সমাজে নাস্তিকতার জন্ম ও নৈতিকতার অবক্ষয়
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৩ আগস্ট, ২০১৫, ১১:৩৮:৩৮ সকাল
এরা নিজেদের লেখাপড়া করে চালাক হিসেবে ভাবতে শিখে। তবে হিন্দু যদি নাস্তিক হয় সে কিন্তু চিন্তায় হিন্দু থেকে যায়। খৃষ্টান ইহুদী নাস্তিকও একই। ওরা মুখে নাস্তিকতার বললেও তারা কিন্তু যে ধর্মে জন্ম নিয়েছিল সে ধর্মেরই প্রতিনিধিত্ব করে। আবার সে ধর্মের মানুষও সেই নাস্তিকের সৃষ্টি নিয়ে গৌরব বোধ করে।
যেমন কার্ল মাক্স নাস্তিক হলেও ইহুদীরা তাকে নিয়ে গৌরব করে, কেননা সে ইহুদী ধর্মে জন্মেছিল! মুসলমানের ক্ষেত্রে তার ভিন্নতা দেখা যায়। মুসলমানের ঘরে জন্ম গ্রহণ করে, নাস্তিকতায় বিশ্বাস করলে, সে দুনিয়ায় যত বড় খ্যাতিমান মানুষ হোক, চিরজীবন মুসলমানেরা তাকে ঘৃণা করে। পরিসর লম্বা হবে বলে উদাহরণ টানলাম না।
অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা লাভ, ভাল চাকুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, নষ্টামীতে সুযোগ সুবিধা দান, নিজের অনৈতিক কাজ লুকানোর আশ্রয় হিসেবেই নতুন ব্যক্তিরা, নাস্তিকদের আশ্রয় গ্রহন করে! এসব অন্য ধর্মের মানুষও করে থাকে, তবে তাদের ধর্ম নাস্তিকতার বিরুদ্ধে তেমন কঠোর হয়না, যেমন হয় ইসলাম ধর্ম।
ফলে মুসলমানের ঘরে জন্ম নেওয়া নাস্তিকেরা বেশী প্রতিকুলতাম মুখে পড়ে তাই এসব নাস্তিক ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্রাসী হয়ে উঠে। উপায় না থাকলে দাত দিয়ে ঠোঁট চেপে চুপ করে থাকে, সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সুযোগ আসলেই লুকায়িত আক্রোশ নিয়ে ইসলামী আকিদা বিশ্বাসে আঘাত হানে!
সে জন্য অন্য ধর্ম থেকে আগত নাস্তিকের চেয়ে মুসলমান থেকে সৃষ্ট নাস্তিক বেশী আগ্রাসী ও হঠকারী। বৈশয়িক স্বার্থ যোগ হলে তারা শয়তানের চেয়েও মারাত্মক হয়ে উঠে। গুপ্ত হত্যায় লিপ্ত হয় এবং শত্রুকে নির্মম কায়দায় দমন করতে উৎসাহ বোধ করে।
নাস্তিক শিক্ষিত হলে সে অনৈতিক কাজের বড় প্রতিভূ হয়ে যায়। পর্ণ ছবি তৈরী, মাদক সেবন সহ যত নোংরা নজির আছে, নাস্তিকেরা এসব কাজের উৎসাহ দাতা থাকে ক্ষেত্র বিশেষে তারা এগুলোর প্রতিষ্ঠাতা হয়। যে কোন ধর্ম জ্ঞান করা মানুষ এগুলো অপছন্দ করে। কিন্তু শিক্ষিত নাস্তিকের কারণে এসব সমাজের উপরের মহলে ছড়িয়ে পড়ে।
ফ্যাশন শো, সুন্দরী প্রতিযোগীতা এরাই করে থাকে। আবার সুন্দরীদের মেধাকে আরো তীক্ষ্ম করতে বান্দর বনের পাহাড়ে, জাফলংয়ের বনে, সেন্ট মার্টিনের বিশেষ বাংলোয়, হবু সুন্দরীদের আধুনিক হবার মন্ত্র পড়িয়ে উৎসাহ উদ্দীপনায় জোস তুলে রঙ্গীন তরল পানীয় খাইয়ে, মাতাল করে কতকিছু হয়ে যাবার ঘটনা আবার ক্যামরায় বন্দী করে, সময় সুযোগ মত সেই সব সুন্দরীদের ব্লাক মেইলিং করে নির্দেশ পালন করানো, নিজেদের গোপন ব্যবসার স্বার্থ-সিদ্ধি সব এই সব নাস্তিকদের অন্যতম দক্ষতা।
পৃথিবীর ইতিহাসে, নাস্তিকের হাতে অন্য ধর্মের মানুষ যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত তার চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, মুসলমানেরা। সুতরাং নাস্তিক্য বাদ কে সাধারণ জ্ঞান করা মোটেও উচিত নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৭৮১ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাস্তিক সবগুলোই ছুপা হিন্দু শিবের বিশেষ অঙ্গের পুজারী
'আকল মান্দ ইশারা বাসদ
বে-আকল মান্দ ঠুসা বাসদ'
মানে আকল দারকে ইশারায় যখেষ্ট, বে-আকল কে ঠুসি মেরেও বুঝানো যাবেনা।
সেই জন্যই এককথায় অনৈতিকতা লিখেছি। নাস্তিকদের কাজের ফিরিস্তি লিখতে গেলে তো ভারতের বিখ্যাত কাম সাস্ত্রের জনক, কি যেন নাম?...... যাক, নাম নাই বা নিলাম, সেই ধরনের আরেকটি শাস্ত্র হয়ে যাবে। অনেক ধন্যবাদ।
এগনস্টিক না আনশিওর হতে পারে।
নাস্তিকতা বেশীরভাগ হয় হিংসা থেকে। আর বাংলাদেশের গুলো ত' সিম্পলি ইসলাম বিদ্বেষী চরম frustrated লোকজন।
অপছন্দনীয় সত্য কথাটি বললেন। অনেক ধন্যবাদ।
যাক, এসব মানুষ প্রকৃতই বদ খাসয়তের মানুষ। দুভ্যার্গক্রমে আমি প্রায় সকল ধর্মের নাস্তিক দেখা ও তাদের সাথে কম-বেশী উঠা বসার সুযোগ হয়েছিল। গাঞ্জা টানার সুবির্ধার্থে তাদেরকে মাইজভাণ্ডারের ভক্ত সাজতেও দেখেছি। লালনের দেহ স্থানে যে সকল শিক্ষিত মানুষদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখবেন, তাদের কে তলিয়ে দেখলে বুঝতে কোথাও কোথাও তাদের সাথে গাঞ্জার সম্পর্ক আছেই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আঁর বাপ দাদার চৌদ্দ গোষ্টী বিয়াক্কুন বাশের টেয়াঁরা দি ছাল বানাইয়্যারে জোনার চা’নীর নিচে বসবাস গরি জিন্দেগী ফার গরি দিয়্যিই। শীতহালে হালাইট্ট্যা দিয়েরে চুলাৎ অউন ধরাই রং চা ইঁজাইয়্যেরে নাইরকুলের মালার তৈরী ফেয়ালা ফুরাই চা লইয়েরে কড়ই দিয়ে ন হাইলে ইতিরার বেইন্যা ফজরত্তুন হাজ শুরু ন অইতো। এহন জবানা ফাল্টি গেইয়্যি। এই যুগ’র ফোয়া-চা’রে হালাইট্ট্যা আর নারিকুলের মালার তৈরী ফেয়ালা+চামিচের হতা হইলে চউক উল্ডাই চায়!!!
ধর্ম তথা সৃষ্টিকর্তা ও পরকালে বিশ্বাস করে না নাস্তিকেরা ।
আল্লাহ তায়ালা মানুষ ও জিনের বিচার করবেন এবং এদের জন্যই জান্নাত জাহান্নাম ।
অন্যান্য সৃষ্ট জীবের জন্য এগুলো না । মরার পর তাদের সবকিছুর সমাপ্তি ।
নাস্তিকেরা নিজেদেরকে পশু জাতীয় কিছু মনে করে।
বাঙ্গালীর মত অন্য জাতিতে এত নাস্তিক নেই।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
চট্টগ্রামে তথা বাংলাদেশে প্রথম বাংলা সংবাদ পত্র যিনি চালু করেছিলেন, তিনি ছিলের মাওলানা মনিরুজ্জমান ইসলামাবাদী। মাওলানা আকরাম খাঁ কলিকাতা থেকে সংবাদ পত্র প্রকাশ করেন। ড। মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আলেম ছিলেন। তিনি পৃথিবীর ২১ ভাষায় কথা বলা ও ১৮ ভাষার ব্যাকরণ জানতেন!
ওদিকে অধিকাংশ আলেম সমাজ উর্দু ও ফার্সীকে আঁকড়ে ধরে থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে মাতৃভাষা বাংলার উপর তাদের ক্ষমতা হ্রাস পায়। আলেমেরা ইংরেজীকে ঘৃণা করে আগেই পিছিয়ে পড়েছিল, পড়ে মাতৃভাষা অবহেলা করে অন্যের হাতে তুলে দেয়। এটা আমাদের মহান মুরুব্বীদের বিরাট ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। ভাষার ক্ষেত্রে এই যে বিরাট 'ফাঁক' সৃষ্টি হয়েছে, তার সুযোগ নিয়েছেন খোদ্রাদোহীরা।
পৃথিবীতে বাংলা ভাষার অবস্থান কোথায়, সেটা কোন ধরনের ভাষা তার উপর একটি গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট আছে। যদি সময় থাকে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন, আশা করি খারাপ লাগবে না। নিচে লিঙ্কের ক্লিক করুন।
বাংলা আমার মাতৃভাষা, মেঘের আড়ালে ঢাকা
অনেক ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ..
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য।
যারা এদের বই পড়ে নাস্তিক হয়, তারা বিভ্রান্ত ব্যক্তি। এদের পর্যালোচনাক করার কোন জ্ঞান নাই। তাদের গুরুরা বলেছে, সেটার উপর ভিত্তি করেই সেও বলেছে। এদের সবাই ইসলাম বিদ্ধেষী। অন্য কথায় ভাড়ায় খাটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি। অনেক ধন্যবাদ।
আমি মনে করি এটাই সর্বোত্তম কথা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভারতে কমিউনিষ্টেরা ভাল করে সে কারনেই। ভারতীয় কমিউনিষ্টেরা ধর্ম না মানলেও ধর্মের বিরোধীতা করেনা। ফলে তারা এখনও বহাল তবিয়তে টিকে আছে। বাংলাদেশী কমিউনিষ্টেরা ধর্মের বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজেরাই অতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ জনমন্ডলীতে পরিনত হয়েছে। ফলে নিজের অস্থিত্ব ধরে রাখতে বড় দলের লেজুর বৃত্তি করে। অনেক ধন্যবাদ।
(তবে আমি এপর্যন্ত যতগুলী নাস্তিক দেখেছি, সাবাইকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসাবেই দেখেছি)
বাংলাদেশী কমিউনিষ্টেরা বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠি তথা ইসলাম ধর্মের বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজেরাই অতি ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ জনমন্ডলীতে পরিনত হয়েছে। ফলে নিজের অস্থিত্ব ধরে রাখতে বড় দলের লেজুর বৃত্তি করে। অনেক ধন্যবাদ।
ঈমান না থাকায় শয়তাও তাদের মাইনাচের খাতায় লিখে রেখেছে।
শয়তান যেমন ইসলামকে ধর্ম হিসেবে গন্য করে তেমনি মানুষেরাও। ইসলামের বিরুদ্ধে বললেই কৃয়া প্রতি কৃয়া হয়। আর এ থেকে টু পাইস কামানোর সুযোগও নাস্তিকদের বেশী।
লাভজনক বিজনেস বিধায় সব ধর্মের নাস্তিকদেরই শুধু ইসলাম নিয়ে মাথা ব্যাথা।
ধন্যবাদ।
কিছু কার্টুন ছবি প্রকাশ নিয়ে....! তিনি নিজেরটা ছাড়া অন্য কারো কথা গ্রহণ করতে রাজি নয়। আপনাকেও ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন