ফটিক ছড়ির কান্না বিগত ৩০ বছর ধরে চলছিল
লিখেছেন লিখেছেন নজরুল ইসলাম টিপু ১৮ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৪৬:৪০ সকাল
আওয়ামীলীগ বর্তমানে ক্ষমতায়! প্রশাসন, বিচার, ক্ষমতা সহ সকল যন্ত্র তাদের হাতে। পত্রিকার খবর মতে, কাজির হাটের মাদ্রাসা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হল যে, ছাত্রলীগের গুন্ডারা হামলা করতে এসেছে! একটি ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রচার করা কাহিনী সকল মানুষ বিশ্বাস করেছে যে, ছাত্রলীগের ওনারা হয়ত গুন্ডা নয়ত লুটেরা এর বাহিরে কিছু নয়। ছাত্রলীগ ফটিকছড়িতে নতুন কেউ নয় যে, ডাকাত বললে মানুষ হামলে পড়বে। তারা ডাকাতির মত কাজ করে এটা কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বিশ্বাস করাতে হযনি বলেই সবাই ঘর থেকে বেড়িয়ে এসেছে। জনগনের সেন্টিমেন্ট না বুঝা ৫০ বছরের অধিক সময়ের নেতৃত্বদান কারী ছাত্রলীগের চির পতনের জন্য এই একটি বিশ্বাসই যথেষ্ট।
দীর্ঘ দিনের সন্ত্রাস, মানুষ খুন, লুটপাট, নিজেদের নেতাদের নিজেরা ধোলাই, বিরোধীদের হত্যা-গুম এসব বিগত ৩০ বছর ধরে দেখতে দেখতে মানুষ তাদের উপর অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তাই তারা সকল মানুষের প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল। কাজির হাটের আশের পাশের গ্রাম গুলো হিন্দুদের অধিকন্তু তারা যে গ্রামের পাশে গন পিটুনীর সম্মুখিন হয়েছেন সেটা হিন্দু গ্রামের মধ্যেই। ধরেই নিলাম মুসলমানেরা অন্যায়কারী কিন্তু হিন্দুরা পর্যন্ত তাদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসেনি!
বাংলাদেশের অন্য জায়গার ছাত্রলীগ কেমন তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে ফটিকছড়ির ছাত্রলীগ জনগনের কাছে এক ভয়ঙ্কর দানবের মত। তারা বিরোধীদলের উপর কি করেছে তা বাদ দিলাম, নিজের দলের উপর এরা বিভৎস ভাবে হামলে পড়ে, স্বার্থের টাকায় এদিক ওদিক হলে। দু একটি উদাহরন।
- তাদের হাতে তাদের সহকর্মী নামকরা ছাত্রলীগ নেতা টিপু নির্মম ভাবে নিহত হয়েছে।
- তাদের এমপি সোনা রফিককে লেংটা করে জনসভা থেতেই বিতাড়ন করেছে।
- সালাউদ্দীন চৌধুরীর কাছে নির্বাচনে কেন পরাজিত হল, এই অপরাধে তার পরদিনই তাদের এমপি প্রার্থী পেয়ারুল ইসলাম তাদের হাতেই মার খেয়েছে।
- তাদের এমপি নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারীকে সর্বাঙ্গে ধোলাই করেছে এরা।
- আওয়ামীলীগের বিশ্বস্থ প্রবীন নেতা চেয়ারম্যান জহরুল হকের মত মানুষকে পর্যন্ত হত্যা করতে এদের হাত কাঁপেনি।
এসব কাজ যারা করে তারা যদি জনগনের ক্ষেপানলের পরিবর্তে গন চুম্বন আশা করে তাহলে অবশ্যই সেটি বৃথা আশা।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন