মোনাফেকদেরকে চিনতে পারেন কি???
লিখেছেন লিখেছেন সরাসরি ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১২:১৫:৪৫ দুপুর
উহুদের যুদ্ধের সময় যখন আব্দুল্লা ইবনে উবাই রাসুল (সঃ) এর সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলো তখনই তার পরিচয় সবার কাছে স্পষ্ট হলো। সেই যুদ্ধ ছিল ইসলামের টিকে থাকার লড়াইগুলোর মধ্যে একটি ডিসাইসিভ যুদ্ধ। এই মুনাফিক যখন তার দলবল নিয়ে হঠাৎ সরে দাঁড়ালো তখন কিছু সংখ্যক সাহাবির মনে খুত খুত করছিল কিন্তু ঈমানের উপর অটল থেকে শেষ পর্যন্ত তারা যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন। এই মুনাফিকরা আগে ভাগেই সরে পড়েছিল বলে ঐ যুদ্ধে মুসলমানদের আপাত পরাজয় হয়েছিল কিন্তু সেটা ছিল আরো অসংখ্য যুদ্ধে বিজয়ের ভিত্তি এবং প্রশিক্ষণ।
যা হোক, বাংলাদেশে ইসলামের ভবিষ্যত নির্ধারণি যুদ্ধ সম্ভবত শুরু হয়ে গেছে। এই যুদ্ধে যারা শরিক হবে তারা হয় শহীদ নাহয় গাজী হবেন। কিন্তু যারা এতোদিন ধরে তামাশা দেখছিলেন তাদের অবস্থান কি ?
ট্রাইব্যুনা গঠনের পর পরই খালেদা জিয়া নিজে স্পষ্ট করে বলেছিলেন এই ট্রাইব্যুনাল বাতিল করতে হবে। মওদুদ আহমদও সরাসরি বলেছিলেন অবৈধ এই ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দিতে হবে। জামায়াতের গত হরতাল পর্য্ন্ত বিএনপি জামায়াতকে সমর্থন করেছে। কিন্তু এখন যখন একটা নির্ধানরণী সময় এলো, তারা বলছেন ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে তারা নাই। ১৮ দলীয় জোটের কেউ এখন প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। সরাসরি কেউ কথা বলতে নারাজ। এতি দিন যারা এই বিচারকে প্রহসন বললেন, এই বিচার বাতিল করতে বললেন হঠাৎ তারা কেনো ঘুরে গেলেন?
এর পর আসে সারা দেশের আলেম ওলামা নামধারীদের ততপরতা। একজন আমিনী সাহেবই কিছুটা হুঙ্কার ছেড়েছিলেন শুধু। তাকে এই জালিম সরকারের জুলুম সহ্য করেই চলে যেতে হয়েছে। কিন্তু আর সবাই এখন কোথায়? ইসলামী ও সমমনা ১২ দল কৈ? দেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর অস্তিত্ব মুছে দেয়ার পর থেকে একের পর এক ঈমান ধ্বসকারী কাজ করে চলেছে এই সরকার। এখন মূলকে ধ্বংস করে দিতে চায়। আমাদের আলিমরা কোথায়? তাবলীগী ভাইরা কোথায়? দেওবন্দিরা কোথায়? হাঠাজারীরা কোথায়?
এই চুড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী লড়াইয়ে যারা নিজেদেরকে না জড়াবেন তারা কারা?
পঠক, সত্য বা হক তো একটাই। আর মিথ্যা হলো বহুরুপী। মিথ্যা বিভিন্ন রুপ ধরতে পারে কিন্তু হক শুধু মাত্র নিজের একটি চেহারা নিয়ে সব সময় থাকে। আজ মুসলমানদের সত্যিকার ঈমানী পরীক্ষা দেবার সময় এসেছে। আপনি কি হকের পক্ষে থাকবেন নাকি বাতিলের পক্ষে থাকবেন তার সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে। হকের উপর থেকে যারা জীবন বাজী রাখছেন তাদের পক্ষে থাকবেন নাকি অর্থ বিত্ত, হালুয়া রুটি আর তথাকথিত মান সম্মানের জন্য লম্বা জামা পরে দাওয়াত খেয়ে মিলাদ পড়ে কুকুরের জিন্দেগী লালন করবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবার সময় এক্ষুনি। আজকের লড়াইয়ে যে বা যারা নিজেদেরকে নিরাপদ দুরত্বে রেখে বিভিন্ন অজুহাতে ঘরে বসে থাকবেন তারা আল্লাহর কাছে জবাব দিতে পারবেন না। নিশ্চিত সাফল্যের উচ্চ শীখরে পৌঁছুতে চাইলে অবশ্যই আজকের দিনে হক ও বাতিলের নির্ধারণী লড়াইয়ে আপনাকে হকের পক্ষে অবস্থান নিতেই হবে।
আপনার অবস্থানই আপনাকে মুমিন ও মুনাফিক এই দুই অবস্থানের একটিতে চিহ্ণিত করে দেবে।
সুতরাং সিদ্ধান্ত নিন, মুমিন থাকবেন নাই মুনাফিক।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন