আপনার দীনী আত্মমর্যাবোধ কি এখনো আছে!!!!

লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৩:৪৯ রাত

আমি জানি না এটা কারো কষ্টের কারণ হবে কিনা! আল্লাহ মাফ করুন!

আমি আশ্চর্য হই যখন কিছু ভাইদের দেখি, মনে হয় তাদের দীনী আত্মমর্যাদাবোধ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এরা একটা সময় ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। কিন্তু এদের স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের দেখলে মনে হবে না যে এরা ইসলামী আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন।

একজন ভাই যিনি ইসলামী আন্দোলনের শপথের কর্মী ছিলেন, কিভাবে একজন মহিলাকে নিয়ে চলেন যে ইসলামী বিধান মত আব্রু রক্ষা করে চলে না। আমি এটা কখনো কল্পনাও করতে পারতাম না যে এমন কাউকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করব যে ইসলামী মতে আব্রু রক্ষার বিধান পালন করে চলবে না। এটা "simply unthinkable" আমার কাছে।

অনেক ভাইয়েরা আছেন যারা পারিবারিকভাবে এমন কাউকে বিয়ে করেছেন যারা এই বিধান মানতে অভ্যস্ত নয়। কিন্তু তারা যখন আপনার স্ত্রী হয়ে গিয়েছে তখন এটা আপনারই দায়িত্ব তাদেরকে এই বিধান মানতে শেখানো। "Be a man and be a Muslim man." আপনি দাইয়ুস হবেন না। আপনার দিলে যদি আল্লাহর এই বিধান মানার ব্যাপারে আগ্রহ থাকত তাহলে আপনার স্ত্রী এটা পালন করতই। মুশকিল হচ্ছে আপনার কোন আন্তরিকতা ও আগ্রহ কোনটাই ছিল না। ফলে আপনি কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করেন নি। অথচ আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেনঃ "হে নবী! আপনার স্ত্রীগণ, কন্যাগণ ও মু'মিনদের স্ত্রীদেরকে বলুন, তারা যেন নিজেদেরকে জিলবাবে আবৃত করে নেয়। এটা একটা উত্তম ব্যবস্থা, যাতে করে তাদের চেনা যাবে [সম্মানিতা ও স্বাধীনা নারী হিসেবে] এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।" [৩৩ঃ ৫৯]

প্রিয় ভাই, আপনি কি আসলে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের কর্মী হয়েছিলেন? যদি হয়ে থাকেন তবে কি আপনি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালবাসতে পেরেছিলেন? আপনার নিজেকে এটা জিজ্ঞাসা করার দরকার রয়েছে।

অন্যদিকে আমি অনেক ভাইদের জানি যাদের ইখলাসের বদলা আল্লাহ তাঁদের দিয়েছেন। তাঁরা পারিবারিক চাপ ও অন্যান্য কারণে মোটামুটি সেক্যুলার পরিবারে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু নিজেদের খুলুসিয়াত, দীনী আত্মমর্যাবোধ ও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার তীব্র আকাংখা তাদের দিলকে শান্ত থাকতে দেয় নি। ফলে তাঁদের সেক্যুলার স্ত্রীরা এখন কুরআনের সে বিধান মেনে চলেন এবং তা আন্তরিকতার সাথেই করেন।

নিজের আখিরাতকে বাঁচানোর তীব্র বাসনা যদি আপনাকে ব্যাকুল না রাখে তাহলে শয়তান আপনার উপর গালিব হয়ে যাবে। দয়া করে শয়তানকে আপনার উপর গালিব হতে দেবেন না।

আল্লাহুল-মুস্তা'আন!

বিষয়: বিবিধ

১১৮০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355324
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আমার দেখা একটা ঘটনা মনে পড়ল৷ সালটা সম্ভবতঃ ৬৯ হবে৷ আমাদের মহল্লায় মসজিদের প্রয়োজন ছিল৷ জায়গার অভাবে হচ্ছিলনা৷এমন সময় এক হুজুর এসে যথেষ্ঠ যত্ন নিয়ে মস্জিদের জন্য জায়গা আদায় করলেন৷ সেখানে বেশ ওয়াজ নসিহত করে সকলকে বোঝালেন৷ ওয়াজের বিষয় ছিল ফজুল খরচায় নষ্ট না করে অপরের উপকার আর তারই আলোকে মসজিদ প্রতিষ্ঠা৷ বেশ কিছু দানও পাওয়া গেল৷ ওয়াজ শেষে হুজুরেকে খাওয়ানোর দায়িত্বে আমি আর ছোট ভাই রইলাম৷ পাশেই এক জন নেতার বাড়ি ব্যবস্থা হয়েছে৷ অন্যের বাড়ি না থাকলেও ওনার বাড়ি ডাইনিং টেবিল ছিল৷ হুজুর হাত ধুয়ে চেয়ারে না বসে টেবিলের উপর চড়ে উবু হয়ে বসলেন৷ পাশে ভাত তরকারী সব দেওয়া হল৷ প্রয়োজন মতই খেলেন ও বেশ কিছু মাখানো ভাতের উপর হাত ধুয়ে নিলেন৷হুজুরের বয়ান আর কাজের মাঝে তফাৎ দেখে আমার ছোট ভাই ক্ষেপে উঠল৷ খুব উদ্যোগী হুজুর, তাই অনেকটা ভাত নষ্ট মেনে নিয়ে ছোট ভাইকে শান্ত করলাম৷
আজ ইসলামের ধারক বাহকদের অবস্থার জন্যই বাকীদের কাে ইসলাম হাস্যকর হয়ে চলেছে৷ আপনাকে ধন্যবাদ৷
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১১
295080
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

যদিও হাসি আসছিল, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশী কষ্ট ...

Praying Praying
355338
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৫৩
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সুন্দর বিষয়ে কলম ধরার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
355342
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:১৫
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

"ছুম্মা রদাদনা-হু আসফালা সা-ফিলীন.."

শুধু বাইরের বিষয় নয়, অনেকের ভেতরের অবস্থা জেনে আমি তাজ্জব হয়ে যাই!!

রব্বানা লা তুঝিগ ক্বুলুবানা বা'দা ইজ হাদায়তানা..

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
355363
২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:২৩
ইবনে হাসেম লিখেছেন : সত্যিই অত্যন্ত মনোবেদনার কারণ এটি আমার কাছে, ঠিক আপনার মতো। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শরীয়তের নির্দেশের উপর কায়েম রাখুন, আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File