রাসুল (সাঃ) মাথায় উকুন তালাশ কারী মহিলা ও ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:১৯:২৩ সন্ধ্যা



এই ব্লগে রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন একজন ব্লগার। ভিন্ন শিরোনামে একই বিষয়ে লিখার কারণে ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষ তার পোষ্ট তুলে নিয়েছিলেন। কোরআন-হাদিসের অর্ধাংশ কিংবা খন্ডিতাংশ উল্লেখ করে, ইসলাম, আল্লাহ ও রাসুল নিয়ে টিপ্পনী মারা, চুটকী কাটা, ঠাট্টা-মশকরা করা এখন তাদের অন্যতম কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় পরিতাপের বিষয় হল, ইসলাম প্রিয় ব্লগারেরা প্রকৃত ইতিহাস না জেনে তাদেরকে আক্রমণাত্মক কথা বলে কিছু মন্তব্য করে আসে। এতে তারা পুলকিত ও আল্হাদিত হয়। ইসলাম বিদ্বেষী এসব ব্লগার নিজেদেরকে চরম জ্ঞানী মনে করে নতুন নতুন তত্ত্ব ও তথ্য নিয়ে হাজির হয়। যারা তথ্য দিয়ে মন্তব্য করে তাদেরকে, হেয়, কটূক্তি কখনও গালি দিয়ে উত্তর দেয়। এ ধরনের একটি পোষ্ট প্রকাশিত হয়েছে 'ওয়াক থু! নবী মোহাম্মদের মাথায় উকুন' শিরোনামে। আমি সেটার যথাযথ উত্তর দিয়েছি কিন্তু তারা তো উত্তরের জন্য পোষ্ট দেয় নাই! তারা পোষ্ট দিয়েছে নবী-রাসুল-আল্লাহ-ইসলামকে নিয়ে কষে গালাগালি করার জন্য।

এটাই ছিল তার আইডি: যা নিতীমালা লঙ্ঘনের কারনে বন্ধ হয়েছিল, যার হেডিং ছিল: মোহাম্মদের ব্যাক্তি জীবন ছিল নোংড়া ...

বর্তমানের হেডিং হল: ওয়াক থু! নবী মোহাম্মদের মাথায় উকুন

যারা প্রকৃত সত্য জানতে আগ্রহী নয়, যাদের মতলব অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করা, তাদের লিখনি কিংবা উপস্থিতির মাধ্যমে ব্লগের পরিশীলতা বৃদ্ধি হবেনা। আমি নিজেও এ সমস্ত ব্লগারকে ব্যান করার পক্ষে ছিলাম না। ব্লগে মন্তব্য করে আমার মতামত বহু জায়গায় দিয়েছি। তারপরও তারা এমন কিছু পোষ্ট দেয়, যার প্রতিক্রিয়ায় কিছু ব্লগার তাদের আক্রমণ করা ছাড়া উপায় দেখে না। আর তারা সেটাই কামনা করে! কারণ উত্তেজিত হলে, উদ্ভট পন্থায় উত্তর দিয়ে মোকাবেলা করতে চাইবে। এটাতে তারা তামাশা করার বেশী সুযোগ পাবে। আল্লাহ বলেছেন, 'তোমরা অন্যদের প্রভুদের গালি দিওনা, কেননা তারা না বুঝে তোমার প্রকৃত প্রভুকে গালি দিয়ে বসবে'। আসলে এসব ব্লগারের কোন প্রভু নাই। হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সবার প্রভু আছে তাই তারা প্রভুর গুরুত্ব বুঝে ও নিজে সংযত হতে চেষ্টা করে। উপরের বর্ণিত এসব মানুষের কোন প্রভু নাই। তাই কারো প্রভুকে গালি দিলে এদের কাছে খারাপ লাগেনা, লাগার কথাও নয়। দুনিয়ার নগদ অর্থ আর খ্যাতিই হল এদের প্রভু। এটাই তাদের চাকুরী, তাই তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। নিয়ন্ত্রণের শিকলে এরা পঙ্গু হয়ে যায় এবং হতোদ্যম আর আশাহত হয়। আশা করি আমার এই কথাটা ভাবা হবে।

সেই বিশ্রী পোষ্টের তথ্যপূর্ণ ঐতিহাসিক মন্তব্য আমি প্রকাশ করলাম, যাতে উৎসাহী মুসলিম ব্লগারেরা তথ্য পেয়ে নিজেদের কলমের ধারকে আরো শানিত করতে পারেন। আল্লাহ আমাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বাড়িয়ে দিন।

আনাস বিন মালিক কর্তৃক বর্ণিত যে, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) প্রায়ই উম্মে হারাম বিনতে মিলাহানের কাছে বেড়াতে যেতেন এবং সে ছিল উবাদা বিনতে আস সামিতের এর স্ত্রী। একদিন নবী তার সাথে দেখা করতে গেলেন এবং তিনি তাকে খাওয়ানোর পর মাথার উকুন বাছতে লাগলেন। আল্লাহর নবী ঘুমিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর হাসিমুখে জেগে উঠলেন......... (বোখারী)

(হাদিসটি একটু লম্বা, আমার আজকের লিখার বিষয়টি উপরোক্ত অংশকে নিয়ে। ইসলাম বিদ্বেষীরা এই হাদিসের খন্ডিত অংশ উল্লেখ করে বাকীটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই উপেক্ষা করে যায়। বাকী অংশ যদি তারা উল্লেখ করে তাহলে তাদের কুমতলব প্রচার করতে গিয়ে উল্টো ইসলামের প্রচার হয়ে যাবে। সেই ভয়ে হাদিসটির অংশ বিশেষ উল্লেখ করে থেমে যায়। পাঠকের যদি সময় থাকে তাহলে বাকী অংশটুকু নিচে তুলে ধরা হয়েছে, সেটা পড়ে নিতে পারবেন। এই হাদিসটি একটি ঐতিহাসিক হাদিস এবং এই হাদিসের দ্বারা রাসুল (সাঃ) এর একটি ভবিষ্যৎ মোজেজা ইতিহাসে বাস্তবায়ন হয়েছে)

রাসুলের (সাঃ) এই হাদিস দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তিরা দুটো অপপ্রচার চালায়। যেভাবে উপরে চালিয়েছে এবং অপপ্রচারে তারা ক্ষান্ত হতে চাচ্ছেন না। সে জন্য আমাদের এই হাদিসের ঐতিহাসিক দিক গুলো জানা অপরিহার্য।

এক: রাসুল (সাঃ) অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকতেন বলে, তাঁর মত মহান ব্যক্তির মাথায়ও উকুন স্থান করেছিল!

দুই: আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সুখের আশায়, কখনও অন্যের স্ত্রী তথা গায়ের মোহাররম মহিলাকে উকুন বাছার উছিলায় নিজের মাথায় আঙ্গুল বুলাতে সুযোগ দিতেন!


তাদের প্রথম ধারনার উত্তর:

-মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল হিসেবে ঘোষিত হবার আগেও পশু-পাখি, পতঙ্গ তাঁর সাথে ভাব জমাত। গাছ ও পাথর তাঁকে সালাম দিত। দিনের মেঘ তাঁকে ছায়া দিত। তাঁর সাথে যারা চলত, তারা অতিমানবীয় ঘটনা দেখতে পেতেন।

- খাদিজা (রাঃ) এর, ৪০ হাজার ভরি স্বর্ণমুদ্রা পরিমাণ সম্পদের পুরোটাই রাসুল (সাঃ) গরীবদের মাঝে দান করেছিলেন। খাদিজা (রাঃ) শেষ জীবনে উপোষ করে দিন কাটালেও অতীতে তাঁর সম্পদ নষ্ট করার খোঁটা দিয়ে রাসুল কে মানসিক আহত করেন নি। কারণ খাদিজা (রাঃ) স্ত্রী হিসেবে তাঁর সাথে থেকে বুঝতেন, তিনি কোন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তাঁর সকল গুণ ও চরিত্রে অতিমানবীয় বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠত এবং এটা মহামানব হবারই লক্ষণ। খাদিজার (রাঃ) কাছে ৪০ হাজার ভরি স্বর্নের চেয়েও জিবীত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রয়োজনীয়তা বেশী ছিল!

- আল্লাহর রাসুল (সাঃ) কে জীবনে কোন দিন কোন প্রাণী কামড় দেয়নি! মা হরিণ ইহুদীর জালে ধরা পড়ার পর নবীজি সেই হরিণীকে ছেড়ে দিলে, সে কৃতজ্ঞতা জানাতে সন্তান সহ ফিরে এসেছিল! হেরা গুহায় বিষাক্ত সাপ নবীকে দেখতে এসে আবু বকর (রাঃ) পা দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হন, সাপ ক্ষিপ্ত হয় উল্টো আবু বকরকে কামড় দিয়েছে। গৃহপালিত প্রাণীরা তাদের মুনিবের বিরুদ্ধে রাসুলের কাছে নালিশ দিত।

- রাসুল (সাঃ) সর্দি-কাশী সহ আবহাওয়া জনিত সাময়িক রোগে কষ্ট পেলেও, প্রাণী সংক্রান্ত ভাইরাস রোগে জীবনে একবারের জন্যও আক্রান্ত হন নাই। এভাবে বলতে গেলে শত শত উদাহরণ আছে।

- আর সেই রাসুলের মাথায় বসে, উকুন রাজত্ব করবে এটা কোন মুসলিম বিশ্বাস করতে পারেনা।

- রাসুলের ফুফুরা নবীজির চুলে আঙ্গুল বোলাতেন! সেটা উকুন তালাশের জন্য নয়; আদর করে। এমনকি তাঁর শরীর থেকে নির্গত ঘাম ফুফু বোতল ভরে রেখে দিতেন! পরবর্তী সময়ে সেগুলো থেকে খুশবো বের হত! একদা এক ব্যক্তি লম্বা চুল রাখার অনুমতি চাইলে, রাসুল বললেন, সর্বদা পরিপাটি করতে না পারলে, রীতিমত আঁচড়িয়ে যত্ন করতে না পারলে যাতে লম্বা চুল না রাখে!

- রাসুলের মাথায় বাস্তবের উকুন থাকার কথাটি সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যা। রাসুল (সাঃ) খুবই স্মার্ট ও সুদর্শন ছিলেন। তিনি যে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতেন সে রাস্তায় অনেকক্ষন পরে কেউ হেঁটে গেলে তাঁহার শরীরের সুগন্ধি পেয়ে সবাই বুঝতে পারতেন, এই রাস্তায় রাসূল (সাঃ) হেঁটে গেছেন।

- তিনি যে মাপের সৌখিন, সৌন্দর্য প্রিয়, পরিপাটি, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন মানুষ ছিলেন, তাঁর মাথায় উকুন থাকা বাস্তবতার নিরিখে সম্ভব নয়। আবার উকুন অপরিচ্ছতার আলামত, আর পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা ইমানের একটি শাখা।

- যে রাসুল মানুষকে ইমান দার বানাতে এত সংগ্রাম করলেন, তিনি কোন অবস্থাতেই অপরিচ্ছন্ন থাকতে পারেন না! বস্তুত তার জীবনে এটা পাওয়া যায় নাই। উকুনের কথা বলে রাসুলের মাথায় হাত দেবার সুযোগ গ্রহন করা হয়েছে, প্রকৃত কোন উকুন বাছাই করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক দুটো কথা:

হযরত উমর (রাঃ) বলেছিলেন, আল্লাহর দেওয়া কিতাব আমাদের জন্য যথেষ্ট। রাসুলের যোগ্য সঙ্গী হিসেবে তাঁর এই কথাটিকে চলার পথের অবলম্বন করতে পারি। হাদিস আমাদের জীবনের জন্য সহায়ক, ইতিহাস জানা থাকলে আরো বেশী সহায়ক হয়। তাই বলে ইসলামিক শিক্ষাটা পরিপূর্ণ হাদিস নির্ভর হওয়া উচিত নয়। আজকের এই ব্যাপারটি কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক ঘটনা বলেই এত কথা লিখতে হচ্ছে। কেননা, কোরআন দাবি করছে: রাসুলের জীবনই আমাদের জন্য আদর্শ।

আর হাদিসের আলোকে রাসুল জীবন থেকে পাচ্ছি তিনি গায়ের মুহাররম (বিয়ে করা যায় এমন মহিলা) মহিলাকে মাথার উকুন বাছাই করতে দিয়েছেন! তাও আবার বোখারী শরীফের হাদিস। দুই বক্তব্যে দেখা গেল রাসুলের চরিত্র কোরআনের মত হল না। সে জন্য ইতিহাসের জ্ঞানের বিকল্প নাই। আমাদের প্রচুর ব্লগার সে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে এবড়ো থেবড়ো মন্তব্য করে এসেছেন। আর কুমতলবি ব্লগারেরা ভিতরে ভিতরে খুবই আনন্দিত ও আল্হাদিত হচ্ছেই! কারণ তারাতো এসব ব্লগারকে উসকিয়ে উত্তেজিত করতেই এটা করেছেন।

দ্বিতীয় ধারনার উত্তর:

মূল ঘটনায় যাবার আগে আসুন জেনে নিই, কে সেই উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাঃ)?

- উম্মে হারাম (রাঃ) ছিলেন মদিনার প্রখ্যাত খাযরাজ গোত্রের নজ্জার বংশের মেয়ে। তিনি ছিলেন একজন খোদা ভীরু, জ্ঞানী এবং পুণ্যবান মহিলা। তাঁর মধ্যে ছিল বিপুল উদারতা, পরার্থপরতা এবং আত্মত্যাগের সহজাত প্রবণতা।

- উম্মে হারাম (রাঃ) ছিলেন সেই আনসার মহিলা যিনি রাসুল (সাঃ) মদিনায় আগমনের পূর্বে শুধু ইসলাম গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হন নাই বরং প্রকাশ্যে নতুন ধর্মের ঘোষণা দিতে দ্বিধাবোধ করেন নাই। এ জন্য আনসার নারীদের মধ্যে উম্মে হারাম (রাঃ) এক অনন্য মর্যাদার অধিকারিণী ছিলেন। তিনি মনে-প্রাণে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন যে তিনি যেন ইসলাম কায়েমের লড়াইয়ে শাহাদাৎ লাভ করেন।

- উম্মে হারামের প্রথম স্বামী ছিলেন আমর বিন কাইস বিন জাহিদ (রাঃ)। তাঁদের প্রথম পুত্রের নাম কাইস বিন আমর বিন কাইস (রাঃ)। দ্বিতীয় পুত্রের নাম আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ)। তাঁর প্রথম স্বামী এবং প্রথম পুত্র বদর ও ওহুদের যুদ্ধে শরীক হন এবং ওহুদের যুদ্ধে দুজনই শাহাদাৎ বরণ করেন।

- ওহুদের যুদ্ধে ৭০ জন সদস্য সাহাদাৎ প্রাপ্তির কারণে ছোট্ট নব গঠিত মুসলিম সংঘ নতুন ধরণের সংকটে পতিত হয়। সেই সব শহীদদের পরিবার পরিজনরা প্রিয়জন হারানোর গভীর শোকে পতিত হয়। এই সব অসহায় শহীদদের পরিবার পরিজনের জন্য মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক নিরাপত্তা সহ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে মুহাম্মদ (সাঃ) কে নানামুখী কর্মতৎপরতা পরিচালিত করতে হয়েছিল। এই উপলক্ষে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন নাজিল হয়।

- নবগঠিত মুসলিম সংঘের এই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ৬২৫ সালে বিরে মাউনার সাথে মুশরিকরা বিশ্বাসঘাতকতা করে ৬৮ জন মুসলিমকে হত্যা করে। ঐ মিশনে উম্মে হারাম (রাঃ) এর দুই ভাই যথাক্রমে হারাম বিন মিলহান (রাঃ) এবং সালীম বিন মিলহান (রাঃ) ছিলেন। তাঁরাও বদর এবং ওহুদ যুদ্ধ করে অংশ গ্রহণকারী সাহাবী ছিলেন!

- বীর মাউনার কাপুরুষিত আক্রমণে এই দুই ভাই শহীদ হবার কারণে উম্মে হারাম (রাঃ) এর এক বোন ছাড়া আপন কেউ দুনিয়াতে বেঁচে ছিলেন না। তাঁরা নিঃস্ব ও রিক্ত হয়ে পড়েন! তখন থেকে রাসুল (সাঃ) তাদেরকে সান্ত্বনা আর সাহস দিতে প্রায়ই তাদের ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। পরবর্তীতে উম্মে হারাম (রাঃ) আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

- মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কা থেকে হিজরত করে প্রথম কয়েকদিন মদিনার উপকণ্ঠের কুবা পল্লীতে অবস্থান করেছিলেন। কুবা পল্লীতে গাছপালা সমৃদ্ধ সবুজ উদ্যান ছিল তাই রাসুল (সাঃ) প্রায়ই প্রখর-দুপুরে গরমের সময় কুবাতে হয় উম্মে হারামের ঘরে না নয় তাঁর একমাত্র বোন উম্মে সুলাইম (রাঃ) এঁর ঘরে বিশ্রাম নিতেন। তাঁরা এভাবে রাসুল (সাঃ) এঁর খেদমত করার সুযোগ পাওয়াকে বড়ই সৌভাগ্য মনে করতেন।

এখানে তিন জন ব্যক্তি সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে:

১. হাদীস বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ)।

- উল্লেখ্য এই হাদিসের বর্ণনাকারী আনাস বিন মালিক (রাঃ) ছিলেন উম্মে সুলাইমের পুত্র এবং উম্মে হারামের বোন পো। বালক আনাস (রাঃ) কে, রাসুলের খেদমতে তাঁর মা চিরজীবনের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। রাসুলের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি তার খেদমতে অবিচল ছিলেন।

- সেই কারণে এই ঘটনাটি, রাসুলের সাথে তাঁর মা-খালা কেমন আচরণ করতেন তা নিকটে থেকে স্বচক্ষে দেখেছেন। সে হিসেবে তিনি ছিলেন ঘটনার মহা সাক্ষী।

২. উম্মে হারামের দ্বিতীয় স্বামী ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ)।

- ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ) ছিলেন উম্মে হারামের দ্বিতীয় স্বামী। আগেই বলা হয়েছিল তাঁর প্রথম স্বামী ও সন্তান উহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ) এঁর সাথে ইসলামের তথা রাসুল (সাঃ) এঁর এক বিশেষ সম্পর্ক ছিল।

- রাসুল (সাঃ) নবুয়াত প্রাপ্তির এগারটি বছর নিজের জন্মভূমি মক্কার মানুষদের ইসলামের দাওয়াত দিয়েও তেমন ব্যাপক ভাবে সাড়া পাচ্ছিলেন না। বরং নব ধর্মে দীক্ষিত মুসলিমরা তাদের জান মাল নিরাপদে রেখে মক্কায় বাস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। যখন এই নতুন মিশনের জন্য রাজনৈতিক কোন আশ্রয় একান্ত জরুরী হয়ে উঠেছিল, ঠিক তখন, ৬২০ খৃষ্টাব্দে, মদিনা থেকে আগত ৬ জনের একটি দলের সাথে আচানক ভাবে মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর পরিচয় ঘটে, তিনি তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেন। তারা রাসুলের (সাঃ) দাওয়াতকে মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন এবং রেসালতকে গভীরভাবে উপলদ্ধি করেন। তারা ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসুল (সাঃ)-কে প্রতিশ্রুতি দেন যে আগামী বছর হজ্জে আরও লোক নিয়ে তার কাছে আসবেন। এই ৬ জনের সাক্ষাৎ ছিল ইসলামের ইতিহাস, বরং বলা ভাল এই পৃথিবীর ইতিহাসে, এক যুগান্তকারী টার্ণিং পয়েন্ট। এই ৬ জনের একজন ছিলেন ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ)।

- ৬২১ খ্রিঃ দ্বিতীয় মিশনে আকাবায় প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী যে ১২ জন রাসুল (সাঃ) এঁর প্রতি আনুগত্যের শপথ নিয়েছিলেন সেই ১২ জনের একজনও ছিলেন তিনি এবং ৬২২ খ্রিঃ তৃতীয় মিশনেও যে ৭২ জন এসে চূড়ান্ত শপথ নিয়েছিলেন তাদের মধ্যেও তিনি একজন ছিলেন! এর থেকে প্রমাণিত হয় যে এই ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ) কেবল মাত্র একজন সাহাবী ছিলেন না, তিনি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন যিনি রাসুল (সাঃ) এঁর পয়গাম নিয়ে মদিনাবাসীকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, রাসুল (সাঃ) এঁর নবুওয়াতী মেনে নিয়ে ইসলামকে নিজের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করতে এবং তাতে তিনি সফলও হয়েছিলেন যার ফলে মাত্র ৬ জন থেকে ১২ জন, ১২ জন থেকে ৭২ জনে উন্নত হয়েছিল তাদের সাংগঠনিক শক্তি। রাসুল (সাঃ) মদিনা গমনের পূর্বে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেবার জন্য মদিনার যে ১২ জন অধিবাসী সদস্যে্কে যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছিলেন সেই ১২ জন আহ্বায়কদের একজন ছিলেন ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ)।

- যেদিন নামাজের মধ্যে মুসলিমদের কেবলার দিক পরিবর্তন করা হয়েছিল সেই জামাতেও তিনি শরীক হবার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।

রাসুল (সাঃ) তাঁকে জাকাত কালেক্টর নিয়োগ করেছিলেন। ইসলামী খেলাফতের খলিফাগণ উনাকে সম্মানজনক ভাবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে নিয়োগ করেছিলেন। এই সাহাবীর নেতৃত্বে একদিন আরব উপদ্বীপ অতিক্রম করে ইসলামের আলো বহির্বিশ্বে প্রবেশ করেছিল।

- ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ) যেমন স্ত্রীর প্রতি আদর্শ একজন স্বামী ছিলেন, তেমনি সন্তানদের কাছে একজন আদর্শ বাবাও ছিলেন। নিজ ঔরসের সন্তান মুহাম্মদ বিন ওবায়দাহ (রাঃ) এর প্রতি যেমন করে পিতৃত্বের দায়িত্ব পূর্ণ করেছিলেন ঠিক একই ভাবে উম্মে হারাম (রাঃ) এর আগের পক্ষের সন্তান আবদুল্লা বিন আমর (রাঃ) পিতৃত্বের ভালবাসা দিতে কার্পণ্য করেন নাই।

- আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) আচরণ যদি উপরোক্ত সম্মানিত মহিলাদের প্রতি ইসলাম সম্মত না হত, তাহলে এই ধরনের সম্মানিত বীর সাহাবী সেটা মেনে নিতেন না। পরবর্তী ইসলামী যুগে কোন এক পর্যায়ে এটা নিয়ে কথা উঠত। আর উঠে নাই এই জন্য যে, শরিয়তের মানদন্ডে রাসুলের (সাঃ) আচরণও ইসলাম সম্মত ছিল।

৩. উম্মে হারাম (রাঃ)।

- ইসলামের জন্য সেদিন যারা নিঃস্ব ও রিক্ত হস্তে মদিনায় এসেছিলেন আনসাররা তাদের আতিথেয়তায় আত্মত্যাগের যে বিমল উদাহরণ রেখেছিলেন ইসলামের ইতিহাসে তা এক অমর অধ্যায়। সেই আথিতেয়তায়

উম্মে হারাম (রাঃ) ছিলেন এক অনন্য অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। মদিনার আনসারদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ আর সেবায় যেমন পুরুষরা ছিল তেমনি ছিল নারীরাও।

আনসার নারী পুরুষদের মধ্যে সেবা আর আত্মত্যাগে কোন পার্থক্য ছিলনা। আনসারদের এই বদান্যতা ও অবদানের কথা আল কোরআন এভাবেই উল্লেখ করে:

যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে মদিনায় বসবাস করেছিল এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিল, তারা মুহাজিরদের ভালবাসে, মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে, তজ্জন্যে তারা অন্তরে ঈর্ষা পোষণ করে না এবং নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তাদেরকে অগ্রাধিকার দান করে। যারা মনের কার্পণ্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। (৫৯:৯)

- রাসুল (সাঃ) এঁর জন্য অধিক ভালবাসা এবং অধিক ত্যাগকারীদের মধ্যে উম্মে হারাম এঁর পরিবার অগ্রগামী ছিলেন। এর জন্য উম্মে হারাম (রাঃ) এঁর পরিবার নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এঁর কাছ থেকে একাধিকবার দুনিয়া ও আখিরাতের সৌভাগ্য লাভের আশীর্বাদ বা দোয়া পেয়েছিলেন, যেরূপ দোয়া বা আশীর্বাদ খুব অল্প লোকের সৌভাগ্যে এসেছিল। এটাই হচ্ছে উম্মে হারাম (রাঃ) ও তাঁর বোন উম্মে সুলাইম (রাঃ) এঁর মর্যাদা ও ধর্মীয় অবস্থান।

- তাঁদের ঈমানের অবস্থান এমন ছিল যে যখনই রাসূল (সাঃ) তাঁদের ঘরে আসতেন, তাঁরা সে আগমনকে আল্লাহর তরফ থেকে রহমত বলে জ্ঞাপন করতেন এবং রাসূল (সাঃ)-কে তাঁদের হৃদয় উজাড় করে সেবা করতেন। এগুলো ঈমানের বিষয়। যাদের এসব বুঝার জ্ঞান আল্লাহ দেননি তাদেরকে অন্য কেহ দিতে পারবেনা। ধর্মীয় বিষয়ে যাদের সন্দেহ রয়েছে সে সন্দেহ উকি ঝুঁকি মারার অসংখ্য স্থান রয়েছে। কেবল নিষ্কলুষ আত্মা ছাড়া ঈমানের পথ রুদ্ধ।

তাছাড়া:

১. উম্মে হারাম (রাঃ) ছিলেন রাসুল (সাঃ) এঁর দাদা আব্দুল মোতালিবের সৎ বোন মুলাইকাহর মেয়ে। তাতে তিনি সম্পর্কে হন রাসুল (সাঃ) এঁর ফুফু।

২. উম্মু হারাম (রাঃ) এঁর বাবা মিলহান বিন খালিদ ছিলেন মদিনার খাযরাজের উপগোত্র বানু নাজ্জারের লোক। বানু নাজ্জার গোত্র ছিল রাসুল (সাঃ) এঁর মা আমেনা বিবির বংশ।

৩. উম্মে হারাম (রাঃ) এর দুধ খালা ছিলেন। অর্থাৎ রাসুল (সাঃ) এঁর মা যে মহিলার দুধ পান করেছিলেন সেই মহিলার দুধ উম্মে হারাম (রাঃ) পান করেছিলেন।

অতএব উম্মে হারামের সাথে, উভয় দিক দিয়ে (রক্ত এবং দুধ) তাঁর সম্পর্ক মুহরিম ছিল। কাজেই রাসুল (সাঃ) উম্মে হারামের সেবা গ্রহণ করে ইসলামী শরিয়তের কোন আইন লংঘন করেন নাই।

- রাসুল (সাঃ) যখন কুবায় যেতেন তখন তিনি তাঁর দাদি মুলাইকাহর ঘরে নামাজ আদায় করতেন। সেই নামাজে আনাস বিন মালিক (রাঃ) তাঁর মা উম্মে সুলাইম (রাঃ) ও খালা উম্মে হারাম (রাঃ) শরীক হতেন।

- এই কুবার উম্মে সুলাইমের (সাঃ) বাড়িতে রাসুল (সাঃ) সহধর্মীনি উম্মুল মুমেনীন মারিয়া কিবতীয়া (রাঃ) মিশর থেকে এসে উঠেছিলেন এবং এই হাদিসের ঘটনা উল্লেখের সময় মারিয়া (রাঃ) সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এবার পুরা হাদিস টি পড়ুন এবং সেই ঐতিহাসিক ঘটনার মোজেজা দেখুন।

আনাস বিন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত যে, আল্লাহ্‌র রাসুল প্রায়ই উম্মে হারাম বিনত মিলহানের বাড়িতে বেড়াতে যেতেন এবং তিনি ছিলেন ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ) এর স্ত্রী। একদিন নবী তাঁর সাথে দেখা করতে গেলেন এবং তিনি তাকে খাওয়ানোর পর মাথার উকুন বাছতে লাগলেন। আল্লাহর নবী ঘুমিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর হাসিমুখে জেগে উঠলেন! উম্মে হারাম জানতে চাইলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, কিসের জন্য আপনি হাসলেন? রাসুল (সাঃ) জানালেন, ‘তিনি স্বপ্ন দেখেছেন উনার কিছু অনুসারী আল্লাহর জন্য জেহাদ করতে জাহাজের মধ্যে মধ্য সাগরে ভাসছে, যেমন করে রাজা-বাদশাহ সিংহাসনে উপবিষ্ট দেখায়’। উম্মে হারাম বলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ, ‘আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করুন যাতে করে আমি ঐ অভিযাত্রী দলের একজন হতে পারি’! রাসুল (সাঃ) উম্মে হারামের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে আল্লাহর কাছে দোয়া করে আবার ঘুমিয়ে পড়েন এবং আবারো হাসি মুখে জেগে উঠেন। আবার উম্মে হারাম রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞাস করেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, ‘কিসের জন্য আপনি হাসলেন’? রাসুল (সাঃ) ঠিক আগের মত জানালেন, ‘তিনি স্বপ্ন দেখেছেন উনার কিছু অনুসারী আল্লাহর জন্য জেহাদ করতে জাহাজের মধ্যে মধ্য সাগরে ভাসছে যেমন করে রাজা-বাদশাহ সিংহাসনে উপবিষ্ট দেখায়’। উম্মে হারাম আবারো বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, ‘আল্লাহর কাছে আমার জন্য দোয়া করুন যাতে আমি ঐ অভিযাত্রী দলের একজন হতে পারি’! এবার রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘হ্যাঁ তুমি সেই দলের প্রথম জন হবে’!

আমিরুল মোমেনীন উসমান (রাঃ), তাঁর শাসনামলে, মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান (রাঃ) কে সাইপ্রাসে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে যেতে অনুমতি দেন। মুয়াবিয়া (রাঃ) নৌ-বাহিনী গঠন করে উম্মে হারাম (রাঃ) এঁর স্বামী ওবায়দাহ বিন সামিত (রাঃ) কে উক্ত বাহিনীর জেনারেল করে সাইপ্রাসে প্রেরণ করেন। মুসলমানদের সাইপ্রাস অবরোধের প্রেক্ষিতে মুসলিম বাহিনীর নিকট সাইপ্রাস আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে রাসুল (সাঃ) এঁর স্বপ্ন পরিপূর্ণ হয়। উম্মে হারাম (রাঃ) সেই অভিযানে তাঁর জেনারেল স্বামীর সাথে ছিলেন। তখন তিনি ছিলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা। বিজিত বাহিনী যখন দক্ষিণ সাইপ্রাসের লারনকার সল্ট লেকের পশ্চিম তীর দিয়ে প্রবেশ করছিল তখন তিনিও গাধায় চড়ে সেই বাহিনীর সাথে শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু গাধার পিঠ থেকে পিছলে মাটিতে পড়ে যান। ফলে তিনি সেখানেই শাহাদাৎ বরণ করেন। যে কারণে উম্মে হারামকে (রাঃ) সাগর জেহাদের প্রথম শহীদ হিসাবে সম্মানিত করা হয়। তার এই শাহাদাৎ প্রাপ্তি রাসুল (সাঃ) এর হাদিসের সত্যাসত্য প্রমাণিত হয় এবং রাসুলের একটি ঐতিহাসিক মোজেজা পূর্ণ হয়। উম্মে হারাম (রাঃ) যে স্থানে শাহাদাত বরণ করেন সেই স্থানেই তাঁকে দাফন করা হয়। সেখানে তাঁর মাজারে অগণিত মানুষ জেয়ারত করতে উপস্থিত হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধরনের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে সেই মাজারে হাজির হয়!



সাইপ্রাসে অবস্থিত উম্মে হারাম (রাঃ) এর কবর

বিষয়: বিবিধ

৪৯১২ বার পঠিত, ৪৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260421
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৪
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : তাদেরকে ইগনর করলেই তো হয়।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
204151
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইগনর করার মাঝে কোন উত্তর নাই। যদি আপনাকে বলা হয় তার কথার উত্তর দিন, তাহলে কিভাবে দেবেন? তখন কি বলব আমি উত্তর দিবনা, নাকি আমার কাছে কোন উত্তর নাই নাকি কোনটাই না বলে মেনে নেব?

আমি কিন্তু উত্তর দিয়েছি, অনেক ধন্যবাদ।
260427
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : তাদেরকে ইগনর করলেই তো হয়।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
204166
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অবশ্যই ইগনর করতে পারবেন। কিন্তু ইসলাম ইগনর করার জন্য আসেনি। আপনি তার পোষ্ট ইগনর করলেন কিন্তু সে যদি আপনার পোষ্টে ঢুকে মন্তব্য করে, তাহলে কি করবেন?

দুটো পথ আছে:

১। তার কোন উত্তর না দিয়ে স্বীকার করে নিবেন যে, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নাই।

২। ব্যান করে বুঝিয়ে দিবেন যে, তোমার প্রশ্নের কারণে আমি তোমাকে পছন্দ করতে পারছিনা কিংবা তোমার প্রশ্নে আমি বিব্রত হচ্ছি।

ইসলাম কোনটাই সাপোর্ট করে না। কেননা সে আপনার আল্লাহ, রাসুলকে গালাগালি করছে। আপনি দেখছেন অথচ সর্বনিম্ন প্রতিবাদ করছেন না। আল্লাহ চান দুনিয়ায় তাকে কে কিভাবে ভালবাসে।ে
260434
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৮
ছাপোষা লিখেছেন : টিপু ভাই, আপনাকে ভাই সম্মোধন করে মনে খুব মনে খুব প্রশান্তি অনূভব করছি । মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিক । আমীন..........
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
204403
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকেও রহম করুন, আপনার দোয়া কবুল করুন।
260435
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 9368

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> আমি মেঘ হবো লিখেছেন : মধ্যপ্রাচ্যের কীট হলো ইসরায়েল আর এই ব্লগের কীট হলো গ্রামের পথে পথে। At Wits' End At Wits' End At Wits' End
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
204404
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
260436
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
শেখের পোলা লিখেছেন : দুষ্টের ছলের অভাব হয়না৷ তাই তাদের চাকরী বাঁচাতেে আবারও বাঁকা পথেই হাঁটতে হবে৷ আপনার সূদীর্ঘ বর্ণনায় তাদের যেন বোধদয় হয়৷ আপনাকে ধন্যবাদ৷
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
204408
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : যার অন্তর বক্র, তার সকল কর্মতে বক্রতা ফূটে উঠে, আল্লাহ তাকে আরো বক্র করে দেন। অনেক ধন্যবাদ।
260438
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : যাজাকাল্লাহু খায়রান।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
204409
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হায়াকাল্লাহ, ভাল থাকেন।
260447
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
ইয়াফি লিখেছেন : নষ্ট ব্লগারটা তার আচার-আচরণে দেখাচ্ছে সে কোন জবাব নিয়ে সন্তুষ্ট হবেনা। হিংসা, বিদ্ধেষ ছড়ানোই তার কাজ। তাই কোন প্রতিক্রিয়া দেখানো সমীচিন হবেনা।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
204418
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : যার অন্তর বক্র, তার সকল কর্মতে বক্রতা ফূটে উঠে, আল্লাহ তাকে আরো বক্র করে দেন। প্রতিক্রিয়া দেখানোর দরকার নাই, তাদের প্রশ্ন যত খারাপই হোক না কেন, ইসলামে তার যথাযত উত্তর আছে, আমাদের উচিত সে সব প্রশ্নের উত্তর গুলো খুঁজে রাখা। ফলে তা যথা স্থানে ব্যবহার করা যাবে। তবে কোন অবস্থাতেই উপেক্ষা করা যাবেনা।
260453
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
204419
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
260455
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
আহমদ মুসা লিখেছেন : জ্ঞান ও চিন্তার জগতে প্রতিবন্ধী এসব গার্বেজদের প্রতিটি কথার উপযুক্ত জবাব দিয়ে মন্তব্য করার জন্য মাঝে মধ্যে আমিও চিন্তা করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই বদমাইশগুলো যুক্তিতে হেরে গিয়ে অকথ্য, অশ্লীল ও কদর্য ভাষায় নবী করিম (সা) এর উপর মিথ্যা এলজাম দিয়ে বিষোধাগার করে। যদি তারা একাডেমিক আলোচনার মাধ্যমে যুক্তিতর্কে আসার সাহস দেখায় তবে তাদেরকে ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু জেহালতের মোহর তাদের অন্তরে নিজেরাই মেরে নিয়েছে বিধায় সে পথে না গিয়ে চোরাগোপ্তা হামলাকারীর বেশে প্রিয় নবী (সা), আল্লাহ, কোরআন, সুন্নাহসহ ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসকে নিয়ে মারাত্মক অশ্লিল ভাষা কঠাক্ষ করে। তাদের এসব কথার উত্তর দিয়ে হলে তাদের মতো নোংরা ভাষা ব্যবহার এভয়েট করা সহজ নয়। আমিও দূয়েকটি ব্লগ লিখেছিলাম এসব ইসলাম বিদ্বেশী হিন্দু সাম্প্রদায়িক উস্কানীদাতাদের ব্যাপারে। কিন্তু নতুন নতুন আগত ব্লগার ভাইয়েরা এদের সম্পর্কে জানে না বিধায় সহজেই এদের লেখাতে কমেন্ট করে বসে একান্ত আন্তরিকতা নিয়ে ভূল শোধরিয়ে দেবার আশা নিয়ে। অথচ পোস্টকারীর উদ্দেশ্য হচ্ছে সহজ সরল মুসলমানদের আবেগ ও বিশ্বাসকে পুজি করে তাদেরই ঈমানী বিশ্বাসের জাগায় আঘাত করে বিকৃতরুচির আত্মতৃপ্তি লাভ করা। কিন্তু মন্তব্যকারীরা এসব শয়তানদের উদ্দেশ্য আচ করতে পারেন না প্রাথমিকভাবে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪০
204423
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : নিরেট সত্য কথাটিই বলেছেন, যার অন্তর বক্র, তার সকল কর্মতে বক্রতা ফূটে উঠে, আল্লাহ তাকে আরো বক্র করে দেন। তাদের প্রশ্ন যত খারাপই হোক না কেন, ইসলামে তার যথাযত উত্তর আছে, আমাদের উচিত সে সব প্রশ্নের উত্তর গুলো খুঁজে রাখা। ফলে তা যথা স্থানে ব্যবহার করা যাবে। তবে কোন অবস্থাতেই উপেক্ষা করা যাবেনা।
১০
260460
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০১
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪২
204424
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার সেই লিখাটি আমি মোবাইলে মন দিয়ে পড়েছিলাম। তাই মন্তব্য করতে পারি নাই। অবশ্যই আমি মন্তব্য করে আসব।
১১
260463
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১০
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : কোথায় যেন পড়েছিলাম- রাসুলের (সা) শানে একটি বেয়াদবীর প্রতিবাদ করতে যেয়ে উক্ত শয়তানকে হাজারো বেয়াদবীর সুযোগ করে দেয়া কোন অবস্থাতেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
204425
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সে জন্যই নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি থাকতে হবে। ইদানিং তাদের উত্তর দিতে গিয়ে অনেক ভদ্র ব্লগারও অভদ্র মন্তব্য করা শুরু করেছেন। অভদ্র সহজে ভদ্র হয়না! ভদ্র হতে পারেনা! তবে ভদ্রজন অভদ্র হলে সমাজের ক্ষতি আছে। অনেক ধন্যবাদ।
১২
260470
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩০
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : জ্ঞানের রাজ্যের অধিপতিরাই বিজয়ী হয়। আর অজ্ঞরা চিরদিন পেছনে থাকে। জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নাই। আসলে নাস্তিকরা যতটুকু পড়াশোনা করে আমরা ততটুকু করতে পারিনা বলেই তাদের প্যাচানো প্রশ্নগুলোর জবাবা দিতে পারিনা। টিপু ভাইকে ধন্যবাদ সুন্দর জবাব দেয়ার জন্য। আর তথ্যপূর্ণ লিখাটা খুব ভাল লেগেছে। তাই প্রিয়তে যোগ করে নিলাম। আবারও ধন্যবাদ টিপু ভাইকে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
204426
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : শতভাগ একমত! আমার কথাও এটাই! তাদের উত্তর দেবার জন্য আমাদের সবাইকে বেশী বেশী করে পড়তে হবে, জানতে হবে এবং প্রয়োগ শিখতে হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৩
260495
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যুক্তিপুর্ন ও জ্ঞানবৃদ্ধি করার এই সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ওই অশ্লিল পোষ্টদাতা বা তার সহযোগিরা নিযেদের যুক্তিবাদি দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে এরা যুক্তির কোন ধার ধারেনা।এদের পোষ্ট এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম তবে এই ধরনের জবাব দেওয়াও জরুরি। না হলে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
204427
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি যা অনুধাবন করেছে আমার মনের কথাও তাহাই। তাদের প্রশ্ন যত খারাপই হোক না কেন, ইসলামে তার যথাযত উত্তর আছে, আমাদের উচিত সে সব প্রশ্নের উত্তর গুলো খুঁজে রাখা। ফলে তা যথা স্থানে ব্যবহার করা যাবে। তবে কোন অবস্থাতেই তাদের উপেক্ষা করা যাবেনা। তাদের উত্তর দেবার জন্য আমাদের সবাইকে বেশী বেশী করে পড়তে হবে, জানতে হবে এবং প্রয়োগ শিখতে হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৪
260514
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৪৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : তথ্য বহুল লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তথ্য সংগ্রহের নিমিত্বে সো কেইসে রাখা হলো।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
204428
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৫
260519
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫২
হতভাগা লিখেছেন : টিপু ভাই , আপনারা ডাকসাইটে ব্লগার । এটা তো আপনাদের ভাল জানার কথা যে ব্লগকে গরম রাখতে এদেরকে মডারেটররাই নামায় ।

তবে , সব কিছুর একটা সীমা আছে । যদি কেউ বেশী বাড়াবাড়ি করে তাহলে তার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান না নিলে পরে অন্যরাও উতসাহিত হবে ।

হচ্ছেও তাই । ব্লগে আগে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কোন নেতিবাচক পোস্ট আসতো না যতটা আসতো গ্রামের পথে পথেদের কল্যানে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ।

এদের নোংরা কথার জবাব দিতে গিয়ে অনেক নরম স্বভাবের ব্লগাররাও তাদের আচরনে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে ।

ব্লগে এখন ইটের পরিবর্তে পাটকেল হিসেবে হিন্দু ধর্ম নিয়েও নোংরা কথা শুরু হয়েছে যেটা কাম্য ছিলো না এবং এসব শুরু করেছিল নাস্তিক বেশ ধারী মুসলমান নাম নিয়ে শুরু করা চরম ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু ব্লগাররাই ।

সাথে শুরু হয়েছে গালি গালাজ করে পোস্ট ।

পরিচ্ছন্ন ব্লগ হিসেবে টুমরো থাকতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
204430
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এক্সিলেন্ট কমেন্টস! আমার মনের কথাগুলো আপনার লিখনীর মাধ্যমে চলে এসেছে। আমিও দেখেছি ইদানিং তাদের উত্তর দিতে গিয়ে অনেক ভদ্র ব্লগারও অভদ্র মন্তব্য করা শুরু করেছেন। অভদ্র সহজে ভদ্র হয়না! ভদ্র হতে পারেনা! তবে ভদ্রজন অভদ্র হলে সমাজের ক্ষতি আছে। সবার সুমতি হোক, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৬
260539
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:২১
কথার_খই লিখেছেন : অসাধারণ, তথ্য বহুল লেখা! ধন্যবাদ, গ্রামের পথে পথে আজকে ও একটি লেখা পোষ্ট করেছিল, মনে হয় ব্লগ কৃতক লেখাটি মুছে দেয়া হয়েছে।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
204432
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : পুরো পোষ্টটি মুছে না দিয়ে, বিতর্কিত শব্দ ও বাক্যগুলো মুছে দিলে আরো উত্তম হত। তখন পোষ্টদাতা ও পাঠক ব্লগার নিজেরাই বুঝতে পারত তাদের লিখায় কত শতাংশ পরিমান নোংরামী উপস্থিত থাকে। লিখতে পারলেই তাকে লেকখ বলেনা, অনেক লিখক এমনও আছেন, প্রচন্ড নোংরামী লিখাকেও সে শিল্পের মাধ্যমে ভদ্রভাবে উপস্থাপন করেছেন।

উপরোক্ত ব্লগার তো নিজেরা ভদ্র নয় তাই অন্যদের প্রতি অভদ্র আচরণ করতে থাকেন। প্রবাদে আছে, 'থালা থেকে তো তাই পাওয়া যাবে, যা থালায় আছে'। অনেক ধন্যবাদ।
১৭
260572
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:১৯

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 764

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : আপনি বলেছেন- "রাসুলের ফুফুরা নবীজির চুলে আঙ্গুল বোলাতেন! সেটা উকুন তালাশের জন্য নয়।"

খণ্ডিত নয়, পুরো হাদীসটি নিচে দেয়া হল।
দেখুন, একটি সুনিদ্দিষ্ট তথ্য নির্ভর বিষয় কে ধামাচাপা দেয়ার জন্য আপনি বাচালের মত যত কথাই বল্লেন্না কেন তাতে প্রকৃত সত্যের কোন হেরফের হয় না। সত্য সত্যই থেকে যায়। হাদীস প্রনেতা ইমাম আনাস বিন মালিক বলছেন : (কোট- একদিন নবী তাঁর সাথে দেখা করতে গেলেন এবং তিনি তাকে খাওয়ানোর পর মাথার উকুন বাছতে লাগলেন। ) পক্ষান্তরে আপনি বলছেন উকুন তালাসের জন্য নয়। তাহলে মানুষ কার কথা বিশ্বাস করবে? রাসুলের সাহাবী আনাস বিন মালিকের কথা নাকি নজরুল ইসলাম টিপুর কথা? অতএব এ নিয়ে আর কোন তর্কের প্রযোজন আছে বলে আমি মনে করি না।

Volume 9, Book 87, Number 130:
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Apostle used to visit Um Haram bint Milhan she was the wife of 'Ubada bin As-Samit. One day the Prophet visited her and she provided him with food and started looking for lice in his head. Then Allah's Apostle slept and afterwards woke up smiling. Um Haram asked, "What makes you smile, O Allah's Apostle?" He said, "Some of my followers were presented before me in my dream as fighters in Allah's Cause, sailing in the middle of the seas like kings on the thrones or like kings sitting on their thrones." (The narrator Ishaq is not sure as to which expression was correct). Um Haram added, 'I said, "O Allah's Apostle! Invoke Allah, to make me one of them;" So Allah's Apostle invoked Allah for her and then laid his head down (and slept). Then he woke up smiling (again). (Um Haram added): I said, "What makes you smile, O Allah's Apostle?" He said, "Some people of my followers were presented before me (in a dream) as fighters in Allah's Cause." He said the same as he had said before. I said, "O Allah's Apostle! Invoke Allah to make me from them." He said, "You are among the first ones." Then Um Haram sailed over the sea during the Caliphate of Muawiya bin Abu Sufyan, and she fell down from her riding animal after coming ashore, and died.


আপনি আরো বলেছেন- "অতএব উম্মে হারামের সাথে, উভয় দিক দিয়ে (রক্ত এবং দুধ) তাঁর সম্পর্ক মুহরিম ছিল। কাজেই রাসুল (সাঃ) উম্মে হারামের সেবা গ্রহণ করে ইসলামী শরিয়তের কোন আইন লংঘন করেন নাই।"

আপনি অযাচিত অপ্রসঙ্গিন বাহুল্য কাহিনী রচনা করে পাঠকদের শুধু বিভ্রান্তই করেন্নি, আপনি আল্লাহর দেয়া বিধান খোদ আল কোরানকে অস্বিকার (Contradicting) করলেন। আল কোরানের বিধিবদ্ধ বিধানের যে কোন ক্যাটাগোরি(Calegory) তে রাসুল কখনো উম্মে হারামের মাহরাম হতে পারে না। আল কোরাণের ২৪:৩১ এবং ৪:২৩ দ্রষ্টব্য। বিষয়টি খুবই Precise/ছোট, আল কোরাণে লিপবদ্ধ। পল্টনের বক্তিতা দরকার নেই। কোরাণের আলোকে কথা বলেন।

তবে ব্লগে কিস্তিমাত করার জন্য চালাক মুসলিমরা যদি ইসলাম ধর্মের কোরাণ-হাদীস কে পাল্টে দিয়ে নিজের বাচমালি জাহির করে সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু তাতে সত্য চাপা থাকে না। ধন্যবাদ।

২৪:৩১- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।

৪:২৩- তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪৪
204283

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined offset: 7228

Filename: views/blogdetailpage.php

Line Number: 917

"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : দুঃখিত দুইবার পোষ্ট হয়ে গেছে। এটি মুছে দিন। ধন্যবাদ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৯
204456
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি অবশ্যই খন্ডিত হাদিস দিয়েছেন, আমি পুরো হাদিসটি আমার মূল পোষ্টের নিচে উল্লেখ করেছি।

উকুন সম্পর্কে বিস্তারিত কথা আমি আমার মন্তব্যে উল্লেখ করেছি। আপনি পড়েননি বলেই জানেন নাই। তারপরও এক কথায় বলছি, উকুন তো দূরের কথা আল্লার রাসুলের (সাঃ) জীবনে কোনদিন ভাইরাসের মত সহজে আক্রমণ কারী প্রানীর দ্বারাও রোগ সংঘটিত হয়নি! কারন সকল প্রাণী, পতঙ্গ তাঁকে ভালবাসত।

গায়ের মোহাররম রাসুলের মাথায় হাতের জবাবে আমি বিস্তারতি বলেছি, আবারো নোট দিচ্ছি:

আপনি কোরআন শরীফের যে আয়াত রেফারেন্স দিলেন, তা ২০১৪ সালে হঠাৎ করে আসমান থেকে রসি ছিড়ে দুনিয়াতে পড়ে যায় নাই। এসব আয়াত লক্ষ লক্ষ সাহাবীরা তখন পড়েছেন মুখস্ত করেছেন।

ঘটনার সময় উম্মে হারামের স্বামী উপস্থিত ছিলেন, রাসুলের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন, আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ সাহাবীরা তথায় ছিলেন। তাঁরা উপস্থিত কেউ রাসুলের আচরনে কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক কোন চরিত্র পায় নাই। তাই তাঁরা আপনার মত কথা তুলে নাই, আপনি কথা তুলছেন কেননা ছিদ্রান্বেষন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ঘটনার সাক্ষ্যি ও হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী আনাস (রাঃ) তখন মাত্র ১৩ বছরের একজন বালক! তাঁর বর্ণনাকে আমরা বর্ণনা হিসেবে ধরে নিব কিন্তু তাঁর বর্ণনা যদি কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক হয় তাহলে তা বাদ দিব। কেননা কোরআনের দাবী বেশী সঠিক ও সত্য।

আপনি যেহেতু প্যাঁচ করার মতলবে মন্তব্য করছেন, তাহলে আমিও যদি প্যাচের আশ্রয় নেই তাহলে আপনার জন্য উত্তরটা সঠিক ও সহজ হবে বলে মনে হয়। কেননা প্যাচ খুলতে প্যাচের আশ্রয় নিতে হয়:

হাদিস দিয়ে কোরআনের সত্যাসত্য যাচাই হয়না। কোরআনের সত্যাসত্য কোরআন দিয়ে প্রমান করা লাগে। তাই হাদিসে কোন কথা থাকলে সে কথা যদি কোরআনের সাথে সাংঘার্ষিক হয় সেক্ষেত্রে হাদিস টি পরিত্যাজ বলে গন্য হবে। কোরআনকেই সঠিক বলে ধরা হবে।

আপনি নিজেও কোরআনকে সঠিক বলেছেন, আমিও আপনার উদৃতি ভুল বলছিনা। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, 'হে রাসুল আপনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী'।
অন্যত্র বলেছেন, 'আপনি যা বলেন তা নিজের কথা নয়, তা আমি আল্লাহর কথা.....। বহু আয়াত আছে। রাসুলের স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, পুরো কোরআন টাই রাসুলের জীবন্ত চরিত্র।

কোরআনের এই ভাষায়, আপনার জন্য প্যাচের সুত্র ধরে বলছি, 'যেহেতু মুসলমানদের জন্য কোন গায়ের মাহররম মহিলার সেবা নেওয়া হারাম এবং সে ধরনের কোন সুযোগ রাসুল (সাঃ) নেননি'। আল্লাহই তো স্বীকার করলেন রাসুল তুমি সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী কিন্তু হাদিস দ্বারা বুঝা যাচ্ছে তিনি গায়ের মহররম মহিলার সেবা নিয়েছেন। সুতরাং প্রমানিত হয় যে, পুরা হাদিস টাই ভুল। আর ভুল হাদিস নিয়ে কোন কিছু পরিমাপ কিংবা মন্তব্য করা যাবেনা। সুতরাং যে হাদিস নিয়ে আপনি এত লম্পঝম্প করছেন তাও অনর্থক হল।

দেখুন ইসলাম একটি সোজা রাস্তার নাম, এখানে গোপনীয় ও বক্রতার সুযোগ নেই। কেউ একটি সোজা রাস্তার কিয়দংশ কেটে, ছেঁটে, চুরি করে যেভাবে একটি নতুন রাস্তা বানাতে পারেনা। সেভাবে আপনাদের এই ধরনের কেটে, ছেটে, চেঁছে, আকার পরিবর্তন করে সাময়িক বিদ্বান সাজার অভিনয় করা যাবে কিন্তু নিজেদের অজ্ঞতা, বোকামী আর হঠকারীতার চেহারা লুকানো যাবেনা।
১৮
260626
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:২৩
আনিস১৩ লিখেছেন : Thank you tipu bhai.
Thanks for the clarification.
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২৯
204457
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৯
260642
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:১২
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : ১। আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমাদের কারো নিকট একটার বেশি কাপড় থাকত না। কারো মাসিক ঋতু হলে এবং কাপড়ে রক্ত লাগলে সে থুথু দিয়ে তা ভিজিয়ে নক দিয়ে রগড়াতো। [দ্র: বোখারী, ১ম খ, ১২ সংস্করণ, হাদিছ নং-২১৮, পৃ: ১৫৩; আ. হক; বোখারী ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, হাদিছ নং-৩০১, পৃ: ১৬২; আধুনিক প্রকাশনী]

২। মায়মুনা (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, নবী (সা) জানাবাতের (সঙ্গমোত্তর) গোসল করলেন। হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গ ধুইলেন, তারপর তা দেয়ালে রগড়ে ধুয়ে ফেললেন-। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, হাদিছ নং-২২৩-২২৫; পৃ: ১৩২, ১৩৩; আধুনিক প্রকাশনী]

৩। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাছুলাল্লাহ (সা) দুটি ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা-পেশাবের জন্য বসে আছেন। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; আ. হক]
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫০
204464
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এই মুহূর্তে আমার কাছে বইগুলো নাই বলে, যাচাই করতে পারলাম না। কেননা মোনাফেক, কাফের, ফাসেকের কথাকে যাচাই না করে মন্তব্য করা নিষেধ।

তারপরও ধরে নিলাম আপনার কথাগুলো সত্য। তাহলে সেখানে আপনি কি ভুল পেলেন? আপনার দাবী সাবান, শেম্পু, ফেয়ার এন্ড লাভলী দিয়ে কেন ধোয়া হয় নাই। এই টাই তো, আর নাকে কেন লাগানো হল? এই তো। সব উত্তর দিচ্ছি,

১। মাসিকের রক্ত যদি কাপড়ে লাগে, সেটা যদি থুতু দিয়ে পরিষ্কার করার মত পরিমান হয় তাহলে অবশ্যই তা থুথু দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে, এটাতো সাধারণ কান্ড জ্ঞানে কথা! কেননা থুথু পবিত্র আর মাসিক অপবিত্র। প্রশ্ন হল, থুথু কতক্ষন ব্যবহার হবে? সেটা বুঝার জন্য নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুকলেই বুঝা যাবে, সেখানে মাসিকের রক্তের গন্ধ আরো আছে কিনা। না থাকলে ব্যস শেষ, থাকলে আরো থুথু প্রয়োগ করুন।

পায়খানার কাজ সারার পর যদি, নিজরে বাম হাতে মলের গন্ধ আছে কিনা পরখ করা যায়, মাসিকের টা পরখ করতে দোষ কোথায়?

২। সঙ্গম করার পর হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গ ধুওয়া হল। পুরুষাঙ্গে লেগে থাকা বীর্যগুলো এঁটেল ও কিছুটা তৈলাক্ত, ফলে তা হাতের ভাঁজে লুকিয়ে থাকতে পারে। সেই হাত খানা পাশের দেওয়ালে ঘষে শতভাগ পরিষ্কার হবার পরামর্শ টাকে আপনার কাছে কু-পরামর্শ মনে হল কেন বুঝলাম না।

তখন কার দিনে সাবান সোডা আবিষ্কার হয়নি। মোঘল আমলে রাজ বাড়ীর সুন্দরীরা মুখে এঁটেল মাটি লাগিয়ে রূপচর্চা করত। তাহলে তারও হাজার বছর আগের সঠিক ও নির্ভূল পন্থায় বলে দেওয়া রাসুলের পদ্ধতি খারাপ লাগার হেতু কি?

৩। লোকেরা বলে? এইখানেই তো সকল কথা লুকিয়ে। অর্থাৎ প্রকাশ্যে, জনসম্মুখে, উম্মুক্ত স্থানে প্রশ্রাব করতে বসলে যাতে সরাসরি কেবলার দিকে না বসে। দেওয়াল ঘেরা হলে, যেখানে কেউ দেখবেনা, সে ধরনের পরিস্থিতিতে কেবলার শর্ত বলা হয়নি। ইউরোপ ও ভারতের মত দেশ গুলোর ফ্লাট বাড়িতে কেবলার দিকে মুখ করে টয়লেট আছে, সেগুলোতে মুসলমানেরা সেভাবে প্রস্রাব করে আসছে। তারা কেউ আপত্তি করেনা কিংবা টয়লেট ভাঙ্গার কথা বলেনা। এই কথাটি শুধুমাত্র খোলা উম্মুক্ত ময়দান যেখানে নিজের ইচ্ছা ও চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগানোর স্বাধীনতা আছে, সেখানের জন্য প্রযোজ্য। জানিনা ভুল কোথায় দেখলেন।

জানি এসব উত্তরে আপনি প্রিত হবেন না, কেননা আপনাকে আরো কিছু দিন ছিদ্রান্বেষনের পিছনে কাজ করতে হবে। যাক, অনেক ধন্যবাদ।
২০
260652
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:৪৮
কাহাফ লিখেছেন : অসাধারণ তথ্য বহুল একটা পোস্ট, অনেক কিছু জানতে পারলাম।আল্লাহ আপনাকে আরো তাওফিক দান করুন....আমিন।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫১
204465
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন ভাল থাকুন।
২১
260686
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:০১
গ্রামের পথে পথে লিখেছেন : আপনাদের ধর্মের খুতির ভিতর এতদিন সযত্নে লুকিয়ে রাখা জিনিসগুলো এতোটাই ঘৃণ্য, অসুস্থ্য, অবৈজ্ঞানি, অচল, হাস্যকর যা শুনলে আপনারা নিজেরাই এখন তেড়ে আসেন। এর প্রামান এই হাদীস থেকে পাওয়া গেল।
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:০৪
204469
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : দেখুন আপনি একটু উপরে তিনটি প্রশ্ন রেখে মন্তব্য করেছেন। যাই হোক মন্তব্যগুলো যথাযত। আপনি যখন দেখলেন ভুল করে, সেখানে গালাগালি, টিপ্পনী, টিটকারী মারতে ভুলে গেছেন! তখন আপনাদের বৈশিষ্ট্যগত অভ্যাসের দ্বারা পরিচালিত চরিত্র দিয়ে, সেই মন্তব্য না করে পারলেন না। আপনি নিশ্চয়ই জানেন এই মন্তব্যটি বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্য নয়, তারপরও সেই মানসিক রোগ! গালাগালি তো করা হয় নি? আপনি নিজেই নিজের বিবেক ও অন্তরকে জিজ্ঞাসা করুন। কিংবা জিজ্ঞাসা করুন নিজের সন্তানদের। যে, আপনি ব্যক্তি হিসেবে কেমন? নির্ঘাত তারা সত্য মন্তব্য করতে পারবে।
২২
260767
০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : এই পোস্ট মন্দের প্রতিহত ভাল দ্বারা করার সুন্দর একটা দিষ্টান্ত স্হাপন করলো।
আমার কাছে পোস্টের মূল র্নিজাস মনে হয়েছে আপনার যুক্তিপুর্ন ও প্রাজ্ঞ উক্তিটা
"হযরত উমর (রাঃ) বলেছিলেন, আল্লাহর দেওয়া কিতাব আমাদের জন্য যথেষ্ট"
হাদিস আমাদের জীবনের জন্য সহায়ক, ইতিহাস জানা থাকলে আরো বেশী সহায়ক হয়। তাই বলে ইসলামিক শিক্ষাটা পরিপূর্ণ হাদিস নির্ভর হওয়া উচিত নয়। "


ওরাতো লিখছে মোসাদের টাকার জন্য । আর আপনি লিখছেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
আল্লাহ আপানার লেখনি জিহাদ কবুল করুন।

যাজাকাল্লাহ খায়ের



০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৩
204596
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে উত্তম কল্যাণ দান করুন। অবশ্যই আমি আল্লাহর ভালবাসার প্রত্যাশী। এটাই জীবনের একমাত্র চাওয়।

লিখার শুরুতে আল্লাহকে বলেছিলাম তুমি আমার চিন্তায় যুক্তি দাও, তথ্য দাও, সহযোগীতা দাও এবং আমাকে লিখতে দাও।
২৩
262555
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৩৫
ইবনে হাসেম লিখেছেন : আজই মাত্র এই যুক্তিপূর্ণ লিখাটির সাথে সাক্ষাৎ হলো। এই পোস্টটি পাঠে আমার সবচেয়ে বেশী যে উপকার হলো,উপলব্ধি লাভ করলাম তা হলো, "আমরা নিজ ধর্মের জ্ঞানের ক্ষেত্রে এখনো অনেক অনেক পশ্চাদগামী। আর ধর্মাচারের ক্ষেত্রে জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই।" আমার ধারণা, এই পোস্টটি পাঠের পরে আমাদের অনেক সাথীরাও আমার মতোই উপলব্ধি করতে পারবেন জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনীয়তাকে।
আল্লাহ অাপনার কলমী জিহাদকে ক্ববুল করুন, আমীন।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২২
206359
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। আমি বাড়ি থেকে এসে যখন কম্পিউটারে বসলাম তখন ইসলাম বিদ্ধেষী সেই মহিলার পোষ্ট খানা দেখলাম। আর যত মুসলিম ব্লগার আছে তারা তার সমালোচনা করছিল। কেউ ক্ষিপ্ত মন্তব্য করছিল। তখনই পোষ্টখানা লিখার সিদ্ধান্ত নিলাম। আপনি ভাল থাকুন, আমীন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File