আবদুল কালামের মহাপ্রয়াণ ও একজন মুসলমানের অবদান
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২৮ জুলাই, ২০১৫, ০১:০৪:১৩ দুপুর
গুজরাট হামলার মূল লক্ষ্য ছিল, মুসলমান ব্যবসায়ীদের সমুদয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো হিন্দুদের দ্বারা করায়ত্ত করানো। কেননা গুজরাটে হিন্দু জনসংখ্যা বেশী হলেও সিংহ ভাগ ব্যবসা মুসলমানদের করায়ত্ত ছিল। গুজরাটি মুসলমানেরা ছিল পেশাগত ব্যবসায়ী, যার কারণে শত বছরের ব্যবধানেও তাদের দমানোটা হিন্দুদের জন্য কঠিন ছিল। গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদ। সুলতান আহমেদ শাহের ৩২ বছরের শাসনামলে মাত্র দুইটি খুনের ঘটনা ঘটে, তার বিচারও হয়েছিল। ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা শাসনকর্তা আহমেদ শাহ বর্তমান গুজরাটের গোড়াপত্তন করেছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদী তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি খুবই খট্টর ধর্মীয় গোঁড়ামি দ্বারা পরিচালিত ছিলেন। তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী মোদী গুজরাটি মুসলমানদের সম্পদ হিন্দুদের পাইয়ে দিতে, ইতিহাসের ভয়াবহ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।
গুজরাটি বদনামের ফলে মোদীর পাশ্চাত্য ও মুসলিম দেশে ঢুকা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ঘটনাটি গুজরাটে ঘটলেও, জীবন্ত মানুষ জ্বালানো, মুসলমানদের বাড়ী-ঘর, সহায়-সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ উগ্র হিন্দু কর্তৃক দখলের দৃশ্য সারা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করায় এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একপ্রকার নীরব সম্মতি প্রদর্শনে সারা দুনিয়ায় বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি ব্যাপক ক্ষতি হয়।
(উল্লেখ্য বর্তমান আওয়ামী সরকার একই পদ্ধতিতে দেশে জামায়াত-শিবির কর্মীদের যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো দখল কিংবা নিজেদের প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের দখল মুক্ত করার গোপন এজেন্ডা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব কুটচাল হল উগ্র হিন্দুদের থেকে প্রাপ্ত থিউরি। যেহেতু দুনিয়াতে, জাতি সংঘে এসব বিষয় মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে পড়েনা, তাই বার্মা সরকারও এটা রোহিঙ্গাদের উপর চালানোর সুযোগ নিচ্ছে। যাক আমার পটভূমি ভিন্ন)
আরব দেশে ভারতের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান সরাসরি হিন্দুদের ধর্মীয় উপকরণের নামে প্রতিষ্ঠিত। গুজরাটে মুসলিম নিধনের কারণে প্রথমে এই প্রতিষ্ঠান গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে সে সব প্রতিষ্ঠান ক্রেতার অভাবে খাঁ খাঁ করত। মানুষ নিজের গরজে, এ জাতীয় আর কি কি প্রতিষ্ঠান আছে, সে সবের তালিকা বের করে, তাদের নিকট থেকে দূরে থাকতে রইল। ফলে শুধুমাত্র ক্রেতার অভাবেই বহু ভারতীয় প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। ভারত সরকার এই ধরনের সমস্যা ও ধকল থেকে মুক্ত হবার জন্য রাস্তা খোঁজতে রইল।
মুসলিম দেশের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য, ভারত সরকার পথ খুঁজতে থাকে। তখনই তারা চাণক্য বুদ্ধিটি কাজে লাগায়। নামে মুসলমান, জন্ম মুসলমানের ঘরে, দেখতে ভদ্র, কথায় মহা পণ্ডিত, যোগ্যতায় বিশ্বসেরা, চিন্তায় একজন পরিপূর্ণ হিন্দু জনাব আবদুল কালাম সাহেবকে পেয়ে যায়। ভারত সরকার বুঝাতে চেষ্টা করল, কোন এলাকায় মুসলিম নিধন হলেও কেন্দ্রিয় সরকার মুসলমানদের প্রতি উদার এবং তাদের ক্ষমতায়ানের প্রতি সজাগ! প্রকৃত হিন্দু রাষ্ট হলেও ভারত একজন মুসলমানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার মত উদারতা দেখাতে পারে! সফলাতার সহিত তাই করা হয়েছে। আবদুল কালামকে বরশির মাথার খাদ্য বানিয়ে, পুরো দুনিয়াকে বেকুপ বানিয়েছে। আবদুল কালাম তাঁর নাম ও কামের শতভাগ সুফলতা, সাফল্যের সাথে অর্জন করতে সক্ষম হন। একজন মুসলমান প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তিনিই গুজরাটের বিচার করার ব্যবস্থা করবেন, অন্যদের আর চিল্লানোর দরকার নাই, পরিশেষে বিষয়টি মৃত্যু বরণ করেছে। আবদুল কালাম প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমে, আরব দেশ ভ্রমণ করেন কেননা ব্যবসায়িক ঘাপলাটা আরব দেশেই বেশী প্রভাব বিস্তার করেছিল!
গুজরাট হামলা নিয়ে ভারতের তদানীন্তন মুসলিম প্রেসিডেন্ট আরো মারাত্মক আগ্রাসী ছিলেন। তিনি দেশের সর্বোচ্চ পদে বসে এসবের বিচারের কোন ব্যবস্থা তো করেন নাই কিংবা বক্তৃতা বিবৃতিও দেন নাই! কোনদিন অসহায় গুজরাটি মুসলমানদের খবর নেন নাই, কোন মুসলিম প্রতিনিধি দলকে দিল্লীতে ডেকে এনে প্রশ্ন করেন নাই, আসলে গুজরাটে কি ঘটেছিল! তিনি হিন্দু তথ্য দাতা ও পরামর্শক দের কান কথায় প্রভাবিত হয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘গুজরাটের দাঙ্গার দায় নাকি মুসলমানদের’! পুরো দুনিয়া কি দেখল আর তিনি রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসে কি বললেন! মূলত তাঁর দাদা যে তার নামটি ‘আবদুল কালাম’ তথা ‘কথার গোলাম’ রেখেছিলেন। তিনি পুরো জীবনে অক্ষরে অক্ষরে ভারতের জন্য তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
মুসলমান ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজের বেলায় বলেছেন, আমার কাছে ‘আল হামদুলিল্লাহ’ সুরাটি মুখস্থ আছে। এখনও বলতে পারব! কুলহুআল্লাহু লিল্লাহ সুরাটিও (হবে, কুল-হু আল্লাহু আহাদ) মুখস্থ ছিল। ছোটকালে এগুলো মা থেকে শিখেছিলাম কেননা আমার মা ছিল আমার নিকট পূজনীয়! তাহলে পাঠক বুঝতেই পারেন তিনি ইসলাম সম্পর্কে কি জ্ঞান রাখেন। বিপরীতে ছাত্রাবস্থায় তিনি বিদ্যাবান হবার জন্য সকালে সরস্বতী দেবীর পদতলে ভোগ দিতেন, মন্দিরে যেতেন, পূজা দিতেন.... ইত্যাদি।
তাঁর কিছু উক্তি খুবই আকর্ষণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। এসব উক্তিগুলো শিক্ষার্থীদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাঁর লিখিত বইতে এসব উক্তিতে ভরপুর। ফলে তাঁর সাহিত্য পড়তে গেলে তাঁর প্রতি ভিন্ন ধরনের একটি শ্রদ্ধা আসবেই। তবে তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সর্বদা ভারতের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে তিনি আর্ন্তজাতিক হতে পারেন নি! পানি স্বার্থে তিনি যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন সেটা প্রতিবেশী দেশকে উৎপীড়নের পর্যায়ে নিয়ে যাবে। টিপাই মুখে বাঁধ দেবার তিনি ঘোর সমর্থকদের একজন, যেটা হলে বাংলাদেশের বিশাল অঞ্চলে পানি শুন্যতা নতুন করে বাড়বে।
বিজ্ঞ ও পণ্ডিত মানুষের চিন্তা ও কথায় উক্তির সৃষ্টি হয়। তাঁর একটি উক্তি হল, যে অন্য মানুষকে চিনে সে হল পণ্ডিত, যে নিজেকে চিনে, নিজের ভুল কোথায় তা ধরে শুধরাতে পারে সে হল জ্ঞানী’। সে হিসেবে আবদুল কালাম নিঃসন্দেহে একজন পণ্ডিত মানুষ ছিলেন কিন্তু তিনি পরিপূর্ন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন না। কেননা তিনি নিজেকে চিনতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। শুধুমাত্র ক্ষমতার চেয়ারে বসে সুন্দর সুন্দর বাক্য বলেছেন কিন্তু অসহায় স্ব-ধর্মের মানুষের জন্য কোন ভূমিকা রাখেন নি।
সাদামাঠা মূল্যায়ন:
১. তিনি শিক্ষার্থী হিসেবে মেধাবী ছিলেন তবে সর্বদা সুবিধাবাদিনিতী অনুসরণ করেছেন।
২. তিনি নামে মুসলিম রাষ্ট্রপতি হলেও, উগ্র জাতীয়তাবাদ ও কট্টর মৌলবাদের ঘোর সমর্থক ছিলেন।
৩. তিনি নামকরা গবেষক ও উদ্ভাবক, তবে তাঁর উদ্ভাবিত সকল অস্ত্রই মুসলমান নিধনে ব্যবহৃত হচ্ছে ও হবে।
৪. তিনি একজন পরমাণু বিজ্ঞানী কিন্তু বই লিখেছেন পানি সম্পদের উপর! যে বইয়ের বিষয় বস্তু হল সমুদয় পানি আটকিয়ে ভারতের স্বার্থ উদ্ধার ও প্রতিবেশী বিশেষ করে বাংলাদেশীদের শুকিয়ে মারা। যা আন্তর্জাতিক আইনে চরম অন্যায় ও অন্যায্য পরামর্শ।
উপরোক্ত গুনগুলোর কল্যানেই, একজন মুসলিম নামধারী ব্যক্তি পরিপূর্ন হিন্দু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হবার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ঠিক মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তেও উম্মতের জন্য দিক নির্দেশনা দেবার তাকিদ বোধ করেছেন। তিনি মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় উম্মতের জন্য কয়েকটি শেষ উপদেশ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল, ‘কোন মুসলমান অন্যে জাতির পক্ষ হয়ে, তাদের ওকালতির নিমিত্তে যদি তোমাদের সাথে দেন দরবার করে, তাহলে ধরে নিবে সে তাদেরই লোক, মুসলমানদের কেউ নয়’।
সুতরাং আবদুল কালাম মুসলমানদের কেউ নয়। তিনি ভারতের খট্টর হিন্দুদের শিখণ্ডী ছিলেন মৃত্যু অবধি তিনি এই কাজেই মনোনিবেশ করেছিলেন।
ছবিতে যে উক্তিটি দেওয়া হয়েছে, তার বাংলা হল, "তোমরা ঘুমের মাঝে যা দেখ সেটা স্বপ্ন নয়, যা বাস্তবায়নের প্রেরনায় তোমার চোখ দুটো তোমাকে ঘুমাতে দেয় না, সেটাই প্রকৃত স্বপ্ন"
বিষয়: বিবিধ
২৩৯৩ বার পঠিত, ৫৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি আগেই বলেছি, তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বেশী গ্রহনযোগ্য। আমি সবুজের লিখাটা এখনও পড়িনি তবে আমি জ্ঞানপাগল সবুজকে ভালকরে চিনি। তিনি হয়ত আবদুল কালামের জ্ঞানময় কথাগুলোই প্রাধান্য দিয়ে থাকবেন। কারণ সবুজকে জ্ঞানের জন্য তন্ময় হয়ে যেতে দেখেছি। অনেক ধন্যবাদ।
কিন্তু তার হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর খবর নিয়র আমাদের ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় যা হল - তাতে ব্যথিতই হয়েছি ।
আল্লাহ উনাকে উনার প্রাপ্য পুরষ্কার প্রদান করুন - আমিন।
তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন একজন ভারতীয় হিসেবে, মুসলমান নয়।
তাই তার আচরন এমন হয়েছে।
তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
শুনেছিলাম সে নাকী গীতা পড়তে পারতো কোরআন পড়তে পারতোনা , এমন মুসলমান
আর ভারত প্রেমের কথা বলেছেন, সেটা তিনি যখন ডিগ্রী পাশ করেছিলেন তখনই প্রমান দিয়েছিলেন। মুসলমান শত্রু দ্বারা পরিবেষ্টিত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ন আনবিক সংস্থায় কোন ইমানদার মুসলমানের জায়গা হবার কথা নয়। অনেক ধন্যবাদ।
অন্যদিকে রয়েছে আরেকজন আব্দুল যার কামই হলো সংখ্যার বিচারে দেড়শ কোটিরও বেশী, মুল্লুকের তুলনায় বায়ান্নাটি দেশ- স্বজাতীর হাতে দিল্লী কা লা্ড্ডু তুলে দেয়ার কারণে তামাম দুনিয়ার সমস্ত মোড়ল-মাতুব্বুর তার উপর রেড এলার্ট জারি করলো। এমনকি স্ব-জাতির মোসাহেবজাদা বুশাররফ মশাই অনেকটা রাস্তার বাশ নিয়ে নিজের পশ্চাতে ডুকানোর মতো মহৎ! কর্মটি করতে দ্বিধা করলেন না!!! শুনেছিলাম কুদরতওয়ালার গোলাম মশাই সে সময়ে কুদরতওয়ার দিদার লাভের আশায় তার ঘর জিয়ারতের উমীদ করেছিল লেকীন খাদেমুল হারামাইন আশ শরীফাইন এবং বুশারারফ মশাই তার মতো একটা অপযাচকের! হাত পায়ে লাগানো বন্ধী শিকলের তালার চাবি নাকি মহা মাতাব্বর আমেরিকা এবং তার লোকাল খাদেম সেই কথার গোলামের সুবিধাভোগী চাণক্যের সূর্যসন্তানদের হেফাজতে রেখেছিলেন।
একজন বরেণ্য ও বিরল প্রতিভাধর ব্যক্তির সাথে কি অমানবিক আচারণ করা করেছে? সয়ং যিনি স্বাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনিও খেদেছেন।
আপনার উপরোক্ত কথার সাথে আমার কোন দ্বিমত নাই। দেশপ্রেমিক ব্যক্তি হিসেবে তাঁর স্থান বহু উচ্চে। ফলে আজ তিনি সেই সম্মান পাচ্ছেন। মহাত্মা গান্ধীর সমালোচনা করার মত বহু মানুষ ভারতে আছে কিন্তু আবদুল কালামের সমালোচনা করার কোন মানুষ ভারতে নাই। দুই একটা থাকলেও তারা সবাই মুসলমান।
আর দ্বিতীয় ভাগে বলেছেন এর ডঃ জাকির হুসাইন ও ফখরুদ্দিন আলি আহমদ আপনার এই তথ্য গুলোর সাথে আরো কয়েকটি তথ্য যোগ করতে চাই। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। উপমহাদেশ খ্যাত ইউনানী চিকিৎসক মাওলানা হাকিম আজমুল খান কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন। এরা ব্যক্তি জীবনে পাক্কা মুসলমান ছিলেন। মানুষ তাদের সমালোচনা করেনি কেননা তারা আশায় বুক বেধেছিল হয়ত এসব মানুষের হাতে ভাগ্যাহত ভারতীয় মুসলমানদের কল্যাণ হবে, নয়ত পদ ছেড়ে চলে আসবে। আপনার দুইজন সহ অন্যরা আজও সম্মানিত।
প্রেসিডেন্ট হবার পর শুরুতে আবদুল কালাম তার ধর্ম বিশ্বাস ও ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন। সেটাতে হিন্দুরা খুশী হয়েছিল আর মুসলমানেরা বলেছিল, 'হায় হায় সর্বনাশ! এই ব্যক্তি মুসলমানের নাম বহন করে হিন্দুর কল্যানে কাজ করবে'।
এটা মুসলমান জনগোষ্ঠির ধারনা ছিল কিন্তু গুজরাট ইস্যুতে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, তাতে মানুষের ধারনাটি প্রতিষ্ঠা পায়। সে কারনে অন্যান্য মুসলিম নেতাদের মত তিনি ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যমণি হতে পারে নি।
মূলত আপনার মন্তব্যের সাথে আমার কোষ সংঘর্ষ নাই। একজন মানুষের বহু দিক থাকে, আমি তাঁর ধর্মীয় দিক তুলে এনেছি।
তিনি মৃত্যুকালেও বিনা বেতনে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অথিতী হিসেবে শিক্ষকতা করতেন এবং এ জাতীয় একটি ক্লাসে পাঠদান রত অবস্থায় মারা গেছেন!
আমাদের দেশের নেতাদের এই ধরনের দেশপ্রেম নাই। ফখরুদ্দীন দেশপ্রেমে উত্তেজিত হয়ে আমেরিকা থেকে উড়ে এসে ক্ষমতা নিয়েছিলেন, এখন কি তার কোন খবর আছে! তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয় টাকায় ড। ড্রিগ্রী নিয়া ছাত্রদের কে ২৫ পয়সার শিক্ষা ও দেন নাই! সেই হিসেবে আবদুল কালাম বহু গুন বেশী মর্যাদা সম্পন্ন। কোন সন্দেহ নাই। অনেক ধন্যবাদ।
সুতরাং আবদুল কালাম মুসলমানদের কেউ নয়। তিনি ভারতের খট্টর হিন্দুদের শিখণ্ডী ছিলেন মৃত্যু অবধি তিনি এই কাজেই মনোনিবেশ করেছিলেন। আমারও নিজের ধারনা ছিল, সে মুসলিম ছিল না।
যাক দুই জনের মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়ে মোটামুটি বুঝলাম, দু'জন দুই দিক বিবেচনা করে ভিন্ন মেরুকরণে দুটি পোষ্ট লিখেছেন।
সবুজ ভাই ব্যক্তি আব্দুল কালাম সম্পর্কে লিখেছেন,
টিপু ভাই নামে মুসলিম আব্দুল কালাম সম্পর্কে লিখেছেন।
অতএব দু'জনের দুটি পোষ্ট অনেক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্ব বহন করে।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
যে কোন বিষয়ের উপর মন্তব্য করতে তাকে বই পত্র খুলে পড়তে হবেনা। তার মাথায় যা আছে সেখান থেকে উত্তর দিতে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের প্রস্তুতির দরকার হবে।
সবুজের উদাহরণ সবুজ নিজে। গত ২৩ বছরে সবুজের সাথে কোনদিন দেখা হয়নি, ফলে তার প্রকৃত নাম তথা রিদওয়ান কবির' নামটি আমি ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু সবুজ নামটি ঠিকই মুখস্ত ছিল। ব্লগে লিখালিখিতে তার পরিচয়, তখন ভাবতাম এই ধরনের মন্তব্য করার যোগ্যতা শুধু সবুজেরই ছিল, আর কারো নয়। পরে দেখলাম ঠিকই সবুজ। আমার ধারাবাহিক পর্বে সবুজকে নিয়ে অনেক কথা থাকবে, আশা করি পড়বেন। যাক, তার তথ্য বহুল মন্তব্যে আমার সাথে দ্বিমত নাই। আমি তার মন্তব্যের জবাব দিয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সল্প সময়ের মধ্যে যে তথ্য দিয়ে পোস্ট দিলেন তা অতুলনীয়!! সত্যি অসাধারণ আপনার লেখনীর দ্বারা....।
খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাটি। ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান পোষ্টটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
- গীতাকে ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে মূ্ল্যায়ন করলে, তাকে মুশরিক হয়ে যেতে হবে।
জানিনা তিনি এই গ্রন্থটিকে কি হিসেবে নিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ।
এই কথার পর আর কোন মন্তব্য চলে না! ধন্যবাদ..
One Indian Abdul Kalam tried his best to do better for India! I salute that! However when a Bangladeshi acst AGAINST Bangladeshi Interest or a Muslim acts Against Muslim interest, How do you LIKE it! Watch out !!
জনাব তিমির মুস্তফা আমি আপনার দ্বিতীয় কথার সূত্র ধরেই মন্তব্য করেছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম একজন মুসলমান হিসেবে তিনি অসহায় মুসলমানদের জন্য কিছু করবেন কিন্তু বিশ্ববাসী হতাশ হয়েছে। সেই কথার ভিত্তি হিসেবে আজকের এই প্রতিবেদন।
কারো মৃত্যুর পর তার ব্যক্তি আক্রমণ ইসলামে মানা করা হয়েছে। কিন্তু যে সব কর্মকান্ড জন সংশ্লিষ্ট তথা মৃত্যুর পরে সেই কর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলেই, সেই ব্যক্তির কথা চলে আসে। সেটাই ইতিহাস হয়ে সামনে দাঁড়ায়। শিক্ষা গ্রহন ও সচেতন হবার জন্য, ইতিহাস বলা ও লেখা কোন দোষনীয় নয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ, এ সমপর্কে জ্ঞানগর্ভ আলোচনার জন্য।
তারা আরো গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে যে, আগেকার দুই মুসলিম রাষ্ট্রপতি যথাক্রমে ডঃ জাকির হুসাইন ও ফখরুদ্দিন আলি আহমদের মধ্যে প্রথম জন নাস্তিক এবং চরম ইসলাম বিদ্ধেষী ছিলেন এবং দ্বিতীয় জন কাদীয়ানি ছিলেন। অথচ বছরের পর বছর মুসলমানের বগল বাজিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে যাচ্ছে উনারা প্রকৃত মুসলমান??!! ছিলেন। মুসলমানদের জন্য এর চেয়ে চরম তামাশা আর কি হতে পারে! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন