আব্দুল কাদের যেখানে, জ্বিনের উৎপাত সেখানে! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-৬ (রোমাঞ্চকর কাহিনী)

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১০ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:২৫:৫১ বিকাল



সন্ধ্যার পর পরই বাড়ীতে পৌঁছলাম। দেখি আবদুল কাদের কোন কথা না বলে, হন হন করে বাড়ী থেকে বের হয়ে গেলেন। আজকে তার আচরণটা একটু ব্যতিক্রম মনে হল! ওদিকে আমার পেটের মধ্যে দম ফাটানো জ্বিনের তথ্য! কাউকে বলতে না পারা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিনা! অবশেষে বাড়ীর বাৎসরিক কাজের রাখাল ও মধ্যবয়সী চাকরানীকে সব বলে ফেললাম। তারা শুনলেন কিছুই বললেন না। আমি শান্তি পেলাম কেননা কাউকে তো ঘটনাটি শুনাতে পেরেছি।

ঠিক এমন সময় আতঙ্কিত এক খবর শুনলাম। জেঠাত ভাইয়ের বউ, সম্পর্কে বড় ভাবী, পাগল হয়ে গিয়েছে! সন্ধ্যায় তিনি নামাজ পড়েছেন, চা নাস্তা খেয়েছেন। কথা বার্তার এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং সামনে যা পাচ্ছেন তা ভেঙ্গে একাকার করে ফেলছেন! কেউ বাধা দিতে গেলেই তাকেও আক্রমণ করা হচ্ছে। ধান চাউলের বস্তাগুলো একাকী আলগিয়ে আছড়ে ফেলছেন! যেটা একজন শক্ত সামর্থ্য পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়! আমিও দৌড়ে গেলাম। উত্তেজিত ভাবী কাউকে কাছে ভিড়তে দিচ্ছে না। আমাকে দেখেই থমকে দাঁড়ালেন, আমি যেন তার কেনা চাকর, এমন ভঙ্গিতে আদেশ করলেন! এই সব বস্তাগুলো ধর এবং আমার বাপের বাড়ীতে পৌছিয়ে দাও!

মুরুব্বীরা কানাকানি করতে লাগল বউকে জ্বিনে ধরেছে! আর যায় কোথায়? চাকর চাকরানী বলে বসল, এই জ্বিন চেয়ারম্যানের বউকে আক্রমণ করা জ্বিন। আজ সন্ধ্যায় আমার সাথেই জ্বিন আমাদের বাড়ি চিনেছে। সে জন্য বাহক হিসেবে সকল দোষ আমার! সবার সামনে মা প্রশ্ন করলেন, ব্যাপার সত্য কিনা? হ্যাঁ বোধক উত্তর মিলল। আমার কথা কেউ বিস্তারিত আর শুনতেই চাইল না। সব দোষ আমার, এজন্য আমিই দায়ী। কেননা আমার সাথের জ্বিনই আমাকে কু-প্ররোচনা দিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি চিনিয়েছে। আবার চেয়ারম্যানের বউয়ের সেই জ্বিনকে আমি আমাদের বাড়ি চিনিয়েছি! বুক ফেটে কান্না আসতে চাইল।

আমি কিভাবে বুঝাই আমি জ্বিনে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি নই। তাছাড়া আমিতো এদের মত পাগলামি করি না। যাই হোক, সে রাত্রে রুহুল আমিন বৈদ্যকে আনা হল, তিনি এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় জ্বিন তাড়ালেন। তবে বৈদ্য একটি মহৎ কাজ করে গেলেন। জ্বিনকে প্রশ্ন করেছেন, সে কখন এবং কেন এই মহিলার উপর ভর করেছে? জ্বিন বলেছে, আজ বিকেলেই সে ভর করেছে, যখন মহিলাটি লাল শাড়ী পড়ে কবরের পাশে ঘুরঘুর করছিল। এতে আমার উপর বদনামীর বোঝা আপাত সমাধান হল। তবে সন্ধ্যা বেলায় সকলের খোঁটা তখনও আমার গায়ে হুল ফুটচ্ছিল। লাভের মধ্যে হল, একদিনে জ্বিন তাড়ানোর দুটি দৃশ্য অবলোকন করলাম। দুজন বৈদ্য সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে জ্বিনকে শাস্তি দেবার চাক্ষুষ অভিজ্ঞতা পেলাম।

আশা করি আবদুল কাদেরের কথা ভুলে যান নাই? তিনি মাঝ বয়সী সুঠাম দেহের এক ব্যক্তি। বাড়ী ভারতের আসামে। ভাগ্যের অন্বেষণে ভারতের অরুণাচল, হিমাচল, ত্রিপুরা, গৌহাটি তন্ন তন্ন করে ঘুরেছেন। বহু পেশা অবলম্বন করে দেখেছেন, কোন পেশাতেই তিনি ভাল করতে পারেন নাই। অবশেষে একজন চা বাগানের শ্রমিক হিসেবে তিনি বাংলাদেশে আসেন। আমার বাবা চা বাগানের ম্যানেজার থাকাকালে তার চাকুরী স্থায়ী করেন এবং কুলি সর্দার হিসেবে নিয়োগ পান। নামে আবদুল কাদের হলেও খাসিয়ত, চিন্তাধারা, ভাবনা সবকিছুই কুলিদের মত।

উল্লেখ্য কুলিরাও মানুষ, কবি নজরুল কুলিদের পক্ষে কবিতা লিখে অমর হয়ে আছেন এবং বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ। এখানে কুলি কথাটি ঘৃণার জন্য বলা হয়নি। বন্দরের শ্রমিক কুলি আর চা বাগানের কুলি এক নয়, তাদের মাঝে আছে বিস্তর তফাৎ। চা বাগানের কুলিরা এক বেলা কাজ করে মাত্র। তারপর মদ, গাঁজা গিলে বাকি পুরো দিন পুরো রাত ঘুমিয়ে কাটায়। তাদের হাতে টাকা গেলেই মুসিবত! তারা নগদ টাকার সবটাই দিয়ে মদ কিনে ফেলে। তাই বাগান কর্তৃপক্ষ এসব মানুষকে সপ্তাহান্তে রেশনের মাধ্যমে খাবার দেয়। এদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন ও কর্ম নিয়ন্ত্রণে একজন দক্ষ সর্দারের দরকার পড়ে! নতুবা দায় দেনা বাড়িয়ে কর্জের চাপে একদিন গোপনে স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। এতে বাগানের শ্রমিক সংকট দেখা দেয়।

আমার বাবা চা বাগানের চাকুরী ছেড়ে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি বিরাটকায় ফলের বাগান গড়ে তুলেছিলেন। নানাবিধ ফলে বাগান ভরপুর থাকলেও; পাহাড়ী ফল মূল ও বিচিত্র গাছের প্রতি আমার আকর্ষন ছিল। আবদুল কাদের সেই বাগানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সে তার পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের খামার বাড়ীতে থাকত। সপ্তাহ শেষে তাকে আমাদের বাড়ীতে আসতে হত। তার আগমনে আমি খুবই উৎফুল্ল হতাম। পাহাড়ি ফল মূলের প্রতি আমার দূর্বার আকর্ষণের কথা সে জানত। তার বিচিত্র অভিজ্ঞতা গুলো আমি শুনতে উদগ্রীব থাকতাম। তার ঘটনাগুলো কিছুটা অদ্ভুত, চিত্তাকর্ষক যা শুনতে মন চাইত। যার কারণে সে আমাদের বাড়ী আসার তারিখ, সময়, বার, দিন হুবহু আমার মনে থাকত।

আমার মেঝ ভাই, মাদ্রাসায় পড়েন, খুবই ভদ্র ও অমায়িক। বয়সে আমার চেয়ে আট বছরের বড়। তাঁর কঠোর নজরদারীতে আমার লেখাপড়া, শিষ্টাচার অর্জন, চরিত্র গঠনের মত কঠিন পাঠ চলছিল। তাঁর হাতের লেখা বেজায় অসুন্দর হলেও, আমার হাতের লিখা কেন সুন্দর হয়নি! সেই অপরাধে জীবনে কতবার কান মলা ও কান ধরে উঠবস করতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নাই!

সর্বদা খেলাধুলা নিয়ে পারিবারিক কাজে গড় হাজিরা দিতাম। পক্ষান্তরে তিনি অক্ষরে অক্ষরে মায়ের আদেশ পালন করতেন। এমন কি, তিনি কান খাড়া করে বসে থাকতেন, মা কোন জিনিষটার জন্য কখন কাকে ডাকছেন। নিজের স্বাদ আহ্লাদ, খেলাধুলাকে কে বিসর্জন দিয়ে মায়ের কাজ করার জন্য হাঁ করে তাকিয়ে থাকার মত মানুষ, তাঁর মত আমি দ্বিতীয়টি দেখিনি! এই ধরনের সন্তান অবশ্যই মায়ের প্রিয়ভাজন হবে সন্দেহ নাই। তাঁর চরিত্রের মানদণ্ড বিচারে ভাই হিসেবে আমি তাঁর ধারে কাছেও নই! তাঁর দৃষ্টিতে আমার চলা ফেরায় শুধু দোষ আর ত্রুটি!

আবার আমাকে খুব ভালবাসতেন, বুঝাতেন কারো সাথে যেন ঝগড়া না করি। কাউকে যেন গালি না দেই, মা-বাবাকে গালি না শোনাই, খারাপ বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ করি ইত্যাদি। মানুষের চিন্তা চেতনায় খারাপ বন্ধু বাছাইয়ের মানদণ্ড ভিন্ন হবেই। আমি যাকে ভাল বন্ধু মনে করে গল্প করলাম, মেজভাই তাকেই খারাপ বন্ধু মনে করে ভিতরে ভিতরে তেতে থাকতেন! অতঃপর মা’কে বুঝাতেন আমি আবার খারাপ বন্ধুদের সাথে চলাফেরা শুরু করেছি! ক্যারাম বোর্ড, মার্বেলের মত সাধারণ গ্রাম্য খেলাগুলো পর্যন্ত আমার জন্য নিষিদ্ধ ছিল! এই দোষে চড়া শাস্তি হিসেবে কান ধরে উঠ বসের খেসারত চলত! ওয়াদা করতে হত। শাস্তির পরে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করতেন, বুঝাতেন মাথায় হাত বুলাতেন। যাতে গোস্বা করে তাকে ভুল না বুঝি, তিনি এসব শাস্তি আমার কল্যাণের জন্যই দিতে বাধ্য হয়েছেন!

যে ভাইটি, তার ছোট ভাইকে শিষ্টাচার শিখানোর জন্য, অহর্নিশি এত ব্যস্ত। সেই মেঝ ভাইটি এক সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তার ওস্তাদের চৌদ্দ গোষ্ঠী ধরে গালাগালি শুরু করে দিলেন! সে কি গালা গালিরে বাবা! এত বিশ্রী ভাষায় অশ্রাব্য গালাগালি আমি আমার জনমেও শুনিনি! মা ঘর থেকে বের হলেন, তিনি তাঁকেও পরোয়া করলেন না! আমার পিতাকে শ্রদ্ধা ও ভয় দুটোই করতেন। আজ তিনি এসে যখন প্রশ্ন করলেন কি হয়েছে তোমার? সাথে সাথে আমার বাবার দাদাকে ধরে গালাগালি শুরু করলেন! সে কি নোংরা, কদর্য ভাষায় গালাগালি! গালির ভাষা লিখা তো সম্ভব নয়ই, ভদ্র মানুষের পক্ষে রেকর্ড করাও অসম্ভব হবে! আমি নিজের কান দু’টোকে বিশ্বাস করতে পারছিনা, মাদ্রাসার পড়ুয়া একজন সেরা ভদ্র ছাত্র, কদাচিৎ মসজিদের ঈমাম, গ্রাম জোড়া যার যার সুনাম আর সুখ্যাতি! সেই ব্যক্তিটি কিনা গালির ব্যোম দিয়ে মৃত-জীবিত সবার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ছেন! সেরা গালা গালির জন্য যদি রাষ্ট্রে পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকত, নির্ঘাত তিনিই সেই পুরষ্কার পেয়ে যেতেন!

আগের পর্ব: জ্বিন তাড়ানোর কৌশল দেখা! এক পিকুলিয়ার মানুষ, পর্ব-৫ (রোমাঞ্চকর কাহিনী) পড়তে চাইলে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

প্রথম পর্ব: এক পিকুলিয়ার মানুষ! (রোমাঞ্চকার কাহিনী- ভূমিকা পর্ব)

বিষয়: বিবিধ

১৫৪১ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

205725
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫১
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : টান টান উত্তেজনা এনে থেমে গেলেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়.......
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
154602
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ পরবর্তী পর্ব পড়ার আখাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করার জন্য। শ্রীঘ্রই আসছে পরবর্তী পর্ব।
205730
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভাই গালাগালি পুরষ্কার উনাকে না দিয়ে যদি অশ্লীলতার এই পুরষ্কার আমাদের সংসদের কাউকে দিতে পারতেন ভালো হয়।
ভালো লেগেছে গল্পটি। Good Luck Rose
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:১৩
154618
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ। গালাগালি তো মুখের কন্দরে থেকে যায়, যার প্রকাশ ঘটে শব্দ হিসেবে। গালাগালি যখন চরিত্রকে আচ্ছাদিত করে ফেলে তখনই তাকে অশ্লীল বলা হয়। গালাগালির পরিপূর্ন প্রকাশই হল অশ্লীলতা আর অশ্লীল চরিত্রের ব্যক্তিকে গালাগালি শুনিয়ে দমন করা যায়না। সুতরাং আপনি যে সমস্ত ব্যক্তিকে অশ্লীল বুঝাচ্ছেন তারা যদি সত্যিই অশ্লীল হয়, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কম, প্রতিরোধ কিংবা সংশোধন ব্যতীত কোনদিন অশ্লীলতা দূর হয়না।

এটি কোন গল্প নয়, সত্যি ঘটনার প্রতিচ্ছবি। আবারো ধন্যবাদ।
205749
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:২৮
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : আক্রমনাত্নক ভঙ্গিতে আসিয়া হঠাৎ থামাইয়া দিলেন..........
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৪
154638
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অচিরেই আবারো পথ চলা শুরু হবে, লিখা চলছে আপনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
205768
১০ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আমাদের দেশের সরকারী দলের লোকদের চাইতে কেউ গালি বেশী দিতে পারে না ..আগামীতেও কেউ পারবে বলে মনে হয না।
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৩
154750
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার কথার সত্যতা থাকতেও পারে, শোনা যায় আমাদের চট্টগ্রামের এক বড় নেতা নাকি প্রতি বাক্যেই গালাগালি করতেন। আমি তাঁকে দেখিনি তবে শুনেছি। অনেক ধন্যবাদ।
205784
১০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৬
সাদামেঘ লিখেছেন : ভালো লাগলো
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৪
154751
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
205820
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১২
সিকদারর লিখেছেন : আস্-সালামু-আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ। সাথে আছি । আগামী পর্বের অপেক্ষায় ।
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৪
154752
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অসংখ্য ধন্যবাদ, সাথে থাকুন, দারুন খবর আছে।
205830
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:১৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অনেকগুলি বিষয় একসাথে গুলিয়ে যাচ্ছে। আগে চেয়ারম্যান এর জ্বিন এরপর আবার আপনার ভাই!!! যাই হোক চলুক।
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:৪৯
154753
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আমার দেখা ও সামনে চিকিৎসা হওয়া তিন জন রোগীর কথা বলেছি। সেখানে তিন জন ভিন্ন বৈদ্য ভিন্ন ভাবে চিকিৎসা করেছে:
প্রথম জন, চেয়ারম্যানের স্ত্রী।
দ্বিতীয় জন, গ্রাম্য ভাবী।
তৃতীয় জন, আমার ভাই।

গুলিয়ে যাওয়া বিষয়টি আমি পুনরায় রিভিউ করে দেখব। হয়ত তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে কোথাও বাক্য বিন্যাস যথাযত হয়নি।

দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
205952
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৭
মাটিরলাঠি লিখেছেন : শেষ না করে রেখে দিলেন। ভালো লাগছে অভিজ্ঞতা গুলো। আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল জ্বীনের ঢিল মারা দেখার। সে কি ঢিল, দিন-রাত সমানে ২৪ ঘণ্টা, এভাবে চলেছে মাসের পর মাস।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৬
154969
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : শেষ তো এখনও হয়নি, আরো চলবে ধারাবাহিক ভাবে। জ্বিন সর্ম্পকে আপনার সংযুক্তি আমার লিখাকে আরো বস্তুনিষ্ট করবে। অনেক ধন্যবাদ।
206137
১১ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৭
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : সত্যিই টান টান উত্তেজনা!
১১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:০৬
154970
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ।
১০
206240
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২২
আহমদ মুসা লিখেছেন : পূর্বের দু'টি পোস্ট পড়া হয়নি। মনে হচ্ছে পূর্বের পোস্টের ধারাবাহিক পর্ব এটি।
জ্বিন ভুত তাড়ানো নিয়ে আমারও বেশ কিছু মজার/সাজার অভিজ্ঞতা আছে। জ্বিন তাড়ানোর এক বৈদ্যের বৈদ্যলীর কেরামতির আমার কারণে বারোটা বাজার অবস্থা হয়েছিল। যার ফলে ভদ্রলোকটি অনেক দিন ধরে আমাকে বাকাঁ চোখে দেখতো।
যা হোক এর আগের পর্বগুলোও পড়ে নিবো সময় সুযোগে।
১২ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:২১
155005
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : এটা ধারাবাহিক পর্ব, পড়ার আগ্রহ দেখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। জ্বিন সর্ম্পকে আপনার সংযুক্তি আমার লিখাকে আরো বস্তুনিষ্ট করবে।
১১
208063
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
নেহায়েৎ লিখেছেন : দেখি এত ভদ্র মানুষের গালাগালির পর কি রহস্য আছে!!!
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:১৮
156718
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি তো পিছনের দিকে আগাইতেছেন, যাক পড়া শেষ করার পর জোড়া লাগাইলে বোধগম্য হইবে।
১৫ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১১:২৭
156721
নেহায়েৎ লিখেছেন : প্রথমে পিছনের দিকে যাইতেছিলাম ভাই। পরে শুরু থেকে শুরু করেছি আবার।
১২
218168
০৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:০৮
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : আহারে ভাইটারে ও জ্বীনে ধরল বুঝি??
০৬ মে ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৮
166234
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ধন্যবাদ আগাতে থাকেন।
১৩
264715
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩২
আফরা লিখেছেন : আরো আগাতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আজকে আর না আগামি কাল বাকী গুলো ইনশা আল্লাহ ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:২১
208480
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইনশায়াল্লাহ, ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।
১৪
305911
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : তাঁর হাতের লেখা বেজায় অসুন্দর হলেও, আমার হাতের লিখা কেন সুন্দর হয়নি! সেই অপরাধে জীবনে কতবার কান মলা ও কান ধরে উঠবস করতে হয়েছে তার ইয়ত্তা নাই! হা হা হা হা হা ........ ভাল লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File