বাঙলার মুসলমানরা লক্ষ্য করো - একজন নিজামীর রায় ও তারা
লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ১০ মে, ২০১৬, ০৭:৪২:৫২ সকাল
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও সুরেন্দ্রকুমার সিংহঃ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সিংহ (সিনহা মূলত সিংহের বিহারীরূপ) এর সাথে রহস্যজনক বৈঠক করেন ভারত প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত (আপনার আসলে পড়া উচিৎ পূর্ব বাংলার গভর্ণর) হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, নিজামীর রায়ের আগে।
নিশা দেসাই বিসবাল ও হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাঃ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ভারতীয় বংশোদ্ভূত) নিশা দেসাই বিসওয়াল ও ঢাকায় ভারত প্রজাতন্ত্রের নিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক নিজামীর রায়ের আগে।
অরুনাভ চক্রবর্তীঃ আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী রায়ের কপি পৌঁছে দেন এ মামলার বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
কেশব রায় চৌধুরীঃ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেশব রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পূর্ণাঙ্গ রায় নিয়ে কারাগারে যান।
বিপ্লব কান্তি দাসঃ রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক বিপ্লব কান্তি দাস নিজামীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।
মনে রেখো তোমাদের পূর্বপুরুষেরা জানতেন তাদের আচরণ। তোমাদেরকে চাষার তকমা পরিয়ে শোষণ করতেন তারা কলকাতায় বসে বসে। তাই তোমাদের পূর্বপুরুষেরা ঢাকায় বসেই মুসলিম লীগ গড়েছিলেন তোমাদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে। হ্যাঁ, মুসলিম লীগাররা ইসলামকে বাস্তব জীবনে বাস্তবায়িত করার মত দীক্ষায় অনুপ্রাণিত ছিলেন না। কিন্তু তারা তোমাদেরকে দলিত অবস্থা থেকে উত্তোলনের কথা চিন্তা করেই মুসলিম লীগ গড়েছিলেন। তারপর তাঁরা পাকিস্তান বানিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানে তোমরা মুসলমানিত্ব ছেড়ে দিয়ে হঠাৎ বাঙালী হয়ে গেলে। বাঙালীতো ছিল শরৎ বাবুর গোত্রের লোকেরা; অন্যদিকে হিন্দুস্তানে তোমরা যে ভাষায়ই কথা বল না কেন, তোমরা পরিচিত ছিলে মুসলমান হিসেবে। এরপর তোমাদেরকে উস্কে দিয়ে সেই পাকিস্তান ভাঙা হয়েছে, যাকে তোমরা স্বাধীনতা মনে কর। স্বাধীন দেশ আবার স্বাধীন হয় না। এখানে যা হয় তা হল বিচ্ছিন্নতা।
সে যাই হোক, উপরের নামগুলো লক্ষ্য করেছো? ওটা তোমাদের বিচ্ছিন্নতার বিষফল, যা তোমাদেরকে গলধঃকরণ করতে হবে। নিজামীরা শাহাদাতের নজরানা পেশ করতে করতে তাঁদের রব্বের কাছে চলে যাবেন; কিন্তু বেইজ্জতির ও জিল্লতির জ়িন্দেগী তোমাদেরকে বরণ করতে হবে। নিজামীদের মত মানুষেরা তোমাদের এই বেইজ্জতির কথা জানতেন বলেই ৭১ এ রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, যদিও ব্যর্থ হয়েছেন।
তোমাদের মনে করার কোন কারণ নেই যে জামাআতে ইসলামীর লোকেরাই শুধু ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলবে। তঁদের মধ্যে যাঁরা ঝুলবেন তারাতো তাঁদের রব্বের কাছেই চলে যাবেন। কিন্তু তোমাদের মুসলমানী আত্মাভিমান ও আত্মমর্যাদাবোধ যদি থাকে তবে তাকে বার বার আহত করা হবে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের হাতে। অবশ্য ঈমানী আত্মমর্যাদাবোধ যদি ভুলে গিয়ে থাক, তাহলে ভিন্ন কথা।
আমার রব্বের কাছে দু’আ থাকবে নিজামীদের খুনও যেন অন্তত তোমাদের বিবেকের বীজে শক্তি সঞ্চারিত করে অঙ্কুরোদগমে সহায়তা করে। নতুবা জামাতী মনে করে তাদের জন্য প্রতিবাদে দাঁড়াওনি বলেই তোমাদের সালাফিত্ব ও দেওবন্দিত্ব তোমাদেরকে মুক্তি এনে দেবে না। মনে রেখ তোমাদের সক্রিয় ও সজীব অস্তিত্বকেই শুধু ব্রাহ্মণ্যবাদী দুশমনরা ভয় করে।
বিষয়: বিবিধ
২৪৯৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন