জ্বীন বৈদ্য হিসেবে এলাকায় বিব্রতকর খ্যাতী অর্জন! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১১ (রোমাঞ্চকর কাহিনী)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৫:৫৫:৩৯ বিকাল



তাবিজের বইয়ের তালিকা মতে, কুমকুম, জাফরান, লাল চন্দন ও মেশকের গুড়া মিশিয়ে লাল কালি বানানো হল। নাহ! কালি যেভাবে লাল হবার দরকার ছিল সে মানের হয়নি। লাল কালির মেজেন্টা পাউডার যোগ করলাম, কালি চিকচিক করে উঠল! মেজেন্টা রংয়ের কথা কিতাবে ছিলনা, আমি নিজে যোগ করলাম। রাজমোহিনী বিদ্যার হাতে লিখা কিতাবের বই থেকে আবিষ্কার করেছিলাম, তাবিজের গুন দ্রুত কার্যকর করতে কবুতরের তাজা রক্ত যোগ করতে হবে। ফলে একজোড়া কবুতর কোরবান হল, রক্ত দিয়ে সেই ঐতিহাসিক তাবিজ, মালেক মৌলভীর মত করে, বড় আদব কায়দার সহিত লিখিত হল! কবুতর জোড়ার একটি দিয়ে সূপ এবং অন্যটি দিয়ে আমার জন্য রসালো খাবার জন্য রান্না হল। আমিও পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুললাম ভাবীও তাঁর তাবিজ পেয়ে আনন্দিত হলেন!

মাস তিনেক পরে এক মহিলাকে আমাদের ঘরে আম্মার পা ধরে পড়ে থাকতে দেখলাম! আমার আম্মা তার কাছে মাফ চাইছেন, সেই মহিলা আম্মার কাছে মাফ চাইছেন! এ ধরনের মাফ চাওয়ার বিরল ঘটনা আমাকে অতিমাত্রায় কৌতূহলী করে তুলল। মাকে প্রশ্ন করলাম কি হয়েছে? মা বললেন কোন কথা না বলে এখুনি এখান থেকে চলে যাও। সেই মহিলা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে হাউ মাউ করে বলে উঠল, বাবা যাইও না, আমার দুটি কথা শুনে যাও! অবশেষে যা বুঝলাম, এই মহিলার এক কন্যার ১০ বছর ধরে সন্তান হচ্ছেনা, তিনিও একটি তাবিজের আশায় বাড়ীতে এসেছেন। আমার আম্মা এতে কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। তাই তিনি হঠাৎ করে আম্মার পা ধরে বসেছেন। অগত্যা কাউকে কিছু না বলার শর্তে তাকেও একটি তাবিজ লিখে দিলাম।

এক সম্ভ্রাম্ভ ধনী লোকের বউ পাগল হল, তিনি লজ্জা শরমে এই কথা বাহিরে বলতে চাচ্ছেন না। তাঁর মেয়ে আছে, এই কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে, মেয়েদের বিয়ে দিতে সমস্যা হবে। তাই তিনি গোপনে কাজটি সাড়তে চাচ্ছিলেন। ভদ্রলোক কে কেউ আমার কথা বলেছে, তাই তারা আমার কথাই স্মরণ করছিল। সে হিসেবে আমাকে নিয়ে যাবার জন্য, আমাদের এক নির্ভরযোগ্য আত্মীয়কে মাধ্যম হিসেবে ধরল। এই বিশ্বস্ত ব্যক্তির সাথে মা আমাকে ভিন্ন কাজে কয়েক জায়গায় পাঠিয়েছিলেন। সেই ব্যক্তির সাথেই ধনী লোকের বাড়ীতে গমন। গিয়ে দেখি ভদ্রমহিলা চিৎকার করছেন। আমি কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ভদ্রলোক বললেন, সবার বিশ্বাস তোমার দ্ধারা আমাদের উপকার হবে। কাউকে মূল ঘটনা বলতে পারছিনা, তুমি কিছু দোয়া কালাম পড়ে আমার স্ত্রীকে ঝেড়ে দাও। ‘অনুরোধে ঢেঁকি গেলা’ বাগধারাটি বইয়ে পড়লেও আজ হাতে হাতে তার প্রমাণ পেলাম। যাক, যখন দোয়া পড়তে গেলাম তখন দেখি মহিলা আরো জোড়ে চিল্লাচ্ছে। ভাবলাম দেখিনা আবদুল কাদেরের পরামর্শ কোন কাজে আসে কিনা! হুবহু সেভাবেই করলাম যা আমি ইতিপূর্বে দুই তিন জন রোগীর ক্ষেত্রে দেখেছি। আধা ঘণ্টার মধ্যেই রোগী ভাল হয়ে গেল। ভদ্রলোক আমাকে আশ্চর্য করে দেবার মত পরিমাণ, টাকা দিতে চাইল, আমি না নিয়ে বিদায় হয়ে আসি। ঘটনাটি আমি গোপন রেখেছিলাম বটে, তবে নজির আহমেদ এর কারণে, সে বিষয়টি বিরাট এলাকার কোথাও আর গোপন থাকেনি!

এর পর থেকে চারিদিকে নানা-কথা কানাঘুষা শুরু হল। আমি বুঝতে পারলাম এসব কানাঘুষা আমাকে নিয়েই। মানুষ বলে বেড়াচ্ছে, আমি স্বপ্নে কোন জ্ঞান পেয়েছি, কেউ বলছেন কোন ভাল জিন আমার বশ্যতা স্বীকার করেছে, কেউবা বলছেন, এই বালক একদিন পড় পীর-বুজুর্গ হবেন। রাস্তা দিয়ে চলার সময় বড়োরাও আমাকে সালাম করছিল, বাজারে গেলে ফ্রি চা খাওয়ানোর হিড়িক পড়ে যাচ্ছিল। সর্বত্র অনাহুত ইজ্জত মর্যাদা পেতে লাগলাম! বন্ধুরা বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল, মুরুব্বীদের রাজ্যের কৌতূহল আমাকে ঘিরে। আমি যেন এই এলাকার নতুন কোন আগন্তুক! মানুষ বলাবলি করতে থাকল, ও যদি সাধারণ বালক হবে, তাহলে তার তাবিজে কিভাবে তের বছর ও দশ বছর পরে মানুষের বাচ্চা হয়! এটা তো দিনের মত পরিষ্কার একটি বিষয়। সে কোনদিন মাদ্রাসায় পড়েনি, অথচ আরবি লিখতে পারে। সে কোনদিন গ্রামের বাহিরে যায় নাই, অথচ অজানা কত মন্ত্র বিড়বিড় করে পড়ে ফেলে। নিশ্চয়ই এসব কিছু গায়েবী ব্যাপার স্যাপার।

অনেকে রাস্তা ঘাটে একটি তাবিজের জন্য বায়না ধরে। যেহেতু রাস্তা ঘাটে আমি তাবিজের বান্ডিল নিয়ে চলাফেরা করিনা, তাই ঘটনাস্থলে তাদের আবদার পূরণ করতে পারিনা। কেউ বলে একটু পানি পড়া দাও, পানি পড়া দিতে যেহেতু পূর্ব প্রস্তুতি লাগেনা তাই কাউকে সুবিধা মত পানি পড়া দিয়ে দিতাম। একদা চট্টগ্রামে ফাতেহা ছাড়া কোন অনুষ্ঠানে খাবার শুরু করত না। ফাতেহা পড়তেন মৌলভীরা। মেঝ ভাই মাদ্রাসায় পড়েন, তাই তাকে সামাজিক ভাবে ফাতেহা পড়া ও পানি পড়ার কাজ প্রতিনিয়ত করতে হত। শবে কদর, শবে বরাত, মোহররম, মীলাদুন্নবীতে ফাতেহা ও পানি পড়ার ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে তিনি আমাকে এসব শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর অবর্তমানে আমিও কখনও কাউকে, ফাতেহার জট থেকে মুক্তি দিতাম। তাই পানি পড়ার দোয়া সমূহ আমার জানা ছিল।

এতদিন বাজারে, দোকানে অনেকে আমাকে কলা, পেয়ারা, চা খাইয়ে যে মন দখল করেছিল তাদের মতলব পরিষ্কার হওয়া শুরু হল। তারা দাবী করতে থাকল, আমার ঐ কাজটি সফল হবার জন্য একটি তাবিজ বানিয়ে এনো। বুঝতে পারলাম একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই তারা এসব করেছে। ফ্রি খাওয়ার মজা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তাই যাদের নিকট থেকে ফ্রি চা, কলা, পেয়ারা, পেঁপে খেয়েছি, তারা আমার জন্য নতুন বিরক্তির কারণ হল। অগত্যা যাদের নিকট থেকে ফ্রি খেয়েছি, তাদের জন্য গোপনে তাবিজ লিখে পরিত্রাণ পেতে চাইলাম।

এখন কেউ ডাকলে ভুলেও ফ্রি খাইনা। তাই মানুষ এবার জোড় করে আমার পকেটে টাকা ঢুকিয়ে দিতে লাগল। টাকা নেবার ক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে না শব্দ শুনতেই চাইত না। এক পক্ষীয় প্রেমে পাগলা মজনুরা, সন্ধ্যায় আমার বাড়ী যাবার পথে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকত! বয়সে বড় এসব প্রেম-কাতর ব্যক্তিরা কাঁচুমাচু ও শরম মার্কা চেহারা নিয়ে আমার কাছে দাবী করত, একটি ভালবাসা সৃষ্টির তাবিজ দিতে। টাকা কড়ি যাই লাগে, আমার চাহিদা পূরণ করা হবে! কারো গ্রামের পাশ দিয়ে যাবার সময়, কেউ আমাকে বলে বসল, তোমার ফুফু আমাদের বাড়ীতে বেড়াতে এসেছে, তোমাকে যেতে বলেছে। বিশ্বাস করে সাথে গিয়ে আরেক মুসিবতে পড়তাম। মহিলাদের যন্ত্রণা সইবার মত নয়, একবার এদের খপ্পরে পড়লে নিস্তার নাই। দলে দলে মহিলা হুমড়ি খেয়ে পড়ত, কার কথা শুনব কি উত্তর দিব বুঝে আসত না। মহিলাদের দাবী গুলো ভিন্ন ধরনের হত, জিনের আছর থেকে মুক্তি, স্বামীর মনকে বাধ্য করা যাতে স্ত্রী ব্যতীত কিছুই চিন্তা না করে, সতিনের সাথে গোলমালে জিতে থাকা, সতিনের ছেলেকে দুর্বল করা, প্রতিবেশীকে পরাস্ত করা, শত্রুকে খতম করা, কারো মনে তাবিজের জোড়ে দখলে রাখা ইত্যাদি! আমার কথা কেউ শুনতে চাইত না, শুধু তাদের কথাই বলতে থাকে। অতি আবেগে কেউ আমাকে টিপু বাবা হিসেবে ডাকতে থাকে। এত অল্প বয়সে অতিমাত্রার ইজ্জত আমাকে কখনও কখনও গর্বিত করে তুলত! বয়সে বড় জনেরা প্রেমের জন্য তাবিজ চাইলে বড় বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যেতাম।

আগের পর্ব: বাবাকে দিয়েই প্রথম যাদু-মন্ত্রের সফলতা যাচাই! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১০ (রোমাঞ্চকর কাহিনী) পড়তে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

প্রথম পর্ব: এক পিকুলিয়ার মানুষ! (রোমাঞ্চকার কাহিনী- ভূমিকা পর্ব)

বিষয়: বিবিধ

৩২৪৮ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

211861
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনার প্রতিবেশিদের একটি কথা কিন্তু সত্য হয়েছে। আপনি সত্যই একজন বুজর্গ হয়েছেন!
যদিও অন্য অর্থে। আপনি সত্যিই জ্ঞান অর্জন করেছেন। আমার মনে হয় আমাদের দেশে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে শর্টকার্টে সবকিছু পাওয়ার ইচ্ছা প্রবল। তাই আগে সবাই দোয়া তাবিজ চাইতেন। এখন তার বদলে চুরি কিংবা ঘুষ এর রাস্তা নেন।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
160225
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সৌভাগ্য হোক আর দুর্ভাগ্য হোক মহিলাদের সম্পর্কে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। গ্রামের সহজ সরল মহিলারা সোজা রাস্তার চেয়ে বাঁকা রাস্তার প্রতি কৌতুহলী হয়। সে তাদের এই দুর্বলতার কারণে শঠ প্রকৃতির মানুষ তাদেরকে প্রতারিত করতে সহজ হয়। ধন্যবাদ।
211865
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : আপনার এ সিরিজটি পড়বো পড়বো করে পড়া হলো না। ইনশাআল্লাহ একদিন ছুটির দিনে বসে শুরুথেকে পড়া শুরু করবো। দুয়া করবেন আমার জন্য। Rose Rose Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Rose Rose
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
160227
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : পড়ার আগ্রহ দেখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। সুর্যের পাশে হারিকেন আপনার লগো টি সুন্দর হয়েছে। আল্লাহ মুলত সুর্যের সাথে না বলে, মানুষকে চেরাগের সাথে তুলনা করেছেন। চেরাগ আর হারিকেনের কাজ একই। ধন্যবাদ।
211869
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
সালমা লিখেছেন : প্রবাসে এসেও দেখলাম তাবিজের ব্যাবহার, এখন ও অনেকের বিশ্বাস আছে তাবিজের উপর।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪১
160228
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বিপদে পড়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে অনেক উচ্চ শিক্ষিত মানুষকেও তাবিজের আশ্রয় নিতে দেখেছি। সেই ঘটনা আসবে। অনেক ধন্যবাদ।
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
160235
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আমার উপর তাবিজের কোন আসর পড়ে না কেন বুঝলাম না।
২৩ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫০
160492
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হয়ত আমার মত কোন আনাড়ী বৈদ্য তাবিজ বানিয়েছিল তাই কাজ করে নাই। আল্লার প্রিয়তম ব্যক্তি ও রাসুল, আমাদের নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে পর্যন্ত এই জাতীয় কাজে কাহিল করেছিল! সুতরাং বিশ্বাস রাখুন আর আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন যে, সে ধরনের কোন দুষমন আপনার তৈরী হয়নি।
211877
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
মাটিরলাঠি লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত টিপু বাবা হয়ে উঠলেন।

টিপু বাবা!!! মজা পেলাম।
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৬
160320
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেকে তাই বলত, সবার মুখে তো আর হাত ঢুকিয়ে রাখা যায় না।
211893
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
শেখের পোলা লিখেছেন : তা টিপু বাবা, আজও কি সেই পদবীটা আছে? না তাকে ফেলেই কাতার প্রবাসী হয়েছেন? আশাকরি পরে জানা যাবে৷ ভারী মজার লোক আপনি৷ বলেছেনও রসালো কায়দায়৷ ধন্যবাদ৷
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪৯
160323
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এখন সেই পদবী আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হয় নাই। চলতি মাসের দুই তারিখে মক্কায় গিয়েছিলাম, ত্রিশ বছরের পুরানো একজনের সাথে দেখা, সেই ব্যক্তি স্ত্রী পুত্রের সামনেই এমন সম্ভাষণ দিল যার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।
211897
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৬
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : দেশে কখন আইসবেন খবর দিয়েন! আপনার নামে এক্কান মাজার বাইন্ধা টিপু বাবার আসন মোবারক! বানামু। অনেক দিন ধইরা বেকার জীবনে আছি। ইনকাম একদম নেই। এবার সুযোগ পাইয়া গেছি। আজই বিজ্ঞাপন দিমু আমি গতকাল টিপু বাবারে স্বপ্ন দেইখবার পারছি। হেতিনি আমারে খিলাফত দিইয়া পূর্ণ এয়াকিনের সাতে হগল কাজের মশকিল কুশা, হাজতে রওয়া,এক কথায় সমস্ত কাজের মশকিল আহসানকারী হিসেবে নিয়োগ পাইছি।
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০৩
160247
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার ইনকামের একটা সুযোগ তৈরী হতে পারে....
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫১
160324
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এই সুবিধা তো আমার বাবার জন্যই নিতে পারলাম না, তবে শুনে খুশী হবেন যে, আমার একজন মুরীদ মারা যাবার পর তার কবর পাকা হয়েছে এবং সেখানে ওরশ হয়। সামনের দিনে সেই খবর আসবে।
211928
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মজা পাইছি Happy
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫২
160325
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
211950
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৬
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : আপনার অসাধারন লেখাগুলি সুখপাঠ্য ।
আগের দশ পর্ব সময় করে একসাথে পড়বো ইনশাল্লাহ ।

জাযাকল্লাহ খায়ের ।
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৫৪
160327
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রতিটি পর্বে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে, দামী সময় ব্যয় আমি এসব লিখতে চাইনি, তার পরও লিখছি কেন তা আগের পর্বগুলোতে বর্ণনা করেছি। যদিও আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখা আরো বেশী জরুরী।
212019
২২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৮
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন : জ্বীন-ভুত সব কুসংস্কার।
২৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:০২
160329
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : জ্বীন-ভুত সব কুসংস্কার নয়। সঠিক ভাবে না জেনে আন্দাজ অনুমানের উপর ভিত্তি করে কোন একটাকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে সেটাকে পালন করার নামই কুসংস্কার।

আমার এক নাস্তিক বন্ধূ, আমাদের খামার বাড়ীতে একদা গভীর রাত্রে হুতুম পেচার ভীতিকর আওয়াজ শুনে ভূত ভূত বলে লাফিয়ে উঠেছিল! প্রশ্ন করলাম ভুত বলে তো কিছু নাই, তুমি চিল্লিয়ে উঠছ কেন। সে উত্তর দিল যদি থেকে থাকে!

শহুরে জীবনে হয়ত জ্বিন দেখার বা অনুধাবন করার সুযোগ নাই, অমবস্যার গভীর রাত্রে একাকী হাটলে মানুষের ভুতের গান বের হয়। গ্রীসে এক ক্যাথলিক পাদ্রীকে দেখেছি, এক মানুষ থেকে কিভাবে শয়তান কে দূর করছে। সামনের দিনগুলোতে এ ব্যাপারে আলোচনা থাকবে, যদি আল্লাহ আমাকে সুযোগ দেন। ধন্যবাদ।
১০
212165
২৩ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বাহ! কি মজা, ট্রেনিং ছাড়াই 'টিপু বাবা' বনে গেলেন! Tongue
এদের হাত থেকে ছাড়া পেলেন কিভাবে সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম Thinking
২৩ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫২
160493
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আস্তে আস্তে সব আসিতেছে, সময়ের অভাবে লিখতে পারছিনা। এই অকাজের পর্বে লিখতে হাত লাগিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সময় দিতে পারছিনা। অনেক ধন্যবাদ।
১১
212295
২৩ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : টিপু ভাই, পড়া শুরুকরতে চাই, কিন্তু ১ম পর্ব কোথায়? খোঁজে পাচ্ছিনা কেনু? Crying Crying Crying
২৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৭
160855
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি এই লেখাটি দিয়ে পড়া শুরু করতে পারেন, অনেক ধন্যবাদ।

এক পিকুলিয়ার মানুষ
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1704/tipu1900/20825

১২
212383
২৩ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:২৬
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন : ।//////জ্বীন-ভুত সব কুসংস্কার নয়। ///////
/////শহুরে জীবনে হয়ত জ্বিন দেখার বা অনুধাবন করার সুযোগ নাই//////////


কি চমৎকার কথা!!!!!!!!!!!!!!!!
এটাই প্রমাণ করে জ্বীন ভূত গ্রাম্য কুসংস্কার। আপনি জীবনে জ্বীন দেখছেন ???? কোরানের কোথায় বলা আছে যে জ্বীন বলে আলাদা প্রজাতি আছে ???? এসব ভুয়া.।।
২৪ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৫৪
160864
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রথম কথা হল আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার লিখার বিভিন্ন পর্ব গুলোতে থাকবে।

গ্রাম আর শহরের কথা বলা হয়েছে এই জন্য যে,

জ্বিনদের আদেশ করা হয়েছে, যেখানে মানুষের জনবসতি সেখানে যেন তারা না থাকে। তাদের বাসস্থান হবে, পাহাড়, জঙ্গল, অনাবাদি জলাধার, পতিত ভুমি, মালিক বিহীন বৃক্ষ কিংবা নদী ও নদী সংলগ্ন পতিত ভূমিতে। তারা মানুষের বশ্যতা স্বীকার করে। মানুষকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য। পৃথিবীর কোন স্থান মানব জাতির পছন্দ হলে সেটা ছেড়ে দিতে হবে।

উপরে উল্লেখিত স্থানগুলো শহরে, নগরে, বন্দরে থাকেনা বরং গ্রামের পাশে কিংবা নতুন লোকালয়ের আশে পাশে থাকে। তাই জ্বিনের উপদ্রব শহরের চেয়ে গ্রামে হয় বেশী।

পবিত্র কোরআনে জ্বিন নিয়ে আলাদা একটি চাপটার আছে। কোরআনের বহু জায়গায় যেখানে মানবজাতিকে ডাকা হয়েছে, সেখানে জ্বিনদের কেও ডাকা হয়েছে।

জ্বিন দেখা যাওয়ার বিষয় নয়। বিশ্বাস, অনুধাবন ও অতিপ্রাকৃতিক কিছু ঘটনার আলোকে মেনে নেবার বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত।

আমরা বাতাস দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।
আমরা চু্ম্বক শক্তিকে দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।
আমরা কম্পন শক্তিকে দেখিনা কিন্তু বিশ্বাস করি।

এভাবে হাজারো জিনিষ রয়েছে, যা না দেখেও গভীরভাবে বিশ্বাস করি।
- জানোয়ার কিংবা প্রাণীরা চোখে যা দেখে তাকেই বিশ্বাস করে কেননা তার বোধশক্তি নাই।
- মানুষ না দেখেও অনেক কিছুকে বিশ্বাস করে কেননা তার রয়েছে বোধশক্তি, সত্য-মিথ্যা তফাত করার যোগ্যতা, ভাল-মন্দ চিনার দক্ষতা। তাই সে মানুষ অন্যরা জানোয়ার। অনেক ধন্যবাদ।
১৩
212675
২৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৭
সত্যবাদী ব্লগার লিখেছেন : ////////////জ্বিন দেখা যাওয়ার বিষয় নয়। বিশ্বাস, অনুধাবন ও অতিপ্রাকৃতিক কিছু ঘটনার আলোকে মেনে নেবার বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত।///////////////////

বিশ্বাস করার বিষয়?কোথায় বলা আছে কোরানের ??? জ্বীন নামে কিছুর উপর ঈমান আনতে হবে ?? বরং আদৌ আছে কিনা তা প্রমাণিত না।
২৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৮
160969
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার লেখার সাথে থাকেন, একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে, অবশ্যই আপনার প্রশ্নের উত্তর সংযোজিত হবে। অনেক ধন্যবাদ।
১৪
212679
২৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
মদীনার আলো লিখেছেন : কত মনত্র লাগবে নিয়ে নিন
http://www.montroguru.com/p/blog-page_2.html
২৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪০
160970
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মন্ত্রের ওয়েব সাইট ও আছে দেখছি! সবকিছুতেই ডিজিটালের ছোঁয়া। পাঠকদের উপকার হবে, অনেক ধন্যবাদ।
১৫
212813
২৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৩
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। আপনি সব কটিতে আমন্ত্রন না জানালেও প্রতিটি পর্ব পড়েছি এবং এও বুজতে পেরেছি আপনি এখানে জ্বিনদের নিয়ে যা লিখেছেন তা সত্যি ।
২৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৪
161483
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর অনুভূতি প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৬
214744
২৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
নেহায়েৎ লিখেছেন : আপনিতো মহাবিখ্যাত তান্ত্রিক হয়ে গেছিলেন!! আল্লা্হর শুকরিয়া যে তিনি আপনাকে হেফাজত করেছেন। আল্লাহ যার হেদায়াত চান তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না।
২৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫০
163042
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আল্লাহ আমাকে প্রচুর করুণা করেছেন অতঃপর তিনি দয়া করে হেদায়েতের পথে দাঁড় করিয়েছেন, আমার জন্য এর চেয়ে বড় পাওয়া দুনিয়াতে আর কিছু নাই। আলহামদুলিল্লাহ... আলহামদুলিল্লাহ...আলহামদুলিল্লাহ...
১৭
218217
০৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪০
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : হাঁসতে হাঁসতে শেষ........
০৭ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৬
166439
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১৮
265739
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আপনি লেখা পড়া শিখে বিদেশ গিয়েছেন কেন ? আপনি তো এই ব্যবসা করলেই কত্ত বড়লোক হতে পারতেন সাথে মান - সন্মান সবই পেতেন । আমি হলে কখনো এই সুযোগ হাত ছাড়া করতাম না ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৫
209502
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ‌আমি তো সেটা হতে চাইনি, যেটার খেতাব পেয়েছিলাম। আর ছাড়তে ও চাইতাম না যদি আমার বিবেক আমাকে তাড়িত না করত। সর্বোপরি আল্লাহ আমাকে সেভাবে ভালবাসেন নি। অনেক ধন্যবাদ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
209508
আফরা লিখেছেন : ভাইয়া আমি এটা মজা করে বলেছি । আমি কখনো চাইব না ।আপনার মনে পাপ আর লোভ ছিল না বলেই আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করেছেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File