মানুষকে পথভ্রষ্ট করার শয়তানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:৩৯:৫৫ সকাল
মহাপ্লাবন কালে নূহ (আঃ) ও শয়তানের মাঝে ঘটনা।
নূহ (আঃ) এর সময় সংঘটিত অভিশপ্ত মহা প্লাবনের প্রস্তুতি কালে, কথার ফাঁক ধরে শয়তান গাধার লেজ ধরে নৌকায় চড়ে বসে! নূহ (আঃ) শয়তানকে নৌকা থেকে নামিয়ে দিতে চাইলে, শয়তান তখন নূহ (আঃ) বলেন, আপনি আমাকে নৌকা থেকে নামাবেন না, এই পরিস্থিতিতে আমি আপনার কোন অশান্তির কারণ ঘটাবো না।
আপনি আমাকে নৌকা থেকে এভাবে নামিয়ে দিয়ে হত্যা করতে পারবেন না। কোন এক ভাবেই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেই। কেননা আল্লাহ আমার সাথে ওয়াদা করেছেন যে, তিনি আমাকে কেয়ামত পর্যন্ত বেঁচে থাকার অবকাশ দিবেন। এই কথায় নূহ (আঃ) প্লাবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত শয়তানকে নৌকায় থাকতে দিয়েছিলেন।
প্লাবন শেষে নূহ (আঃ) এর নৌকা যখন স্থলভাগে ভিড়ে; তখন শয়তান নূহ (আঃ) বলল, আপনি প্লাবন কালে আমার সাথে সদাচরণ করেছেন। সেটার সৌজন্য হিসেবে আমি গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কথা আপনাকে জানাতে চাই। আমি কিভাবে মানুষকে পথভ্রষ্ট করি, তার পাঁচটি পদ্ধতির মাঝে তিনটি আপনাকে জানাব এবং বাকি দুটি গোপন রাখতে চাই। অন্তত তিনটি বিষয় থেকে আপনি আপনার অনুসারীদের মুক্ত রাখতে পারবেন।
সে সময় নূহ (আঃ) কে ওহী করে বলা হয় যে, শয়তান আপনাকে দুটি পদ্ধতি বাদ দিয়ে তিনটি বলতে চাচ্ছে। আপনি তার কাছে তিনটির স্থলে বলতে না চাওয়া দুটি বিষয় কি, সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। নূহ (আঃ) তিনটি বিষয় বাদ দিয়ে, দুটি বিষয় জানার আগ্রহ দেখালে শয়তান সে দুটি বিষয় জানাতে ইচ্ছুক হয়। শয়তান বলল সে দুটি বিষয় এগুলো:
১. প্রথমটি হল হিংসা! আদমের প্রতি হিংসার কারণেই আমি অভিশপ্ত এবং বিতাড়িত শয়তান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি।
২. দ্বিতীয়টি হল লোভ! আল্লাহ আদম (আঃ) এর জন্য জান্নাত হালাল করে দিয়েছিলেন। তিনি চিরকাল জান্নাতে থাকার লোভ করেছিলেন। আমি আদমকে জান্নাতের লোভ লাগিয়ে আমার উদ্দেশ্য সফল করেছিলাম।
আগামী পর্বে বাকিটা দেখুন...............
বিষয়: বিবিধ
৪০১০ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
এগুলো আমার দাবী নয়, তবে আমি এসব বিস্তারিত যেখান থেকে পড়েছিলাম সেখান থেকেই লিখেছি। মনে হয় আপনার প্রশ্ন আজকের বিষয় বস্তু এই কথার সাথে সামঞ্জস্য নয়। অনেক ধন্যবাদ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : আমি অল্প জ্ঞানের মানুষ। Geography major নিয়ে মাস্টার্স করেছি, তবে কোন ভুগল বিদের মতে এ অদ্ভুত কাহিনী কোথাও পাইনি।গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন,
নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন......
বইটির বাংলা হয়েছে, 'জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস' নামে। অনুবাদক: মোহাম্মদ হাদীউজ্জামান। অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ টিপু ভাই। বইটি আমার কাছে সফট কপি আছে।
আল্লাহ আমাদেরকে ষড় রিপুর উপকার গুলো গ্রহন করার তৌফিক দান করুন।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
গাজ্জালি সাহেবের কিমিয়া সাহদাতে পড়েছিলাম
এই ষড় রিপুগুলির অপকার যেমন আছে তেমনি উপকারি কিছু দিকও আছে তাই দোয়া করলাম,আল্লাহ আমাদেরকে ষড় রিপুর উপকার গুলো গ্রহন করার তৌফিক দান করুন।
ধন্যবাদ
২. দ্বিতীয়টি হল লোভ!
পাঠকের মন্তব্যে দেখা গেল যে, একজন পাঠক লিখেছেন,"Geography major নিয়ে মাস্টার্স করেছি, তবে কোন ভুগল বিদের মতে এ অদ্ভুত কাহিনী কোথাও পাইনি।" - উনি বুঝতে পারছেন না যে, যে মুসলমান পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হজরত নুহ [আঃ]-এর সময়ে সংঘটিত মহাপ্লাবনের ঘটনায় বিশ্বাস না করে মুসলমান হওয়া যায় না . . . !! - এই ধরনের মানুষে জগৎটা আজ ভরে গিয়েছে।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
এরিষ্টটল, সক্রেটিস, ইবনে খলদুন, আল-জাবের, জাবির ইবনে হাইয়ান, আল খাওয়ারিজীমি সহ হাজার হাজার জ্ঞানী ব্যক্তিদের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন নি, তবে তাদের লিখনী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
ব্লগে কারো নাম মুসলমানের মত হলে তাকে মুসলিম মনে করা বিরাট ভুল। তার লিখনী, উদ্ধৃতি, শব্দ চয়ন, বাক্যের ব্যবহার, সর্বোপরি কলমের মনোবৃত্তির প্রতি নজর রাখতে হয়। তাহলে বুঝবেন তার আসল পরিচয়। তবে যাদের কাছে নৈতিকতা ও বাস্তবতার ঘাটতি থাকে তারাই এই ধরনের কাজ করে থাকে। কেননা তারা বিলক্ষণ বুঝতে পারে তার মূল পরিচয় প্রকাশ হলে, তিনি কাউকে আক্রমণ করার আগে নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়বেন, তাই খোলস গ্রহন করে। অনেক ধন্যবাদ।
ঐ বইয়ে বর্ণিত শূকর, ইদুর, বিড়াল সৃষ্টির ঘটনাটাও মনে পড়লো ...
ধন্যবাদ শিক্ষনীয় জিনিস উপস্থাপনের জন্য।
এখানে বইটি পাবেন জিন জাতির ইতিহাস
ভূগোলের সিলেবাসে না থাকলেই কোন কিছু মিথ্যে বা অসম্ভব হয়ে যায়না। নুহ (আঃ) এর সময় এর মহাপ্লাবন এর বিষয়ে শুধু ওহি ভিত্তিক ধর্মগুলিই নয় স্থানিয় ধর্মগুলিও পরম্পরায় বিশ্বাস রাখে। যেমন আন্দামানের স্থানিয় জনগোষ্ঠি যারা এখনও সভ্যতা বঞ্চিত তারাও এই ধরনের একটি মহাপ্লাবন এর কথা বলে(দেখুন আন্দামান বন্দির আত্মকাহিনী-মাওলানা আবু জাফর থানেশ্বরি)। এমনকি হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস এও এধরনের উল্লেখ আছে।
তবে আমি কোন একজন আলেম এর বক্তব্যে একবার অনেকটা এমন করে শুনেছিলাম - শয়তানের প্রথম কাজই হল - যে কোন ভাল কাজ তা এবাদত হোক আর সৎকর্ম হোক - তার মধ্যে একটু দেরী করানোর চেষ্টা করা। একবার দেরী করাতে পারলে - সে কিনা চেষ্টা করে আর একটু দেরী করাতে এবং এর পর একপর্যায়ে ঐ কাজ হতে বিরত রাখতে।
এটা আমার কাছে ট্রু মেন হয়েছে - বিশেষ করে যখন এশার নামাজ ঠিক সময়ে না পড়লে - তা দেরী করাতে করাতে ১২টার পর পয্যন্ত বেশ অনেকবার আমাকে দেরী করিয়েছে।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
২. দ্বিতীয়টি হল লোভ! আল্লাহ আদম (আঃ) এর জন্য জান্নাত হালাল করে দিয়েছিলেন। তিনি চিরকাল জান্নাতে থাকার লোভ করেছিলেন। আমি আদমকে জান্নাতের লোভ লাগিয়ে আমার উদ্দেশ্য সফল করেছিলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন