আত্মরক্ষার্থে ছাত্র শিবিরের অভিনব অস্ত্রের ব্যবহার!
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০২ মার্চ, ২০১৩, ০১:০৭:২২ দুপুর
সকালে রাজধানীর ফকিরাপুলে এই অভিনব ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা যায় শিবির কর্মীদের। ছোট তবে রকেট লঞ্চারের মতো ছোঁড়া হয় এটি। ছুঁড়ে মাড়লে অনেক দুরে গিয়ে পড়ছে। সেখানে সৃষ্টি করে তীব্র ঝাঁঝালো ঘন ধোঁয়া। ছোঁড়ার পর প্যারাসুটের মতো বেড়িয়ে আসে একটি পলিথিন পেপার। আজব ধরনের এই বস্তু এর আগে কখনোই দেখা যায়নি।
শনিবার সারাদেশের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালনে শনিবার রাজধানীর ফকিরাপুলে জামায়াত-শিবিরের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে রকেটের মতো দেখতে এক ধরণের বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে। প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ তাদের ছোড়া এই বিস্ফোরক থেকে বাঁচতে নিরাপদে আশ্রয় নিলেও পরে পুলিশকেও দেখা যায় কৌতূহলের সঙ্গে বস্তুটি পর্যবেক্ষণ করতে।
ফেস বুকে বিভিন্ন পাঠক মন্তব্য করেছে, শিবির কি তবে হামাসের পথেই হাঁটছে?
ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের নিজস্ব বৈজ্ঞানিকের উদ্ভাবিত কাসেম রকেটের কথা কে না জানে। স্থানীয়ভাবে নির্মিত এসব রকেট দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বর্বর ইসরাইলীদের মোকাবেলা করে আসছে তারা। তবে আজকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় নিজেদের তৈরি অভিনব এক অস্ত্র ব্যবহার করেছে শিবির!
আপাতত দেখা যাচ্ছে, খুব ঘন ধোয়া ও ঝাঁঝালো গন্ধ সৃষ্টিকারী বস্তুটি বিস্ফোরিত হলে ধোঁয়া ও গন্ধে এলাকাটি একাকার হয়ে যায়। এই ফাঁকে শিবির কর্মীরা 'চিচিং ফাঁ'! হয়ত নিরাপদে পালানোর উদ্দেশ্যে এই অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে কেননা পুলিশ কাউকে দেখলে জ্ঞান শূন্য ষাঁড়ের মত দূর থেকেই গুলি ছুড়ছে। পুলিশের খুনি হামলা থেকে রক্ষা পেতেই হয়ত এই পদ্ধতি গ্রহণ।
উপসংহার,
মনে হচ্ছে ছাত্রশিবির দীর্ঘ মেয়াদী-ভাবে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে নিজেদের মত প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেহেতু বাহির থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ তাই হিজবুল্লাহ কিংবা হামাসের মত পরীক্ষিত পন্থায় তারা মানুষের মাঝে জীবিত থাকতে চায়। সরকারকে ও বুঝা উচিত কোন সচেতন নাগরিক গোষ্ঠীকে গায়ের জোড়ে উৎখাত করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়। তাই সবার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
বিষয়: বিবিধ
১২২১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন