নিয়ত কি? বুঝতে হলে একটি সুন্দর উদারহণই যথেষ্ট
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:২৪:৫৭ বিকাল
চিত্র এক: এক ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য তড়িঘড়ি করে ঘোড়া থেকে নামলেন। তিনি দেখলেন ঘোড়া বাঁধার কোন খুঁটি নাই। তিনি সহসা খেজুর গাছের ডাল কেটে একটি খুঁটি বানিয়ে মাটিতে পুঁতে ঘোড়া বাঁধলেন। ডালের বাকী অংশ দিয়ে আরো কয়েকটি খুঁটি বানিয়ে মাটিতে পুঁতে দিলেন। যাতে করে পরবর্তীতে যারা ঘোড়া নিয়ে আসেন তাদের যাতে সমস্যা না হয়। কারণ তার হৃদয়ে ভাল নিয়ত ছিল।
ইসলামে দৃষ্টিতে এটা একটা ভাল কাজ! এই ব্যক্তি ভাল কাজটি করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবেন। কেননা আল্লাহ বলেছেন অণু-পরমাণুর ন্যায় ভাল ও মন্দ কাজ তার দৃষ্টিসীমার বাহিরে থাকবে না।
চিত্র দুই: একই রাত্রের সকাল বেলা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য হন্তদন্ত হয়ে এক ব্যক্তি মুখে ব্রাশ হাতে মসজিদ মুখো হলেন। পথিমধ্যে মাঠের মধ্যে কোন খুঁটির সাথে উষ্টা খেয়ে তিনি চিৎপটাং হলেন! তিনি খেয়াল করে দেখলেন! মাঠের মধ্যে কিছু খেজুর গাছের ডালের খুঁটি। আবার দ্বিতীয় কেউ যাতে আঘাত পেয়ে ব্যথা না পান তাই তিনি খুঁটি গুলো উৎপাটন করলেন। কারণ তার হৃদয়ে ভাল নিয়ত ছিল।
ইসলামে দৃষ্টিতে এটাও একটা ভাল কাজ! এই ব্যক্তি ভাল কাজটি করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবেন।
এখানে একটা ঘটনা, কাজ একটা, এমনকি উপকরণও একটি তবে উপলক্ষ দুটো। দুটো ঘটনার সৃষ্টি দুটি ভিন্ন দিক থেকে। একটি কাজকে নিয়ে দুটি বিপরীত মুখী ঘটনার সৃষ্টি হলেও আল্লাহর কাছে দু’জনই উত্তম প্রতিদান পাবেন। কেননা দুই জনের নিয়ত তথা লক্ষ্য উদ্দেশ্যে ভাল ও মহত ছিল।
যারা বাহ্যিক ভাবে এই দুটি ঘটনার সবটাই না দেখে আংশিক কিছু দেখবে, তাদের কারো কাছে প্রথমোক্ত ব্যক্তির কাজকে খারাপ কিংবা কারো কাছে দ্বিতীয় ব্যক্তির কাজকে খারাপ বলে মনে করবেন। কেননা তারা বিশ্লেষণ করে মন্তব্য করবেন ততটুকু কাজের যা তারা স্বচক্ষে দেখেছেন। আল্লাহ পুরো প্রক্রিয়ার বিচার করবেন, কেননা ঘটনার শুরুতে তিনি ছিলেন পরেও তিনি ছিলেন। তাঁর কাছে সব কিছুই বর্তমান। যার কারণে তাঁর বিচার হবে যথাযথ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভাল নিয়তে কাজ করার তৌফিক দিন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
২৫১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন