প্রিন্স আল-ওয়ালীদ ও প্রিন্সেস আমীরা আল-তাওয়ীল নিয়ে শেয়ার করা একটা পোস্ট ও কিছু প্রসঙ্গ কথা
লিখেছেন লিখেছেন আবূসামীহা ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:০৩:২৮ সকাল
সৌদী শাহজাদা আল-ওয়ালীদ বিন তালাল ও তাঁর সাবেক স্ত্রী শাহজাদী আমীরা আল-তাওয়ীল এর একটা যুগল ছবি একজন [আয়েশা মেহের] পোস্ট করেছিলেন ফেইসবুকে নিম্নোক্ত ক্যাপশন সহঃ "অন্যের বউ বেটিরে পর্দা না করার কারনে নির্যাতন কইরে নিজেদের বউয়ে হাটু দেখাইয়া চলে।” কথাটা কিছুটা সত্য হলেও আমি ছবিটা শেয়ার করেছিলাম অন্য কারণে। আমার কাছে তাদের পোশাকের স্টাইলটা মজার [funny] লেগেছে। একজন পুরুষ জুব্বা-জাব্বা ও পাগড়ী দিয়ে পুরা শরীর ঢেকে চলেছেন, যাঁকে পুরাদস্তুর হিজাবী মনে হচ্ছিল; আর তাঁর সাথে চলা স্ত্রীলোকটা আঁট-সাট পোশাক পরে হাঁটু পর্যন্ত লম্বা স্কার্ট পরে হাঁটছেন। এই বিষয়টা আমার কাছে মজার লেগেছে। তাই আমি একটা নতুন ক্যাপশন দিয়ে পোস্টটা শেয়ার করলাম যাতে শাহজাদাকে হিজাবী উল্লেখ করেছিলাম।
পোস্টটা শেয়ার করার সময় আমার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা মনে পড়ে যাওয়ায় আরো মজা পাচ্ছিলাম। আমাদের স্কুলের তিন তলায় মেয়েদের ক্লাস এবং চার তলায় ছেলেদের ক্লাস। পুরুষ শিক্ষকদের লাউঞ্জও চার তলায়। আমি একদিন তিন তলায় একটা ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে আসার পর সামনে একজন হিজাবী দেখে নিজের চলার গতি কমিয়ে দিয়ে মাথা নীচু করে হাঁটতে থাকলাম। করিডোরটা সরু এবং তিনিও মাঝ বরাবর চলছিলেন। ফলে পাশ কাটিয়ে সামনে চলে যাবারও উপায় ছিল না। আমি একটু দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটছি আর তিনি ধীরে ধীরে হেঁটে সিঁড়ি বেয়ে ৪ তলায় উঠলেন। আমাকেও শিক্ষকদের লাউঞ্জে যাবার জন্য একই পথে যেতে হল। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম তিনি আমার সামনে দিয়েই আস্তে করে পুরুষ শিক্ষকদের লাউঞ্জে ঢুকে পড়লেন। আমি নিজে থতমত খেয়ে ভাবলাম, “আমি ভুল জায়গায় এসে পড়ি নি তো?” এবার চোখ তুলে দেখলাম, না আসলে ওটা ছেলেদের ফ্লোর এবং রুমটা পুরুষ শিক্ষকদেরই লাউঞ্জ। একটু ইতস্তত করে ঢুকে দেখলাম তিনি একজন শায়খ - কুরআন ও আরবী ভাষার শিক্ষক। তিনি পরে ছিলেন কাল রঙের জালাবিয়্যাহ ও মাথায় সাদা স্কার্ফ। পেছন থেকে তাঁকে একজন হিজাবী বোন ছাড়া আর কিছু মনে হবার সাধ্য ছিল না। আমি মনে করি আমাদের যে সমস্ত হুজুররা এ রকম পোশাক পরেন তাঁরা মেয়েদের অনুকরণ করেন। :D আর পোশাকের ক্ষেত্রে মেয়েদের অনুকরণ করা পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ। সুতরাং আমাদের হুজুরদেরকে এরকম পোশাক পরা পরিত্যাগ করতে হবে। :D :D :D
যাক আবারো শাহযাদা ও শাহযাদী প্রসঙ্গে আসি। আমি পোস্টটা শেয়ার করার পরে বেশ কিছু মন্তব্য আসল। একজন লিখলেন এর মাধ্যমে আমি এদের দু’জনকে কী নাসিহা দিলাম? আমি বরং পর্দা লংঘন করা ব্যবস্থা করেছি এবং চোখের জিনার কারণ ঘটাচ্ছি। পোস্টটা শেয়ার করার সময়েই এ জাতীয় প্রতিক্রিয়ার কথা আমার মনে এসেছিল। তারপরও শেয়ার করেছিলাম। এ জাতীয় প্রতিক্রিয়া যাঁরা ব্যক্ত করেন তাঁরা অনেকেই খালিস নিয়্যতে করেন। আল্লাহ তাঁদেরকে উত্তম জাজা দান করুন। আরেক দল মূলত সৌদী রাজপরিবারের ডিফেণ্ডার। তাদের কাছে সৌদী বাদশাহ হল “আমীরুল মু’মিনীন" এবং "সুন্নতের রক্ষক”। সুতরাং তাদের প্রতিক্রিয়া মূলত ঐ রাজাদের রক্ষার করার একটা বাহানা মাত্র। তাই একজন লিখলেন, আমরা এসব ভণ্ডামী করে কী বুঝাতে চাচ্ছি এবং তিনি ছবির সোর্স জানতে চাইলেন। মুশকিল হল, সোর্স দিলে তখন কিন্তু পর্দা আরো ভালভাবে লংঘন হবে এবং চোখের জিনা আরো বেশি করে হবে। একটু ইউটিউব ঘাটলে এবং গুগুল ইমেজ সার্চ করলেই প্রিন্সেস আমীরা ও তাঁর সাবেক স্বামী আল-ওয়ালীদের অনেক ডকুমেন্ট বের হবে যেগুলোতে তাঁরা সৌদী পর্দার সিস্টেমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে জীবন যাপন করেন।
আল-ওয়ালীদ সৌদী আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজীযের নাতি। তিনি কিংডম হোল্ডিং কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা। ভদ্রলোক দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে অনেক নামী দামী কোম্পানীর বড় বড় শেয়ারের মালিক এবং সবচেয়ে ধনী আরব। আমেরিকাতে ইসলাম বিরোধী মিডিয়া ফক্স টেলিভিশনের বিরাট একটা অংশের মালিক তিনি। নিউ কঞ্জারভেটিভ এন্টি-মুসলিম পত্রিকা নিউ ইয়র্ক পোস্টের ৫০% এর বেশির মালিক তিনি। তিনি তাঁর প্রাইভেট জেটকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে নিয়েছেন, যা একটা সুস্পষ্ট হারাম কাজ। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয় আছে। যাই হোক এদের এসমস্ত অপকীর্তির কথা প্রকাশ করা মানে সৌদী আরবের বিরোধিতা করা নয়।
কেউ কেউ আবার সৌদী রাজ পরিবারের যথেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই মনে করে আপনি শিয়া ইরানের দালাল অথবা খারিজী। রাজপরিবার অনেক কিছু করে যেগুলো সুস্পষ্টভাবে ইসলামের লংঘন। আল্লাহ তা’আলা সাইয়িদুনা মুহাম্মদকে (সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া-সাল্লাম) আব্দুন রসূল করে পাঠিয়েছেন, মালিকুন রসূল করে নয়। মালিক অর্থাৎ বাদশাহকে সার্বভৌমত্ব দেয়া হয়। তাই বাদশাহ-নবীরা অনেক কিছু করার অধিকার রাখেন যেগুলোর জন্য তাদেরকে জবাবদিহীতা থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দাঊদ, সুলায়মান, প্রমূখ নবীরা [আলায়হিম আস-সালাম] ছিলেন মালিক রসূল। কিন্তু মুহাম্মদ (সঃ) ছিলেন আব্দুন রসূল, যিনি তাঁর প্রতিটা কাজের জন্য জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য ছিলেন। আর তাঁর (সঃ) খলীফারাও তাই তাঁদের অধীনস্তদের কাছে ও আল্লাহর কাছে জবাবদিহী করতে বাধ্য ছিলেন। তাই জবাবদিহীতা বিহীন রাজতন্ত্রই হচ্ছে সুন্নতে রসূলের বিরাট লংঘন। এ জন্য এদের কাছ থেকে আমরা সুন্নতে রসূল প্রতিষ্ঠার আকাংখা করি না। এদের স্বেচ্ছাচারিতা মারাত্মক সীমাতিক্রমকারী।
এদের এক শাহযাদা ২২ বছর আমেরিকায় তাদের রাষ্ট্রদূত ছিল। এ সময়ে ভদ্রলোক কূটনৈতিক কাজে সফলতার চেয়ে নাম কামিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে পার্টিবাজী করা ও মদ খাওয়ার রেকর্ড করার জন্য। আর তিনি ছিলেন বুশ পরিবারের অন্যতম বন্ধু। কয়েক’শ মিলিয়ন ডলারের কয়েকটা ম্যানশনও তিনি গড়েছেন এখানে। আর এই ভদ্রলোকের বাবা কিছুদিন যুবরাজ [ক্রাউন প্রিন্স] ছিলেন মারা যাবার আগে। তিনি ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় আসতেন প্রায়ই। আমাদের কিছু সূদানী বন্ধু আছে। এদের অনেকে আবার ট্যাক্সি চালায়। তো সে যুবরাজের সাথে যাঁরা আসতেন তাঁদেরকে তিনি না গুনেই পকেট থেকে ডলার বের করে দিতেন। আমাদের ট্যাক্সি চালক বন্ধুগণ সে হিসেবে কিছুটা ভাগ্যবানও বটে। তারা এই যুবরাজের সফরসঙ্গীদের সম্পর্কে যা জানালেন তা হল, এরা সব রাতে মেয়ে মানুষ শিকারে বের হয়; আর অনেকে পুরুষ পতিতাও শিকার করে।
আরেকটা বিষয় আমাকে খুব ভাবায়। আমাদের উলামাগণ যাঁরা আবার “মজলিস কিবার আল-উলামা”র সদস্য তাঁরা মাহরাম ছাড়া মেয়েদের চলতে দেন না, যা খুবই ভাল কাজ; যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়িও আছে। তাঁরা মাহরাম ছাড়া গ্রুপের সাথে হজ্জ করতে আসতেও দেন না মহিলাদের। এঁরাই আবার সেই দেশে ঘরের জন্য সেবিকা আনতে নিষেধ করেন না। মনে রাখহতে হবে, এই সেবিকারা কিন্তু দাসী না। স্বাভাবিকভাবেই যে ঘরে তারা খিদমতের কাজ করবেন সেখানকার পুরুষরা তাদের মাহরাম না। তার সাথে তার মাহরাম কোন পুরুষ আত্মীয়ও সেখানে যায় না। ফলাফল যা হয় তা হল, এই সেবিকারা/চাকরানীরা ধর্ষণ সহ নানান যৌন হয়রানীর শিকার হয়। কিন্তু আমি কখনো এ চাকরানীর মাহরাম ছাড়া সৌদী আরবে অন্যের ঘরে অবস্থান সম্পর্কে উলামাদেরকে কিছু বলতে শুনি নাই। তারা এটা নিষিদ্ধ করে কোন ফতোয়াও জারী করেন নাই, অথচ ঐ মজলিস কিন্তু ঐ দেশের সুপ্রীম কোর্ট।
অনেকে আবার ইসলামী আইন গেল বলে চিৎকার শুরু করে দেন, যদি কখনো সৌদী শাশনযন্ত্রের বিরুদ্ধে আপনি কথা বলেন। সেখানে আইনের প্রয়োগ মূলত পক্ষপাতমূক্ত না, বিশেষ করে যখন রাজ পরিবারের ক্ষেত্র আসে। অনেক সময় আইনের পরিবর্তে বংশীয় আচারের প্রয়োগ হয়। শাহযাদী মিশ’আল বিনতে ফাহদকে জিনার অভিযোগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ অবিবাহিত জিনাকারী বা জিনাকারিনীকে হত্যা করা নয়, দোররা মারার কথা। একইভাবে তার প্রেমিককেও শিরচ্ছেদ করা হত্যা করা হয়েছে, যাও শরীয়া পরিপন্থি। এ ছাড়াও এ দুজনের জিনার অভিযোগ প্রমাণের জন্য যে চারজন প্রত্যক্ষ স্বাক্ষীর দরকার ছিল তাও আনা হয় নি। এখানে নিতান্তই বংশমর্যাদার স্বার্থে রাজবংশের বাইরে একজনকে বিয়ে করার চেষ্টা করার জন্য একজন শাহযাদী ও একজন সৌদী নাগরিককে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের উপর শরীয়াহ নির্ধারিত শাস্তি [যদিও জিনা প্রমাণিত হয় নি] ১০০ কোড়া মারার পরিবর্তে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এই হচ্ছে তাদের অবস্থা। আমরা গণহারে তাদের দোষারোপ করি না। আমি একই সময়ে বিশ্বাস করি প্রচূর সৌদী উলামা, জনগণ এবং রাজপরিবারের অনেক সদস্য অত্যন্ত ভাল মানুষ এবং ভাল মুসলিম। আর সাধারণভাবে আমাদের বাংলাদেশিদের তুলনায় তাদের মধ্যে ভাল মানুষের সংখ্যা বরং একটু বেশিই। কিন্তু একই সময়ে মনে রাখতে হবে রাজতন্ত্র ইসলাম সম্মত না। এটা জুলুমের একটা বিরাট মাধ্যম। কারণ রাজতন্ত্রে রাজা বাদশাহরা নিজেদের ক্ষমতাকেই সব কিছুর উপর প্রাধান্য দেয়। আর রসূলুল্লাহ (সঃ) খিলাফাহ আলা মিনহাজিন নুবুওয়্যাহর পরে রাজতন্ত্রকে অত্যাচারী ও স্বৈরাচারী বলেই অভিহিত করেছেন। এটা ঠিক যে মাঝে মাঝে এ সব রাজবংশের ভেতর থেকেও ন্যায়পরায়ণ শাসকদের আবির্ভাব ঘটেছে। যেমন উমর ইবন আব্দুল আজীজ বা আওরঙ্গজেব আলমগীর বা ফয়সাল বিন আব্দুল আজীজ [রহিমাহুমাল্লাহ] এর মত শাশকেরা।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
২০৩০ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ।
ওয়াশিংটনের সাবেক রাষ্ট্রদূত কিন্তু এখন সৌদী আরবের বেশ ক্ষমতাশালী প্রিন্স। তিনি এখন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারী জেনারেল।
অনেকে সৌদীদের আড়ালে আসলেই ইসলামকে আক্রমন করে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য তা না। আমরা সোদীদের ভাল কাজগুলোর মূল্যায়ন করি।
শেষের ভাষার ব্যাবহারটিও বেমানান লাগলো আপনার ব্যাক্তিত্বের সাথে।
রসুল (সা) সামের জন্য দোআ করেছিলেন।
গতবছর পুলিশের গুলিতে ঝাঁঁঝরা হওয়া ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির (১৪ টি গুলি করা হয়েছিল তাকে)লাশের পাশে তাঁর স্ত্রীর ক্রন্দনরত ছবি শেয়ার করেছিলাম। সে পোস্টেও অযাচিতভাবে পর্দার বিষয়টি এনেছেন অনেক ভাই।
ইসলাম মানে সাশক নয় ইসলাম মানে আল্লাহ ও তার রসুল (সা) এর অনুস্বরন কোন শর্ত ছাড়াই।
মক্কা ও মদিনা এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কোন অমুসলিম হামলা করার চিন্তাও করলে অন্তরে ভিত হয়ে যায়। এটলিষ্ট একটি রাষ্ট্র আছে যেখানে সকল মুসলিম একতাবদ্ধ। এমনকি বর্হিবিশ্বের সকল মুসলিমও ঐ দেশের সাথে একতাবদ্ধ।
এটলিষ্ট শরীয়ার কিছু আইন সেখানে ফলো করা হয়। যা বর্হিবিশ্বে মুসলিম দেশে একদমই নেই।
এছাড়া আমার পীরসাহেবের জন্ম ও মৃত্যুস্থান।
এজন্য ওর প্রতি একটা টান আছে অন্তরের গহিনে। তবে অন্যায়কারীকে আল্লাহ শুধরানোর তাওফিক দিন।
শাসকের জন্য দুআ করা ইমানের দাবী। আপনি একটু দুআ করুন যেন তারা মুসলিম জাহানের জন্য উপকারী, শান্তিকর, ভালো, সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহ তাদের অন্তরকে পরিবর্তন করেন। সাথে বাংলাদেশের শাসককের জন্যও দুআ করুন।
আমার পীরসাহেব শাসকের জন্য দুআ করতে বলেছেন।
জাজাকাল্লাহু খায়রা।
রাজদরবারে যাতায়াতকারী উলামা থেকে সাবধান থাকার একটা বানী কোথায় যেন পড়েছিলাম, ঠিক স্মরণ হচ্ছেনা, হাদিস কিনা!!
সুন্দর বিশ্লেষণ!! জাযাকাল্লাহ..
চমৎকার বিশ্লেষন এবং গভীর অনুধাবণ ক্ষমতাই ফুটে উঠেছে পোস্টের ভিতর যা মুগ্ধ হওয়ার মতোন । আপনারা নিয়মিত লিখলে আমাদের ব্লগিং অনেক বেশি তাৎপর্যময় হবে আশা করি!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
নিয়মিত হওয়া বড় মুশকিল।
ওয়া ইয়্যাকি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন