প্রকৃত হিন্দুর পরিচয়
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২২ জুলাই, ২০১৫, ১১:৪৭:৫৪ সকাল
মূলত হিন্দু কোন ধর্মের নাম নয়। হিন্দু হল একটা সম্প্রদায়ের নাম, যারা ছিল যাতে ইরানী। যাদেরকে ইরান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, এসব বহিষ্কৃত ইরানী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত সিন্ধু নদের অববাহিকায় জন বসতি গড়ে তুলে। পরবর্তীতে তারা নিজেদের কে আর্য তথা সম্ভ্রান্ত হিসেবে পরিচিত দিতে থাকে। আর্যরা লেখাপড়া জানত, খাদ্যকে প্রক্রিয়াজাত করার পদ্ধতি জানত। ঘর বানাতে জানত, শত্রুকে যে কোন উপায়ে পরাজিত করতে জানত। অতিমাত্রায় কুট বুদ্ধি প্রয়োগের কারণে, তাদেরকে নিজ বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে আশ্রিত হতে হয়। ফারসিতে 'স' শব্দটি উচ্চারণ করতে 'হ' শব্দ ব্যবহার হয়। সে কারণে 'সিন্ধু' হয়ে যায় 'হিন্দু'। প্রকৃতপক্ষে হিন্দুরা ভারতীয় নয়, তারা সবাই রিফিউজি। যার ফলে তারা সর্বদা সুসংগঠিত ও সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করত। তাদের গায়ের বং ফর্সা, নাক লম্বা দেখতে বর্তমানের ইরানীদের মতই। লক্ষণীয় ভারতের সকল বাহ্মনদের চেহারাতেই ইরানী ছাপ, ইরানী রং ফুটে উঠে। কালো বর্ণের কোন বাহ্মন ভারতে স্বীকৃত নয়। যদিও প্রকৃত ভারতীয়রা কালো বর্ণেরই মানুষ।
মূল ভারতের মানুষেরা পরিচিত ছিল আদিবাসী-ভূমিপুত্র হিসেবে। অর্থাৎ ভারতীয় ভূমির প্রকৃত সন্তান। তাদের চামড়া হল শ্যামলা, গঠন চিকন ও খাটো প্রকৃতির, দেখতে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকের মতন। তাদের ধর্মের নাম 'সনাতন'। সনাতন শব্দের অর্থই হল পুরাতন বা আদি। এসব মানুষের পেশা ছিল কৃষি, কামার, কুমার, তাঁতি ইত্যাদি। তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে পুরো ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। এরা অনার্য হিসেবে পরিচিত হত যার অর্থ হল অসভ্য অন্য কথায় অশিক্ষিত-মূর্খ। আর্য তথা ইরানীরা কালক্রমে এসব ভারতীয় আদিবাসীদের উপর প্রভুত্ব কায়েম করতে সক্ষম হয়।
ঘটনাক্রমে হিন্দু তথা আর্য ও সনাতনী তথা ভূমিপুত্রদের মাঝে একটা সাদৃশ্য ছিল, সেটা হল দুই পক্ষই ছিল ঘোরতর প্রতিমা পূজারী। যদিও ‘বেদ’ শাস্ত্রে প্রতিমা পূজার নজির পাওয়া যায় না। পুরো ভারতের এক অঞ্চলে নিজেদের মত করে প্রতিমা তৈরি করে নিজেদের মত পূজা করত। নিজেরাই এই সব প্রতিমার বহুবিধ ক্ষমতার কথা প্রচার করতে থাকে। এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গেলে পর সেখানকার প্রতিমার গুন গুলি শোনার পর, নিজের এলাকায় এসে তাদের প্রতিমাকে সেরা বানানোর জন্য অন্যের প্রতিমার সকল গুনের সাথে নিজেদের প্রতিমার আরও গুন বাড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে ভারতের নিয়ন্ত্রকই হয়ে পড়ে এই সব মাটির তৈরি জড়।
ব্রিটিশ চলে যাবার পাক্ষালে মহাত্বাগান্ধী সহ মিলে পুরো ভারতে পূজা গুলোকে কমোন কয়েকটি পূজায় রূপান্তর করার চেষ্টা করা হয়, পরে সেটা পর্যবসিত হয়। কেননা ততদিনে এসব পূজা আঞ্চলিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে পড়ে। অতঃপর তারা সকল প্রতিমার নাম তালিকা বদ্ধ করতে গিয়ে আরও মুসিবতে পড়ে যায়। কেউ বলে পঞ্চাশ, কেউ বলে পাঁচশ প্রতিমা, সর্বশেষে বলা হল পুরো ভারতে তেত্রিশ কোটি দেবতার আবাস। এত দেবতার নাম সংগ্রহ ও তা তালিকাবদ্ধ করার এই বিশাল কর্মযজ্ঞে পরবর্তীতে আর কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
মূলত বর্তমান হিন্দু ধর্ম বলতে যা বুঝায় তা হল, অনেক গুলো অপ-সংস্কৃতি (লিঙ্গ পূজা, যোনী পূজা), কু-সংস্কৃতি (গো-মূত্র পান, বলি প্রথা), সংস্কৃতির দীনতা (অন্য জাতির বাজে পোশাক আশক, চাল-চলন, আনন্দ ফুর্তিকে সহজে গ্রহণ) এসবের মিলিত একটি প্লাটফরমের নাম। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভারতীয় পরিমণ্ডলে যত প্রকারের আনন্দ, ফুর্তি, বিনোদন, ঠাট্টা, মশকরার যৌথ প্রচলন আছে, সেসব জিনিষকে ধর্মের চাদরে পালন করার নামই বর্তমানের হিন্দু ধর্ম। এটা পৃথিবীতে একমাত্র ধর্ম যা প্রচার করা যায় না, ক্ষেত্রবিশেষে প্রচার করতে গেলে উল্টো প্রচারককেই স্বীয় ধর্মের মানুষ দ্বারা নাস্তানাবুদ হতে হয়। যেহেতু তাদের কোন মৌলিক বৈশিষ্ট্য নাই, তাই কোন গ্রহণযোগ্য আদর্শও নাই। যেখানে আদর্শ অনুপস্থিত সেখানে প্রচার করারও সুযোগ রহিত হয়ে যায়।
আজকে ভারতে যদিও হিন্দুরা ক্ষমতায় কিন্তু তারা কোনদিন সংঘটিত ও সুসংবদ্ধ হয়ে থাকতে পারেনা, পারবেও না। কেননা একটা জাতি ও ধর্ম যে ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হতে হয়, হিন্দুদের সেটা নাই কেননা তারা গোড়াতেই দুটি ভিন্ন জাতি, ভিন্ন রুচি, ভিন্ন চিন্তার অধিকারী। তাদের একের প্রতি অন্যর সহমর্মীতা নাই। ৫০০০ হাজার বছর আগে আর্য তথা ইরানীদের হাতে ভারতের সকল ক্ষমতা চলে যাবার কারণে ভারতীয় ভূমিপুত্ররা ক্ষমতার মালিক হতে পারেন নি। ব্রিটিশকে বিদায় করে ভারত স্বাধীন হলে পর নেহেরু বলেছিলেন, ৫ হাজার বছর পরে হিন্দুরা ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। ভগবান চোখ বাঁকা করে হাসে, কারণ পাঁচ হাজার বছর পরে যারা ক্ষমতার স্বাদ পেল তারাও সেই আর্য, হিন্দু ধর্মের ধুয়া তুলে, এখন পর্যন্ত ভারতকে আর্যরা শাসন করে যাচ্ছে, অনার্যরা হিন্দু হিন্দু বলে হরিবল চিল্লানোতে ব্যস্ত রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৬১৫৮ বার পঠিত, ৭৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথমদিকে হিন্দু শব্দটি ধর্মনির্বিশেষে ভারতীয় উপমহাদেশের সকল অধিবাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। কেবলমাত্র চৈতন্যচরিতামৃত ও চৈতন্য ভাগবত ইত্যাদি কয়েকটি ষোড়শ-অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলা গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগ্রন্থে যবন বা ম্লেচ্ছদের থেকে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের পৃথক করার জন্য শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে ইউরোপীয় বণিক ও ঔপনিবেশিক শাসকেরা ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসগুলির অনুগামীদের একত্রে হিন্দু নামে অভিহিত করে। ধীরে ধীরে এই শব্দটি আব্রাহামীয় ধর্মসমূহ অথবা অবৈদিক ধর্মবিশ্বাসগুলির (যেমন জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও শিখধর্ম) অনুগামী নন এবং সনাতন ধর্ম নামক ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন সকল ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়ে পড়ে।
ইংরেজি ভাষাতে ভারতের স্থানীয় ধর্মীয়, দার্শনিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলি বোঝাতে হিন্দুইজম বা হিন্দুধর্ম কথাটি চালু হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে।
চ্রম সত্য কথাই বল্লেন ভাই!! ১৯৪৭ এর পর ২৩ বছর না যেতেই মুমিন'নের ফাঁকিস্তান ভেঙ্গে যায়। ধন্যবাদ।
ভারত যদি সেই যুদ্ধে যোগ না দিত, তাহলে পাকিস্তানিদের রেখে যাওয়া সেই সব অস্ত্র বাংলাদেশী সাহসি মুসলমানদের হস্তগত হয়ে যেত। এমনকি আওয়ামীলীগের কর্মীদের হাতেও সেই অস্ত্র থাকত না। সেই অস্ত্র অতি সহসা ভারতের পুর্বের সাতটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের জন্য মধুসুদন দশা সৃষ্টি করত। মূলত পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র লুন্ঠনের ধান্ধায় ভারত যোগ হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের কোন কৃতিত্ব নাই। ভারতের শরীর যত বড়ই হোক, সে তার প্রতিবেশীদের সাথে লড়াইয়ে বড়াবড়ই ছাগল-ভেড়ার মতই ছিল। এমনকি বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের হাতেও।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মাঝে কিন্তু ভারত নেই। তারপরও সেখানে এক উম্মার ইসলামে এত বিভক্তি, বিভাজন, মারামারি, কাটাকাটি কেন??
সব শেষে আপনি বলেছেন- "ভারতের শরীর যত বড়ই হোক, সে তার প্রতিবেশীদের সাথে লড়াইয়ে বড়াবড়ই ছাগল-ভেড়ার মতই ছিল। এমনকি বাংলাদেশের আধাসামরিক বাহিনী বিডিআরের হাতেও।"
তাহলে তো মুমিন'দের চেয়ে বড় গরু/ছাগল পৃথিবীর কোথাও নেই। মাত্র ৬০ লক্ষ ইহুদীর ক্ষুদ্র এক রাষ্ট্র যে ভাবে তামাম মধ্যপ্রচ্যে আল্লার ঠ্যাং ভেংগে দিয়েছে, সেই লজ্জা লুকোবেন কোথায়।
অপি বাইদান এর জন্য ২টি লিংক দিলাম.... আশা করি খোলা চোখে পড়ে এবং দেখে আসবেন।
আশা করি খোলা চোখে একটু দেখেন
যাক,
ভারতের পাশের দেশ নেপাল হিন্দু হলেও শান্তিতে নাই।
চিনের পাশের দেশ তাইওয়ান বৌদ্ধ হলেও শান্তিতে নাই।
রাশিয়ার পাশের দেশ জর্জীয়া নাস্তিক হলেও শান্তিতে নাই।
আমেরিকার পাশের দেশ মেক্সিকো খৃষ্টান হলেও শান্তিতে নাই।
আপনার চোখের ছানিতে শুধু মুসলমান পড়ে, তা অবশ্যই পড়তেই হবে, কেননা আপনি এ বিষয়ে লিখার জন্য বেতন ভুক্ত ছা পোষা প্রানীদের একজন।
আর ইহুদির পরিচয় দিলেন! ভূলে গেছেন কি সেই ইতিহাসের কথা:
আহমেদ শাহ আবদালী তেপান্ন হাজার সৈন্য লইয়া ভারতের পানিপথে ভারতীয় তিন লাখ বাহিনীর মোকাবেলা করে। দুই লাখ ঘটনাস্থলে মরেছিল, বাকি ষাট হাজার আহত হয়ে কাতড়িয়ে মড়েছিল।
বাংলাদেশী হিন্দুদের অনুরোধে বখতিয়ার খলজি ১৭ জন সাথী লইয়া বাংলা আক্রমন করেন আর লক্ষন সেন দুপুর ভাত-পাত থেকে প্রান নিয়া পালাইয়াছিল।
বহু উদাহরন আছে, আপনাদের গায়ে জ্বলন ধরবে বলে দিলাম না, আপনারা এই উদাহরন দেখবেন না, কেননা ভারতীয় হিন্দুদের মত শুধু মুসলমানের ভুল ধরার কাজেই আপনারা মনোনিবেশ করবেন বলে সিন্ধান্ত নিয়েছেন।
কথা হল এটাই হল সেই মূল ছবি যেটা ইসলাম বিদ্ধেষের কারণে আপনারা কু-মতলবে এডিট করেছেন। সুতরাং আপনার মতলব পরিষ্কার।
দ্বিতীয়ত:
এই সব ছবিগুলো প্রকাশিত হলে ইসলামের উপকার হয়। কেননা প্রকৃত মুসলমানেরা এইসব ভন্ডামীর প্রতিবাদ করে, করে যাচ্ছে। আমি নিজেও এই সব ভন্ডদের উৎখাত চাই, সুতরাং আমিও আপনার সাথে একমত যে ইসলাম এসব ভন্ডামী এলাউ করেনা।
চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী, আপনারা তারপরও এইসব ছবিগুলোকে পুঁজি মনে করে নিজেদের আর্কাইভে জমা করবেন এবং মনের মাধুরী মিশিয়ে এডিট ও করবেন। কেননা আপনার লক্ষ্য বেতন ভাত তোলা। ধন্যবাদ।
চিনের পাশের দেশ তাইওয়ান বৌদ্ধ হলেও শান্তিতে নাই।
রাশিয়ার পাশের দেশ জর্জীয়া নাস্তিক হলেও শান্তিতে নাই।
আমেরিকার পাশের দেশ মেক্সিকো খৃষ্টান হলেও শান্তিতে নাই।
নেপাল, তাইওয়ান, মেক্সিকো, জর্জিয়া শান্তিতে নেই সুতরাং পৃথিবীর একমাত্র সত্য ধর্মের মুমিনরাও শান্তিতে নেই। উত্তম যুক্তি। ইসলামের খুনাখুনি সহি প্রমান করার জন্য পৃথিবীর আর কোথায় খুনাখুনি আছে সেটাই খুঁজে আনলেন! শান্তির ধর্ম ইসলাম বলে কথা।
২। মধ্যযুগের পিছলামী বীরগাধা আর বখতিয়ারের দস্যু পনা যখন মুসলিম'দের কাছে এতৈ প্রেঢ়নার উৎস হবে তো- অনেক স্বাধের স্পেন থেকে কচুকাটা করে মুসলিমদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেয়ার জন্য এখনো বিলাপ করেন ক্যান? মাটিতে মিশে যাওয়া তরুস্কের পিছলামী খেলাফত জন্য এখনো হাউমাউ করেন ক্যান?? ? আল্লার আবাবিল পংখি হেরে গেলেই মুমিনের দোয়াদুরুদ শুরু হয়। নাকি?
না ভাই, আমার দেয়া ছবিতে কোন কুমতলব নেই বা কোন ছবিও এডিট করা হয় নি। কুমতলব এবং এডিটিং করা হয়েছে বরংচ আপনার প্রশংসা সূচক মুমিন ভাইদের দেয়া ছবিগুলোতে। তাই বলি- 'আকাশে ফেল্লে থুতু পরে নিজের গায়' এ সত্যটি আল্লার মুমিনরা ভুলে যায়।
এসব নিয়ে আমি আরেকটি পোষ্ট দিব, আপনি আপনার সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। সেখানে দেখা হবে।
রবীন্দ্র নাথের দাড়ি, মোদীর দাড়ি কি প্রমাণ করেনা তারাও মুসলমাদের অবৈধ সন্তান?
নেহেরুর টুপি কি প্রমাণ করেনা যে সেও মুসলমানের ঔরশ যাত?
আর্য জাতিগোষ্ঠিরা অনেক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা চারটি সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল এরা হলঃ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র। এই সম্প্রদায়গুলো তৈরি করার অন্যতম কারণ হল কাজ ভাগ করে নেওয়া অর্থাৎ এক এক সম্প্রদায় এর লোক এক এক ধরনের কাজ করবে। অনেকের মতে হিন্দু শব্দটি আর্যদেরকে আফগানিস্তানের বাসিন্দা বা আফগানেরা দিয়েছে তারা সিন্ধু নদের তীরবর্তী সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিদেরকে হিন্দু বলত, আর এই ভাবেই হিন্দু নামটি এসেছে। এই সনাতন ধর্মের সাধু সন্ন্যাসিরাই বেদ শ্রুতিবদ্ধ করেন অর্থাৎ ধ্যানের মাধ্যমে বেদ আয়ত্ব করেন। বেদ কোন একজন সাধু বা সন্ন্যাসীর লব্ধকৃত নয়, বেদ হল বহু সাধু সন্ন্যাসীদের লব্ধকৃত এক মহান শ্রুতিবদ্ধ গ্রন্থ যা প্রথম অবস্থায় সবার মনে মনে ছিল পরে তাকে লিপিবদ্ধ করা হয়। বেদ এই লিঙ্কটির মাধ্যমে বেদ সম্পর্কে আরো জানতে পারবেন। তখন কার যুগে এই বেদের আধিপত্য ছিল ব্যাপক, অর্থাৎ সমাজের সকল কাজ বেদের মাধ্যমে চলত কারণ বেদে সমাজ চালানো, চিকিৎসা করা, গণনা করা এমন সব উপাদানই আছে। এই কারনে তখনকার সভ্যতাকে বলা হয় বৈদিক সভ্যতা।
এই বৈদিক সভ্যতায় অর্থাৎ ঐ আমলে কোন মূর্তি পূজা করা হত না। সেই সময় হিন্দুদের প্রধান দেবতা ছিলেন ইন্দ্র, বরুণ, অগ্নি এবং সোম। তারা যজ্ঞের মাধ্যমে পূজিত হত। তখনকার ঈশ্বর আরাধনা হত যজ্ঞ এবং বেদ পাঠের মাধ্যমে। সকল কাজের আগে যজ্ঞ করা ছিল বাঞ্ছনীয়। সে আমলে কোন মূর্তি বা মন্দির ছিল না। ধারনা করা হয়ে থাকে যে খ্রীস্টপূর্ব ৫০০ থেকে ১০০ অব্দের মধ্যে রামায়ণ এবং মহাভারত শ্রুতিবদ্ধ হয়। বর্তমানে এই সমস্ত মহান ধর্ম গ্রন্থগুলোর লিখিত রূপ হয়েছে। এই রামায়ণ এবং মহাভারতে লিপিবদ্ধ আছে ধর্ম এবং যুদ্ধের কাহিনী। এছারাও পুরাণ নামে যে ধর্মগ্রন্থগুলো রয়েছে তাতে দেবতাদের এবং অসুরদের যুদ্ধ নিয়ে ঘটনা আছে।
(উইকিপিডিয়া হতে)
হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে মানুষের আত্মা শাশ্বত। অদ্বৈত বেদান্তের ন্যায় অদ্বৈতবাদী/সর্বেশ্বরময়বাদী দর্শন অনুসারে, আত্মা সর্বশেষে পরমাত্মা ব্রহ্মে বিলীন হয়। এই কারণেই এই দর্শন অদ্বৈত দর্শন নামে পরিচিত। অদ্বৈত দর্শনের মতে, জীবনের উদ্দেশ্য হল আত্মা ও ব্রহ্মের অভিন্নতা অনুভব করা। উপনিষদে বলা হয়েছে, মানুষের পরমসত্ত্বা আত্মাকে যিনি ব্রহ্মের সঙ্গে অভিন্ন রূপে অনুভব করতে সক্ষম হন, তিনিই মোক্ষ বা মহামুক্তি লাভ করেন।
দ্বৈত ও ভক্তিবাদী দর্শনে ব্রহ্মের উপর ব্যক্তিত্ব আরোপিত হয়েছে। এই মতানুসারে সম্প্রদায়বিশেষে তাঁকে বিষ্ণু, ব্রহ্মা, শিব বা শক্তিরূপে পূজা করা হয়। আত্মা এখানে ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল এবং মোক্ষ নির্ভরশীল ঈশ্বরের প্রতি প্রেম অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহের উপর। পরমসত্ত্বা রূপে ঈশ্বর হিন্দুধর্মে ঈশ্বর (প্রভু, ভগবান (পবিত্র ব্যক্তি) বা পরমেশ্বর (সর্বোচ্চ প্রভু নামে আখ্যাত। অবশ্য ঈশ্বর শব্দের একাধিক ব্যাখ্যা রয়েছে। মীমাংসাবাদীরা ঈশ্বরে অবিশ্বাস করেন; আবার অদ্বৈতবাদীরা ব্রহ্ম ও ঈশ্বরকে অভিন্ন মনে করেন। অধিকাংশ বৈষ্ণব ঐতিহ্যে তিনি বিষ্ণু। বৈষ্ণব শাস্ত্রগুলি তাঁকে কৃষ্ণ বা কখনও কখনও স্বয়ং ভগবানের রূপে দর্শিয়েছে। আবার সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী মনোভাবাপন্ন।
খাজুরাহু মন্দিরের দেয়াল চিত্র। সমস্ত মন্দিরের দেয়াল জুড়েই আকা রয়েছে এমন সহস্র যৌণতার চিত্র, এই নাকি ধর্ম !!
ব্রহ্মা তার কন্যা স্বরস্বতির রুপে মুগ্ধ হয়ে তার সাথে সঙ্গম ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। স্বরস্বতি তার পিতার হাত থেকে বাচার জন্য ভুমির চারদিকে ছুটে বেড়াতে লাগলেন কিন্তু ব্রহ্মার হাত থেকে বাচতে পারলেন না। তারা স্বামী-স্ত্রী রুপে ১০০ বছর বাস করলেন এবং সয়ম্ভুমারু ও শতরুপা নামক এক ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দিলেন। সয়ম্ভুমারু ও শতরুপাও স্বামী স্ত্রী রুপে বসবাস করতে লাগলেন। Aitreay Brahman III : 33 // Satapatha Brahman 1 : 4 : 7 : 1ff // Matsy Puran III : 32ff // Bhagabati Puran III : 12 : 28ff
অহল্যা,গৌতম মুনরি স্ত্রী,সদ্য সড়বাতা (গোসল) এবং আদ্র (ভেজা) বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আশ্রমে প্রত্যাবর্তন কালে পথিমধ্যে গৌতম শিষ্য দেবরাজ ইন্দ্রের সাথে তার সাক্ষাত ঘটে। আদ্র বস্ত্রের মিথ্যা আবরণকে ভেদ করে উদগত যৌবনা অহল্যার রূপ লাবণ্য বিশেষ আকর্ষণীয় হযে় ফুটে উঠায় ইন্দ্রদেবের পক্ষে ধৈর্য ধারণ করা অসম্ভব হযে় পডে়,তিনি গুরুপত্নী অহল্যার সতীত্ব হরণ করেন। ত্রিকালজ্ঞ গৌতম মুনির কাছে একথা অজ্ঞাত থাকে না। তার অভিশাপে অহল্যা প্রস্তরে পরিণত হয়। আর ইন্দ্রদেবের সারা দেহে সহস্র যোনির উদ্ভব ঘটে। সুদীর্ঘকাল পরে ত্রেতাযুগে ঈশ্বরের অবতার রূপে শ্রীরাম চন্দ্র আবির্ভূত হন,তার পদ স্পশে অহল্যার পাষাণত্বঅপনোদিত হয়। (পঞ্চ পুরাণ,ষষ্ঠ খণ্ড,৬৯০ পৃষ্ঠা,মহাভারত,কৃত্তীবাসী রামায়ণের আদিকাণ্ডের ৬৫১ পৃষ্ঠা)
১। যম ও যমী,যমজ ভাই-বোন। সূর্যদেবের ঔরসে ও উষাদেবীর গর্ভে তারা জন্মলাভ করে। যমী একদিন যমকে বলে- “তোমার সহবাসের জন্য আ অভিলাষিনী,গর্ভাবস্থা হতে তুমি আমার সহচর। বিধাতা মনে মনে চিন্তা করে রেখেছেন যে,তোমার ঔরসে আমার গর্ভে আমাদের পিতার এক নাতি জন্মাবে। তুমি পুত্রজন্মদাতা পতির ন্যায় আমার শরীরে প্রবেশ কর।” (ঋকবেদ মন্ডল-৯,সুক্ত ১০) সেই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে হিন্দুরা প্রতিবছর’ভাইফোঁটা’নামক এক উৎসব পালন করে। ঐদিন যম আর যমীর অনুপ্রেরণায় হিন্দু ছেলেরা তাদের আপন বোনকে নিয়ে কল্পনা করে আর ভাবে- “ঈশ! আমার বোনটাও যদি যমীর মত হত…”
২। রাম ও সীতাকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই জানি। কিন্তু বৌদ্ধ দশরথ জাতক অনুযায়ী- রাম ও সীতা হল ভাই-বোন,পরে তাদের মধ্যে বিবাহ হয়। “দশরথ জাতক” অনুযায়ী রামের জনক রাজা দশরথ ও জননী রানী কৌশল্যার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক ছিল,তথাপি তাদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। ঋগ্বেদ- এ দেখা যায় দম্ভ নিজ বোন মায়াকে,লোভ নিজ বোন নিবৃত্তিকে,কলি নিজ বোন নিরুক্তিকে বিয়ে করেছিল। ৩। শুধু ভাইবোন নয়,হিন্দু ধর্মে এমনকি মা-ছেলে,পিতা-কন্যার বিয়েতেও কোন নিষেধ নেই। ঋগ্বেদ-এ উল্লেখ আছে- পূষণ তার বিধবা মাকে বিয়ে করে দ্বিধিষূ অর্থ্যাৎ বিধবার স্বামী হয়েছিল। হিন্দুশাস্ত্র মৎস পুরাণে বর্ণিত আছে- ইশ্বর ব্রক্ষ্মা নিজ কণ্যা শতরুপার প্রতি প্রণয়াশক্ত হন এবং হিন্দুদের আদি মানব মনুর জন্ম হয় তাদের মিলন থেকেই
ওরা বিভ্রান্ত হয়ে দিক বিদিক ছুটছে।
এখন কেউ যদি বেদ পড়ে, বেদের পৃষ্টা খুলে কোন হিন্দুকে সে কথা বলতে যায়, তাহলে সে হিন্দু বিশ্বাস করবে দূরের কথা! সে তা শুনতেও চাইবেনা, অধর্মের কাজ হবে বলে!
তারা বেদের কথা শুনতে চায় বাহ্মনের কন্ঠে, আর বাহ্মন কোনদিন হিন্দুদের বেদের সঠিক কথা শুনাতে চাইবে না। অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ অজানা বিষয় গুলো জানানোর জন্য।
না ভাই, আমার দেয়া ছবিতে কোন কুমতলব নেই বা কোন ছবিও এডিট করা হয় নি। কুমতলব এবং এডিটিং করা হয়েছে বরংচ আপনার প্রশংসা সূচক মুমিন ভাইদের দেয়া ছবিগুলোতে। তাই বলি- 'আকাশে ফেল্লে থুতু পরে নিজের গায়' এ সত্যটি আল্লার মুমিনরা ভুলে যায়।
আপনি এই সমস্ত ভন্ডদের যত ইচ্ছা গালাগালি করুন তাতে আমার কোন লোকসান নাই। আমিও চাই ধমর্ ব্যবসায়ী এসব ব্যক্তিদের ভন্ডামী প্রকাশ পাক। আপনি পীর ব্যবসায়ী, ধমর্ নিয়ে রাজনীতি ব্যবসায়ী (নিবর্াচনের আগে পট্টি ও তসবিহ সহ সবাই) ভন্ড নিয়ে যতই প্রতিবাদ মুখর হবেন ব্লগে কেউ আপনাকে আক্রমন করবে না, শতভাগ নিশ্চিত থাকেন।
এই তো ইসলাম। এজন্যই এ ধর্মে এত কাটাকাটি। ধন্যবাদ @ জনাব টিপু।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তাকে বেন করা হোক। যার এত নিক ।
তাদের ধর্মীয় কেতাবে গরু খাওয়ার কথা আছে কিন্তু তা তারা মানেনা। যদি সত্যিই ধর্ম হত তাহলে অবশ্যই মানত।
সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মূলত বর্তমান হিন্দু ধর্ম বলতে যা বুঝায় তা হল, অনেক গুলো অপ-সংস্কৃতি (লিঙ্গ পূজা, যোনী পূজা), কু-সংস্কৃতি (গো-মূত্র পান, বলি প্রথা), সংস্কৃতির দীনতা (অন্য জাতির বাজে পোশাক আশক, চাল-চলন, আনন্দ ফুর্তিকে সহজে গ্রহণ) এসবের মিলিত একটি প্লাটফরমের নাম। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ভারতীয় পরিমণ্ডলে যত প্রকারের আনন্দ, ফুর্তি, বিনোদন, ঠাট্টা, মশকরার যৌথ প্রচলন আছে, সেসব জিনিষকে ধর্মের চাদরে পালন করার নামই বর্তমানের হিন্দু ধর্ম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবতারনা করার জন্য ধন্যবাদ @ টিপু ভাই।
সবার ধারনা এসব ব্লগারের উপস্থিতি দুই মেরু থেকেই হয়, হয় হিন্দু নয়ত নাস্তিক। যেসব নাস্তিক হিন্দু তারা গালাগালির মহান ব্রতে লিপ্ত। নাস্তিকেরা গালাগালিকে শিল্প মনে করে, কেননা তার কাছে পাপপূন্য তথা মুত্র-আপেল জুস সবাই এক সমান।
আপাতত নাম গোপন করা লুকায়িত হিন্দুদের মুখ বন্ধ করার জন্য লিখা দরকার যে, ইহুদী, খৃষ্টান, মুসলিম যেভাবে ধর্ম সেভাবে হিন্দু কোন ধর্মের নাম নয়। এটা এক প্রকার কু-সাংস্কৃতির জটলা মাত্র। অনেক ধন্যবাদ।
আর একটি কথা- কুরআনের আয়াতটার কথা এই মুহুর্তে মনে নাই। সারমর্ম হচ্ছে, আল্লাহ বলেছেন- তোমরা তাদের উপাস্যদেরকে (সম্ভবত) গালি দিও না কারন তারা না বুঝে তোমাদের রবকে গালি দিবে, কারন তারা মূর্খ।
সেমতে ''অপি বাইদান'' এর সাথে তর্ক করে লাভ নেই।
প্রশ্নের উত্তর দেয়া যায় কিন্তু কেউ যদি বোকার মতো তর্ক করে তাহলে তাকে সময় দেয়া মানে হলো সময় নষ্ট করে তাকে উৎসাহ দেয়া।
বাঙ্গালী না বাংলাদেশী না মুসলামান।
অপি বাইদানের মত গোয়ারদের কথার জবাব দিয়ে মনে হয় কোন দিন শেষ করতে পারবেন না, কারন তারা কোনদিন ইসলামকে জানার ও বুঝার গরজ মনে করেনি, তাদের মত পেইড দালালদের জবাব না দেওয়াই মনে হয় ভালো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন