শুভ নববর্ষে ইলিশের ঘ্রাণ বিতরণ

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০৮:১৮ দুপুর



আজ পহেলা বৈশাখ। ইলিশ মাছ না হলে শখের পান্তা খাওয়া মাটি হয়ে যাবে। এমনিতেই ইলিশের গায়ে হাত দেওয়া যায়না। পচা ইলিশের যে দাম, দুর্গন্ধযুক্ত ইলিশের দাম তার তিনগুণ। ফ্রেশ ইলিশ এখন পশ্চিমবঙ্গে সস্তায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের আধুনিক ধনীদের নান্দনিক রান্নাঘরে মহা ধুমধামের সহিত ইলিশ মাছের কোপ্তা রান্না চলে। রমনার বটমূলে পচা পান্তা ভাতে, ইলিশের চচ্চড়ি যোগে শোকরিয়ার ঢেঁকুর তুলতে গেলেও হাজার টাকা পকেট থেকে খসে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া গ্রাম্য জনপদের ‘প্রেমাতিম’ (প্রেমে এতিম) ছাত্রদের জন্য বড় আকৃতির ‘সড় পুঁটি’তে ইলিশ মাছের ফ্লেভার ঢেলে রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে রান্না চলে। তারা সর পুটিতে ইলিশের ঘ্রাণ খেয়ে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আর বাংলালিংকে কথা কয়। যারা এসবের কোনটির আশে পাশে নাই তাদের জন্য রয়েছে আমার পক্ষ থেকে ডিজিটাল ইলিশের ব্যবস্থা। আমার এই ডিজিটাল ইলিশের খাদ্য গুলো মেডিটেশনের মাধ্যমে খান। শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি, আগামী দশ বছর পর্যন্ত পচা পান্তা যোগে ইলিশ খেতে পারেন নি বলে মনে ক্ষোভ আসবে না এবং নিজেদের ইলিশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বর্ডার পার হয়ে গেলেও মনে কোন গোস্বা আসবে না। তাছাড়া ডিজিটাল ইন্টারনেট যোগে প্রিয়জনদের ডিজিটাল ইলিশ খাওয়াতে আমার এই পোষ্টটি ফেসবুক, টুইটারে শেয়ার এবং লাইক দিন, তারাও বিনে পয়সায় ডিজিটাল ইলিশ খেতে পেরে আনন্দে আল্হাদিত হবে।



ইলিশের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:

মাছের রাজা ইলিশ! খুবই মজাদার আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি। ইলিশের মজা ও ঘ্রাণের সাথে তুলনা করা যায় এমন মাছ সাগরে আর দ্বিতীয়টি নেই। বঙ্গোপসাগর হল ইলিশের মূল বিচরণ ক্ষেত্র। কুতুবদিয়ার ৪০ মাইল পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের স্থানকে মাছের খনি বলা হয়। ইলিশ গভীর পানির মাছ, লোনা পানিতে বাস করে, তবে ডিম পারে মিঠা পানিতে। একদা পদ্মা ছিল গভীর নদী এবং উজান থেকে আসত মিঠা পানির স্রোত। সে জন্য পদ্মা ছিল ইলিশ মাছের পছন্দের স্থান। তখন ইলিশ মাছের ব্যাপক প্রাচুর্য ছিল দেশে। বাংলাদেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতের কল্যাণে পদ্মায় এখন আর পানি নেই। ফারাক্কা বাঁধের দয়া ও মহিমায়, মাশায়াল্লাহ পদ্মায় এখন ক্রিকেট খেলা যায়, ছাগল চড়ে, গরু-গাড়ী চলে, ঠেলাগাড়ি আসে! ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মায় পানি নাই বলে এমনিতেই ইলিশের আকাল! আবার আমরা সভ্য জাতি হবার কারণে, ইলিশের আকালের কথা ফারাক্কার মালিকদের বলাও যায় না। অবস্থা যা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে তিস্তার পানির অভাবে, কই, পুঁটি, পাবদা, মিনি, চিতল সহ আরো বহু প্রজাতির মাছ বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে। তাই সময় এসেছে এসব মাছের ঘ্রাণ সংরক্ষণ করা আর ইলিশ মাছের ডিজিটাল স্বাদ নিজেদের মোবাইল, আই প্যাড, কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা। যাতে করে অধঃস্থন বংশধরদের কাছে এর স্বাদ ও ঘ্রাণ বিতরণ করা যায়।



ইলিশ ভাজি:

তাজা ইলিশকে কেটে দুই ঘন্টা মেরিনেট করে হালকা আঁচে ভাজা হয়েছে, মোটা মরিচ ও বেগুনের হালকা টুকরা যোগে তৈরী করা হয়েছে এই ডিশ। একবার খেলে বারবার খেতে এখানে ঢুঁ মারতে ইচ্ছে করবে। দেশ গ্রামে এই ডিশের মেলা কদর।



ইলিশ ফ্রাই:

মরিচ-হলুদ গুড়োর হালকা ঝালে প্রস্তুত, খুবই স্বুসাদু এই ডিশ। যে খায়নি তার জীবনই বৃথা। পুদিনা ও ধনে পাতার মিশ্রণে এর ঘ্রাণ একবার নাকে ঢুকলে টয়লেটে যাবার আগ পর্যন্ত ইলিশের ঘ্রাণ নাকে বহাল থাকবেই। এই ফ্রাই ইলিশের কাঁটাগুলিও চনাচুরের মত মচমচে, দারুন উপাদেয়।



ইলিশ কাবাব:

বেয়াড়া প্রকৃতির শাশুড় কে যে পুত্রবধু এই ইলিশ কাবাব একবার খাইয়েছেন, বাকী জীবনে যৌতুক চাওয়ার কথা ভূলে যাবেন। জায়ফল, যত্রিক, মিঠা জিরার মিশ্রনের এই ইলিশ ফ্রাই দশ বাড়ী সুগন্ধময় করে তুলবে।



ইলিশ বার্গার:

ক্রন পাউডার, অল পারপোস গুড়া এবং আমেরীকান বার্গার চসের মাধ্যমে তৈরী এটি। যেমনি ফাষ্ট ফুডের গন্ধ, তেমনি মজাদার! একবার খেলেন তো সারাজীবনে স্বাধ ভূলবেন না। চিকন বাচ্চাদের মোটা করার উপযোগী মায়োনাইজ এতে সুন্দরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে একবার গিলাতে পারলেই ব্যস!



ইলিশ পোলাও:

আ-হা-হা...। বাদাম, পোস্ত দানা, কিসমিসের গুড়ার সাহায্যে রান্না করা ডিশ। বিয়ে-শাদীতে স্পেশাল হিসেবে দারুন ব্যবহৃত হয়। একবার খেলে বহুদিন পর্যন্ত মনে থাকবে এর স্বাদের কথা! টম্যাটো সচ ও সয়া সচ যোগে খেলে মজার ঢেঁকুর উঠবে, যেমনি ঘ্রাণ তেমনি অপূ্র্ব স্বাদ!



পিটা ইলিশ:

আগের যুগের চাষা-কৃষকদের মজাদার ডিস। বর্তমানে পাঁচ তারা হোটেলের অভিজাত শ্রেনীর খুবই পছন্দনীয় এটি। কালিজিরা, মিঠাজিরা, পুদিনার ঘ্রাণের সাথে রসালো ইলিশের পাগল করা গন্ধ যে কোন, রসহীন ব্যক্তিকেও ভোজন রসিক বানিয়ে ছাড়বে। আজ না খেলেও কোন এক শীতের দূপুরে বেড়াতে আসুন, আজীবন মনে থাকবে দারুন অনুভূতির কথা।



ফ্রুট ইলিশ:

এটি খ্যাতিমান হোটেলের খাবার! আলুর ভর্তা, ছাঁটা পিঁয়াজ মিশিয়ে ইলিশের রসা রসা টুকরা দিয়ে বানানো এই ডিশ। ইলিশের পাগল করা ঘ্রাণ, পাকা আনারসের মাতাল করা মৌ গন্ধে পরিবেশটাই আলাদা হয়ে যাবে। মুখে নির্ঘাত লোল আসবে, জীবনে একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। নতুন জামাইকে বরন করতে এটি একটি দারুন খাবার হিসেবে বিবেচিত।



ইলিশ বিরানী:

মোগল আমল থেকেই প্রসিদ্ধ, আবহমান বাংলার ঘরে ঘরে প্রসিদ্ধ এই বিরানী। নুতন জামাই, বেয়াই, বধুকে বরণ করতে এই ডিশের জুড়ি নেই। কমলা লেবু, কিংবা পাতি লেবুর সামান্য টক মিশ্রণে এর স্বাদ এতটুকু বাড়ে, ঘ্রাণেই অর্ধভোজন হয়ে যায়। কখনও সুযোগ হারানো চলবেনা।



খিচুরী ইলিশ:

বৃষ্টির দিনে কিংবা নৌ ভ্রমনে এই ইলিশ ডিশের তুলনা নাই। বনভোজনে এই ডিশ রাজকীয় হালতে উপভোগ করা যায়। প্রতিটি ঢেঁকুড়েই বেরিয়ে আসবে ইলিশ মাছ খাবার মহা প্রশান্তি! খেলেনতো হজম হল এভাবে বারবার খেলেও বিরক্তি আসবেনা, মনের স্বাদও অপূর্ন থাকে!



সরষে ইলিশ:

এটার সাথে নতুন করে পরিচয় করে দেবার দরকার নেই। তাজা পাকনা সরষের সাথে হালকা মসল্লা লাগিয়ে এটি তৈরী করতে হয়। সরষে ইলিশ সর্ম্পকে বেশী না বলে দিল্লীর লাড্ডুর সাথে তুলনা করা যায়: “দিল্লাকা লাড্ডু যো খায়া ও’বি পস্থায়া। যো নেহি খায়া ও’বি পস্থায়া”। সেভাবে এই ডিশ খেয়ে কিভাবে পস্থাবেন সেটা আপনারাই ঠিক করুন।



প্রেজেন্টেশন ইলিশ:

এটি মূলত পরিবেশনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে মাছের স্বাদের চেয়ে পরিবেশনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশী। তবে ইলিশ মাছ আপনিতেই স্বাদের মাছ। লবন দিয়ে সিদ্ধ করলেও তার স্বাদের কমতি হয়না। ক্যাপসিকাম, লেটুস, লেবু, টম্যাটো, শসা মিলিয়ে যত সুন্দরভাবে পরিবেশন করা যায়, সেটাই এই ডিশের মূল উদ্দেশ্য। নামী-দামী হোটেল স্যূটে এই সৌন্দর্য উপস্থাপনা লাগবেই।



ভূনা ইলিশ:

হোটেল রেস্তোরার অতি পরিচিত একটি ডিশ। এটি বাংলার ঘরে ঘরে প্রচলিত, প্রসিদ্ধ একটি প্রানালী। হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনিয়া যোগে রান্না করা। আঁচ তাপে রান্না করলে মাছের কাঁটা পর্যন্ত চুষে খেতে ইচ্ছে করে। এই ডিশ একবার খেলে হাতের আঙ্গুলেই ঘ্রাণ লেগে থাকে পুরো একদিন। যেমনি মন কাড়া ঘ্রাণ তেমনি সুস্বাদু!



কদুপাতা ইলিশ:

এটি একটি আদি পদ্ধতি। তেল, লবন, মরিচ মিশিয়ে কদু পাতায় পেঁচিয়ে কড়াইয়ে ছেড়ে দিলেই চলে। পুরো মহল্লার মানুষ বুঝতে পারে, কদু-ইলিশের রাজকীয় রান্না চলছে। এটি এতই মজা, ফাঁসির রসিতে ঝূলবার আগে, শেষ খানা হিসেবে, আসামী এটা খেতে চায়। ইলিশের এই ডিশ যারা খাননি, তারা জানবেই না ইলিশ কি জন্য দুনিয়াতে বিখ্যাত। এই ডিশে মাছের চেয়ে পাতার মজা বহুগুনে বেড়ে যায়। কদুপাতার অভাবে কচু পাতায়ও এটা মজার রাজা।



পান্থা ইলিশ:

এটাই সেই ঐতিহাসিক পান্থা-ভর্তা-ইলিশ। এখানে ইলিশ মাছ কি ধরনের হতে হবে সেটা কোন শর্ত নয়। শর্ত হল ভাত পঁচা-বাসী হতে হবে। ভাত ভাল করে বাসি করতে পারলে সেটাতে এলকোহল ফর্ম করবে। ভোজন রসীকেরা বৈশাখের প্রথম দিনে পোড়া কিংবা কাঁচা মরিচ, লবন, পিঁয়াজ, ভর্তাযোগে বেশী দাম দিয়ে কিনে খায়! শরীরে দারুন মাদকানুভূতি তৈরী হবে। খেয়ে ঝিমুতে থাকুন, নিজেকে নিজে বাহবা দিন এবং ভাগ্যবান ভাবুন।

বি. দ্র: তবরুক হিসেবে কেউ ডিজিটাল পি,ডি,এফ ইলিশ পেতে চাইলে আজই বুকিং দিন।

বিষয়: বিবিধ

৪৯১০ বার পঠিত, ৯১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

207581
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১১
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : টিপু ভাই ছবি দেখে জীবে জল এসে গেল..এখন কি করি?
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
156141
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে স্বাগতম! জিবের জল তাড়াতে তাড়াতাড়ি পোষ্টটি শেয়ার করুন। কেননা ১২ ঘন্টা পরে এটিও বাসি হয়ে যাবে।
207587
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আমার সবচেয়ে পছন্দ ভাজা ইলিশ....।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২২
156143
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ভাজা ইলিশের গন্ধটাই অন্যধরনের। একদা এথেণ্সের হোটেল কর্তৃপক্ষ অগ্রিম জানিয়ে দিল, আজ রাত্রে গ্রীকের সেরা মাছ পরিবেশন করা হবে, যাতে কেউ রাত্রের মেনু বাদ না দিই। আমিও মাছ পাগল, রাত্রে খেতে গিয়ে দেখি মাছের ঘ্রাণটা ঠিক বঙ্গোপসাগরের ছুরি শুটকীর ঘ্রাণের মত। চিন্তা করলাম হায় এরা যদি ইলিশের ঘ্রাণ পেত, তাহলে কতই না লজ্জিত হত। ধন্যবাদ।
207588
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫
156150
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
207590
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
আমি মুসাফির লিখেছেন : সরিসা ইলিশ আমার খুব ভাল লাগে। বৈশাখীর খাদ্য তালিকায় এক নতুন স্বাদের উদ্রেক করবে আপনার পোষ্ট।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
156162
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ নিজে স্বাদ নেন প্রিয়জনদের বিতরণ করুন।
207594
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২০
ভিশু লিখেছেন : PDF ইলিশ... Surprised হা হা হা... Happy
শুভ নববর্ষ... Good Luck Rose
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
156163
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : শুভ নববর্ষ, ধন্যবাদ।
207597
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২২
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন :
ঈলিশ দিয়ে খাব ভাত..গাইব বাংলার গান.....
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
156167
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর ছবি ও উপভোগ্য। ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৬
156341
শেখের পোলা লিখেছেন : দারুন ব্যাণ্ড পার্টিতো! গিনেস বুকে খবরটা পাঠিয়ে দিন আর পরবর্তী বিশ্ব কলসের উদ্বধোনীতে এদের বায়না করে রাখলাম৷
207602
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : দেলু রাজাকারের কাছে তার শেষ খাবার "কদুপাতা ইলিশ" পাঠিয়ে দিতে চেষ্টা করব @ টিপু ভাই
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
156170
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মন্তব্যটি অপ্রাসঙ্গিক ও আক্রমনাত্মক হয়ে গেল?!
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:০৩
156181
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : রম্য আলোচনায় সবই প্রসঙ্গিক @ টিপু ভাই।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:২৩
156197
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : তাহলে আরেকটি বিপদজ্জনক সত্য রম্য ঘটনা বলি!
শামশুল হক (বদরুদ্দীন ওমরের বাবা) আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী ছিলেন। তিনি জেলে থাকাকালে রসালো মুরগী খেতে পছন্দ করেছিলেন। একদা তরুন শেখ মুজিব, শামশুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সহ রসালো মুরগী নিয়ে জেলে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই রসালো মুরগী খেয়ে শামশুল হক পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। শামশুল হক পাগল হওয়াতে তরুন মুজিবের দলের বড় নেতা হবার পথ সুগম হয়ে যায়।

কৌতুহলউদ্দীপক ব্যাপার ছিল, তরুন মুজিবের বিরুদ্ধে একটি কথা রটে যায়, তিনি মুরগী গোশতের বদলে কাকের গোশত রান্না করিয়েছিলেন। আমিতো দেখিনি ঘটনাটি বহুল আলোচিত।

তাই বন্ধু-শত্রু কাউকে গায়ে পড়ে কিছু খাওয়াতে নাই। হতে পারে মানুষ তাকে শঠ ও জুচ্চোর বানিয়ে ফেলতে পারে, যেভাবে মুজিবকেও গ্লানি বহন করতে হয়েছিল।

তাছাড়া দেলু রাজাকার বলতে বাংলাদেশে কেউ জিবীত নাই। দেলু রাজাকার মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রীকে নির্যাতন করেছিল, সেই মধূসূদন ঘরামী আদালতে বলেছে, দেলু রাজাকারকে স্বাধীনতার পরে জনগন গনপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলেছে।

যাক, মৃতু ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে, জিবীত প্রিয়জনদের ডিজিটাল ইলিশ বিতরণ করুন, সেটাই হবে মহৎ কর্ম। ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
156236
খেলাঘর বাধঁতে এসেছি লিখেছেন : আপনার মাথা ঠিক আছে টিপু ভাই? সবাই তো জানে জামাত নেতা গোআজম exactly এই কাজটা তারেক রহমানের উপর করেছে। দেখেন্না তারেকের উল্টাপাল্টা কথা....
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
156241
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : তারেক উল্টা পাল্টা কথা বলার বুদ্ধিটা শিখেছে আওয়ামীলীগ থেকে। তারেক এখন ঠিক ট্রাকে আছে, তাকে এই পদ্ধতি আরো তিন বছর আগেই করার দরকার ছিল।

ইতিহাস নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে দেশের মানুষের মাথাকে আগে আউলা করে দিতে হবে, তারপর তারা নিজেদের গরজে সঠিক ইতিহাস খুঁজে নেবে। নিশ্চুপ জাতিকে কিছু কাজ তো দিতে হবে।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:৫০
156512
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : @খেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিকখেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৫৮
156545
তিতুমীর লিখেছেন : প্রতিনিয়ত নাম বদলানোর কারণ বোঝা বড় দায়!
এটা কি নিজেকে আড়াল করার জন্য??
207606
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : রেসিপি গুলিই দেখলাম!!!
ইলিশ চোখে দেখিনা ছয়মাস!
আমার আব্বা এককেজির কম ইলিশ আনতেন না কারন তাতে নাকি স্বাদ হয়না।
আর আমি এককেজির ইলিশ মাস ছয় আগে চারদিন ঘুরেও পাইনাই।
ইলিশ ফ্লেভার তৈরির প্রজেক্ট নেব ভাবতিসি। তবে ইতিমধ্যেই নাকি সরকার পুকুরে ইলিশ চাষের প্রজেক্ট নিয়েছেন। তাইলে আর ইলিশের অভাব থাকবেনা।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭
156174
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : তারপরও ইলিশ ফ্লেভার নিয়ে আগে ভাগেই ভাবেন। আবার দরবেশেরা সেখানে হাত লাগালে, বাজারের মান যাবে, পণ্যের গুনমান রক্ষা হবেনা। জাতি সেখানেও ঠকতে শুরু করবে।
207615
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
এনামুল মামুন১৩০৫ লিখেছেন : া হা--
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
156176
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ।
১০
207618
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার ইলিশিয় পোস্ট। আপাতত অর্ধভোজনেই সন্তুষ্ট রইলাম Eat Eat Eat
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
156178
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সামনের বংশধর সিকি ভোজনের সুযোগ পায় কিনা সন্দেহ আছে, তাই আলহামদুলিল্লাহ বলুন।
১১
207655
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
ভিশু লিখেছেন : স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন আপনাকে... Happy Happy Happy Good Luck Good Luck Good Luck Rose Rose Rose
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
156200
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : নববর্ষের শুভেচ্ছা...........
১২
207658
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৮
মোবারক লিখেছেন : ব্লগে অনেক পোস্টের মাঝে একটি আতি সুন্দর পোস্ট । ভালো লাগলো
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪১
156201
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার পোষ্টে আপনাকে স্বাগতম, ধন্যবাদ।
১৩
207665
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৪৮
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : আলফ শুকরান, ইলিশের রেসিপি শেয়ার করার জন্য...
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
156215
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
১৪
207669
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৪
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : দুটি ভিন্ন ছবি, দুটি ভিন্ন গল্প.........


১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৮
156218
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বরই করুন ও নির্মম। ধন্যবাদ।
১৫
207681
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:১০
প্যরাপিন লিখেছেন : 1. ইলিশের কথা অনেক লিখলেন ভাই , রূপ ,সাধ বর্ণনা করলেন , বাহবা পাওয়ার উপযুক্ত। কিন্তু ইলিশ মাছ কিভাবে আমাদের হাতে আসে , কারা এ কাজটা করে থাকে , তাদের নিয়ে কিছু কথা আসলে আরো সুন্দর হতো। অন্তত আমাদের নদীর পাড়ের মানুষ গুলো খুশী হতো।নিতান্ত গরিব জেলেরাই ইলিশ মাছ ধরতে যায়। যাদের অনেকের সারা বছর কোন কাজ থাকেনা, সাধারণত , দিনের ছেয়ে রাতে ইলিশ বেশী পাওয়া যায়, যে সময়টাতে আমরা আরামে ঘুমাই, আর অমাবস্যা , পূর্ণিমায় বেশী, লাগে যখন সাগর উত্তাল থাকে, দুর্যোগ পূরণ আবহাওয়ায় মাছ বেশী পাওয়া যায়, তখন মাঝিরা সাগরে থাকে বেশী মাছের আশায় , লোভে নয়। হয়তো ফ্যামিলিটা একটু সুখে থাকতে পারে এ আশায়।


2. মোঘল সম্রাট শাহ-তুগলোক নাকি ইলিশ মাছ খেয়ে মারা গিয়াছিলেন, একদা সমুদ্রে ভ্রমণের সময় তার নোকার মাঝিরা একটা ইলিশ মাছ পেয়ে যান। উনি কিছুটা রুগ্ন ছিলেন তাছাড়া রমযান মাস ছিলও স্বভাবত উনি রোজা রাখছিলেন। সহযাত্রীরা উনাকে মাছ খেতে নিষেধ করলেন উনি গো ধরলেন , ব্যস পেট ছুটলও, উনি নশ্বর পৃথিবী কে বিদায় জানালেন। পাজি ইলিশ মাছের কারণে আমরা উনার রাজ্য-শাসন থেকে বঞ্চিত হলাম।
3. নানীর মুখে শুনেছিলাম , উনাদের ছোট বেলায় নাকি এ মাছ খুব সস্তা ছিলও, প্রচুর মাছ পাওয়া যেত।মাছ আরা চাউলের গুড়া দিয়া এক ধরনের পিঠা বানাতেন, জিবে জল আসলে ও সে আশা পূরণ হয়নি এখন ও
4. আমাদের গামের আমিন সওদাগরের ইলিশ ধরার নৌকা ছিলও, উনি মওসুমে একদিন ধনী-গরীব সবার মাঝে একদিন ইলিশ মাছ বিলাইতেন, কিছু মানুষ হয়তো ঐ একদিনই ইলিশ মাছ খেতে পারতো, এখন আমিন সওদাগর আছেন কিন্তু তার নৌকা নেই।



যখন গ্রামে ছিলাম স্কুল , কিংবা কলেজে ছুটির পর , বিকালে নদীর পাড়ে দাড়িয়ে দূর হতে ইলিশ মাছ ধরা দেখতাম, এখন আর তা দেখার সুযোগ হয়না
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৫
156233
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মুঘল সম্রাট না ভাই! সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক ইলিশ খেয়েছিলেন। সিন্ধু নদের এই ইলিশ এর নাম পাল্লা মাছ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
156234
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার আম্মা ইলিশ মাছ পছন্দ করতেন, তাই প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে ডিম ভরা বড় আকৃতির ইলিশ মাছ বাজার থেকে আনা হত। ইলিশ খেতে খেতে আমি বিরক্ত হয়ে মাকে বলতাম, 'আমরা ধনী হব কবে? গরীব হয়ে ইলিশ মাছ খেতে খেতে তো মরে যাব'! আমি দেখতাম এলাকায় যারা গরীব তারাই ইলিশ মাছ বাড়ীতে আনত। ধনীরা শিং, মাগুর, রুই, কাতলা আনত।

মা হাসতেন, বলতেন বাবা, ইলিশ শুধু গরীব মানুষেরা খায়না এটা ধনীরাও খায়। তাছাড়া এই মাছ আমার খুব পছন্দ তাই প্রতি সপ্তাহে কিনে খাই।

আলহামদুলিল্লাহ ভাগ্যিস! ছোটকালে আম্মা জোড় করে ইলিশ খাইয়েছিলেন নতুবা আজ আফসোস করতে হত। ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪৫
156235
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আনন্দ লাগছে! আমার পোষ্টে ইতিহাস বিধদের ঠেলাঠেলি লাগছে। রিদওয়ান কবির সবুজ ও প্যারাফিন সাহেবকে আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। মুহাম্মাদ বিন তুঘলক যে মাছ খেয়ে মারা গিয়েছিলেন সেটা জানতাম না। তিনি দিল্লীতে বসে এই কিভাবে পেয়েছিলন জানতে পারলে ইতিহাস আরো সম্বৃদ্ধ হত।
১৬
207689
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৪৭
হতভাগা লিখেছেন : ভাত-গরুর মাংশকে ১লা বৈশাখের মেইন আইটেম বানানো উচিত । ইলিশের চেয়ে গরুর মাংশ পাওয়ায় যায় বেশী এবং দামও তুলনামূলকভাবে কম ।

গরুর মাংশ সাধারণ মানুষ খেতে পারলেও ইলিশের স্বাদ পাওয়া মানুষের সংখ্যা সেরকম না ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৫৩
156242
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর পরামর্শ তাছাড়া গরুর মাংসে ইলিশের ফ্লেভার যোগ করতে নতুন আইটেম হিসে 'গরুলিশ' খুব ভালই চলবে, চাহিদাও বাড়বে, সমালোচনাও কমবে। দারুন বুদ্ধি আপনার।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
156254
মাটিরলাঠি লিখেছেন : হিন্দুরাতো আবার গরু খেতে চাইবে না। সেক্ষেত্রে পাঁঠা, খাসি, ছাগল অথবা মহিষের মাংসকে প্রধান করা যেতে পারে।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:২০
156272
হতভাগা লিখেছেন : @ টিপুভাই :

''গরুলিশের কথা বলে ইলিশের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে পারেন নি ।

ইলিশ বাংলাদেশী বাঙ্গালীরা না রবং কলিকাতার দাদাবাবুদের প্রেসক্রিপশনে এসেছে । কয়েক যুগ পর ওরা যদি এটা এড করে দেয় যে গরুর মাংশ বাঙ্গালীত্বের সাথে যায় না তখন কি হবে ?

@ মাটিরলাঠি :

১০% হিন্দুদের জন্য যদি এত ত্যাগ করতে হয় তাহলে তো তারা তাদের পুঁজার মত জিনিসকে ১লা বৈশাখে ঠুকাতে চাইবে অসাম্প্রদায়িকতার নামে ।

আমরা মুসলমানরা যতটা হিন্দুদের কথা ভেবে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা মাথায় রেখে আয়োজন করি , হিন্দুরা কিন্তু এমন না । তারা ঠিকই তাদের পূঁজারই অনুরুপ মঙ্গল শোভা যাত্রাকে ১লা বৈশাখে এড করে দিয়েছে এই ৯০% মুসলমানের দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার আড়ালে ।

মঙ্গল শোভা যাত্রার পরিবর্তে এখানে আপনি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করুন ,দেখবেন তারা কি শুরু করে ?
১৭
207698
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
মাটিরলাঠি লিখেছেন : অসাধারন এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাই টিপু ভাই।

মধ্যবিত্তরা ইলিশ কিনবার ক্ষমতা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি।

শ্বশুর বাড়ী ছাড়া আজকাল ইলিশ জুটেনা, যদি শ্বশুরবাড়ী অবস্থাপন্ন হয় Happy Happy

১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
156265
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইলিশ খাওয়ার জন্য শ্বশুর বাড়ী পশ্চিম বঙ্গে নিয়ে যান। সস্তায় মোটা তাজা ইলিশ খাওয়া যাবে, পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর ও তোলা যাবে। অনেক ধন্যবাদ।
১৮
207699
১৪ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
হামিদাখানম লিখেছেন : পয়লা বৈশাখের পচা ইলিশ ভাজা, আর পচা পান্তা ভাদ্র
মাসের পদ্মার তাজা ইলিশের ঐতিহ্যকে একেবারে নস্ট করে দিয়েছে। বাঙ্গালীদের উচিত পদ্মার ইলিশগুলো নিজ দেশে রেখে আউস চাউলের গরম ভাত ও ইলিশ ভাপাড়া খাওয়ার আয়োজন করা, তাহলে আসল ইলিশ আমদের দেশে মর্যাদা পেত।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
156267
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : পান্তা ভাল আমারও ভাল লাগে। যে কোন ফ্রাই মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আমাদের বাড়ীতে কিছু কামলা থাকত তারা লাল মরিচকে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে পানি ভাত দিয়ে খাবার আবদার করত। আমিও একবার তাদের সাথে খেতে গিয়ে, পছন্দ হয়ে যায়। ছাত্রজীবনে কখনও খেতাম। বরিশালের এক বন্ধু বলল তোমার মরিচ পোড়ার সাথে কাঁচা পেয়াজ যোগ কর, তাহলে ষোলকলা পূর্ণ হবে। শুরু করলাম, দারুন লাগল এই মুহুর্তেও খেতে ইচ্ছা করছে, তবে এখন পারিনা, কেননা জীবনের কোন এক পর্যায়ে আসলে লবন খেতে মানা। তাই ত্যাগ করলাম। ধন্যাবাদ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪
156755
রাইয়ান লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন ....
১৯
207705
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:০৬
রাইয়ান লিখেছেন : ইলিশীয় কথা ও শব্দের ঘ্রানেই পাগল হয়ে যাচ্ছি ! আর যা সব ছবি দিলেননা ভাইয়া , আগামীতে ইলিশ ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিলেও এই ছবিগুলো থেকেই আমরা ডিজিটাল স্বাদ নিতে পারব ! অন্নেক শুকরিয়া সুন্দর এই পোস্ট টির জন্য !
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:১০
156268
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইলিশীয় মজার প্রাপ্তি সংবাদ জানানোর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ছবিগুলো সাথে রাখুন, মাসে একবার দেখবেন আর ভাববেন একদা বাংলাদেশের মানুষ ইহা খাইত।
২০
207716
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মায় পানি নাই বলে এমনিতেই ইলিশের আকাল! আবার আমরা সভ্য জাতি হবার কারণে, ইলিশের আকালের কথা ফারাক্কার মালিকদের বলাও যায় না। অবস্থা যা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে তিস্তার পানির অভাবে, কই, পুঁটি, পাবদা, মিনি, চিতল সহ আরো বহু প্রজাতির মাছ বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে।

সত্য কথাটাই বলেছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর দেশপ্রেমহীন মিথ্যুকদের কাছে এসব বলে লাভ নেই।
ভাই আপনার হরেক রকম ইলিশের ডিজিটাল রান্না খেলাম। খুব ভাল লাগল। ডাইনোসারের মতই এক সময় ইলিশ প্রজাতিকে আগামী প্রজম্ন বিস্ময়ে অবলোকন করবে। ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৪
156292
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ডিজিটাল ইলিশের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন এটাতেই পরিতৃপ্ত। সুন্দর ও বস্তুনিষ্ট মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২১
207733
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
আহমদ মুসা লিখেছেন : নব্বই দশকের শুরুর দিকে সম্ভবত, পাক্কিক পালাবদল পত্রিকায় মনীষি সৈয়দ আলী আহসান ইলিশ মাছের বিভিন্নভাবে রান্না ও পরিবেশনের একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ওখানে তিনি ইলিশের স্বাদ গ্রহণের বেশ কিছু নতুন টিপস দিয়েছিলেন। দূর্ভাগ্যক্রমে পালাবলদের সেই সংখ্যাটি আমি সংরক্ষণ করতে পারিনি। আজকে আপনার এ লেখাটি পড়ে নতুনভাবে আবার অনেক কিছুই শিখতে পারলাম।
ছোট্ট বেলায় আমার আব্বা শহর সপ্তাহান্তে বাড়ীতে আসার সময় এক সের (বর্তমানে কেজি) অথবা তার চেয়েও বড় ওজনের ইলিশ মাছ বাজারের থলেতে থাকতোই। বিশেষ করে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ সব সময় আমাদের ঘরে থাকতো। বর্তমানে আমাদের সন্তানদেরকে এসব কথা বললে তারা পাল্টা প্রশ্ন করে- বাবা! ইলিশ মাছ দেখতে কি রকম?
আহ্হারে! কিভাবে তাদেরকে বুঝাবো যে, আমাদের বয়স যখন তাদের সম বয়সী ছিলাম তখন আমাদের পিতারা ইলিশ মাছের পিটা বানাইয়া আমাদেরকে খাওয়াতো। আর এখন আমাদের সন্তানদেরকে সেই বাস্তবতাকে গঞ্জনামার পুতি আকারে পড়ে শুনাতে হয়।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৪৭
156321
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার আম্মা ইলিশ মাছ পছন্দ করতেন, তাই প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে ডিম ভরা বড় আকৃতির ইলিশ মাছ বাজার থেকে আনা হত। ইলিশ খেতে খেতে আমি বিরক্ত হয়ে মাকে বলতাম, 'আমরা ধনী হব কবে? গরীব হয়ে ইলিশ মাছ খেতে খেতে তো মরে যাব'! আমি দেখতাম এলাকায় যারা গরীব তারাই ইলিশ মাছ বাড়ীতে আনত। ধনীরা শিং, মাগুর, রুই, কাতলা আনত। মা হাসতেন, বলতেন বাবা, ইলিশ শুধু গরীব মানুষেরা খায়না এটা ধনীরাও খায়। তাছাড়া এই মাছ আমার খুব পছন্দ তাই প্রতি সপ্তাহে কিনে খাই।

তিনি বলতেন, একটা দিন আসবে তখন সবাই এই মাছ খাইতে চাইবে, তখন হয়ত এর অভাব দেখা দেবে। বর্তমানে সেই কথাই সত্য হয়েছে। গরু শুটকী নামে একটা বিরাটকায় শুটকী আসত, কেউ খেতে চাইত না, সম্ভবত সেটা বর্তমানের লাক্ষা মাছেরই শুটকী হবে। বর্তমানে কাঁচা লাক্ষার যে দাম, কোন বেকুপ সেটাকে শুটকী বানাতে যায়।
২২
207740
১৪ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
আবু জারীর লিখেছেন : মাশা'আল্লাহ!
ইলিশের যে ফিরিস্তি দিলেন তাতে নিয়তই করে ফেল্লাম আল্লাহ চাহেনতো টিপু ভাইর বাড়িতে একদিন ডিজিটাল নয় বরং মেনুয়াল ইলিশের দাওয়াত খাব। সম্ভব হলে স্বপরিবারে না হয় কমছে কম একা হলেও।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৭
156335
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার বাড়ীতে আপনার অগ্রিম দাওয়াত কবুল করলাম। আপনার মত একজন সম্মানী ব্যক্তিকে খাওয়াতে পারলে আমিই বরং গর্বিত হতাম। অনেক ধন্যবাদ।
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:২০
156436
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ভাইজান তারিখটা একটু জানাইয়েন। আমি অবশ্য কারো দাওয়াতের অপেক্ষায় বসে থাকি না। কোথাও খানাপিনার খোজ খবর পেলেই হলো। হাজিরা দিতে আমার একদম দেরী হয় না।
২৩
207775
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
শেখের পোলা লিখেছেন : ম্যানুয়াল ইলীশ দেখিছি, ডিজিটালও দেখলাম৷ হা হুতাস ইলীশ দেখার আর খাওয়ার সখ রইল৷ ধন্যবাদ ভাই মন খাওয়া খাওনোর জন্য৷ একটা ঘটনা মনে পড়ল, এক কলিগ, ভারত হিন্দু রাজ্য, সেখানে মুসলমানেরা অবৈধ, তাদের দেশ ছাড়তে হবে অথবা জীবন দিতে হবে৷ উনি প্রথমটাই করেছিলেন৷ তিনি বিহারী, ভাষা উর্দূ৷ বাংলা কিছু বোঝেন৷ তখন কিশোর ছিলেন৷ সদ্য পূর্ব পাকিস্তানে এসেছেন৷ ইলীশী নদীর কাছেই থাকতেন৷ তার মা চার আনা( এখনের ২৫ পয়সা) তাকে নদীর ঘাটে নৌকাথেকে ইলীশ মাছ আন্তে পাঠিয়েছে৷ উনি গিয়ে ভাঙ্গ ভাঙ্গা কথায় মা চাই এটা জেলেকে বোঝালে, জেলে একটা রশীতে চারটা বড় বড় মাছ গেঁথে হাতে ধরিয়ে দিলে বেশ ভারী হয়েছে৷ উনি উর্দূতে বললেন এত আমি নিয়ে যেতে পারব না৷ মাঝি বুঝলেন ছেলের পছন্দ হয়নি, আরও দুটো দিলেন, আবারো জোর আপত্তি, আবারও একটা বেশী৷ উনি আর কিছু না বলে গায়ের জামা খুলে তাতে বেঁধে মাথায় করে বাড়ী এসেছিলেন৷ বাড়ী এসে মায়ের বকুনি, এত দিয়ে কি হবে৷
আজ এসব রূপকথা ছাড়া নয়৷ হায়রে!
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩০
156536
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বস্তুত এ ধরনের একটি সময় ছিল বাংলাদেশে, যদিও আজকের বাস্তবতায় তা বিশ্বাস করাটা বৈকি। ধন্যবাদ।
২৪
207788
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২২
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। ইলিশ নিয়া যা এক্কান পোষ্ট দিছেন । ব্লগটারে পুরা ইলিশের গন্ধে ভড়াইয়া ফালাইছেন ।
আহা!! ইলিশ তুমি কোথায় ? সেকি শুধু নজরুল ভাইয়ের ব্লগেই আছ না বাজারে ?
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩১
156537
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইলিশ সর্বত্রই আছে, তবে তা নব্য ধনীদের নাগালে। ধন্যবাদ।
২৫
207794
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : পিলাচ । ভালো লাগলো ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩১
156538
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ।
২৬
207811
১৪ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
আঁধার কালো লিখেছেন : ভালো লাগলো ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩২
156539
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
২৭
207915
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:০৫
আবদুল্লাহ বাংলাদেশী লিখেছেন : যাক আমার পেট ভরে গেছে, সামনের কোন দিন আপনার বাসায় এসে আবারও পেট ভরে ইলিশ খেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। সব থেকে বেশী খাবো ইলিশের কাবাব, দয়া করে এটা একটু খেয়ালে রাখবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩৩
156540
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার বাড়ীতে আপনার দাওয়াত মওজুদ রইল, যখনই আসবেন মেহমান হয়েই আসবেন। ধন্যবাদ
২৮
207930
১৪ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:২৯
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : সবাই তো ইলিশ রান্না এবং খাওয়ার গল্প করলেন। কেউ ইলিশ জালে ধরেনি। আমাদের বাড়ীর পাশে মেঘনা নদী। এখানে প্রায়ই প্রত্যেকের বাড়ীতে পুকুর রয়েছে। জাল এবং নৌকা সবার আছে। একবার আষাঢ় মাসে জেলে ভাইদের সাথে আমিও ইলিশ মাছ ধরার জন্য মেঘনায় গেলাম। সবার সাথে মাছ ধরলাম,মাছ ভাজা, রান্না,মাছের ডিম সবই খেলাম নৌকাতে। ওরা বললো দুদিনের আগে কুলে ফিরছে না। মনটা খারাপ হয়ে গেল। বিকালের দিকে আকাশ কালো হয়ে গেল। মেঘনার ঢেউ বেড়ে গেল। রেডিও তে বলতে শুরু করলো।ছোট ছোট নৌযান গুলকে কুলে থাকতে হবে। একে তো বাড়ীতে বলে আসিনি। মাছ ধরতে যাব। জেলে ভাইদের টনক নড়লো। যখন দেখলো ঢেউ মাএা বেড়ে গেল। নৌকায় পানি উঠা শুরু করলো তখন ওদের মাছ ধরার স্বাধ মিটে গেল। তাড়াতাড়ি পাল তুলে যাএা শুরু। কয়েক ঘন্টা পর নদীর কিনারে পৌছিলাম। সে খান থেকে বিভিন্ন খাল দিয়ে রাত ১২টায় বাড়ী ফেরা। জেলে ভাইরা কয়েটা মাছ দিল। তা-নিয়ে বাড়ী ফেরা। বাড়ীর সবই আমার খোজে ছিল। সে যাএায় বকাঝকায় পার পেয়ে গেছি। উত্তম মধ্যাম আর খেতে হয়নি। সে সময় ইলিশ আর চিড়িং ছিল গ্রামের এক মাএ আমিষ।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩৫
156541
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ফ্রেশ অভিজ্ঞতা! এ ধরনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা যোগ করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। অবশ্য নদীর ধারের মানুষের নাকি এমনিতেই সাহস থাকে বেশী।
২৯
207957
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩১
আহ জীবন লিখেছেন : অসাধারন পোস্ট। বাঙ্গালিয়ানা চলে গেল কিনা জানিনা আমি সকালে চিড়া মুড়ি খাইছি মিঠাই দিয়া।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩৯
156543
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : চিড়া মুড়ি মিঠা দিয়ে খাইলেও নববর্ষ পালন হতে শরীয়তের কোন বাধা নাই। আপনাকে শুভ নববর্ষ।
৩০
207977
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০৬
তিতুমীর লিখেছেন : বর্তমানে মাঝারী সাইজের ইলিশের দাম বেড়ে হয়েছে ১২ডলার/পাউন্ড। তাও মনে হয় বার্মার ইলিশ, বাংলায় সীল মারা।
এরপরেও একটা ইলিশ কিনে রান্না হলো ইলিশ পোলাও...
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
156703
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : নববর্ষর খুশীতে আবার ফরমালিন পরীক্ষা না করে খাবেন না। মনে হচ্ছে আপনার রান্নাটা মজাদার হবে, তবে লাল মরিচ দেখে কেমন জানি লাগল। অনেক ধন্যবাদ।
৩১
207978
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:০৬
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : আজ কি ইলিশের জন্ম দিন নাকি শুভ নববর্ষ বুঝতে পাচ্ছিনা , আমার বয়স কিন্তু বেশি না তার পরেও নিজেক ভাগ্যবান মনে হয় । বর্ষাকালে বাড়ির পাশেই নদী থাকায় মা মাঝে মধ্য ২ টাকা দিত ছোট মাস নিয়ে আসার জন্য জেলে ভায়েরা আমাকে ২ টাকার ছোট মাস দিত খেয়াল করে দেখেছি কয়েকটি ইলিশ মাছের বাচ্চাও দিয়েছে । আহ! সেই দিন গুলো আজ শুধুই কল্পনা । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
156707
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সেই পদ্মা নদীও নাই, তাই তাতে মাছও নাই, ফলে মানুষের উদারতা দেখানোর সুযোগ ও নাই।

পদ্মা নদী বলে একদা বিরাট একটি নদী ছিল, সেই নদীর দুই কুলের মানুষের কান্না, না বলা কথাগুলো শিল্পী আব্বাস উদ্দীন ও আবদুল আলীমের কণ্ঠে আজো রেকর্ড করা আছে।

সর্বনাশা পদ্মা নদী, তোর কাছে শুধাই....... ভাটিয়ালী এই গানটিতে একজন পদ্মা পাড়ের মানুষের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার ছবি সবই প্রকাশ পেয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
৩২
207983
১৫ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩২
আবু সাইফ লিখেছেন : মাশাআল্লাহ!! Thumbs Up Rose

ইলিশ-রসায়নেও আপনার জুড়ি মেলা ভার দেখছি- Big Grin

আমার তো মনে হয় জীবনের কোন রসায়নই বাদ রাখেন নি!! Thinking

তা সাহেবজাদাও তো বাপকা-বেটা হচ্ছে মনে হয়!! Praying

এসবিব্লগ বন্ধের পরে ভাবী কি আর লিখছেন না?? Waiting

Praying Praying Praying

১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৫৯
156708
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : মানুষের জীবনে কোন বিষয়ে পরিপূর্নতা আসেনা। আমি কোন নামকরা ব্যক্তিও নই, সাধারণ ক্যাটাগরির কোন সাহিত্যিক ও নই। আর রসায়নের রস নিংড়ানোর দক্ষতা নিশ্চয়ই আমার মাঝে নেই। তার পরও আপনি বদান্যতা দেখিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ।

ছেলেটি ভাল আছে, সে বাবাকে নিয়ে খুব গর্ববোধ করে। বেগম সাহেবা এখন শুধু পড়েন, এই ব্লগে একটি একাউন্ট আছে, এখনও লিখার অনুমতি পায়নি, তাই অপেক্ষায় আছে।
৩৩
208029
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:১১
egypt12 লিখেছেন : ভেবে আফসোস হচ্ছে এই বঙ্গের ইলিশ ঐ বঙ্গে সহজে পাওয়া গেলেও... আমরা নিজেরাই বঞ্চিত :(
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:০৩
156709
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কিছু দিন আগে সেই বঙ্গে এত পরিমাণ ইলিশ চালান গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে তার আশে পাশের রিজার্ভারগুলো পর্যন্ত ভরে গিয়েছিল। ফলে ব্যবসায়ীরা সাপ্লাইয়ারদের হাত ধরতে বাধ্য হয়েছিল আর চাইনা। রাস্তার পাশে দাড়াইয়া খুদে বিক্রেতারা ত্রিশ টাকায় কেজি বিক্রি করার পরও সেখানে কাষ্টমার পাওয়া যায়নি।

আর এই বঙ্গের মানুষ ইলিশের কাঁটাও পায়না, ফ্রাই করে যাতে মুড়ির সাথে মিশিয়ে খেতে পারে। ধন্যবাদ।
৩৪
208033
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
লোকমান লিখেছেন : একটা সময় ছিল পদ্মায় বসে পদ্মার ইলিশ খাইতাম। লঞ্চে যখন পদ্মা পাড় হইতাম তখন লঞ্চের ভিতর হোটেলে পদ্মার এক টুকরো ভাজা ইলিশ আর একটি শুকনো মরিচ (সাথে ভর্তা ছিলো কিনা মনে করতে পারছি না)দিয়ে ভাত খাইতাম খুব মজা লাগতো দাম ছিল মাত্র দশ টাকা। সেই দিন মনে হয় আর আসবে না।
আপনি যথার্থই বলেছেন সময় এসেছে এসব মাছের ঘ্রাণ সংরক্ষণ করা আর ইলিশ মাছের ডিজিটাল স্বাদ নিজেদের মোবাইল, আই প্যাড, কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা। যাতে করে অধঃস্থন বংশধরদের কাছে এর স্বাদ ও ঘ্রাণ বিতরণ করা যায়।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১১
156712
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সেই পদ্মা নদী নাই। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হবার পরে, ভারতের অধিন হতে শুরু করে। সেই অধিনতা যুগের উৎযাপন শুরু হয় ১৯৭৩ সালের পর থেকে। শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের শঠতাকে বিশ্বাস করে, ২১ দিনের জন্য ফারাক্কা চালু করার অনুমতি প্রদান করেন। আজ ৪২ বছরেও সেই ২১ দিন শেষ হয়নি। আল্লাহ বলেছেন, 'ইহুদী ও মুশরিক কোনদিন তোমাদের বন্ধু হবেনা'। সুতরাং তাদের সাথে চুক্তি ও সন্ধি করতে অতি সাবধান থাকতে হয়। উপরোক্ত দুই সম্প্রদায় কারো সাথে চুক্তি করে, তবে চুক্তি ভঙ্গ করাকে কোন অপরাধ মনে করেনা বরং এটাকে তারা কুটনৈতিক সাফল্য মনে করে থাকে। বাংলাদেশ আজোও তাদের কব্জা থেকে বের হতে পারেনি।
৩৫
208038
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:০১
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : দেরিতে অইলেও ডিজিটাল ঘ্রান নিতে পাইরা মোরে খুব গর্বিত লাগতেআছে !!
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৩
156714
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ডিজিটাল ঘ্রাণের গন্ধে গর্বিত হয়েছেন জেনে খুশী হলাম। তাছাড়া জাতি হিসেবে আমাদের অতীত নিযে গর্ব করা ছাড়া অর্জন আর কিছুই নাই। অনকে ধন্যবাদ।
৩৬
208182
১৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩০
ইবনে হাসেম লিখেছেন : ভাই, অনেক সময় লাগিয়ে পাঠ করেছে আপনার ভাবী, আমার দ্বারা পড়া সম্ভব হয় নি। কারণ আমি খেতে যতো ওস্তাদ, ওসবের রন্ধন প্রণালী জানায় ততোই অনীহা। তবে আপনার ডিজিটাল পরিবেশনায় রসনার অর্ধেক তৃপ্তিলাভ হয়ে গেছে, এটা অস্বীকার করার জো নেই। মনে একটা দ্বন্ধ রয়েই গেল, প্রণালীটা আপনার নিজস্ব রচনা নাকি ভাবীর পক্ষ থেকে আসা।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। অচিরেই আপনার মজাদার সব লিখাগুলোতে প্রবেশ করার ইচ্ছা রাখি।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪২
156862
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সম্ভবত আপনি সর্বশেষ পাঠক,

তাই কয়েকটি পারিবারিক কথা বলা যেতে পারে বলে মনে করছি। প্রথম কথা হল রন্ধন প্রনালী নিয়ে কোন বক্তব্য রাখতে পারছিনা, কেননা তিনি ব্লগে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। পারিবারিক ঝামেলায় যেতে চাইনা।

গতকাল দেরীতে বাসায় ফিরা হল, গিন্নী ভেবেছিলেন আমি বুঝি একটি বড় ইলিশ মাছ নিয়েই বাসায় ফিরব। হাত খালি দেখে প্রশ্ন করলেন, দুনিয়ার সকল মানুষকে ইলিশ খাইয়ে মতোয়ারা করেছি, নিজের ঘরে যে ইলিশ নাই সে কথা বুঝি ভুলে গিয়েছি।

চিন্তা করলাম ব্লগের পাঠকদের মিছেমিছি খাইয়ে পেট ভরিয়েছি, ঘরে তো সেই নাটক চলবেনা! তাই ঝট পট বলে বসলাম, দোকানে অর্ডার দিয়েছি পেন্ট শার্ট বদলিয়ে আবারো নিচে যাচ্ছি। দোকানে দৌড় লাগালাম, গিয়ে দেখি ইলিশ শূণ্য বিকেলেই খালি হয়ে আছে।

রাত এগার টায় কোথায় ইলিশ পাই? বললাম ভাই দেখ কোন মাছের ফাঁকে কোন একটি ইলিশ পাওয়া যায় কিনা? বেচারা রুই মাছ, কাতলা মাছের বান্ডিল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সত্যিই একটি ইলিশ বের করে আনল। দোকানদারও তাজ্জব এটা এখানে কিভাবে এল।

বললাম, আরে ভাই পাল্লায় তোল আর কাট। সে বলে বসল আজ ইলিশের দাম চড়া, সর্বোচ্চ দামে নিতে হবে। আমি রাজি, দোকান দার আবুধাবী থেকে দুবাইতে ফোন করে ঠিক রাত ১১ টার সময় ইলিশের আন্তর্জাতিক দাম কত জেনে নিলেন। তিনি বললেন ১২২ দিরহাম দিতে হবে।

মাথায় দিয়ে ঘাম পায়ে পড়তে লাগল, অবশেষে সেই ছোট্ট ইলিশ এক ডজন মুরগীর দামে কিনে আনলাম। নিজে নিজে ওয়াদা করলাম ভুলেও কখনও এভাবে পোষ্ট দিয়ে ব্লগার দের লোভ লাগিয়ে নিজের পকেটের বারোটা বাজাবো না।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩১
157174
সালমা লিখেছেন : ভাবি কে আমার সালাম জানাবেন। মা মনিরা কেমন আছে? আপনারা সবাই কেমন আছেন? খুব মিস করছি আপনাদেরকে,আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
৩৭
208537
১৬ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৩৪
সালমা লিখেছেন : অবশেষে সেই ইলিশ সাহেব কে খাওয়ানো হলো।
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৩৬
157267
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সালাম ভাবী। সাহেবকে খাওয়ায়েছেন, আর আপনারা কি ভাগে পান নাই? মনে হচ্ছে যেন ভাই নিজেই কেবল খেয়েছেন??Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৬ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:৩৬
157437
সালমা লিখেছেন : ওয়ালাইকুম-আসছালাম, আলাহামদুল্লিাহ আমরা ভাল আছি। মাছ আপনার ভাতিজার একদম পছন্দ না। আলাহামদুল্লিাহ আমি ও খেয়েছি।
৩৮
208617
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৮:৩৫
ইবনে হাসেম লিখেছেন : "মাথায় দিয়ে ঘাম পায়ে পড়তে লাগল, অবশেষে সেই ছোট্ট ইলিশ এক ডজন মুরগীর দামে কিনে আনলাম। নিজে নিজে ওয়াদা করলাম ভুলেও কখনও এভাবে পোষ্ট দিয়ে ব্লগার দের লোভ লাগিয়ে নিজের পকেটের বারোটা বাজাবো না।"
এই রকম কঠিন প্রতিজ্ঞা করবেন না ভাই, তাহলে আমরা যারা ডিজিটাল কায়দায় রসনা তৃপ্তিতে অভ্যস্ত, তাদের কি হবে গো???
১৬ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
157367
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : তারপরও হুশিয়ার থাকতে তো হবে, কেননা সাবধানের মার নাই। অন্যের জিহ্বার লোল ফেলতে গিয়ে যদি, নিজের দশ ঘোল হয়, তাহলে বুদ্ধিমান ব্যক্তি তো ভাববেই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File