প্রকৃত হিন্দুর পরিচয়

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২২ জুলাই, ২০১৫, ১১:৪৭:৫৪ সকাল



মূলত হিন্দু কোন ধর্মের নাম নয়। হিন্দু হল একটা সম্প্রদায়ের নাম, যারা ছিল যাতে ইরানী। যাদেরকে ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, এসব বহিষ্কৃত ইরানী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত সিন্ধু নদের অববাহিকায় জন বসতি গড়ে তুলে। পরবর্তীতে তারা নিজেদের কে আর্য তথা সম্ভ্রান্ত হিসেবে পরিচিত দিতে থাকে। আর্যরা লেখাপড়া জানত, খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাত করার পদ্ধতি জানত। ঘর বানাতে জানত, শত্রুকে যে কোন উপায়ে পরাজিত করতে জানত। অতিমাত্রায় কুট বুদ্ধি প্রয়োগের কারণে, তাদেরকে নিজ বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে আশ্রিত হতে হয়। ফারসিতে 'স' শব্দটি উচ্চারণ করতে 'হ' শব্দ ব্যবহার হয়। সে কারণে 'সিন্ধু' হয়ে যায় 'হিন্দু'। প্রকৃতপক্ষে হিন্দুরা ভারতীয় নয়, তারা সবাই রিফিউজি। যার ফলে তারা সর্বদা সুসংগঠিত ও সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করত। তাদের গায়ের বং ফর্সা, নাক লম্বা দেখতে বর্তমানের ইরানীদের মতই। লক্ষণীয় ভারতের সকল বাহ্মনদের চেহারাতেই ইরানী ছাপ, ইরানী রং ফুটে উঠে। কালো বর্ণের কোন বাহ্মন ভারতে স্বীকৃত নয়। যদিও প্রকৃত ভারতীয়রা কালো বর্ণেরই মানুষ।

মূল ভারতের মানুষেরা পরিচিত ছিল আদিবাসী-ভূমিপুত্র হিসেবে। অর্থাৎ ভারতীয় ভূমির প্রকৃত সন্তান। তাদের চামড়া হল শ্যামলা, গঠন চিকন ও খাটো প্রকৃতির, দেখতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের মতন। তাদের ধর্মের নাম 'সনাতন'। সনাতন শব্দের অর্থই হল পুরাতন বা আদি। এসব মানুষের পেশা ছিল কৃষি, কামার, কুমার, তাঁতি ইত্যাদি। তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে পুরো ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এরা অনার্য হিসেবে পরিচিত হত যার অর্থ হল অসভ্য অন্য কথায় অশিক্ষিত-মূর্খ। আর্য তথা ইরানীরা কালক্রমে এসব ভারতীয় আদিবাসীদের উপর প্রভুত্ব কায়েম করতে সক্ষম হয়।

ঘটনাক্রমে হিন্দু তথা আর্য ও সনাতনী তথা ভূমিপুত্রদের মাঝে একটা সাদৃশ্য ছিল, সেটা হল দুই পক্ষই ছিল ঘোরতর প্রতিমা পূজারী। যদিও ‘বেদ’ শাস্ত্রে প্রতিমা পূজার নজির পাওয়া যায় না। পুরো ভারতের এক অঞ্চলে নিজেদের মত করে প্রতিমা তৈরি করে নিজেদের মত পূজা করত। নিজেরাই এই সব প্রতিমার বহুবিধ ক্ষমতার কথা প্রচার করতে থাকে। এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে পর সেখানকার প্রতিমার গুন গুলি শোনার পর, নিজের এলাকায় এসে তাদের প্রতিমাকে সেরা বানানোর জন্য অন্যের প্রতিমার সকল গুনের সাথে নিজেদের প্রতিমার আরও গুন বাড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে ভারতের নিয়ন্ত্রকই হয়ে পড়ে এই সব মাটির তৈরি জড়।

ব্রিটিশ চলে যাবার পাক্ষালে মহাত্বাগান্ধী সহ মিলে পুরো ভারতে পূজা গুলোকে কমোন কয়েকটি পূজায় রূপান্তর করার চেষ্টা করা হয়, পরে সেটা পর্যবসিত হয়। কেননা ততদিনে এসব পূজা আঞ্চলিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে পড়ে। অতঃপর তারা সকল প্রতিমার নাম তালিকা বদ্ধ করতে গিয়ে আরও মুসিবতে পড়ে যায়। কেউ বলে পঞ্চাশ, কেউ বলে পাঁচশ প্রতিমা, সর্বশেষে বলা হল পুরো ভারতে তেত্রিশ কোটি দেবতার আবাস। এত দেবতার নাম সংগ্রহ ও তা তালিকাবদ্ধ করার এই বিশাল কর্মযজ্ঞে পরবর্তীতে আর কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

মূলত বর্তমান হিন্দু ধর্ম বলতে যা বুঝায় তা হল, অনেক গুলো অপ-সংস্কৃতি (লিঙ্গ পূজা, যোনী পূজা), কু-সংস্কৃতি (গো-মূত্র পান, বলি প্রথা), সংস্কৃতির দীনতা (অন্য জাতির বাজে পোশাক আশক, চাল-চলন, আনন্দ ফুর্তিকে সহজে গ্রহণ) এসবের মিলিত একটি প্লাটফরমের নাম। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভারতীয় পরিমণ্ডলে যত প্রকারের আনন্দ, ফুর্তি, বিনোদন, ঠাট্টা, মশকরার যৌথ প্রচলন আছে, সেসব জিনিষকে ধর্মের চাদরে পালন করার নামই বর্তমানের হিন্দু ধর্ম। এটা পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম যা প্রচার করা যায় না, ক্ষেত্রবিশেষে প্রচার করতে গেলে উল্টো প্রচারককেই স্বীয় ধর্মের মানুষ দ্বারা নাস্তানাবুদ হতে হয়। যেহেতু তাদের কোন মৌলিক বৈশিষ্ট্য নাই, তাই কোন গ্রহণযোগ্য আদর্শও নাই। যেখানে আদর্শ অনুপস্থিত সেখানে প্রচার করারও সুযোগ রহিত হয়ে যায়।

আজকে ভারতে যদিও হিন্দুরা ক্ষমতায় কিন্তু তারা কোনদিন সংঘটিত ও সুসংবদ্ধ হয়ে থাকতে পারেনা, পারবেও না। কেননা একটা জাতি ও ধর্ম যে ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হয়, হিন্দুদের সেটা নাই কেননা তারা গোড়াতেই দুটি ভিন্ন জাতি, ভিন্ন রুচি, ভিন্ন চিন্তার অধিকারী। তাদের একের প্রতি অন্যর সহমর্মীতা নাই। ৫০০০ হাজার বছর আগে আর্য তথা ইরানীদের হাতে ভারতের সকল ক্ষমতা চলে যাবার কারণে ভারতীয় ভূমিপুত্ররা ক্ষমতার মালিক হতে পারেন নি। ব্রিটিশকে বিদায় করে ভারত স্বাধীন হলে পর নেহেরু বলেছিলেন, ৫ হাজার বছর পরে হিন্দুরা ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। ভগবান চোখ বাঁকা করে হাসে, কারণ পাঁচ হাজার বছর পরে যারা ক্ষমতার স্বাদ পেল তারাও সেই আর্য, হিন্দু ধর্মের ধুয়া তুলে, এখন পর্যন্ত ভারতকে আর্যরা শাসন করে যাচ্ছে, অনার্যরা হিন্দু হিন্দু বলে হরিবল চিল্লানোতে ব্যস্ত রয়েছে।

বিষয়: বিবিধ

৬১৮৪ বার পঠিত, ৭৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331078
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০০
নেহায়েৎ লিখেছেন : হিন্দু শব্দটি উৎসারিত হয়েছে সংস্কৃত সিন্ধু শব্দটি থেকে। সিন্ধু ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক নদীর নাম।ঋগ্বেদে সিন্ধু নদের স্তুতি করা হয়েছে। পরবর্তীকালের আরবি সাহিত্যেও আল-হিন্দ শব্দটির মাধ্যমে সিন্ধু নদ অববাহিকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়েছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতের নামের সমার্থক শব্দ হিসেবে হিন্দুস্তান বা হিন্দুস্থান শব্দটির উৎপত্তি হয়। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ "হিন্দুদের দেশ"।

প্রথমদিকে হিন্দু শব্দটি ধর্মনির্বিশেষে ভারতীয় উপমহাদেশের সকল অধিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। কেবলমাত্র চৈতন্যচরিতামৃত ও চৈতন্য ভাগবত ইত্যাদি কয়েকটি ষোড়শ-অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থে যবন বা ম্লেচ্ছদের থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পৃথক করার জন্য শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ইউরোপীয় বণিক ও ঔপনিবেশিক শাসকেরা ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসগুলির অনুগামীদের একত্রে হিন্দু নামে অভিহিত করে। ধীরে ধীরে এই শব্দটি আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ অথবা অবৈদিক ধর্মবিশ্বাসগুলির (যেমন জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও শিখধর্ম) অনুগামী নন এবং সনাতন ধর্ম নামক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন সকল ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে পড়ে।

ইংরেজি ভাষাতে ভারতের স্থানীয় ধর্মীয়, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি বোঝাতে হিন্দুইজম বা হিন্দুধর্ম কথাটি চালু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
273316
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার তথ্য সংযুক্তি আমার পোষ্টটিকে আরো ধনবান করল। অনেক ধন্যবাদ।
331079
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০০
অপি বাইদান লিখেছেন : "আজকে ভারতে যদিও হিন্দুরা ক্ষমতায় কিন্তু তারা কোনদিন সংঘটিত ও সুসংবদ্ধ হয়ে থাকতে পারেনা, পারবেও না।"

চ্রম সত্য কথাই বল্লেন ভাই!! ১৯৪৭ এর পর ২৩ বছর না যেতেই মুমিন'নের ফাঁকিস্তান ভেঙ্গে যায়। ধন্যবাদ।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
273327
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মাঝখানে একটি বৃহৎ রাষ্ট্র, দুই পাশে দুটি বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র কোনদিন এক থাকতে পারে না। অবিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র দুটি ভারতের জন্য বিষফোড়া ছিল। ১৯৭১ সালে না হলেও অচিরেই ভারতের সহযোগিতা ছাড়া দেশ দুটি বিচ্ছিন্ন হতই। পাকিস্তানীদের হঠকারী আচরণ কাজটিকে সহজ করে দেয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশী মুসলমানেরাই করেছিল, ভারতীয় নয়। বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধাদের হাতে দেশ যখন স্বাধীন হয়েই যাচ্ছিল তখন শেষের দিকে ভারতীয়রা ইতিহাসে নাম লেখানোর গরজে যুদ্ধে যোগ দেয়।

ভারত যদি সেই যুদ্ধে যোগ না দিত, তাহলে পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া সেই সব অস্ত্র বাংলাদেশী সাহসি মুসলমানদের হস্তগত হয়ে যেত। এমনকি আওয়ামীলীগের কর্মীদের হাতেও সেই অস্ত্র থাকত না। সেই অস্ত্র অতি সহসা ভারতের পুর্বের সাতটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের জন্য মধুসুদন দশা সৃষ্টি করত। মূলত পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র লুন্ঠনের ধান্ধায় ভারত যোগ হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের কোন কৃতিত্ব নাই। ভারতের শরীর যত বড়ই হোক, সে তার প্রতিবেশীদের সাথে লড়াইয়ে বড়াবড়ই ছাগল-ভেড়ার মতই ছিল। এমনকি বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের হাতেও।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:০৬
273334
অপি বাইদান লিখেছেন : বুঝলাম তো, ভারত একটি খারাপ রাষ্ট্র। ওরা গোলমাল বাঁধাবেই। কিন্তু এক আত্মা, এক উম্মার ভাইভাই ইসলাম ধর্মে এত পিছলামি ক্যান? মিলেমেশে থাকতে পারে না ক্যান।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মাঝে কিন্তু ভারত নেই। তারপরও সেখানে এক উম্মার ইসলামে এত বিভক্তি, বিভাজন, মারামারি, কাটাকাটি কেন??


সব শেষে আপনি বলেছেন- "ভারতের শরীর যত বড়ই হোক, সে তার প্রতিবেশীদের সাথে লড়াইয়ে বড়াবড়ই ছাগল-ভেড়ার মতই ছিল। এমনকি বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের হাতেও।"

তাহলে তো মুমিন'দের চেয়ে বড় গরু/ছাগল পৃথিবীর কোথাও নেই। মাত্র ৬০ লক্ষ ইহুদীর ক্ষুদ্র এক রাষ্ট্র যে ভাবে তামাম মধ্যপ্রচ্যে আল্লার ঠ্যাং ভেংগে দিয়েছে, সেই লজ্জা লুকোবেন কোথায়।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:২৮
273337
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/8276/sajalahmed/53002#.Va9ER3OoVAg. http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/8276/sajalahmed/52378#.Va9Ek3OoVAg
অপি বাইদান এর জন্য ২টি লিংক দিলাম.... আশা করি খোলা চোখে পড়ে এবং দেখে আসবেন।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:০৪
273347
অপি বাইদান লিখেছেন :





আশা করি খোলা চোখে একটু দেখেন
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
273348
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার এ সমস্ত উম্মাদীয়, পাগলাটে ও ঝগড়াটে প্রশ্ন আপেক্ষিক। আমরা বুঝতে পারি আপনার ব্যথা কোথায়।

যাক,
ভারতের পাশের দেশ নেপাল হিন্দু হলেও শান্তিতে নাই।
চিনের পাশের দেশ তাইওয়ান বৌদ্ধ হলেও শান্তিতে নাই।
রাশিয়ার পাশের দেশ জর্জীয়া নাস্তিক হলেও শান্তিতে নাই।
আমেরিকার পাশের দেশ মেক্সিকো খৃষ্টান হলেও শান্তিতে নাই।

আপনার চোখের ছানিতে শুধু মুসলমান পড়ে, তা অবশ্যই পড়তেই হবে, কেননা আপনি এ বিষয়ে লিখার জন্য বেতন ভুক্ত ছা পোষা প্রানীদের একজন।

আর ইহুদির পরিচয় দিলেন! ভূলে গেছেন কি সেই ইতিহাসের কথা:

আহমেদ শাহ আবদালী তেপান্ন হাজার সৈন্য লইয়া ভারতের পানিপথে ভারতীয় তিন লাখ বাহিনীর মোকাবেলা করে। দুই লাখ ঘটনাস্থলে মরেছিল, বাকি ষাট হাজার আহত হয়ে কাতড়িয়ে মড়েছিল।

বাংলাদেশী হিন্দুদের অনুরোধে বখতিয়ার খলজি ১৭ জন সাথী লইয়া বাংলা আক্রমন করেন আর লক্ষন সেন দুপুর ভাত-পাত থেকে প্রান নিয়া পালাইয়াছিল।

বহু উদাহরন আছে, আপনাদের গায়ে জ্বলন ধরবে বলে দিলাম না, আপনারা এই উদাহরন দেখবেন না, কেননা ভারতীয় হিন্দুদের মত শুধু মুসলমানের ভুল ধরার কাজেই আপনারা মনোনিবেশ করবেন বলে সিন্ধান্ত নিয়েছেন।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৫২
273360
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : অপি হিন্দু, তাই ওর কষ্ট লেগেছে।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৫৪
273361
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রথমত:
কথা হল এটাই হল সেই মূল ছবি যেটা ইসলাম বিদ্ধেষের কারণে আপনারা কু-মতলবে এডিট করেছেন। সুতরাং আপনার মতলব পরিষ্কার।




দ্বিতীয়ত:
এই সব ছবিগুলো প্রকাশিত হলে ইসলামের উপকার হয়। কেননা প্রকৃত মুসলমানেরা এইসব ভন্ডামীর প্রতিবাদ করে, করে যাচ্ছে। আমি নিজেও এই সব ভন্ডদের উৎখাত চাই, সুতরাং আমিও আপনার সাথে একমত যে ইসলাম এসব ভন্ডামী এলাউ করেনা।

চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী, আপনারা তারপরও এইসব ছবিগুলোকে পুঁজি মনে করে নিজেদের আর্কাইভে জমা করবেন এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে এডিট ও করবেন। কেননা আপনার লক্ষ্য বেতন ভাত তোলা। ধন্যবাদ।
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:২৭
273418
অপি বাইদান লিখেছেন : ভারতের পাশের দেশ নেপাল হিন্দু হলেও শান্তিতে নাই।
চিনের পাশের দেশ তাইওয়ান বৌদ্ধ হলেও শান্তিতে নাই।
রাশিয়ার পাশের দেশ জর্জীয়া নাস্তিক হলেও শান্তিতে নাই।
আমেরিকার পাশের দেশ মেক্সিকো খৃষ্টান হলেও শান্তিতে নাই।


নেপাল, তাইওয়ান, মেক্সিকো, জর্জিয়া শান্তিতে নেই সুতরাং পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্মের মুমিনরাও শান্তিতে নেই। উত্তম যুক্তি। ইসলামের খুনাখুনি সহি প্রমান করার জন্য পৃথিবীর আর কোথায় খুনাখুনি আছে সেটাই খুঁজে আনলেন! শান্তির ধর্ম ইসলাম বলে কথা।


২। মধ্যযুগের পিছলামী বীরগাধা আর বখতিয়ারের দস্যু পনা যখন মুসলিম'দের কাছে এতৈ প্রেঢ়নার উৎস হবে তো- অনেক স্বাধের স্পেন থেকে কচুকাটা করে মুসলিমদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেয়ার জন্য এখনো বিলাপ করেন ক্যান? মাটিতে মিশে যাওয়া তরুস্কের পিছলামী খেলাফত জন্য এখনো হাউমাউ করেন ক্যান?? ? আল্লার আবাবিল পংখি হেরে গেলেই মুমিনের দোয়াদুরুদ শুরু হয়। নাকি?
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৪৩
273420
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রথমত: কথা হল এটাই হল সেই মূল ছবি যেটা ইসলাম বিদ্ধেষের কারণে আপনারা কু-মতলবে এডিট করেছেন। সুতরাং আপনার মতলব পরিষ্কার।

না ভাই, আমার দেয়া ছবিতে কোন কুমতলব নেই বা কোন ছবিও এডিট করা হয় নি। কুমতলব এবং এডিটিং করা হয়েছে বরংচ আপনার প্রশংসা সূচক মুমিন ভাইদের দেয়া ছবিগুলোতে। তাই বলি- 'আকাশে ফেল্লে থুতু পরে নিজের গায়' এ সত্যটি আল্লার মুমিনরা ভুলে যায়।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৪৬
273428
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইহুদীদের ক্ষমতা নিয়ে আমনি আমার পোষ্টে প্রশ্ন করেছেন, আমি উত্তর দিয়েছি। আমি হিন্দুদের দিয়ে উদাহরণ দিয়েছি। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতীর উত্থান পতনকে আমি স্বীকার করি বলেই আমার নিকট ব্যাপার টি সহজ। নতুন করে স্পেনের কথা বলার মাঝে মন্তব্যের কি সাতন্ত্রতা প্রকাশ পেল? আগে ইহুদীর উদাহরন দিয়েছেন এখন স্পেনের দিয়েছেন। আমি সালাউদ্দীন আইয়্যুবি, মোহাম্মদ বিন কাশেম, গজনীর সুলতান মাহমুদ, শিহাব উদ্দীন গোরী, তুরস্কের দ্বিতীয় সুলতান মাহমুদ, ইরাকের নূর উদ্দীন মাহমুদ সহ পৃথিবীর বহু উদাহরন টানতে পারি, আপনার থলেতে মুসলামানদের বিরুদ্ধে অত ঘটনা জমা নাই, পক্ষে যত ঘটনা রয়েছে।

এসব নিয়ে আমি আরেকটি পোষ্ট দিব, আপনি আপনার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। সেখানে দেখা হবে।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২৫
273435
অপি বাইদান লিখেছেন : মধ্যযূগে বর্বর মুসলিম দখলবাজির পক্ষে যতই রাগাম্বর করেন্না কেন- এই সভ্যযূগে ৬০ লক্ষ ইহুদীর বিপরিতে ১৬০০ কোটি মুমিন ছাড়পোকার লজ্জা ঢাকার উপায় আছে কি? ১৯৭১ এ দুষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং হিন্দু ভারতের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ পাকি মুমিনের পরাজয় দেখে স্বয়ং আল্লাও ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে। নাকি মিথ্যা বল্লাম @ জনাব টিপু?
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৩৫
273439
অপি বাইদান লিখেছেন : আরো একটি কথা, অত কিছুর দরকার নেই- শুধু ইংরেজ'দের বিশ্ব শাসনের সূতো একটু টান দিলেই মুমিন মুসলিমের বীর!! গাথা!! বানের জলের মত ভেসে যাবে।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৪১
273441
আবু জারীর লিখেছেন : মুসলমানই পোশাকে এরাও মুলত মুশরিক এবং আপনাদের জাত ভাই, যেমন আসিফ মহিউদ্দিন, তসলিমা নাস্রিন, লতিফ সিদ্দিকী, সাল্মান রুসদি, দাউদ হায়দার.।.।.।.।.।.।.।।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৫০
273443
অপি বাইদান লিখেছেন : ওদের দাড়ি-টুপির সুন্নতি লেবাসই বলে দেয়- ওরাই আসলে আপনারই জাত ভাই, আল্লার প্রকৃত মুমিন @ জনাব ছাগলের বাপ, দুঃখিত জারীরের বাপ।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৩৯
273551
আবু জারীর লিখেছেন : ছাগল জন্ম দিতে ছাগলের বাপের চেয়ে মায়ের ভূমিকাই কিন্তু মূখ্য।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৪১
273553
আবু জারীর লিখেছেন : ছাগল জন্ম দিতে ছাগলের বাপের চেয়ে মায়ের ভূমিকাই কিন্তু মূখ্য।

রবীন্দ্র নাথের দাড়ি, মোদীর দাড়ি কি প্রমাণ করেনা তারাও মুসলমাদের অবৈধ সন্তান?

নেহেরুর টুপি কি প্রমাণ করেনা যে সেও মুসলমানের ঔরশ যাত?
331080
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০২
নেহায়েৎ লিখেছেন : হিন্দুধর্ম বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ধর্ম তবে হিন্দু নামটি আধুনিকালের দেওয়া। এর প্রাচীন নাম হল সনাতন ধর্ম। আবার এই ধর্ম বৈদিক ধর্ম নামেও পরিচিত। এই ধর্ম বেদ এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। এ ধর্মত্ত্বের মূল কথা হল ঈশ্বরের অস্তিত্বেই সকল কিছুর অস্তিত্ব এবং সকল কিছুর মূলেই স্বয়ং ঈশ্বর। খ্রীস্টপূর্ব ৫৫০০-২৬০০ অব্দের দিকে যখন কিনা হাপ্পান যুগ ছিল ঠিক সেই সময়ই এ ধর্মের গোড়ার দিক। অনেকের মতে খ্রীস্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ অব্দ। কিন্তু ইতিহাস বিশ্লেষকদের মতে আর্য (বা Aryan) জাতিগোষ্ঠি ইউরোপের মধ্য দিয়ে ইরান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০-২৫০০ অব্দের মধ্যে, তারাই ভারতে বেদ চর্চা করতে থাকে এবং তারা সমগ্র ভারতে তা ছড়িয়ে দেয়।

আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্ধু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ব করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসীর লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসীদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে। এই কারনে তখনকার সভ্যতাকে বলা হয় বৈদিক সভ্যতা।

এই বৈদিক সভ্যতায় অর্থাৎ ঐ আমলে কোন মূর্তি পূজা করা হত না। সেই সময় হিন্দুদের প্রধান দেবতা ছিলেন ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি এবং সোম। তারা যজ্ঞের মাধ্যমে পূজিত হত। তখনকার ঈশ্বর আরাধনা হত যজ্ঞ এবং বেদ পাঠের মাধ্যমে। সকল কাজের আগে যজ্ঞ করা ছিল বাঞ্ছনীয়। সে আমলে কোন মূর্তি বা মন্দির ছিল না। ধারনা করা হয়ে থাকে যে খ্রীস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ১০০ অব্দের মধ্যে রামায়ণ এবং মহাভারত শ্রুতিবদ্ধ হয়। বর্তমানে এই সমস্ত মহান ধর্ম গ্রন্থগুলোর লিখিত রূপ হয়েছে। এই রামায়ণ এবং মহাভারতে লিপিবদ্ধ আছে ধর্ম এবং যুদ্ধের কাহিনী। এছারাও পুরাণ নামে যে ধর্মগ্রন্থগুলো রয়েছে তাতে দেবতাদের এবং অসুরদের যুদ্ধ নিয়ে ঘটনা আছে।

(উইকিপিডিয়া হতে)
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
273317
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে আবারো ধন্যবাদ তথ্যভিত্তিক নোট দেওয়ার জন্য।
331081
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
নেহায়েৎ লিখেছেন : একেশ্বরবাদ, বহুদেববাদ, সর্বেশ্বরময়বাদ, অদ্বৈতবাদ, নাস্তিক্যবাদ – সকল প্রকার বিশ্বাসের সমাহার দেখা যায় হিন্দুধর্মে। তাই হিন্দুধর্মে ঈশ্বরধারণাটি অত্যন্ত জটিল। এই ধারণা মূলত নির্দিষ্ট কোনো ঐতিহ্য অথবা দর্শনের উপর নির্ভরশীল। কখনও কখনও হিন্দুধর্মকে হেনোথেইস্টিক ধর্ম (অর্থাৎ, বহু দেবতা অস্তিত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী ধর্মব্যবস্থা) বলে উল্লেখ করা হয়। তবে এধরনের বর্গীকরণ অতিসরলীকরণের নামান্তর।

হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত। অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা। উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন।

দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরোপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাঁকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শক্তিরূপে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর। পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু, ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু নামে আখ্যাত। অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন। অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাঁকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২৭
273318
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ বিভিন্ন কাটতি গুলো যোগ করার জন্য। জানার জন্য পোষ্টটি লিখা হয়েছে, হিংসার জন্য নয়। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
331082
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
মুসলমান লিখেছেন : হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ ভরা যৌনতা আর অযাচার সাথে ফ্রি রগরগে টসটসে সব গল্প। হিন্দু ধর্ম মূলত বাংলা চটিকে হার মানায়! রগরগে চকচকে সেক্সের গল্পাদি ,sex tips দিয়ে সাজানো গোছানো !
খাজুরাহু মন্দিরের দেয়াল চিত্র। সমস্ত মন্দিরের দেয়াল জুড়েই আকা রয়েছে এমন সহস্র যৌণতার চিত্র, এই নাকি ধর্ম !!
ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreay Brahman III : 33 // Satapatha Brahman 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsy Puran III : 32ff // Bhagabati Puran III : 12 : 28ff


অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা)
১। যম ও যমী,যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- “তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী,গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে,তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।” (ঋকবেদ মন্ডল-৯,সুক্ত ১০) সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর’ভাইফোঁটা’নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- “ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত…”
২। রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন,পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। “দশরথ জাতক” অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল,তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে,লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে,কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল। ৩। শুধু ভাইবোন নয়,হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে,পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই


২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
273328
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হিন্দু ধর্মের হিংসা ছড়ানোর জন্য পোষ্টটি দেওয়া হয়নি। গোড়াতে তাদের শুরু কোথায় সেটা বলার জন্য মুলত আজকের পোষ্ট। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
331085
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : হিন্দুদের একজন শ্রষ্টার উপসনা করার কথাই তাদের ধর্মে বলা আছে কিন্তু কে শোনে কার কথা। কেননা ওদের ধর্মের গ্রন্থের ও শেষ নেই।

ওরা বিভ্রান্ত হয়ে দিক বিদিক ছুটছে।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
273343
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সঠিক ও বস্তুনিষ্ট মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:১৮
273350
অপি বাইদান লিখেছেন : ওরা বিভ্রান্ত হয়ে অন্ততঃ মুমিন'দের মত নিজেরই নেজেদের সাথে খুনাখুনি করে না, একে অপরের মন্দিরে বোমা ফাটায় না। পার্থক্য এখানেই।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৪৯
273359
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আকাম কুকামের জন্য তো হিন্দুদের পখ্যে আপনি আছেন @বাইদানি।
331091
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:৩৩
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ' ভাল লেগেছে আপনার লেখাটি, আশা করি আরো লিখবেন । ধন্যবাদ আপনাকে
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:৫৬
273344
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, লিখার চেষ্টা করব জানিনা কতদিন পারি। ভাল থাকুন।
331098
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:১৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমি বেদ ও পুরানের কিছুটা পড়েছিলাম। সেখানে এক স্রষ্টার ইবাদতের কথা বলা হয়েছে। এমনকি শেষ নবীর আগমনের বিষয়ও আছে। ...কিন্তু হিন্দুরা প্রথা তৈরী করে সেটা দ্বারা পরিচালিত। কিতাবের অনুসরন তারা করেনা।
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
273353
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার ভাগ্য ভাল যে আপনি বেদ পড়তে পেরেছিলেন। সাধারণ হিন্দুদের বেদ পড়তে মানা, দেখতে মানা, ধরতে মানা। রাজা বল্লাল সেন আইন করেছিলেন, যদি কোন নিম্নবর্ণের হিন্দুর কানে কোন ক্রমে বেদের বানি ঢুকে পড়ে তাহলে তার কানে সীসা গলিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হলে, তবেই সে নিস্কৃতি পাবে।

এখন কেউ যদি বেদ পড়ে, বেদের পৃষ্টা খুলে কোন হিন্দুকে সে কথা বলতে যায়, তাহলে সে হিন্দু বিশ্বাস করবে দূরের কথা! সে তা শুনতেও চাইবেনা, অধর্মের কাজ হবে বলে!

তারা বেদের কথা শুনতে চায় বাহ্মনের কন্ঠে, আর বাহ্মন কোনদিন হিন্দুদের বেদের সঠিক কথা শুনাতে চাইবে না। অনেক ধন্যবাদ।
331099
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:২২
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
273354
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
১০
331108
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৪১
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : লেখাটি মনে ধরেছে যুক্তি আছে বৈকি ধন্যবাদ
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৫৮
273363
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১
331123
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
273365
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
১২
331129
২২ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৯
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। সুন্দর তথ্যবহুল লেখা । আরও লিখুন । জাজাকাল্লাহু খায়রান।
২২ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:০৯
273372
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১৩
331134
২২ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:২৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর্যরা ভারতে আসার আগেই কিন্তু সিন্ধু সভ্যতা তথা হরপ্পা মহেঞ্জেদারো এর সম্বৃদ্ধি ঘটেছিল। আর্যরাই এই সভ্যতা কে ধ্বংস করেছিল। হরপ্পা ও মহেঞ্জেদার তে প্রাপ্ত নিদর্শন থেকে এটা অনেকে অনুমান করেছেন তারা বিগ্রহের পূজা করতনা। আর্যরা সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করেনি ধ্বংস করেছে।
২২ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:১৫
273377
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আর্যদেরকে ইরান থেকে কেন বিতাড়ন করা হয়েছিল, সেই প্রশ্নে কেউ যায় না। সকল উত্তর সেখানে লুকিয়ে আছে। আপনার তথ্য সংযুক্তির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৪
331144
২২ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভাল পোস্ট। ধন্যবাদ। আরো একটি ছবি..
২২ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
273382
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৫
331153
২২ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। আপনার পোস্টটি প্রথমেই পড়েছিলাম, মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।

ধন্যবাদ অজানা বিষয় গুলো জানানোর জন্য।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৪৮
273429
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমীন।
১৬
331181
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৪১
অপি বাইদান লিখেছেন : প্রথমত: কথা হল এটাই হল সেই মূল ছবি যেটা ইসলাম বিদ্ধেষের কারণে আপনারা কু-মতলবে এডিট করেছেন। সুতরাং আপনার মতলব পরিষ্কার।

না ভাই, আমার দেয়া ছবিতে কোন কুমতলব নেই বা কোন ছবিও এডিট করা হয় নি। কুমতলব এবং এডিটিং করা হয়েছে বরংচ আপনার প্রশংসা সূচক মুমিন ভাইদের দেয়া ছবিগুলোতে। তাই বলি- 'আকাশে ফেল্লে থুতু পরে নিজের গায়' এ সত্যটি আল্লার মুমিনরা ভুলে যায়।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৫২
273430
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : না আপনি আবারো মিথ্যা বলেছেন, আমি সত্য ছবিখানা দিয়েছি আর আপনি আমার টার সাথে মিলিয়ে দেখেন কোন পাঞ্জাবীটা এডিট করা।

আপনি এই সমস্ত ভন্ডদের যত ইচ্ছা গালাগালি করুন তাতে আমার কোন লোকসান নাই। আমিও চাই ধমর্ ব্যবসায়ী এসব ব্যক্তিদের ভন্ডামী প্রকাশ পাক। আপনি পীর ব্যবসায়ী, ধমর্ নিয়ে রাজনীতি ব্যবসায়ী (নিবর্াচনের আগে পট্টি ও তসবিহ সহ সবাই) ভন্ড নিয়ে যতই প্রতিবাদ মুখর হবেন ব্লগে কেউ আপনাকে আক্রমন করবে না, শতভাগ নিশ্চিত থাকেন।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৪৬
273557
আবু জারীর লিখেছেন : ইউ টিউবে গিয়ে ভিডিও চিত্র দেখুন যে আপনার জাত ভাইরা কেমন নোংড়ামি করছে অবশ্য অপনিজেই যদি এক্টিং করে থাকেন তাহলে ভিন্ন কথা। মুসলিম নামধারী কেউ কেউ দূর্গা দেবীকে মা বলে থাকে। তাদের উদাহরণ দিয়ে লাভ নাই কারণ তারা নাম রেখেছে মুস ল মানের কিন্তু অন্তরে তারা ইহুদী বা আহালে কিতাব বা মুশরিক। না হলে কোন মুসলমান অন্যের দেবীকে নিজের মা বলতে পারেনা।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৫৪
273558
অপি বাইদান লিখেছেন : আপনি যাদের ভন্ড বলছেন তারা মোটেও ভন্ড নয়। আসলে ১০১ ফ্যাকরা-ফ্যসাদের ইসলাম ধর্মে কে আসল, কে নকল বুঝা দায়। স্বার্থা আঘাত লাগলেই একে অপরকে ইহুদী-নাসারা-শিয়া-সুন্নি-কাফের-মুসরিক অপবাদ দেয়।

এই তো ইসলাম। এজন্যই এ ধর্মে এত কাটাকাটি। ধন্যবাদ @ জনাব টিপু।
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৩০
274040
আকবার১ লিখেছেন : @অপি বাইদান, রায়হান রহমান,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির

পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক ।
১৭
331187
২২ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:১২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ অনেক কিছু জানলাম। আসলেই হিন্দুরা আগাছা। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৫৩
273431
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১৮
331201
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:৪৪
আবু জারীর লিখেছেন : তবে নরেন্দ্র মোদী বলেছে হিন্দু ধর্ম কোন ধর্মের নাম না এটা একটা সংস্কৃতি। কথা সত্য।

তাদের ধর্মীয় কেতাবে গরু খাওয়ার কথা আছে কিন্তু তা তারা মানেনা। যদি সত্যিই ধর্ম হত তাহলে অবশ্যই মানত।

সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:২৬
273487
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : নরেন্দ্র মোদী যদি সে কথা বলে থাকে, তাহলে সে প্রকৃত শতভাগ সত্য কথাই বলেছে। সে জন্যই আমি আমার পোষ্টের মূল বিষয়ে লিখেছি:

মূলত বর্তমান হিন্দু ধর্ম বলতে যা বুঝায় তা হল, অনেক গুলো অপ-সংস্কৃতি (লিঙ্গ পূজা, যোনী পূজা), কু-সংস্কৃতি (গো-মূত্র পান, বলি প্রথা), সংস্কৃতির দীনতা (অন্য জাতির বাজে পোশাক আশক, চাল-চলন, আনন্দ ফুর্তিকে সহজে গ্রহণ) এসবের মিলিত একটি প্লাটফরমের নাম। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভারতীয় পরিমণ্ডলে যত প্রকারের আনন্দ, ফুর্তি, বিনোদন, ঠাট্টা, মশকরার যৌথ প্রচলন আছে, সেসব জিনিষকে ধর্মের চাদরে পালন করার নামই বর্তমানের হিন্দু ধর্ম।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:২৩
273564
অপি বাইদান লিখেছেন : আসলেই, সব ধর্ম একই সূত্রে গাথা। যেমন- ইসলম ধর্ম মূলত কোন ধর্মই না। এটি একটি বর্বর বেদুইন কালচার। হত্যা, লুটপাট, ধর্ষন যৌনতা, মুতা, পতিতা ভোগ, হিল্লা, দাসী, গেলমান, হুরীব্যাশ্যা, উটপূজা এবং উটমুত্র পান যার মূলমন্ত্র। ভন্ড নবী মোহাম্মদ এই ধর্মের গড ফাদার। ব্যাক্তি জীবনে ধর্ষন, যৌনতা, মেয়েবাজি ছাড়া তিনি কিছুই বুঝতেন্না।

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবতারনা করার জন্য ধন্যবাদ @ টিপু ভাই।
১৯
331208
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:১০
বাকপ্রবাস লিখেছেন : ভালো লাগল, সব গুছিয়ে লিখেছেন, বর্তমান হিন্দুদের এটা বুঝানো প্রয়োজন যে হিন্দু ধর্ম বলতে আদতে কোন ধর্ম নাই, তারা সেটা বুঝতে পারলে বিষয়গুলো অনেক সহজ হবে, এসব বিষয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে, যেমন আপনার আজকের পোষ্টটা, তারা যদি বুঝতে পারে তারা কোন ধর্মের আওতায় নাই তাহলে ধর্ম খোজার চেষ্টা করবে, অন্যতা লিঙ্গ পুজা এটা সেটা করে টাইমপাস আর দাঙ্গা করেই কাটাবে
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
273488
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর পরামর্শ। এই ব্লগে দেখতে পাচ্ছি কিছু কিছু ব্লগার গায়ে পড়ে ইসলামকে আক্রমন করে যায়। আক্রমনের কুলাতে না পারলে গালাগালি করে। দৃশ্যত তারা মুসলমানের নাম গ্রহন করেই এই কাজ করে যায়।

সবার ধারনা এসব ব্লগারের উপস্থিতি দুই মেরু থেকেই হয়, হয় হিন্দু নয়ত নাস্তিক। যেসব নাস্তিক হিন্দু তারা গালাগালির মহান ব্রতে লিপ্ত। নাস্তিকেরা গালাগালিকে শিল্প মনে করে, কেননা তার কাছে পাপপূন্য তথা মুত্র-আপেল জুস সবাই এক সমান।

আপাতত নাম গোপন করা লুকায়িত হিন্দুদের মুখ বন্ধ করার জন্য লিখা দরকার যে, ইহুদী, খৃষ্টান, মুসলিম যেভাবে ধর্ম সেভাবে হিন্দু কোন ধর্মের নাম নয়। এটা এক প্রকার কু-সাংস্কৃতির জটলা মাত্র। অনেক ধন্যবাদ।
২০
331213
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৪৩
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৩ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
273489
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
২১
331322
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:০৬
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : গুরূত্বপূর্ণ পোষ্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!.........
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:২৪
273585
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২২
331385
২৪ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
সালমা লিখেছেন : পোষ্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ । ভালো লাগলো ।
২৪ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
273660
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
২৩
331415
২৪ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫১
মোঃ আবু তাহের লিখেছেন : ভাই অনেকদিন পর ব্লগে একটা সুন্দর-গঠনমূলোক-গবেষনাধর্মী লেখা পড়লাম, অনেক ভাল লাগলো। দীর্ঘদিন যাবত ব্লগে তেমন বসাই হয় না। আপনাদের মতো ব্লগাররা থাকলে ব্লগে সময় দেয়াই যায়। অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনার লেখার জন্য।
আর একটি কথা- কুরআনের আয়াতটার কথা এই মুহুর্তে মনে নাই। সারমর্ম হচ্ছে, আল্লাহ বলেছেন- তোমরা তাদের উপাস্যদেরকে (সম্ভবত) গালি দিও না কারন তারা না বুঝে তোমাদের রবকে গালি দিবে, কারন তারা মূর্খ।
সেমতে ''অপি বাইদান'' এর সাথে তর্ক করে লাভ নেই।
প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় কিন্তু কেউ যদি বোকার মতো তর্ক করে তাহলে তাকে সময় দেয়া মানে হলো সময় নষ্ট করে তাকে উৎসাহ দেয়া।
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:০৬
273669
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। উত্তর গুলো আমি এ কারনে দিয়ে থাকি, কিছু ব্লগার উত্তর না জেনে উদ্ভট দিয়ে যায়, সেটাতে আমরাও বিব্রত বোধ করি। ইসলাম সত্য দ্বীন, সেটাতে সকল প্রশ্নের গ্রহন যোগ্য উত্তর আছে, ক্ষিপ্ত না হয়েও সুন্দর দেওয়া যায়। সেটা প্রতিষ্ঠা করতেই উত্তর দিয়ে থাকি। আমিও ভালই জানি তারা সঠিক উত্তরের জন্য মন্তব্য করেনা, কষে গালাগালি করার জন্য মন্তব্য করে। আবারো ধন্যবাদ।
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২৪
273681
মোঃ আবু তাহের লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে এসবের উত্তম জাযা দান করুন।
২৪
331469
২৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : পানি বহুদূর গড়িয়েছে৷ এর পর আমার আর কিছু বলার নেই৷ বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷
২৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:২৮
273802
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২৫
331495
২৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : হিন্দু ধর্ম বলতে আদতে কোন ধর্ম নেই। পারস্য থেকে বিড়াড়িত কিছু উচ্চ বর্ণের সুন্দর দেহ ও চেহারার মানুষ নিজেদের কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব শাসন-শোষণ-লুটপাঠের মুল্লকে পরিনত করার জন্য ভারতীয় উপমহাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে যারা মূলত অনার্য তথা অশিক্ষিত তাদেরকে বেদিক ধর্মের মন্ত্র-তন্ত্রকে পর্ণোগ্রাফী দ্বারা পরিবর্তন করে গোলাম-দাসী বানিয়ে নিজেদের বিকৃত রুচির প্রসার ঘটিয়ে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করাই মূলত উদ্দেশ্য। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ভারতীয় উপমহাদেশকে শোষণ-ত্রাষণ ও মধু আহরণের খনি হিসেবে তার্গেট বানায় বৃটিশ ইংরেজরা। ইংরেজদের শোষণ-শাসন নির্বিগ্নে চালানোর জন্য অত্র অঞ্চলের আব্রাহিমী ধর্ম তথা ইসলাম এবং খ্রিস্টান চাড়া বাকী হাজারো প্রথা ও কিসিমের ধর্ম যা কিনা আর্যরাই জন্ম দিয়েছিল সবগুলো এক কথায় "হিন্দু" নাম দিয়ে অবহিত করে তাদের সাম্রাজ্যকে নিরাপদ রাখার কৌশল প্রয়োগ করে। মূলত আজকের হিন্দু ধর্ম নামে যারা পরিচিত হয়ে উঠেছে উপমহাদেশে তারা অতীতে কোন অবস্থাতেই এক ধর্মের অনুসারী ছিল না। বিশাল উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্টী গোত্র ও অঞ্চলভেদে তাদের ধর্মীয় রীতি রেওয়াজও আলাদা ছিল। ধর্মও ছিল আলাদা আলাদা। বৃটিশরা মূলত নন খ্রিস্টান এবং নন মুসলিম যত গোত্র আছে তাদের সবাইকেই এক কথাই হিন্দু নামে অবহিত করে তাদেরকে কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে মুসলিমদেরকে ধমিয়ে রাখার কৌশল নিয়েছিল তাদের সাম্রজ্য টিকিয়ে রাখার স্বার্থে। শিখ ধর্মের অনুসারীদেরও বৃটিশরা হিন্দুদের কাতারে গণ্য করতো।
২৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৩০
273803
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার ছোট্ট একটি প্যারাতে হিন্দুদের পুরো প্রকৃত পরিচয় চলে এসেছে। সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৬
331683
২৬ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৩৩
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : পরিচয় সংকট যাদের ছিল আছে তারাই আজ আমাদের পরিচয় সংকটে ফেলেছে। আপনি কি বলেন।
বাঙ্গালী না বাংলাদেশী না মুসলামান।
২৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
274133
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : পরিচয় সঙ্কট কৃত্রিম ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা বাংলাদেশী মুসলমান। অনেক ধন্যবাদ
২৭
331766
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৫
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটা পড়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
অপি বাইদানের মত গোয়ারদের কথার জবাব দিয়ে মনে হয় কোন দিন শেষ করতে পারবেন না, কারন তারা কোনদিন ইসলামকে জানার ও বুঝার গরজ মনে করেনি, তাদের মত পেইড দালালদের জবাব না দেওয়াই মনে হয় ভালো।
২৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
274134
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্য ও গঠনমুলক পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File