বাবাকে দিয়েই প্রথম যাদু-মন্ত্রের সফলতা যাচাই! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-১০ (রোমাঞ্চকর কাহিনী)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৬ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:১৯:৪৪ বিকাল



পীতাম্বর শাহ! নিশ্চয়ই এই নাম ভুলে যান নাই। আমি জানিনা এই ব্যক্তি কে ছিলেন এবং এই নামের অর্থই বা কি? চট্টগ্রাম শহরে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই তিনি এবং তার বংশধর একচেটিয়া ব্যবসা করে চলছেন। তাদের পৈত্রিক বাড়ী ভারতে। ট্রাকে ট্রাকে ভারত থেকে মালামাল আসে আর এসব দেদার বিক্রি হয়। হেন জিনিষ নাই, যা এই দোকানে পাওয়া যায় না। শোধন করা পারদ, লোহা জারণ, রূপা জারণ, মৃগ নাভি, কস্তূরী, রাজা-রাণী লতার গোটা, মুনামুনী লতার বোঁটা, রাজমোহিনী দানা, বাঘের দুধের ছানা, উলট কম্বলের মূল, শতমূলীর শিকড়, যৈত্রিকের ছাল, দেবদারুর শাঁস, সোনা তোলার পাতা, রূপা তোলার কাণ্ড, চিতায় পোড়ানো বাঁশ, অমাবস্যায় মৃতের কাফনের কাপড়, জন্মান্ধের লাটি, শ্মশানের ঘটি, বারবনিতার ঘরের মাটি, ঘটি চালান দেবার বাটি ইত্যাদি। এসব উপাদান সত্যাসত্য যাচাইয়ের সুযোগ নাই, কেউ যাচাই করেও না। যার দরকার শতভাগ বিশ্বাসের সহিত দরদাম ব্যতীত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও তাবিজ, যাদু, টোনা, মন্ত্রের জন্য ব্যবহৃত সকল প্রকার উপাদান তাদের কাছে রক্ষিত আছে। আমি এই দোকানের সন্ধান পেয়ে পুলকিত হলাম এবং তাদের বিরাটকায় দোকানটির জিনিষ পত্র দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘুরে দেখার সুযোগ হল। দুই ঘণ্টা দাড়িয়ে অবলোকন করলাম কত বিচিত্র ধরনের কাষ্টমার তাদের দোকানে আসা যাওয়া করছে!

যাই হোক বাড়ীতে এনে বইগুলো সব যথারীতি পড়া হল। কেউ সন্দেহ করেনি কেননা আমার এমনিতেই বই পড়ার বাতিক ছিল। সন্তান হবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন বইতে অনেক গুলো তাবিজের নকশা আঁকা আছে এবং ব্যবহার বিধি ও নিয়ম পদ্ধতি বলা আছে। কৌতূহল বেড়ে গেল। এই প্রবন্ধ লিখার শুরুতেই বলেছি, বিভিন্ন বৈদ্যের কিছু পুরানো বই আমার সংগ্রহে আগেই চলে এসেছিল। সে গুলো পড়েছিলাম, তখন মাথা মুণ্ডু কিছুই বুঝিনি। কেননা সেসব বইয়ে এমন কিছু জিনিষের নাম লিখা ছিল যার সাথে আমার কোন পরিচয় ছিলনা। পীতাম্বর শাহের দোকান পরিদর্শনের পর আমার কাছে দিনের মত পরিষ্কার হয়ে গেল যে, এই বইয়ে যত উপাদানের কথা বলা হয়েছে তার বেশ কিছু সেই দোকানে দেখেছি, সুতরাং বাকীগুলোও সেখানে পাওয়া যাবে। বাজারের তাবিজের বইয়ে, মানুষের ক্ষতি করা যায় এমন তাবিজের উল্লেখ নাই। তবে সংগৃহীত এসব বইয়ে মানুষের খারাপ কিছু ঘটানোর ব্যাপারে বহু তাবিজ, কবজ, মন্ত্র, যাদুর নকশা ও উপাদানের বর্ণনা আছে। খারাপ কাজের জন্য বিখ্যাত শাস্ত্রের নাম ‘রাজমোহিনী বিদ্যা’। এখানে তাবিজ গুলো বার্মা ও পার্লি ভাষায় অঙ্কিত যার অর্থ বোধগম্য নয়। তবে বৈদ্যরা নিজে বুঝার জন্য হাতের কলমে বাংলায় কিছু ব্যাখা ও বর্ণনা লিখেছেন। এতটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট ছিল। সব বই গুলো একে একে গিলে ফেললাম।

মন্ত্র ও মন্ত্রের কার্যকারিতার উপর লিখিত বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যগুলো পড়ে নিলাম। কাউকে বাণ মারা, কারো মেয়ের বিয়েটা বন্ধ করে দেওয়া, কাউকে অসুস্থ করে রাখা, সবগুলো এইধরনের বর্ণনাতে ভরপুর। বিভিন্ন ধরনের চালানের মন্ত্র আছে, বাটি চালান, লাটি চালান, আতশি চালান ইত্যাদি। চোরাই জিনিষ উদ্ধার করতে বাটি চালান, চোর ধরতে লাটি চালান, কে কোথায় হারিয়ে গেছে তা জানতে আতশি চালান। রাজমোহিনী বিদ্যায় কারো ক্ষতি কিংবা কাউকে আকর্ষণ করতে চাইলে, সেই ব্যক্তির চুল, নখ, ব্যবহৃত কাপড়ের সুতা ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। ভারতীয় উপমহাদেশ তান্ত্রিকদের স্বর্গরাজ্য, একজন সঠিক তান্ত্রিক সৃষ্টি হলে, তার সাথে কমপক্ষে বিশ জন ভণ্ড তান্ত্রিক সৃষ্টি হবে। যেহেতু তান্ত্রিক হবার জন্য কোন স্কুলে লেখাপড়া লাগেনা, সার্টিফিকেটও নাই, শুধু দাবী করলেই চলে। হাতের কৌশলের সাহায্যে দুই একটি ম্যাজিক দেখিয়েও অনেকে নিজেকে তান্ত্রিক দাবী করে। কেননা মানুষ তান্ত্রিক বলে তাকেই মনে করে, যার কাছে ব্যখা যোগ্য নয় এমন কিছু কাজের উপস্থিতি আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সহজ-সরল মানুষকে ধোঁকা দেওয়া সহজ হয়। বইয়ের ভাষানুযায়ী, একজন ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ তান্ত্রিক হতে গেলে, অনেক কিছু অর্জন করতে হয়। চৈনিক পরিব্রাজক ‘হিউ য়েং সাং’ একদা ভারতের কালিকট বন্দরে এক তান্ত্রিক সাধুর নর বলি দেবার দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলেন! অবশেষে পরিব্রাজক নিজেই বলির জন্য নির্বাচিত হয়ে যান। অতি ক্ষীণকায় এই সাধুর প্রচণ্ড শারীরিক বলের কাছে তিনি হার মেনেছিলেন। ভাগ্যক্রমে তুফান শুরু হওয়াতে তিনি প্রাণ নিয়ে পালাতে সক্ষম হন। এই ঘটনা তিনি তাঁর ভ্রমণ কাহিনীতে লিখেছেন। তাই আমার প্রাপ্ত মন্ত্র-তন্ত্রের বইয়ের এসব বর্ণনা বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনটাই করতে পারছিলাম না। তবে কৌতূহল উত্তরোত্তর বেড়েই চলছিল।

মন্ত্র-তন্ত্র পরীক্ষার জন্য একজন তুলা রাশির মানুষ দরকার। মাকে প্রশ্ন করলাম আমাদের এলাকাতে তুলা রাশির কোন মানুষ আছে নাকি? মা বললেন, কেন তোমার বাবাই তো তুলা রাশির মানুষ। আমাদের ঘরে কোত্থেকে যেন একটি তামার বড় বাটি এসে যায়, সচরাচর এগুলো হিন্দুদের বাড়ীতে থাকে। পাত্রটি বাবার হাতে দিয়ে বললাম, আব্বু এটা ধর, একটা জিনিষ দেখব। কি মনে করে কোন প্রশ্ন না করে বাবা সেটা ধরে বসলেন। আমার একটা হবি ছিল, এটা ওটা মিশিয়ে নতুন কিছু সৃষ্টি করা। সম্ভবত বাবা নতুন কোন পরীক্ষা করছি ভেবে বাটি হাতে ধরেছিলেন। যাক সেটা আরেকটা ভিন্ন অধ্যায়। বাটি বাবার হাতে তুলে, মনে মনে বাটি চালানের মন্ত্র আওড়াতে শুরু করলাম। দেখলাম পুরো বাটি বাবার হাতের মধ্যে সেঁটে গেল। তিনি ভয়ঙ্কর ভাবে কাঁপছেন। প্রচণ্ড গতিতে দরজায় আঘাত হানলেন. দরজা ভাঙ্গতে চাচ্ছেন। আমি ভয়ে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়লাম। আতঙ্কে মাকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার দিলাম। তিনি হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে দেখলেন, বাবার হাতে পিতলের বাটি। আমাকে হুঙ্কার দিয়ে বলল তুমি কি করেছ! তাড়াতাড়ি হাত থেকে বাটিটা কেড়ে নাও। আমি ও মা প্রচণ্ড ধস্তাধস্তি করে বাবার হাত থেকে বাটি টা কেড়ে নিলাম। বাবা জ্ঞান হারালেন! আমি কান্নায় বুক ভাসিয়ে ফেললাম। নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল, কি করলাম, আর মুহূর্তের মধ্যে কি ঘটনাই না ঘটে গেল। বাবা সুস্থ হবার পর মা-বাবার হালকা তর্কা-তর্কীর মাঝে শুনতে পেলাম। মা বলছেন, ‘এই বাটি নিয়ে তুমি তৃতীয়বার এই ঘটনা ঘটালে, তোমাকে বলেছিলাম এই বাটি দূরে কোথাও ফেলে দিয়ে আস। কোন পাপের কারণে আবদুল কাদেরের সাথে পরিচয় হয়েছিল বুঝলাম না’। বুঝতে পারলাম এই বাটি আবদুল কাদেরই ঘরে ঢুকিয়েছিল এবং আজকের মত কাণ্ড অতীতে আরো দুবার ঘটেছিল। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, পরিণাম সম্পর্কে ধারনা না থাকা পর্যন্ত আর কোন মন্ত্র প্র্যাকটিস করব না। এই বিষয়টি আজো সমাধা হয়নি, সেটা কি বাটির দোষ ছিল, না আমার মন্ত্রের গুন ছিল, তবে মা কোনদিন এই ব্যাপারে কথা তুলেন নি। আজ অনুভব করছি, এটা নিয়ে কোন একদিন প্রবন্ধ লিখব, আগে থেকে যদি জানা থাকত, তাহলে মাকে প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারতাম, রহস্যটা কি ছিল!

আগের পর্ব:যে ভাবীর কারণে আমি হলাম বালক পীর! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-৯ (রোমাঞ্চকর কাহিনী) পড়তে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

প্রথম পর্ব: এক পিকুলিয়ার মানুষ! (রোমাঞ্চকার কাহিনী- ভূমিকা পর্ব)

বিষয়: বিবিধ

৫৮০৬ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

208808
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
সালমা লিখেছেন : আমি যে দিন বউ হয়ে গেলাম শশুর বাড়িতে সেই দিন সকালে ,আমার ছোট খালা শাশুরীর মুখে এই ঘটনা গুলো প্রথম শুনে ছিলাম।আমি তো ভয়ে ভীত হয়ে গেলাম, আর ভাবতে ছিলাম যাকে জীবন সন্গি করে সারা জীবন চলতে হবে সে কিনা.......... ধন্যবাদ আবার নতুন করে মনে করে দেওয়ার জন্য।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
157733
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অবশেষে আপনার আগমণ ও ঘটে গেল, আপনাকে অভিনন্দন।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৩
157739
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ভাবী ধরে নিয়েছিলেন টিপু ভাই অরিজিন্যাল তান্ত্রিক!!!!
২২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
160108
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : যাক, অবশেষে ভাবির সাথেও পরিচয় ঘটল। Angel Angel
০৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩০
166272
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : দেখুন মন্ত্র চালিয়ে সালমার বাবা মন্ত্রী মহোদয়ের জন্য কিছু করা যায় কিনা । সরি। Tongue Tongue
208846
১৬ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
157734
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
208882
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পিতাম্বর শাহ প্রকৃতপক্ষে পিতাম্বর সাহা! চট্টগ্রামি ভাষায় সা বা শাহ হয়ে গেছে।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০১
157735
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এই যুক্তিটাই সত্য হতে পারে, যদি সাহা হয় তাহলে তারা স্বর্ণকার ছিল। শাহ শব্দিট ফার্সি থেকে উৎপত্তি, অনেক ধন্যবাদ।
208898
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : বাটি চালান দিয়ে ভবিষ্যতের কিছু পা্ওয়া যাবে নাকি?? তাহলে কষ্ট করে বলবেন...... ভাল লাগল চালিয়ে যান...। Rose Rose Rose Rose
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০২
157736
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এ্‌ই প্রশ্ন তো আমি এক পীরকে করেছিলাম। আমরা এত গরীব দেশ কোথায় স্বর্নের খনি, তেলের খনি আছে চালান দিয়া জানাইয়া দেন। ধন্যবাদ।
208923
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পড়ে ভাল লাগল।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০২
157737
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ।
208937
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:০০
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। বাটি চালান আর যাই চালান কলম চালান যেন না থামে । তাইলে কইলাম আমি কত বড় বৈদ্য তখন টের পাইবেন।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৩
157738
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার কলম চালানোর জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যাতে সময় সুযোগ দুটোই দান করেন।
209098
১৭ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
মাটিরলাঠি লিখেছেন : যে কারণেই হোক, একটা বিষয় পরিষ্কার, আপনার বাবা তুলা রাশি বলেই হয়তো অমনটা হয়েছিল।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৫
157740
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : হয়তোবা হতেই পারে, তুলা রাশির মানুষ গুলো নাকি ভিন্ন ধরনের হয়। কয়েকজন তুলা রাশির মানুষ এক সাথে পাওয়া গেলে ব্যাপারটি পরখ করা যেত। ধন্যবাদ।
209144
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:০৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : লোম হর্ষক!
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৮
158241
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সামনে আরো ভয়ানক কাহিনী আছে। ধন্যবাদ।
209218
১৭ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৩৫
মদীনার আলো লিখেছেন : অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৯
158242
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০
209297
১৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩০
কেলিফোরনিয়া লিখেছেন : ভয়ংকর ব্যাপার। পড়ে খুব ভালো লাগলো। চালিয়ে যান।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৯
158243
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আরো ভয়ঙ্কর সামনে আছে, ধন্যবাদ।
১১
209802
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৬
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : জনশ্রুতি আছে চট্টগ্রামের পিতাম্বর শাহ'র দোকানে কোন এক বৈদ্যের দেয়া প্রেশক্রিপশন অনুযায়ী জনৈক ব্যক্তি কালো বিড়ালের কেশ ক্রয় করতে গেলে সেলসম্যান কিছুক্ষণের জন্য ভেতরের গোপন রুমে গিয়ে নিজের নাভির নিচের একটি বাল ছিড়ে সেলসরুমে এসে গ্রাহকের হাতে তুলে দেন কালো বিড়ালের কেশ হিসেবে।
এভাবে পিতাম্বার শাহ'র দোকানে হাজারো রকমের তোগলকি গ্যাঞ্জাম হরহামেশা ঘটলেও তা যাচাই করার কুনো সুযোগ নেই।
চট্টগ্রামের পথে ঘাটে ছাড়াও সারা দেশের ক্যাম্ভাচার মিথ্যুক গলাবাজদের নিকট চট্টগ্রাম শহরের বক্সিরহাটে অবস্থিত পিতাম্বার শাহ'র আজগুবি দোকানটা তীর্তস্থান হিসেবে পরিচিত।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২১
158244
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এহ্ হে! আপনি এটা কি গ্যাঞ্জাম লাগাইতেছেন! এই জাতীয় খবর পাঠক পড়লে তো আমার লিখা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তারপরও অনেক ধন্যবাদ।
১২
209854
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৬:০৪
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : শেষে নিজেই এই ফাঁদে ফেঁসে গেলেন! আসলেই আশেপাশে এসব দেখতে দেখতে হয়ত একপ্রকার নেশা চেপে যায়। Thinking
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
160216
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আসলে পরিনাম সম্পর্কে ধারনা ছিলনা, কি হতে পারে বা হবে। এই কথাটি মনে পড়লে এখনও গা শিউরে উঠে।
১৩
211742
২২ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : বেশ উপভোগ করছি আপনার রসময় সাবলীল বর্ণনা। প্রতিটি পর্বই পড়ছি। নেক্সট পর্বের অপেক্ষায়........
২২ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০০
160217
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ, সাথে থাকুন।
১৪
214737
২৯ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২৯
নেহায়েৎ লিখেছেন : মাঝখানে কয়েকদিন ব্যাস্ততার কাণে গ্যাপ ছিল এই আকষর্ণীয় গল্প পড়া। আপনি বলেছেন প্রবন্ধ! আমার কাছে মনে হচ্ছে মজার গল্প। দেখতে চাই শেষ কোথায়।
২৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫১
163043
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সাথে থাকুন নতুন পর্ব আসলে অবশ্যই দাওয়াত পাবেন। সময় স্বল্পতায় ভুগছি, দোয়া করবেন।
১৫
218212
০৬ মে ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৫
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত বাবাকে ও ছাড়লেন না। হা হা হা....
০৭ মে ২০১৪ সকাল ১১:২৭
166440
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১৬
265650
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:২৬
আফরা লিখেছেন : যাক আপনার লেখা পড়তে এসে ভাবীকে ও চিনে নিলাম ।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
209432
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : তিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হন নাই, সেটা আমার ব্যর্থতা নয়, ওনার। অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File