যুদ্ধাপরাধের বিচার অবাধ এবং স্বচ্ছ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ!
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ২৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০১:৩৩:৪২ দুপুর
আšত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অভ্যšত্মরীণ বিচার ব্যবস্থার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, 'আšত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কার্যত আšত্মর্জাতিক মান রক্ষা করছে না এবং আšত্মর্জাতিক দৃষ্টি এড়িয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবং ট্রাইবুনাল মূলত বাংলাদেশের বিচারকদের নিয়ে পরিচালনা করছে'।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুলান্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হোক’। ‘তবে আমরা বিশ্বাস করি এ ধরণের বিচার কাজ অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠ এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে হওয়া উচিত।’
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং জামায়াতের অভিযোগ ট্রাইবুনালের আšত্মর্জাতিক মান রক্ষা করা হচ্ছে না। এবং তারা এই বিচার প্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং প্রহসন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সরকার বলছে আšত্মর্জাতিক মান বজায় রেখেই চলছে বিচার কাজ।
নুলান্ড বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকারে কাছে সুপারিশ করছে বাকি বিচার প্রক্রিয়া যেন যথাযথ আইন অনুসরণ করে করা হয়’।
গত সোমবার আšত্মর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রথম রায় ঘোষণা করে। ৬৩ বছর বয়সী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে প্রথম রায়ে তার ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। মাওলানা আজাদ বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির একটি ইসলামিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলেন। তবে তিনি গত ১ বছর থেকে পলাতক। জামায়াতে ইসলামীর ৯ ও বিএনপির ২ জনসহ আরও ১১ জনের বিরুদ্ধে ৭১’এ মানবতাবিরোধী অপরাধ করার অভিযোগ বিচার কাজ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ বিবৃতি
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক আবুল কালামের আযাদের অনুপস্থিতিতে তার বিচার শেষে সোমবার তাকে দোষী সাব্যস্তকরণ ও মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি খেয়াল রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরণের অপরাধ যারা করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তা সত্ত্বেও, এমন যেকোনো বিচার হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ, ও জাতীয় মান এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্য সব আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয়ার মাধ্যমে যে আন্তর্জাতিক মানের প্রতি সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ- সেই মান অনুসারে।
স্বাধীনতাযুদ্ধকালে সংগঠিত নৃশংসতার ইতিহাস যখন বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে এবং যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আরো রায়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র অপেক্ষা করছে, তখন আন্তর্জাতিক সনদগুলোর বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে যথাযথ মানসম্মত প্রক্রিয়া মেনে চলা এবং আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলছি।
লিংক দেখুন
বিষয়: বিবিধ
১০৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন