শুভ নববর্ষে ইলিশের ঘ্রাণ বিতরণ
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০৮:১৮ দুপুর
আজ পহেলা বৈশাখ। ইলিশ মাছ না হলে শখের পান্তা খাওয়া মাটি হয়ে যাবে। এমনিতেই ইলিশের গায়ে হাত দেওয়া যায়না। পচা ইলিশের যে দাম, দুর্গন্ধযুক্ত ইলিশের দাম তার তিনগুণ। ফ্রেশ ইলিশ এখন পশ্চিমবঙ্গে সস্তায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের আধুনিক ধনীদের নান্দনিক রান্নাঘরে মহা ধুমধামের সহিত ইলিশ মাছের কোপ্তা রান্না চলে। রমনার বটমূলে পচা পান্তা ভাতে, ইলিশের চচ্চড়ি যোগে শোকরিয়ার ঢেঁকুর তুলতে গেলেও হাজার টাকা পকেট থেকে খসে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া গ্রাম্য জনপদের ‘প্রেমাতিম’ (প্রেমে এতিম) ছাত্রদের জন্য বড় আকৃতির ‘সড় পুঁটি’তে ইলিশ মাছের ফ্লেভার ঢেলে রাস্তার পাশের দোকান গুলোতে রান্না চলে। তারা সর পুটিতে ইলিশের ঘ্রাণ খেয়ে পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে আর বাংলালিংকে কথা কয়। যারা এসবের কোনটির আশে পাশে নাই তাদের জন্য রয়েছে আমার পক্ষ থেকে ডিজিটাল ইলিশের ব্যবস্থা। আমার এই ডিজিটাল ইলিশের খাদ্য গুলো মেডিটেশনের মাধ্যমে খান। শতভাগ নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি, আগামী দশ বছর পর্যন্ত পচা পান্তা যোগে ইলিশ খেতে পারেন নি বলে মনে ক্ষোভ আসবে না এবং নিজেদের ইলিশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বর্ডার পার হয়ে গেলেও মনে কোন গোস্বা আসবে না। তাছাড়া ডিজিটাল ইন্টারনেট যোগে প্রিয়জনদের ডিজিটাল ইলিশ খাওয়াতে আমার এই পোষ্টটি ফেসবুক, টুইটারে শেয়ার এবং লাইক দিন, তারাও বিনে পয়সায় ডিজিটাল ইলিশ খেতে পেরে আনন্দে আল্হাদিত হবে।
ইলিশের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
মাছের রাজা ইলিশ! খুবই মজাদার আল্লাহর এক অপূর্ব সৃষ্টি। ইলিশের মজা ও ঘ্রাণের সাথে তুলনা করা যায় এমন মাছ সাগরে আর দ্বিতীয়টি নেই। বঙ্গোপসাগর হল ইলিশের মূল বিচরণ ক্ষেত্র। কুতুবদিয়ার ৪০ মাইল পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের স্থানকে মাছের খনি বলা হয়। ইলিশ গভীর পানির মাছ, লোনা পানিতে বাস করে, তবে ডিম পারে মিঠা পানিতে। একদা পদ্মা ছিল গভীর নদী এবং উজান থেকে আসত মিঠা পানির স্রোত। সে জন্য পদ্মা ছিল ইলিশ মাছের পছন্দের স্থান। তখন ইলিশ মাছের ব্যাপক প্রাচুর্য ছিল দেশে। বাংলাদেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতের কল্যাণে পদ্মায় এখন আর পানি নেই। ফারাক্কা বাঁধের দয়া ও মহিমায়, মাশায়াল্লাহ পদ্মায় এখন ক্রিকেট খেলা যায়, ছাগল চড়ে, গরু-গাড়ী চলে, ঠেলাগাড়ি আসে! ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মায় পানি নাই বলে এমনিতেই ইলিশের আকাল! আবার আমরা সভ্য জাতি হবার কারণে, ইলিশের আকালের কথা ফারাক্কার মালিকদের বলাও যায় না। অবস্থা যা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে তিস্তার পানির অভাবে, কই, পুঁটি, পাবদা, মিনি, চিতল সহ আরো বহু প্রজাতির মাছ বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা হয়ে থাকবে। তাই সময় এসেছে এসব মাছের ঘ্রাণ সংরক্ষণ করা আর ইলিশ মাছের ডিজিটাল স্বাদ নিজেদের মোবাইল, আই প্যাড, কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা। যাতে করে অধঃস্থন বংশধরদের কাছে এর স্বাদ ও ঘ্রাণ বিতরণ করা যায়।
ইলিশ ভাজি:
তাজা ইলিশকে কেটে দুই ঘন্টা মেরিনেট করে হালকা আঁচে ভাজা হয়েছে, মোটা মরিচ ও বেগুনের হালকা টুকরা যোগে তৈরী করা হয়েছে এই ডিশ। একবার খেলে বারবার খেতে এখানে ঢুঁ মারতে ইচ্ছে করবে। দেশ গ্রামে এই ডিশের মেলা কদর।
ইলিশ ফ্রাই:
মরিচ-হলুদ গুড়োর হালকা ঝালে প্রস্তুত, খুবই স্বুসাদু এই ডিশ। যে খায়নি তার জীবনই বৃথা। পুদিনা ও ধনে পাতার মিশ্রণে এর ঘ্রাণ একবার নাকে ঢুকলে টয়লেটে যাবার আগ পর্যন্ত ইলিশের ঘ্রাণ নাকে বহাল থাকবেই। এই ফ্রাই ইলিশের কাঁটাগুলিও চনাচুরের মত মচমচে, দারুন উপাদেয়।
ইলিশ কাবাব:
বেয়াড়া প্রকৃতির শাশুড় কে যে পুত্রবধু এই ইলিশ কাবাব একবার খাইয়েছেন, বাকী জীবনে যৌতুক চাওয়ার কথা ভূলে যাবেন। জায়ফল, যত্রিক, মিঠা জিরার মিশ্রনের এই ইলিশ ফ্রাই দশ বাড়ী সুগন্ধময় করে তুলবে।
ইলিশ বার্গার:
ক্রন পাউডার, অল পারপোস গুড়া এবং আমেরীকান বার্গার চসের মাধ্যমে তৈরী এটি। যেমনি ফাষ্ট ফুডের গন্ধ, তেমনি মজাদার! একবার খেলেন তো সারাজীবনে স্বাধ ভূলবেন না। চিকন বাচ্চাদের মোটা করার উপযোগী মায়োনাইজ এতে সুন্দরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে একবার গিলাতে পারলেই ব্যস!
ইলিশ পোলাও:
আ-হা-হা...। বাদাম, পোস্ত দানা, কিসমিসের গুড়ার সাহায্যে রান্না করা ডিশ। বিয়ে-শাদীতে স্পেশাল হিসেবে দারুন ব্যবহৃত হয়। একবার খেলে বহুদিন পর্যন্ত মনে থাকবে এর স্বাদের কথা! টম্যাটো সচ ও সয়া সচ যোগে খেলে মজার ঢেঁকুর উঠবে, যেমনি ঘ্রাণ তেমনি অপূ্র্ব স্বাদ!
পিটা ইলিশ:
আগের যুগের চাষা-কৃষকদের মজাদার ডিস। বর্তমানে পাঁচ তারা হোটেলের অভিজাত শ্রেনীর খুবই পছন্দনীয় এটি। কালিজিরা, মিঠাজিরা, পুদিনার ঘ্রাণের সাথে রসালো ইলিশের পাগল করা গন্ধ যে কোন, রসহীন ব্যক্তিকেও ভোজন রসিক বানিয়ে ছাড়বে। আজ না খেলেও কোন এক শীতের দূপুরে বেড়াতে আসুন, আজীবন মনে থাকবে দারুন অনুভূতির কথা।
ফ্রুট ইলিশ:
এটি খ্যাতিমান হোটেলের খাবার! আলুর ভর্তা, ছাঁটা পিঁয়াজ মিশিয়ে ইলিশের রসা রসা টুকরা দিয়ে বানানো এই ডিশ। ইলিশের পাগল করা ঘ্রাণ, পাকা আনারসের মাতাল করা মৌ গন্ধে পরিবেশটাই আলাদা হয়ে যাবে। মুখে নির্ঘাত লোল আসবে, জীবনে একবার হলেও খেয়ে দেখবেন। নতুন জামাইকে বরন করতে এটি একটি দারুন খাবার হিসেবে বিবেচিত।
ইলিশ বিরানী:
মোগল আমল থেকেই প্রসিদ্ধ, আবহমান বাংলার ঘরে ঘরে প্রসিদ্ধ এই বিরানী। নুতন জামাই, বেয়াই, বধুকে বরণ করতে এই ডিশের জুড়ি নেই। কমলা লেবু, কিংবা পাতি লেবুর সামান্য টক মিশ্রণে এর স্বাদ এতটুকু বাড়ে, ঘ্রাণেই অর্ধভোজন হয়ে যায়। কখনও সুযোগ হারানো চলবেনা।
খিচুরী ইলিশ:
বৃষ্টির দিনে কিংবা নৌ ভ্রমনে এই ইলিশ ডিশের তুলনা নাই। বনভোজনে এই ডিশ রাজকীয় হালতে উপভোগ করা যায়। প্রতিটি ঢেঁকুড়েই বেরিয়ে আসবে ইলিশ মাছ খাবার মহা প্রশান্তি! খেলেনতো হজম হল এভাবে বারবার খেলেও বিরক্তি আসবেনা, মনের স্বাদও অপূর্ন থাকে!
সরষে ইলিশ:
এটার সাথে নতুন করে পরিচয় করে দেবার দরকার নেই। তাজা পাকনা সরষের সাথে হালকা মসল্লা লাগিয়ে এটি তৈরী করতে হয়। সরষে ইলিশ সর্ম্পকে বেশী না বলে দিল্লীর লাড্ডুর সাথে তুলনা করা যায়: “দিল্লাকা লাড্ডু যো খায়া ও’বি পস্থায়া। যো নেহি খায়া ও’বি পস্থায়া”। সেভাবে এই ডিশ খেয়ে কিভাবে পস্থাবেন সেটা আপনারাই ঠিক করুন।
প্রেজেন্টেশন ইলিশ:
এটি মূলত পরিবেশনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এখানে মাছের স্বাদের চেয়ে পরিবেশনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশী। তবে ইলিশ মাছ আপনিতেই স্বাদের মাছ। লবন দিয়ে সিদ্ধ করলেও তার স্বাদের কমতি হয়না। ক্যাপসিকাম, লেটুস, লেবু, টম্যাটো, শসা মিলিয়ে যত সুন্দরভাবে পরিবেশন করা যায়, সেটাই এই ডিশের মূল উদ্দেশ্য। নামী-দামী হোটেল স্যূটে এই সৌন্দর্য উপস্থাপনা লাগবেই।
ভূনা ইলিশ:
হোটেল রেস্তোরার অতি পরিচিত একটি ডিশ। এটি বাংলার ঘরে ঘরে প্রচলিত, প্রসিদ্ধ একটি প্রানালী। হলুদ, মরিচ, জিরা, ধনিয়া যোগে রান্না করা। আঁচ তাপে রান্না করলে মাছের কাঁটা পর্যন্ত চুষে খেতে ইচ্ছে করে। এই ডিশ একবার খেলে হাতের আঙ্গুলেই ঘ্রাণ লেগে থাকে পুরো একদিন। যেমনি মন কাড়া ঘ্রাণ তেমনি সুস্বাদু!
কদুপাতা ইলিশ:
এটি একটি আদি পদ্ধতি। তেল, লবন, মরিচ মিশিয়ে কদু পাতায় পেঁচিয়ে কড়াইয়ে ছেড়ে দিলেই চলে। পুরো মহল্লার মানুষ বুঝতে পারে, কদু-ইলিশের রাজকীয় রান্না চলছে। এটি এতই মজা, ফাঁসির রসিতে ঝূলবার আগে, শেষ খানা হিসেবে, আসামী এটা খেতে চায়। ইলিশের এই ডিশ যারা খাননি, তারা জানবেই না ইলিশ কি জন্য দুনিয়াতে বিখ্যাত। এই ডিশে মাছের চেয়ে পাতার মজা বহুগুনে বেড়ে যায়। কদুপাতার অভাবে কচু পাতায়ও এটা মজার রাজা।
পান্থা ইলিশ:
এটাই সেই ঐতিহাসিক পান্থা-ভর্তা-ইলিশ। এখানে ইলিশ মাছ কি ধরনের হতে হবে সেটা কোন শর্ত নয়। শর্ত হল ভাত পঁচা-বাসী হতে হবে। ভাত ভাল করে বাসি করতে পারলে সেটাতে এলকোহল ফর্ম করবে। ভোজন রসীকেরা বৈশাখের প্রথম দিনে পোড়া কিংবা কাঁচা মরিচ, লবন, পিঁয়াজ, ভর্তাযোগে বেশী দাম দিয়ে কিনে খায়! শরীরে দারুন মাদকানুভূতি তৈরী হবে। খেয়ে ঝিমুতে থাকুন, নিজেকে নিজে বাহবা দিন এবং ভাগ্যবান ভাবুন।
বি. দ্র: তবরুক হিসেবে কেউ ডিজিটাল পি,ডি,এফ ইলিশ পেতে চাইলে আজই বুকিং দিন।
বিষয়: বিবিধ
৪৯৩৬ বার পঠিত, ৯১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুভ নববর্ষ...
ঈলিশ দিয়ে খাব ভাত..গাইব বাংলার গান.....
শামশুল হক (বদরুদ্দীন ওমরের বাবা) আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী ছিলেন। তিনি জেলে থাকাকালে রসালো মুরগী খেতে পছন্দ করেছিলেন। একদা তরুন শেখ মুজিব, শামশুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী সহ রসালো মুরগী নিয়ে জেলে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই রসালো মুরগী খেয়ে শামশুল হক পাগল হয়ে গিয়েছিলেন। শামশুল হক পাগল হওয়াতে তরুন মুজিবের দলের বড় নেতা হবার পথ সুগম হয়ে যায়।
কৌতুহলউদ্দীপক ব্যাপার ছিল, তরুন মুজিবের বিরুদ্ধে একটি কথা রটে যায়, তিনি মুরগী গোশতের বদলে কাকের গোশত রান্না করিয়েছিলেন। আমিতো দেখিনি ঘটনাটি বহুল আলোচিত।
তাই বন্ধু-শত্রু কাউকে গায়ে পড়ে কিছু খাওয়াতে নাই। হতে পারে মানুষ তাকে শঠ ও জুচ্চোর বানিয়ে ফেলতে পারে, যেভাবে মুজিবকেও গ্লানি বহন করতে হয়েছিল।
তাছাড়া দেলু রাজাকার বলতে বাংলাদেশে কেউ জিবীত নাই। দেলু রাজাকার মধুসূদন ঘরামীর স্ত্রীকে নির্যাতন করেছিল, সেই মধূসূদন ঘরামী আদালতে বলেছে, দেলু রাজাকারকে স্বাধীনতার পরে জনগন গনপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলেছে।
যাক, মৃতু ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে, জিবীত প্রিয়জনদের ডিজিটাল ইলিশ বিতরণ করুন, সেটাই হবে মহৎ কর্ম। ধন্যবাদ।
ইতিহাস নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে দেশের মানুষের মাথাকে আগে আউলা করে দিতে হবে, তারপর তারা নিজেদের গরজে সঠিক ইতিহাস খুঁজে নেবে। নিশ্চুপ জাতিকে কিছু কাজ তো দিতে হবে।
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিকখেলাঘর বাধঁতে এসেছ,আকবার ,স্বাধীনতা,জুলিয়া,
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক
এটা কি নিজেকে আড়াল করার জন্য??
ইলিশ চোখে দেখিনা ছয়মাস!
আমার আব্বা এককেজির কম ইলিশ আনতেন না কারন তাতে নাকি স্বাদ হয়না।
আর আমি এককেজির ইলিশ মাস ছয় আগে চারদিন ঘুরেও পাইনাই।
ইলিশ ফ্লেভার তৈরির প্রজেক্ট নেব ভাবতিসি। তবে ইতিমধ্যেই নাকি সরকার পুকুরে ইলিশ চাষের প্রজেক্ট নিয়েছেন। তাইলে আর ইলিশের অভাব থাকবেনা।
2. মোঘল সম্রাট শাহ-তুগলোক নাকি ইলিশ মাছ খেয়ে মারা গিয়াছিলেন, একদা সমুদ্রে ভ্রমণের সময় তার নোকার মাঝিরা একটা ইলিশ মাছ পেয়ে যান। উনি কিছুটা রুগ্ন ছিলেন তাছাড়া রমযান মাস ছিলও স্বভাবত উনি রোজা রাখছিলেন। সহযাত্রীরা উনাকে মাছ খেতে নিষেধ করলেন উনি গো ধরলেন , ব্যস পেট ছুটলও, উনি নশ্বর পৃথিবী কে বিদায় জানালেন। পাজি ইলিশ মাছের কারণে আমরা উনার রাজ্য-শাসন থেকে বঞ্চিত হলাম।
3. নানীর মুখে শুনেছিলাম , উনাদের ছোট বেলায় নাকি এ মাছ খুব সস্তা ছিলও, প্রচুর মাছ পাওয়া যেত।মাছ আরা চাউলের গুড়া দিয়া এক ধরনের পিঠা বানাতেন, জিবে জল আসলে ও সে আশা পূরণ হয়নি এখন ও
4. আমাদের গামের আমিন সওদাগরের ইলিশ ধরার নৌকা ছিলও, উনি মওসুমে একদিন ধনী-গরীব সবার মাঝে একদিন ইলিশ মাছ বিলাইতেন, কিছু মানুষ হয়তো ঐ একদিনই ইলিশ মাছ খেতে পারতো, এখন আমিন সওদাগর আছেন কিন্তু তার নৌকা নেই।
যখন গ্রামে ছিলাম স্কুল , কিংবা কলেজে ছুটির পর , বিকালে নদীর পাড়ে দাড়িয়ে দূর হতে ইলিশ মাছ ধরা দেখতাম, এখন আর তা দেখার সুযোগ হয়না
মা হাসতেন, বলতেন বাবা, ইলিশ শুধু গরীব মানুষেরা খায়না এটা ধনীরাও খায়। তাছাড়া এই মাছ আমার খুব পছন্দ তাই প্রতি সপ্তাহে কিনে খাই।
আলহামদুলিল্লাহ ভাগ্যিস! ছোটকালে আম্মা জোড় করে ইলিশ খাইয়েছিলেন নতুবা আজ আফসোস করতে হত। ধন্যবাদ।
গরুর মাংশ সাধারণ মানুষ খেতে পারলেও ইলিশের স্বাদ পাওয়া মানুষের সংখ্যা সেরকম না ।
''গরুলিশের কথা বলে ইলিশের প্রভাব থেকে বের হয়ে আসতে পারেন নি ।
ইলিশ বাংলাদেশী বাঙ্গালীরা না রবং কলিকাতার দাদাবাবুদের প্রেসক্রিপশনে এসেছে । কয়েক যুগ পর ওরা যদি এটা এড করে দেয় যে গরুর মাংশ বাঙ্গালীত্বের সাথে যায় না তখন কি হবে ?
@ মাটিরলাঠি :
১০% হিন্দুদের জন্য যদি এত ত্যাগ করতে হয় তাহলে তো তারা তাদের পুঁজার মত জিনিসকে ১লা বৈশাখে ঠুকাতে চাইবে অসাম্প্রদায়িকতার নামে ।
আমরা মুসলমানরা যতটা হিন্দুদের কথা ভেবে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা মাথায় রেখে আয়োজন করি , হিন্দুরা কিন্তু এমন না । তারা ঠিকই তাদের পূঁজারই অনুরুপ মঙ্গল শোভা যাত্রাকে ১লা বৈশাখে এড করে দিয়েছে এই ৯০% মুসলমানের দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার আড়ালে ।
মঙ্গল শোভা যাত্রার পরিবর্তে এখানে আপনি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করুন ,দেখবেন তারা কি শুরু করে ?
মধ্যবিত্তরা ইলিশ কিনবার ক্ষমতা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি।
শ্বশুর বাড়ী ছাড়া আজকাল ইলিশ জুটেনা, যদি শ্বশুরবাড়ী অবস্থাপন্ন হয়
মাসের পদ্মার তাজা ইলিশের ঐতিহ্যকে একেবারে নস্ট করে দিয়েছে। বাঙ্গালীদের উচিত পদ্মার ইলিশগুলো নিজ দেশে রেখে আউস চাউলের গরম ভাত ও ইলিশ ভাপাড়া খাওয়ার আয়োজন করা, তাহলে আসল ইলিশ আমদের দেশে মর্যাদা পেত।
সত্য কথাটাই বলেছেন। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর দেশপ্রেমহীন মিথ্যুকদের কাছে এসব বলে লাভ নেই।
ভাই আপনার হরেক রকম ইলিশের ডিজিটাল রান্না খেলাম। খুব ভাল লাগল। ডাইনোসারের মতই এক সময় ইলিশ প্রজাতিকে আগামী প্রজম্ন বিস্ময়ে অবলোকন করবে। ধন্যবাদ।
ছোট্ট বেলায় আমার আব্বা শহর সপ্তাহান্তে বাড়ীতে আসার সময় এক সের (বর্তমানে কেজি) অথবা তার চেয়েও বড় ওজনের ইলিশ মাছ বাজারের থলেতে থাকতোই। বিশেষ করে ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ সব সময় আমাদের ঘরে থাকতো। বর্তমানে আমাদের সন্তানদেরকে এসব কথা বললে তারা পাল্টা প্রশ্ন করে- বাবা! ইলিশ মাছ দেখতে কি রকম?
আহ্হারে! কিভাবে তাদেরকে বুঝাবো যে, আমাদের বয়স যখন তাদের সম বয়সী ছিলাম তখন আমাদের পিতারা ইলিশ মাছের পিটা বানাইয়া আমাদেরকে খাওয়াতো। আর এখন আমাদের সন্তানদেরকে সেই বাস্তবতাকে গঞ্জনামার পুতি আকারে পড়ে শুনাতে হয়।
তিনি বলতেন, একটা দিন আসবে তখন সবাই এই মাছ খাইতে চাইবে, তখন হয়ত এর অভাব দেখা দেবে। বর্তমানে সেই কথাই সত্য হয়েছে। গরু শুটকী নামে একটা বিরাটকায় শুটকী আসত, কেউ খেতে চাইত না, সম্ভবত সেটা বর্তমানের লাক্ষা মাছেরই শুটকী হবে। বর্তমানে কাঁচা লাক্ষার যে দাম, কোন বেকুপ সেটাকে শুটকী বানাতে যায়।
ইলিশের যে ফিরিস্তি দিলেন তাতে নিয়তই করে ফেল্লাম আল্লাহ চাহেনতো টিপু ভাইর বাড়িতে একদিন ডিজিটাল নয় বরং মেনুয়াল ইলিশের দাওয়াত খাব। সম্ভব হলে স্বপরিবারে না হয় কমছে কম একা হলেও।
আজ এসব রূপকথা ছাড়া নয়৷ হায়রে!
আহা!! ইলিশ তুমি কোথায় ? সেকি শুধু নজরুল ভাইয়ের ব্লগেই আছ না বাজারে ?
এরপরেও একটা ইলিশ কিনে রান্না হলো ইলিশ পোলাও...
পদ্মা নদী বলে একদা বিরাট একটি নদী ছিল, সেই নদীর দুই কুলের মানুষের কান্না, না বলা কথাগুলো শিল্পী আব্বাস উদ্দীন ও আবদুল আলীমের কণ্ঠে আজো রেকর্ড করা আছে।
সর্বনাশা পদ্মা নদী, তোর কাছে শুধাই....... ভাটিয়ালী এই গানটিতে একজন পদ্মা পাড়ের মানুষের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্নার ছবি সবই প্রকাশ পেয়েছে। অনেক ধন্যবাদ।
ইলিশ-রসায়নেও আপনার জুড়ি মেলা ভার দেখছি-
আমার তো মনে হয় জীবনের কোন রসায়নই বাদ রাখেন নি!!
তা সাহেবজাদাও তো বাপকা-বেটা হচ্ছে মনে হয়!!
এসবিব্লগ বন্ধের পরে ভাবী কি আর লিখছেন না??
ছেলেটি ভাল আছে, সে বাবাকে নিয়ে খুব গর্ববোধ করে। বেগম সাহেবা এখন শুধু পড়েন, এই ব্লগে একটি একাউন্ট আছে, এখনও লিখার অনুমতি পায়নি, তাই অপেক্ষায় আছে।
আর এই বঙ্গের মানুষ ইলিশের কাঁটাও পায়না, ফ্রাই করে যাতে মুড়ির সাথে মিশিয়ে খেতে পারে। ধন্যবাদ।
আপনি যথার্থই বলেছেন সময় এসেছে এসব মাছের ঘ্রাণ সংরক্ষণ করা আর ইলিশ মাছের ডিজিটাল স্বাদ নিজেদের মোবাইল, আই প্যাড, কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা। যাতে করে অধঃস্থন বংশধরদের কাছে এর স্বাদ ও ঘ্রাণ বিতরণ করা যায়।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। অচিরেই আপনার মজাদার সব লিখাগুলোতে প্রবেশ করার ইচ্ছা রাখি।
তাই কয়েকটি পারিবারিক কথা বলা যেতে পারে বলে মনে করছি। প্রথম কথা হল রন্ধন প্রনালী নিয়ে কোন বক্তব্য রাখতে পারছিনা, কেননা তিনি ব্লগে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন। পারিবারিক ঝামেলায় যেতে চাইনা।
গতকাল দেরীতে বাসায় ফিরা হল, গিন্নী ভেবেছিলেন আমি বুঝি একটি বড় ইলিশ মাছ নিয়েই বাসায় ফিরব। হাত খালি দেখে প্রশ্ন করলেন, দুনিয়ার সকল মানুষকে ইলিশ খাইয়ে মতোয়ারা করেছি, নিজের ঘরে যে ইলিশ নাই সে কথা বুঝি ভুলে গিয়েছি।
চিন্তা করলাম ব্লগের পাঠকদের মিছেমিছি খাইয়ে পেট ভরিয়েছি, ঘরে তো সেই নাটক চলবেনা! তাই ঝট পট বলে বসলাম, দোকানে অর্ডার দিয়েছি পেন্ট শার্ট বদলিয়ে আবারো নিচে যাচ্ছি। দোকানে দৌড় লাগালাম, গিয়ে দেখি ইলিশ শূণ্য বিকেলেই খালি হয়ে আছে।
রাত এগার টায় কোথায় ইলিশ পাই? বললাম ভাই দেখ কোন মাছের ফাঁকে কোন একটি ইলিশ পাওয়া যায় কিনা? বেচারা রুই মাছ, কাতলা মাছের বান্ডিল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় সত্যিই একটি ইলিশ বের করে আনল। দোকানদারও তাজ্জব এটা এখানে কিভাবে এল।
বললাম, আরে ভাই পাল্লায় তোল আর কাট। সে বলে বসল আজ ইলিশের দাম চড়া, সর্বোচ্চ দামে নিতে হবে। আমি রাজি, দোকান দার আবুধাবী থেকে দুবাইতে ফোন করে ঠিক রাত ১১ টার সময় ইলিশের আন্তর্জাতিক দাম কত জেনে নিলেন। তিনি বললেন ১২২ দিরহাম দিতে হবে।
মাথায় দিয়ে ঘাম পায়ে পড়তে লাগল, অবশেষে সেই ছোট্ট ইলিশ এক ডজন মুরগীর দামে কিনে আনলাম। নিজে নিজে ওয়াদা করলাম ভুলেও কখনও এভাবে পোষ্ট দিয়ে ব্লগার দের লোভ লাগিয়ে নিজের পকেটের বারোটা বাজাবো না।
এই রকম কঠিন প্রতিজ্ঞা করবেন না ভাই, তাহলে আমরা যারা ডিজিটাল কায়দায় রসনা তৃপ্তিতে অভ্যস্ত, তাদের কি হবে গো???
মন্তব্য করতে লগইন করুন