সমাজতন্ত্র হৃদয়ের বন্দীশালা! সকল ধর্মের সাথে গলাগলি হলেও ইসলামের মোকাবেলায় সে নির্দয়-নির্মম!

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:১১:৩৮ দুপুর



জার্মান চিন্তাবিদ হেগেল ও তাঁর শিষ্য কার্ল মার্কসের শত-বছরের অব্যাহত লিখনির মাধ্যমে, বিংশ শতাব্দীর শুরুতে প্রথম ভূমিষ্ঠ হয়েছিল সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া! সবাইকে সমান অধিকার পাইয়ে দেবার কথা তুলে সারা দুনিয়ার ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, কুলি, মজুর, মেহনতি জনতাকে রাজপথে নামিয়েছিল। লেলিন, স্টালিন, ট্রটস্কির মত রাজনীতিবিধ; মাক্সিম গোর্কি আর লিও টলষ্টয়ের মত সাহিত্যেদিক দের হাতে সে সমাজের কল্পনার ছবি দেখে বহু বিখ্যাত মুসলিম তো বটেই বাংলাদেশের জাতীয় নেতা মাওলানা ভাসানীর মত কালজয়ী ধর্মীয় ব্যক্তি পর্যন্ত ভাবতে শুরু করে যে, সমাজে সমতা আনার ক্ষেত্রে সমাজতন্ত্রই বুঝি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম মতবাদ! বিশ্ব জোড়া খ্যাতি, যাদুকরী ঐক্যের বন্ধন নিয়ে যে সমাজতন্ত্রের জন্ম হয়েছিল রাশিয়ায়; ৭০ বছর যেতে না যেতেই তা নিজ ঘরেই এতিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। লেলিনের সু-উচ্চ মূর্তিকে ভূতলে আছড়ে ফেলে তারই অনুসারীরা গণন বিদারী উল্লসিত চিৎকারে বলেছিল, আজই হল রাশিয়ার মানুষের প্রকৃত মুক্তির দিন। রাশিয়ায় সমাজতন্ত্রের জন্মস্থানে করুন মৃত্যু হলেও, দেহের বিষ ফোড়ার ন্যায় পৃথিবীর স্থানে স্থানে তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠে কিছু চালাক বুদ্ধিজীবীর কল্যাণে!

সমাজতন্ত্র মতবাদে রাষ্ট্রের সবাইকে সমান করে দিলে কিংবা একেবারে কিছুই না দিলে পৃথিবীর অন্য কোন ধর্মের মাথা ব্যথা নাই, তাদের আপত্তি নাই। তাই তাদের সাথে সমাজতন্ত্রের কোন ঝামেলা হয়না। ইসলাম সবাইকে সমান করে দেবার দাবী করে না বরং এই দাবীর প্রচন্ড বিরোধিতা করে। কেননা ইসলাম দাবী করে যে, প্রতিটি ব্যক্তির যোগ্যতা, দক্ষতা, প্রয়োজনীয়তা ও কাজের অবদানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার প্রাপ্য অধিকার শরীরের ঘাম শুকানোর আগেই তাকে পরিশোধ করো। দ্বিমত পোষণ এবং ভিন্নমত সৃষ্টি করে বাধা সৃষ্টির জন্য সমাজতন্ত্র যেখানেই ইসলামকে সামনে পেয়েছে, সেখানেই কচু কাটা করেছে! রাশিয়ার প্রতিবেশী অসচেতন মানুষদের, সমান অধিকারের লোভ লাগিয়ে, তাজিকিস্তান, কাজাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজিস্থান, আজারবাইজান, সমর খন্দ, বোখারা সহ পুরো মধ্য এশিয়ার কোটি কোটি নিরীহ মুসলমানের রক্তের বন্যায় দাড়িয়ে জনগণকে সমান অধিকার বিলিয়েছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র!

সমাজতন্ত্রের পুরো ভিত্তিটাই দাঁড়ানো আছে একদল কপট মানুষের হঠকারী চালাকির উপর। তারা দাবী করে, নাঙল যার জমি তার। এই কথায় কৃষক বুঝে থাকে, নাঙল যেহেতু কৃষকের হাতে থাকে, তাহলে জমিদার থেকে জমি ছিনিয়ে নিয়ে ভূমির মালিকও তাকে বানানো হবে! এখানে একজন সাধারণ কৃষককে জমির মালিকের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে ছিনতাইয়ের মানসিকতা বানানো হয়েছে! আর এই কথার মুল রহস্য হল, নাঙল যখন সরকারের, তাহলে জমিও সরকারের! তারা আরো দাবী করে, দুনিয়ার মজদুর এক হও! কিন্তু যারা নেতা তারা মজদুরের কেউ নয়! কেননা সেখানে যত আইন রচিত হয়েছে তা মজদুরদের জন্য, নেতাদের জন্য নয়! এমনকি নেতাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হবার কোন বাধ্যবাধকতা নাই! সবাইকে সমান অধিকার দেওয়া হবে! কিসের ভিত্তিতে, কোন সমান অধিকার? তার ব্যাখা দেওয়া হয়না। একজন কামার আর একজন বিজ্ঞানী কি সমান? কর্ম ও যোগ্যতায় সমান হলে অবশ্যই সমান অধিকার তার প্রাপ্য যদি দু'জন সমান না হবার পরও সমান দেওয়া হয় তাহলে সেটি অন্যায়। মূলত সমাজতন্ত্রে মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, জাতি প্রেমের কোন বালাই নেই! তাদের চিন্তায় জটর জ্বালা নিবারণই যেন মানব জাতির মূল লক্ষ্য!

একটি পরিপূর্ণ সমাজতান্ত্রিক সমাজের চিত্র বুঝতে হলে, একটি মুরগী খামারের মালিকের কাজে ফুটে উঠে! মুরগী খামারী শিশু অবস্থাতেই কিছু মুরগীকে বাছাই করে ডিম দেবার জন্য। এসব মুরগী আজীবন ডিম দেবে কিন্তু ডিমে তা দিয়ে ফুটিয়ে মা হতে পারবে না। কিছু পুরুষ বাচ্চাকে বাছাই করা হয়, নারী মুরগীদের ধর্ষণ করার জন্য। এসব মোরগ পরিণত বয়সে অবিরত ধর্ষণে ব্যস্ত থাকবে, মুরগীর অনিচ্ছার সুযোগ নাই। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যে মোরগ ধর্ষণ কাজে অযোগ্য হবে তার মৃত্যু তত কাছাকাছি সময়ে হবে। কিছু বাচ্চাকে বাছাই করা হবে, গোশতের জন্য, সে গোশতের ভারেই চলতে পারেনা। কিছু বাচ্চাকে ঔষধ খাইয়ে, শরীরের গোশতকে লবণাক্ত বানানো হয়, ফাস্ট ফুডের দোকানের জন্য! এখানে মুরগীর ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন গুরুত্ব নাই। খামারী ব্যক্তির ইচ্ছাই হল এখানে মুখ্য বিষয়। সেভাবে সমাজতান্ত্রিক সমাজে নিজের ইচ্ছেমত একটি পেশা বাছাইয়ের সুযোগ নাই। কবিকে কবিতা লিখা, গাইয়েন কে গান গাইতে দেওয়া, চিত্র শিল্পীকে নিজের খুশী মত আঁকতে দেবার কোন সুযোগ সে সমাজে নাই। এই সুযোগ সে চাইতে পারেনা। কেননা স্বল্প সংখ্যক নিদ্দিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া, রাষ্ট্রে কবিতা, গান ও চিত্র করের প্রয়োজন অনুভব করেনা। মূলত সমাজের অল্পশিক্ষিত মানুষের কোন ইচ্ছাই থাকতে নেই সমাজতান্ত্রিক সমাজে! আর সে কারণেই বলা হয় সমাজতন্ত্র হল হৃদয়ের বন্দীশালা।

সেখানে একজন মজদুরের শ্রম আর একজন বিজ্ঞানীর শ্রমের মর্যাদা একই যেহেতু অধিকার সমান। একজন মাতা তার আগ্রহে অতিরিক্ত আরেকটি সন্তানের মা হবার ইচ্ছা রাখাটা অন্যায়! নিজের দেশের একটি শহর থেকে অন্য আরেকটি শহরে কাজের সন্ধানে যাবার কোন মৌলিক অধিকার সেখানে স্বীকৃত নয়। মানুষের মনের কোন খোরাক নাই, অন্তরের ভাল লাগা, ভাল বাসার কোন গুরুত্ব নাই সে সমাজে। ফলে পুরো সমাজে উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত সকল শ্রেণীর সকল স্তরে স্থবিরতা নেমে আসে। নিজের অতিরিক্ত যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ঘোষণা দিলে কোন প্রমোশন তো জুঠেই না বরং অতিরিক্ত কাজের চাপ মাথায় উঠার ভয় থাকে। যোগ্য মানুষ হাত গুটাতে বাধ্য হয়, রাষ্ট্রীয় আইনের শক্ত প্রয়োগের কারণে তখন যোগ্য ও অযোগ্য সকল মানুষ এমনিতেই এক সমান হয়ে যায়। পৃথিবীর দেশে দেশে তাদের হাজারো যোগ্য নেতা কর্মী থাকা স্বত্বতেও সমাজতন্ত্রের করুন পতনের এটাই একমাত্র মূল কারণ।

শ্রেণী শত্রু দমানোর নামে তারা প্রতিপক্ষকে নির্মমভাবে নিশ্চিহ্ন করে। শ্রেণী শত্রু হিসেবে কদাচিৎ নিজ দলের, নিজ পদের প্রতি হুমকি, এমন কাছাকাছি নেতাকে হত্যা করা তাদের জন্য মামুলী ব্যাপার! জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কিংবা পাবলিসিটির সুযোগ নিতে, কখনও নিজ দলের কর্মী হত্যাকে দলের জন্য অবদান মনে করে। সেই কর্মীর লাশ নিয়ে আন্দোলন করে তারা সর্বদা জনগণের মাঝে আলোচিত থাকাকে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা মনে করে। ধার্মীক মানুষ তাদের চরম অপছন্দ! তাদের চিন্তা ধার্মীক মানুষের অতি মানবিক মূল্যবোধের কারণে, অর্থ শালীরা সম্পদ লুটের সুযোগ নেয়। দলের কাছে পরিপূর্ন ধর্ম বিদ্ধেষী না হওয়া পর্যন্ত, দলের গুরুত্বপূর্ন পদে তাকে রাখাটা বিপদজ্জনক মনে করে। হিন্দু-বৌদ্ধের দেশে সমাজতন্ত্রীরা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম দ্ধারা চ্যালেঞ্জ প্রাপ্ত হয়না। কেননা সে সব ধর্মে রাষ্ট্র ও নেতার পদ হরণের কোন আলামত নাই। সে কারণে উক্ত সমাজে ধর্মের সাথে তাদের কোন সংঘাত বাধে না বরং দেখা যায়, ধর্মবিদ্ধেষী সমাজতন্ত্রী নেতারা নিজেরাই কপালে চন্দন তিলক লাগিয়ে, পূজা মণ্ডপে ঘুরে বেড়াচ্ছে! এখানে সমাজতন্ত্রীরা দ্বিমুখী সুবিধা পায়। তবে, তাদের এসব কর্মকাণ্ডে ইসলাম প্রচণ্ড ভাবে বাধা দেয়। তেল আর পানি যেভাবে একসাথে মিশতে পারেনা। সেভাবে ইসলাম ও সমাজতন্ত্র একসঙ্গে একত্রে থাকতে পারেনা। তাই তাদের মাঝে চরম সংঘাত অনিবার্য হয়ে পরে এবং এই সংঘাত অব্যাহত ভাবে চলতে থাকে।

ইসলামী সমাজে সমাজতন্ত্রীরা বেঁচে থাকার জন্য জুচ্চোরী, কপটতা ও ঠগবাজী পদ্ধতি গ্রহণ করে। তারা ইসলামী ইতিহাসের ন্যায়-বিচার ও ক্ষমার কাহিনীকে পূঁজি করেই সামনে চলতে থাকে। তারা বলতে থাকে, ইসলামের স্বর্ণ যুগে একদা এভাবে সুবিচার করেছিল কিন্তু বর্তমানের ভণ্ড ইসলামী নেতারা তা অনুসরণ করছে না! এসব ভণ্ড ও প্রতারক মৌলভী দিয়ে দেশে কোনদিন আইনের শাসন আসবে না! এভাবে তারা একদিকে ইসলামী ইতিহাসের সূত্র ধরে ইসলামী নেতা, ব্যক্তি, ব্যক্তিত্ব, অনুষ্ঠান ও সামাজিকতাকে কষে গালা-গালি করে অন্যদিকে ইসলামী নেতা-আলেমদের ভণ্ড বলে জনগণের মনে ইসলামী নেতাদের যোগ্যতাকে খাটো, হাস্য-পদ ও অযোগ্য করে। জনগণের মনে প্রশ্ন যুগিয়ে দেয়, তোমরাই ভেবে দেখ, এসব মানুষ কিভাবে রাষ্ট্র চালাবে! সমাজতন্ত্রীদের এই ঘৃণ্য আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে, কেউ যদি কেউ আক্রমণ করতে উদ্যত হয়, তখন অনুনয় করে বলতে থাকে, ইসলাম শান্তির ধর্ম, মহান ধর্ম! আমারা আপনার কাছে ইসলামের নবীর মত সুবিচার আশা করছি! মুসলমানকে আক্রমণ করতে তারা ইসলামকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে, আবার নিজেরা বেঁচে থাকতে ইসলাম ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের অধিকাংশ সুশীলের চরিত্রই এটা। এই চরিত্রের সকল উপদেশ দাতার অন্তর ও ভিতর প্রতারনা, হঠকারী, কপটতা আর চরম মিথ্যায় ভরা, তা শুধু গলার টাই আর ক্লিন সেভ চেহারার কল্যানে চাপা থাকে!

মৃত্যুর কোন প্রমাণ থাকবে না, এমন সুযোগে কোন ইসলামী নেতাকে যদি সুযোগ মত পেয়ে যায়, তাহলে তাদের নৃশংসতার সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে ইসলামী ব্যক্তি ও নেতাদের নিশ্চিহ্ন করতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনা। ইসলামী নেতা হত্যায় তাদের কাছে শিয়া, সুন্নি, ওয়াবী সবই এক সমান। কেননা মরলে তো শালার একজন মুসলমানই মরল, তাছাড়া তার মৃত্যুর সূত্র ধরে কষে ইসলামকে গালাগালি করার অগ্রিম সুযোগ তো হাতেই থাকছে। ইসলামী সমাজে বসবাস করে তারা যদি উপরের কোনটাই বাস্তবায়ন করতে না পারে; তখন তারা জাতীয়তাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষতা-বাদী, জড়বাদী, ভোগবাদী সহ যে কোন ইস্যু-বাদী দলে ঢুকে পড়ে। তারা সে সব দলের হয়ে, যে শাখায় চলা ফেরা করুন না কেন, তাদের বন্দুকের নল থাকে ইসলাম ও ইসলামী শক্তির ভিতের দিকে! আর যে দলে তারা ঢুকে পড়েছে, সে দলের মানুষকে নাস্তিক বানাতে সচেষ্ট হয়! তাও সম্ভব না হলে সে ব্যক্তি যে ধর্মে বিশ্বাসী তার উপর অনাস্থা সৃষ্টি করে। কেননা নীতি-বোধ, নৈতিকতা, সুবিচার, ন্যায়-শাসনের প্রবণতা সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা, আর এসব মূল্যবোধ সৃষ্টি করে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম। আর সে কারণেই ইসলাম ধর্মকে তারা সাক্ষাৎ দুষমন মনে করে।

আগের পর্ব: জাতীয়তাবাদ ইসলাম ধর্মকে অবলম্বন করে কিন্তু তার ধ্বংসকেও নিষ্ঠুরভাবে উপভোগ করে। পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

বিষয়: বিবিধ

২৬৭৪ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

264540
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৩৬
কাহাফ লিখেছেন : "সমাজতন্ত্রের পুরো ভিত্তিটাই দাড়ানো আছে এক দল কপট মানুষের হটকারি চালাকীর উপর, জুচ্চোরী-কপটতা-ঠকবাজি পদ্ধতিই তাদের বেচে থাকার মুল মন্ত্র।
সমাজতন্ত্রের ভয়াবহ দিক উল্লেখ সহ বিশ্লেষণ মুলক সাবলীল উপস্হাপনার জন্যে জাযাকাল্লাহু খাইরান......
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
208131
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
264546
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন :
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
208149
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ।
264550
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৫
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৮
208150
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
264561
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২০
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : সমাজতন্ত্রের যোগ্যতা যাচাই করার আগে ইসলামের যোগ্যতা কতটুকু তা ভেবে দেখা জরুরী। জন্মের ১৪০০ বছরে উইপোকার মত বংশ বিস্তার করা ছাড়া ইসলাম ভাল কিছু করে দেখাতে পারে নি। আর এখন তো প্রশ্নই উঠে না। ধন সম্পদে ভরপুর শরিয়া শাসিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে ইসলাম আগাছা/পরগাছা/ভোগবিলাশ/শিক্ষাবিমুখতা বৃদ্ধি করা ছাড়া এ পর্যন্ত আর কিছু অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে অনআবর মুসলিম দেশ গুলোর দুই/একটি ছাড়া অবশিষ্ট শুন্য। তবে নিজেদের আত্মকলহ, বোমাবাজী...... তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। পাকিস্তানে ভোরের আজান শেষ না হতেই মসজিদে/মসজিদে সন্ত্রাসের প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

আমি জানি আপনি এক্ষুনি ৪ খলিফার রাশেদীন যুগের কথা বলবেন। কিন্তু তাদের আভ্যন্তরীন রক্তের বন্যা বেমালুম চেপে যাবেন। আপনি খলিফা ওমরের দশ বছর মেয়াদী কাল্পনিক স্বর্গ রাজ্যের কথা বলবেন, কিন্তু নিজের চোখে দেখা সিংগাপুর, জাপান, সুইডেন, চীন.....এর কথা চামেচামে এড়িয়ে যাবেন। মুসলিমদের স্পেন উপনিবেশ নিয়ে বড় গলা করবেন, কিন্তু ইংরেজদের ভারত উপনিবেশ নিয়ে গলা শুকাবেন। ইবনে সিনা কবিরাজ'কে নিয় টাকঢুম ঢোল বাজাবেন। কিন্তু আর্কিমিডিস, নিউটন, গ্যালালিও, আইনস্টাইন....... কে নিয়ে মিনমিন করবেন।

তো ভায়া, কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে ইসলাম বিক্রি হবে না। এটা বুঝেন তো??????
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
208152
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার এই পোষ্টটি কোন ইসলাম ধর্মীয় পোষ্ট নয়। আমি সমাজতন্ত্রের অসাড়তা ও অবাবতা তুলে ধরেছি মাত্র। আপনার মন্তব্য যেহেতু আমার আজকের বিষয় বস্তুর সাথে সম্পর্কিত নয়, তাই কোন উত্তর দিলাম না।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
208156
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : তা হলে পোষ্টের মাথার উপর ঝুলিয়ে রাখা ইসলামী বিজ্ঞান'টি নামিয়ে ফেলুন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
208157
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : তা হলে পোষ্টের মাথার উপর ঝুলিয়ে রাখা ইসলামী বিজ্ঞাপন'টি নামিয়ে ফেলুন।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৩
208171
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইসলামী বিজ্ঞান টা নামিয়ে ফেললে, আমার লিখনী নিয়ে আপনার আপত্তি নাই জেনে খুশী হলাম। মনে মনে ধরুন সেটা নামিয়েই রেখেছি। নামালেও উপাদানের গরমিল তো নেই কেননা ব্যাপার খানা তো সত্যি।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪০
208212
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : মালুরা কখনোই বাস্তবাতায় বিশ্বাসী নয়। এদের সাথে কথা বলে সময় করা ঠিক হবে না।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
208265
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @গ্রামের পথে পথে,খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।এটা ব্যাংকের টেইলর মাথায় ঢুকবে না।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
208293
শেখের পোলা লিখেছেন : আর এও বুঝি,'যব ফাটেগা তব শিখোগী'
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩৫
208335
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : মাথায় ইসলামী কুবুদ্ধি উর্বর হয়ে গেলে শফিতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু বুঝা যায় না। আপনি হয়তো জানেনই না আজকের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র সমুহের মুলমন্ত্রই হছ্ছে সমাজতান্ত্রিক সামাজিক কল্যান এবং সমতা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী আর কারখানা শ্রমিক একই দোকান থেকে একই লেভেলের নিজস কিনে খায়। দুজনে একই বাসে চেপে অফিসে যান। একই পোশাক পরেন। দুজনের সন্তানরা একই স্কুলে পড়াশুনা করে।

কোরাণ-হাদীস বাদ দিয়ে আপনাকে আরো পড়াশুনা করতে হবে @ নজরুল ইসলাম টিপু।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
208461
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি যে আমাকে আরো বেশী লেখাপড়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তা আমার খুব ভাল লেগেছে। আমারও বিশ্বাস এই ব্যাপারে যদি আরো বেশী লেখাপড়া আমার থাকত, তাহলে আজকের এই বিষয়ের উপর আরো বেশী করে তথ্য উপাত্ত দিয়ে লিখাটিকে ষোল কলায় পূর্ণ করতে পারতাম। অনেক ধন্যবাদ।
264564
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : শুধু মাত্র জুনিয়র নেতা নেতৃত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এ আশঙ্কায় রাশিয়ায় হাজার হাজার সমাজতন্ত্রী নেতাকে হত্যা করেছে সিনিয়র নেতারা। আবার সিনিয়র নেতাকে হত্যা করে নেতৃত্ব দখলেরও ভুঁড়ি ভুঁড়ি উদাহরণ আছে। এক মার্কসবাদ কে যে কত দার্শনিক কতভাবে ব্যাখ্যা করেছে তার ইয়ত্তা নেই। মার্কসের শিষ্যরা তাঁর মতবাদকে যে কত রকমভাবে বিকৃত করেছে সেটা দেখলে মার্কস আত্মহত্যা করতেন। ভাগ্যিস তাকে সেটা করতে হয় নি। মার্কস সমাজতন্ত্রের উত্থান পতন দেখার আগেই চলে গেলেন ইহজগত ছেড়ে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
208153
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর ও তথ্যমূলক বক্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
264594
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৭
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সোশালিজম নিয়ে খুব বেশী পড়তে পারি নাই, তবে মার্ক্সের দ্যা-ক্যাপিটাল এর অনেক কিছুই দেখেছিলাম। ঐটা পড়ে আমার যা মনে হয়েছিলো –

১) ব্যক্তি-কেন্দ্রীক রিসোর্স এ্যাকুমুলেশন এর ব্যাপারে তার তীব্র-দহন

২) একজন ক্যাপিটালিষ্ট এর প্রফিট-ইন্সেন্টিভ এর জন্য অনেক সাধারণ মানুষ কেন ন্যাসেসারী টাইমের অতিরিক্ত সারপ্লাস-টাইম কাজ করবে বিনা-মূল্যে

৩) টোটাল ইকোনোমীর মানুষের ন্যাসেসারী-প্রোডাকশন এর জন্য যতোটুক সময় কাজ করার দরকার এর বাইরে কেনো করবে

এই বিষয়গুলোই মূল-আলোকপাতের বিষয় বলে মনে হয়েছিলো, এর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ইউ.কে-র অনেক এবং অন্যান্য দেশেরও উদাহরন এর বিশাল সমাবেশ ঘটিয়েছে। ইহুদীদের মানসিকতার উদাহরণ দিতে গিয়ে মূসা (আঃ) কে উদ্ধৃত করেও কিছু কথা বলেছে, ইহুদীদের কটাক্ষের জন্য।

প্রোডাকশনে ইফিশিয়েন্সীর জন্য লেবারদের ক্লাসিফিকেশন এবং তাদের কাজের জন্য সেগমেন্টেশন সাপোর্ট করতে দেখেছি ঐ বইয়ের কিছু অংশেই। তবে ইকুয়াল ডিশট্রিবিশন এর কথা ঐ বইয়ে বলছে বলে মনে পড়তেছে না। বইটা বেশ বড় সাইজের – তিনটা পার্ট, ঐটাই কি অরিজিনাল?

ইসলাম নিয়ে ঐ বইয়ে কিছু ছিলো বলে আমার মনে পড়ছে না। অন্য কোন বইয়ে কি আছে এ ব্যাপারে?

সোশালিজম এর এ বিষয়টা নিয়ে অরেকটা জায়গায় আমার গুলিয়ে যায় – সেটা ইহুদীদের কিতাবে ইউসুফ (আঃ) এর পুরা ঘটনাটা; আমি ঐখানে যা বুঝেছিলাম সংক্ষেপে এমন –

দুর্ভিক্ষের সমউ ইউসুফ(আঃ) প্রথমে সব টাকা/পয়সা (মুদ্রা) মিশর থেকে উঠিয়ে রাষ্ট্রের করে ফেলেছিলেন, এর পরেও দুর্ভিক্ষ না যাওয়ায় – সমস্ত পশু-সম্পদ রাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে গেছেন, তারপরেও দুর্ভিক্ষ না যাওয়ায় – সমস্ত জমি রাষ্ট্রের মালিকানায় নিয়ে গেছেন; এর পর দুর্ভিক্ষ শেষে উনি রিজার্ভ থেকে বীজ দিয়েছেন – সবাই চাষ করে ফারাওকে কর দিতো একটা হারে।

এখানে কিন্তু রাষ্ট্রের সব সম্পত্তি এক জায়গায় চলে গেছে এবং সর্বসাধারণ রাষ্ট্রের লেবার হয়ে গেছে বলে আমার মনে হয়েছে।

এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গী শেয়ার করবেন আশা করি, তাতে হয়তো আমার উপকার হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
208192
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বস্তুনিষ্ট তথ্য সম্বৃদ্ধ পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। তবে ইউসুফ (আঃ) এর যে কাহিনী আপনি বলেছেন, সে পয়েন্ট গুলো আমি আজই জানতে পারলাম।

আমি জানি, ইউসুফ (আঃ) দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দুর্ভিক্ষ আসার আগে তাকে প্রস্তুতি নেবার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন। আগের বছর গুলোতে বেশী শষ্য হয়েছিল। সে সময়ে তিনি শষ্য রক্ষনাবেক্ষন এবং অগ্রিম আমদানী করেছিলেন।

জানিনা এই ঘটনা ইহুদী ধর্মগ্রন্থ তালমুদে আছে কিনা। যাহোক এ ব্যাপারে আমাকে পড়তে হবে, তারপরে বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
208201
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সেখানে খুব বেশী বড় না ইউসূফ(আঃ) এর চ্যাপ্টারটা, আরেকটা ব্যাপার কুর’আনের সূরা ইউসূফ এর সাথেও ঐটার অনেক বর্ণনা পুরোপুরিই মিলে যায়; খুব সম্ভবত জেনেসিস (আদিপুস্তক) এ আছে উনার ইতিহাস, মানে যেটাকে তৌরাহ হিসেবে ওদের কাছে পাই, ঐটার প্রথম খন্ড।
264596
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:২০
মামুন লিখেছেন : এক নিঃশ্বাসে পড়লাম।
আমি রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম। পাঠ্য হিসেবে এই টপিক আমাকে কত পড়তে হয়েছে। অথচ আজ আপনার লেখাটি যেভাবে পড়লাম, যতটুকু ভালো লাগল- ছাত্রাবস্থায় যদি এরকম আনন্দ এবং মনোযোগ থাকত...

আমার প্রিয় লিষ্টে আপনার এই লেখাটিকে স্থান দিয়েছি। এই ব্লগে এটিই প্রথম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিরন্তর। Rose Rose Rose Rose Good Luck
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
208195
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার জীবনেও এধরনের বহু ঘটনা ঘটেছে। জোড় করে ভাবসম্প্রসারণ মুখস্ত করতাম। মাথায় ঢুকতে চাইত না। এখন একটি ভাবসম্প্রসারণের বহু রূপ লিখতে পারব। কখনও ভাবী যদি সে সময় এই বুদ্ধি ও তথ্য জ্ঞান থাকত তাহলে কতই না ভাল হত।

আসল কথা হল সব কিছু অধ্যয়নের নিচে, পড়ার নিচে। সেই জন্যই তো 'কোরআন' শব্দের অর্থ হল পড়া। কোরআন বহু বচন, মানে অবিরত পড়ার মাঝেই জ্ঞানের আসল মর্ম লুকিয়ে। অনেক ধন্যবাদ।
264649
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৯
ইবনে হাসেম লিখেছেন : মুরগীর ফার্মের মালিকের উদাহরণটা সুপারব হয়েছে। সমাজতন্ত্রকে বুঝতে হলে এই উদাহরণটা অনেকেরই কাজে লাগবে। আমি নিজেও মনে হয় নুতন করে সমজাতন্ত্রের সজ্ঞা আবিষ্কার করেছি। ধন্যবাদ ভাই।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
208462
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আল্লাহ নিজেই মানুষকে বুঝানোর জন্য এসব সাদৃশ্য সৃষ্টি করেছেন।
264662
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৪২
শেখের পোলা লিখেছেন : "একটি মুরগী খামারের মালিকের কাজে ফুটে উঠে! মুরগী খামারী শিশু অবস্থাতেই কিছু মুরগীকে বাছাই করে ডিম দেবার জন্য। এসব মুরগী আজীবন ডিম দেবে কিন্তু ডিমে তা দিয়ে ফুটিয়ে মা হতে পারবে না। কিছু পুরুষ বাচ্চাকে বাছাই করা হয়, নারী মুরগীদের ধর্ষণ করার জন্য। এসব মোরগ পরিণত বয়সে অবিরত ধর্ষণে ব্যস্ত থাকবে, মুরগীর অনিচ্ছার সুযোগ নাই। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যে মোরগ ধর্ষণ কাজে অযোগ্য হবে তার মৃত্যু তত কাছাকাছি সময়ে হবে। কিছু বাচ্চাকে বাছাই করা হবে, গোশতের জন্য, সে গোশতের ভারেই চলতে পারেনা। কিছু বাচ্চাকে ঔষধ খাইয়ে, শরীরের গোশতকে লবণাক্ত বানানো হয়, ফাস্ট ফুডের দোকানের জন্য! এখানে মুরগীর ইচ্ছা অনিচ্ছার কোন গুরুত্ব নাই। খামারী ব্যক্তির ইচ্ছাই হল এখানে মুখ্য বিষয়। "
উদাহরণটা সাংঘাতিক খাপের খাপ হয়েছে৷
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
208463
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ নিজেই মানুষকে বুঝানোর জন্য এসব সাদৃশ্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি কাউকে কিছু বিষয় সহজে অনুধাবন করার সুযোগ দেন। আপনি বুঝেছেন আর অনেকে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন। অনেক ধন্যবাদ।
১০
264674
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৪
আফরা লিখেছেন : অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন সমাজতন্ত্রের । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০০
208464
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন।
১১
264679
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৯
স্বপন২ লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে, ভালই লাগলো। মনে পড়ে গেল সেই দিনের কথা। সব মাএ পড়াশুনা শেষে, Department of Transportation যোগদান করেছি মাএ। আমার উপর দায়িত্ব দিল। ১৫৯ Intersections এর traffic replacement এর supervision করা। Monthly Contractors দের বিল পরিশোধ করা। Site যাওয়ার আগে আমাকে বলে দিল।তুমি যে এলাকায় যাচ্ছ, ওদের অধিকাংশ গে এবং লাজ-ভিয়ান। আশা করি তুমি বিব্রত হবে না। পর দিন চলে গেলাম সাইটে। ৯:০০ থেকে ১০:৩০ AM পিক আওয়ার। Manual on Uniform Traffic Control Devices,ঠিকমত হয়েছে কিনা ঘুরে দেখলাম,দুর্ঘটনা ঘটলে আমার কাঁধে দোষ পরবে। পরে সাইন শেষে contractors লোকরা কাজে লেগে গেল। আমি ছোট একটা স্টোরের সামনে গাড়ী পার্ক করে কফি খাচ্ছি। এমন সময় white lady এসে জিজ্ঞাসা করলো, অনেক দিন ধরে এই inter sections গুলো পড়ে আছে। এবার তোমরা কাজ করছো। অনেক আলাপ হলো। তিনি জানালেন, উনি ইতিহাসের অধ্যাপিকা। এখানের অধিকাংশ সমাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী। ওনার কথা শুনে যাচ্ছি। এক সময়ে বলে ফেললো ,Communism, এবং Capitalism একই গোষ্ঠী থেকে এসেছে। উভয়ের আদর্শ ইহুদী দ্বারা সৃষ্টি।তুমি কিছু মনে করো না, এখানের অধিকাংশ গে এবং লাজ-ভিয়ান (মনে মনে বললাম, আমাকে তো আগেই জানানো হয়েছে)। Das Kapital পড়েছো, চারটা ভলিউম। বললাম দুটো তার মৃত্যুর আগে প্রকাশ পেয়েছে। বাকি দুটো পরে। তাইলো তুমি ঐ বই গুলো পড়ে দেখেছো। Communism এর মৃত্যু ঘটেছে। এ পৃথিবীতে আর থাকবে না কোন দিন ফিরে আসবে না, তুমি কি বল, আমি বললাম,জানি না। আমাকে দাওয়াত দিল তার বাসায় আসার জন্য। ছেলে মেয়েরা, বড় হয়ছে বিভিন্ন ষ্টেটে থাকে। বাসায় বুড়া এবং বুড়ী থাকে। আমার লাঞ্চের সময় হয়ে গেল। আমি অফিসে ফিরে আসলাম। আপনার সমাজতন্ত্র লেখা পড়ে হৃদয়ে ভেসে উঠলো সে দিনের ঘটনা।


১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৬
208467
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হয়ত আমি এখানে সমাজ তন্ত্রের কথা লিখেছি, বস্তুবাদ তথা পূঁজিবাজ তার চেয়েও জঘন্য। বর্তমান দুনিয়ার এত সমস্যার মূলেই হল পূঁজিবাদ। অনেক সমাজতন্ত্রী নেতারাও আজ পূঁজিবাদের আজ্ঞাবহ হয়ে সব নীতি জ্ঞান ভূলে বসেছে। আপনার কথা শতভাগ সত্যি যে, সমাজতন্ত্র আর পূঁজিবাদ দুটোর মূল উৎস কিন্তু ইহুদী। তবে কৌতুহলের ব্যাপার হল মানব সভ্যতায় জাতীয়তাবাদের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে কিন্তু ইহুদীদের আচরণের কারণে। খৃ পূর্ব ৬০০ অব্দে ইরানী বাদশাহ বখতে নাসেরের আমলে! অনেক ধন্যবাদ।
১২
264774
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:৫০
ভিশু লিখেছেন : আপনার এই ধারাবাহিক অত্যন্ত মূল্যবান লেখাগুলো নিয়ে এক/একাধিক বই প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন আশাকরি!
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০৭
208468
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার শু-পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ। জানিনা কোনদিন বই প্রকাশ হবে কিনা। কত লিখাই তো হারিয়ে গেল।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File