কক্সবাজারে জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ৪, ১৪৪ ধারা
লিখেছেন লিখেছেন পলাশ৭৫ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৩৮:৩৫ বিকাল
কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ও তারাবনিয়ারছড়ায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই বিকের সাড়ে তিনটা থেকে কক্সবাজার শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে ।
নিহতরা হলেন- নরে আলম (২৮), ওমর ফরুক (২৫), তোফায়েল আহম্মেদ (৩২) ও একজন অজ্ঞাতনা নারী । এদের দু’জন শিবির কর্মী ও অপর দু’জন পথচারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা মসজিদ থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা একটি মিছিল বের করে প্রধান সড়কের পূর্ব দিকে যেতে থাকে। পুলিশও তাদের সঙ্গে এগিয়ে যায়।
এর মধ্যে শহরের তারাবনিয়ারছড়া মসজিদ থেকে আরও একটি ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। এতে পুলিশ দুই মিছিলের মধ্যখানে পড়ে যায়।
মুহূর্তের মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা চালায় শিবির কর্মী। এতে সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে রূপ নেয়। এর মধ্যে শহরের হাশেসিয়া মাদ্রাসা মসজিদ থেকে আরও একটি মিছিল এসে সংঘর্ষে অংশ নেয়। এরপর পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি এবং পুলিশও পাল্টা গুলি করে।
একই সময় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত-শিবির। তারাও ওখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। ফলে পরিস্থিত রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত সূত্র জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধসহ পুলিশের ২২ সদস্য আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার শহরে জামায়াত পরিচালিত আল ফুয়াদ হাসপাতালে প্রায় গুলিবিদ্ধ ৩০ জনকে আনা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন। ফুয়াদ হাসপাতালে গেইট বন্ধ করে ভেতরে তাদের চিকিৎসা চলছে।
কক্সবাজার জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি জিএম রহিমুল্লাহ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, নিহত তিন জন জামায়াত-শিবিরের কর্মী। এ হথ্যার প্রতিবাদে হরতাল কর্মসূচি আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান এবং টহল জোরদার করা হলে জামায়াত- শিবির পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে বেলা ৩টা পর্যন্ত ২ শতাধিক জামায়াত-শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের ২২ সদস্য আহত হন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন এবং শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, আল্লামা সাঈদী মুক্তি পরিষদ নামের একটি ব্যানারে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ সমাগম হয়ে এ নাশকতা চালিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন