একটি উটের আত্মকথা (বৈজ্ঞানিক রম্য রচনা)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৯ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:০৯:৫৬ সকাল



আমার নাম উট। পিটে কুঁজ, লম্বা পা, নলের মত গলা সহ অনেক বৈসাদৃশ্য নিয়ে উত্তপ্ত মরুভূমির বিরান প্রান্তরে আমার বসবাস। পৃথিবীর মানুষ কম-বেশী সবাই আমাদের চিনে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন, আমাদের পূর্ব পুরুষ প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগে উত্তর আমেরিকার আলাস্কায় বসবাস শুরু করে। এটা বরফ যুগের আগের কাহিনী। আমাদের বহু প্রজাতি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও, অনেকে এখনও দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছি। অনেক মানুষ আমাদেরকে জানতে আগ্রহবোধ করে। তাদের কেউ আরব দেশে আসলে আমাদের দেখা পায়, কেউবা চিড়িয়াখানায় ঢুঁ-মারেন। আমাদের পূর্ব পুরুষ আলাস্কার বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চল থেকে কিভাবে মরুতে এসেছে, আবার বরফের শীতলতাকে ছুঁড়ে ফেলে কেনই বা উষ্ণতাকে আলিঙ্গন করল, এর উত্তর আমাদের চেয়ে বিজ্ঞানীরাই বেশী দিতে পারবে। তবে যারা কোনদিন দু'চোখে উট দেখেনি, তারা আমাদের সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা পোষণ করেন। এসব ভুল ধারনা সংশোধনে, আমাদের জাতি সম্পর্কে আপনাদের কিছু স্বচ্ছ ধারণা দিতে চাই।



শুনে আশ্চর্য হবেন যে, আমি যখন ক্ষুধার্ত হই, তখন সব কিছুই খেতে থাকি! চামড়ার বন্ধনী, তাঁবুর দড়ি, গলার রশি, আস্ত জুতা, তাঁবুর শক্ত অংশ বিশেষ, কোন কিছুই আমার পছন্দ থেকে বাদ যায়না! কাগজের কার্টুন, পলিথিনের বস্তা, পাতলা টিনের নরম পাত কোনটাই আমার রুচিতে বাধে না! আমার ঠোঁট এত ভোঁতা যে, লম্বা কাঁটা ওয়ালা গাছ থেকে লিকলিকে জিহ্বা দিয়ে অনায়াসে পাতা সংগ্রহ করতে পারি! আবার মুখ এত মজবুত যে, ফণীমনসার মত ভয়ানক কাঁটা ওয়ালা ক্যাকটাস কে চিবিয়ে খাওয়া আমার জন্য খুবই মামুলী ব্যাপার! তাছাড়া রস-কষ-বাকলহীন যেসব গুল্ম উত্তপ্ত মরুর বালি রাশির মাঝে জন্মে, সেসব গুল্মকে পানের মত চিবাতে আমার দারুণ পছন্দ! ঠান্ডা পানি তো বটেই, প্রচণ্ড গরম পানি পর্যন্ত আমি এক চুমুকে নিঃশেষ করতে পারি! আমি হালকা গড়নের পিটে কুঁজওয়ালা দ্রুতগামী এক বিস্ময়কর প্রাণী! মধ্যপ্রাচ্যের তৃণহীন মরুভূমিতে আমার বাস। যাকে মানুষের বাহন হিসেবে উপযোগী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমার পিটের সুদৃশ্য কুঁজটি প্রায় আশি পাউন্ডের মত ভারী হয়। এটাতে আমার শরীরের অতিরিক্ত চর্বিগুলো ভবিষ্যতের জন্য জ্বালানী হিসেবে জমা থাকে। কিছু অবোধ মানুষ মনে করে থাকে যে, কুঁজের ভিতরে থাকে পানি, আসলে হাস্যকর কথাটি মোটেও সত্য নয়!

মহা-পরাক্রমশালী আমার সৃষ্টিকর্তা দয়া করে আমাকে এভাবেই তৈরি করেছেন। কেননা তিনি জানতেন মরুভূমিতে আমি সদা সর্বত্র খাদ্য জোগাড়ে ব্যর্থ হব। খাদ্য বিহীন অবস্থায় আমি যখন তপ্ত বালিরাশির উপর দিয়ে চলি এবং জাবর কাটার মত এক টুকরা ঘাস খুঁজে পেতে ব্যর্থ হই; তখন আমার শরীর স্বয়ংক্রিয় ভাবেই পিটের কুঁজ থেকে কিছুটা চর্বি গলিয়ে নেয়। এতে আমার পিটের কুজটি উপর থেকে সামান্য চ্যাপ্টা হয়ে যায়। বিপদের দিনে এই গলানো চর্বিই আমার জন্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে আমি বেঁচে থাকি এবং চলার জন্য পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করি। জরুরী অবস্থায় খাদ্য ঘাটতি মেটাতে এটাই আমার একমাত্র উপায়! চলার পথে যদি কোন মরূদ্যান কিংবা স্রোতস্বীনি পেয়ে যাই, সাথে সাথেই মুখ লাগিয়ে সুযোগ গ্রহণ করি। এই পানি গ্রহণে আমার চ্যাপ্টা কুঁজটি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে। আমি ভাল করেই জানি, কিভাবে দশ মিনিটের সুযোগে প্রায় ২৭ গ্যালন পানি পান করতে হয়। আমাকে যিনি তৈরি করেছেন, তাঁর আশ্চর্য ও নিখুঁত ডিজাইনের কল্যাণে খুব কম সময়ে আমি অনেক পানি গলাধঃকরণ করতে পারি! আমার গলায় পানি ঢুকার পর মুহূর্তে, বহু বিলিয়ন মাইক্রোস্কোপিক কোষ শরীরের মাংসপেশিকে সক্রিয় করতে কাজে লেগে যায়। এর ফলে আমি পুনরায় সতেজ ও তর-তাজা হয়ে উঠি।



আমার পানি পান করা মাত্রই তা সরাসরি পেটে চলে যায়। সেই পানি পেটে পড়ার সাথে সাথেই দেহের তৃষ্ণার্ত রক্ত কণিকা গুলো সকল পানি চুষে নেয় এবং আমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছে দেয়। আমার পানি পান করার পরে বিজ্ঞানীরা আমার পেট তল্লাশি করে দেখেছে। আশ্চর্য কথা! তারা আমার পেটে কোন পানি পায় নাই! মিনিট দশেক পরে যদি আবারো পানি পানের সুযোগ পাই তাহলে পুনরায় অনায়াসে আবারো বিশ গ্যালন পান করতে পারি! দৈনিক আট ঘণ্টার পরিশ্রমে, আমি সহজে চারশত পাউন্ড ওজনের ভারী মালামাল বহন করতে পারি। উত্তপ্ত, শুষ্ক এবং রুক্ষ মরুভূমিতে কোথাও না দাঁড়িয়ে খাদ্য ও পানীয় ছাড়া একটানা একশত মাইল চলতে পারি। একটি গোপন কথা বলি! এই অবস্থায় খাদ্য ও পানীয় ছাড়া আমি অনবরত আট দিন অতিবাহিত করতে পারি। এই ধরনের একটি কঠিন যাত্রার শেষে আপনারা যদি আমার প্রতি তাকান, তখন আমাকে দেখতে পাবেন, আমি যেন একটি শুকনো কাষ্ঠ খণ্ড! আমার শরীরে ভয়ঙ্কর চর্মসার দশা হবে! আপনারা দেখলে মনে করবেন, আমার সকল গোশত শুকিয়ে শুটকি হয়েছে, শুধু চামড়াটাই কোনমতে যেন হাড়ের উপরে লেপ্টে আছে! কেননা ততদিনে আমি শরীরের দুইশত সাতাশ পাউন্ড ওজন হারিয়ে ফেলব!



আমার শরীরের এই করুন দশা সৃষ্টির জন্য অনেকে আমার মনিবকে বকাবকি করে। আমি কিন্তু ভিতরে ভিতরে এই দৃশ্যটি দারুণ ভাবে উপভোগ করি! আসলে এই ধরনের কঠোর পরিশ্রমে আমি দুর্বলতা কিংবা অসুস্থতা অনুভব করিনা, এমনকি মনোবল পর্যন্ত হারাই না। কেননা আমি নিশ্চিত জানি যে, সূর্যতাপের ফলে আমার মাংসের কোটি কোটি কোষ থেকে পানি শুকিয়েই আমি চর্মসার হয়েছি। দেহের মাংস কোষ থেকে পানি শূন্য হয়েই, আমি শুঁটকীর মত হয়েছি! সাধারণত আমার রক্তে ৯৪ শতাংশের মত পানি থাকে, ঠিক মানবজাতির রক্তের জলীয় অংশের কাছাকাছি। প্রখর সূর্যতাপের কারণে আমার শরীরের রক্ত থেকে কিছুটা পানি বের হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা আমার রক্ত পরীক্ষা করে পেয়েছে যে, কদাচিৎ গরমের কারণে আমার রক্ত থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পানি বাষ্প হয়ে বেড়িয়ে যায়। ডাক্তারেরা বলেছে যে, মানবদেহের রক্তেও প্রায় ৯৪ শতাংশের কাছাকাছি পানি থাকে। তবে, মানুষের রক্ত থেকে যদি ৫ শতাংশ পানি বেড়িয়ে যায়, তাহলে আপনাদের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়ে যাবে, আপনারা কিছুই দেখবেন না! যদি ১০ শতাংশ পানি বের হয়ে যায়, তাহলে আপনি কিছুই শুনবেন না উপরন্তু একজন বদ্ধ উন্মাদে পরিণত হবেন! যদি আপনাদের রক্ত থেকে ১২ শতাংশ পানি বের হয়ে যায়, তাহলে আপনাদের রক্ত ঝোলাগুড়ের ন্যায় আঠালো হয়ে পড়বে! যার কারণে আপনাদের হৃৎপিণ্ড সে আঠালো রক্ত কোনমতেই পাম্প করতে পারবে না, ফলে আপনারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন। অথচ আমাদের রক্ত থেকে ৪০ শতাংশ পানি চলে গেলেও আমরা দিব্যি চলাফেরা ও খেলাধুলা করতে পারি। মানুষের রক্তের পানি শূন্যতা একটা দুঃসংবাদ হলেও আমাদের জন্য এটা কোন চিন্তার কারণ নয়।

বিজ্ঞানীরা আমাদের রক্ত কণিকা আর মানুষের রক্ত কণিকা পরীক্ষা করে দেখার পর ঘোষণা দিয়েছেন যে, উট আর মানুষের রক্তকণিকা এক প্রকারের নয়! আমাদের লোহিত রক্ত কণিকা গুলো বেশ দীর্ঘ আর আপনাদের রক্ত কণিকা গুলো গোলাকার। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, হতে পারে এই কারণে আমদের প্রচুর পানি শূন্যতা হবার পরও আমরা মারা যাই না, এমনকি অসুস্থ হই না বরং সুস্থ ও সবল ভাবে চলতে পারি! তবে এই ঘটনার মাধ্যমে সেই চির সত্য কথাটি প্রমাণিত হয়েছে যে, 'আমাকে মরুভূমির উপযোগী করেই সৃষ্টি করা হয়েছে অথবা আমাদের জন্যই মরুভূমিকে সেভাবে সাজানো হয়েছে'! আপনারা নিশ্চয়ই কখনও এমন কথা শুনেন নি যে, ‘একজন পরিকল্পনা বিধের চিন্তা ব্যতীত কোন কিছু এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে’!

একটি কথা আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে, আমি চলার পথে কোথাও যদি, একটু পানি পেয়ে যাই এবং মিনিট দশেকের জন্য তাতে মুখ লাগাবার সুযোগ পাই। তাহলে মুহূর্তেই আমার অস্থিচর্মসার শরীরে এক বিরাট পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। আমি সহসা সুন্দর ও তরতাজা হয়ে উঠি। বুঝতেই পারবেন না, মাত্র আধা ঘণ্টা আগেও আমি ছিলাম যেন এক হাড়ের জটলা! হঠাৎ পানির কল্যাণে সহসাই আমি ২২৭ পাউন্ডের হারানো ওজন ফিরে পাই। মরুভূমির প্রখর রৌদ্রতাপের ফলে অনেক প্রাণীর শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়, যার ফলে তারা মরুভূমিতে বাঁচতে পারেনা। তবে আমার শরীরের আশ্চর্যজনক বিশেষ ব্যবস্থার কারণে এই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়না। কেননা আমার এই দেহের আকৃতি দানকারী সৃষ্টির শুরুতেই এসব ভেবে রেখেছিলেন। তাই তিনি আমাকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসূচক একটি নাক দিয়েছেন। যার দ্বারা আমি দেহে পানি সংরক্ষণ করতে পারি। আমি যখন শ্বাসত্যাগ করি তখন খুব অল্প পরিমাণ পানিই শরীর থেকে বের হবার সুযোগ পায়। আমার নাকের নাসিকা ঝিল্লি গুলোতে একপ্রকার উষ্ণ ফাঁদ রয়েছে। যখনই আমি ফুসফুস থেকে নিঃশ্বাসের সাথে আর্দ্র বাতাস ত্যাগ করি। তখন সেই উষ্ণ ফাঁদ গুলো আমার ত্যাগ করা পানি মুহূর্তেই শোষণ করে নেয়। আমার নাসিকা ঝিল্লিগুলো সংগৃহীত পানির কণা গুলোকে অতি ক্ষুদ্র রক্তনালীর মাধ্যমে পুনরায় রক্তের মাঝে চালান করে দেয়। ফুসফুস থেকে নির্গত উষ্ণ পানি কণাকে পূনঃ ব্যবহারের জন্য শীতল অবস্থায় আমার দেহ রক্তকণিকার মাধ্যমে পেয়ে যায়। ফলে রক্তকণিকা গুলো প্রয়োজনীয় মাত্রায় শীতলতা পায়!

এতো গেল আমার নিঃশ্বাস বের হবার কাহিনী! আপনি শুনে আশ্চর্য হবেন যে, আমার নিঃশ্বাস গ্রহণেও রয়েছে এক আশ্চর্যজনক কারিগরি! আপনারা জানেন আমি তপ্ত মরুর উষ্ণ বায়ুকে নিঃশ্বাস হিসেবে গ্রহণ করি। এই উষ্ণ বায়ু যখন আমার ফুসফুসে ঢুকতে যায়, তখন সেটি শীতল হয়েই ঢুকে! চিন্তা করতে পারেন কি! এটা কিভাবে সম্ভব হয়? আসলে আমার নাক হল খুবই শীতল প্রকৃতির! গরম বাতাস শ্বাস হিসেবে যখন আমার নাসিকা দিয়ে ঢুকতে থাকে তখন আমার নাকের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে মাত্র মাত্র ১৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড! আমার পুরো শরীরের সকল স্থানের মাঝে নাকই হল সর্বনিম্ন তাপমাত্রার স্থান। আমার নাকের এই করিডোর দিয়ে মরুভূমির যত গরম বাতাসই যাক না কেন, তা গন্তব্যে পৌছার আগে শীতল হতে বাধ্য হয়! আপনারা এয়ার কন্ডিশন তৈরি করেছেন আমাদের জন্মের কোটি কোটি বছর পরে অথচ যিনি আমাকে পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আমাকে মরুভূমিতে চলার উপযোগী করতে আমার নাক টিকেই এয়ার কুলার বানিয়ে দিয়েছেন সৃষ্টির শুরুতেই!



আমার পায়ের পাতাগুলো প্রসস্থ। শক্ত চামড়ার মাঝে প্রতি পায়ে সামনের দিকে দুটি বলিষ্ঠ আঙ্গুল রয়েছে। দেখতে দু’টি জোড়া আঙ্গুলের মত দেখায়। আমার আঙ্গুল ও পায়ের এই বিন্যাসের কারণে আমরা ফাঁপাতে সহজে ডুবে যাই না। উত্তপ্ত বালি, পাথরের উপরে চলতে অস্বস্তি অনুভব করিনা। যেখানে আপনাদের দ্রুতগামী গাড়ী চালানো দায় সেখানে আমার পথচলা হয় একদম স্বাভাবিক এবং নিঝঞ্ঝাট! এটা আমার জন্য এক উত্তম পদ্ধতি, আমার মহান স্রষ্টা তাঁর নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন। কেননা তিনি চেয়েছেন আমাকে ভারী মালামাল পিঠে করে, দৈনিক শত মাইল পাড়ি দিতে হবে। কখনও মরু ঝড় সাইমুম আঘাত হানতে শুরু করে। রাশি রাশি বালি উড়তে থাকে, মানুষের জন্য পথ চলা, পথ চিনা এবং নিঃশ্বাস নেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু যিনি আমাকে নিখুঁত পরিকল্পনার আলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি দয়া করে আমাকে এক বিশেষায়িত নাসারন্ধ্র দিয়েছেন। বালি-ঝড়ের মাঝে আমার নাসারন্ধ্র বালি প্রবেশের সমুদয় পথ বন্ধ করে দেয়। তবে আমি নির্ভয়ে নিঃশ্বাস চালাবার মত প্রয়োজনীয় বাতাস গ্রহণ করতে পারি।

আমার চোখের পাতা গুলো উপরের দিক থেকে নীচের দিকে ভাঁজ করা, দেখতে মনে হবে যেন একটা ছাউনি। ছাউনি পড়া চোখের ছোট্ট অংশ দিয়েও আমি পরিষ্কার দেখতে পাই। চক্ষু পলকের ছাউনি আমাকে বালি ও প্রখর রৌদ্রতাপ থেকে বাঁচিয়ে রাখে। তারপরও প্রচণ্ড বালি ঝড়ের তোড়ে যদি বালির একটা পরিমাণ আমার চোখের ভিতরে ঢুকেই যায়? সেই ব্যাপারটিও আমার মহান প্রভু তাঁর অপূর্ব ডিজাইনের সময় মাথায় রেখেছিলেন। তিনি আমার চোখের উপরে অতিরিক্ত আরেকটি স্বচ্ছ পর্দার ব্যবস্থা করেছেন। সেটা দিয়ে এক পলক ঝাড়ু মারলেই, গাড়ীর কাঁচের গ্লাস থেকে বালি ঝড়ে পড়ার মত চোখের বালিও নিমেষে ঝড়ে পড়ে। আমার চোখের পাপড়ি গুলো, বাঁকা তলোয়ারের ন্যায় চোখের উপরে ঝুলে থাকে। এই পাপড়ি গুলো ঘূর্ণায়মান ধুলো বালি থেকে আমার চোখ দুটোকে বাঁচিয়ে রাখে। আবার এসব পাপড়ি চিকন গাছের সরু কাণ্ডের ন্যায় ছায়া তৈরি করে রোদের প্রখরতা থেকেও রক্ষা রাখে। ফলে আমার চোখ শুকিয়ে যাওয়া থেকেই রক্ষা পায়। অনেকেই মনে করে আমার মন ও ব্যক্তিত্ব প্রচণ্ড দাম্ভিক প্রকৃতির! কেননা সর্বদা আমি মাথা উঁচু করে রাস্তায় চলতে পছন্দ করি! কথা সত্য নয়, বস্তুত এখানে একটা ছোট্ট রহস্য লুকিয়ে আছে। আমার চোখের ভ্রু-গুলো যেমনি মোটা তেমনি জঙ্গলাকৃতির। মাথা উঁচু করে চললে সামনে যেভাবে দেখতে পাই, সেভাবে নীচের জিনিষগুলো পর্যবেক্ষণ করতে পারি। তাছাড়া সূর্যের আলো ও তাপ থেকে বাঁচতে ভ্রু’র জঙ্গলকে সূর্যের ছায়া হিসেবে ব্যবহার করি। মাথা নিচু করলে তো আমি কিছুই দেখতে পাবো না!



আমার বয়স যখন ছয় মাস হয়, তখন থেকে আমার সামনের পায়ে এক প্রকার প্যাডের জন্ম হতে থাকে। সকল প্রাণীর পিছনের পায়ে একটি হাঁটু থাকলেও আমার পিছনের পায়ে থাকে দুটি হাঁটু! আমার মহান স্রষ্টা এই ব্যাপারটি তাঁর জ্ঞানে রেখেছিলেন যে, এক হাজার পাউন্ড ওজনের আমার বিরাটকায় শরীর নিয়ে ভূমিতে বসতে গেলে আমাদের হাঁটু এমনই হওয়া চাই। তাছাড়া আমি যদি মানুষের উচ্চতায় ভূমিতে বসার উপযোগী না হতাম তাহলে মানব সম্প্রদায় আমার পিটে মালামাল বোঝাই করতে সক্ষম হত না! আমার পায়ের উপরে জন্মানো তুলতুলে প্যাডের কল্যাণে পায়ে ঘষা লেগে চাট তৈরি হয়ে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা পাই, অধিকন্তু এসব নরম তুলতুলে প্যাড আমাকে ভূমিতে বসতে আরাম দেয় এবং আঘাত থেকে মুক্ত থাকি।

মরুভূমির মানুষেরা আমাদের দ্বারা অনেকভাবে উপকৃত হয়। আমরা যেন তাদের জন্য এক চলমান মুদির দোকানের মত। কেননা আমাদের 'গৃহিনী উট' প্রচুর পরিমাণ দুধ দিয়ে থাকে। এসব দুধ আমিষ, স্নেহ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ। মানবজাতি উটের অসম্ভব শক্তিশালী কাঁচা দুধ পান করতে পছন্দ করে। অতিরিক্ত দুধ থেকে মাখন ও পনির বানিয়ে কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করে। বছরে আমরা প্রচুর পরিমাণ লোম দিয়ে থাকি, যদ্বারা মানুষ শীত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় তৈরি করে। তাছাড়া আমরা জানতে পেরেছি যে, আমাদের সন্তানেরা বৃদ্ধকালে যখন বেশী কাজ করতে পারেনা, তখন মানুষ তাদের জবাই করে গোশত খায়। নাড়ি ভুঁড়িকে পিষিয়ে কিমা বানিয়ে রুটি দিয়ে চিবায়! চামড়া দিয়ে পোশাক বানায়। হাড্ডি গুলো গুড়ো করে জিলেটিন বানিয়ে রঙ বে-রঙ্গের নাস্তা বানায়। আমাদের পায়খানা গুলো সংগ্রহ করে মাটি উর্বর করতে জমিতে ছিটায়, এমন কি আমাদের মৃতদেহের লেজের শক্ত চুলের গোছা কেটে নিয়ে জোতা রং করার ব্রাশ বানায়! এই কথাগুলো বলতে গিয়ে, মনটা আমার দুঃখে ভারাক্রান্ত হয়ে গেল! যাক, এই বিষয়ে আর একটি কথাও বাড়াতে চাইনা।



বহু বছর আগে থেকেই বলা হয়, ‘উট হল মরুভূমির জাহাজ’। কথাটি শতভাগ সত্য, জাহাজ পরিবহনে যেভাবে মালামাল নষ্ট হয়না, ঠিক সেভাবে আমাদের পিটেও মালামাল বিনষ্ট হয় না। মহান স্রষ্টা এসব মাথায় রেখে আমাদের চলার গতিকে দিয়েছেন সমান্তরাল ও মসৃণ করে। আমাদের চারটি পা থাকলেও অন্যান্য চার পেয়ে প্রাণী যেমন; গরু-ছাগল, বাঘ-সিংহ, ঘোড়া-জিরাপের মত চলাচল করিনা। আমাদের ডান পাশের সামনের ও পিছনের দুটি পা একসাথে চলে, তারপর বাম পাশের দুটি পা একসাথে চলে। এতে করে আমাদের পিটের বাহনে হ্যাঁচকা টান পড়েনা বরং পালকির মত আরামদায়ক দুলুনি তৈরি হয়।

এভাবে দীর্ঘ পথে মালামাল বহনে কারো কোন ক্লান্তি ও বিরক্তি আসেনা। আপনারা চিন্তা করে দেখুন, আমার পিট পাহাড়ের মত উঁচু আর জিরাপের পিট একটু ঢালু। তারপরও আমার পিট মাল বহনের উপযোগী কিন্তু জিরাপের পিট উপযোগী নয়! বেচারা জিরাপ মাটিতে বসতে পারেনা, তাই তার পিটে মাল তোলা যায়না। তারপরও কেউ যদি কষ্ট করে তার পিটে মালামাল বেঁধেও ফেলে তবু কোন কাজে আসবে না। কেননা জিরাপ দ্রুত হাটতে কিংবা দৌড়াতে সামনের দুই পা প্রায় এক সাথে এবং পিছনের দুই পা প্রায় এক সাথে ফেলে। ঠিক যেন আমাদের উল্টো। এতে হ্যাঁচকা টানে পিটের মালামাল, টালমাটাল হয়ে মুহূর্তেই লণ্ড-ভণ্ড হয়ে পড়ে যাবে। আমার মহান প্রভু সৃষ্টির শুরুতেই চিন্তা করেছিলেন যে, জিরাপের মত অদ্ভুত ও হাস্যকর প্রাণীকে দিয়ে মানুষের কাজে ব্যবহার করাবেন না। তাই বেচারাকে একটি বারও মাটিকে বসার সুযোগ দেননি!



আপনাদের চর্ম চোখে আমার বাহিরের আবরণ দেখে ভিতরের বিশ্লেষণ করা অনেক দূরহ ও কঠিন হবে। তারপরও কিছু অতি চালাক প্রাণীরা ভেবে থাকেন যে, 'যুগের চাহিদা মেটাতে আমাদের মত আলাদা বৈশিষ্ট্যের প্রাণীও নাকি এমনিতেই সৃষ্টি হয়েছে'! এসব বেকুপের কথা শুনে মনে হয়, 'জিরাপ ও একদিন আমাদের মত কাজের উপযোগী হয়ে উঠবে'! হাস্যকর কথা হল, 'যেখানে জিরাপ নিজের একটি হাঁটুই বাঁকা করতে পারেনা, সেখানে কিভাবে আশা করা যায় যে, তার পিছনের পায়ে উটের মত করে দুটি নতুন হাঁটু গজিয়ে উঠবে এবং মানুষের উপকারের জন্য সে মাটিতে বসবে'! মূল কথা হল, আমরা জন্মের শুরুতে যেভাবে ছিলাম এখনও সেভাবে আছি এবং আমার মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের বানিয়েছেন অন্যদের চেয়ে ব্যক্তিক্রম করে। আমাদের গঠন নিখুঁত প্রাযুক্তিক, উন্নত প্রকৌশলীক, পরিমিত ও সুবিন্যস্ত গঠনশৈলী দ্বারা আবৃত। তাছাড়া আমার মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, মানব সম্প্রদায়কে বলেছেন উট নিয়ে আরো ভাবতে! তাতে মানব সম্প্রদায় আরো জ্ঞানী ও বিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারবে! তাইতো দেড় হাজার বছর আগেই পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, “আফালা ইয়ান জুরুনা ইলাল ইবলি খাইফা খুলিক্বত” অর্থ, তারা কি উটের প্রতি তাকিয়ে দেখে না যে, তাকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে! সূরা আল গাশিয়াহ-১৭।

বিষয়: বিবিধ

৫১১৩ বার পঠিত, ১১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

285817
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
ফখরুল লিখেছেন : আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর
এই পৃথিবীতে আমি যে দিকে তাকাই,
নিপুন সৃষ্টি দেখে তোমাতে হারাই।

উট নিয়ে অনেক আলোচনা শুনেছি। অনেক সময় তাফসির পড়তে গিয়ে উট সম্পর্কে কিছুটা জেনেছিলাম।
কিন্তু এই ভাবে বিস্তারিত আজকে জানলাম। আল্লাহ আপনার মেধা শক্তি কে আরও বাড়িয়ে দিন। Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying Praying
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
229215
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন, ভাল থাকুন এবং সাথে থাকুন। আমিন
285838
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৫
বড়মামা লিখেছেন : সুন্দর অনেক কিছু যানলাম ভালো লগলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।উটের পেসাবও ঔষধ হিসাবে কাজে লাগে।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:২২
229852
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
285842
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
মামুন লিখেছেন : আপনার প্রতিটি লিখাতেই নতুনত্ব এবং উপস্থাপনার মুন্সীয়ানা থেকে, যার কারণে অভিভূত হতেই হয়।

এই লিখাটি দ্বারাও অনেক কিছু জানলাম।

ভালো লাগা রেখে গেলাম।

জাজাকাল্লাহু খাইর। Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
229862
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
285851
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৯
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৭
229863
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
285862
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩১
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : সুবহানল্লাহি ওয়াবিহামদিহী....
ধন্যবাদ তথ্যবহুল সুন্দর একটা লিখা উপহার দেয়ার জন্য।
সাথে সাথে অনুরোধ ভাই আপনার লিখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করার চিন্তাটা মাথায় রাখুন। তাহলে সবগুলো লিখা একসাথে আমরা পাব। ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহর আপনার লিখনী শক্তি আরো বাড়িয়ে দিক, আমিন।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৯
229864
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ চাহেতো ইনশায়াল্লাহ একদিন হয়ে যেতে পারে। আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
285863
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৪

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : তারা কি উটের প্রতি তাকিয়ে দেখে না যে, তাকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে! সূরা আল গাশিয়াহ-১৭।

তারা দেখবে কি ভাবে!! অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, কানাডা, ইংল্যান্ড অথবা জাপান পেনিনসুলা অঞ্চলে কোন উটই নেই। আপনার কমাক্কল আল্লা ভেবেছিলেন পৃথিবীটা সিরিয়া থেকে শুরু হয়ে মক্কা পর্যন্তই। তাই এই আহম্মকি কথা।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
229264
বাংলার সিংহ লিখেছেন : তোর উপর আল্লাহর গজব পরুক।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২৬
229281
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : মুক্তি, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে নিজেই নিজের স্রষ্টা!!
শুনেছি নাস্তিকেরাও আস্তীক মানুষের সম্মানার্থে কিংবা স্রষ্টার অস্তীত্ব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র পোবাবিলিটির কারনেও একটু সমীহ করে কথা বলে। আমি দু/এক জন নাস্তিকের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাদের সবার সম্বল একটাই। ডারউইনের "থিওরী অব ইভোলিউশন।"
অথচ অন্ধ কিছু নাস্তিক ব্যতীত বিশ্বের কোন গুরুত্বপূর্ন মানুষই সে থিওরি গ্রহন করেনি কোন নামকরা বিজ্ঞানী তো দূরের কথা।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
229283
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনার কথা বার্তায় এত দুর্গন্ধ কেনো?? মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের সম্মান সেখানে এত দুর্গন্ধযুক্ত মেয়ে!!! ছি.
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৩
229295
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : জানিনা কুরআনের বানী আপনার কর্ন কুহরে পোৗঁছাবে কিনা তবুও বলি- "সুম্মুন, বুকমুন, উমইয়ুন ফাহুম লা ইয়ারজিউন" এই আয়াতের ব্যাখা পড়বেন প্লিজ।
আর শুনুন আমাদের আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, মহাজ্ঞানী। সেখানে যা প্রয়োজন সেখানে তিনি তাহাই দিয়েছেন। আমাদের দেশ উট বহু নয় সত্য, কিন্তু এসব অঞ্চলের জন্য ঘোড়াতো আছে। বিশেষ অঞ্চল সমূহের জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ সৃষ্টি এই উট এটা সবাই জানে।
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
229305
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আপনার পৃথিবী সম্ভবত শাহাবাগ , শহীদ মিনার, এবং লালা পর্দার মধ্যে সীমাবদ্ধ। আপনাকে একবার বাংলাদেশ বিমানে করে আমেরিকা পাঠান দরকার। তার পর দেখতে চাই কত্তবড় নাস্তিক আপনি!! নিজের নাম, বাপের নাম, লেলিন,কাল মাস্কের নাম, ডারউইন নাম ভুলে মুখদিয়ে শুধু আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ শব্দ বের হবে।
আর শুনেন আপনার নানার দেশে কিন্তু উট আছে। অস্ট্রেলিয়া ও আছে।
২০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৬
229459
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @মুক্তিযুদ্ধের কন্যা ,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:১৫
229903
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার জীবনে পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে অনেক নাস্তিক দেখেছি। তারা যুক্তিতে, বিদ্যা, বুদ্ধিতে সেরা মনে করে বলেই নিজেদের চিন্তাকে সঠিক মনে করে। সে জন্য তারা কখনও নিজের চিন্তা অপরের উপর চাপাতে গালাগালি করেনা।

তবে যেসব আধুনিক শিক্ষিত বিজ্ঞান মনস্ক হিন্দু, নিজেদের ধর্মে সদা হাস্যকর উপাদানের উপস্থিত পায়, তখন সে তার নিজ ধর্মের উপর বিশ্বাস ও আস্তা হারিয়ে ফেলে। সে আরো ভাবতে থাকে যে, আমার ধর্মে যেহেতু সবই হাস্যকার উপাদানে ভরপুর, অন্যের ধর্মও তেমনিই হবে।

তার এই দুই অবস্থার মাঝে যখন তাকে নাস্তিকতা পেয়ে যায়, তখন সে নাস্তিকতাকে আগে বরণ করে। যার কারণে ভারতে প্রচুর নাস্তিক রয়েছে, যাদের সৃষ্টি হয়েছে যতটুকু না নাস্তিকতার প্রতি আকর্ষনের কারণে, তার চেয়ে বেশী নিজ ধর্মের প্রতি সন্দেহ-অবিশ্বাসের কারণে।

এখানে প্রকৃত কথা হল, হিন্দু থেকে আসা নাস্তিক দের একটি প্রকৃতি আছে এবং তাদের সহজে চিনে ফেলা যায়!

তারা যখন ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে তখন গালাগালি করে। গালাগালিকে যুতসই করতে কিছুটা যুক্তি প্রমান দাড় করায়। সে যব যুক্তিগুলো নাস্তিকদের নিকট থেকে ধার করা।

আর হিন্দু নাস্তিকদের গালাগালির অন্যতম কারণ হল, তারা বৈশিষ্ট্যগত ভাবে আগে থেকেই মুসলিম বিদ্ধেষী হিসেবে সমাজে বেড়ে উঠেছিল। সে কারণে তারা অন্তরে হিন্দু বাহিরে নাস্তিকতার চাদরে আল্লাহ বিদ্ধেষী মনোভাব বেশী পোষন করে। তারা হিন্দু হয়েও, জৈবিক প্রয়োজনে খৃষ্টানদের হাফ প্যান্ট সাংষ্কৃতি গ্রহণ করতে দ্বিধা বোধ করেনা। কিন্তু আল্লাহর নাম শুনলে তাদের হিতাহিত জ্ঞান ভূ-লুণ্ঠিত হয়।
আশা করি আমি আমার কথা বুঝাতে পেরেছি।

আপনি নিশ্চয়ই আমার এই লেখাটি পড়ে আমাকে অ-বৈজ্ঞানিক, অ-শিক্ষিত, কান্ডজ্ঞানহীন মনে করেন নাই। কেননা আপনি আমার লিখার কোন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন নি। সুরা আল গাশিয়াহর যেই আয়াতটি নিয়ে আপনি তাচ্ছিল্য করেছেন, সেই আয়াতটিই আমাকে এই ধরনের একটি লিখা লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক ধন্যাবাদ।
২১ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
229933

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : @ টিপু ভাই ; কথায় বলে- "ঝাজুর'কে নিন্দা করে খৈ-চালনি"

আপনি বলেছেন- "আধুনিক শিক্ষিত বিজ্ঞান মনস্ক হিন্দু, নিজেদের ধর্মে সদা হাস্যকর উপাদানের উপস্থিত পায়"

তা বটেই ভাইজান। কিন্তু সেই সাথে নিজের অতি! বিজ্ঞানময়!! ধর্মটির দিকে একটু নজর রাইখেন। মানুষ এখন সেই ৭ শতকে নেই যে আল্লা নামক রাক্ষসের ধামকি দিলেই ডরেভয়ে সবাই মাথা দিয়ে মাটি ঠুকবে?

পুরো কুরাণ/হাদীস জুড়ে রয়েছে বহু অতিপ্রাকৃত গাল-গল্পের ছড়াছড়ি! এগুলো যদি শুধু মুহম্মদের কথা শুনেই বিশ্বাস আনতে হয় তবে 'আলাদিনের চেরাগ' কিংবা 'হ্যারিপটারের জাদুর ছড়ি' -তে বিশ্বাস করতে নিশ্চই কোন সমস্যা নেই আপনার ?

১। গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে নবী মোহাম্মদের মহাশুন্য ভ্রমন বিলাস(আল হাদীস)
২। লাঠি নিক্ষেপের পর সাপ হয়ে যাওয়া (Quran 7:107)
৩। নবী ইউনুসের মাছের পেটে যাওয়া এবং প্রার্থনা করা (Quran 37:142)
৪। পাখা যুক্ত ঘোড়ায় চড়ে মুহম্মদের স্বর্গে গমন (Quran 17:1)
৫। সমুদ্রের দুই ভাগ হয়ে যাওয়া (Quran 2:5০)
৬। মোহাম্মদ কতৃক চাঁদ দ্বিখন্ডীকরণ(আল হাদীস)
৭। দ্যুতিময় যাদুর হাত (Quran 20:22)
৮। মৃত ব্যক্তি কতৃক তার খুনিকে চিহ্নিত করন (Quran 2:72)
৯। ভোরবেলা সূর্য ওঠে শয়তানের মাথায় দুই প্রান্তের মধ্য দিয়ে(আল হাদীস)
১০। সন্ধার পর সূর্য আরসের নিচে বসে আল্লাকে সেজদা দেয়

..............................
..............................

এমন আরো শতশত সরস বৈজ্ঞানিক উপাদানের খনি আপনার খানি।
২২ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
230227
হতভাগা লিখেছেন : @ ছালছাবিল : আর এই মেয়েকে কি না আপনি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ?
২২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
230313
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : এইটা মেয়ে না মনে হয় ফেইক
285865
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৮
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : উট নিয়ে আমার মাথায় যে জট পেকেছিলো তার গাট আপাতত খুললো। Rose Rose
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:১৯
229865
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : যারা জানতে চায়, আল্লাহ তাদের সকল প্রকার জট খুলে দেন।
285867
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪০
কাহাফ লিখেছেন :

রম্য কথকতার মাধ্যমে উট সম্পর্কে অসাধারণ বর্ণনা মুগ্ধ করল! জানার পরিধিও অনেক বাড়াল! অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ জানাচ্ছি Thumbs Up Thumbs Up Big Hug Big Hug
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২০
229866
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
285870
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৪
আফরা লিখেছেন : সোবহান আল্লাহ!আল্লাহর সৃষ্টি কৌশল আমর মত নগন্য মানুষের বুঝা কঠিন ।সত্যি ভাইয়া আপনার লেখাটা পড়ে আমি অভিভুত ।উট ও জিরাফ সম্পর্কে এত কিছু জানলাম আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে ।

২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২১
229867
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও সর্বোত্তম প্রতিদান দিক
১০
285872
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
তীর্যক১০ লিখেছেন : তোমার সৃস্টি যদি হয় এত সুন্দর,
না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর .....

ধন্যবাদ লেখককে তথ্যবহুল এই পোস্টের জন্য।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২২
229868
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা
১১
285874
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
আমজনতার কথা লিখেছেন : চিন্তাশীলদের জন্য এ প্রাণীর মাঝেও অনেক চিন্তা ও শিক্ষার উপকরণ আছে। সম্ভবত শেখ সাদী বলেছিলেনঃ জ্ঞানী ব্যক্তি গাছের সবুজ পাতার দেখেও স্রষ্টার অস্তিত্ব বুঝতে পারে।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৩
229869
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা, যারা চিন্তা গবেষনা করে আল্লাহ তাদের উপর খুব খুশী হন। অনেক ধন্যবাদ
১২
285878
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
আফরা লিখেছেন : মনে মনে ভাবছিলাম পোষ্টা স্টীকি হবে হোল ও তাই । Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাইয়া Rose Rose Rose
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
229870
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক, মডারেশন টিমকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
১৩
285883
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
সুশীল লিখেছেন : আফরা লিখেছেন : মনে মনে ভাবছিলাম পোষ্টা স্টীকি হবে হোল ও তাই । Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভাইয়া Rose Rose Rose
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
229871
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক, মডারেশন টিমকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
১৪
285884
১৯ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : উষ্ট্র পুরান!!
উট এর গোস্ত নাকি প্রচন্ড চর্বি বহূল। চট্টগ্রামের অনেক ধনি ব্যাক্তি হজ্জে গেলে নাকি উটের গোস্ত কে চট্টগ্রামের মেজবানি ফর্মুলায় রান্না করে মেজবান দিয়ে থাকেন। উটের নাক এর বিশেষত্ব নিয়ে ডঃ মুহাম্মদ শমশের আলি স্যারের একটি লেকচার শুনেছিলাম। উট এর দুধ থেকে নাকি ভাল মিষ্টি তৈরি হয় ভারতের রাজস্থানে। উট আর জিরাফের তুলনা করা অদ্ভুত। জিরাফ কখনই গৃহপালিত জিব এর মর্যাদা পায়নি।
অনেক ধন্যবাদ শিক্ষনিয় এবং আনন্দদায়ক পোষ্টটির জন্য।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৭
229872
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আপনার বিশ্লেষন ভাল লাগল আমার পোষ্ট আরো অলংকৃত হল, ভাল থাকুন।
১৫
285901
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ!!!!!!!!!
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৮
229873
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ,
১৬
285903
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৭
মামুন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : পৃথিবীটা অনেক সুন্দর তার চেয়েও অনেক সুন্দর করে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রাণীজগত সৃষ্টি করেছেন,আর প্রাণীর মধ্যে উট একটি বৈচিত্রময় ও আরব মানুষের জন্যে খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয় একটি প্রাণী যা আমরা যুগ যুগ ধরে জেনে আসছি । প্রিয় নবীর দেশে মহান আল্লাহ তায়ালা মুরুভূমির উত্তপ্ত বালুকণা ও গরমের প্রখরতা থেকে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই সৃস্টি করেছেন উটকে ।
সত্যিই আপনার লেখাটি অসাধারণ । খুবই ভালো লেগেছে।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৮
229874
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা, যারা চিন্তা গবেষনা করে আল্লাহ তাদের উপর খুব খুশী হন।
১৭
285907
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৫
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, মাশাআল্লাহ! দারুন এক রম্য রচনা। জীবজগৎ সত্যিই খুব আশ্চর্য ও বিশ্বয়কর সৃষ্টি আল্লাহ তাআলার। Day Dreaming Day Dreaming
মুগ্ধ হয়ে ছবিগুলো দেখলাম।
Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
229875
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দিক।
১৮
285909
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আল্লাহু আকবর
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৯
229876
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১৯
285914
১৯ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : Chalam. It is a great pleasure to know new information from your writing. Thanks a lot for your sticky post. Jajakallahu khair.
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩০
229877
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে সর্বোত্তম প্রতিদান দিক।
২০
285921
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৫
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : নজরুল ইসলাম টিপু , আলহামদুলিল্লাহ্‌ , আল্লাহু আকবর। জাজাকাল্লাহু খাইরান। আল্লাহ্‌ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন,যে আমার মত অধম বান্দাদের কে জ্ঞানের আলো সন্ধান দিতে পারেন। আমীন ।
লেখাটি পড়তে পড়তে কখন যেন চোখের কোণে পানি জমে গিয়েছিলো বুঝতেই পারিনি। পড়া শেষে চোখ জাপসা লাগতেই বুঝতে পারলাম । শ্রদ্ধা, আর ভালবাসায় মাথা নত হয়ে আসছিল প্রভুর সামনে বারবার। কখন ও বা নিজের অজ্ঞতা আর নাফরমানীর জন্য লজ্জা হচ্ছিল বারবার। এক উট নিয়ে চিন্তা করলেই, গবেষণা করল, ইহাই যথেষ্ট ঈমান আনার জন্য ,আল্লাহ্‌ অস্তিত্ব খুজে পাওয়ার জন্য।
এ এক মহান আল্লাহ্‌র, বিস্ময় কর সৃষ্টি , দয়াময় আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ মরুবাসির প্রতি। এই জন্য আল কুরআনের কয়েক জাগায় উটের কথা বলা হয়েছে। আর আধুনিক বিজ্ঞান তো উটকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
229878
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর সৃষ্টি নৈপূন্য নিয়ে ভাবতে পেরে খুব কম সংখ্যক মানুষের চোখে পানি আসে। আপনি খুব মনোনিবেশের সাথে গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন বলেই আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা ভালবাসা বহুগুণে বেড়েছে। আল্লাহ আপনাকে আমাকে সবাইকে তাঁর রাস্তায় চিন্তা করার সুযোগ দিন।
২১ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৫৯
229948
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : আমীন , আমীন , আমীন।
২১
285932
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২২
রিদওয়ান বিন ফয়েজ লিখেছেন : সুবহান আল্লাহ , আপনার এই রম্য রচনার মাধ্যমে অসাধারন তথ্য মিলল যা আমি পুর্বে কখনো শুনিই নাই। সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি সমন্ধে যতই জানার চেষ্টা করব ততই তার দিকে মাথা ঝুকে যাবে। জাযাকাল্লাহুল খাইর।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
229879
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২২
285935
১৯ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : প্রতিবারের মতই অসাধারণ হয়েছে আপনার লেখা । আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । Rose Rose
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
229880
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
২৩
285953
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : দ্বিতীয় বার পড়লাম৷ যারা এই প্রানীটার বিষয়ে গবেষণা করবে, তারা আল্লাহ জন্য সেজদায় পড়তে বাধ্য হবে৷ আল্লাহ এ জন্যই ঐ আয়াতটি দিয়েছেন৷ ধন্যবাদ৷
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৪
229881
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কোরআনের সেই আয়াতটিই আমাকে এই ধরনের একটি লিখা লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। মূলত আল্লাহ আমাকে সহযোগীতা করেছেন, এখানে আমার কোন কৃতিত্ব নাই।
২৪
285961
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৪
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : বেশ ভালো লাগলো আজকে কাজের ফাকে লিখাটি পড়লাম।
চিন্তার খোরাক হলো নিশ্চয় চিন্তাশীলদের জন্য উত্তম হবে পোষ্টটি।
জাজাকাল্লাহ ভাইয়া।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
229882
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা, যারা চিন্তা গবেষনা করে আল্লাহ তাদের উপর খুব খুশী হন।অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
২৫
285965
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১০:০৬
যা বলতে চাই লিখেছেন : নতুনভাবে উপলব্ধি করলাম। আল্লাহ তাআলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। আমিন।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৬
229883
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
২৬
285987
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:০৬
মু. মিজানুর রহমান মিজান (এম. আর. এম.) লিখেছেন : এগুলো আমি কিছুই জানতামনা। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম আলহামদুলিল্লাহ।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৮
229884
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মূলত আল্লাহ আমাকে লিখতে সহযোগীতা করেছেন, এখানে আমার কোন কৃতিত্ব নাই। অনেক ধন্যবাদ।
২৭
285990
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৭
মুসা বিন মোস্তফা লিখেছেন : সুন্দর পোস্ট ।সময় নিয়ে পড়লাম অনেক ধন্যবাদ
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৮
229885
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
২৮
285994
১৯ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২২
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : সুবহানাল্লাহ্! Praying মহান আল্লাহর সৃষ্টি একটি প্রাণী উট সম্পর্কে জেনে আশ্চার্যিত হলাম। Surprised আল্লাহ পুরো দুনিয়াতে আরো কত রকমের প্রাণী বানিয়েছে। কত প্রানীর নামও জানি না। It Wasn't Me!

চমৎকার বর্ণনা দিয়ে লিখেছেন মাশাআল্লাহ। Angel জাযাকাল্লাহু খাইরান। Rose Rose Rose

স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন।

২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
229886
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা, যারা চিন্তা গবেষনা করে আল্লাহ তাদের উপর খুব খুশী হন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, মডারেশন টিমকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
২৯
286022
২০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৬
লোকমান লিখেছেন : রম্য রচনার মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ টিপু ভাই।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৩৯
229887
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৩০
286029
২০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১০
রফিক ফয়েজী লিখেছেন : একটি উটের সৃষ্টির মাঝেই এতো রহস্য লোকায়িত বাকী সৃষ্টির মাঝে আরও কত রহস্য!আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখার জন্য।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
229888
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা, যারা চিন্তা গবেষনা করে আল্লাহ তাদের উপর খুব খুশী হন।
৩১
286055
২০ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৩১
নাছির আলী লিখেছেন : আল্লাহু আকবার ।স্রস্টার সৃস্টির প্রতি দৃস্টি করলে শুধু রহস্যই মিলবে। ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪০
229889
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহর প্রতিটা ক্ষুদ্র সৃষ্টিতে প্রচুর নিদর্শন রয়েছে, মানুষের দরকার শুধু ভাবনা চিন্তা করা, যারা চিন্তা গবেষনা করে আল্লাহ তাদের উপর খুব খুশী হন।
৩২
286062
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:০৯
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ভাই। সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ। কি চমৎকার কথার মালা, কি সাবলীল বাচনভঙ্গী আর কি আজব সব তথ্যের সমাহার। তার উপরে রয়েছে আপনার রম্যরচনার অতি চমৎকার গাঁথুনি। সব মিলিয়ে অনেকদিন পর একখানা সত্যিকার পাঠ্যপোযোগী পোস্ট, পাঠ করে প্রাণটাই শীতল হয়ে গেল। আল্লাহর অপার সৃষ্টিকৌশলের অতি ক্ষুদ্র একটি অংশই মাত্র জানা হলো বার্ধ্যক্যের প্রান্তে এসেও।
আপনার জন্য আন্তরিক দুয়া দয়াময়ের কাছে, আল্লাহ যেন এমন আরো অনেক কিছু আপনার হাত দ্বারা আমদের জন্য উপহার পাঠান. আমীন।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
229890
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে আমাকে সবাইকে তাঁর রাস্তায় চিন্তা করার সুযোগ দিন। আপনার বিশ্লেষন ভাল লাগল আমার পোষ্ট আরো অলংকৃত হল, আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩৩
286108
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০১
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : দারুন লেগেছে বদ্দা ।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
229891
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৩৪
286114
২০ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : উট নিয়ে বিশাল গবেষণা। রম্য রচনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
229892
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৩৫
286159
২০ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী লিখেছেন : অসাধারণ ব্লগ পোস্ট।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
229893
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৩৬
286333
২১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:২২
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
"তারা কি উটের প্রতি তাকিয়ে দেখে না যে, তাকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে!" (সূরা আল গাশিয়াহ-১৭)

আপনার লেখাটি উপরোক্ত আয়াতেরই অসাধারণ ব্যাখ্যা। জিরাফ ও উটের তুলনাটি খুবই ভালো লেগেছে।

জাজাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck

২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৪৯
229894
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কোরআনের সেই আয়াতটিই আমাকে এই ধরনের একটি লিখা লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। মূলত আল্লাহ আমাকে লিখতে সহযোগীতা করেছেন, এখানে আমার কোন কৃতিত্ব নাই।
৩৭
286334
২১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:২৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : এই পোষ্টটা রাম্য, তবে তথ্যবহুল। ধন্যবাদ।



২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫০
229895
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩৮
286337
২১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৩৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পোস্টটা স্টিকি হওয়ারই মত। পুরোটা পড়লাম। সত্যিই অসাধারণ কিছু জানলাম। আর অনেক স্ট্যাডী করে লিখেছেন দেখা গেল। জাজাকাল্লাহ,ভাল লাগল
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
229896
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুরা আল গাশিয়াহর সেই আয়াতটিই আমাকে এই ধরনের একটি লিখা লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে। অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৩৯
286374
২১ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৩১
ওরিয়ন ১ লিখেছেন : ঝাঝাকুমুল্লাহ খায়ের। আল্লাহ আপনাকে জান্নাত বাসী করুক, আমীন।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
229897
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে, আমাকে সহ সকল মুসলিমকে জান্নাত বাসী করুন। আমীন।
৪০
286375
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:০৭
জোনাকি লিখেছেন : SubhanAllah!
What a nice and rich post.
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫২
229898
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৪১
286411
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

সবসময়ই আপনার চমৎকার সব লেখার অপেক্ষায় থাকি, . . . . !!

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৩
229899
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক।
৪২
286437
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০১
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ধন্যবাদ টিপু ভাই্। মরুভুমির জাহাজ নামে খ্যাত উটের অনেক অজানা বিষয়কে একত্রিত করে দারুণ একটা পোষ্ট দিয়েছেন। যা আল ইন ওয়ান। খুব ভাল লাগল। সাথে সাথে উটের অজানা তথ্য জেনে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ ও বেড়ে গেলে অনেক গুন। ধন্যবাদ।
২১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
229922
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার বিশ্লেষন ভাল লাগল আমার পোষ্ট আরো অলংকৃত হল, আপনার সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪৩
286470
২১ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 10348

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> মুক্তিযুদ্ধের কন্যা লিখেছেন : @ টিপু ভাই ; কথায় বলে- "ঝাজুর'কে নিন্দা করে খৈ-চালনি"

আপনি বলেছেন- "আধুনিক শিক্ষিত বিজ্ঞান মনস্ক হিন্দু, নিজেদের ধর্মে সদা হাস্যকর উপাদানের উপস্থিত পায়"

তা বটেই ভাইজান। কিন্তু সেই সাথে নিজের অতি! বিজ্ঞানময়!! ধর্মটির দিকে একটু নজর রাইখেন। মানুষ এখন সেই ৭ শতকে নেই যে আল্লা নামক রাক্ষসের ধামকি দিলেই ডরেভয়ে সবাই মাথা দিয়ে মাটি ঠুকবে?

পুরো কুরাণ/হাদীস জুড়ে রয়েছে বহু অতিপ্রাকৃত গাল-গল্পের ছড়াছড়ি! এগুলো যদি শুধু মুহম্মদের কথা শুনেই বিশ্বাস আনতে হয় তবে 'আলাদিনের চেরাগ' কিংবা 'হ্যারিপটারের জাদুর ছড়ি' -তে বিশ্বাস করতে নিশ্চই কোন সমস্যা নেই আপনার ?

১। গাধার পিঠে সওয়ার হয়ে নবী মোহাম্মদের মহাশুন্য ভ্রমন বিলাস(আল হাদীস)
২। লাঠি নিক্ষেপের পর সাপ হয়ে যাওয়া (Quran 7:107)
৩। নবী ইউনুসের মাছের পেটে যাওয়া এবং প্রার্থনা করা (Quran 37:142)
৪। পাখা যুক্ত ঘোড়ায় চড়ে মুহম্মদের স্বর্গে গমন (Quran 17:1)
৫। সমুদ্রের দুই ভাগ হয়ে যাওয়া (Quran 2:5০)
৬। মোহাম্মদ কতৃক চাঁদ দ্বিখন্ডীকরণ(আল হাদীস)
৭। দ্যুতিময় যাদুর হাত (Quran 20:22)
৮। মৃত ব্যক্তি কতৃক তার খুনিকে চিহ্নিত করন (Quran 2:72)
৯। ভোরবেলা সূর্য ওঠে শয়তানের মাথায় দুই প্রান্তের মধ্য দিয়ে(আল হাদীস)
১০। সন্ধার পর সূর্য আরসের নিচে বসে আল্লাকে সেজদা দেয়

..............................
..............................

এমন আরো শতশত সরস বৈজ্ঞানিক উপাদানের খনি আপনার খানি।
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
231191
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি মানুষটা কে, আমার সেই ধারনা যা আমি আপনার উপরের মন্তব্যে লিখেছি, আপনি নিজেই প্রমাণ সেটা করে ছেড়েছেন।

উপরের যে ঘটনাগুলো দিয়েছেন সেগুলো শুধু মুসলমাদের সাথেই সর্ম্পকিত নয় পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলমানের সাথে কোটি কোটি খৃষ্টান ও ইহুহী জনগোষ্ঠি বিশ্বাস করে। সুতরাং পিঁপড়া হাতির পায়ের নখ কে পাথরের টিলা মনে করলে সেটা তারই ভ্রম হতে পারে, হাতির পায়ের নখের ব্যখা পরিবর্তন হয়না। অন্যের বিশ্বাস ব্যাখা নিয়ে আপনি কি মনে করলেন তাতে হাতির কিছু আসে যায় না। আপনি যদি বিশ্বাস করতেন তাহলে মুসলিম হতেন, আপনি বিশ্বাস করেন না ব্যাপারটি এতটুকু তে থাকলে তো কথা ছিল না।

আপনি হৃদয়ে অন্তঃক্ষরণ অনুভব করছেন, বিষ জ্বালায় অন্তরে তীব্রভাবে দহন হচ্ছেন, সে কারণে আপনার মন্তব্যে আল্লাহকে নিয়ে হিংসা, বিদ্ধেষ, হঠাকারীতায় ভুগছেন, যদিও আল্লাহ আপনার কোন ক্ষতি করেনি কিন্তু আপনি তাকে ছেড়ে দিতে চাইছেন না।

আল্লাহ বলেছেন এই বিষ শুধুমাত্র তাদের অন্তর কেই বিষাক্ত করে যারা পৌত্তলীকতায় বিশ্বাসী, যারা বিশ্বাস করে পৃথিবীর সকল সৃষ্টিতে অন্য অনেকের অংশীদার আছে। আপনি তো সেই, শুধুমাত্র বারে বারে পরিস্থিতি অনুসারে মুখোশ বদলান। আপনি তাপে দগ্ধ হতে থাকেন তাতে্ আমাদের কোন পরিতাপ নেই। আমার ব্লগে এসে মন্তব্য করায় উত্তর দিলাম, নতুবা উত্তর দেবারও দরকার হত না। অনেক ধন্যবাদ।
৪৪
286687
২২ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৫১
আবু জারীর লিখেছেন : টিপু ভাইর অসাধারণ লেখাটা পুনরায় পড়লাম। সত্যিই অসংখ্য অসঙ্গতি নিয়েও উট আল্লাহর এক অসাধারণ সৃষ্টি।
ধন্যবাদ।
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
231192
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে বরাবরের মত অনেক ধন্যবাদ। তবে ইদানিং কম দেখা যায়!!!
৪৫
286779
২২ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : খুবই মজাদার এবং শিক্ষনীয় পোস্ট, অনেক ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
231193
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৪৬
286830
২২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৮
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : আপনার লেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
231194
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ভাল থাকুন, অনেক ধন্যবাদ।
৪৭
286850
২২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : এই মুক্তি যোদ্ধা কোন্যাটা কে?
বাজে কমেন্ট করছে অথচ কেউ কিছু বলছে না।
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
231195
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমি তার পরিচয় তার মন্তব্যে দিয়েছি, তাকে কিছু না বলাই হল তার কমেন্টের উত্তর। যেহেতু আমার পোষ্টে মন্তব্য করেছে, তাই উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছি। পড়ে দেখবেন। অনেক ধন্যবাদ।
৪৮
286889
২২ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আমিও পড়েছি, তবে .....
২৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
231196
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, তবে......
২৫ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫০
231576
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : তবে অর্ধেক পড়েই পালাইছিলাম I Don't Want To See Big Grin Big Grin Big Grin
৪৯
288387
২৬ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫২
236195
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
৫০
292998
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
শরাফতুল্লাহ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাইজান, আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম, এবং আয়াতটির ব্যাখ্যাও বুঝতে পারলাম। Good Luck Happy
১০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২২
236645
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ভাল থাকুন, অনেক ধন্যবাদ।
৫১
319786
১৩ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : তথ্যবহুল সুন্দর একটা লিখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, খুব ভাল লাগলো অনেক কিছুই শিখতে পারলাম। আপনার নতুন লিখার আশায় আছি.....।
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৪
273973
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৫২
331749
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
শফিউর রহমান লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
বড় একটা সংশোধনী প্লিজঃ
" ক্বুলিকাত" নয়, খুলিক্বত।
২৬ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬
273987
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ, শব্দটা ঠিক করে দিয়েছি। ভাল থাকুন।
৫৩
331801
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:৫৭
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ অনেক কিছু জানলাম, সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
২৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৫০
274130
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, আল্লাহ আপনাকে ভাল রাখুন। আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File