বাজে ব্লগার, হিন্দু নাস্তিক ও আক্রান্ত ইসলাম এবং আমাদের করনীয়
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২৫ জুলাই, ২০১৫, ০৩:২৭:৪০ দুপুর
সবাই অবগত আছেন যে, দুই একজন ব্লগার এমন আছেন যারা মূলত হিংসা, জিঘাংসা, গালাগালির পরিবেশ সৃষ্টি অন্য কথায় ফাঁক-ফোঁকর খোঁজ করে,সরাসরি মোহাম্মাদ (সাঃ) ও আল্লাহকে নিয়ে কুৎসা গাওয়া অন্যতায় কদাকার গালাগালির সুযোগ খোঁজে। মূলত এই একটি মাত্র উদ্দেশ্য নিয়েই তারা ব্লগেই ঘুরে বেড়ায়। তারা নিজেদের নাম, বংশ ও গোত্র পরিচয় ভয়েই লুকিয়ে রাখে। তারা নাস্তিক হলেও একটি ধর্ম পরিচয়ে তারা কিন্তু বেড়ে উঠেছিল। পরবর্তী জীবনে নাস্তিক হয়ে গেলেও কখনও নিজ ধর্ম আক্রমণ করেনা কিন্তু ইসলামকে আক্রমণে খুবই উলঙ্গ হয়ে পড়ে। সে কারণে তাদের দাদার ধর্ম পরিচয় লুকিয়ে রাখতে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিয়ে নিজেরা হাজারো নাম নিয়ে থাকে।
হিন্দুদের মাঝে যারা চিন্তাশীল, মহাবিশ্ব ও বিশ্বজগৎ নিয়ে পড়াশোনা করে তারা জীবনের শুরুতেই নিজের ধর্মের উপর আস্তা হারিয়ে ফেলে। কেননা তারা বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়ে বুঝতে পারে, অন্তত ব্রহ্মার লাথিতে আণ্ডা ভেঙ্গে ব্রহ্মাণ্ড তথা বিশ্বজগত সৃষ্টি হয়নি। দুর্গা দেবীর দশ যেমন হাতের যেমন দরকার নাই, তেমন গণেশের গলায় হাতির মাথা সহযোজনেরও সুযোগ নাই। তাই নিজের ধর্মের উপর আস্তা হারিয়ে নাস্তিক হয়।
ফলে তারা বিশ্বাস করতে শিখে যে, সম্ভবত পৃথিবীতে ধর্ম বলতে যত গোষ্ঠী আছে, সেগুলো ও হিন্দু ধর্মের মত ভৌতিক, কাল্পনিক ও গল্পের আধার! ফলে হিন্দু নাস্তিকেরা আর অন্য কোন ধর্ম সর্ম্পকে জানতে আগ্রহী হয় না। তবে সকল হিন্দু এবং হিন্দু নাস্তিক ইসলাম ধর্মের উপর খড়গহস্ত হয়। কেননা যৌবনে সে নাস্তিক হয়েছে কিন্তু যৌবনের আগ পর্যন্ত ইসলাম ও মুসলমানকে হিংসা, নিন্দা, ঘৃণা করতে করতেই বড় হয়েছিল। সে খাসিয়ত তার রক্তে মাংসে একাকার হয়ে যায়। ফলে সকল হিন্দু এবং হিন্দু নাস্তিক সুযোগ পেলেই আল্লাহ ও রাসুলের বিপক্ষে গালাগালির বন্যা বইয়ে দেয়।
ইহুদী ও খৃষ্টান ধর্মের উৎপত্তি একই স্থান থেকে, তাদেরও গ্রন্থ আছে। কিন্তু হিন্দু নাস্তিকেরা তাদের বিপক্ষে কিছু বলেনা, কেননা তারা জাতে হিন্দু হলেও, সংস্কৃতিতে খৃষ্টানের মত। ভারতের শহরে শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা যে উলঙ্গ ও বেহায়াপনাকে গ্রহণ করেছে তা কিন্তু হিন্দু সংস্কৃতি নয়। এগুলো রোমানদের থেকে ধার করা, এরা খৃষ্টানদের পছন্দ না করলেও এই ক্ষেত্রে গোলামী করতেও চিন্তা করেনা, ফলে ইহুদী-খৃষ্টান নিয়ে বলেনা। যেহেতু পাশ্চাত্যে তাদের থাকতে হবে।
ইহুদী-খৃষ্টান নাস্তিক হলেও, ছোটকালে তারা প্রভুর প্রকৃত পরিচয় শুনেছিল বিধায় তাদের নাস্তিকতার একটা মাত্রা থাকে। এরা প্রভুর প্রকৃত পরিচয় জানতে আগ্রহী কিন্তু তাদের ধর্ম গ্রন্থে প্রচুর স্ববিরোধী কথা বার্তার কারণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
সঙ্গত কারণে এখানে যে কয়জন বাজে ব্লগার আছে তাদের লিখার চরিত্র ও ধরনে বুঝা যায় তাদের জন্মের উৎস মুশরিক তথা প্রতিমা পূজারী। তারা যুক্তি সংগত উত্তর দিতে না পারলে, কিংবা উত্তর মনমত না হলে, গায়ে পড়ে রাসুল (সাঃ) আল্লাহকে গালি দিবে। যদিও পোষ্টে এ সম্পর্কিত কোন কথা ছিলনা। তাদের ব্লগে মন্তব্য না করলেও তারা গায়ে পড়ে অন্যর পোষ্টে ঢুকে গালির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, মুসলমানদের মাঝে যারা নাস্তিক হয়, তারা তাদের পরিমণ্ডলে কথাগুলো বলে থাকে কিন্তু সরাসরি প্রকাশ করেনা। সরাসরি প্রকাশ করলে মুসলিম মিরাসি আইনের খপ্পরে পড়ে সমাজ এবং সম্পদের ভাগীদার থেকে বিচ্যুত হবে। সেই ভয়ে নিজের নাস্তিক পরিচয় লুকিয়ে রাখে। তবে এসকল মানুষ প্রতি পদে পদে মোনাফেকি আচরণ করতে থাকে। এটা অধিকতর নিরাপদ ও সুবিধা। লতিফ সিদ্দীকি, আবদুল গফফার, সৈয়দ আশরাফ, মতিয়া, রাবিশ মন্ত্রী, সেলিম, মুজাহিদ, ইনু, মিনু, ধনু এগুলো হল তাদের প্রকৃত উদাহরণ। এরাও পাশ্চাত্য সাংস্কৃতিকে সহজে গ্রহণ করে। মূলত এরা সবাই চরম ইসলাম বিদ্বেষী, ভোটের মাঠে মার খাবে বলে, মোনাফেকি চরিত্রকে পূঁজি করে চলে।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, তোমরা অন্য কোন ধর্মের প্রভুকে গালি দিওনা। কেননা সে এই সুযোগে তোমার প্রকৃত প্রভুকে গালি দিবে। বাস্তবে তাদের কোন প্রভু বিদ্যমান না থাকলেও, তোমার প্রভু সদা বিদ্যমান।
মুসলমানেরা এমনকি বেশীর ভাগ ব্লগার অন্যের ধর্মের কোন প্রভুকে গালি দেয়না। সে প্যাকটিস তারা করেনা। কিন্তু আপনার আমার পোষ্টে ঢুকে যদি গায়ে পড়ে গালি দেয় তাহলে কি করার আছে?
এই ক্ষেত্রে সে সব ব্লগারের মন্তব্যকে মুছে দেয়া দেয়া জরুরী বলে মনে করি। ব্লক না করে তাদের মন্তব্য গুলো মুছে দিয়ে তাদের গালাগালির প্রতিবাদ করা উচিত, যতক্ষণ না তারা সংশোধন হয়। মুছে দেবার কথা এজন্য বলছি যে, তাদের কষ্ট করে মন্তব্য করতে দেওয়া হউক, তারপর তার কাজটাকে উপেক্ষা করা হউক। ব্লক করলে তো তাকে লিখার কষ্টটা করতে হলনা, এতে তার সময় লোকসান হবেনা।
এটা আমার মতামত, আপনাদের ভিন্ন মত থাকলে দিতে পারেন।
বিষয়: বিবিধ
২৫৫৮ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মৈত্রে্যী দেবী লিখিত ন হণ্যতে একটি কালজয়ী আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস! সেই উপন্যাসে পড়েছি লেখিকার আপন দাদী জীবনের শেষ পানিটুকুও ব্রাক্ষণবাদে অন্যকারো হাত থেকে পান করেননি!
আর বিভিন্ন পড়াশোনা করে এটা বুঝেছি যে আদি হিন্দু সাধারণ সমাজেও এমন নোংরামী সংস্কৃতি ছিলোনা।
আপনার কথাটি প্রমানিত যে এই নোংরামী প্রাশ্চাত্য থেকে ধার করে নেয়া!
এই ব্লগে যাকে আমরা নাস্তিক হিসেবে মনে করি আসলে সে নাস্তিক না বরং দু চার পয়সার জন্য খাটাখাটুনি করা একজন কামলা [আমার অভিজ্ঞতার আলোকে ধারনা] !
আমার ব্লগে এদের কমেন্টস করার কোন অনুমতি নাই আমি এদের ব্লক করাকের শ্রেয় মনে করি!
তবে আপনিও উত্তম বলেছেন:
এই ক্ষেত্রে সে সব ব্লগারের মন্তব্যকে মুছে দেয়া দেয়া জরুরী বলে মনে করি। ব্লক না করে তাদের মন্তব্য গুলো মুছে দিয়ে তাদের গালাগালির প্রতিবাদ করা উচিত, যতক্ষণ না তারা সংশোধন হয়।
আর আমি এই দোয়া করি এ ব্লগের মডুদের উপর আল্লাহর লানত পড়ুক! এবং যারা গালিযুক্ত কমেন্টসগুলোকে দেখার ব্যাবস্থা করে তাদের উপরও আল্লাহর লানত।
সকল ব্লগার একজোট হয়ে লা'নত বর্ষণের জন্য আহাজারি করলেও মডুদের কিচ্ছু আসে-যায়না, তা তাঁদের "তৎপরতা" দেখে বোঝা যায়!!
এ ব্লগের মডুরাই এই নাস্তিকদের প্রশ্রয় দেয় তাদের চালায়। যা বলেছি বলেছি........
তারা সংশ্লিষ্ট বিষয় বা প্রসংঙ্গে মন্তব্য করার হেডাম দেখাতে পারে না। শুধু মাত্র কথায়-অকাথায় শিয়ালের কাছে কুমির চানার বর্গা দেয়ার কাহিনীর মতো ইসলাম, মুসলমান, আল্লাহ, রাসুল নিয়ে কঠাক্ষ করে নিজের মুর্খতা প্রকাশ করে।
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি এর সাথে এতমত।
মন্তব্য মুছে দেবার সাথে সাথে এটা স্প্রে করে দেবেন
নাস্তিকরা গালি দিয়েই মজা পায় তাই ওরা যেন গালি দিতেও না পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
আমরা না হয় মুছে দিলাম বা ব্লক করলাম কিন্তু ওরা যে পোস্ট দেয় তা থেকে বাচার উপায় কি?
হাতে গোনা ২/৪টা মাল্টি নিকের খবিসকে ব্লগ থেকে ঝাটা মেরে বিদায় করলে সমস্যা কোথায় আমার বুঝে আসেনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
বাস্তবতা হলো আমাদের মাঝেওও কিছু লাপাঙা ব্লগার আছে যারা এই দুর্গন্ধ যুক্ত নর্মদার কিটদের নিয়ে হিট পোস্ট দেন!!! হিটিং পোস্ট হলেই নর্দমার কিটগুলো লাফালাফি করে নিজের খুশিতে !
সম্পাদক মহদয় নীতিমালা ভুলে গেছেন নীতি দেখে ধর্ম বিদ্ধেষী পোস্ট অথবা মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে রিপোর্ট করলেও সম্পাদক নির্বিকার থাকে। তখন মন ঘৃনা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পাইনাহ্।
আবার আমার ডারলিং এর প্রতিউত্তরে ফখরুল গারবেজ ঢোল বাজায়
দুজনের অনেক দহরম মহরম সম্পর্ক বাসর রাত সেরেফেলেছে মনেহয়
ভাইয়া, এগুলোকে ঝাটা পিটা করুন। সাথে শিয়াও আছে কয়েকটি
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন