জান্নাতের নারী, হুর ও গেলমান! এগারটি প্রশ্নের খোলা উত্তর

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:০৭:১২ সন্ধ্যা



ছোটকাল থেকেই জান্নাতের হুর নিয়ে বহু ওয়াজ নসিহত শুনে এসেছি। সাথে সাথে এসব নিয়ে তির্যক মন্তব্যও শুনেছি। ব্লগে লিখার জগতেও অনেকে সুযোগ মত বিশ্রী মন্তব্য করে ঘায়েল করতে চায়। ফলে কিছু ইসলাম প্রিয় ভাইয়েরা গোস্বা করে উলট পালট মন্তব্য করে। এতে চালাক ওরা খুবই পুলকিত হয়। আমিও এ সম্পর্কিত কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে চেষ্টা করেছি। বিস্তারিত লিখতে গেলে বিরাট সাহিত্য হবে, তবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে জানতে হলে কিংবা বেকায়দা প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য আমার এই নোট গুলো হঠাৎ কাজে আসতে পারে।

১. মূলত হুর শব্দটি কমন শব্দ। যার অর্থ হল 'সঙ্গী'। পুরুষের অভাব হিসেবে যেভাবে পুরুষের সঙ্গী প্রয়োজন, সেভাবে নারীর জন্যও সঙ্গী প্রয়োজন। আদম (আঃ) জান্নাতে একাকী চলার পর নিজেকে নিঃসঙ্গ অনুভব করেছিলেন, তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ তুমি আমার মনের অবস্থা জান, আমি একজন সঙ্গীর প্রয়োজন অনুভব করছি। কেমন সঙ্গী হলে আমার অভাব পূরণ হবে তাও তুমি জান। তাই আমার জন্য একজন সঙ্গীর ব্যবস্থা করো। উল্লেখ্য হাওয়া (আঃ) জন্ম হয়েছিল জান্নাতে এবং তা আদম (আঃ) এর দেহ কোষ থেকে। এখানে দুটি কথা প্রমাণিত হয়, একজন সঙ্গী ব্যতীত জান্নাতের আনন্দ উপভোগ করা কঠিন আর জান্নাতে মানুষের প্রয়োজনে বিশেষ কায়দায় সঙ্গী তথা 'হুর' বানানো যেতে পারে। যে হুর মানুষের মনের কথা, আনন্দের কথা জানতে ও উপভোগ করতে পারবে। মানুষের দেহকোষ ব্যতীত বানানো হুর দিয়ে যদি, আদম (আঃ) এর অভাব মোচন হত, তাহলে আল্লাহ সেই হুরকে আদমের সঙ্গী বানাতেন!

২. দুনিয়াতে নারীরা যেভাবে পুরুষের কাছে বিয়ে বসে সংসার জীবন করে। পুরুষের পরিবারে নারীরা চলে আসে এবং সন্তান জন্ম দেয়। এমনকি একজন নারীকে পুরুষের কর্তৃত্বে বসবাস করতে হয়। কিন্তু আখিরাতে নারীদের জীবন সেভাবে হবেনা। কেননা যে যোগ্যতায় একজন পুরুষ বেহেশতের মালিক হবে, সে একই যোগ্যতায় একজন নারীও বেহেশতের মালিক হবে। জান্নাতে নারীরা দুনিয়ার পুরুষ তথা স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধ্য নয়। সেখানে পুরুষের মত নারীরাও স্বাধীন। যেহেতু নারী স্বাধীন হবে সুতরাং তার ইচ্ছা অনিচ্ছার গুরুত্ব তার কাছেই থাকবে। দুনিয়ার মত নারীরা পুরুষের দায়বদ্ধ হবেনা। কেননা সেও সম পরিমাণ চাকর-চাকরানী, প্রাসাদ, লেক ও বাগান পাবে।

৩. জান্নাতে নারী দেহের আকৃতি ও গঠন আরো আকর্ষণীয় করা হবে। নারীদের বয়স পুরুষের কাছাকাছি হবে। নারীদের দেহের আকৃতি দুনিয়ার চেয়ে ঈষৎ পরিবর্তন হবে, কেননা দুনিয়াতে নারীরা সন্তান জন্ম দিত, তাদের ঋতু হত। জান্নাতে নারী দেহের এই অঙ্গ গুলোর কোন কার্যকারিতা থাকবে না। নারী দেহে জরায়ুর উপস্থিতি ও সন্তান ধারণের জন্য কোমরের আকৃতি বড় হয়। বেহেশতে যেহেতু সন্তান জন্ম দেবার দরকার নাই, তাই নারীদের দেহ আকৃতি স্লিম হবে। দেহে জরায়ু থাকলে তার কাজও থাকতে হবে, যেহেতু জান্নাতকে বংশ বাড়ানোর জন্য বানানো হয়নি তাই সেখানে দেহের পরিবর্তন জরুরী। নারী-পুরুষের মিলনে যদি, জান্নাতে যদি সন্তান হবার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে আদম-হাওয়া (আঃ) এর ও সন্তানাদি হত। জান্নাতে যে পুরুষের সঙ্গী একজন নারী থাকবে, সে সেটাতে তৃপ্ত থাকবে কেননা আদম (আঃ) দোয়ার কারণে আল্লাহ হাওয়াকে বানিয়েছিলেন এবং উভয় দম্পতি সেটাতে খুশীও ছিলেন বরং অনাদিকাল যাতে সেখানে থাকতে পারেন সেই লোভে 'গন্ধম' খেয়েছিলেন! জান্নাতে তাঁদের জীবন পরিচালনায় যদি হুরের দরকার হত, তাহলে আল্লাহ অন্তত একজন হুর হলেও তাঁদেরকে দিতেন।

৪. জান্নাতে হুর ও গেলমান থাকবে। গেলমানদেরকে চাকর ও চাকরানীর মনোবৃত্তি দিয়ে সৃষ্টি করা হবে। এরা দেখতে হবে অপূর্ব সুন্দর; নিষ্পাপ, নির্মল ও মোহনীয়। এরা সেই সব মানব মানব সন্তান, যাদের পিতামাতা মুসলিম, কাফির কিংবা মুশরিক ছিল, যারা শিশু কালে নিষ্পাপ অবস্থায় দুনিয়ায় মারা গিয়েছিলেন। তারা যেহেতু কোন অন্যায় করেনি তাই তাদের জাহান্নামে দেওয়া হবেনা আবার কোন পূন্যময় কাজও করেনি যে, তাদেরকে জান্নাতের পুরষ্কার দেওয়া হবে। তাই তাদের জন্য থাকবে জান্নাতের এই স্থায়ী ব্যবস্থা। তাদের রূপ, গুন, চরিত্রের বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কদাকার ও কদর্য ভঙ্গিতে তাদের পরিচয় করানো হয়নি। তারা মনি-মুক্তার চেয়ে সুন্দর, তারা দুনিয়ার বাচ্চাদের মত বিরক্তিকর ও বদ মেজাজি হবেনা। তাদের মন ও মননকে এমন ভাবে সৃষ্টি করা হবে যে, তারা জান্নাতিদের কোন কাজ করে দিতে পারলে খুবই উৎফুল্ল হবে। জান্নাতি মানুষ এদেরকে সাথে নিয়েই কোথাও ঘুরতে যাবে, বেড়াবে। দেখতে এরা হবে কিশোরের মত আর চরিত্রে এরা হবে নাবালক! যৌন জীবন সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা কিংবা আগ্রহ থাকবেনা।

৫. আনত নয়না, কৌণিক চক্ষু বিশিষ্ট, হুরদের (সঙ্গী/সঙ্গিনীদের) কে বিয়ে দেয়া হবে। এসব হুরেরা পবিত্রা বলে কোরআনে ঘোষণা দেওয়া আছে। যেহেতু তাদের চরিত্রকে খোদ আল্লাহ আগেই রক্ষা করেছেন, সেখানে তাদের দ্ধারা ইতরামির সম্ভাবনা নাই। দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ পর-মহিলার প্রতি তাকাতেও নিষেধ করেছেন; সেই আল্লাহ পরকালে বেহেশতে কদাকার আচরণ চালু করবেন, সেটা কিভাবে ভাবা যায়! যাক, হুর নামের এসব সঙ্গী কি আল্লাহ ঘোষণা দিয়ে সৃষ্টি করবেন নাকি আদম (আঃ) এর দেহ কোষ থেকে হাওয়াকে যেভাবে বানিয়েছেন সেভাবে বানাবে! তা কেউ জানেনা পরিষ্কার ধারনাও পাওয়া যায়না। কোন সাহাবীরা এই বিষয়টি রাসুল (সাঃ) প্রশ্ন করে নাই। তবে জান্নাতের ব্যবস্থাপনায় যেহেতু মানব সন্তানদের দিয়ে করানো হয়, হুরদের সৃষ্টিও হয়ত সেভাবে হতে পারে। ঘটনা যেভাবেই হোক না কেন উপরোক্ত বর্ণনায় তার কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ হুরের মান-মর্যাদা, সৌন্দর্য কোনদিন একজন মানবীর মত হবেনা!

৬. স্বামী স্ত্রী যদি জান্নাতে যায় তাহলে স্ত্রীকে বাধ্য হয়ে স্বামীর জান্নাতে থাকতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আটটি জান্নাত আট জায়গায় বানানো হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী নিজের যোগ্যতা বলে দুটো ভিন্ন কিংবা একই জান্নাতের ভিন্ন অংশের অধিকারী হবেন। সেখানে তাদের জন্য আলাদাভাবে হুর-গেলমান, প্রাসাদ, লেক, বাগান থাকবে। সেখানে স্ত্রী যদি দুনিয়ার জীবনের মত স্বামীর সাথে সময় কাটাতে চায়, সে সুযোগ তারা পাবে। কেননা সেখানে সিদ্ধান্ত নেবার বেলায় তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে স্বাধীন। জানা যায় স্বামী-স্ত্রী দু-জনই জান্নাতি হলে, তারা একত্রেই থাকতে চাইবে। কেননা এ সম্পর্কিত বহু হাদিস আছে, যেখানে জান্নাতি দম্পতিদের বহু আকর্ষণীয় ব্যাপার বর্ণনা করা আছে। তারা হাত ধরাধরি করে জান্নাতের তোরণ পার হবে, সে দম্পতির মর্যাদা, সম্মান, গুরুত্ব ব্যাচেলর জান্নাতির চেয়ে বহু গুনে বেশী হবে। সেই কারণে, রাসুল (সাঃ) গভীর রাত্রে তাহাজ্জুদের নামাজে বসে দোয়া করতেন, 'আল্লাহ জান্নাতে তুমি খাদিজাকে আমার করে দিও'। স্ত্রী যদি স্বামীর অধিকারের বিষয় হবে, তাহলে রাসুলের (সাঃ) এর মত ব্যক্তিকে এই ধরনের দোয়া করা লাগত না।

৭। জাহান্নামে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশী হবে! তাহলে কি অর্থ দাড়ায়? জান্নাতে নারীর সংখ্যা কমছে। ফলে জান্নাতে নারীর অভাব থাকবে। তাই বিকল্প হিসেবে পুরুষের জন্য হুর তথা সঙ্গিনীর ব্যবস্থা করতে হবে। আর পুরুষের ক্লোন থেকে সঙ্গিনী বানানোর ঘটনা তো আমরা আগেই পর্যবেক্ষণ করেছি। মানুষের প্রয়োজনে যদি হুর বানাবার দরকার পড়ে তাহলে আদম (আঃ) পদ্ধতির ব্যবহার হবে যুক্তি সঙ্গত ও বিবেচ্য। কেন বিবেচ্য হতে পারে সে কথা নিচে বর্ণনা করছি। হতে পারে এসব হুর ব্যাচেলর জান্নাতিদের জন্য প্রযোজ্য হবে, দম্পতির জন্য প্রয়োজন নাও হতে পারে, কেননা আদম ও হাওয়া (আঃ) যখন দম্পতি হিসেবে জান্নাতে ছিলেন তখন আদম (আঃ) অসংখ্য স্ত্রী কিংবা হুরের অভাব বোধ করেন নাই। তিনি অভাব বোধ করেছেন একজন উপযুক্ত সঙ্গীর! মানুষরে জন্য উপযুক্ত সঙ্গীর হওয়া শর্ত নিচে বর্ণনা করা হয়েছে।

৮। যে নারী জান্নাতে যাবে স্পষ্টত বুঝা যায় তার স্বামীও জান্নাতে যাবে। কেননা দুনিয়ার জীবনে ভাল পুরুষের স্ত্রী জাহান্নামে যেতে পারে কিন্তু দুনিয়ার জীবনে ভাল নারীর স্বামীরা কোনদিন পথভ্রষ্ট হয়না! সে জন্য ইমানদার নারীকে পুরুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম সম্পদ বলা হয়েছে। (ব্যতিক্রম খুবই কম) ইমানদার নারীর পরিবারকে আল্লাহ দুনিয়াতে স্পেশালী রক্ষা করেন। তাঁর স্বামী তো থাকেই সন্তানেরা পর্যন্ত উপকৃত হয়। সে হিসেবে বুঝা যায়, দুনিয়ার জীবনের বেশির ভাগ ইমানদার স্ত্রী হাতে হাত ধরে জোড়ায় জোড়ায় জান্নাতে যাবার সুযোগ পাবে। জোড়া বিহীন নারী জান্নাতে খুব কমই পাওয়া যাবে। কোন ব্যক্তি জান্নাতে পৌঁছার পর পরই, তার প্রথম অধিকার থাকবে, তাদের যেসব আপন জন পাপের কারণে ইতিমধ্যে জাহান্নামে পৌঁছে গেছে তাদের উদ্ধার করে আনার জন্য তদবির করা। পুরুষ তার স্ত্রী, সন্তান, পিতা-মাতা এবং নারী তার স্বামী, সন্তান, পিতা-মাতার মুক্তির জন্য নিরবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তাদের উদ্ধার না করা অবধি এরা শান্ত হবেনা। আল্লাহ ওয়াদা করেছেন যে, তাদের ইচ্ছাও কবুল করা হবে। সুতরাং বুঝতেই পারি আল্লাহ বেজোড় নারীদের কে ধরে ধরে অন্য পুরুষদের সাথে বিয়ে দিবে না। আর জান্নাত ও জান্নাতের হুর পেয়ে যদি মানুষ বে-ভুলা হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকত, তাহলে তাদের আপনজনদের বাঁচানোর কথা আসে কেন?

৯. দুনিয়া-বাদী মানুষেরা যৌন সুখকে প্রকৃত ও আসল সুখ মনে করে আর এই সুখ অর্জন করতে হয় সুন্দর চেহারার মানবদেহ ব্যবহার করে। তারা যেহেতু হুরকে সুন্দরী নারী হিসেবে ধরে নিয়েছে। তাই জান্নাতের পুরো প্রক্রিয়াটিকে কদাকার ভঙ্গিতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। তারা দেখেনা যে, দুনিযাবী জীবনে হালকা কদাচার বিষয়কে থামিয়ে দিতেও আল্লাহ কত কঠোর। বরং দুনিয়ার জীবনের আল্লাহর এই আচরণের বিরুদ্ধে তারা অহর্নিশি মন্দ কথা বলে! আর সেই আল্লাহ পরকালে গিয়ে মানবজাতিকে পাপাচারের দিকে ঠেলে দিবে, সেটা কিভাবে ভাবা যায়! মূলত তারা দুনিয়ার জীবনে যৌনতা নিয়ে যা করে, সেটাকে পাপাচার বলে মেনে নিয়েছে বলেই, আখেরাতের সেই অদেখা চরিত্রকেও পাপ হিসেবে গণ্য করেছে।

১০. বেহেশতে প্রকৃতই সর্বাধিক খুশীর কারণ টি কি হবে? সেটি বলা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সেটি নিয়ে ব্যস্ত নয়। বেহেশতের সুখ কেমন? সেটা বুঝাতে যৌন সুখের উদাহরণ দেওয়া হয়েছ। মানুষ এটা নিয়ে খুবই খুশী ও উৎফুল্ল! কেননা মানুষ এটার মর্ম বুঝে। মানুষের পাগলাটে মন বুঝে বলে আল্লাহ হুরের কথা বলে লোভ লাগিয়েছে। অথচ যৌন সুখ টা বেহেশতি সুখের একটি কিঞ্চিত অংশ মাত্র। যৌনতায় এক প্রকার সুখ থাকতে পারে কিন্তু তাকে তো সর্বাঙ্গীণ সুখ বলা যায় না।

যেমন, দূরে দাঁড়ানো পরিপাটি বেশভূষা সম্পন্ন একজন সুন্দরী নারী দেখে, কারো কাছে হয়ত তার সাথে মিলিত হবার প্রবল আকাঙ্ক্ষা তৈরি হতে পারে! কাছে গিয়ে দেখল তার একটি চোখ ঘোলাটে অর্থাৎ কানা! তাহলে কি তার আগের মত আকাঙ্ক্ষা থাকবে? তাহলে বুঝা গেল এখানে চেহারার সৌন্দর্যটি একটি নেয়ামত। আচ্ছা সুন্দরী নারীটির সবই ঠিক আছে কিন্তু গায়ে হাত দিয়ে দেখা গেল সেটা চলায়-মান একটি রোবট! তাহলে যৌন আকাঙ্ক্ষা কি তেলেবেগুনে মেজাজে উঠে যাবে না! কারণ এখানে সেই সুন্দরীর প্রাণ নাই। বুঝা গেল, সুখ উপভোগের জন্য প্রাণের গুরুত্ব অপরিসীম। সুন্দরীর সবই ঠিক থাকল কিন্তু কথা বলে শোনা গেল, সুন্দরীর গলার স্বর যেমনি কর্কশ তেমনি বজ্র-কঠিন। এখানে সুখ ও ভালবাসা সৃষ্টির জন্য কর্কশ কণ্ঠ বাধা হয়ে দেখা দিল! সকল কিছু থাকার পরও মৃত সুন্দরীর পচা দেহ কি কেউ পেতে চেষ্টা করেছে? তাই বুঝা গেল চূড়ান্ত পর্যায়ের একটি দেহজ সুখ পেতে গেলে অনেক গুলো আনুষঙ্গিক উপাত্তের প্রয়োজন হয়। সেগুলো হল মন, কণ্ঠ, স্বর, সুর, আবেগ, ইচ্ছা, ছোঁয়া, পরশ সর্বোপরি প্রাণ। এসকল কিছু থাকলেই তাকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করা যাবে। তাইতো আল্লাহ আদম (আঃ) এর সঙ্গী তার দেহকোষ থেকেই বানিয়েছেন, যাতে করে দুজনের অভাব, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা একই প্রকারের হয়। এখানে নারী দিয়ে ঘটনাটি বুঝানো হয়েছে। উল্টোভাবে পুরুষদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।

১১. জান্নাতের এই সুখটাই প্রকৃত সুখ নয়। সুখের ধরন বুঝার জন্য এই কথাগুলোর দৃষ্টান্ত টানা হয়েছে। আরো হাজারো লাখো প্রকারের সুখ আছে। জান্নাতের বর্ণনার বৈশিষ্ট্য গুলো দেখুন, মানুষ নয়নাভিরাম প্যালেস/ভিলা বানাতে চায়, আল্লাহ সেই লোভ দিয়েছেন, অথচ সেই জমানায় মানুষ ভিলা দেখেনি এমনকি ঘরের ছাদ দিতেও শিখে নি! মানুষ প্যালেসের পাশে বিস্তৃত বাগান দেখতে চায়, আল্লাহ সেই লোভ দিয়েছেন, অথচ মরু আরবের মানুষেরা কোনদিন একটি ছোট্ট ফুলের বাগানও দেখেনি। মানুষ রাজ প্রাসাদের পাশে বিশাল আকৃতির লেক বানাতে চায়, সেই লেকের পানি বিভিন্ন স্রোতে বিভক্ত হয়ে কল কল ধ্বনী তুলে উপর থেকে নিচে বেয়ে যাবে, আল্লাহ সেই লোভ লাগিয়েছেন, অথচ আরবের মানুষ লেক কি তা অনুমান করতে পারেনি। মানুষ চায় তার প্রাসাদ জমকালো আকারের ঝকমকে আলোতে বিচ্ছুরিত হবে, আল্লাহ তাই বলেছেন, অথচ যখন এই আলোর সংবাদ দেওয়া হয়েছিল তখন মানুষ কাঠ জ্বালিয়ে আলো বানা তো, বিদ্যুতের নাম শুনেনি! কেয়ামত এখনো আসেনি অথচ আমরা উপরের এসবের দৃষ্টান্ত দুনিয়াতে কিছুটা দেখার সুযোগ হয়েছে।

সেই আল্লাহ বলেছেন, মানবজাতির জন্য সবচেয়ে সেরা ও গৌরবময় ঘটনা হবে, মানুষ আল্লাহকে স্বয়ং নিজ চোখে দেখতে পাবে! আল্লাহর সৌন্দর্য ও মহিমা দেখে সকল মানুষ আনন্দে আত্মহারা হয়ে হুশ হারিয়ে ফেলবে। আবার তারা উঠে বসবে আর কৃতজ্ঞতার নয়নে আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করবে এবং নিজেদেরকে সৃষ্টির সবচেয়ে বেশী সম্মানিত বলে ঘোষণা করবে। আল্লাহকে দেখার সে স্থানটি হবে জান্নাতে! মানুষের কাছে আল্লাকে দেখার পর্যায়, প্রক্রিয়া, অনুভূতি, উপলব্ধি করার কোন জ্ঞান নাই বলে, এত বড় ঘটনাকে খাটো করে দেখে! আর মানুষের যৌন সুখের কিছুটা উপলব্ধি আছে বলে, সেটাকে নিয়ে দুনিয়া উলট পালট করে। আর নিজের সামান্যতম খাটো বুদ্ধি নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করে।

গতকল্য হুরগন 'বেশ্যা' বলে একটি পোষ্ট এসেছিল। সেখানে গ্রামের পথে পথে তার লম্বা যুক্তি দেখিয়েছেন। আমি সেই কথার প্রতিবাদ করে উত্তর দিয়েছিলাম এবং আমি আমার তথ্য গুলো উপস্থাপন করেছি।

একজন ব্লগার অনুরোধ করেছিলেন যে সেই লম্বা মন্তব্য সহ একটি পরিষ্কার পোষ্ট দেই। সে হিসেবে এই পোষ্ট খানা দিয়েছিলাম। এই কাজে ইসলামী চিন্তাবিদ গনের এগিয়ে আসা উচিত ছিল, তাদের কাউকে না দেখাতে আমি উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি কোন ইসলামী স্কলার নই, তবে এই বিষয়ে সম্ভাব্য সকল গ্রন্থ সংগ্রহ করে, খুটিনাটি বিস্তারিত পড়েছি। তারই আলোকে উত্তর ও এই পোষ্টখানা। সে জন্য এখানে কোন উদৃতি নাই। সকল কথাগুলো পড়ার আলোকে লিখিত এবং ইসলামের সাথে আমার কথাগুলো সাংঘার্ষিক হবেনা কেননা আমি এসব তথ্য গুলো ইসলামী ইতিহাস ও কুরআন হাদিস থেকে ধার করেছি।

অনেকে প্রতিবাদ করেছেন এবং কোন প্রকার মন্তব্য না করে সেই পোষ্ট তুলে নেবার জন্য অনুরোধ করেছেন। সম্ভবত পোষ্টটি সরানো হয়েছে। আমি প্রতিবাদ করেছি এবং তার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সে প্রশ্নের উত্তর আছে এখানে তবে প্রশ্ন গুলো নাই। তাই অনেক পাঠকের ব্যাপার খানা বুঝতে কষ্ট হবে। তাই এই ব্যখার অবতারণা।


বিষয়: বিবিধ

২৩৭১৩ বার পঠিত, ৮২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

265080
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
সাদাচোখে লিখেছেন : ধন্যবাদ - যুক্তি সংগত, উদাহরনসহ বিকল্প একটি তাত্বিক উপস্থাপনার জন্য।

আমি ব্যক্তিগতভাবে আরবিভাষার কোরআনে 'হুর' নামক কোন শব্দের উপস্থিতি পাইনি তথা আল্লাহ 'হুর' এর কথা বলেছেন বলে জানিনা। বাংলা অনুবাদে 'হুর' এর ছড়াছড়ি পেয়েছি।

আমি কিছু স্কলারের কাছ হতে 'হুর' সম্পর্কে যে ধারনা পেয়েছিলাম - তা হল 'হুর' আল্লাহর একটি সৃষ্ট জীব - যা শুধু বেহেস্তে গেলেই দেখা মিলবে। ঠিক যেমন আমরা মারা গেলে ফেরেস্তা কিংবা জিন জাতীয় জীব কে দেখতে পাব, ইন্টার এ্যাক্ট করতে পারবো।

ধন্যবাদ।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
208740
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৫৮
285981
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আপনি ভুল বললেন। 'হুর' শব্দটি কোরআনের অনেক জায়গায় আছে।

আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি আলোচনা করেছি। আরবি আয়াতসহ। খেয়াল করে পড়বেন হুরের উল্যেখ পাবেন।
অনেক ধন্যবাদ।
০৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৫:৫৬
286034
সাদাচোখে লিখেছেন : ধন্যবাদ @ মুক্তকন্ঠ।
জাজাক আল্লাহ খায়ের।
265085
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
মামুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ দিলেও কম হয়ে যাবে।
এতো সুন্দরভাবে লিখেছেন, কেবলি পড়তে ইচ্ছে করছে।
জাজাকাল্লাহু খাইর। Rose Rose Rose Good Luck
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
208741
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আপনাদের উছিলায় আমাকেও মাফ করুক। আমীন।
265086
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ । আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাজা দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
208742
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বোন, আপনাকেও আল্লাহ রহম করুন, আমাকেও বেশী করে বুঝার তৌফিক দান করুক, আর ভুল গুলো ক্ষমা করুক। আমিন
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০২
285985
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আফরা আপি!
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
265088
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
আবু ফারিহা লিখেছেন : ধন্যবাদ এত চমৎকার করে উপস্হাপনের জন্য।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০১
208984
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
265100
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
জুমানা লিখেছেন : আপনাকে মোবারক বাদ,গতকাল আমার এক বান্দবীর প্রশ্নছিল এই হুর কে নিয়ে, যাক সব উত্তর পেয়ে গেলাম.
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০১
208985
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৩
285988
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : জুমানা আপু!
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
265115
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩২
নোমান২৯ লিখেছেন : ভাইয়া আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।খুব সুন্দর উপস্থাপনা |অনে............ক ধন্যবাদ ভাইয়া|
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
208986
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যাবাদ।
265116
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
আবু আশফাক লিখেছেন : বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু যাদের মন বক্র, তারা এসব তথ্য-যুক্তি গ্রহণ করবে কি?
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
208987
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
265123
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৪
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : খুবই সুন্দর - ভালো লাগলো অনেক Good Luck Good Luck Rose Good Luck Good Luck Rose ভাইয়া আপনাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ । আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাজা দান করুন দুনিয়া ও আখিরাতে । আল্লাহ্ আপনার জ্ঞান আরো বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ্'র দ্বীনের উপর অটল থেকে আল্লাহ'র সন্তুষ্টি অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমীন
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
208988
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন। আমীন। অনেক ধন্যবাদ।
265141
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ এই যুক্তিপুর্ন ব্যখ্যাটির জন্য। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক ওয়ায়েজিজন ও ভুল কথা বলেন যার ফলে ইসলাম বিরোধিরা প্রশ্ন উত্থাপন এর সুযোগ পায়।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
208989
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : দুনিয়াবী ধ্যান ধারনায় সেটা বিশ্লেষন করে বলেই এমনটি হয়। আবার গভীর ভাবে সেটা নিয়ে চিন্তাও করেনা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০
265150
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫২
শেখের পোলা লিখেছেন : "আর নিজের সামান্যতম খাটো বুদ্ধি নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করে।"
সব কথার সেরা কথা৷ ধন্যবাদ৷
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
208990
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
১১
265173
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫১
আবু জান্নাত লিখেছেন : অসাধারণ আলোচনা, ভালো লাগলো, যতটুকু সম্ভব রেফারেন্স উল্লেখ করলে মনে অনেক তৃপ্তি পেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
208991
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আসলে লিখাটি পোষ্টের জন্য লিখিত হয়নি। ব্লগের একজনের উত্তর দিতে গিয়ে লিখা হয়েছে। ব্লগার 'আফরা' অনুরোধ করাতে আলাদা পোষ্ট হিসেবে ছেড়েছি। আমি ইসলামী স্কলার নই, তবে এই বিষয়ে সম্ভাব্য সকল গ্রন্থ সংগ্রহ করে, খুটিনাটি বিস্তারিত পড়েছি। তারই আলোকে উত্তর ও এই পোষ্টখানা। অনেক ধন্যাবাদ।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৪
285989
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ভাই আবু জান্নাত!

আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
১২
265191
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪১

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 8870

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> লিটুয়ারা লিখেছেন : আপনার ১১ দফার একটিও ধর্ম পুস্তকের সাথে মিলে না। যা বলেছেন সব নিজের কথা। কিন্তু কোরাণের আল রহমানের ৫৪, ৫৬, ৫৮, ৭০, ৭২, ৭৪,৭৬ এবং ৭৮ আয়াতে বেহেস্তের বর্ননায় নারীর প্রতি ইসলামের দুনিয়াবী বৈষম্য, অবজ্ঞার মত বেহেস্তেও একই বৈষম্যমুলক চিত্র ধরা পরে।

৫৪) তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।
৫৬) তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি। In them are women limiting [their] glances, untouched before them by man or jinn
৫৮) প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ। As if they were rubies and coral.
৭০) সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ।
৭২) তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ। Houris (beautiful, fair females) reserved in pavilions
৭৪) কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।
৭৬) তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।
৭৮) কত পূণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব



একদিন হজরত আলী (রাঃ) রসুলুল্লাহকে (দঃ) কোরানের ১৯ নং সুরা মরিয়মের ৮৫ নং আয়াত নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আয়াতটি হলো-
الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَنِ وَفْدًا يَوْمَ نَحْشُرُ সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব।


হজরত আলী (রাঃ) জানতে চেয়েছিলেন, বাহন ছাড়া অতিথি কীভাবে হয়! রসুলুল্লাহ বললেন- ‘যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, তারা যখন কবর থেকে বের হবে তখন ফেরেস্তারা পাখাওয়ালা সাদা উষ্ট্রী নিয়ে তাদের স্বাগত জানাবে, তার উপর থাকবে স্বর্ণের আসন। তাদের জুতার ফিতা হতে ঝলমলে আলো নির্গত হবে। সেই উষ্ট্রীগুলো প্রতি পদক্ষেপে দৃষ্টির পলক যতদূর যায় ততদূর গমণ করবে। এভাবে তারা জান্নাতের দরজার নিকট পৌছে যাবে। সেখানে দুটি ঝরনা প্রবাহিত থাকবে। যখন তারা সে দুটির একটি হতে পান করবে, তাদের চেহারার মধ্যে প্রশান্তির চি‎হ্ন ফুটে উঠবে। তারা অন্য ঝরনাটির পানি দিয়ে ওযু করবে। এর পর তাদের চুল আর কখনও এলোমেলো হবে না। এর পর তারা জান্নাতের দরজায় কড়াঘাত করবে। সেই কড়াঘাত শুনে সকল হুর বুঝতে পারবে যে তার স্বামী আগমণ করেছে। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ার কারণে তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো অবস্থা হবে। সে একজন চাকরকে পাঠাবে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। উক্ত চাকরের সৌন্দর্য ও উজ্জলতা এতটাই বেশি হবে যে, যদি আল্লাহ উক্ত জান্নাতীর নিকট এই চাকরকে পরিচয় না করিয়ে দিতেন তবে তাকে দেখে সে সেজদায় পড়ে যেতো। সে দরজা খুলে বলবে, আমি আপনার সেবক যাকে আপনার দেখাশুনার ভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উক্ত জান্নাতী ঐ খাদেমকে অনুসরণ করে যখন তার স্ত্রীর নিকট পৌছাবে, অতিরিক্ত তাড়াহুড়ার কারণে তার স্ত্রী স্বম্ভিত হারিয়ে ফেলবে। সে তাবু থেকে বের হয়ে উক্ত ব্যক্তির সাথে আলিঙ্গন করবে এবং বলবে ‘তুমি আমার ভালবাসা আমি তোমার ভালবাসা। আমি তুষ্ট কখনও রুষ্ট হবো না। আমি প্রসন্ন কখনও বিষন্ন হবো না। আমি চিরজীবী কখনও মৃত্যুবরণ করবো না’। তার পর সে এমন একটি বাড়িতে প্রবেশ করবে যার নিচ হতে উপর পর্যন্ত এক লক্ষ গজ। তা স্থাপিত হবে মনি মানিক্যের পাথরের উপর। বাড়িটির ভিতরে যাওয়া আসার রাস্তাসমূহ লাল, সবুজ, হলুদ ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হবে, কোনো একটি রাস্তা অন্যটির মতো হবে না। উক্ত ব্যাক্তি যখন শোবার ঘরে প্রবেশ করবে তখন সেখানে একটি পালঙ্ক দেখতে পাবে। তার ওপর ৭০ টি তোষক থাকবে তোষকের ওপর ৭০টি স্ত্রী থাকবে। প্রতিটি স্ত্রীর পরনে ৭০ টি পোশাক থাকবে। উক্ত স্ত্রীর সৌন্দর্য ও উজ্জলতা এমন হবে যে,] পোশাক ও অলংকার ভেদ করে তার হাড়ের মজ্জা পর্যন্ত দেখা যাবে। সে এক রাত পর্যন্ত সময় তাদের সহিত মিলিত হবে’।


এরপরও কি সন্দেহ আছে যে ইসলাম নামক যন্ত্রটি সমগ্র নারী জাতির জন্য যন্ত্রনা এবং অভিশাপ মাত্র।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০০
208983
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : উক্ত ব্যাক্তি যখন শোবার ঘরে প্রবেশ করবে তখন সেখানে একটি পালঙ্ক দেখতে পাবে। তার ওপর ৭০ টি তোষক থাকবে তোষকের ওপর ৭০টি স্ত্রী থাকবে। প্রতিটি স্ত্রীর পরনে ৭০ টি পোশাক থাকবে। উক্ত স্ত্রীর সৌন্দর্য ও উজ্জলতা এমন হবে যে,] পোশাক ও অলংকার ভেদ করে তার হাড়ের মজ্জা পর্যন্ত দেখা যাবে। সে এক রাত পর্যন্ত সময় তাদের সহিত মিলিত হবে’।

আমার উদ্দেশ্যে আপনার লিখাটির যে অংশে আপনি বোল্ড করেছেন আমিও সেটি বোল্ড করেছি!

উপরের প্রতিটি কথায় আপনি যেভাবে তথ্য সূত্র দিয়েছেন। আপনার বোল্ড-কৃত অংশটিতে কোন তথ্য সূত্র দেন নাই। অথচ আপনার পুরো প্রতিবেদনে এটিই মূল খবর। আল্লাহ বলেছেন কোন ফাসিক, কাফির ও মোনাফিকের কথা শুনে যাচাই বাছাই না করে যাতে উত্তর না দেয়। এটা মহান আল্লাহর কঠোর নির্দেশ।

তার পরও যুক্তির খাতিরে ধরে নিলাম আপনার কথা সঠিক। তাহলেও আমার লিখিত প্রতিবেদনের সাথে এই কথাটির কোন সাংঘার্ষিক কিছু নাই

- আপনাদের চিন্তার মুলে সমস্যা হল, মানবী আর হুরকে একাকার করে ফেলা।
- হুরগন আল্লাহর সৃষ্টি যাদের বিশেষ ভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, তারা আল্লাহর দয়ায় জান্নাতে থাকবে ও জান্নাতীতের সঙ্গ দিতে বাধ্য থাকিবে।
- মানবী গন মহান আল্লাহর মেহমান, তারা যোগ্যতায়, আন্তরিকতায় এবং আল্লাহর ভালবাসায়, অধিকার বলে জান্নাতে থাকবে।
- আপনাদের দাবী হচ্ছে, দুনিয়াতে যেমন একজন পুরুষের ঘরে দুই রমণী সতীন হিসেবে বসবাস করে, জান্নাতেও রমণীদের সেই দশা কেন হবে?
--------------------------
- মানুষকে জান্নাতে যেতে হলে দুনিয়ার জীবনে কিছু কাজ করতে হয়, সংসার জীবনও তার মধ্যে একটি পর্যায়।
- এখানে নারী-পুরুষ একটি গাড়ীর দুটি চাকার মত, যে গাড়ীটি জান্নাতে পৌছতে দুটি চাকার উপর নির্ভর করতে হয়।
- কেননা এই পৃথিবীতে মানব সন্তান বৃদ্ধির জন্য আল্লাই এটাই ব্যবস্থা রেখেছেন, দুইজনকে একত্রে মিলতে হয় তবে পুরুষ ও মহিলার কাজ ভিন্ন।
- মানুষ অন্যান্য প্রাণীদের মত যথেচ্ছ যৌন মিলন করতে পারেনা, কেননা তার দায়িত্ব বেশী এবং পিতার সম্পদের উত্তরাধিকারী হতে হয়।
- জান্নাতে পুরুষ-মহিলাকে বংশ বৃদ্ধির দায়িত্ব নিতে হবেনা, তাই যৌন জীবনের গতি প্রকৃতি অবশ্যই ভিন্ন প্রকৃতির হবে।
--------------------------
- আমি বলেছি জান্নাতে মানব জাতীর সবাই; হোক সে পুরুষ, হোক সে মহিলা, তারা নিজ যোগ্যতা বলে একাকী জান্নাতে প্রবেশ করবে।
- কোন নারী একজন পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য নয়।
- এমনকি জান্নাতে কোন নারীর জীবন, পুরুষ ব্যতীত অসহায়-অবলা হয়ে যাবে, তেমনও নয়।
- আবার আল্লাহ জান্নাতে নারী আধিক্য কমানোর জন্য পুরুষের পরিবারে মহিলাদের সতিন হতে বাধ্যও করবেন না।
- দুনিয়ার জীবনের স্বামী-স্ত্রী যদি একত্রে থেকে নিজেদের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে চায় এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
- কোরআন হাদিসের কোথাও বলা হয়নি, নারীরা জান্নাতে সতীনের ঘর করবে কিংবা ৭০ জন হুরের বিপরীতে তাকে সতীন হতে বাধ্য করা হবে।
- নারী-পুরুষ জান্নাতের যে অংশের ভাগীদার হবে এটা তার জন্য একাকীই হবে, ডেভলোপারের ভবনের মত শেয়ারের মত হবেনা।
- জান্নাতে নারী-পুরুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা, সাতন্ত্রতাবোধ থাকবে তবে কাউকে নিঃসঙ্গ রাখা হবেনা আবার অভাবীও করা হবেনা।
- উপরের এসব সুবিধা সমূহ সকল পুরুষ এককভাবে যতটুক পাবে, সকল নারী এককভাবে ততটুকু পাবে।
- সেখানে হুর তথা সঙ্গীর সংখ্যা ৭০ হলেও কার কি সমস্যা আর ৭০০ হলেও কার কি ক্ষতি।
----------------------
- সর্বোপরি আল্লাহ বলেছেন, তোমার রব জান্নাতে তোমাদের সকল অভাব পূরণ করবেন।
- ফাইনালি, জান্নাতী মানুষদের প্রশ্ন করা হবে, তোমাদের কিছুর অভাব কিংবা ঘাটতি আছে কি?
- সবাই সমস্বরে বলবে, 'হে প্রভু আমরা তোমার দয়ায় সবই পেয়েছি আর যা উপভোগ করছি সেটাই যাতে অব্যাহত থাকে'।
- পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, 'জান্নাতে মানুষ অনন্তকাল ধরে থাকবেন, যে কালের গতি কোনদিন শেষ হবেনা'।
১৩
265192
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার যুক্তিপূর্ণ লেখা উপহার দেবার জন্য।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
208992
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৪
265247
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৪২
সজল আহমেদ লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ বিস্তর আলোচনার জন্য !নাস্তিকরা গেলমান নিয়ে অশ্লীল এবং বাজে বকে অথচ তারা জানেইনা গেলমান আসলে কি !
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১০
208993
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আরব দেশের বিয়ে বাড়ীতে কিশোর বালকদের দিয়ে মেহমান দারী করায়, সে সব বালকে গেলমান বলা হয়। গেলমান শব্দটি গোলামের বহু বচন।
১৫
265326
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
মামুন লিখেছেন : টিপু ভাই, এই লিটুয়ারাও মনে হচ্ছে গ্রামের পথে পথের আর একটি নিক। Rose Good Luck
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
209003
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : জ্বি ভাই! সে যাই হোক প্রশ্নের উত্তর তো রাখতে হবে। এগুলো কারো জন্য উত্তর আর কারো জন্য মনের খোরাক, কারো মনের প্রশ্ন।

অন্য বিষয় হলে আমি উত্তর না দিয়ে উপেক্ষা করতাম কিন্তু আমার প্রভূ আল্লাহ মহান, উদার, ভদ্র ও পরিমার্জিত চিন্তার অধিকারী স্বত্ত্বা। তাঁর পক্ষে আমাকে কথা বলতেই হবে। তাই লিখতে বাধ্য হয়েছি।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
209004
নোমান২৯ লিখেছেন : জ্বী ভাইয়া|এই নিকে আবার আসছে মনে হচ্ছে|আশা করি এই নিক থেকে গঠনমূলক আলোচনা করবেন উনি|না হয় আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যাব|
১৬
265363
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ। সংকীর্ণ মানসিকতার অধিকারীরা আরবী শব্দগুলোর ভুল অর্থ করে ইসলামের ভুল ধরতে ব্যস্ত। কিন্তু তাদের চিন্তা চেতনা আর বিশ্বাস প্রতিটিই যে ভুলের উপর তার দিকে খেয়াল করার সুযোগ পায়না।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০১
209033
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বস্তুনিষ্ট মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৭
265368
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : একটি প্রয়োজনীয় টপিক এর উপর এ লিখাটি খুবই সুন্দর এবং যুক্তিযুক্ত হয়েছে। অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে এই ছোট পোস্টটিতে। আল্লাহ আপনার জ্ঞানকে আরো অবারিত, প্রসারিত এবং আমাদের মতো অজ্ঞদের জন্য উপকারী করে দিন, আমিন। আমার অঙ্গনে সময় পেলে যাইয়েন।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
209042
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি মহৎ ও বিজ্ঞ ব্যক্তি, আপনার মন্তব্যগুলো অবশ্যই প্রেরণাদায়ক। আপনি খুব কমই পোষ্ট লিখেন বলে কদাচিত আপনার পোষ্ট ধরতে ব্যর্থ হই, অবশ্যই আপনার পোষ্ট দেখতে যাব। অনেক ধন্যবাদ।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৭
285991
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : হাশেম ভাই,
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
১৮
265393
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২২
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : আমি নিজেকে মাদ্রাসার ছাত্র হিসাবে গর্ব করি। মাদ্রাসার বাহিরে সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ছাত্র ছিলাম অনেক দিন।
এই বিষয়ে আজ জবাব দেয়ার মত করে জ্ঞান পেলাম।দোয়া করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই্। তাই আপনার জন্য দোয়া করি।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১০
209075
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর বক্তব্যের জন্য। আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৮
285992
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আহমাদ ভাই,
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
১৯
265402
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
egypt12 লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই জেনে অনেক খুশি হলাম...তবে একটি উপরের ১১ পয়েন্টের বর্ণনা কি আপনার নিজের? কারণ এমন বিস্তারিত বর্ণনা আমি আগে পাইনি। Rose
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৭
209078
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : গতকল্য হুরগন 'বেশ্যা' বলে একটি পোষ্ট এসেছিল। সেখানে গ্রামের পথে পথে তার লম্বা যুক্তি দেখিয়েছেন। আমি সেই কথার প্রতিবাদ করে উত্তর দিয়েছিলাম এবং আমি আমার তথ্য গুলো উপস্থাপন করেছি।

একজন ব্লগার অনুরোধ করেছিলেন যে সেই লম্বা মন্তব্য সহ একটি পরিষ্কার পোষ্ট দেই। সে হিসেবে এই পোষ্ট খানা দিয়েছিলাম। এই কাজে ইসলামী চিন্তাবিদ গনের এগিয়ে আসা উচিত ছিল, তাদের কাউকে না দেখাতে আমি উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি কোন ইসলামী স্কলার নই, তবে এই বিষয়ে সম্ভাব্য সকল গ্রন্থ সংগ্রহ করে, খুটিনাটি বিস্তারিত পড়েছি। তারই আলোকে উত্তর ও এই পোষ্টখানা। সে জন্য এখানে কোন উদৃতি নাই। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, সকল কথাগুলো পড়ার আলোকে লিখিত এবং ইসলামের সাথে আমার কথাগুলো সাংঘার্ষিক হবেনা কেননা আমি এসব তথ্য গুলো ইসলামী ইতিহাস ও কুরআন হাদিস থেকে ধার করেছি। অনেক ধন্যবাদ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
209392
egypt12 লিখেছেন : আপনার উপর আমার সেই আস্থা আছে প্রিয় টিপু ভাই Love Struck
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
209393
egypt12 লিখেছেন : আপনার উপর আমার সেই আস্থা আছে প্রিয় টিপু ভাই Love Struck

তাই প্রিয়তে রইল
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৯
285993
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন :
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
২০
265455
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
সত্যলিখন লিখেছেন :


ব্লগার ও পোস্ট দুই টাই প্রিয়তে রেখে দিলাম ।আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের উনার প্রিয়দের কাতারে শামিল করে নিক ।আমিন সুম্মা আমিন ইয়া রাহমানুর রাহিম ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৫
209130
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর বক্তব্যের জন্য। আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:০৯
285994
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন :
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
২১
265621
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৪৪
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : ধন্যবাদ - যুক্তি সংগত
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
209433
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
২২
265681
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৭

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 8870

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> লিটুয়ারা লিখেছেন : অপনি আবারো ভুল করলেন। বস্তুত আপনি যা বলছেন তার এক পয়সারও মুল্য নেই। কোরাণ হাদীসের কথা বাদ দিয়ে আমরা আপনার প্যাচমারা মতলবী কথা গ্রহন করব কেন? কোরান-হাদীস'এ কোন ঝুট ঝামেলা ছাড়া খোলামেলা ভাবে পরহেজগার পুরুষ'দের জন্য হুর/৭২হুর বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু পরহেজগার নারীর জন্য কিছুই না, শুন্য। এই সহজ সরল বিষয়টি বুঝার জন্য আপনার মত হাফ পন্ডিতের দরকার নেই। আর এখানেই আপনার আল্লা নামক বস্তুটির নারী বৈষম্য আবারো প্রমান হয়।

আপনি বলেছেন- "....আপনাদের চিন্তার মুলে সমস্যা হল,মানবী আর হুরকে একাকার করে ফেলা।"

না ভাই এখানে একাকার করার কিছু নেই। দেখুন জান্নাতের বর্ণনায় আল্লা শুধু হুরপরীর লোভ দেখিয়ে ক্ষান্ত হন্নি!! তিনি খুরমা, খেজুর, আঙুর, দুধ, পানির নহর, ঠান্ডা বাতাস, রেশমী কাপড়............ সহ তাবত পার্থিব জিনিসের লোভ দেখিয়েছেন। যা সে সময়ের দরিদ্র ক্লিষ্ট, বুবুক্ষ, মুর্খ, বর্বর আরব দেদুইন কাছে ছিল কল্পনার বস্তু। তাহলে কি জন্নাতের খেজুর গুলোও রিয়েল না! ওগুলি কি ইলেকট্রনিক খেজুর?

জান্নতের বর্ণনায় বলা হয়েছে- "প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।"
কিন্তু ভাইজান, প্রবাল পদ্মরাগ রমনী দিয়ে আমি কি কচু করবো? জান্নতে আমার জন্য দরকার হলিউড তারকা টম ক্রজের মত ১ ডজন সুদর্শন পুরুষ। কিন্তু আপনার আল্লা সে ব্যবস্থা করেন্নি।


আপনি বলেছেন- "অন্য বিষয় হলে আমি উত্তর না দিয়ে উপেক্ষা করতাম কিন্তু আমার প্রভূ আল্লাহ মহান, উদার, ভদ্র ও পরিমার্জিত চিন্তার অধিকারী স্বত্ত্বা। তাঁর পক্ষে আমাকে কথা বলতেই হবে। তাই লিখতে বাধ্য হয়েছি।"

না ভাই এটি আপনার মূর্খ আবেগি কথা। আল্লা যদি মহান!, উদার!, ভদ্র!, পরিমার্জিত! ই হবেন তো তিনি তার নবীকে অসহায় যুদ্ধবন্ধি নারী, ক্রীতদাসী, কাজের বুয়াদের সাথে বেসুমার ধর্ষন/যৌনতা করার ব্যবস্থা করতেন্না। এতে বরং আল্লার হিংসুটে বর্বর চরিত্রই প্রকাশ পায়।

বিঃদ্র- আমার বোল্ট করা লেখার সত্যতার স্বপক্ষে নিচের হাদীস সমুহ দেখুন :

Abu Sa`id al-Khudri said, Allah be well-pleased with him: The Messenger of Allah said, upon him blessings and peace: “The humblest of the People of Paradise shall have eighty thousand servants and seventy-two wives. A palace of pearl and peridot(a: A pale green variety of chrysolite; used as a gemstone) and sapphire shall be erected for him as wide as the distance between al-Jabiya [a valley about 70 kms. East of Makka] and San`a’ [in Yemen].”
Sunan al-Tirmidhi Vol. IV, ch. 21, hadith 2687

“For the Shahid in the Divine presence there will be six qualities: [1] he will be forgiven from the first moment his blood is spilled; [2] he shall see his seat in Paradise and be protected against the punishment of the grave; [3] he shall be safe from the Greatest Terror [the rising of the dead]; [4] he shall be crowned with the diadem of dignity, one ruby of which is worth more than the entire world and its contents; [5] he shall be coupled with seventy-two spouses from the wide-eyed maidens of Paradise; and [6] he shall be granted to intercede for seventy of his relatives.”
Musnad Ahmad ibn Hanbal , Sunan al-Tirmidhi
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৫
209437
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি কোরআন হাদিসকে বিশ্বাস করেন না তাই বলে আমি কোন মুসিবতে পড়ি নাই যে সেটা আপনাকে বিশ্বাস করাতে হবে। যে যার আপন বিশ্বাস ধারন করবে, সেটাই ন্যায্য।

এখানে আমি তো কোরআন আর হাদিসের কথা বলতে বসেছি। যেটা আপনি বিশ্বাস করেন না। সুতরাং আপনি আমার সাথে দ্বিমত পোষন করবেন এটাই স্বাভাবিক। কোনদিন একমত হবেন না, তাই আপনার উপরের ওসব কথাও আমার জন্য মূল্যহীন, যেহেতু আমি আপনার যুক্তিতে বিশ্বাসী নই। আমাদের লক্ষ্য কোনদিন এক হবেনা। কেননা,

আপনি যুক্তি প্রয়োগে চালাকীর আশ্রয় নিচ্ছেন।
আমি যুক্তি প্রয়োগে বুদ্ধিমত্ত্বার আশ্রয় নিচ্ছ।

দুটো দেখতে একই ধরনের মনে হলেও, কোন দিন এক বিন্দুতে মিলেনা। ধন্যবাদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
209463

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 8870

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> লিটুয়ারা লিখেছেন : এখানে আমি তো কোরআন আর হাদিসের কথা বলতে বসেছি। যেটা আপনি বিশ্বাস করেন না। সুতরাং আপনি আমার সাথে দ্বিমত পোষন করবেন এটাই স্বাভাবিক।

আপনি এখন উল্টো কথা বলছেন! আপনার ১১ দফায় আপনি শুধু নিজের মনগড়া কথার চালবাজি করেছেন। আপনার লেখার পক্ষে কোরান-হাদীসের একটি কোটেশনও উল্লেখ করেন্নি। অবশ্য করবেনই বা কি করে? বর্বর কোরাণ-হাদীসের কটেশন দিলে সেটা আপমার সুবোধ কথার বিরুদ্ধে চলে যায়। কৌশলে বরং কোরাণ-হাদীসকে লুকাতে চেয়েছেন। যে কারনে আমি কোরান-হাদীসের অসভ্য, বর্বর, অবৈজ্ঞানি এবং নারী অবজ্ঞা মুলক তন্ত্রমন্ত্র গুলোর হুবহু কোটেশন তুলে ধরেছি। আর তাতেই আপনার যত অসস্তি।

সত্যিকার অর্থে কোরাণ-হাদীসের বাণীগুলো এতটাই অচল, অসভ্য, বর্বর, অবৈজ্ঞানি, জঙ্গি, অষহিষ্ণু............ যে কারনে আপনাদের মাঝেই এখন একদল বেড় হয়েছে "QURAN ONLY".

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩১
209505
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার সকল কথাগুলোই কোরআন আর হাদিস মত। সেটার প্রমাণ হল আপনার উপরে ২০ জন মন্তব্যকারীর মন্তব্য। আপনার অভিষ্ঠ লক্ষ্য পুরণে, আপনি ব্যতীত সেখানে কেউ দ্বিমত পোষণ করেনি।

দুনিয়ার নিয়ম হল, একজন পাগল/অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে সঠিক বলে মনে করে, আর পুরো জগত বাসীকে পাগল মনে করে। আপনি সে নিয়মের বাহিরে থাকবেন না এটা বুঝতে কাউকে বেশী জ্ঞানী হতে হয়না। অনেক ধন্যবাদ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০২
209592
জুমানা লিখেছেন : একজন পাগল/অপ্রকৃতস্থ ব্যক্তি সর্বদা নিজেকে সঠিক বলে মনে করে, আর পুরো জগত বাসীকে পাগল মনে করে। আপনি সে নিয়মের বাহিরে থাকবেন না এটা বুঝতে কাউকে বেশী জ্ঞানী হতে হয়না। একমত:Thinking
|
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:৫০
286000
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : হাদিস হল, ইসলামের সেকেন্ডারি সোর্স। প্রথমে মুল রিসোর্স কোরআনে দেখুন

আসহাবুল ইয়ামিন' বা ডানপন্থী বা সৎ কর্মশীলরা যে উভয়েই জান্নাতে সমানভাবে প্রতিদান পাবে সেটা স্পষ্ট হয়েছে সুরা নাহল ৯৭ তে-

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

"As for anyone - be it man or woman [Arabic: Lit., min (from) thakarin (male) aw (or) ontha (female)] who does righteous deeds, and is a believer - him shall We most certainly cause to live a good life, and most certainly shall We grant unto such as these their reward in accordance with the best that they ever did.

"যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।"

উপরের যেসব মন্তব্যগুলোতে আপনি যেসব হুর বিষয়ক আয়াত টেনেছেন, সব আয়াতেই 'হুর' উল্যেখিত হয়েছে। যার অর্থ আপনি করেছেন 'রমনি'। যা অনেক অনুবাদকারিই করেন (সবাই নয়)। কিন্তু রমনীর আরবী প্রতিশব্দ হল 'নিসা', 'উনসা', 'মারআ' ইত্যাদি। তাহলে আয়াতগুলোতে 'হুর' শব্দ ব্যবহার করা হল কেন?
আসলে হুর হবে স্রষ্টার সম্পুর্ন নতুন এক সৃষ্টি যার ধারনা করা আমাদের জাগতিক জ্ঞান আর জেন্ডার এর কনসেপ্ট দিয়ে বিচার করা সম্ভব নয়।

সূরা আল ওয়াক্বিয়া:৩৫

إِنَّا أَنْشَأْنَاهُنَّ إِنْشَاءً

‘Lo” We have created them a (New Creation. "আমি তাদেরকে বিশেষ এক নতুন রুপে সৃষ্টি করেছি।"
২৩
265822
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : মুহতারাম টিপু ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি সংগত লেখা। আপনাদের মত ডাক সাইটে ব্লগারের পক্ষেই সম্ভভ এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ লেখা উপহার দেয়া।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
209618
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি ভাল থাকুন ও সুস্থ থাকুন। আমীন।
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১০:১১
285995
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : ভাই আহমদ মুসা
আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি তা আপনার ভাল লাগতেও পারে।
২৪
266770
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫৯
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : সুন্দর যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যার জন্য আপনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ Rose
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৬
210933
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে ব্লগে গড়হাজিরা পাওয়া যায়। আপনার মত সেরা লেখকের হাত গুটিয়ে গেলে আমরা একাকী হইব।
২৫
293802
১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০১:৩১
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাইয়া, লিটুয়ারা নামক নাস্তিক টাকে যদি আল্লাহ সরাসরি জান্নাত দেখার সুযোগ ও করে দেন, তার পর ও ঐ নাস্তিক টা ঈমান আনিবেনা, কারণ আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দিয়েছেন, তাই তার চোখ থাকলেও মূলত সে অন্ধ। এই বেয়াদব টা আপনাকে তুচ্ছজ্ঞান করে কথা বলেছে, যদি তারে আমি সরাসরি পাইতাম, তাহলে দেখে নিতাম এই নাস্তিক টার জ্ঞানের দৌড কতটুকু। আমি সকল ব্লগারকে বলতে চাই, আমি নজরুল ইসলাম টিপু ভাইকে খুব কাছে থেকেই জানি, আমি উনার ফ্যামিলি মেম্বারের মত। আমার জীবনে আমি উনার মত ভাল ও জ্ঞানী মানুষ ২য় টা দেখিনি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ যেন উনাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ দান করেন।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৮
285862
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৬
344520
০৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:২৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। আবারো ধন্যবাদ লিংকটি শেয়ার করার জন্য।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৮
285861
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৭
344522
০৫ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪২
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আপনিওতো দেখি হুরকে পুরুষ বানচ্ছেন যুক্তি দিয়ে পীরসাহেব?? আপনার কাছে কি সালাফদের কোন কওল আছে যে পুরুষ হুর আছে??
থাকলে জানাবেন। কেননা এমন গায়েবের বিষয়ে যুক্তির চেয়ে আগে সালাফদের কওল আমার দরকার। তাদের কওল থাকলে আমার যুক্তির দরকার নেই।
আর আপনার প্রতিটি পয়েন্টের সাথে কোরআন বা সহীহ হদীস যুক্ত করেন দেখি??
০৫ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৭
285860
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আসলে এই প্রতিবেদনটি লিখা হয়েছিল 'হুর' যে বেশ্যা নয়, সে কথার নিমিত্তে। আমি নিচে নোট ও দিয়েছিলাম। হুরদের বিস্তারিত পরিচিত আসার চেয়ে আমার প্রতিবেদনে মানুষ এবং নারী সম্পর্কেই বেশী এসেছে। এই রচনাটি হুর বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য লিখিত হয় নাই, যদিও হুরের কথা আসতেই হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১৫
285875
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : নাস্তিকের কথার উত্তর দিবেন এটা আমার ও কাম্য। কিন্তু সেজন্য রসুল (সা) ও সাহাবী (রা) দের পথ থেকে সরে গিয়ে নিজের যুক্তি খাটানো এটা কাম্য নয়।
নাস্তিক তো নাস্তিকই নাহলে কি সে এরকম বলে! ওই মানুক আর না মানুক তাতে আমাদের কোন সমস্যা নাই। আমরা মানি যা কোরআনে আছে ও হাদীসে আছে জদিও তা আমাদের মগজের বাহিরে।

সালাফদের আকিদা কখনই নয় যে হুর পুরুষ বা (সঙ্গী/সঙ্গীনি)।
রসুল (সা) স্পষ্ট বলেছেন: হুর হচ্ছে নারী। এ সম্মন্ধ্যে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে যা আপনিও জানেন।

যুক্তির চেয়ে কোরআন ও হাদীস আগে যদিও তা আমার মগজের বাহিরে।
০৫ অক্টোবর ২০১৫ রাত ১১:৩৩
285909
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : ডা জাকির হুজুর প্রথম দিকের এক লেকচারে বলেছিলো যে পুরুষ হুর আছে। পরবর্তি সময় হুজুর সেটার ভুল বুঝে সঠিকটাতে ফিরছে। তিনি এখন পুরুষ হুর আছে বিশ্বাস করেন না। হুর হচ্ছে মহিলা।

জাকির হুজুরের লেকচার নিচেঃ
https://m.youtube.com/watch?v=mNCMmRJ2_GU
০৬ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:৩২
285940
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আবহমান কাল ধরে মানুষ হুরের ছবি নারী হিসেবেই কল্পনা করেছে এবং গেলমান বলতে পুরুষদের চেনা হয়েছে। আরব দেশে পাঁচ তারকা হোটেলের সুদর্শন বয় গুলোকে গেলমান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জানিনা এই গেলামান আর সেই গেলমানের কোন যোগসূত্র আছে কিনা। আবারো ধন্যবাদ।
০৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:৪১
286047
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : আনাসবিন মালেক (রা) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসুল (সা) বলেছেন: সকাল সন্ধায় আল্লাহর পথে বের হওয়া, পৃথিবী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার সবকিছুর থেকে উত্তম। যদি ইমরাআতিম মিন নিসায়ী আহলাল জান্নাহ জান্নাতী রমনীদের মধ্য হতে কোন রমনী পৃথিবীতে উকি দিত, তাহলে পূর্ব থেকে পশ্চিম এর মাঝে যা কিছু আছে সব কিছু আলোকে উজ্জল হয়ে যেত। আর সমস্ত জায়গাকে সুগন্ধিতে ভরে দিত, জান্নাতের নারীদের মাথার ওরনা পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামত থেকে মূল্যবান।
(সহীহ আল বুখারী, মিশকাতেও হাদীসটি আছে, বাব হচ্ছে, সিফাতিল জন্নাহ ওয়া আহলিহা)
০৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ০৮:৪৪
286048
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : উম্মে সালামা (রা) বলেন: আমি জিজ্ঞাস করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা) আমাদের মধ্যে থেকে কোন কোন মহিলা পৃথিবীতে একাধিক স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, মৃত্যুর পরে যদি ঐ মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করে এবং তার সব স্বামীরাও যদি জান্নাতে প্রবেশ করে তাহলে এদের মধ্যে কোন ব্যাক্তি তার স্বামী হবে?
নবী (সা) বললেন: হে উম্মে সালামা! ঐ মহিলা তার স্বামীদের মধ্যে থেকে যে কোন এজনকে বাছাই করবে। আর সে নি:সন্দেহে উত্তম চরিত্রের স্বামীকেই বাছাই করবে। মহিলা আল্লাহর নিকট আরয করবে যে, হে আমার প্রভূ! এ ব্যাক্তি পৃথিবীতে সবথেকে ভালো চরিত্র নিয়ে আমার সাথে চলেছে, অতএব তার সাথেই আমাকে বিয়ে দিন। হে উম্মে সালামা! উত্তম চরিত্র দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্থ কল্যানের মধ্যে উত্তম।
(ইমাম ত্বাবারানী এই হাদীস বর্ণনা করেছেন, হাদিসটি বিদায়া ওয়ান নিহায়াতে ইবনে কাসির এনেছেন, হাদীসটি সহিহ)

হুর হচ্ছে রমনী/নারী/নিসা, এবং তার তার স্বামীর অপেক্ষায়, রসুল (সা) এর বানী:
আনাস (রা) বলেন: রসুল (সা) বলেছেন; জান্নাতে আকর্ষনীয় চক্ষুবিশিষ্ট হুরেরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন এবলে;
"আমরা সুন্দর এবং সতী ও সৎচরিত্রের অধিকারীনি, আমরা আমাদের "স্বামীদের" অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিলাম"
(ইমাম ত্বাবারানী এই হাদীস তার কিতাবে বর্ননা করেছেন, হাদীসটির সানাদ সহীহ, হাদিসটি সহীহুল জামে আস সাগীর হা/১৫৯৮ তে পাবনে)

এরকম আরো অনেক হাদীস আছে পীরসাহবে। রসুলের (সা) কথার আনুগত্য করাই মুসলিমের কাজ। কোরআনে ব্যাখা রসুল (সা) থেকে তার সাহাবী থেকেই নিতে হবে। রসুল (সা) সাহাবী (রা) দের কওল হচ্ছে হুর হচ্ছে নিসা বা রমনী বা নারী।
২৮
344688
০৬ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৯:৪৭
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : আপনার পোষ্টটি পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন। আপনার আলোচনা খুব যৌক্তিকভাবে তুলে ধরেছেন। জান্নাতের প্রেক্ষাপটে জেন্ডার কনসেপ্টের গুরুত্বপুর্ণ কিছু টার্ম অতি সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।
তবে কোরআন থেকে রেফারেন্স সহ আলোচনা করলে লেখাটা আরও বলিষ্ট হত।
হুরকে যে সম্পুর্ন নতুন একটি সৃষ্টি হিসেবে আল্লাহ জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করবেন তা সুরা ওয়াকেয়ার ৩৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে।


আমার হুর বিষয়ক দীর্ঘ আলোচনার ২য় পর্বের লিংক এখানে দিলাম।
'হুর' কি? হুর কি শুধু জান্নাতি পুরুষদের জন্যই?? জান্নাতি নারীদের রিওয়ার্ড কি? কোরআন কি বলে??? ********************* (২য় পর্ব)

কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে আমি যা আলোচনা করেছি, আপনি রেফারেন্স ছাড়াই যৌক্তিকভাবে অতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সেখান থেকে রেফারেন্সগুলো বিশেষ করে সুরা ওয়াকেয়াহ এর আয়াতগুলো আপনার লেখায় যোগ করলে আলোচনাটি আরও বস্তুনিষ্ঠ এবং আরও শক্তিশালি হয়ে উঠবে।
অনেক ধন্যবাদ।
০৭ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
286067
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুপ্রিয় ব্লগার,
আমি আমার পোষ্টের নীচে উল্লেখ করেছি যে, একজন ব্লগার হুর নিয়ে খুবই কদাকার মন্তব্য করেছেন। উত্তরে বিভিন্ন ইসলাম প্রিয় ব্লগার গন উত্তরের নামে খিস্তি খেউর করতে থাকেন এতে যিতি ব্লগ লিখেছেন, তিনি খুবই উল্লসিত হন।

এই পর্যায় দেখে হঠাৎই উপস্থিত চিন্তায় উত্তর লিখতে বসে গেলাম। আমার উত্তর লিখা যখন শেষ তখন গভীর রাত হয়ে যায় অধিকন্তু সেই পোষ্টি দ্বিতীয় পেজের শেষে চলে যায়। ফলে আমি একটি নতুন পোষ্ট দিতে বাধ্য হই। এই পোষ্টটি সেটিই। এই পোষ্টটি হুরের পরিচিতি নিয়ে নয় যদিও হুরের কথা এসে পড়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার দেওয়া লিঙ্কটি আমি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিব।
০৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:১০
286098
মুক্ত কন্ঠ লিখেছেন : বুঝেছি জনাব। তবে সুরাহ ওয়াকেয়াহ এর ঐ আয়াতগুলি আপনার লেখায় যোগ করলে সেটা অপ্রাসঙ্গিক হবে মনে হয় না।
ধন্যবাদ!
০৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০১:১৪
286099
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সাথে একমত, ধন্যবাদ।
২৯
345318
১১ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
১২ অক্টোবর ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
286540
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সুন্দর সুংযুক্তিকে আমি আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। আপনি ভাল থাকুন আপনার হাত দুটোকে আল্লাহ ভাল কাজের জন্য কবুল করুন। আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File