ইতিহাস কথা কয়ঃ গ্রানাডার শেষ বীর।
লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ০৫ মে, ২০১৬, ১১:০১:৩৯ রাত
ইতিহাস আবূ আবদুল্লাহকে বুযদিল গাদ্দার হিসেবে চিনে রেখেছে; আর তার সভাসদ ও গ্রানাডার বুযদিল উমারাকে মনে রাখার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করেনি। কিন্তু ইতিহাস প্রেরণার উৎস হিসাবে মনে রেখেছে গ্রানাডার শেষ বীর মূসা বিন আবী-গাস্সানকে। ইজ্জত ও আযাদীর ইসলামী যিন্দেগী অথবা মউতকে কাফিরদের হাতে বেইজ্জতী ও গোলামীর উপর প্রাধান্য দিয়ে একাই বেরিয়ে পড়েছিলেন গ্রানাডার অশ্বারোহী বাহিনীর প্রধান মূসা, যখন গ্রানাডার উমারা ফার্ডিনান্ড ও ইসাবেলার কাছে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শাসক আবূ আব্দুল্লাহর সাথে।
তারপরের ইতিহাস বর্ণনা করেছে খ্রীষ্টানরা। তারা দেখেছে গ্রানাডার দূর্গ থেকে আপাদমস্তক বর্মাচ্ছাদিত এক অশ্বারোহীকে বেরিয়ে আসতে। খ্রীষ্টান বাহিনীর উপর একাই হামলা চালিয়ে একে একে তাদের ১৫ জনকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তারপর নিজে ও তার ঘোড়া প্রচণ্ড যখমী হয়ে পড়লে খ্রীষ্টানদের হাতে ধরা পড়া থেকে বাঁচতে গোয়াদিলকিবির (ওয়াদী আল-কবীর) এ ঝাঁপিয়ে পড়েন। যখমী শরীর ও বর্মের ওজন তাঁকে আর ভেসে উঠতে দেয়নি। খ্রীস্টানরা পরে বলেছে সে অশ্বারোহীর ঘোড়া ছিল মূসার ঘোড়ার মতই দেখতে। রহিমাহুল্লাহু তা'আলা।
ফার্ডিনান্ড যখন গ্রানাডাবাসীকে আত্মসমর্পনের আহবান জানিয়েছিন তখন মূসা উত্তর দিয়েছিলেন, "খ্রীষ্টান রাজা যদি আমাদের হাতিয়ার চান তবে তাকে এখানে এসে তা জিতে নিতে হবে; আর তা করতে হবে প্রচূর মূল্য দিয়ে। আর আমার ব্যাপারটা হল এই যে, গ্রানাডার দেয়ালের অভ্যন্তরে কোন পাথুরে কবরের জীবন আমার কাছে অনেক প্রিয় যেখানে দাঁড়িয়ে আমি তার প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পালন করেছি, সেই জীবনের চেয়েও যেখানে কাফিরদের কাছে আত্মসমর্পন করে তার প্রাসাদের কোন গদিতে বসে আয়েশী যিন্দেগী পার করা হবে।"
গাদ্দার ও ভীরুরা হারিয়েই যাবে; কিন্তু প্রতিরোধ যোদ্ধারা সম্মানের সাথে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল বিশ্বাসীদের অন্তরে, দু'আয় ও বিজয়ের আকাঙ্খায়।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রতিরোধ যোদ্ধারা সম্মানের সাথে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল বিশ্বাসীদের অন্তরে, দু'আয় ও বিজয়ের আকাঙ্খায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন