুন আশা-ভরসা নেই। বুঝা গেছে এই গ্রামের মানুষ গরীব হলেও চরিত্রহীন কাউকে সহযোগিতা তো দূরের কথা, তাদের কাছে জিনিষও বিক্রি করবেনা। পাহাড়ের চিরাচরিত শান্ত প্রকৃতিতে মাইক বাজিয়ে উন্মাতাল করতে গিয়ে, উল্লুক-হনুমান-বানরের শত্রু হতে হল।

তারা আফসোস করে বলল হায়! সকালে কচ্ছপ ও কুঁইচ্যা গুলো মেরে যদি ফেলে না দিতাম, তাহলে এখন সেটা পুড়িয়ে খাওয়া যেত। কদাকার সে প্রাণীগুলো তাদের জীবন বাঁচাতে এখন কতই না উপকারে আসত। সবাই অসহায় চোখে একে অপরের দিকে তাকাল, সন্ধ্যার গাঢ়ত্ব যেন নিশুতি রাতের আঁধারের মত আরো ঘন ও কালো হতে লাগল.....।

প্রথম পোষ্ট পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন: পিকনিক ট্যূর! চৈতন্য শাহের আস্তানায় (চেতনা ঠান্ডাকারী পিকনিকের ঘটনা দুই পর্বে সমাপ্য)

বিষয়: বিবিধ

১৩৬৫ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339158
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৪
280567
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
339161
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
নাবিক লিখেছেন : হাহাহা অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৪
280568
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
339164
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বেশ উপভোগ্য। দারুন লাগল। Happy
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৪
280569
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
339168
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি ভালোই লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
280577
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
339188
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৯
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আপনি তো গ্যাঞ্জাম লাগাইয়ে দিলেন। গল্প শেষ করলেন না অথচ পর্ব শেষ করে পাঠকদের মনে পিপাসা তো আরো বাড়িয়ে দিলেন!!!
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:১৯
280584
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সম্ভবত আর সামনে যাওয়া ঠিক হবেনা, তখন এটি উপন্যাসে পরিনত হবে। পিকনিকের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়টাকেই সামনে আনা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২০
280586
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


ভীষণ অন্যায়!!!
গতকাল থেকে গত জুমআ পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করা হোক!!
339189
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২০
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


ভীষণ অন্যায়!!!
গতকাল থেকে গত জুমআ পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করা হোক!!
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩২
280592
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এই হরতালে আমিও হাজির থাকব, পিকেটিং এর স্থান জানিয়ে নুতন পোষ্ট দিন। অনেক ধন্যবাদ।
339235
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পিকনিক এর অ্যাডভেঞ্চার কিন্তু ষোল আনাই হয়েছে!! সেখানে শুনেছি এখন উল্লুক আর দেখা যায়না। জঙ্গল ও অনেক কমে গেছে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫২
280683
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : উল্লুক দেখা যাবে দূরের কথা, উল্লুখ নামে যে দেশে একটা প্রাণী ছিল সে কথাও অনেকে জানেনা! বন জঙ্গল কমার কারণে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে এবং হবে। আল্লাহ নিজেও বলেছেন, 'তোমরা পরিবেশ পরিবর্তন করনা'। অনেক ধন্যবাদ।
339243
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
শেখের পোলা লিখেছেন : শেষ পরিনতি বা বাড়িফেরার উপায় সম্পর্কে জানা হল না৷ তবুও উপভোগ্য হয়েছে ধন্যবাদ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫২
280685
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
339255
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : শেখের পোলা লিখেছেন : শেষ পরিনতি বা বাড়িফেরার উপায় সম্পর্কে জানা হল না৷ তবুও উপভোগ্য হয়েছে ধন্যবাদ।
সুযোগ পেলে সংক্ষেপে বাকি অংশটুকুও লেখার অনুরোধ রইল। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। জাযাকাল্লাহ খাইর
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৬
280686
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বাকিটুকু পড়ার যে আখাঙ্ক্ষা আপনার রইল, সেটি হল আমার পাওনা কিন্তু বাকীটুকু লিখতে গেলে ঘটনার শুরুতে যে আশা আখাঙ্ক্ষা ছিল, তখন সেটা থাকবেনা। তারপরও চেষ্টা করব, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File