একটি সুন্দর ছুটির দিনে (ছবি ব্লগ)
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:১৭:৩২ দুপুর
২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪৩তম জাতীয় দিবস উদযাপিত হল। বড় বর্ণাঢ্য ও বর্ণিল ভাবে দিবসটি প্রতিবছর উৎযাপন হয়। আগে পরের দুই রাত এবং মাঝখানের দিনটিই হল মূলত এই দিবস উৎযাপনের মোক্ষম সময়। এই দিন গুলোকে সামনে রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পর্যটকেরা ভিড় করে আবুধাবী ও দুবাই শহরে। নয়নাভিরাম দৃশ্য ও আলোক সজ্জার বহু কারুকাজ থাকে এই অনুষ্ঠান কে ঘিরে। গভীর রাত্রিতে মহিলা পর্যটকেরাও একাকী এই শহরের বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্ট গুলো উপভোগ করতে পারে। কারো উত্ত্যক্ত হবার ভয় থাকেনা। এই শহর গুলোতে পুলিশ হল জনগণের বন্ধু তাই সমস্যা হওয়া মাত্র পুলিশকে অবহিত করার বহু ব্যবস্থা রয়েছে, ফোন করা মাত্র মুহূর্তে পুলিশ হাজির হতে পারে। শহর দুটো পরিপূর্ণ ডিজিটাল মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের তরুণ যুবকেরা যাদের কে মনোনীত করে সংসদে পাঠিয়েছে। তাদের মন্ত্রীরাও এই শহরের ডিজিটাল তেলেসমাতি দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলতে বাধ্য হয়, 'এটারেই বলে ডিজিটাল'।
ছোটকাল থেকেই ফটোগ্রাফির প্রতি বড় সখ ছিল। তখন ফটোগ্রাফির কোন কিছুই সহজলভ্য ছিলনা। বর্তমান ডিজিটাল যুগে তো হাতের মোবাইলেই ক্যামরা রয়েছে। যদিও সেগুলো দিয়ে প্রফেশনাল ছবি তোলা যায় না। তারপরও লক্ষ লক্ষ মানুষের 'দুধের সাধ ঘোলে মিটাবার' বিরাট ব্যবস্থা করে দিয়েছে আজকের মোবাইল প্রযুক্তি। ফটো তোলায় উৎসাহী সন্তানকে, ছবি তোলার খুঁটি নাটি শিখাবার জন্য আমিরাতের জাতীয় দিবসের সময় টিকে তার জন্য বরাদ্দ রেখেছিলাম। সে হিসেবে কিছু ছবি নিজের হাতে ধারণ করেছিলাম, যা এই পোষ্টে তুলে ধরলাম। আবুধাবী শহর ও তাদের জাতীয় দিবস সম্পর্কে সম্যক অবহিত হবার সুযোগ হয়ত অনেকেই পাবেন।
১. সকালটি সুন্দর ভাবেই শুরু হয়েছিল, আমরা ১৮ ঘণ্টার একটি প্রোগ্রামের জন্য প্রস্তুত!
২. এক প্রিয় বন্ধুর বাসায় আগে থেকেই সকালের নাস্তার দাওয়াত ছিল। যথারীতি তার দরজার কড়া নাড়া হল।
৩. বেলা সাড়ে দশ ঘটিকায় আবুধাবী শহরের একটি নান্দনিক দৃশ্য ধারণ। সহজে বুঝার জন্য অনেকেই এই দুটো ভবনকে পাইন অ্যাপল টাওয়ার বা আনারস ভবন বলে থাকে। শহরে ঢুকার সময় অনেক দূর থেকেই ভবন দুটো নজরে আসে। এই ভবন দুটো তাপ ও আলো নিয়ন্ত্রিত তথা ফটো-সেল সেন্সর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাপ ও আলো বেড়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিমিত ভাবে জানালা গুলো বন্ধ হয়ে। ছায়া পড়লে আবার জানালা গুলো খুলে যায়। ভবনে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার কারণে আমরা দূর থেকে সেগুলোর জানালা বন্ধ দেখতে পাচ্ছি। মূলত এই ভবন দুটোর প্রকৃত নাম হল Abu Dhabi Investment Council Building.
