দৃষ্টি আকর্ষণ! সবার প্রতি একটি প্রশ্ন?
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৪:৫৪ রাত
ছবির এই ভদ্রলোককে পুলিশ রাস্তায় শুইয়ে পিটাচ্ছে। তার পরিছন্ন কোট, পালিশ করা জুতো, পরিধেয় পেন্ট, মুজো, শার্ট দেখে কি মনে হয় তিনি পিকেটিং করতে বের হয়েছিলেন? নিঃসন্দেহ বলা যায় তাকে জামায়াত কর্মী মনে করে পুলিশ এভাবে সন্দেহের বশে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে! সেই ব্যক্তির একটি অপরাধ আছে, সেটি হল; তার মুখে হালকা দাড়ি আছে এবং সাহেবি কেতাদুরস্ত ভঙ্গিতে রাস্তায় চলাফেরা করেন। বর্তমানে পুলিশ রাস্তা থেকে ছোট দাড়ি ওয়ালা মানুষকে জামায়াত কর্মী সন্দেহ করে প্রকাশ্য নির্যাতনের নুতন মাত্রা যোগ করেছে।
আমার পরিচিত এক জন দুই সপ্তাহ আগে দেশে গিয়েছেন। তিনি এইবার হজ্ব করে করে দাড়ি রেখেছেন। দেশের অসুস্থ আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে যাবার পথেই মারমুখো পুলিশের মুখোমুখি। তিনি এক সাথে দুই প্রকার আচরণ সম্মত পুলিশের দেখা পান। কিছু পুলিশ তার বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী ছিল। কিছু পুলিশ কোন কথা নাই বলেই, শালার পুতের হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে দে বলে ঝাঁপিয়ে পরে। পরে তার আত্মীয়রা টাকা কড়ির বিনিময়ে তাকে উদ্ধার করে আনে। টকশোতে আওয়ামী এম'পি রণি বলেছেন, তার এক দাড়ি ওয়ালা আত্মীয় যিনি লীগ করেন, তাকে পুলিশে জামাই আদর করে ধরে নিয়েছে। বিএনপি নেতা আলাল টিভি টক শোতে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব প্রাপ্ত মুখে দাড়িওয়ালা এক আত্মীয় দেশে বেড়াতে আসার পর গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় পয়সার বিনিময়ে তাকে মুক্ত করে আনা হয়। এই দুইটি উদ্ধৃতি আমি নিজেই টিভিতে দেখেছি।
এবার আমি দেশে যেতে চাইলে, সকল আত্মীয়রা নিষেধ করেছে প্রয়োজন না হলে দেশে না যেতে। আমার মুখেও দাড়ি আছে, পুলিশ আমাকে দেখে মাওলানাও মনে করবে না, আবার তবলীগ জামায়াতের অসহায় মুসলমানও মনে করবেনা। হয়ত সে কারণে আত্মীয়রা এ যাত্রায় দেশে যেতে নিষেধ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ, চাকুরীজিবী, চাষা, কৃষক, শ্রমিক, গ্রহস্থ দাড়ি রাখে, অনেক হিন্দুও দাড়ি রাখে। তাদের দাড়ি লম্বা নয়, বেটে দাড়ি হলেই যে সে জামায়াত শিবির হবে এটা কোন ধরনের যুক্তি! এটা কি মানুষ চিনার উপায়! একদা মিশরের বন্ধুদের দেখতাম তারা দেশে যাবার সময় দাড়ি কেটে যেত, ফিরে এসে যথারীতি দাড়ি রেখে দিত। মৌসুমি দাড়ি রাখার প্রবণতা নিয়ে আমরা তাদেরকে হেয় করতাম! বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বড়ই আফসোস লাগছে যে, একদা মিশরীয়দের সাথে ফেরআউনের অত্যাচারের মুখে তাদের নিয়ে তামাশা করেছিলাম!
বর্তমানে দাড়ি ওয়ালা যারা দেশে আছে তাদের অবস্থা আরও নাজুক। তার উদাহরণ উপরের নির্যাতিত এই ভদ্রলোক! আমাদের দেশে দাড়ি ওয়ালা মানুষের দুই প্রকার চিন্তা ধারা কাজ করে।
তাদের প্রথম প্রকার হল,
এদের মুখে দাড়ি থাকে, হাতে তসবিহ, মুখে আল্লাহর নাম, আচরণে নিরীহ, অন্যায়ে প্রতিবাদ হীন, সরকারী জুলুমকে জনগণের প্রাপ্য মনে করে। নিজেরা রাজনীতি করেনা এবং ক্ষমতার লোভ নাই বলে নিজেদের নির্লোভ প্রমাণে সদা তৎপর থাকে। ফলে সামনে যত প্রকার অন্যায় ঘটতে দেখে, সেটাকে লোভের খেসারত ভেবে নির্যাতিতের পক্ষে কথা বলেনা এমনকি ঘটনা না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলে যায়।
তাদের দ্বিতীয় প্রকার হল,
এদের মুখেও দাড়ি থাকে। এরা সাধ্যানুসারে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। বিপদ গ্রস্থ কাউকে সাহায্য করতে নিজ দায়িত্বে এগিয়ে আসে কিংবা নিজের নিশ্চিত ক্ষতি হবে জেনেও নির্যাতিতকে আশ্রয় দেয়। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে, নির্যাতিতের পক্ষে ভূমিকা রাখা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করে। তারা বিশ্বাস করে, দেশের ১০ কোটি মানুষ পল্টন ময়দানে সুদ বিহীন জীবন চায় বলে চিৎকার করলেও কোন ফায়দা হবেনা। তারা দৃঢ় ভাবে আরও বিশ্বাস করে যে, জাতীয় সংসদে ২২১ জন মানুষ সুদ বিহীন জীবন চাই বলে দাবী করলে তার পরদিন থেকে দেশে সুদ বিহীন সমাজ জীবন শুরু হবে! তাই রাষ্ট্রীয় জীবন বদলাতে ও অরাজক সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সেখানে নূতন সমাজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে রাজনীতি ব্যতীত অন্য কোন উপায় নাই। তাই তারা রাজনীতি করাকে কল্যাণকর ও দূনীর্তী মুক্ত জীবন প্রতিষ্ঠায় একমাত্র সমাধান মনে করে।
রাজনীতির মাঠে সুসংগঠিত কোন শক্তিতে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠার কোন সুযোগ দিতে চায়না দুনিয়ার কায়েমি স্বার্থবাদী দল। তারা এসব দলকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি মনে করে। কেননা আদর্শবাদী ক্যাডার ভিত্তিক দলের পক্ষে জনসমর্থন কত, এটা অতীত দুনিয়ার ইতিহাসে খুব বেশী বিবেচ্য হয়নি। একবার যদি এরা ক্ষমতায় বসতে পারে, তাদেরকে উৎখাত করা আর আসমান থেকে কেয়ামত নামানো একই কথা।
মাত্র ১৭% জন জনসমর্থন নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি রাশিয়ার ক্ষমতায় এসেছিল, ৯০ বছরেও তাদের দাপট কমেনি! গন চীন, কিউবা, কোরিয়া এসবের জ্বলন্ত উদাহরণ। সামান্য সংখ্যক মানুষের সমর্থন নিয়ে ইমাম খোমেনীর শিষ্য আহমাদী নেজাদ ক্ষমতায়! পুরো দুনিয়ার পাহাড় সম বাধার মুখে, ক্ষুদ সমর্থন নিয়ে দাড়িয়ে আছে হামাস আর হিজবুল্লাহর মত বিপ্লবী দল। সামান্য ক্ষুদ্রাস্ত্র হাতে নিয়ে তালেবানেরা, ন্যাটোর জগত বিখ্যাত বিশাল সমর শক্তির মোকাবেলা করছে। এই সংগ্রামে না তালেবান পরাজিত হল, না আমেরিকা জিতেছে!
বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার চায় পুরো জাতি চুলোর আগুনে পুড়ুক, তাতে কিছু আসে যায়না। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ক্ষুদ্র হলেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় এমন কোন ইসলামী দলকে বাংলার মাটিতে বরদাশত করা হবেনা। কেননা তাদের আগমনে যাকে প্রথম ধাক্কায় বিদায় হতে হবে সেটা হল ভারত বান্ধব আওয়ামীলীগ ও দেশ থেকে প্রায় নিশ্চিহৃ বামপন্থিরা। তাই দাড়িওয়ালা প্রতিবাদী এসব মানুষের উপর তাদের এত আক্রোশ। তাদের রুখে দিতে যত অন্যায্য উপকরণ প্রয়োজন তার সবটাই তারা প্রয়োগ করবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার, মানবতা-বিরোধী অপলাপ একপ্রকার তামাশা ও আওয়ামী ভণ্ডামি ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি তোমাদের বিজয় দিব, যদি তোমরা মুমিন হও’। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কারা মুমিন, কারা ফাসিক, কারা মোনাফেক, কারা জালিম তাদের লুকানো চেহারা প্রকাশিত হয়ে উঠেছে। এই চিত্র যেভাবে বিজয়ের সেভাবে গজবের। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব আসার জন্য যে যৎ সামান্য উছিলার দরকার; তার সবটাই আমাদের মাঝে পরিপূর্ণ বিদ্যমান। আল্লাহর ওয়াদা ‘অতঃপর আমি তাদের এমন স্থান দিয়ে পাকড়াও করব যার সম্পর্কে তাদের কোন ন্যুনতম সাধারণ ভবিষ্যৎ ধারনাও ছিলনা’। এই মুহূর্তে এসব অপশক্তির জন্য নবীর ভাষায় দোয়া ব্যতীত কিছুই নাই, “আল্লাহ এদের তুমি হেদায়েতের মাধ্যমে রহম দাও, যদি এরা তোমায় হেদায়েতের উপযুক্ত না হয় তাহলে...........”
ছবির এই ভদ্রলোককে পুলিশ রাস্তায় শুইয়ে পিটাচ্ছে। তার পরিছন্ন কোট, পালিশ করা জুতো, পরিধেয় পেন্ট, মুজো, শার্ট দেখে কি মনে হয় তিনি পিকেটিং করতে বের হয়েছিলেন? নিঃসন্দেহ বলা যায় তাকে জামায়াত কর্মী মনে করে পুলিশ এভাবে সন্দেহের বশে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে! সেই ব্যক্তির একটি অপরাধ আছে, সেটি হল; তার মুখে হালকা দাড়ি আছে এবং সাহেবি কেতাদুরস্ত ভঙ্গিতে রাস্তায় চলাফেরা করেন। বর্তমানে পুলিশ রাস্তা থেকে ছোট দাড়ি ওয়ালা মানুষকে জামায়াত কর্মী সন্দেহ করে প্রকাশ্য নির্যাতনের নুতন মাত্রা যোগ করেছে!
আমার পরিচিত এক জন দুই সপ্তাহ আগে দেশে গিয়েছেন। তিনি এইবার হজ্ব করে করে দাড়ি রেখেছেন। দেশের অসুস্থ আত্মীয়ের সাথে দেখা করতে যাবার পথেই মারমুখো পুলিশের মুখোমুখি। তিনি এক সাথে দুই প্রকার আচরণ সম্মত পুলিশের দেখা পান। কিছু পুলিশ তার বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী ছিল। কিছু পুলিশ কোন কথা নাই বলেই, শালার পুতের হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে দে বলে ঝাঁপিয়ে পরে। পরে তার আত্মীয়রা টাকা কড়ির বিনিময়ে তাকে উদ্ধার করে আনে। টকশোতে আওয়ামী এম'পি রণি বলেছেন, তার এক দাড়ি ওয়ালা আত্মীয় যিনি লীগ করেন, তাকে পুলিশে জামাই আদর করে ধরে নিয়েছে। বিএনপি নেতা আলাল টিভি টক শোতে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব প্রাপ্ত মুখে দাড়িওয়ালা এক আত্মীয় দেশে বেড়াতে আসার পর গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় পয়সার বিনিময়ে তাকে মুক্ত করে আনা হয়। এই দুইটি উদ্ধৃতি আমি নিজেই টিভিতে দেখেছি।
এবার আমি দেশে যেতে চাইলে, সকল আত্মীয়রা নিষেধ করেছে প্রয়োজন না হলে দেশে না যেতে। আমার মুখেও দাড়ি আছে, পুলিশ আমাকে দেখে মাওলানাও মনে করবে না, আবার তবলীগ জামায়াতের অসহায় মুসলমানও মনে করবেনা। হয়ত সে কারণে আত্মীয়রা এ যাত্রায় দেশে যেতে নিষেধ করেছে। দেশের সাধারণ মানুষ, চাকুরীজিবী, চাষা, কৃষক, শ্রমিক, গ্রহস্থ দাড়ি রাখে, অনেক হিন্দুও দাড়ি রাখে। তাদের দাড়ি লম্বা নয়, বেটে দাড়ি হলেই যে সে জামায়াত শিবির হবে এটা কোন ধরনের যুক্তি! এটা কি মানুষ চিনার উপায়! একদা মিশরের বন্ধুদের দেখতাম তারা দেশে যাবার সময় দাড়ি কেটে যেত, ফিরে এসে যথারীতি দাড়ি রেখে দিত। মৌসুমি দাড়ি রাখার প্রবণতা নিয়ে আমরা তাদেরকে হেয় করতাম! বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে বড়ই আফসোস লাগছে যে, একদা মিশরীয়দের সাথে ফেরআউনের অত্যাচারের মুখে তাদের নিয়ে তামাশা করেছিলাম!
বর্তমানে দাড়ি ওয়ালা যারা দেশে আছে তাদের অবস্থা আরও নাজুক। তার উদাহরণ উপরের নির্যাতিত এই ভদ্রলোক! আমাদের দেশে দাড়ি ওয়ালা মানুষের দুই প্রকার চিন্তা ধারা কাজ করে।
তাদের প্রথম প্রকার হল,
এদের মুখে দাড়ি থাকে, হাতে তসবিহ, মুখে আল্লাহর নাম, আচরণে নিরীহ, অন্যায়ে প্রতিবাদ হীন, সরকারী জুলুমকে জনগণের প্রাপ্য মনে করে। নিজেরা রাজনীতি করেনা এবং ক্ষমতার লোভ নাই বলে নিজেদের নির্লোভ প্রমাণে সদা তৎপর থাকে। ফলে সামনে যত প্রকার অন্যায় ঘটতে দেখে, সেটাকে লোভের খেসারত ভেবে নির্যাতিতের পক্ষে কথা বলেনা এমনকি ঘটনা না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলে যায়।
তাদের দ্বিতীয় প্রকার হল,
এদের মুখেও দাড়ি থাকে। এরা সাধ্যানুসারে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। বিপদ গ্রস্থ কাউকে সাহায্য করতে নিজ দায়িত্বে এগিয়ে আসে কিংবা নিজের নিশ্চিত ক্ষতি হবে জেনেও নির্যাতিতকে আশ্রয় দেয়। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে, নির্যাতিতের পক্ষে ভূমিকা রাখা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করে। তারা বিশ্বাস করে, দেশের ১০ কোটি মানুষ পল্টন ময়দানে সুদ বিহীন জীবন চায় বলে চিৎকার করলেও কোন ফায়দা হবেনা। তারা দৃঢ় ভাবে আরও বিশ্বাস করে যে, জাতীয় সংসদে ২২১ জন মানুষ সুদ বিহীন জীবন চাই বলে দাবী করলে তার পরদিন থেকে দেশে সুদ বিহীন সমাজ জীবন শুরু হবে! তাই রাষ্ট্রীয় জীবন বদলাতে ও অরাজক সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সেখানে নূতন সমাজ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে রাজনীতি ব্যতীত অন্য কোন উপায় নাই। তাই তারা রাজনীতি করাকে কল্যাণকর ও দূনীর্তী মুক্ত জীবন প্রতিষ্ঠায় একমাত্র সমাধান মনে করে।
রাজনীতির মাঠে সুসংগঠিত কোন শক্তিতে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠার কোন সুযোগ দিতে চায়না দুনিয়ার কায়েমি স্বার্থবাদী দল। তারা এসব দলকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি মনে করে। কেননা আদর্শবাদী ক্যাডার ভিত্তিক দলের পক্ষে জনসমর্থন কত, এটা অতীত দুনিয়ার ইতিহাসে খুব বেশী বিবেচ্য হয়নি। একবার যদি এরা ক্ষমতায় বসতে পারে, তাদেরকে উৎখাত করা আর আসমান থেকে কেয়ামত নামানো একই কথা।
মাত্র ১৭% জন জনসমর্থন নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি রাশিয়ার ক্ষমতায় এসেছিল, ৯০ বছরেও তাদের দাপট কমেনি! গন চীন, কিউবা, কোরিয়া এসবের জ্বলন্ত উদাহরণ। সামান্য সংখ্যক মানুষের সমর্থন নিয়ে ইমাম খোমেনীর শিষ্য আহমাদী নেজাদ ক্ষমতায়! পুরো দুনিয়ার পাহাড় সম বাধার মুখে, ক্ষুদ সমর্থন নিয়ে দাড়িয়ে আছে হামাস আর হিজবুল্লাহর মত বিপ্লবী দল। সামান্য ক্ষুদ্রাস্ত্র হাতে নিয়ে তালেবানেরা, ন্যাটোর জগত বিখ্যাত বিশাল সমর শক্তির মোকাবেলা করছে। এই সংগ্রামে না তালেবান পরাজিত হল, না আমেরিকা জিতেছে!
বাংলাদেশের আওয়ামী সরকার চায় পুরো জাতি চুলোর আগুনে পুড়ুক, তাতে কিছু আসে যায়না। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ক্ষুদ্র হলেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় এমন কোন ইসলামী দলকে বাংলার মাটিতে বরদাশত করা হবেনা। কেননা তাদের আগমনে যাকে প্রথম ধাক্কায় বিদায় হতে হবে সেটা হল ভারত বান্ধব আওয়ামীলীগ ও দেশ থেকে প্রায় নিশ্চিহৃ বামপন্থিরা। তাই দাড়িওয়ালা প্রতিবাদী এসব মানুষের উপর তাদের এত আক্রোশ। তাদের রুখে দিতে যত অন্যায্য উপকরণ প্রয়োজন তার সবটাই তারা প্রয়োগ করবে। যুদ্ধাপরাধের বিচার, মানবতা-বিরোধী অপলাপ একপ্রকার তামাশা ও আওয়ামী ভণ্ডামি ব্যতীত অন্য কিছু নয়।
আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি তোমাদের বিজয় দিব, যদি তোমরা মুমিন হও’। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কারা মুমিন, কারা ফাসিক, কারা মোনাফেক, কারা জালিম তাদের লুকানো চেহারা প্রকাশিত হয়ে উঠেছে। এই চিত্র যেভাবে বিজয়ের সেভাবে গজবের। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব আসার জন্য যে যৎ সামান্য উছিলার দরকার; তার সবটাই আমাদের মাঝে পরিপূর্ণ বিদ্যমান। আল্লাহর ওয়াদা ‘অতঃপর আমি তাদের এমন স্থান দিয়ে পাকড়াও করব যার সম্পর্কে তাদের কোন ন্যুনতম সাধারণ ভবিষ্যৎ ধারনাও ছিলনা’। এই মুহূর্তে এসব অপশক্তির জন্য নবীর ভাষায় দোয়া ব্যতীত কিছুই নাই, “আল্লাহ এদের তুমি হেদায়েতের মাধ্যমে রহম দাও, যদি এরা তোমায় হেদায়েতের উপযুক্ত না হয় তাহলে...........”
বিষয়: বিবিধ
১৭২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন