এখন আর পড়ার মানুষ নাই!

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৭:২২ দুপুর



দুই দিনের সিদ্ধান্তে গত ৮.৮.২০১৪ তারিখে দুই সপ্তাহের এক ঝটিকা সফরে গ্রামের বাড়ী যাওয়া হয়েছিল। বহু দিন পরে দেশে যাওয়া। আগেও একবার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সবই ঠিক ছিল। হঠাৎ ফটিকছড়ির ভুজপুরে ছাত্রলীগের উপর হামলা হয়ে ২০০ শত গাড়ী সহ অনেক যান বাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সৌভাগ্য হউক আর দুর্ভাগ্য হউক ভুজপুর থানাটি ছিল আমারই থানা আর আমি ভূজপুর স্কুলেরই ছাত্র। ঘটনাস্থল থেকে আমাদের বাড়ী দুই মাইল হইলের দূরত্ব হইলেও, পুলিশ দশ মাইল দূরের বাসিন্দাদের গ্রেফতার করছিল গাড়ী পুড়ানোর মামলায়। প্রবাসী হলে তো কথাই ছিলনা; 'প্রবাসীরা এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ী পৌছিবার বহু পূর্বেই পুলিশ তাহদের বাড়িতে পৌছিয়া যায়'। ফলে আমাকেও বাড়ী যেতে কঠিন ভাবে বারণ করা হয়েছিল, হতেও পারে আমিও হয়ে যেতাম গাড়ী জালানো ব্যক্তিদের অন্যতম আসামী। মাশায়াল্লাহ হাজার হাজার মানুষ জেলে গেলেও, মূল হোতারা এখনও নাকি ধরা পড়েনি!



আমার ছেলেটিও বই পড়ার পাগল, এতদিন বিদেশী বইগুলো পড়েছে। তবে বাংলা সাহিত্যের প্রতিও যাতে আগ্রহ থাকে সেই জন্য আমি তার জীবনের শুরু থেকেই সচেষ্ট ছিলাম। আমার গিন্নী এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ ছিলেন বলে বাংলা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আমার তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি। গ্রামের বাড়ীতে পুরাণ সেলফের মাঝে অনেক অপরিচিত ও পুরানা বই পেয়ে সে একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে একটি পুরানা বই বের করতে গিয়ে দেখা গেল বইটি কিসে যেন আটকে আছে। আমার নজর পড়াতে গিয়ে দেখি, বই গুলো বাহির থেকে সেলফে সাজানো দেখা গেলেও ভিতরে ভিতরে প্রায় বেশী সংখ্যক বই উইপোকা সহ আরেক ধরনের পোকা খেয়ে ফেলেছে। সেলফের একদিক থেকে খাওয়া শুরু করে অন্যদিকে শেষ করেছে।



মনটা খারাপ হয়ে গেল। বহু বছরের পুরানা বই সেলফ গুলোতে সংরক্ষিত আছে। পড়ার মানুষ না থাকাতে বিগত বিশ বছরে কেউ ধরে দেখেনি! এখন যোগাযোগ মাধ্যম ভাল হয়েছে, যুগ বদলিয়েছে কিন্তু পাঠক কমেছে আরো মারাত্মক ভাবে। পুরো বাড়িতে ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো বাড়ছে কিন্তু এ ধরনের দুর্লভ বই পড়ার প্রতি কারো কোন আগ্রহ নাই! তাই বই পোকা তথা উই পোকা ও গুণ পোকারা এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে। বর্তমানে ছেলেমেয়েরা শুধু স্কুলের বইও কম পড়ে, তারা পড়ে পরীক্ষা পাশের গাইড বই, টিভি দেখে আর ফ্যাসবুকে মত্ত হয়। পরীক্ষার শেষে দলে দলে এ প্লাস পায় আর নামকরা স্কুল-কলেজে ভর্তি হতে বাপের টাকা খরচ করে। বাহ্যিক কোন বিদ্যা নাই, কোন মেধা নাই, প্রতিভার কোন বিকাশ নাই। 'গ্রন্থ গত বিদ্যা আর পর হস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন'। আগে এটির অর্থ বুঝতাম এখন প্যাকটিক্যালি বুঝি।



আগামী কালই শহরে চলে যেতে হবে। তাই রাত্রেই বসে গেলাম বই বাছাইয়ে। চারিদিকে বন্যার থৈ থৈ করছিল! ঘরের পিছনেই সীমানা প্রাচীরে পানির ঢেউ ধাক্কা মারছিল। সেই পানিতে ঘুণে ধরা তিন বস্তা বই ফেললাম! প্রতিটি বই দেখছি আর কলিজায় টান পড়ছে, প্রতিটি বইয়ে আমার একটি করে কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আরো যত বই টান দেই, দেখি ভিতরে ভিতরে ফাঁপা। অসহ্য বেদনা মনে চাপা দিয়ে বই দেখা বন্ধ করলাম। বুঝতে পারলাম বই যত দেখব, পানিতে ফেলার বস্তার সংখ্যাও বাড়তে থাকবে।

খবর নিয়ে দেখলাম এলাকায় বিগত বিশ বছরে প্রচুর শিক্ষিত মানুষ বেড়েছে কিন্তু প্রতিভাবান মানুষ সৃষ্টি হয়নি। গ্রামে গ্রামে ডিশ সংস্কৃতিতে সয়লাব হয়েছে, তার মাঝে যোগ হয়েছে ফ্যাস বুক। ফলে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, প্রভাষক সহ গুরুত্বপূর্ণ কোন পদেই এলাকার ছাত্ররা তেমন একটা ভাল করেনি। সবাই তাদের ব্যর্থতা গুলো স্কুল-কলেজের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে! অথচ আমার সমবয়সী আমারই গ্রামের স্কুলের বহু ছাত্র বর্তমানে সরকারী স্কুল, সরকারী কলেজ সহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করে যাচ্ছেন। এসব ছাত্র তখনই তৈরি হয়েছিল, যখন আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি, রাস্তা পাকা হয়নি। স্কুল ছিল মাটির তৈরি দালানে এবং একজন শিক্ষক ব্যতীত কারো 'বিএড' ডিগ্রী ছিলনা। প্রায় সবার পিতা-মাতাই ছিল অশিক্ষিত, আয়ের একমাত্র পথ ছিল কৃষি।





বর্তমানে প্রায় ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতা শিক্ষিত কিন্তু মেধা-মননশীলতায় তারা মূর্খ অভিভাবক! তারা না পিতা হিসেবে কিছু করতে পেরেছে না একজন সৃষ্টিশীল সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছে! তাদের সকল সন্তানগুলো একটি চাকরীর আশায় লেখাপড়া করছে, আর একজন উৎকৃষ্ট চাকর হবার মনোবৃত্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত লড়ছে!



বিষয়: বিবিধ

৩৬৩৯ বার পঠিত, ৯১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260775
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৪
204598
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
260780
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৪
হতভাগা লিখেছেন : সব কিছুই এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে । কবে আপনজনকে চিঠি লিখেছিলেন মনে আছে ?
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৬
204599
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সব ডিজিটাল হয়েছে তাই বলে চিন্তায়ও ডিজিটাল হতে হবে। ঘরে শো-কেস গুলোতে পুতুলের হাত-ঠ্যাঙ্গ, ব্যাঙ রেখে শোভা বর্ধন করা হয়। কিন্তু একটি বই রেখে সুরুচির পরিচয় দিতে চায়না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
260799
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫০
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভাই এগুলোর এখন পিডিএফ পাওয়া যায় মনেহয়। তবে আপনার অজান্তে আপনার সংগ্রহ দারুন হয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
204601
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : না ভাই এসব বইয়ের সবগুলোর পিডিএফ নাই। অনেক বই প্রকাশনীর কাছেও নাই। যে বই গুলো ৩০ থেকে ৫০ বছর আগের সে গুলো কিভাবে সংগ্রহ করা যাবে। অনেক ধন্যবাদ।
260800
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৩
আফরা লিখেছেন : আসলেই ভাইয়া সব কিছুই এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে । কাউকে একটা বই কিনতে বল্লে বলে নেটে সব পাওয়া যায় আবার একটা বই যদি আমি গিফ্ট করি তখন ও খুশী হয় না ভাইয়া ।

অনেক ভাল লাগল ধন্যবাদ ভাইয়া ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
204602
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ভাইয়া, নেটে বই দেখা যায়, পড়া হয় না। আমি বহু চেষ্টা করেও অনেক গুরুত্বপূর্ন বই পুরাটা পড়তে ব্যর্থ হয়েছি। এটাতে মেধা কমে যায়। অনেক ধন্যবাদ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৩৮
204750
আবু জান্নাত লিখেছেন : নেট থেকে অনেক (পিডিএফ) বই ও কিতাব ডাউনলোড করেছি, শুধুমাত্র একটি বইয়ের ১৪/১৫ পৃষ্ঠা পড়ার সুযোগ হয়েছিল, বাকি সব এখনো সেভ ফোল্ডারে জমা রয়েছে। ভবিস্যতে পড়া হবে কিনা জানি না। তবে না পড়ার আসঙ্খাই বেশী, কারণ পিডিএফ বই পড়তে হলে কম্পিউটার ওপেন করতে হয়, ব্যাস অনলাইন জগতে প্রবেশ করলে কি আর বই পড়ার মন মানসিকতা থাকে? আসলেই পৃথিবী যত ডিজিটাল হচ্ছে, মানুষ তত মেধাশূণ্য হচ্ছে।
260807
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২১
ফেরারী মন লিখেছেন : এখন সেলফিতে ব্যস্ত আছি। কি যেন হিবিজিবি লিখেছেন পড়ে পড়মুনে সময় পাইলে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
204617
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সেই টাই তো কইছিলাম, পড়ার মানুষ নাই কারন সবাই ব্যস্ত আছে। ধন্যবাদ।
260812
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আপনাদের পড়ুয়া পরিবারের সবার পড়ার আগ্রহের কথা জেনে খুব ভালো লাগলো! আরো ভালো লাগোলো আপনার দুর্লভ বইয়ের সংগ্রহ দেখে! আমিও বই পড়তে খুব পছন্দ করি এবনহ নিয়মিত বই কেনার চেস্টা করি!

বইগুলোর করুন অবস্থা দেখে খারাপ লাগছে! শুকরিয়া আপনাকে! শুভকামনা রইলো পরিবারের সবার প্রতি! Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck

(ফটিকছড়ির আজাদিবাজার আমার শ্বশুরবাড়ি)
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
204625
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : নিজের উপজেলার মানুষ হিসেবে আপনাকে অভিনন্দন। এখনও বই কেনার অভ্যাস বদলাতে পারিনি। এই বারও প্রচুর বই কিনে ফিরে এসেছি।

আমাদের একজন ব্লগার আছেন, তিনিও খুব বই পড়তেন। আমি তাকে ক্লাস সিক্সে দেখেছিলাম কিভাবে বইয়ে পর বই গিলে যাচ্ছে। সম্মানিত সেই ব্লগারের নাম 'রিদওয়ান কবির সবুজ'। তিনি এই ব্লগেও লিখে থাকেন।

আসলে বই মানুষের একাকিত্ব দূর করে, মেধাবী করে এবং দূরদর্শীতা শিক্ষা দেয়। সে জন্য আল্লাহর প্রথম কথাটিই ছিল পড়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আপনি কোথায় অবস্থান করছেন?
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
204634
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : ইতালিতে!
260817
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫১
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : বিটিশের কেরানি বানানোর শিক্ষানিতি এখোনো সফল ভাবে কাজ করছে।

ঠিক বলেছেন "একটি চাকরীর আশায় লেখাপড়া করছে, আর একজন উৎকৃষ্ট চাকর হবার মনোবৃত্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত লড়ছে!" ধন্যবাদ
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
204626
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ আপনাকে অবিরত কল্যান দানে বাধিত করুন। আমীন।
260819
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
তহুরা লিখেছেন :
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
204643
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
260846
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
বুড়া মিয়া লিখেছেন : সুন্দর লিখেছেন, অনেক ভালো লাগলো
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
204932
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০
260902
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো লিখাটি।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
204933
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১১
260910
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বই পড়া কে এখন অনেকে মনে করেন পুড়ান আমলের অভ্যাস!!! তাদের ধারনা ফেসবুক কিংবা টেলিভিশন ইন্টারনেট থেকই সব জ্ঞান লাভ হয়। কিন্তু একটু পরিক্ষা করলেই বুঝা যায় তাদের অনেকেই বেসিক বিষয়গুলিও জানেনা। অনেকে বই এর সফটকপি খুজেন। কিন্তু বই এভাবে পড়া যায়না ভালভাবে। মাইক্রোসফট এর মত কোম্পানিও এখন তাদের বিভিন্ন ম্যানুয়াল পিডিএফ বা সফট কপির সাথে প্রিন্ট কপি ও প্রকাশ করে। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মানুষ প্রযুক্তির নামে বইকে ঠেলে দিয়েছে জিবনের বাইরে।
দেশে আসলেন কিন্তু কোন খবর পেলাম না!!!
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
204934
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সত্য ও সঠিক মন্তব্য। আপনার উবলব্দি অনেকে বুঝবে না, কারন আপনার মত পাঠক এই ব্লগে আরেক জন আছে কিনা জানিনা। হয়ত আছে যাকে আমি চিনিনা, তবে নির্ঘাত সে সংখ্যা অবশ্যই কম হবে।

আপনার সাথে দেখা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল, পারিনি। আজকে বিকালে আলাদা একটি পোষ্টে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরব। দাওয়াত রইল।
১২
260922
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪০
আবু জান্নাত লিখেছেন : হাতে বই থাকলে পড়ার আগ্রহ হয়, কম্পিউটার ওপেন করে বই পড়া হয় না। নেটে ঘুরতে ঘুরতে সময় যায়। আপনার বই প্রেম দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
204935
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সঠিক উপলব্ধি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩
260948
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:১১
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ডিজিটাল যুগেও নেটে বই পড়ার চেয়ে আমার এখনও হাতে বই নিয়ে পড়তে ভাল লাগে। আপনি অনেক বই পড়েন আপনার প্রতিটা লেখা পড়লে বুঝা যায়। ভাল লাগল আপনার দুর্লভ সংগ্রহ দেখে Good Luck Good Luck
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪১
204936
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৪
260960
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। সত্যিই বলেছেন বর্তমানে বই পড়ার অভ্যাস অনেকটা কমে গেছে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪১
204937
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৫
260961
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২৪
শেখের পোলা লিখেছেন : অত্যন্ত সঠিক কথাটিই আক্ষেপের ভাষায় বলেছেন৷ শিক্ষার হার হয়তবা শতকরা ছাড়িয়ে গেছে কিন্তু শিক্ষিতের হার অনেক কমেগেছে৷
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪২
204938
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আসলেই দেশে শিক্ষিত মানুষ কমে গেছে। শিক্ষার হার বেড়ে অহংকারী আর গোয়াতুর্মী মার্কা একটি সমাজ গঠিত হয়েছে মাত্র।
১৬
261042
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১৬
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
204939
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৭
261123
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : একটি চমৎকার লিখা দেখলাম। এর মধ্যে বাংলাদেশে বই এর বাজার নিয়েও কথা আছে
https://www.facebook.com/kbsarwarBD/posts/10203774787029068:0
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
204959
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : লেখাটি এক নিঃস্বাসে পড়েছি, পুরো লেখার সাতে একমত না হবার উপায় ছিল না। কিভাবে কথা এসে যায়। ১৯৮৪ সালে হুমায়ুন আহমদের লিখা অমানুষ বইটি আমার সেলফে সংগ্রহ করতে গিয়েই উই পোকার হদিস পাই। রহস্য পত্রিকার দুই সংখ্যায় সেটা প্রকাশিত হয়েছিল। সেবারই প্রথম হুমায়ুনের নাম জানতে পারি। লেখাটি পড়ে আমি আবিভূত হয়েছিলাম। পরে যখন দেখলাম হুমায়ুন সেটি নকল করেছেন, বড় মনোক্ষুন্ন হলাম। আরো পরে যখন দেখলাম হুমায়ুন শুরুতে কারো বই নকল করলেও নতুন কিছু লেখার বেলায়ও তার সমকক্ষ কেউ নাই। শ্রদ্ধা লাগত, তাঁর বই পড়েছি।

১৯৮৪ সালে হুমায়ুনের লেখা প্রথম খন্ডটি উইপোকায় খেয়েছে। দ্বিতীয় খন্ডটির কভার পেজ অক্ষত পেয়েছিলাম। আমি ফটো তুলেছিলাম, কিন্তু আইপ্যাড ও মোবাইল তন্ন তন্ন করে খুজলাম ফটোটি কোথায় গায়েব হয়ে গেল! কেননা এই পোষ্টটিতে আমি হুমায়ুন আহমদের অমানুষ নামের গল্পের সেই পেজটিকে প্রচ্ছদ বানাবো ভেবেছিলাম! সন্ধানে আছি অবশ্যই পেয়ে যাব। আমার জন্য কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই দিতে পারেন। অনেক ধন্যবাদ।
১৮
261138
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়ার বিকল্প কিছুই নেই। কারো সাথে আলোচনা করে শিখতে গেলে কথায় ভুল ধরা যায়, কথার পেছনে কথা বলে সময় নষ্ট হয়। কিন্তু বই এমন শিক্ষক যে কেবল বলবে, পছন্দ হোক বা না হোক তার কথা শুনতে হবে। যতবারই তাকে জিজ্ঞেস করব একই কথা বলবে কোন পরিবর্তন ছাড়া। ছাত্রজীবনে বই পড়তাম প্রচুর। যেখানেই যেতাম বই থাকত সাথে। এখন আগের মত হয়না। চেষ্টা করব নতুন করে ইনশা আল্লাহ। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০২
204972
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মানুষের জীবনে প্রথমে জ্ঞানের শুরু হয় শোনার মাধ্যম অতঃপর দেখা বা পড়ার মাধ্যমে। যে যত বেশী পড়বে সে তত বেশী বিজ্ঞ হবে, অধ্যাবসায়ী হবে। তাই পড়ার সাথে কোন কিছুর সমান পাওয়া যাবে না।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনার ইচ্ছা ও অভিলাষকে মঞ্জুর করুক।
১৯
261147
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০৩
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১৮
204974
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪২
205448
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : টিপু ভাই দেশে কখন আইলেন? যোগাযোগ কিংবা দেখা স্বাক্ষাতের কুনো ব্যবস্থা তো অইলো না! অহনো কি দেশে আছেন? নাকি চইল্ল্যা গেলেন? দেশে থাইকলে বেড়াইতে আয়ুন। আন্নেরে রঙ চা দিয়ে পানি ভাতের দাওয়াত দিলুম!
২০
261233
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৯
আবু আশফাক লিখেছেন : আপনার সংগৃহিত বইগুলো পোকায় খেলেও বইয়ের কভারগুলোর সাথে সাথে হয় কিছু লেখাপূর্ণ পাতাও রয়ে গেছে। কিন্তু আমার সংগৃহিত বইগুলো যমুনার করালগ্রাসে হারিয়ে গেছে। ১৯৯৮ সালে নদী ভাঙ্গনে বাড়ী বিলীন হওয়ার সময় আমার প্রায় ৫ শতাধিক বই ভাসিয়ে দেয় আমার ভাইয়েরা। কারণ বহু মূল্যবান সম্পদ ধরে রাখার মতো পরিস্থিতিও ছিল না। আর বই(!) সেতো ১টাকা কেজি!!
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
205115
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আহা! বড় ব্যথা পেলাম মনে।

বই নষ্ট হয়েছে শুনলে আমার কেমন জানি লাগে! কেননা আমি জানি বই সংগ্রহ কত কষ্টের। কত ইচ্ছা শক্তি থাকলে বাড়ীতে একটি পাঠাগার বানানো যায় তাও আবার গ্রামে। একজন ছাত্র তার সামান্য জমানো টাকা গুলোকে এই কাজে ব্যয় করে। এক বই প্রেমিকের অনেক স্বপ্ন থাকে, তারমধ্যে অন্যতম হল তার অধঃস্থন বংশের মানুষেরা এসব বই পড়বে, শিখবে এবং মানুষ হবে।

আপনার সংবাদে আমি বড়উ দুঃখিত।
২১
261260
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
এনামুল হক এনাম লিখেছেন : সুন্দর লেখা, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪২
205449
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২২
261272
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : বই পড়ার যে সময় - সেটা বর্তমানে নেই। সেই জায়গা দখল করেছে - ফেবু- ডিস।
আমি প্রায় ৩৯ দিন ছিলাম দেশে।
আমার ঘরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিনজন আছেন। কিন্তু তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত লাইব্রেরী বলতে কিছুই নেই।
সেই আমার ২২ বছর আগের কিছু বই যা আছে কালের সাক্ষি হয়ে।
সময় নেই। এর জন্য আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাও দায়ী।
আপনাকে মোবারকবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
205451
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এই পরিস্থিতির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ও সমাজ ব্যবস্থা দুটোই দায়ী। বইয়ের কথা বাদই দিলাম, স্কুলের মাঠ খাঁ খাঁ পড়ে আছে, কোন খেলোয়ার নাই। এসব খেলোয়ার এখন মোবাইল আই প্যাডের কল্যানে মগজের মধ্যেই খেলে চলেছে। অনেক ধন্যবাদ।
২৩
261275
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
জুমানা লিখেছেন : বই পড়া দূড়ে থাক...এখন বই ঘরে রাখাও সেকেলে মনে করে অনেকে। আপনার বইয়ের অবস্থা দেখে খুব খারাফ লাগল। অাপনাকে ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
205452
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৪
261281
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : Congratulations vaiya for sticky post. Jajakallah.
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫১
205456
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : Hope you are doing well. Keep continue to writing regularly. Many Thanks.
২৫
261322
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:০৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আমার যতসামান্য যা আছে তা প্রতিবারই বাসাবদলের সময় ছেলেমেয়ে ও তাদের মাযের জন্য কষ্ট ও বিড়ম্বনার কারণ হয় Whew!

কিন্তু ওগুলোর সাথে কারোই তেমন একটা সুসম্পর্ক তৈরী হলোনা আজো .। Crying
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
205457
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এটি সবার জন্য সমস্যা। আমার আম্মা অশিক্ষিত ছিলেন। তারপরও আমার আগ্রহ থাকায় তিনি আমার প্রাইমারাী স্কুল জীবন থেকে কলেজ জীবনের অনেক বই ও হাতে লিখিত খাতা পর্যন্ত সংরক্ষণ করেছিলেন! তিনি জানতেন এটা আমি পছন্দ করি এবং এসব পড়েই তাঁর ছেলে শিক্ষিত হচ্ছে। তবে মা বলে হয়ত এটা সম্ভব হয়েছিল। অন্যদের তো বিড়ম্বনা হবেই। অনেক ধন্যবাদ।
২৬
261398
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩২
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার বর্ণনা সাবলিল এবং যা বলেছেন সত্য বলেছেন। মেধা শুন হচ্ছি আমরা। মিডিয়া,প্রযুক্তি থেকে উপকৃত হওয়ার বদলে ক্ষতির শিকার হচ্ছি। বই হাতে নিয়ে পড়ার মত মজা আর নেই
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
205458
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর ও বস্তুনিষ্ট মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২৭
261445
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০১:১০
নোমান২৯ লিখেছেন : awesome and extra ordinary say . Good Luck Good Luck Rose Rose
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
205459
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : Many Thanks and be Happy.
২৮
261504
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:৪০
তায়িফ লিখেছেন : দেশে থাকতে সব সময় বই সাথে রাখতাম । বইয়ের এক এএটা পাতা শেষ হত আর মনটা খস খস করত। কিন্তু এখন বইয়ের তেমন দরকার হয় না। তাছাড়া কার্ড দিয়েই সব কাজ সেরে ফেলা হয়। চেক বই অনেক মিস করি।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০১
205460
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমি গাড়িতে বই পড়তাম বেশী। চট্টগ্রাম ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট যাত্রায় বহু বই পড়া হয়ে যেত। আমাদের খামার বাড়ীতে বই পড়তাম, তবে সেখানে পড়তাম বেশী পুথি ও বাজারের কবিতা। কেননা এসব অনেকে পছন্দ করতেন কম।

আপনি ঠিকই বলেছেন এখন ব্যাংকের চেক বইয়ের ব্যবহারও কমে গেছে। এবার একটি সুন্দর ঘটনা ঘটেছিল, ইসলামী ব্যাংকের আমার একাউন্টে ১৯৮৩ সালের একটি চেক বই ছিল। এবার যখন টাকা তুলতে যাই, অফিসারেরা সেই চেক চিনতে দেরী করছিলেন। প্রশ্ন করলাম দেখুন এই ধরনের চেক আপনাদের আর্কাইভে আছে কিনা? তিনি বললেন এই ব্যাংকে বহু বছরের চাকুরীর পরে আজই তিনি এই ধরনের একটি পুরানা চেক দেখলেন!!
২৯
261528
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৭
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : বাড়ি ফটিকছড়ি তা নাহয় বুঝলাম, তাই বলে ভুজপুরেই হতে হবে !!! এ ভুজপুরের নাম শুনলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের বুক কেপে উঠার কথা । যাকগে সেসব -
ছোট ভাই-বোন-ভাইপো-ভাতিজি-ভাগিনা-ভাগিনি সবাই যখন আইপ্যাড, ট্যাবলেট গিফট হিসেবে আশা করে তখনতো আপনার দূর্লভ সংগ্রহ উইপোকার পেটেই যাবে !
আপনিও কম কিপটে নন ! গত বিশ বছরে কি এই একবারই বাড়িতে গেছেন ! বইগুলো সফ্ট কপি করে সংগ্রহে রেখে দিতে পারতেন আর আমাদের মত যারা বই পড়তে কম আগ্রহী তাদেরকে দেখাতে পারতেন । আপনার সংগ্রহ উইপোকার খাবার হওয়াতে কষ্ট পেলাম ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:১১
205461
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ভাই আমি তো আর আমার জন্মস্থান পরিবর্তন করতে পারি না। ভুজপুর নামটি ঐতিহাসিক, ভারতের একটি বড় অঞ্চলের নাম ভুজপুর। ভুজপুর হিন্দু অধ্যূষিত এলাকা। এখানে একটি শ্মশান কালী মঠ আছে। যেখানে সতী দাহ প্রথার কারণে হিন্দু বধুদের স্বামীর সাথে জীবন্ত পোড়ানো হত। তাই হিন্দুদের কাছে এটি বহু সম্মানিত একটি স্থান। পূজা পার্বনে ভারত থেকেও অনেক পূর্নাথী এখানে আসে। এখানে একটি প্রাচীন জমিদার বাড়ী আছে, যার উপরে বড় বড় বট গাছের জন্ম হয়েছে।

গতবারের মারামারির কারণে ভুজপুর পরিচিতিতে আসে। হালদার অববাহিকায় এই অঞ্চলটি খুবই সুন্দর এবং সব জাতের ফসল হয় এখানে।

বইয়ের সপ্ট কপি তৈরী করতে পাঁচ বছর আগেও বর্তমানের মত সুুবিধা ছিলনা। একটি মেশিনের দরকার হবে এবং শত শত বই খুলতে হবে এবং সে হিসেবে গোছাতে হবে। ব্যাপারটি বেশ সময় সাপেক্ষ যা দেওয়া আমার জন্য সম্ভব ছিলনা। তাছাড়া অনুমতি অন্যের বই এভাবে কপি করে প্রচার করা নিষেধ।

সরকারী বিধিমালায় কোন বই প্রকাশ হবার পর পঁচিশ বছর পার হলে, যে কেউ তা বাজার জাত করতে পারে। তখন মালিক কিংবা প্রকাশনী মামলা করার অধিকার হারাবেন। অনেক ধন্যবাদ।
৩০
261543
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : ফটিকছড়ির ভুজপুরে জামাত শিবির পশুদের তান্ডব আবার মনে পরে গেল। এ সভ্য যুগেও জামাত শিবির ৭ শতকের বানু কুরাইজা ম্যাসাকার ঘটতে পারে চিন্তা করা যায় না। বিষয়টি স্মরন করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এবার পোষ্টের মূলপ্রসঙ্গে আসা যাক।

পুরানো বই নিয় পুরানো সেই স্মৃতির কথা সম্মৃদ্ধ লেখা প্রান ছুয়ে গেল। স্মৃতিবিজরিত উপাদান নষ্ট হয়ে যাওয়ার দুঃখ আমি বুঝি। আমার সংগ্রেহে থাকা প্রয়াত বাবা'র শখের বই, এলপি রেকড, ক্যাসেট স্পুল............ গেল বার দেশে যেয়ে দেখলাম অযন্ত অবহেলার অনেক গুলৈ নষ্ট হয়ে গেছে। এবার অবশ্য বুদ্ধি করে বনানী বাজার থেকে থাইল্যান্ড এ্যালুমিনিয়াম এবং স্লাইডিং গ্লাসের বড় বড় দুটি বুকসেল্ফ কিনে কর্পুর ন্যাপাথলিন পাউডার দিয়ে বই গুলো সংরক্ষন করে এসেছে।

আপনার নতুন-পুরাতন জেনারেশন নিয়ে লেখা ভাল লেগেছে। সত্যি কথা বলতে কি জানেন? পুরাতনের জায়গা নতুন দখল করে নিবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এটাই বাস্তবতা। তবে সুখের কথা আমাদের নতুনদের মাঝেও বিদ্যা, মেধা, সৃজনশীলতার কমতি নেই। আমার বাবার সময়ের চেয়ে আমরা প্রযুক্তি বিজ্ঞানে অগ্রগামি ছিলাম। আর আমাদের সময়ের চেয়ে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম আরো বেশি অগ্রগামি হবে এটাই সাভাবিক। তবে খারাপ, ব্লাকশিপ সবযুগেই ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আপনি লিখেছেন- ঘরের পিছনেই সীমানা প্রাচীরে পানির ঢেউ ধাক্কা মারছিল। সেই পানিতে ঘুণে ধরা তিন বস্তা বই ফেললাম!

এটি কিন্তু অনুচিত। শিক্ষত মানুষ হয়ে পরিবেশ দুষন ঘটালেন। আমি জানি না, ইসলাম ধর্ম পরিবেশ দুষন উৎসাহিত করে কিনা। আমি হলে ঐ বই গুলো রিসাইকেল করার ব্যাবস্থা করতাম। এটলিষ্ট জানালা দিয়ে পানিতে ছুড়ে ফেলে দিতাম না। ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
205466
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রথমে ভুজপুরের কথায় আসি:
আপনি যদি ভুজপুর কিংবা ফটিকছড়ির বিজ্ঞ আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রশ্ন করেন, কিংবা যদি তখনকার ইউ,এন,ও শিক্ষা অফিকার কাউকে প্রশ্ন করেন যে, এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছিল? তারা চিন্তা করা ছাড়াই বলে দিবে এই ঘটনা আওয়ামীলীগে সোনা রফিক গ্রুফ! কেননা সেটাই সেদিন ঘটেছিল।

তাদেরকে যেখান থেকে হামলা করা হয়েছিল তার চারিদিকে হিন্দুবাড়ী এবং হিন্দু বাড়ী থেকেই তাদের উপর নির্মম আক্রমণ গুলো ঘটানো হয়। এটি একটি সুপরিকল্পিত ঘটনা যা প্রশাসনের সহায়তায় সূচারুরূপে সংঘটিত হয়। মসজিদের মাইকে আহবান করা, হুজুর মারার ঘটনা বলে এলাকার মানুষকে উত্তেজিত করা, পেয়ারু গ্রুফের শত শত মটর সাইকেল ধারী ব্যক্তিদের এই ধরনের একটি ফাঁদে এনে আটকানো। সব প্রশাসনের ইঙ্গিতে হয়েছিল আর এটার জন্য অর্থ কড়ি ঢেলেছিল সোনা রফিক গ্রুফ। কেননা তারা পথের কাঁটা পেয়ারুকে উৎখাত করতে চেয়েছিল। পেয়ারুকে সরাতে প্রসাসনও সহযোগীতা করেছিল।

ঘটনাক্রমে পেয়ারু সেদিন বেঁচে যায়, স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগীতার কারণে, যিনি নামাজ কালাম পড়ার কারনে জামায়াতের ট্যাগ পড়ে যায়। যদিও ভুজপুরে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা বেশী! এই চেয়ারম্যান হিন্দুদের কাছে অনেক জনপ্রিয়!

পেয়ারু বেঁচে যাওয়াতে প্রসাসন ও রফিক গ্রুপ প্রমাদ গুনে, তারা নতুন নাটক মঞ্চস্থ করে এবং চেয়াম্যানকে মূল ব্যক্তি বানিয়ে জামায়াত ও হেফাজতের উপর চালিয়ে দেয়। বাকিটা সবাই জানে।

এখানে লক্ষ্যণীয় ভুজপুরে জামায়াতের কোন ভিত্তি নেই, কেননা এলাকাটি হিন্দু ও মুসলমানেরা হেফাজতের চিন্তাধরায় বিশ্বাসী। আরো উল্লেখ্য হেফাজতের মাদ্রাসাটি জুনিয়র লেভেল পর্যন্ত ফলে সেখানে কিছু কিশোর তরুন ছাত্র পড়ে, বাকিরা শহরে চলে যায়। পেয়ারুকে দীর্ঘসময় আটকিয়ে রাখার কারণে দূর দুরান্ত থেকে কৌতুহলী ও ভিন্ন ভিন্ন মতের মানুষ সেখানে উপস্থিত হবার সুযোগ পেয়ে যায়।

এই মামলাটি প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে তত্ত্বাবধান করেন, তিনি প্রথমেই ওসিকে সাসপেন্ড করেন, কেননা তিনি ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছিলেন এটা তার সোনার ছেলেদের অদক্ষ হাতের কান্ড। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানতেন পেয়ারুকে ফটিকছড়ি কিংবা চট্টগ্রামের দলীয় কোন পদে রাখা হয় নাই। এটাতে পেয়ারু ক্ষিপ্ত হয়ে, সসস্ত্র মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

যাক, মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয়। মামলার ঘটনাস্থল থেকে বিশ মাইল দূরের মানুষ পর্যন্ত গ্রেফতার হতে থাকেন। শহরে অবস্থান রত কলেজের শিক্ষক, ওমান আমীরাতের প্রবাসীরা পর্যন্ত আসামী হতে থাকে। টাকা দিলে নাম মুছে যায় ইত্যাদি।

ফলে, মামলাটি আর সুষ্টভাবে পরিচালিত হয়নি। ঘটনার হোতারা এখনও চিহ্নিত হয়নি, হবেও না। মাঝখানে পুলিশের কিছু গ্রেফতার বানিজ্য চলেছে।

এটি আমি এলাকার বিভিন্ন মানুষকে প্রশ্ন করে জেনেছি এমন কি আওয়ামীলীগের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি থেকে একাকী জেনেছি। এটা আমার কোন মন্তব্য নয় আমি যা জেনেছি ও শুনেছি তা লিখেছি। যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তাই এটাতে আপনার দ্বিমত পোষণ করার অস্বীকার আছে। অনেক ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
205470
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বন্যার পানিতে বই ফেলে দুষিত করার উত্তর দেওয়া হলনা:

জানিনা আপনি কোথায় এবং কোন দেশে অবস্থান করছেন। বন্যার পানি কি স্বচ্ছ ও নির্মল থাকে? কলিকাতার ভবানীপুরে একদা বন্যার পানিতে রাস্তায় নামার সাহস করিনি। মানুষের মল আর লাদা সহ পানিতে একাকার হয়েছিল! আমাদের দেশ অনেক ভাল বলছিনা, তবে সেই ধরনের পরিস্থিতিতে এখনও পড়িনি জানিনা ভবিষ্যতে কি হবে। কলিকাতা পুরানা শহর বলে যে সমস্যাটি সেখানে আগে হয়েছিল এখন সেটা ঢাকা শহরে শুরু হয়েছে। দেশে গিয়ে যখন বসবাস শুরু করব তখন হয়ত এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

তবে আমাদের এলাকায় যে বন্যা হয় তা পাহাড়ী পানির ঢলে কিংবা ভারতের উজানের পানি। এগুলোতে নোংড়ার পরিমান কম থাকে কিন্তু সবই ঘোলাটে ও শতভাগ দুষিত। মুরুব্বীরা ছোটকালে বই পুড়তে নিষেধ করত। তাঁরা পরামর্শ দিত হয় পানিতে ফেলে দাও নতুবা মাটিতে দাফন করো। সেদিন রাত হয়েছিল, ব্যাপক বন্যায় সকল পুকুর, খাল-বিল পানিতে একাকার হয়েছিল। ঘর থেকে বের হবার সুযোগ ছিলনা। বন্যার পানি আর ঘরের উচ্চতা দেড় ফুটের মত ছিল। তাই উপায় ছিলনা; সীমানা প্রাচীরের বাহিরে ফেলতে বাধ্য হয়েছিলাম, তাছাড়া সেটিও আমাদের জায়গা ছিল। আর বইগুলোর যে দশা ছিল তা পানিতে গুলিয়ে যাবার জন্য মাত্র একটি ঘন্টাই যথেষ্ট ছিল।

যেহেতু বন্যার কাহিনী এই পোষ্টে বলা হয়নি, সেহেতু আপনিও আমাকে পাকড়াও করার সুযোগ পেয়েছেন। বন্যার কাহিনী নিয়ে বিব্রতকর ও করুন কাহিনী সমেত একটি পোষ্ট নতুন ভাবে আজই ছাড়ব। আবারো ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৬
205721
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : শুধু আপনি না, মিথ্যায় ভর করে আছেন বলেই আজকের পৃথিবীতে ইসলামপন্থীদের এই করুন দশা। বাংলাদেশের ২৫টি মিডিয়ার কল্যানে মানুষ লাইভ দেখেছে ঐদিন ভুজপুরে জামাত শিবির কি তান্ডব করেছে। শুধু তাই না, জামাতের বাবার বাবা সাদেক হোসেন খোকা সারা বাংলাদেশে ফটিকছড়ির তান্ডব ঘরটানোর প্রকাশ্য হুমকী দিয়েছেন। আর এখন আপনি শোনাচ্ছেন ভৌতিক কাহিনী। ভুতের মুখে রাম রাম।
আপনারা এই একই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছিলেন ৬ই মে শাপলা চত্তর নিয়ে। আল্লার দেয়া মুখদিয়ে বলে দিলেন ঐ রাতে নাকি ৩০ হাজার মৌলবাদী মারা গেছে। পৌরসভার ময়লার গাড়ীতে লাশ সরানো হয়েছে। এরপর মৃতের তালিকায় ৩০ জনও খুঁজে পাওয়া গেল না। সত্য চাপা থাকে নি।

এসব নিয়ে আর কোন কথা চলে না। ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৩০
205752
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : দেখুন বই পানিতে ফেলে দেয়ার বিষয়টি খুব ছোট, লজ্জাস্করও বটে। একটি ভুল মেনে নিয়ে ভবিষ্যতে ঐ ভুল না করার প্রতিজ্ঞ্যা করলেই ধন্য দেশের ধন্য মানুষ হওয়া যায়। কিন্তু কজনে তা বুঝে?

আসলে কি জানেন? আমরা অন্যকে ভুলের লেকচার দিতে জানি, কিন্তু নিজের ভুল স্বীকার করতে জানি না। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে অপকটে স্বীকার করার মাঝে কোন লজ্জা নেই।

নানা'র মুখে শুনেছি- এক সময় ঢাকার প্রমত্যা বুড়ীগঙ্গা নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পরত। কিন্তু আজ? ইলিশ তো দুরের কথা, বুড়িগঙ্গার পাড়ে নিঃশ্বাস নেয়া দায়।

তো, নদীর এই দুষন একদিনে হয় নি। এই এলাকার নজরুল ইসলাম টিপু'রা মনে করতেন বুড়িগঙ্গার থইথই উজানের পানিতে দুই এক বস্তা বই ফেল্লে কি হবে, এমনিতেই পানিতে গলেপঁচে বিলিন হয়ে যাবে।
কিন্তু ভায়া, কথায় আছে- "দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, সুধিতে হইবে ঋণ", একদিন ফটিকছড়ির মানুষ আপনার ঋন সুধিবে। তখন হয়তো আমারা কেউই থাকব না এই পৃথীবিতে।

ধন্যবাদ।
৩১
261552
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০০
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : Tipu vai..akdom moner kotha bolesen.
Ajkar chele meyeder Boi poranor cesta koreo para jai na.Tv, Mobile, net er karone agulote shohojei attract hoye jasse.
Amar baba amader choto shomoy onek boi kine diten,,je golor onek collection silo amader barite. amra vai bonra barite na thakai vivinno shomoy onek boi porar kotha bole niye giye ar onekei ferot deini.
Babar akta ovvas silo uni akti boi kinle 1st page a amader je kono akjon vai - boner name boi ti utsorgo korten & date like rakten. Jokon ajo kiso boi te deki 70 / 80 doshoker kono date..monta onek age chole jai.
thanks your write up, tipu vai.
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০০
205472
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার বাবার বই সংগ্রহ করিয়ে দেবার আগ্রহ ও কারো নামে উৎসর্গ করে দেবার প্রবণতার কথা শুনে আমার খুবই আনন্দ লাগল। নিশ্চয়ই বাবার সেই দিনের সেই হাতের লেখা গুলো আপনাদের সাথে কথা বলে, স্মৃতিগুলো কাঁদায়। আসলে তখনকার দিনে সকল বাবা-মায়ের লক্ষ্য ছিল আমার ছেলে বড় হবে, শিক্ষিত হবে, জন কল্যানে কাজ করবে এবং মানুষ হবে!

বর্তমানে বেশীর ভাগ বাবা-মায়ের লক্ষ্য থাকে আমার ছেলে সহসা বড় হবে, ব্যরীষ্টার হবে, নেতা হবে, অনেক টাকা কামাবে, শহরে বাড়ী কিনবে, গাড়ী কিনবে এবং আমরা ধনী মানুষ হব। অনেক ধন্যবাদ।
৩২
261561
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
আহমদ মুসা লিখেছেন : গতকালই আপনার এই পোস্টটি এক নজর চোখ বুলিয়েছিলাম। কিন্তু মনোযোগ সহকারে পড়ার সময় হাতে ছিল ন। আজকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিলাম। খুবই আপসোসের বিষয়। যারা বইয়ের মর্যাদা ও গুরুত্ব বুঝে তাদের নিকট বই হারানো এবং নষ্ঠ হয়ে যাওয়া কি যে বেদনাদায়ক তা একমাত্র ভুক্তভোগী এবং বই প্রেমিক মানুষই বুঝে। অন্যদের কাছে এসব পুরানো বই পুস্তুক সের অথবা কেজি মাপে ফেরিওয়ালার নিকট গার্বেজ বিক্রির সমতুল্য। ১৯৮৫ সালের পূর্ব থেকেই বাল্যকালে মাদ্রাসায় এবং পরবর্তীকালে কলেজ জীবনে আমার পত্রিকা পড়া এবং তার সংগ্রহ রাখার একটা অভ্যাস ছিল। ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম শহরে আসার পরেও পূর্বের সংগ্রহ এবং পরবর্তীতে নতুন সংগ্রহ মিলে প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছরে তিল তিল করে জমানো আমার সংগ্রহের বই পুস্তুক এবং পেপার পত্রিকাগুলো সংরক্ষণ করতে পারিনি। ২০০০ সালের পূর্বে ছাত্র জীবনের শেষে চট্টগ্রাম শহরের রহমতগঞ্জে আমার এক কাজিনের বাসায় জমা রেখেছিলাম। কয়েক বছর তার বাসায় যাওয়া হয়নি গাফেলতী এবং সদ্য বেকারত্বে পা রাখার কারণে। অনেক দিন পর তার বাসা থেকে আমার বই পুস্তুকের সংগ্রহ আনতে গেলে বুঝতে পারলাম জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলো আমার হাতছাড়া করে ফেলেছি। দীর্ঘদিন ওদের বাসায় না যাওয়ার কারণে ভাবী সাহেবা মনে করেছিল এসব পুরাতন বই এবং পত্রিকা একদম ফালতু জিনিস। তাই এসবের যত্ন নেওয়ার গুতুত্ব বুঝেন নি। কিছু বই পুস্তুক ফেরিওয়ালার নিকট বিক্রি করেছিল। অবশিষ্ট বই এবং পত্রিকার সংগ্রহ নাকি তাদের বাসায় বণ্যার পানি ডুকার কারণে সব ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে নালায় ফেলে দিয়ে ভাসার বোঝা পরিস্কার করেছে!
এখনো পর্যন্ত আমার মন কাদে সেই সব বই পুস্তক ও কিতাবের জন্য যা আমি ছাত্র জীবনে তিল তিল করে সংগ্রহ করেছিলাম। বিশেষ করে পত্রিকার পুরনো সংখ্যা, মাসিক পত্রিকা, পাক্কিক পত্রিকা পালাবদল ও দৈনিক পত্রিকার সংগ্রহগুলো সব হাওয়াই মিশে গেলো। পাক্ষিক পালাবদল পত্রিকাটির আমার কাছে আট দশ বছরের সব সংখ্যা সংগ্রহ ছিল। কিন্ত আজ এগুলো সব স্বপ্ন হয়ে গেলো।
যে যাই হোক, আপনার এ লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনি বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন। গত রমজান মাসের শেষে আমার প্রিয় লেখকদের একজন ব্লগার প্রবাসী মজুমদার ভাইও দেশে এসেছেন। এতোদিন তিনি স্ব-পরিবারে চট্টগ্রাম শহরেই ছিলেন। ওনার সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ এবং দেখা স্বাক্ষাৎ হয়েছে। সম্ভবত আগামীকাল ৫ই সেপ্টেম্বর তিনি স্ব-পরিবার সৌদিয়া ফেরত যাবেন।
আপনি কখন দেশে আসলেন তা অবশ্য আমাদের জানার সুযোগ হয়নি। যতদিন দেশে থাকবেন ভাল থাকুন, সূস্ত্য থাকুন। আপনার সুস্থ্যতা কামনায় শেষ করছি- ফি আমানিল্লাহ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২০
205476
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার ঘটনাটি আমাকে আহত করল: মনে পড়ে গেল ইমাম গাজ্জালীর বলে যাওয়া একটি করুন ঘটনা:

গাজ্জালী যখন মিশরের আল-আজহার থেকে শিক্ষা জীবন শেষ করে নিজের দেশ পারস্যের গাজালাতে আসছিলেন। তখন তাঁর লিখিত পান্ডুলিপি গুলো কয়েকটি উঠের পিঠে বহন করে আনছিলেন।

পথিমধ্য ডাকাতের দল হানা দিলে, এতগুলো উটের উপর শুধু বই আর বই দেখে মেজাজ তিরিক্ষী হয়ে গেল। তারা বইয়ের মালিক কে গালাগালি করে তুলোধুনো করল এবং সমুদয় বই উট থেকে নামিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে রাত্রে তাপ পোহানোর ব্যবস্থা করল।

ছাত্র গাজ্জালী ডাকাত সর্দারকে বুঝাল এখানে অনেক জ্ঞানের কথা লিখিত আছে যা তার কাছে মুখস্ত নাই, তাই পরবর্তীতে দেখার দরকার হবে। বহু অনুনয় বিনয় করেও তিনি ডাকাত সর্দারের মন গলাতে ব্যর্থ হলেন উপরন্তু টিপ্পনী মেরে বললেন, কত্ত বড় জ্ঞানী মানুষ! কি জ্ঞান আহরণ করেছ!? সব কাগজে আছে কিন্তু হৃদয়ে নেই! সর্দার বলল সে ধরনের কাগজের জ্ঞানের দরকার নেই বরং তুমি সহ কাগজের আগুনে শরীর গরম করতে পার।

ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) পরবর্তী জীবনে সবই মুখস্থ করতেন, ফলে আরো অধিক সংখ্যক বই লিখার সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন! যা থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি।

অপরদিকে বই লিখে তা সংরক্ষণ করার সুযোগ ছিল বলে, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়তি (রহঃ) ১২ শতাধিক বই লিখে দুনিয়া জোড়া খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বয়স ও সময়ের অভাবের কারণে, উক্ত ১২ শতাধিক বই থেকে সাড়ে চার শত বইয়ের উপর রিভিশন দিতে পারেনি বলে সেই সব বই প্রকাশ না করে জালিয়ে ফেলেছিলেন।

তাহলে বুঝতেই ডিজিটাল যুগ হলেও আমরা কোথায় অবস্থান করছি! আমাদের অনেকেই ১২০ টি বই পড়লে মহাজ্ঞানী ভেবে থাকি, দুইশত বইয়ের একিট পাঠাগারও আজ দুর্লভ। আর তদানীন্তন সময়ে একজন লেখকও ১২ শতের উপর বই লিখে নিজেকে অনেক জ্ঞানী মানুষ ভাবতেন না। আশ্চর্য নয় কি?

আপনার ঘটনার সাথে এটির কোন সম্পর্ক নাই, তবে ঘটনায় এই কথাটি মনে পড়ে গেল বলে বই সম্পর্কিত ইতিহাসের সেই করুন কাহিনীটি তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ।
৩৩
261570
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:০০
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কোন জিনিষকে ভালবাসার মানুষ না থাকলে এমনই হয়। বই কত মুল্যবান আর প্রিয় বুঝাতে পারবোনা। ছয় বছর পর বিয়ে করতে এসে দেখলাম এটি একটি নর্দমাতে পরিণত হয়েছে। বই কেনা ছিল দারুণ সখ। আর সে সখের বইকে এমন হতে দেখে খুব খারাপ লেগেছিল।

ধন্যবাদ। আপনার স্মৃতি পড়ে খুব ভাল লাগল।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
205479
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আজকের এই ব্লগে অনেক উদাহরণ রয়েছে। যারা ছোটকালে অনেক বই পড়ত তারা কম-বেশী অনেক লিখতে পারেন এবং অনেকেই খ্যাতিমান লেখক ও বটে। যেমন: আপনি।

যারা কম পড়েছেন তারা দুই লাইন লিখে ফেসবুকে কমেন্ট করতে পারে কিংবা লাইক দিতে পারে। ফেসবুক আর ব্লগের মাধ্যমে বুঝা যায়; কারা কম পড়া মানুষ আর কারা বেশী পড়া মানুষ! অনেক ধন্যবাদ।
৩৪
261590
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : টিপু ভাই দেশে কখন আইলেন? যোগাযোগ কিংবা দেখা স্বাক্ষাতের কুনো ব্যবস্থা তো অইলো না! অহনো কি দেশে আছেন? নাকি চইল্ল্যা গেলেন? দেশে থাইকলে বেড়াইতে আয়ুন। আন্নেরে রঙ চা দিয়ে পানি ভাতের দাওয়াত দিলুম! মুই হযরত টিপু শাহ বাবার খেলাফত হাসিল কইরবার চাই। একটু খবর দিয়েন দেশে থাইকলে।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:০৪
205487
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বড়ই দুর্ভাগ্য যে, সবার সাথে দেখা করার ইচ্ছা ছিল। বাড়ীতে গিয়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে পানি বন্ধি হয়ে পড়ি। ফলে আমার ছুটির প্রায় পুরো সময়টা গচ্ছায় গেল। কারো সাথেই দেখা করা সম্ভব হয়নি।

সেই বিব্রতকর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি রচনা লিখেছি আজই পোষ্ট করব। গত ২২ তারিখে আবারো প্রবাসে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।
৩৫
261609
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
বাকপ্রবাস লিখেছেন : বই এর পোকা ঘুনে ধরা ছবিগুলোতে কষ্ট লাগল, তবে কিছুই করার নাই, সময় বদলেছে, ডিজিটাল হয়ে সবাই অস্থির, বই পড়ার মতো সময় আর স্থিরতা নাই, তাই চিন্তা করার প্রবণতা কমে যাবে স্বাভাবিক, চিন্তা করতে না পারলে ভাল কিছু বের হওয়া কষ্টকর, আমাদের বিনোদনের এত সহজলভ্য আর টেকনলজি আমরা আর সময় পাইনা চিন্তা মুলক কিছু করার, আমাদের চিন্তাটাই যেন মিডিয়া আর টেকনলজি করে দিচ্ছে। আগে সময় করে একটা শিশু বা ছোটরা পড়ত খেলত এখন সেটা আর নেই, হাতে হাতে মোবাইল নেট ইত্যাদি, সময় এর সাথে মানুষের বিনোদন সহ সবকিছুর ধ্যান ধারনা পরিবর্তন হচ্ছে। তাই কিছু কিছু ব্যাপার মেনে নেয়ার বিষয় আছে, আর কিছু কিছু বিষয় আছে চিন্তা করার, আমরা গা ভাসিয়ে দেব সবকিছুতে নাকি আমরা একটা সুস্থ জাতি তৈরী করব, এই চিন্তাটা আমাদের রাষ্ট করেনা, তাই তার প্রভাব গিয়ে পড়ছে ব্যাক্তির উপর
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
205509
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক সুন্দর মন্তব্য করলেন। অবশ্যই আপনার মন্তব্যটি মৌলিক। তারপরও হতাশা না বাড়িয়ে সুস্থ জাতি গড়ে তোলার প্রতি যদি সরকার ও রাষ্ট্র মনোযোগী হয় তাহলে এখনও অনেক কিছুই সম্ভব। ধন্যবাদ।
৩৬
261612
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১১
মামুন লিখেছেন : হ্যা, হুমায়ুন আহমেদের 'অমানুষ' বইটি পড়েছি। তবে এটি তার মৌলিক রচনা নয়। একটি ইংরেজী বই এর ছায়া অবলম্বনে তিনি এটি লিখেছিলেন। মূল বইটির নাম হল-ম্যান অন ফায়ার, লেখকঃ এ,জে, কুইনেল। এই বইয়ের ছায়া অবলম্বনে মাসুদ রানার স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেনও 'অগ্নিপুরুষ' নামের বইটি লিখেছিলেন, যেটিকে আজ পর্যন্ত রানা সিরিজের অন্যতম সুন্দর ও ক্ল্যাসিক বই এর ভিতর ধরা হয়ে থাকে।
আপনার লেখাটি খুব ভালো লেগেছে এবং মনকে কিছুটা বিষাদ্গ্রস্তও করে তুলেছে। ছেলেবেলায় আমার নানাবাড়িতে কাঠের দেয়াল আলমিরাতে এরকম কিছু বই ছিল। এর ভিতরে 'হাসান গঙ্গা বহমনী' ' গুনাই বিবির পালা' 'চাঁদ সওদাগর' এরকম কিছু পুরনো কাহিনীর বই ছিল। সেই সময়েই আমি ওগুলোকে পোকায় খাওয়া পেয়েছিলাম। আর আজতো কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে।
কিমিয়ায়ে সাদাত বইটিও পড়েছি, এখনো সংগ্রহে রয়েছে। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এর অধিকাংশ বইই আমার রয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা রইলো। Rose Rose Good Luck
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
205511
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মনে হচ্ছে আপনার সংগ্রহ ও আমার সংগ্রহ প্রায় কাছাকাছি! আপনার সাহিত্য প্রতিভা দেখে গতকালই মন্তব্য করেছি, উত্তরও পেয়েছি। আনন্দ লাগছে আপনার মত একজন রোমান্টিক ব্লগারকে আমাদের সাথে পেয়ে। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সুখে থাকুন। আমীন।
৩৭
261630
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৯
মামুন লিখেছেন : আপনি ও ভালো থাকুন সবসময় ভাই@ নজরুল ইসলাম টিপু।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্য। Good Luck
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০৪
205523
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আবারো ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৩৮
261639
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১২
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ‌‌অমানুষউপন্যাসটি পড়েছি আমি। আমেরিকার এক বিকৃত রুচির লোকের কাহিনী আছে।

রহস্য পত্রিকা, ঢাকা ডাইজেস্ট আমিও নিয়মিত পড়তাম। ঢাকা ডাইজেস্ট এর একটি সংখ্যায় অধ্যাপক গোলাম আযমের একটি চমৎকার সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়েছিল সম্ভবত ১৯৯১ সালে। সংখ্যাটি হারিয়ে ফেলেছি। অনেক খুঁজেও পরে আর পাই নি।

আপনার বই পড়ার চমৎকার অভ্যাসকে সাধুবাদ ও শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় টিপু ভাই।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২০
205527
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঘটনাক্রমে ঢাকা ডাইজেষ্টের সংখ্যাটি আমার কাছে অক্ষত ও অবিকল অবস্থায় আছে। আপনাকে আল্লাহ অব্যাহত কল্যাণ দানে বাধিত করুন। আপনি ভাল থাকুন, আমিন।
৩৯
261645
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ছোটবেলায় ক্লাসের বই এর চেয়ে গল্পের বই বেশি পড়তাম। ভাল লাগা কোনো গল্প বা বই বারবারও পড়েছি। আমার দুই ক্লাস আগে পড়তেন বড় ভাই। দুই ক্লাস উপরের বাংলাবই, সহপাঠ, সমাজবিজ্ঞান আগেই পড়ে ফেলতাম। আব্দুল্লাহ উপন্যাস যে কতবার পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই। নিয়মিত পড়তাম ফুলকুঁড়ি, ঢাকা ডাইজেস্ট।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:২৭
205529
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার মত আমারও সেই বাতিক ছিল। আমি যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি তখন আমার বড় ভাই ডিগ্রীর ছাত্র। আমার বাবা সকল বই পড়তেন বলে আমিও তার দেখা দেখি পড়তাম। তিনি যখন হয়রান হয়ে যেতেন তখন আমার সাহায্য নিতেন।

ক্লাস ওয়ানে থাকতেই আমি বড়দের বই পড়তে পারতাম। বাবা ব্যাখা বুঝিয়ে দিতেন। বাবা পড়তে পারার যোগ্যতাটা আগে অর্জন করিয়ে দিয়েছিলন।

তবে বই পড়ার অদ্ভুত রোগ দেখেছিলাম সেরা ব্লগার 'রিদওয়ান কবির সবুজে'র কাছে! সে তার দাদার বই গুলো গিলত। সবুজের পিতা সরকারী কলেজের প্রফেসর আমাকে একদা বলেছিলেন, আমি প্রফেসর হয়ে যত বই পড়িনি সে ক্লাস সিক্সে উঠেই তার চেয়ে বেশী বই পড়েছে! সে যেহেতু নিজের প্রশংসা করতে সংযত থাকে তাই আমিই বলে ফেল্লাম কথাটা। অনেক ধন্যবাদ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩০
205531
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : সবুজ ভাই এর মন্তব্য ও পোস্ট থেকেই বুঝা যায় তিনি প্রচুর পড়াশুনা করেন। বিশেষ করে ইতিহাস বিষয়ে উনি অনেক জ্ঞান রাখেন।
৪০
261656
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৯
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এত্ত এত্ত সুন্দর সুন্দর কমেন্ট! Day Dreaming আমি আর কি কমেন্ট করবো? I Don't Want To See I Don't Want To See
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
205537
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সাথে থাকুন সেটাই তো বড় কমেন্টস্। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
৪১
261734
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
ভিশু লিখেছেন : অনেক মূল্যবান কথাগুলো বলেছেন! পড়লাম মন দিয়ে! এখনকার ছেলেমেয়েদের বেড়ে ওঠাটি আসলেই বেশ ভিন্ন প্রকৃতির! অ্যাকাডেমিক চাপ খুব বেশি! তাই মনে হয় এক্সট্রাকারিকুলার পড়াশোনার সময়ই নেই তাদের! তাছাড়া মোবাইল-টিভি-ইন্টারনেটে পড়ে থাকা তো রয়েছেই!
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
206169
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন। আপনার পোষ্টগুলো বরাবরই ভাল হয়ে থাকে। লিখতে থাকুন।
৪২
261758
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : এখন ইন্টারনেটের যুগ তাই মানুষ এখন আর বই পড়েনা।তবে নেটেও যে খুব পড়ে তা নয়।সবাই আছে ফেসবুক নিয়ে ব্যাস্ত।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
206171
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : নেটে পড়ার মাঝে কোন সুখ পাঠ্য নেই। দায়সারা গোছের পড়া হয়, চোখের ক্ষতি হয়, প্রবৃতির সমস্য হয় কেননা নেটে পড়া ব্যতীত আরো বহু কিছু চারদিকে উঁকি দিতে থাকে। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File