৪. পার্ক গুলোতে মানুষ আসা শুরু হয়েছে, তাই গাড়ীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। এই পার্কে আমরা স্ব-পরিবারে একটি দাওয়াতে অংশগ্রহণ করব। কয়েকজন পারিবারিক বন্ধুর সাক্ষাৎ ঘটবে।
৫. ইতিমধ্যে অনেকেই হাজির হয়েছে।
৬. জাতীয় দিবসের কেক কাটা হল, শিশুরা বেজায় খুশী হল, কেকের মাথায় ক্ষুদ্র আতশ বাজির ঝলক উঠল।
৭. বেলা তিনটার দিকে অনেক গুলো জেট ফাইটারের গর্জন শোনা গেল। দূরের আকাশে সেগুলো দেখা গেল আবার দূরে থেকেই তা অদৃশ্য হয়ে গেল।
৮. অনেক গুলো জেট বিমানকে আকাশে কসরত করতে দেখা গেল এবং বর্ণিল রং ছুড়ে আকাশকে রঙ্গিন করে তুলল। (ছবির সংখ্যা কমাতে একটি দেওয়া হল)
৯. আকাশের গর্জন শান্ত হল! কাশফুলের ছায়ায় আবৃত আবুধাবী শহরের একটি পায়ে চলার পথ! এই কাশফুল আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশে একটি মূল্যহীন তরু গুল্ম হিসেবে বিবেচিত কিন্তু পৃথিবীর সেরা কসমোপলিটন শহরের এটা শোভা বর্ধনের অন্যতম উপকরণ!
১০. সমুদ্র তীরে সন্ধ্যা নেমে আসার অপেক্ষায়।
১১. নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার সর্বশেষ নৌকাটিকে আমাদেরকে অতিক্রম করতে দেখলাম।
১২. শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদেরকে একটি ফ্রেমে আবদ্ধ করলাম। দুঃখিত, আমি কিন্তু এখানে অনুপস্থিত! কেননা ক্যামরা ম্যানদের ভাগ্যই এমন হয়। পৃথিবীর দুর্লভ ছবি গুলো তারা অন্যদের ছবির সাথে সংমিশ্রণ করে তুলে আনে তবে সে সর্বদা অনুপস্থিত থাকে।
১৩. আবুধাবীতে সন্ধ্যা নেমে এসেছে।
১৪. ফোয়ারা গুলো বৈদ্যুতিক আলোতে আলোকিত হয় উঠল।
১৫. শহর আলোকিত হয়ে উঠল।
১৬. শহরের প্রতিটি ভবনে নতুন আলোর ঝলকানি দেখা গেল।
১৭. শিশুরা রাস্তায় নেমে এল।
১৮. বালক-বালিকাদের কেউ আনন্দ উপভোগ থেকে বাদ গেলনা।
১৯. আরবী ছেলেরা স্নো স্প্রে নিয়ে বন্ধুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
২০. এই সুযোগে ভিন দেশীরাও নিজেদের চিত্ত চাগিয়ে নিল।
২১. বয়স্করাও সঙ ধরল।
২২. হঠাৎ আতশ বাজির উল্কা ধ্বনীতে আকাশ আলোকিত, ঝলমলে ও উজ্জ্বল হল।
২৩. মুর্হমুহূ বিকট আওয়াজে আকাশ প্রকঙ্পিত হল।
২৪. যে যেখানে ছিল, ঠায় দাড়িয়ে পড়ল।
২৫. সমুদয় যান-বাহন স্থবির হয়ে পড়ল।
২৬. গভীর রাত্রিতে পর্যটকেরা ক্লান্ত শরীরে হোটেলে ফিরতে শুরু করল।
২৭. তবে শেষ রাত্রিতেও পার্ক গুলোতে কোলাহল অব্যাহত থাকল।
২৮. পারিবারিক ভাবেও পার্কের এক একটি হাট তথা ছাউনি এক একটি পরিবার দখলে রাখল।
২৯. স্ব-পরিবারে সন্তানাদি নিয়ে গভীর রাত্রে শহরে ভ্রমণ শেষে পরিবারটি বাসার উদেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।
রাত্রির যে কোন সময়েও দিনের মত পরিবার নিয়ে একাকী চলতে বের হলেও এই শহরে কোন ভয় নাই। সকল ধর্মের, সকল জাতির মানুষ এখানে নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে, কোন ভয় ও শঙ্কা থাকেনা।
কেননা এই দেশে এখনও আইনের শাসন বলবৎ আছে। বিচারকেরা পক্ষপাত দুষ্ট নয়, শাসকেরা অন্যায় করেনা, আর পুলিশেরা জনগণের বন্ধু হিসেবেই দায়িত্ব পালন করে থাকে।
* একেবারে উপরে প্রথম ছবিটি আগের দিন রাত্রে আমার ফ্লাটের ব্যালকনি থেকে লং এক্সপোজারে উঠানো হয়েছে এবং প্রকাশিত ছবি গুলোর মধ্যে একটি ব্যতীত সব ছবি আমারই হাতে তোলা।
বিষয়: বিবিধ
২৫৫১ বার পঠিত, ১০৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটি ছুটির এবং জাতিয় দিন সবাই উৎসব করে অতিবাহিত করল তারা। আর আমরা আমাদের জাতিয় দিবসগুলিতে ফালতু বক্তৃতা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমাই!
আর স্টিকি পোষতে অভিনন্দন ভাই।
রাত্রির যে কোন সময়েও দিনের মত পরিবার নিয়ে একাকী চলতে বের হলেও এই শহরে কোন ভয় নাই। সকল ধর্মের, সকল জাতির মানুষ এখানে নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে, কোন ভয় ও শঙ্কা থাকেনা।
নিরাপদেই থাকুন এই কামনা।
আরব আমিরাতের জাতীয় দিবসের সূচনা কিভাবে হয় ? আমাদের যেমন ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে জাতীয় দিবস , আরব আমিরাতের কি এরকমই কোন হিস্ট্রি নাকি অন্য রকম?
৪৩ বছর আগে আরব আমিরাত বলে কিছু ছিলনা। সাতটি বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র এলাকা সাতজন শেখ নিজেদের মত করে শাসন করতেন। শেখ জায়েদ আল নাহিয়ান এই সাতটি ক্ষুদ্র এলাকাকে একত্রিত করেন সু-নিদ্দিষ্ট পদ্ধতিতে। যেমন তারাই প্রথমে একক মুদ্রা নীতি তথা ইউএই দেরহামের সূচনা করে। শেখ জায়েদ কে প্রধান করে অন্যান্য এলাকার শেখেরা নিজেদের অঞ্চলের প্রধান হয়ে শাসন চালাতে থাকেন, এখনও সেই পদ্ধতি চলছে। যেদিন সংযুক্ত আরব আমীরাত গঠন হয় সেদিন টিকে তারা জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। অনেক ধন্যবাদ।
সন্মানিত মডারেটরবৃন্দকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি গুরুত্বপূর্ণ ও উপভোগ্য একটি পোষ্ট ষ্টিকি করার জন্য। আপনাকেও অন্নেক অন্নেক অভিনন্দন ষ্টিকি পোষ্টের জন্য ভাইয়া।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন সব অবস্থায় এই কামনা রইলো। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
চমৎকার ছবি সংযোজনে সুন্দর আয়োজন অভিভূত করল!
ষ্টিকি করায় অভিনন্দন জানাচ্ছি!!
সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো মনোরম ছবি সমৃদ্ধ পোষ্টটি খুব ভাল লেগেছে । আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
আপনাদেরকে আসলেই মনে পড়ে। আপনি আমার নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাকাতে অনেক স্মৃতি আমাদের সাথে জড়িয়ে আছে। আমরা সর্বদা আপনাদের অনুপস্থিতি অনুভব করি। তা ছাড়া যদি আপনার দেশে থাকতেন তাহলে হয়ত কোনভাবে দেয়া হয়ে যেত, কেননা পৃথিবী গোল।
আবুধাবীর রাস্তা গুলো দিয়ে ঘুরতে মজা। আমি অনেক শহরে ঘুরেছি, তবে দল বেঁধে হেটে হেটে, দেখে দেখে ঘুরার জন্য আবুধাবী এ্কটি স্মৃতিময় শহর। যা আপনার লিখনীতে ও ফুটে উঠেছে।
আমি আমার পাঁচ বয়সী বাচ্চাটিকে দীর্ঘ পথ হাটানোর অভ্যাস করিয়েছিলাম এখানকার প্রসস্ত রাস্তার সুযোগ নিয়েই। আমারো হাটার বাতিক ছিল কিনা.......
আলী সাহেবকে আপনার খবর পৌছিয়ে দিব। আপনারা ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আমীন।
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন।
৪৩ বছর আগে আরব আমিরাত বলে কিছু ছিলনা। সাতটি বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র এলাকা সাতজন শেখ নিজেদের মত করে শাসন করতেন। শেখ জায়েদ আল নাহিয়ান এই সাতটি ক্ষুদ্র এলাকাকে একত্রিত করেন সু-নিদ্দিষ্ট পদ্ধতিতে। যেমন তারাই প্রথমে একক মুদ্রা নীতি তথা ইউএই দেরহামের সূচনা করে। শেখ জায়েদ কে প্রধান করে অন্যান্য এলাকার শেখেরা নিজেদের অঞ্চলের প্রধান হয়ে শাসন চালাতে থাকেন, এখনও সেই পদ্ধতি চলছে। যেদিন সংযুক্ত আরব আমীরাত গঠন হয় সেদিন টিকে তারা জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
সেই সাতটি ভুখন্ড যথাক্রমে: আবুধাবী, দুবাই, শারজাহ, আজমান, রাস আল খাইমা, ফজিরা ও ওম আল খোয়াইন।
অনেক ধন্যবাদ।
সূদুর আফ্রিকার কোন এক দেশের দরিদ্র
মুসলিম পরিবার গুলো ভাল ভাবে বেচে থাকতে পারতো। অনেক পরিবার খাওয়ার
অভাবে খৃষ্টান হয়ে যাচ্ছে। শাষকগন অপচয়
করে যাচ্ছে।
পরিতাপের বিষয় হল,
দুবাইয়ের শাসক দুবাই ব্যবহারে শতভাগ সফলতার সাক্ষর রেখেছেন, আর
চট্টগ্রামের শাসক চট্টগ্রামকে ব্যবহারে শতভাগ ব্যর্থতা ও মুর্খতার সাক্ষর রেখেছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছবিগুলোই বলে ক্যামরা আর ক্যামরাম্যান উভয়ই ভাল।
একজন সাহিত্যিকের হাতে যদি ক্যামরা যায়, তাহলে তিনি সত্যিকার অর্থেই ভাল ছবি তুলতে পারেন। যিনি সাহিত্যিক, তিনি যেভাবে সমাজের বৈশাদৃশ্য গুলো কলমের আঁচরে ফুটিয়ে তুলেন, তিনি সেভাবে ক্যামরার সাটারের মাধ্যমেও বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তুলতেও করিৎকর্মা হয়ে যান।
অনেকে হয়ত আমার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন, তবে নির্ধিধায় বলতে পারি।
হুমায়ুন আহমেদ,
জহির রায়হান,
সত্যজিত রায়
এরা সেরা হয়েছিলেন এদের হাতে কলম ও ক্যামরা দুটোই একসাথে চলত। এটা বিরাট কৃতিত্ব, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কারনটা হলো আমাদের দেশটা কেন নোংরা?
আমাদের দেশে যেসব প্রাকৃতিক স্পট আছে সেগুলোর মূল্যায়নের জন্য একজন মাহাথির দরকার।
বিশ্বাস করেন এসবের কোনটাই এদেশের মানুষ করেনা, করে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষেরাই। আর শাসন তাদের জন্যই রচিত হয়েছে।
আমাদের দেশ নোংরা হলেও আমাদের দেশে রয়েছে প্রচুর ও অপরিমেয় সম্ভাবনা। বিপুল সম্ভাবনার কারণেই দেশটি পৃথিবীর সকল জাতি গোষ্টীর নজরে থাকে।
অবশ্যই আমাদের একজন মাহাথির দরকার। অনেক ধন্যবাদ।
মানিক, কামরুল, মোহাম্মদ আলী, মাহমুদ, রাশেদ। আবারো ধন্যবাদ,
অনেক ভাল লাগল।
এমন পরিচ্ছণ্ন..শহর।
কিন্তু লাস্টের কথার সাথে একমত না।
এরাই মিশরে হাজার হাজার মুসলিম হত্যা করতে সাহায্য করেছে এবং উলটা মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন