অমাবস্যার কৃষ্ণ রাতে চিতায়: ভুতের মুখোমুখি! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১৫ (রোমাঞ্চকর কাহিনী)
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০৩ মে, ২০১৪, ০২:৫৬:০১ দুপুর
ভীতিকর চিৎকার টি হুতুম পেঁচার হতে পারে বলে সন্দেহ ছিল। আমাদের খামার বাড়ীতে একটি লেকের ধারে দিন দুপুরে চলার সময় এক ভীতিকর শব্দে বাবাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। আতঙ্কিত স্বরে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এটা কি? তিনি হেঁসে বললেন, এটা হুতুম পেঁচা! এই পেঁচা বহু ধরনের ভীতিকর স্বরে ডাক দিতে জানে। গভীর রাত্রে হঠাৎ ভীতিকর শব্দে ডাক দিলে, নিকটস্থ নিশাচরী ছোট প্রাণীরা আতঙ্কে স্থান পরিবর্তন করে বসে। সেই সুযোগে হুতুম চাচা তাদের অবস্থান নির্ণয় করে ফেলে ও শিকারের উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অব্যর্থ কৌশল! অন্ধকারের আতঙ্ক সম্পর্কে ধারণা না থাকলে, হুতুম পেঁচার মত নিরীহ পাখির, একটি ভীতিকর শব্দে আর্মি জেনারেলেরও পিলে চমকে উঠবে! আবার ভাবলাম সেটা যদি হুতুম হবে, তাহলে আমার মাথার উপরে চিল্লাবে কেন? ধুপ ধাপ করা জিনিষ কেনই বা আমার গায়ে ছুঁড়ে মারবে? আর সেটিই বা জিনিষ? আবার চিন্তা করলাম আমি এভাবে ভাবছি কেন! এটাতো ভুতের একটা ফাঁদ হতে পারে, হবে বলে তো বইয়ে নিশ্চত ধারণা দেওয়া হয়েছে! নিজেক প্রবোধ দিলাম, দুনিয়াবি বুদ্ধি দিয়ে, অদৃশ্য জগতের ব্যাখ্যা দাঁড় করালে চলবে না। আমাকে প্রথমে ভাবতে হবে এটা ভুতের কাজ হতে পারে, কেননা তার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এরপরে কোন সদুত্তর না পেলে দুনিয়ার কোন ব্যতিক্রম কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। ভাবের তন্ময়তার মাঝে, এক পর্যায়ে ধুপ ধাপ আওয়াজ বন্ধ হল, শ্মশানে ভয়ঙ্কর সুনসান নীরবতা নেমে আসল।
১৯৭৯ সালের এই রাত্রে আমাদের বাজারে ইলেক্ট্রিসিটি এসেছে। গতকাল বিকেলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাজারের পার্শ্বে বসানো ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে। এলাকার মানুষের মাঝে নতুন আনন্দ, নতুন অনুভূতি কাজ করছে। পুরো বাজারের তিন কোনায় তিনটি একশত ওয়াটের বাতি খাম্বার সাথে লটকিয়ে রাখা হয়েছে। হালদা নদীর ওপারে ঠিক শ্মশানের বিপরীতে একটি বাতি জ্বলছে। সেই আলোর অবস্থান অনেক দুরে হলেও, গভীর অন্ধকার ভেদ করে তার কিঞ্চিত পরিমাণ আলো আমার দাঁড়িয়ে থাকা স্থানে আছড়ে পড়ছে। ধুপ ধাপ করা যায়গায় আবারো চোখ বুলালাম, সোনালী কিংবা রূপালী রংয়ের মত চক চক করা কিছু একটি তখনও নড়ছে। ঘটনাটি ঘটতে হয়ত দুই মিনিটও লাগেনি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বিপদে কতকাল অতিবাহিত হয়ে গেল! সম্বিৎ ফিরে পেলাম, আমাকে তো এসব পরীক্ষা উৎরে চিতার নিকটে পৌছতে হবে! এই অভিযানের ধরনটাই এমন, এখানে সাহস টাই আসল পুঁজি। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা তো হয়ে গেল, এখনও বহাল তবিয়তে আছি সুতরাং বুঝতেই তো পারছি সাহসকে অন্তরে বেঁধে ফেলতে পারলে সফলতা শতভাগ নিশ্চিত। ছুরিটি হাতের কব্জায় ঠিক মত আছে কিনা দেখে নিলাম। চিতার উদ্দেশ্য আবারো হাঁটা দিলাম।
কিছুক্ষণের মধ্যে একেবারে চিতার সামনে হাজির। চিতার সামনে দাড়িয়ে চারদিকে দেখলাম, স্থানটিকে অনেকটা ঝুঁকি মুক্ত মনে হল! কেননা গতকাল অনেক মানুষ স্থানটিতে হাটা হাটি করে ও আশে পাশের ঝোপ ঝাড় কেটে কিছুটা পরিষ্কার ও প্রশস্ত করে ফেলেছে। নিশ্চিত হলাম ভুত এই স্থানে পৌঁছার অনেক আগেই আমি তাকে দেখে ফেলব। গতকাল বিকেলে যে স্থানে মাটির কলসি দেখেছিলাম, সে স্থানটি উদ্ধার করতে আমার কষ্ট হচ্ছিল। চিতার পাশেই তো ছিল স্থানটি কিন্তু এখন সেই স্থানটি চিনতে পারছিনা কেন? ভাবলাম কলসটি উদাও করা হয়েছে কিনা! নাকি আমার আগে কেউ এসে বাজিমাত করেছে! ঠিক সেই সময়ে সেই ধুপ ধাপ করা স্থান থেকেই পরিষ্কার ভাষায় আমার নাম ধরে ডাক দেওয়া হল, ‘টিপু তুমি কোথায়’?
শরীরের প্রত্যেকটি লোম খাড়া হয়ে গেল? আমি অনুধাবন করতে পারছি আমার মাথার লম্বা চুল গুলোর কোন একটিও শোয়া অবস্থায় নাই, প্রতিটি চুল নব্বই ডিগ্রী বরাবর দাঁড়িয়ে আছে। চিতাকে সামনে রেখে কলসি রাখার স্থানটির প্রতি নজর রেখে দাঁড়িয়েছি, গভীর মনোনিবেশ সহকারে অনুধাবন করার চেষ্টা করছি চারিদিকে কি হচ্ছে? সময় যায়, আমি দাড়িয়ে! অনেক্ষন অপেক্ষা করলাম, নতুনত্ব কিছু না দেখায়, চিতার চারিদিকে ঘুরতে থাকলাম, বেশ কয়েকবার প্রদক্ষিণ করলাম। নাহ্! কলসি নাই। নিকটের ঝোপটিও কমপক্ষে দশ গজ দূরে। তারার আলো ও দূরের বাজারের বাতির আলে মিশিয়ে স্থানটি আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। কোথায় ছিল কলসিটা? হ্যাঁ ঐ খানেই তো ছিল! সেখানে গেলাম, তাজা পানির অস্তিত্ব তখনও আছে, কলসির বসানোর জন্য গোলাকার স্থানটি বুঝাই যাচ্ছে। কলসিটা নাই কেন! তাহলে এটা কি ভুতের কাণ্ড!
ভাবতে রইলাম, আমার কিছু কাজে কাট-সাট করার কারণেই হয়ত কলসিটি হাতছাড়া করলাম। অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এই প্রথম বার মাথা তুলে চারিদিকে তাকালাম। কোন পরিবর্তন নাই, সন্দেহ জনক কিছু পেলাম না। হঠাৎ মাথায় আসল চিতায় মৃত ব্যক্তির নাভিটি সহজে ছাই হয়না। সেটি যাদু মন্ত্রের কাজের জন্য অনেক দরকারি জিনিস। যেই ভাবা সেই কাজ, বসে গেলাম চিতার সামনে। ছুরি দিয়ে চিতার কয়লা নাড়া দিলাম। এখনও লাল কয়লা দগদগ করছে! আশ্চর্য হলাম, এত বড় একটা মানুষকে জ্বালাতে কত বড় বড় গাছের টুকরা পোড়ানো হল, সবশেষে কয়লার পরিমাণ সেই মাটির সমতলেই পড়ে আছে! পুরো চিতায় চাকু চালালাম, নাভি তো দূরের কথা লাল আগুনে ছুরিটি কোথাও বাধাগ্রস্ত পর্যন্ত হলনা। চিন্তা করলাম, আজ কপাল এমনই খারাপ, নাভিটি পর্যন্ত ছাইয়ে পরিণত হল! চিন্তা করছি নদী সাঁতরিয়ে আসলে হয়ত, কাজটা সফল হত! ঠিক সেই মুহূর্তেই ঠিক আমার পিছনে খটাশ করে শব্দ হল!
এক সেকেন্ডের সিদ্ধান্তে লাফ দিয়ে উঠলাম এবং আতঙ্কিত বেবুনের মত মুহূর্তেই পিছন ফিরে ঘুরে দাঁড়ালাম। মূর্তিমান আতঙ্কের মত, মাত্র দশ হাত দূরেই এক অবয়ব দাঁড়িয়ে। আমার কপালে সামনের দিকে এক জোড়া চোখ, ধারনা করছি পিছনে ডানে বামে আরো হাজার জোড়া চোখ ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে চারিদিকে কি হচ্ছে সবটাই আমি দেখতে পাচ্ছি, ক্ষীণ প্রতিটি শব্দও যেন আমি শুনতে পাচ্ছি। শিরাগুলো রক্তে ফুলে উঠেছে, নিঃশ্বাস ঘন ঘন চলাচল করছে, শরীরের সমুদয় লোমগুলো ততক্ষণে জঙ্গলি সজারুর কাঁটার মত চারিদিকে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানতাম ভুতের কাছে ক্ষমা চাওয়া না চাওয়ার কোন মূল্য নেই। আজ হয়ত আমি বাঁচব নয়ত মরবো। কলসের কথা ভুলে গিয়ে কিভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি সেটাই চিন্তা করছি।
কড়া গলায় প্রশ্ন করলাম, কে? কি চাই? উত্তরে বলল আমি আবদুল্লাহ!
বললাম, আবদুল্লাহ, মুহিবুল্লাহ যেই হও না কেন, এখুনি এখান থেকে না গেলে পেটের নাড়ি ভুঁড়ি রাস্তায় রাস্তায় করব। প্রচণ্ড ধমক দিয়ে বললাম যাও......। আতঙ্কজনক গলায় উত্তর দিল, কিভাবে যাব? পিছনে যে ভুত আসছে!!
ভুত! কিসের ভুত? কোথায় ভুত? তুমি নিজেই তো ভুত!
দূরের বাজারের আলো আর আমার মাঝখানে মনুষ্যাকৃতির এই ভূত সটান দাড়িয়ে আছে! অন্ধকারে সামান্য আলোর মাঝে আবছা করে আকৃতি বুঝা যাচ্ছে। তবে চেহারা দেখা যাচ্ছে না, তাই শরীরের গঠন বুঝতে পারছিনা। অথচ সে আমার সামনেই দাড়িয়ে, আামি তাকে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি!
বললাম ধানাই-পানাই ছেড়ে, এখুনি এখান থেকে ভাগ, নতুবা ভয়ানক কিছু হয়ে যেতে পারে!
আবারো কাকুতি করে বলল, শোন সত্যিই আমি আবদুল্লাহ! আমি কিভাবে যাব? আমকে ভুত অনুসরণ করছে! তোমাকে ছাড়া সেদিকে একা যেতে আমি ভয় পাচ্ছি!
মামার বাড়ীর আবদার পেয়েছ? আমি কি তোমাকে এখানে ডেতে এনেছি যে, আমাকে ছাড়া তুমি যেতে পারবে না? অতি স্বত্বর চলে যেতে বলছি, না হলে আমি ধৈর্য হারাচ্ছি।
তার কথা শেষ হবার আগেই চেরাগের আলোর মত ছোট্ট একটি বাতি সহ এক ভুত পিছন থেকে এগিয়ে আসতে দেখলাম! বাঁশ বাগানের ঘন অন্ধকারের ঠিক পরেই ডান দিকে মোড় না নেওয়া পর্যন্ত এই আলো চোখে পড়েনি। যখনই মেঠো রাস্তাটি হঠাৎ ডানে মোর নিয়েছে, তখনই আলোর ছটা চোখে পড়েছে। ভুত এদিকেই আস্তে আস্তে করে এগিয়ে আসছে। আউলা চুল, লম্বা নাক, উদভ্রান্ত চলা, হাতে আগুন। এখনও বেশ দুরে, নিরাপদ দূরত্বেই আছে।
সামনে দাঁড়ানো নিকটের ভুত বলে উঠল, ঐ দেখ ভুত! আমি সজোড়ে চিৎকার করে বললাম, চুপ! একদম চুপ! একটি কথাও নয়, এখুনি চলে যাও।
চিন্তা করছি! কি মুসিবতে পড়লাম! চিন্তা করছি সময় ক্ষেপণের জন্য এটা সামনের ভুতের কোন চালাকি কিনা। আমি যাকে ভুত বলে ভয় পাচ্ছি, সেই ভুত আবার পরবর্তী ভুতের ভয়ে অস্থির! দূরের আলোর ভুত এখানে পৌছার পরে যদি নতুন করে আরেক ভুতের আগমন হয়, তখন কি হবে? এভাবে আসতে আসতে তারা সংখ্যায় বড় হয়ে আমাকেও এই চিতায় ঢুকায় কিনা?
এই জনপদে একটি কথা মুখে মুখে প্রচলিত আছে যে, হালদা নদীর দুই কুলে আলো নিয়ে ভুত চলাফেরা করে। তারা মাছের সন্ধান করে। যে সব জ্বেলেরা রাত্রে জাল নিয়ে মাছ ধরে, তাদের কাছে ভুত মাছের জন্য বায়না ধরে। মাছ দিতেই হয়, নতুবা অনিষ্ট সাধন করে। এমন কি হালদায় যেসব মাঝি মাল্লা নৌকায় রাত্রি যাপন করে, তাদেরকেও চেরাগ ভুত জ্বালাতন করে। আগে শুনতাম, বিশ্বাস করার প্রয়োজন পড়েনি! কিন্তু আজ বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কোন ব্যাপার নয়, ভুত তো সামনেই দেখতেই পাচ্ছি আর আমি নিজেই তার শিকার। সেই চেরাগ ভুত হঠাৎ করে দূর থেকে খনখনে গলায় ডেকে বলল, ‘তোরা কই’?
চেরাগ ভুতের এই ডাকের আওয়াজ হালদা নদীর কুলে কুলে তীব্র প্রতিধ্বনিত হল। নিশুতি রাতের নীরবতাকে চৌচির করে ‘তোরা কই’ শব্দটি দিগন্তে বিলীন হয়ে গেল! ভাবছি বিপরীত দিকে চলা শুরু করব কিনা? নাকি সজোড়ে দৌড় লাগাব? আবার মাথায় আসল দৌড় দিলেও ভুতের গতির কাছে আমার গতি হার মানবে।
‘দশ চক্রে ভগবান ভুত’ শিরোনামে হিন্দু সাহিত্যিকের একটি বই পড়েছিলাম। অতি কৌতূহলে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েও দশ চক্রে পড়ে ভগবান কিভাবে ভুত হয় ব্যাপারটি আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি। অমাবস্যার গভীর রাত্রে শ্মশানের পাঠাগারে দাড়িয়ে আজ সেই কথাটির অর্থ মর্মে মর্মে বুঝতে পারছি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়াল যে, দশ চক্রের কথা বাদ! এই মুহূর্তের ত্রি-চক্রেও যদি খোদ ভগবান আমাদের উপকারার্থে মর্ত্যে নেমে আসে, তাহলে উপস্থিত তিন জন, ভগবানকেই চতুর্থ নম্বর ভুত হিসেবে চিত্রিত করবে!
চেরাগ ভুতের দূরত্ব কমতে কমতে অনেক কাছেই চলে আসছে। আবারো চিৎকার করল, তোরা কই? বিকট লম্বা চিৎকার! ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের সামনে, চেরাগ ভুতের পিছনে, নদীর ওপাড়ে বিকট শব্দে আকাশে আলোর ঝলকানি উঠল! আতশবাজির মত প্রচুর আলো সৃষ্টি হয়ে, বিরাট এলাকা আলোকিত করে ফেলল! সেই তীব্র আলোতে নদীর ওপারে বাজারের রাস্তা-গলি সবই যেন দেখতে পেলাম! চেরাগ ভুত চিল্লায়ে বলে উঠল ওরে বাবারে........।
মুহূর্তে আবারো প্রকট শব্দ করে আকাশে ব্যাপক আলোর ঝলকানি উঠল। এবার দুই ভুত এক সাথে চিল্লায়ে উঠল ওরে বাবারে......। এই আলোতে আমি সামনের ভুতকে পরিষ্কার দেখতে পেলাম, পরের ভুত সম্পর্কে নিশ্চিত হলাম! ঠিক সাথে সাথেই আবারো আলোর ঝলকানি উঠল, এবারে এক সাথে দুইবার! দুই ভুতে আবারো একসাথে চিৎকার দিয়ে উঠল! চেরাগ ভুত বাবারে, বাঁচারে, ভুতরে বলে মাটিতে আলো ফেলে দিল! দূর থেকে মনে হল চেরাগ ভূত ভূপাতিত হয়েছেন।
প্রথম পর্ব: এক পিকুলিয়ার মানুষ! (রোমাঞ্চকার কাহিনী- ভূমিকা পর্ব)
আগের পর্ব: অমাবস্যার গভীর রাতে শ্মশানে গমন: চরম বিপদের মুখোমুখি! পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
২৫৫৪ বার পঠিত, ৪৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ। অপেক্ষায় থাকলাম।
আমিও আইজ্যা বুইঝতে পাইরলাম ভগবান কিভাবে ভূত হয়। একখান কথা বইলতে চাই বেআক্কেল বইলা মাপ করিয়েন, আসল কতা হইল দাদারা তো ভুতকেই ভগবান বলে। হেদের মাঝে ভুত আর ভগবানের মাঝে কুন তফাৎ নাই। :D/ :D/ :D/ :D/ :D/ :D/
চেরাগ ভুতের চক্রে দুই ভুত আর আর দুই ভুতের চক্রে তৃত্বিয় জন একেবারে...
সহসা শেষ করছেননা বুঝতে পারছি। তবে লাগছে বেশ। টানটান উত্তেজনা, শিহরণ জাগানো কাহিনী......। চেরাগ ভূত ভূপাতিত......। দেখা যাক কি ঘটতে চলছে সামনে। সাথেই আছি ইনশাল্লাহ।
১৯৯০ সালের ঘটনা। আমাদের এলাকাতে তথন রাস্তা ঘাটের তেমন উন্নয়ন হয়নি। বর্ষার মৌসুমে কাঁচা রাস্ত সব কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যেত। আমার ছোট্টচাচা আমাকে দিয়ে আগত রমজান মাসের আগেই কাঁচা ইফতারীর বিভিন্ন উপহারাদি দিয়ে আমার একমাত্র ফুফুর (পেটারনাল আন্টি) বাড়ীতে পাঠালেন। তখন ছিল বর্ষার মৌসুম। আমাদের গ্রাম থেকে আমার ফুফুদের গ্রামের দূরত্ব সোজাপথে দু’কিলোমিটার হবে। কিন্তু গ্রামীন রাস্তার পথ দিয়ে হেটে গেলে কম্পক্ষে আড়াই মাইলের কাচাকাছি হবে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আমিও ফুফুর বাড়ী থেকে আমাদের বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছি। সাথে আমার ফুফু প্রায় এক কেজির চেয়েও বেশী হবে তরুজাতা কৈ-মাছ দিলেন আমাদের বাড়ীর জন্য। উল্লেখ্য যে, ঐদিন ঘটনাচক্রে ফুফুর বাড়ীর সাথে লাগোয়া পুকুর থেকেই কৈমাছ গুলো ধরেছিলেন ফুফা। সন্ধ্যার পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। আমিও এই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ঝুকি নিয়েই কৈমাছ নিয়ে বাড়ী রওয়া দিলাম।
ফুফুর বাড়ী থেকে আমাদের বাড়ীতে আসার সময়েই ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলাম কথিত ভূত তথা স্থানীয় ভাষায় “মাউছ্যা দেও”এর কবলে পড়ে।
অপেক্ষায় রইলাম আরেকটি পোষ্টের।
প্রথমদিকের লেখাগুলোর চেয়ে শেষেরগুলো ছোট হয়ে যাচ্ছে কেন? সব পর্ব পড়েছি।বাস্তব ঘটনা নির্ভর লখাটার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
নতুন প্রপিকটা ঝাপসা দেখাচ্ছে । একটু পরিষ্কার করে দিলে ভাল হয়।
আবারো কাকুতি করে বলল, শোন সত্যিই আমি আবদুল্লাহ! আমি কিভাবে যাব? আমকে ভুত অনুসরণ করছে! তোমাকে ছাড়া সেদিকে একা যেতে আমি ভয় পাচ্ছি!
বাড়ীর আবদার পেয়েছ? আমি কি তোমাকে এখানে ডেতে এনেছি যে, আমাকে ছাড়া তুমি যেতে পারবে না? অতি স্বত্বর চলে যেতে বলছি, না হলে আমি ধৈর্য হারাচ্ছি।
ধানাই পানাই / মামুর বাড়ির আবদার হলে কেমন হত?
ধন্যবাদ।
দেখি সামনে কি হয় আবারো অপেক্ষায় রইলাম পড়ের পর্বের জন্য।
আপনার পুরাতন লেখাগুলোর সাথে মিলিয়ে পড়ছি। ভাবতে অবাক লাগছে এই আপনি কি সেই আপনি।
আল্লাহ আপনার যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দেন। আমীন।
কেননা, এই ধরনের একটি পথ থেকে যদি মহান আল্লাহ করুনা না করে, আমাকে যদি সঠিক পথ না দেখাতেন, তাহলে আমার ফেরার কোন সুযোগ ছিলনা। আমার জীবনে তাঁর অফুরন্ত দয়ার মাঝে এটিই অন্যতম।
এত যেন বাস্তব শ্রীকান্তের কাহিনী পড়ছি !!
মন্তব্য করতে লগইন করুন