জরুরী ঘোষণা, এক বিখ্যাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে - ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:৪৭:৪৭ বিকাল
মরে যাবার পর মুহূর্তেই মানুষ মরহুম হয়ে যায়। যদিও তখন সে ব্যক্তিকে কবরে দাফন করা হয় নাই। মরহুম অনেক ক্ষেত্রে উপাধির মত হয়ে যায়। অনেক টাকা দিয়া কবরের নেম প্লেট বাধানোর পরে দেখা গেল মৃত ব্যক্তির নামের আগে মরহুম নাই! লাখ টাকা গচ্ছা দিয়ে, কুড়াল দিয়ে মার্বেল পাথরের নাম ফলক ভেঙ্গে মরহুম যোগ করতে দেখেছি! একদা জেলাশহরের জাতীয় মাঠের বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণের কথা বলার সময় সভার পরিচালক প্রধান অতিথিকে মরহুম বলে ফেলেন
কেউ মারা গেলে আমরা 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' পড়ি। টিভিতে যখন খবর পড়া হয়, খবরের পাঠিকাও মৃত্যু সংবাদ পড়ার সাথে সাথেই ইন্না লিল্লাহ পড়েন! যদিও তার চেহারাও এর রেখাপাত হয়না। একদা পাঠিকা হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ পড়তে গিয়ে ইন্না লিল্লাহ কিছুটা বলে থেমে যান। বুদ্ধিমান পাঠিকা ‘সরি’ না বলে দোয়া শেষ করেন।
আমাদের সকলের বিশ্বাস এই দোয়ার ফল বা ফজিলত মৃত ব্যক্তির রূহের উপর গিয়ে পড়বে। কিন্তু আমরা কোনদিন কখনও ভাবি না যে, এই দোয়ার সাথে মৃত ব্যক্তির কোন সম্পর্ক নাই। অনেকেই জানেনা যে, এই দোয়াটি নিজের জন্যই পড়া হয়! চিন্তাশীল জ্ঞানী মানুষ যেন, কারো মৃত্যু দেখে উপলব্ধি করে যে, কোন মুহূর্তে তারও মৃত্যু হতে পারে।
এই দোয়াতে আমরা কি পড়ি: 'ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন'।
ইন্না লিল্লাহ – নিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য।
ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন – এবং নিশ্চিতই আমাদের তাঁর সান্নিধ্যে ফিরে যেতে হবে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘মুসলমান যেন দৈনিক ২০ বার যেন মৃত্যুর কথা স্মরণ করে’। আর এই মৃত্যু স্মরণ করার অন্যতম উপায় হল, কারো মৃত্যু দেখে যেন নিজের মৃত্যু সম্পর্কে সম্যক অবগত হয় এবং উপলব্ধি করে যে, ক্ষণকালের এই দুনিয়া থেকে যে কোন মুহূর্তে ছেড়ে যেতে হবে, তাই যেন সর্বদা প্রস্তুত থাকে।
সুতরাং বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষ হলে, তিনি হিন্দু, মুসলিম, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী যার মৃত্যুই দেখে, তিনি এই দোয়াটি এমনিতেই পড়বেন। কেননা তিনি মৃত্যুকে প্রত্যক্ষ করেছেন। আর অবোধ ব্যক্তি হলে, এই দোয়া পড়া না তার কাজে আসবে, না মৃত ব্যক্তির কাজে লাগবে। তাছাড়া টিভিতে, মসজিদের মাইকে, রিক্সায় চড়ে এই দোয়া পড়তে পড়তে যদি জগতের সকল মানুষের কান ঝালা-পালা করেও ফেলে তাতেও কোন লাভ নাই।
তাই আসুন, কোরআনের প্রতিটি কথাকে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি, রাসুল (সাঃ) প্রতিটি উপদেশকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করি ও মেনে চলি। তাহলে আমাদের মৃত্যুর পর কেউ এই দোয়া দয়া করে না পড়লেও আমাদের কোন দুঃচিন্তার কারণ থাকবেনা।
বিষয়: বিবিধ
৩২১৫ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
জ্ঞানার্জন ও অনুশীলন- দুটোতেই আমরা উদাসীন!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ওয়ালাই কুম সালাম, ওয়া রাহমাতউল্লাহ ওয়া বারাকাহ।
বস্তুনিষ্ট মন্তব্যের জন্য, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমরা এখন মৃত্যুর বিষয়েই সবচেয়ে গাফিল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন