আবুধাবির বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুলের গৌরব উজ্জ্বল সাফল্য!
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২৯ মে, ২০১৪, ০৪:১৮:০৭ বিকাল
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের একটিই স্কুল। এখানে এস, এস, সি ও এইচ, এস, সি বোর্ডের সেন্টার রয়েছে। স্কুলটি ঢাকা বোর্ডের অধীনে ইংলিশ ভার্সনে পরিচালিত। স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকেরা 'ইকো ক্লাবে'র মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্ছিষ্ট বর্জ্য গ্রহণ করে নিজেদের মত সংরক্ষণ ও পুনঃ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেজন্য সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য নিদ্ধিষ্ট বাক্সে ফেলার জন্য প্রচারণা চালায়। অল্প দিনের মধ্যেই এই কাজে সকল শিক্ষার্থীরা অভ্যস্ত হয়ে যায়। আমার আজকের প্রতিবেদন এই ঘটনাকে উপলক্ষ্য করেই।
প্রথম সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহৃত পানি গুলো পূনঃ ব্যবহার কল্পে স্কুলের নিজস্ব বাগানে সিঞ্চন করবে। ফলে সিস্টেম তৈরি করে ব্যবহৃত পানির পুরোটাই স্কুলের বাগানে, গাছে, চারায় সঞ্চালন শুরু করেন। এতে বাগানের ফুল গাছ, চারা গাছ সহ নানাবিধ উদ্ভিদে এসব পানি সরবরাহ করে পানির পুনঃ-ব্যবহার নিশ্চিত হয় সাথে সাথে স্কুলের নিজেদের অর্থনৈতিক চাপ কমাতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে স্কুলের 'ইকো ক্লাব' সিদ্ধান্ত নেয়, ছাত্র-ছাত্রীদের জৈব বর্জ্য গুলোকে উপরোক্ত গাছ-গাছালির জন্য জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করবে। তারা এসব বর্জ্য দিয়ে কম্পোজ সার তৈরিতে হাত লাগায়। সহসা সুফল আসে। ফলে স্কুলের গাছের জন্য রাসায়নিক সার গ্রহণ কিংবা প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। তারা পুরোদমে কম্পোজ সার তৈরীতে সফল হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো নিজেদের মত ব্যবহার করে সুফল পেয়ে আসছিল!
আরব আমিরাতের এনার্জি সেক্টর, পরিবেশের উপর ভূমিকা রাখতে পারে এমন অবদান কে স্বীকৃতি দেবার জন্য পুরষ্কারের ঘোষণা দেয়। এই পুরষ্কার মহাদেশ ভিত্তিক ভাগ করা হয়। বাংলাদেশ স্কুল এশিয়া অংশ থেকে সেই পুরষ্কারের জন্য নিজেদের ক্ষুদ্র এই প্রজেক্টটি উপস্থাপন করে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও এনার্জি সেক্টর থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়। তারা এই প্রজেক্টটি বিদেশী বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খুঁটিয়ে যাচাই বাছাই করে।
পুরষ্কার টি দেওয়ার নিয়মের মধ্যে এমন একটি প্রশ্ন জুড়ে দেওয়া ছিল যে, 'যদি এই পুরষ্কার পাও, তাহলে তার অর্থ কোথায় খরচ করা হবে'? এটি পুরষ্কার প্রাপ্তির গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি অংশ হয়ে যায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবী করেছিল, 'যদি আমরা এই পুরষ্কার অর্জন করি তাহলে, এর অর্থ দিয়ে স্কুলের প্রয়োজনে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল বসানো হবে'।
খুবই খুশীর খবর যে, উন্নত দেশের অনেক প্রতিযোগীদের পিছিয়ে ফেলে বাংলাদেশ স্কুল প্রথম স্থান অধিকার করে। আমিরাতের মহামান্য প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, পৃথিবীর একমাত্র সেভেন স্টার হোটেলের জমকালো অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্কুলের নিকট পুরষ্কারের নগদ মূল্য হিসেবে এক লক্ষ ডলার হস্তান্তর করেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই অর্থ দিয়ে, স্কুলের ছাদে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল বসিয়েছে। পুরো স্কুল এনার্জি সেভিং ভাল্ব দ্বারা সাজানো হয়েছ। এতে করে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। মূলত পুরষ্কারের অর্থ দিয়ে সৌর বিদ্যুৎ বসিয়ে, নতুন আরেকটি সফলতা সৃষ্টি করে নতুন চমক দেখিয়েছে!
ফলে এই সংবাদ টি বিশ্বসেরা সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এর নজরে আসে। সিএনএন এই বিষয়ের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। তারা স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল, প্রজেক্টের সাথে জড়িত শিক্ষক, ছাত্রদের নিয়েই প্রতিবেদন টি উপস্থাপন করে। সিএনএন দর্শকদের এক সপ্তাহ পর্যন্ত অগ্রিম দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত ২৬ শে ২০১৪ তারিখে প্রতিবেদন টি সম্প্রচার করে।
এখানে আমার একটি ব্যক্তিগত খুশীর কারণ আছে,
এই স্কুলের নবম শ্রেণীতে আমার একমাত্র ছেলে অধ্যয়ন করছে। সে স্কুলের ইকো ক্লাবের শুরু থেকেই একজন সক্রিয় সদস্য এবং ছেলেদের ব্যাচে স্কুলের পক্ষ হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত। স্কুলের নানাধরনের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সে সর্বদা সক্রিয় থাকে। এদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুষ্ঠিত 'এনভায়রনমেন্ট' এর উপর বাৎসরিক প্রতিটি পরীক্ষায়, দ্বিতীয় শ্রেণী থেকেই অদ্যাবধি কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে চলেছে।
'সি এন এন' এর প্রতিবেদনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কো-অর্ডিনেটর সহ আমার ছেলে জুশান আবদুল্লাহ এবং তাদের ক্লাস মেট ছাত্রীর একটি ছোট্ট সাক্ষাৎকার সন্নিবেশিত হয়েছে। স্কুলের এই সফলতা অর্জনের অংশীদার হিসেবে 'জুশান আবদুল্লাহ ক্রেস্ট প্রাপ্ত হন। তার জন্য অবশ্যই দোয়া করবেন।
এখানে আরেকটি সমষ্টিগত দুঃখের কারণ আছে,
- বাংলাদেশের ছেলেদের একটি ক্ষুদ্র অবদানকে আমিরাত সরকার কত বড় মাপে মূল্যায়ন করেছে! সে ধরনের একটি অনুষ্ঠানে যদি আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্পীকার থাকতে পারতেন আমাদের জন্য কতই না সম্মান জনক হত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সেই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সেই সংবাদটিও মধ্য প্রাচ্যের টিভি গুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে। অথচ আমাদের দেশের নেতাদের কোন উপস্থিতি দেখতে পাইনি, এটা অবশ্যই বড় দুঃখের ও হতাশার! বাংলাদেশ স্কুল এই পুরষ্কার পাওয়ায় ভারতের স্কুল গুলো একজোট হয়ে ভুল ভ্রান্তি বের করার জন্য পিছনে লেগে যায়। তাদের চাওয়া ছিল অন্তত ভারতের কোন একটি স্কুল এই পুরষ্কার পাক। অথচ সে ধরনের দেশপ্রেম বোধ সম্ভবত আমাদের নাই।
- সিএনএন এর মত বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান এটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। অথচ আমাদের দেশের কোন সংবাদ মাধ্যমে এটি সংবাদ হয়ে আসেনি! পেপার মিডিয়ায় তো আসেই নি। এদেশে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কিছু সংবাদ কর্মী আছে, যারা রেস্টুরেন্টের উপরে বসানো দলীয় সভার, কয়েকজন দলীয় কর্মীর উপস্থিতিকে টিভিতে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে। নেতারা দোকান কারো উদ্বোধন করতে এলে সেটাও প্রচার করে। অথচ এই বিষয়টি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হতে পারে সেটা তারা জানেই না। অবশ্যই এটা বড় পরিতাপের।
সি এন এন এর রিপোর্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন:
লিঙ্ক এখানে: Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৯৪৫ বার পঠিত, ৫০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অভিনন্দন উক্ত সাফল্যের সংশ্লিষ্ট সকলকে ।
শুভেচ্ছা নিবেন -
বুকটা যেন ফুলে উঠলো বিশ হাত!!
আমাদের দেশে কি "মিডিয়া" আছে?? প্রফেশনালিজম এখন টেরোরিজমের খাঁচেয় বন্দী!!
যাদের জন্য আনুষ্ঠানিক দোয়া করতে হয়না- এমনিতেই আমার অহরহ মনে পড়ে- আপনার পরিবারও তার মধ্যে আছে!!
আমাকেও আপনাদের দোয়ায় জুড়ে নিতে দরখাস্ত করছি!
বিশ্বমানের একজন মুসলিম নেতার জন্য আল্লাহতায়ালা আপনাদের পরিবারকে কবুল করুন (আমীন)
ইসলামিক নাম দিয়ে নৃত্য অনুষ্টান বন্ধ করতে হবে স্কুলে নয়তো ইসলামিক নামটা মুছতে হবে। পরিষ্কার ভাবে বলতেছি এই স্কুলে বসন্ত বরণ থেকে শুরু করে পহেলা বৈশাখ সকল অনুষ্টান পালন করা হয় অপসংক্স্কৃতির রূপে।
‘লাকুম দ্বীনাকু ওয়ালিয়া দ্বীন’ এর তরীকায় চলা ছাড়া উপায় নেই আপাতত।
আপনাকে আমার পক্ষ হয়ে লোকমান ভাই উত্তর দিয়েছেন। তিনি ঐ স্কুলের অভিভাবক হিসেবে অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কুলের শুরুটা অবশ্যই ইসলামী ধ্যান ধারনায় ছিল। তবে স্কুলের সমূদয় কাজ বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমোদন ক্রমে চলে, তাদের অনুমোদন ছাড়া কোন কিছুই করা যায়না।
আর বুঝেনই তো, তারা কোন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী। বাংলাদেশ স্কুলে যদিও একটি অডোটোরিয়াম আছে, সেটিতে কোন পোগ্রাম করতে গেলে আগে বাংলাদেশ দুতাবাসের ইচ্ছা লাগে। গান, নাচ, বাদ্য এসবের জন্য তো তেমন কাউকে বাধা পেতে হয়না। সম্ভবত ২০০৩ সালে একবার বড় মাত্রার মিলাদুন্নবী হয়েছিল, তার পর থেকে আর হয়নি! কেন হয়নি? অবশ্যই অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
অডোটোরিয়াম ব্যবহারে স্কুলের ইচ্ছা অনিচ্ছায় কিছুই আসে যায়না। অনেক ধন্যবাদ।
স্কুলের অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসান এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অভিনন্দন এবং বিশেষ ভাবে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সংবাদিট প্রমোট করার জন্য। জিশান আব্দুল্লাহর প্রতিও আন্তরিক দোয়া রইলো।
এই ধরনের একটি প্রজেক্ট এর শিখার অনেক কিছু আছে। আমি নিজে পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু কাজে জড়িত বলে এই ধরনের অনেক প্রজেক্ট এর কথা জানি। কিন্তু এতটা সাফল্যের খবর খুব কমই জানি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং এই প্রজেক্টের পরিশ্রমি কর্মিদের অভিনন্দন। আল্লাহতায়লা তাদের এর জন্য উত্তম প্রতিদান দিন।
আবু ধাবিতে বাংলাদেশী স্কুলের এ জাতীয় সাফল্য অবশ্যই প্রশাংসার দাবী রাখে। অত্র স্কুলের সাথে জড়িত শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে বর্তমান শাসকদের মন মানসিকতার প্রকাশই পাবে তাদের হাতে পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। ওখানকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে যা আমার মাথায় বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে তা হলো যেহেতু এ স্কুলটি দুতাবাসের নিয়ন্ত্রণে চেলে গেছে। তাই প্রবাসীদের আরো উদ্যেগ নেয়া উচিত যাতে এ ধরণের স্কুল/একাডেমী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিজের রুচিবোধ ও ধর্মীয় বোধ বিশ্বাসের প্রতিফল পূর্ণরুপে বিকশিত হয়।
পরিশেষে যে কথাটি আমি বলার জন্য এতোক্ষণ অপেক্ষা করছি সেটি হলো- এ ব্লগ সাইটে আমি বিগত এক বছর ধরেই লেগে আছি। এ এক বছরের মধ্যে অনেক ভাল ভাল লেখা যেমন তারা স্টীকি করে অধিক পঠিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন তেমনি এমন অনেক লেখাও তারা স্টীকি করে রেখেছেন যাতে অনেকেই এসব লেখা স্টীকি রাখার যুক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের দেশীয় কোন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে এ নিউজটির প্রচার চোখে পড়েনি। অথচ খুবই মনতুষ্টিকর একটি খবর ছিল এটি। বিডিটুডে কর্তৃপক্ষের এধরনের নিউজের প্রতি আকর্ষণ দেখা গেছে অতীতের স্টীকির পোস্টগুলো থেকে। আমি যখন এ লেখাটি পড়তেছিলাম তখন লেখাটির হিট হয়েছে মাত্র ২২৬ বার। যদি কর্তৃপক্ষ এ লেখাটি স্টীকি করে রাখতো তাহলে অনেক পাঠক ও ভিজিটর এ জাতীয় ভাল বিষয়গুলো জানতে পারতো।
আমার বলার কিছু ছিলনা......
শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম......
তুমি চলে গেলে.....
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
আমার ব্যলকনি: এক বালতি মাটি ও একটি অবহেলিত লতা
যাইহোক আপনাকে এবং সালমা ভাবীকে এক সাথেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশে আসলে ইনশায়াল্লাহ আপনার সাথে দেখা স্বাক্ষাৎ হবে। ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
স্কুলে ইসলামিয়াতের স্যার বলতেন, কোন কিছু নিয়ে গর্ব করা যায় না, কিন্তু নিজের সন্তানকে নিয়ে মা-বাবা গর্ব করতে পারেন।
দয়াময় আল্লাহ আমাদের সকলের সন্তানদেরকে সফলতা দান করুন। আ-মী-ন।
ব্যক্তি হিসেবে আমি কিছুটা প্রচার বিমুখ বলে, অনেক কিছু দেখানোর মত হল থাকলেও দেখাতে পারি না! নতুবা আপনার সেই ঐতিহাসিক কবিতা বহু আগেই ব্লগে প্রকাশ করা হত যে কবিতাটা জুশান লিমেনিটিং করে তার নিজস্ব ফাইলে দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে চলছে। অনেক ধন্যবাদ।
সবাইকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা, রামাদান কারিম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন