কুষ্ঠি বৃত্তান্ত : জন্ম তারিখের সন্ধানে

লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ০১ জুলাই, ২০১৩, ০৫:৩৬:৩৪ বিকাল



আমার পরিবারের সবাই সচেতন ও শিক্ষিত ছিলেন। আমার পিতা সকল সন্তানদের সঠিক জন্ম তারিখ ডায়েরীর মত একটি খাতায় লিখে রেখেছিলেন। সেখানে পিতার আরো দরকারি তথ্য সংরক্ষিত ছিল। হাই স্কুলে ভর্তি হবার পর মাথায় প্রশ্ন জাগল আমার জন্ম তারিখ কত? হিন্দু আধিক্য স্কুলের সহপাঠীদের দেখতাম তারা তাদের জন্ম তারিখ জানত এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসা করত। আমিও আমার সঠিক জন্ম তারিখ জানার জন্য বাবার পিছনে লেগে গেলাম, বাবা মায়ের পিছনে লেগে গেলেন, মা বড় ভাইয়ের পিছনে লেগে গেলেন। সবারই একটি প্রশ্ন সেই খাতাটি কোথায়? বুঝতেই পারলাম আমার জন্মতারিখ ও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেই খাতার ভিতরেই রয়েছে; যে খাতাটি গত বছর ফেরিওয়ালা থেকে ঝাল মিটাই তথা ‘কটকটি’ খাওয়ার লোভে ফেরিওয়ালাকে দিয়ে দিয়েছিলাম! আরো বুঝলাম সামান্য কটকটি খাবার লোভে কত বড় ক্ষতিটাই না করে দিয়েছি!

যাক কটকটি খাবার কথাটি গোপন রেখেছিলাম এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলাম আমার জন্ম তারিখ যেভাবেই হোক উদ্ধার করতেই হবে। কেননা স্কুলের এক বন্ধু বলেছিলেন হারিয়ে যাওয়া জন্ম তারিখ উদ্ধার করা সম্ভব এবং এই দূরহ কাজটি করতে পারেন শতায়ু বর্ষী জ্যোতিষী, ‘পণ্ডিত দেবেন্দ্র বিজয় শাস্ত্রী’! এই পণ্ডিতকে চিনতাম, কেননা তিনি আমাদের স্থানীয় বাজারে অবস্থিত একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি আতসি কাঁচ দিয়ে মানুষের হাত দেখতেন, অঙ্ক কষতেন, লম্বা টুলের উপর সাজিয়ে লম্বা খাতায় লিখতেন। আরো কত কি? আমার কৌতূহলের অন্ত ছিলনা, ব্যটা এসব করে কি? যাক, এক কথায় বুঝতে পারলাম তিনি জন্ম তারিখ উদ্ধার সম্পর্কিত ঝামেলার মত জটিল কাজে ব্যস্ত থাকেন। শাস্ত্রী কঠিন কঠিন অঙ্ক করতে পারেন, জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারেন, সেজন্য তিনি পণ্ডিত! আমার নিকট এটা একটা বিরাট আনন্দদায়ক ও আশ্চর্য ব্যাপার বলে প্রতীয়মান হল। তাই জন্মতারিখ উদ্ধারে তার সাহায্য কাজে আসবে বলে নিশ্চিত হলাম।

এবার আসি সঠিক জন্ম তারিখ উদ্ধারের মত কঠিন, দূরহ ও আসল ঘটনায়। আমার জন্মতারিখ উদ্ধারে আমি নানী-মামী, সকল খালাম্মাদের, সকল ফুফুদের, জেঠাইমাদের, গ্রামের মুরুব্বী ভাবীদের, আমার জন্মের সময়কার আমাদের ঘরের দুজন চাকরানীকে প্রশ্ন করি। জানতে চাই আমার জন্ম সম্পর্কে তাদের কি কি জানা আছে। বাবা-মা, বড় ভাই আগেই তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। সকল তথ্যগুলো এক জায়গায় হাজির করার পর নীচের মত করে তথ্যগুলো পরিষ্কার হল।

- মায়ের মনে ছিল সেই দিনটি ছিল মঙ্গলবার।

- পিতার মনে ছিল সেটা ছিল ৬৫ অথবা ৬৬ সাল।

- বড় ভাই ও ছোট খালাম্মার মনে ছিল সেটা ছিল রমজানের ঈদের দিন।

- ভাবীদের মনে ছিল সেটা ছিল ঠাণ্ডার মৌসুম।

- চাকরানীদের মনে ছিল তারা সেমাই, চিনি, গোশত ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।

- জেঠাই মায়ের মনে ছিল, সেটা ছিল মাইজ ভাণ্ডার ওরসের পরের দিন তথা ১১ই মাঘ। ব্যবসায়ীক কারণে সেবার জেঠা মানতের ছাগল নিয়ে ওরসে যেতে পারেন নি, তিনি একজনকে ওরসে পাঠিয়েছিলেন। ঈদের সকালে বাড়ি ফিরে তিনি আমার জন্মের খবর পান এবং আমাকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন।


অতঃপর এসব তথ্য নিয়ে পণ্ডিত দেবেন্দ্র বিজয় শাস্ত্রীর শরণাপন্ন হলাম। তিনি কুষ্ঠি লিখে থাকেন। হিন্দুরা জন্ম, বিবাহ, শুভ কাজ করতে, নাম রাখতে, নতুন বাড়ি বানাতে, চাষবাস শুরু করতে, গাছ রোপণ করতে, মেয়ে দেখতে, মেয়ে দেখাতে, কোন কিছু শুরু করার জন্য, শুভ তারিখ, শুভ ক্ষণ বের করতে জ্যোতিষের কাছে যায়। জ্যোতিষ বহু গবেষণা করে একটি শুভ মুহূর্ত বের করেন। শুভ ক্ষণের হিসেবেই সচেতন হিন্দুরা জীবন যাপন করে থাকে। কুষ্ঠির ভিতরেই বিভিন্ন ছক দেওয়া থাকে, অঙ্কে পারদর্শী না হলে সেই ছক বুঝা কঠিন। যার জন্য সবাইকে কুষ্ঠি নিয়ে একজন বিজ্ঞ জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হতে হয়! প্রতিটি হিন্দু পরিবারের ঘরে সন্তান জন্ম নেবার সাথে সাথেই কুষ্ঠি করিয়ে রাখেন। কুষ্ঠি বানিয়ে রাখাটা পিতার প্রতি সন্তানের হক। মূলত কুষ্ঠির সূত্র ধরেই হিন্দুদের জন্ম তারিখ সঠিক থাকে এবং স্কুলের সহপাঠীরা এই সূত্র থেকেই সঠিক ও নির্ভুল জন্ম তারিখ পেত।



যাক, আমার দেওয়া তথ্যগুলো কুষ্ঠি বানানোর জন্য শাস্ত্রীর পাণ্ডিত্যের জন্য যথেষ্ট ছিল। তার কাছে ৮০ বছরের অধিক পুরানো পঞ্জিকা আছে। এগুলো কোন সাধারণ পঞ্জিকা নয়, কলিকাতার একটি সংস্থা এগুলো ছাপিয়ে থাকে। এক একটি পঞ্জিকার আকৃতি বেশ বড়, সেখানে বছরের ৩৬৫ দিনের প্রতি প্রহর, প্রতি ঘণ্টার বিস্তারিত তথ্য থাকে। এক কথায় এগুলো জ্যোতিষ নির্ভর পঞ্জিকা। তিনি ৮০ বছরের অধিক কাল মানুষের ভাগ্য গণনায় ব্যস্ত থাকাতে তার কাছে ৮০ –র অধিক পঞ্জিকা জমা হয়েছে। এগুলো তার গুরুত্বপূর্ণ সম্বল। সাধারণত তিনি একটি কুষ্ঠি বানিয়ে দিতে ৩০ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। যেহেতু তিনি আমার জন্য ভিন্ন মাত্রার শ্রম, ভিন্ন আঙ্গিকে দিবেন, সেজন্য ৫০ টাকা চেয়ে বসলেন। আমাকে আশ্বস্ত করে জানালেন এই টাকার পারিশ্রমিকের ভিতরে তিনি আমার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ভবিষ্যৎ জন্ম বৃত্তান্ত লিখে দিবেন! আমার জন্য এই টাকাটি ছিল বিরাট অংকের! ছয় মাস পরে কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য মা ১২০০ টাকায় দুটি বাছুর কিনেছিলেন! তখন চিনির কেজি ৫ টাকা, সেমাই ৬ টাকা করে ছিল। সেকালের বাজারে ৫০ টাকাটা আমার জন্য বিরাট অঙ্ক ছিল। দেবেন্দ্র বিজয় শাস্ত্রীর পাশের মুদির দোকানে ঈদের বাজারে এক ব্যক্তিকে চিৎকার করে বলতে শুনেছি, সেমাই-চিনি ১১ টাকা। এক ক্রেতা হতাশা ব্যঞ্জক প্রশ্ন করলেন, হঠাৎ করে সেমাই চিনির দাম এক লাফে এত বেড়ে গেল কেন? এ বছর কিভাবে ঈদ করা যাবে! যাক, মাকে বুঝিয়ে তাঁর জমানো টাকার ভাণ্ড থেকে ৫০ টাকা খসালাম।



জ্যোতিষ দেবেন্দ্র বিজয় পঞ্জিকার পর পঞ্জিকা ঘেঁটে চললেন, কোন মতেই আমার দেওয়া তথ্যের সাথে তার পঞ্জিকার তথ্য মিলে না। দিন মিললে তারিখ মিলে না, তারিখ মিলে গেলে বার মিলে না। বার তারিখ মেলালে সেটা ঈদ কিংবা রমজান হয়না। অবশেষে তিনি ১৯৬৬ সালের ২৫শে জানুয়ারিকে উদ্ধার করলেন। ঠাণ্ডার মৌসুম, রমজানের পর, ওরসের পরের দিন, মঙ্গল বার, মাঘ মাস সবই মিলে গেল। তবে মিলে নাই আরবি মাস, পঞ্জিকার হিসেবে সেটা ২রা শাওয়াল। তিনি একাদশী, দ্বাদশী, অমাবস্যার সকল হিসেব করে সিদ্ধান্ত দিলেন যে, চান্দ্র মাসে বছরে কয়েকবার তারিখের তারতম্য হয়। যেহেতু পঞ্জিকা আগে প্রিন্ট হয়েছে এবং ঈদ এসেছে পরে। সুতরাং চান্দ্র মাসের এক দিনের সমস্যা হয়েই থাকে। সেটা শাওয়ালের এক তারিখ হবে। যেহেতু তিনি বিশ্বস্ত জ্যোতিষ, ধোনাই পানাই করেন না, মিথ্যা লিখতে পারবেন না, তার হাতে যেহেতু এই কথার জোরালো প্রমাণ নাই যে, আমি শাওয়ালের ১ তারিকে জন্মেছি। তাই তিনি আমার জন্মতারিখ ২রা শাওয়াল রেখেছেন এবং বলেছেন যে, ইচ্ছা করলে আমি জন্মতারিখ ১লা শাওয়াল মুখে দাবী করতে পারি। তিনি মূল প্রতিপাদ্যে বলেছেন, আমার নামটি নজরুল ইসলাম না হয়ে যদি সিরাজুল ইসলাম হইত, তাহলে আমার সব কিছুতেই ষোলকলা পূর্ণ হয়ে যেত। আমার জীবনে যদি সুযোগ আসে তাহলে আমি যেন আমার নাম সিরাজুল ইসলাম রাখি। দুর্বিপাকে মারা গেলে (জ্যোতীষীর ভাষায় রাহুর দশা) অন্য কথা। তবে রোগে-শোকে ছেঁচড়িয়ে স্বাভাবিক ভাবে বড় জোড় ৭২ বছর পর্যন্ত আয়ু পাইব।

শাস্ত্রীর হাতের লিখা অসম্ভব সুন্দর! যথাসময়ের দুই সপ্তাহ পরে অঙ্কিত কুষ্ঠি পেয়ে যাই। কুষ্ঠি কিভাবে স্টাডি করব, কিভাবে শুভ অশুভ নির্ধারণ করব তা বিস্তারিত আমাকে শিখিয়ে দিলেন। জীবন বৃত্তান্ত কয়েকবার পড়লাম, নিজের জীবন ইতিহাস কেমন জানি লাগল। হাঁসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। কাউকে দেখাতে লজ্জাও লাগল কেননা সেখানে আমার প্রেম-ভালবাসা, স্ত্রী-নারী নিয়ে কথা আছে! আবার অভ্যাস, খাসিয়ত নিয়ে ভবিষ্যৎ মন্তব্য আছে। জন্ম তারিখের সন্ধান করতে গিয়ে, নিজের অদ্ভুত জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। আমার বন্ধুকে দায়িত্ব দিলাম মাকে জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনাতে। এসব গোপন কথা মা আর কিছু বন্ধুদের থেকে লুকানোর গরজ মনে করি নি। মা লিখা পড়া না জানলেও আমার কুষ্ঠি তথা জীবন বৃত্তান্তের দীর্ঘ বান্ডিলটি নিজ দায়িত্বে রেখে দিয়েছিলেন।



৩৫ বছর হাত ঘুরে এখন সেই কুষ্ঠি আমার গিন্নীর হাতে আছে। আমার মা গিন্নীর কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। বিয়ের পরে সখ ও সাহস করে গিন্নীকে পড়তে দিয়ে বিরাট মুসিবতে পড়েছিলাম। স্ত্রী প্রথম সুযোগে আমার জীবন বৃত্তান্ত প্রথম থেকে পড়া শুরু না করে, বিয়ে ও নারী সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ থেকে প্রথমে পড়া শুরু করেছিলেন! সেখানে লিখা ছিল আমার দুই বিয়ে হবেই!!! নারী নিয়ে হাবি-জাবি আরো কত কি! আর যায় কোথায়! গিন্নী আমার উপর বেজায় চটে গেলেন! বলে বসলেন, ‘বিয়ের আগেই এই কুষ্ঠি আমার দেখা উচিত ছিল’! ইত্যাদি! তাকে বুঝাতেই পারি না, যা জীবনে এখনও ঘটেনি তা নিয়ে এক পেরেশান হবার কি আছে! তিনি বললেন সেটা যে হবেনা তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়? আরো যোগ করলেন, ‘আমি যদি মানসিক ভাবে এটা নিয়ে ভাবতে থাকি, তাহলে জীবনের কোন এক পর্যায়ে দুই বিয়ের কাজটি করে ফেলা আমার জন্য খুবই সহজ ব্যাপার হবে’। দাম্পত্য জীবনের শুরুতেই কুষ্ঠি নিয়ে কলহ! না পারলাম বুঝাতে, না পারলাম নিশ্চিত করতে! কিছুদিন পর দেখলাম, মেডাম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পুরো জীবন বৃত্তান্ত পড়ার পিছনে মন দিয়েছে! আমার গিন্নীর দৃষ্টিতে, কুষ্ঠিতে কিছু কিছু কথা আছে, যা আমার চরিত্রের সাথে হুবহু মিলে যায়! ভবিষ্যতে পুরোটাই যে মিলে যাবে না, সেটাই কিভাবে অবিশ্বাস করা যায়! এসব নিয়ে তার শঙ্কার অন্ত নাই!



আমার কুষ্ঠিটি গিন্নীর কাছে পৈত্রিক সম্পত্তির মত, সে যেখানে যায়, সাথেই থাকে। মাঝে মধ্যে আমার চরিত্রের সাথে মিলিয়ে দেখে, কুষ্ঠির মত হয়ে যাচ্ছে কিনা! দীর্ঘ বছর প্রবাসে আছি, গিন্নীও সাথে আছে, ফলে কুষ্ঠিও বহাল তবিয়তে আছে। স্ক্যান করার জন্য কুষ্ঠি চাইলাম। গিন্নী ভাবছেন অন্য কথা, আমি হয়ত কুষ্ঠির অনেক তথ্য ভুলে গিয়েছি, তাই তথ্যগুলো পড়ে নিয়ে জীবনকে সেভাবে চালাব, যাতে করে চরিত্র কুষ্ঠির কাছাকাছি না হয়। তার মন্তব্য লেখক ধরনের মানুষেরা সর্বদা ‘হুমায়ুন’ মার্কা রোগ বৈশিষ্ট্যগত ভাবেই অর্জন করে। গিন্নীকে বুঝালাম, অযথা কুষ্ঠি দিয়ে তুমি আমার ভুল ধরার চেষ্টা করোনা, সেটা ভুল রাস্তা বরং কুরআন হাদিস দিয়ে আমার ভুল গুলো ধর, সেসব ভুল আমাকে দেখিয়ে দাও, আমি মেনে নিব এবং সহসা শুধরাতে চেষ্টা করব। তার কাছে এটি একটি যুতসই প্রস্তাব বলে মনে হল। অবশেষে তিনি আমার ভুল শুধরানোর জন্য কোরআন হাদিস ধরলেন। ফলে নিজেদের চিন্তাগত ভুল গুলো একে একে পরিষ্কার আয়নায় ধরা পড়তে লাগল...............



পুনশ্চ: কোন মুসলমান মানুষের ভাগ্য গণনায় বিশ্বাস করতে পারে না। এসব বিশ্বাস করা মারাত্মক পাপ। তওবা না করলে এসব পাপ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাসের মূল ভিত্তিই হল, তকদিরে বিশ্বাস করা। সকল ভাল-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। এই কুষ্ঠির একটি শব্দের সাথেও আমার বিশ্বাস নাই। ভাগ্য গননার জন্য তা বানানো হয়নি যা আগেই উল্লেখ করেছি। যে সম্প্রদায় কুষ্ঠিকে বিশ্বাস করে, তারা তাদের দৃষ্টিতে অবিশ্বস্ত কাউকে নিজেদের কুষ্ঠি ভুলেও দেখায় না। গোপনে জ্যোতীষ ধরে, খুব সাবধানতার সহিত অলংকারের সাথে সংরক্ষণ করে। এসব বিশ্বাস করিনা বলেই, আমি আমার কুষ্ঠির কিছু অংশ প্রকাশ করলাম। যারা এ সম্পর্কে জানে না তারা তথ্যটি পাবে, সাথে সাথে এটার সাথে একটি গোত্র অধিকতর বিশ্বস্ততার সহিত নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে তা সে কথাও জানতে পারবে।



বিষয়: বিবিধ

১১০৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File