ইস্তাম্বুল কি থাকবে মুসলিমদের হাতে?

লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১০:৩০:৩২ সকাল



ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়া

গ্রীক শহর বাইজেন্টিয়ামকে নতুন করে গড়ে বড় শহরে পরিণত করেন রোমান সম্রাট কন্সটান্টিন। তিনি রোমের পরে এটিকে সাম্রাজ্যের দ্বীতিয় রাজধানীতে পরিণত করেন। নানা নির্মাণকাজ করে এটিকে তাঁর সাম্রাজ্যের একটি মণিতে [Jewel] পরিণত করেন। আয়া সোফিয়ার [Hagia Sophia] মত বিশাল এক বিস্ময়কর স্থাপত্য শহরটিকে করে তোলে অনন্য। ইউরোপের সর্ববৃহৎ শহর হয়ে যায় বাইজেন্টিয়াম। কিন্তু বাইজেন্টিয়াম আস্তে আস্তে নতুন নামে পরিচিত হতে থাকে। লোকেরা বলতে থাকে এটি কন্সটান্টিনোপল বা কন্সটান্টিনের শহর।

রোমের অবক্ষয়ের ধারাবাহিকতায় ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে সেনাবাহিনীর জার্মান কমাণ্ডার সম্রাট রমুলাস অগাস্টুলাসকে ক্ষমতাচ্যুত করলে পতন ঘটে সাম্রাজ্যের পশ্চিমাংশের, যা জার্মান গোত্রগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে ছোট ছোট বিভিন্ন রাজ্য বানিয়ে নেয়। কিন্তু কন্সটান্টিনোপলে রাজধানী করা সাম্রাজ্যের পূর্বাংশ অক্ষত থেকে যায়। এটি হয়ে যায় অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের কেন্দ্র এবং গোটা খ্রীষ্টজগতের আশা ভরসার প্রতীক।

ইসলামের অভ্যুদয় পরবর্তী সময়ে শামে (ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন এবং তুর্কির কিছু অংশ) মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পূর্ব-রোমান সাম্রাজ্য বা বাইজেন্টিন সাম্রাজ্য। খুলাফায়ে রাশেদার সময়েই শাম এবং উত্তর আফ্রিকা থেকে হাত গুটাতে হয় বাইজেন্টিনদেরকে। বনু উমাইয়ার সময়ে মুসলিমরা কন্সটান্টিনোপল দখলে অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। আব্বাসী খিলাফতের সময়ে সেলজুক তুর্কিদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে আনাতোলিয়ার [এখনকার তুরষ্কের এশিয়ান অংশ] একটা বিরাট অংশ তুর্কি গোত্রগুলোর কাছে হারায় বাইজেন্টিনরা। প্রতিশোধ হিসেবে পশ্চিমী খৃষ্টানদের সাহায্য কামনা করে তারা তুর্কিদের বিরুদ্ধে। কিন্তু রোমের ক্যাথলিক চার্চ ও কন্সটান্টিনোপলের অর্থোডক্স চার্চের মধ্যে বিরোধ থাকায় পশ্চিমী খৃষ্টানরা বাইজেন্টিনদের রাজনৈতিক পরাজয়ে সাহায্য করবে না জেনেই সম্রাট ২য় আলেক্সিউস সেলজুকদের হাত থেকে জেরুসালেম পুনরুদ্ধারের নামে সাহায্যের আবেদন করেন। রোমের পোপ এরপর ক্রুসেড ঘোষণা করলে দীর্ঘ কয়েক শতকের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে মুসলিম ও খৃষ্টান দুনিয়া। খৃষ্টানরা প্রথম ক্রুসেডে জেরুসালেম দখল করলেও সালাহুদ্দীন ইউসুফ ইবন আইয়ুবের নেতৃত্বে মুসলিমরা ক্রুসেডারদের পরাজিত করে জেরুসালেম উদ্ধার করে। খৃষ্টান জগত এরপর আরো বেশ কয়েকটি অসফল ক্রুসেড পরিচালনা করে। শেষ ক্রুসেডে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পরিবর্তে ইতালিয়ানরা উল্টা কন্সটান্টিনোপল আক্রমন করে তা লুট করে। এতে সাম্রাজ্য আরো সংকীর্ণ হয়ে পড়লেও কন্সটান্টিনোপল একটা সাম্রাজ্যের প্রতীক হিসেবে অপরাজেয় রয়ে যায়।

এরপর আব্বাসী খিলাফতের পতন হয় মোঙ্গলদের হাতে। সেই সাথে শেষ সেলজুক তুর্কিদের শাসনেরও। কিন্তু এর মধ্যেই আনাতোলিয়াতে ধীরে ধীরে এক তুর্কি সরদার উসমান গড়তে শুরু করেন এক নতুন রাজ্যের - এক গৌরবময় সালতানাতের ভিত্তি - উসমানী খিলাফত। এই উসমানেরই বংশের মুহাম্মদ আল-ফাতিহ [সুলতান ২য় মেহমেত] ১৪৫৩ সালে জয় করে নেন কন্সটান্টিনোপল। শেষ হয়ে যায় রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাংশও। সুলতান মুহাম্মদ নিজেকে রোমের নতুন কায়সার হিসেবেও দাবী করেন। খৃষ্টান দুনিয়া তাজ্জব হয়ে যায়। তারা মেনে নিতে পারছিল না একজন মুসলিমের হাতে তাদের এই শহরের পতন। তাই পোপ সুলতানকে অনুরোধ করেন খৃষ্টান হয়ে যাবার জন্য। সুলতান তা প্রত্যাখ্যান করেন অবশ্যই এবং কন্সটান্টিনোপলের নতুন নামকরণ করলেন ইসলামপোল - ইসলামের শহর হিসেবে। ওটাই বিকৃত হয়ে ইস্তাম্বুল হয়েছে।

বাইজেন্টিয়াম>>কন্সটান্টিনোপোল>> ইসলামপোল >>ইসলামবোল>>ইসলাম্বুল>> ইস্তাম্বুল

খ্রীষ্টান দুনিয়া এটিকে ভুলে যায় নি। তারা পরাজয়ের ৭০০ বছরের মাথায় স্পেন থেকে ধীরে ধীরে মুসলিমদের নাম মুছে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছিল মুসলিমদের অভ্যন্তরীন দন্দ্বের কারণে। ইস্তানবুল বিজয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ 'শ বছর আগে। খৃষ্টান দুনিয়া এটাকে উদ্ধারের পাঁয়তারা যে করছে না সেটা আমরা কীভাবে ভুলে থাকব। তারা প্রতিনিয়ত পরিকল্পনা করেই যাচ্ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তারা প্রায় সফলই হয়ে গিয়েছিল। এখনো তাদের চক্রান্ত থেকে নেই। তুর্কি ভাইয়েরা তাই আমাদের দু'আ ও সহযোগিতার অনেক বেশি হক্বদার।গ্রীক শহর বাইজেন্টিয়ামকে নতুন করে গড়ে বড় শহরে পরিণত করেন রোমান সম্রাট কন্সটান্টিন। তিনি রোমের পরে এটিকে সাম্রাজ্যের দ্বীতিয় রাজধানীতে পরিণত করেন। নানা নির্মাণকাজ করে এটিকে তাঁর সাম্রাজ্যের একটি মণিতে [Jewel] পরিণত করেন। আয়া সোফিয়ার [Hagia Sophia] মত বিশাল এক বিস্ময়কর স্থাপত্য শহরটিকে করে তোলে অনন্য। ইউরোপের সর্ববৃহৎ শহর হয়ে যায় বাইজেন্টিয়াম। কিন্তু বাইজেন্টিয়াম আস্তে আস্তে নতুন নামে পরিচিত হতে থাকে। লোকেরা বলতে থাকে এটি কন্সটান্টিনোপল বা কন্সটান্টিনের শহর।

রোমের অবক্ষয়ের ধারাবাহিকতায় ৪৭৬ খ্রীষ্টাব্দে সেনাবাহিনীর জার্মান কমাণ্ডার সম্রাট রমুলাস অগাস্টুলাসকে ক্ষমতাচ্যুত করলে পতন ঘটে সাম্রাজ্যের পশ্চিমাংশের, যা জার্মান গোত্রগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে ছোট ছোট বিভিন্ন রাজ্য বানিয়ে নেয়। কিন্তু কন্সটান্টিনোপলে রাজধানী করা সাম্রাজ্যের পূর্বাংশ অক্ষত থেকে যায়। এটি হয়ে যায় অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের কেন্দ্র এবং গোটা খ্রীষ্টজগতের আশা ভরসার প্রতীক।

ইসলামের অভ্যুদয় পরবর্তী সময়ে শামে (ফিলিস্তিন, জর্ডান, সিরিয়া, লেবানন এবং তুর্কির কিছু অংশ) মুসলিমদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পূর্ব-রোমান সাম্রাজ্য বা বাইজেন্টিন সাম্রাজ্য। খুলাফায়ে রাশেদার সময়েই শাম এবং উত্তর আফ্রিকা থেকে হাত গুটাতে হয় বাইজেন্টিনদেরকে। বনু উমাইয়ার সময়ে মুসলিমরা কন্সটান্টিনোপল দখলে অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়। আব্বাসী খিলাফতের সময়ে সেলজুক তুর্কিদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে আনাতোলিয়ার [এখনকার তুরষ্কের এশিয়ান অংশ] একটা বিরাট অংশ তুর্কি গোত্রগুলোর কাছে হারায় বাইজেন্টিনরা। প্রতিশোধ হিসেবে পশ্চিমী খৃষ্টানদের সাহায্য কামনা করে তারা তুর্কিদের বিরুদ্ধে। কিন্তু রোমের ক্যাথলিক চার্চ ও কন্সটান্টিনোপলের অর্থোডক্স চার্চের মধ্যে বিরোধ থাকায় পশ্চিমী খৃষ্টানরা বাইজেন্টিনদের রাজনৈতিক পরাজয়ে সাহায্য করবে না জেনেই সম্রাট ২য় আলেক্সিউস সেলজুকদের হাত থেকে জেরুসালেম পুনরুদ্ধারের নামে সাহায্যের আবেদন করেন। রোমের পোপ এরপর ক্রুসেড ঘোষণা করলে দীর্ঘ কয়েক শতকের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে মুসলিম ও খৃষ্টান দুনিয়া। খৃষ্টানরা প্রথম ক্রুসেডে জেরুসালেম দখল করলেও সালাহুদ্দীন ইউসুফ ইবন আইয়ুবের নেতৃত্বে মুসলিমরা ক্রুসেডারদের পরাজিত করে জেরুসালেম উদ্ধার করে। খৃষ্টান জগত এরপর আরো বেশ কয়েকটি অসফল ক্রুসেড পরিচালনা করে। শেষ ক্রুসেডে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পরিবর্তে ইতালিয়ানরা উল্টা কন্সটান্টিনোপল আক্রমন করে তা লুট করে। এতে সাম্রাজ্য আরো সংকীর্ণ হয়ে পড়লেও কন্সটান্টিনোপল একটা সাম্রাজ্যের প্রতীক হিসেবে অপরাজেয় রয়ে যায়।

এরপর আব্বাসী খিলাফতের পতন হয় মোঙ্গলদের হাতে। সেই সাথে শেষ সেলজুক তুর্কিদের শাসনেরও। কিন্তু এর মধ্যেই আনাতোলিয়াতে ধীরে ধীরে এক তুর্কি সরদার উসমান গড়তে শুরু করেন এক নতুন রাজ্যের - এক গৌরবময় সালতানাতের ভিত্তি - উসমানী খিলাফত। এই উসমানেরই বংশের মুহাম্মদ আল-ফাতিহ [সুলতান ২য় মেহমেত] ১৪৫৩ সালে জয় করে নেন কন্সটান্টিনোপল। শেষ হয়ে যায় রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাংশও। সুলতান মুহাম্মদ নিজেকে রোমের নতুন কায়সার হিসেবেও দাবী করেন। খৃষ্টান দুনিয়া তাজ্জব হয়ে যায়। তারা মেনে নিতে পারছিল না একজন মুসলিমের হাতে তাদের এই শহরের পতন। তাই পোপ সুলতানকে অনুরোধ করেন খৃষ্টান হয়ে যাবার জন্য। সুলতান তা প্রত্যাখ্যান করেন অবশ্যই এবং কন্সটান্টিনোপলের নতুন নামকরণ করলেন ইসলামপোল - ইসলামের শহর হিসেবে। ওটাই বিকৃত হয়ে ইস্তাম্বুল হয়েছে।

বাইজেন্টিয়াম>>কন্সটান্টিনোপোল>> ইসলামপোল >>ইসলামবোল>>ইসলাম্বুল>> ইস্তাম্বুল

খ্রীষ্টান দুনিয়া এটিকে ভুলে যায় নি। তারা পরাজয়ের ৭০০ বছরের মাথায় স্পেন থেকে ধীরে ধীরে মুসলিমদের নাম মুছে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছিল মুসলিমদের অভ্যন্তরীন দন্দ্বের কারণে। ইস্তানবুল বিজয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ 'শ বছর আগে। খৃষ্টান দুনিয়া এটাকে উদ্ধারের পাঁয়তারা যে করছে না সেটা আমরা কীভাবে ভুলে থাকব। তারা প্রতিনিয়ত পরিকল্পনা করেই যাচ্ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তারা প্রায় সফলই হয়ে গিয়েছিল। এখনো তাদের চক্রান্ত থেকে নেই। তুর্কি ভাইয়েরা তাই আমাদের দু'আ ও সহযোগিতার অনেক বেশি হক্বদার।

বিষয়: আন্তর্জাতিক

২২২২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375294
২৬ জুলাই ২০১৬ সকাল ১১:৩১
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : কুরআনে রূম বলতে বাইজেন্টাইন গ্রীক রূমকেই বোঝায়, পশ্চিমা রূমকে নয়। তাফসীরে ইবনে কাসিরে এর বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দেয়া আছে। পশ্চিমা খ্রিস্টবাদের সাথে তাদের স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। পশ্চিমারা ছিল জঙ্গলী, অসভ্য জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়না। তারা খ্রিস্টবাদের যেই ফর্মটা গ্রহণ করে তা ছিল পৌলবাদ যা খৃস্টবাদের একটি বিকৃত ধরণ যার জনক শৌল বা পৌল যে কিনা গোড়া ইহুদি ও ঈসা (আঃ) চরম শত্রু, তার অনুসারী হত্যাকারী। এটি অনেকটা মুসলিমদের শিয়াইজম বা কাদিয়ানীদের সাথে তুলনীয়। পক্ষান্তরে বাইজেন্টাইনরা যে খ্রিস্টবাদ মেনে চলত তা অর্থোডক্স হিসেবে মান্য করা হয় তার বিশ্বাস ইসলামের কাছাকাছি। কুরানে এদেরকেই মুসলিমদের কাছাকাছি বলে তুলনা করা হয়েছে যারা ইহুদিবাদকে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি। দুই খ্রিষ্টবাদের মাঝে বিরাট পার্থক্য। রাসূল (সাঃ) ভবিষ্যৎবাণীও আছে মুসলিমরা রূমদের সাথে জোট করবে। পক্ষান্তরে পশ্চিমা রূম বিপরীত মেরুর কেউ ছিল। এখন পর্যন্ত তারা রূম বলতে নিজেদেরকেই দাবি করে। তাদের ইতিহাস ও বই পুস্তকে বাইজেন্টাইন রূমকে কখনোই রূম হিসেবে উল্লেখ করা হয়না, তারা এটা মানেনা। তারা নিজেদেরকে আলাদা প্রমাণ করার জন্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। ২৫ ডিসেম্বর যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন তাদেরই উদ্ভাবণ, নামাজ বাদে রবিবারে চার্চে পার্থনা, বাইবেল বিকৃতি এসব তাদের কাজ। সর্বোপরি নিজেদের ভূখন্ড থেকে ধর্মকে বিদায় জানিয়ে গডলেস সিস্টেম আনয়ন এবং ইউরোপীয় ইহুদিদের সাথে জোট এবং ফিলিস্তিন দখল ও সেমেটিক ইহুদীদের উপর গণহত্যা চালিয়ে তাদের সংখ্যা মাত্র ৫,০০,০০০ লাখে নামিয়ে এনে ফিলিস্তিনে ফীরতে বাধ্য করা এবং ইউরোপীয় ইহুদিদের দিয়ে ইজরাইল প্রতিষ্ঠা ও পৃথিবী শাসন এসবই রোমান ক্যাথলিক তথা পৌলবাদীদের কাজ। কুরানে এদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে কেননা এই ইউরোপীয় ইহুদি ও ইউরোপীয় খ্রিস্টান একে অপরের বন্ধু। তারা ক্রুশেড পরিচালনা করার মাত্র কিছুদিন আগে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে কিন্তু পরপর ৩বার তারা বাইজেন্টাইনদের সাহায্য লাভে অক্ষম হয়। এসময় বাইজেন্টাইন সম্রাজ্যে প্রচুর মুসলিম বাস করত এবং কনস্টানটিনোপল এ মসজিদ ছিল মুসলিমরা সবরকম নিরাপত্তা পেত সহঅবস্হানে। ৪র্থ বারে ক্রুশেডাররা বাইজেন্টাইনকে ক্রুশেডে আমন্ত্রণ জানায় কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় সমর্থন লাভে আর এই রাগেই তারা সরাসরি বাইজেন্টাইন আক্রমণ করে বসে। শহরজুড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায়, সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর তারা নজিরবিহীন নির্যাতন চালায় মসজিদ ধ্বংস করে। এটির ব্যাপারে উইকিপিয়াতেও বিস্তারিত উল্লেখ আছে। কিন্তু সেলজুক তুর্কদের বাইজেন্টাইন আক্রমণ ভুল ছিল যদি আপনি হাদিস মানেন। কারণ হাদিসে বলা হয়েছিল, তারা যদি তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে, তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধে জড়াবে না কেননা, কনস্টানটিনোপল বিজয় হল দাজ্জালের মুক্তির কারণ হবে, জেরুজালেম দখলের কারণ হবে, আরব ধ্বংসের কারণ হবে। আর হাদিস এটাই বলছে, তুরষ্ক নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেনা তা দখল হয়ে যাবে। আর এই তুরষ্ক তার জন্য নিজেই দায়ী। তারা ইজরাইল রাষ্ঠ্রের অন্যতম মিত্র এবং ন্যাটোর বৃহত্তম সেনা প্রদানকারী দেশ।
২৬ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
311207
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ৫ লাখ
375313
২৬ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০২:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ চমৎকার পোষ্টটির জন্য।
জেরুজালেম দখল করার পর জেনারেল এলেনবি বলেছিলেন যে ক্রুসেড আজ সমাপ্ত হলো। কিন্তু তারা এই ক্রুসেড এখনও চালিয়ে যেতে চা্য়।
375340
২৬ জুলাই ২০১৬ রাত ০৯:০৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লেখাটি চমৎকার হয়েছে। দোয়া করুন আল্লাহযেন হেফাজত করেন। তারা পরাজয়ের ৭০০ বছরের মাথায় স্পেন থেকে ধীরে ধীরে মুসলিমদের নাম মুছে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছিল মুসলিমদের অভ্যন্তরীন দন্দ্বের কারণে। অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File